২৫ বছরেও মেরামত হয়নি জাগিরপাড়া ব্রীজ, এলাকাবাসীর ভোগান্তি চরমে

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

নেত্রকোণার দুর্গাপুর উপজেলার গাঁওকান্দিয়া ইউনিয়নের জাগিরপাড়া গ্রামে প্রায় পঁচিশ বছর পূর্বে নির্মান করা ব্রীজটি নির্মানের দুই বছরের মধ্যেই ধ্বসে পড়লেও আজো মেরামত করা হয়নি। ধ্বসে পড়া ব্রীজটি ওই এলাকার মানুষের জনভোগান্তির কারণ হয়ে দাড়িয়েছে, এ যেন দেখার কেউ নেই।

দীর্ঘদিনের ধসে পড়া ব্রীজটি পুণনির্মাণ না হওয়ায় জনমনে দেখা দিয়েছে চরম ক্ষোভ। বিচ্ছিন্ন গ্রামীণ সড়কটিতে আজও মাটি পড়েনি বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। এ ব্যাপারে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা অনেকটাই উদাসীন বলে জানান এলাকাবাসী।আশপাশের অন্তত বিশটি গ্রামের মানুষের ভরসা এই রাস্তাটি।। সোমবার দুপুরে সরেজমিন ঘুরে এমন চিত্রই দেখা গেছে।

গত বছরের বন্যার তোরে ব্রীজটির দু‘পাশের মাটি সরে যাওয়ায় আরো হেলে পড়ার ফলে গ্রামীণ জনপদের লোকজন চরম ভোগান্তির মধ্যে রয়েছে। বিশেষ করে ওই ইউনিয়নের এলজিএসপি (লোকাল গভর্ন্যান্স সাপোর্ট প্রজেক্ট) প্রকল্পের অর্থায়নে নির্মিত বিভিন্ন জায়গার বক্স কালভার্ট গুলোরও নাজুক অবস্থা বিরাজ করছে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের অধীনে ওই ধসে পড়া সেতুটি নির্মাণের এখনও কোন উদ্যোগ নেয়নি বলে জানান স্থানীয়রা। দীর্ঘদিন ধরে সংস্কারহীন জাগিরপাড়া গ্রামের ভেতর দিয়ে একমাত্র গ্রামীণ রাস্তাটি বসতিদের চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। বর্ষা মৌসুমে অনেকটাই ঘরবন্দি দিন কাটে আশপাশের লোকজনের। প্রায় পচিশ বছর ধরে এভাবে পড়ে থাকা ব্রীজটি কবে আলোর মুখ দেখবে এমন আশঙ্কা ভুক্তভোগীদের। বছরের পর বছর শেষ হলেও ওই জনগুরুত্বপূর্ণ ব্রীজটি সংস্কারের কাজে হাত দেয়নি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা। এতে দক্ষিন জাগিরপাড়া, নাওদ্বারা, জাঙ্গালিয়াকান্দা, গাঁওকান্দিয়া, কান্দাপাড়া, ভাদুয়া, গৌরাখালী, চিতলী চড়পাড়া, মুন্সিপাড়া, নন্দেরচটি, বন্ধউষান, আটলা সহ প্রায় বিশটি গ্রামের মানুষের ভোগান্তি চরম আকার ধারণ করছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুল মতিন মোতালেব জানান, আমি ইতোমধ্যে ইউপি সদস্যদের নিয়ে পরিদর্শন করেছি। ব্রীজটি ভাঙতে প্রায় তিন লক্ষ টাকা লেগে যায়। তাই স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের কাছে বার বার ঘুরেও এর কোন সুরাহা পাইনি।

উপজেলা প্রকৌশলী মো. আমিনুল ইসলাম মৃধা জানান, ওই জায়গাতে নতুন করে ব্রীজ করতে গেলে যে পরিমান বরাদ্দ প্রয়োজন তা না দেয়ায় ঝুলে আছে। এ নিয়ে ইস্টিমিট করে পাঠিয়েছি বরাদ্দ আসলে অবশ্যই অগ্রাধীকার ভিত্তিতে কাজ শুরু করা হবে।




দুর্গাপুরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার দাবিতে মানববন্ধন

ডিএনবি নিউজ ডেস্কঃ

নেত্রকোনার দুর্গাপুরে অবিলম্বে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার দাবিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে এক মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন দুর্গাপুর উপজেলা শাখা। বৃহস্পতিবার দুপুরে দুর্গাপুর প্রেসক্লাব মোড়ে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

ঘন্টাব্যাপি এ মানববন্ধনে উপজেলা শাখার সহ:সভাপতি মো. রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে, সাধারন সম্পাদক আলী উসমান এর সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, নেত্রকোনা জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক সাকির মাহমুদ, ইসলামী আন্দোলন দুর্গাপুর উপজেলা শাখার সহ:সভাপতি আব্দুল মান্নান, সাধারন সম্পাদক মামুনুর রশিদ মামুন, ইসলামী যুব আন্দোলনের দফতর সম্পাদক মাও. মুফতি জামাল উদ্দিন , সাবেক কওমি মাদ্রাসার সম্পাদক কেফায়েতুল্লাহ, কুল্লাগড়া ইউপির সদস্য হাবিবুর রহমান প্রমুখ।

রক্তারা বলেন, মহামারি করোনায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ্য হয়েছে দেশের শিক্ষাব্যবস্থা। শিক্ষার সঙ্গে জড়িত সবকিছুতেই বিপর্যয় নেমে এসেছে। দীর্ঘদিন স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়ছে। তাই কালবিলম্ব না করে দ্রæততম সময়ে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার জন্য সরকারের কাছে জোর দাবি জানানো হয়।




শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বারান্দায় চলছে নৌকা মেরামতের কাজ

ডিএনবি নিউজ ডেস্কঃ

সারাদেশের ন্যায় নেত্রকোনার দুর্গাপুরেও মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে বন্ধ রয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে শুরু করে মাধ্যমিক পর্যায়ের সকল স্কুলের ভবন খালি পড়ে আছে। এতে চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে পাঠদানের পরিবেশ। শুধু তাই নয়, এই সুযোগে স্কুলের মাঠে এবং স্কুলের বারান্দায় বেঁধে রাখা হচ্ছে গরু-ছাগল। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বারান্দাতেই চলছে কাঠ মিস্ত্রির দোকান নষ্ট হচ্ছে অবকাঠামোগত পরিবেশও।

এ নিয়ে বৃহস্পতিবার এলাকার বিভিন্ন স্কুল ঘুরে দেখা গেছে, করোনা কালিন সময়ে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায়, স্কুলের কক্ষ, বারান্দা এবং মাঠে বেঁধে রাখা হচ্ছে গরু-ছাগল। উত্তর ফারংপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বারান্দাতেই চলছে কাঠ মিস্ত্রির দোকান। এমকেসিএম সরকারি স্কুলের বারান্দায় চলছে লাকড়ির ব্যাবসা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রাথমিক শিক্ষক বলেন, স্থানীয় প্রভাবশালী লোকজন দীর্ঘদিন প্রতিষ্ঠান না খোলায় বিভিন্ন সময়ে বিদ্যালয়ের আঙ্গিনা ও বারান্দায় গরু-ছাগল বেধে রাখে। স্কুলের প্রহরীগন নিয়মিত দায়িত্ব পালন না করায় বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের অফিস কক্ষের সামনে গো-বিচরণ করতে দেখা যায়। এ সকল কাজ থেকে স্থানীয়দের বিরত রাখতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানদের সরকারি কঠোর নির্দেশনা দিলেও প্রতিষ্ঠান প্রধানগন তা আমলেই নিচ্ছেনা।

এ নিয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. গোলাম মোস্তফা এ প্রতিনিধি কে বলেন, উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গো-বিচরণ করছে এমন খবর পেয়ে ওইসকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানদের সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক কঠোর সতকর্তা করা হয়েছে। ইতোমধ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলো খোলার আভাস পেয়ে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার কাজও চলছে। স্কুল খোলা হলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পাঠদানে প্রস্তত রয়েছে প্রতিষ্ঠান গুলো। #




৫০ মডেল মসজিদ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

দেশের জেলা, উপজেলা ও সিটি করপোরেশন পর্যায়ে মোট ৫৬০টি মডেল মসজিদ ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণ করছে সরকার। মুজিববর্ষ উপলক্ষে আজ বৃহস্পতিবার ৫০টি মডেল মসজিদ-সাংস্কৃতিক কেন্দ্র উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ বেলা সোয়া ১১টার দিকে গণভবন থেকে একযোগে আধুনিক ও সুসজ্জিত এসব মসজিদ ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।

ধর্ম মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নে আট হাজার ৭২২ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৯ লাখ ৯০ হাজার ৩৬ বর্গমিটার আয়তনের নির্মিতব্য এসব মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের প্রতিটির নির্মাণ ব্যয় অন্তত ১২ থেকে সর্বোচ্চ ১৫ কোটি টাকা। এসব মসজিদে প্রতিদিন চার লাখ ৪০ হাজার ৪৪০ জন পুরুষ ও ৩১ হাজার ৪০০ জন নারীর নামাজ পড়ার সুবিধা থাকবে। পবিত্র কোরআন হাদিসের জ্ঞান অর্জনের জন্য এসব মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে ৩৪ হাজার মানুষ লাইব্রেরিতে পড়াশোনার সুযোগ পাবেন।

সূত্র জানায়, প্রতিদিন ৬ হাজার ৮০০ জন গবেষকের গবেষণার সুযোগ, ৫৬ হাজার মুসল্লির দ্বীনি দাওয়াতের কার্যক্রম পরিচালনা, প্রতিবছর ১৪ হাজার শিক্ষার্থীর কোরআন হেফজ করার সুবিধা, প্রতিবছর ১৬ হাজার ৮০০ শিশুর প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা অর্জন এবং ২ হাজার ২৪০ জন অতিথির আবাসনের সুযোগ থাকবে। এছাড়া মসজিদের খতিব ও ইমামদের মাধ্যমে প্রতিবছর সন্ত্রাস ও নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে জনসচেতনামুলক কার্যক্রম পরিচালিত হবে।

যে ৫০টি উপজেলায় মডেল মসজিদ উদ্বোধন করা হয়েছে- ঢাকার সাভার, ফরিদপুরে মধুখালী, সালথায়, কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া ও কুলিয়ারচর, মানিকগঞ্জের শিবালয়, রাজবাড়ী সদর, শরীয়তপুর সদর ও গোসাইরহাট, বগুড়ার সারিয়াকান্দি, শেরপুর ও কাহালু, নওগাঁর সাপাহার ও পোরশা, সিরাজগঞ্জ জেলা সদর ও উপজেলা সদর, পাবনার চাটমোহর, রাজশাহীর গোদাগাড়ী ও পবা, দিনাজপুরের খানসামা ও বিরল, লালমনিরহাটের পাটগ্রাম, পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ ও উপজেলা সদর, রংপুর জেলা সদর, মিঠাপুকুর, উপজেলা সদর, পীরগঞ্জ, বদরগঞ্জ, ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর, নোয়াখালীর সুবর্ণচর, ময়মনসিংহের গফরগাঁও ও তারাকান্দা, চট্টগ্রাম জেলা সদর, লোহাগড়া, মিরসরাই ও সন্দ্বীপ, জামালপুরের ইসলামপুর ও উপজেলা সদর উপজেলা, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর ও বিজয়নগরে, ভোলা সদর, সিলেটের দক্ষিণ সুরমা, কুমিল্লার দাউদকান্দি, খাগড়াছড়ির পানছড়ি, কুষ্টিয়া সদর, খুলনার জেলা সদর, চাঁদপুরের কচুয়া, ঝালকাঠির রাজাপুর এবং চুয়াডাঙ্গা সদর।




শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গো-বিচরণ বন্ধে মানা হচ্ছেনা কঠোর নির্দেশনা

ডিএনবি নিউজ ডেস্কঃ

সারাদেশের ন্যায় নেত্রকোনার দুর্গাপুরেও মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে বন্ধ রয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে শুরু করে মাধ্যমিক পর্যায়ের সকল স্কুলের ভবন খালি পড়ে আছে। এতে চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে পাঠদানের পরিবেশ। শুধু তাই নয়, এই সুযোগে স্কুলের কক্ষ থেকে শুরু করে বারান্দা এবং মাঠে বেঁধে রাখা হচ্ছে গরু-ছাগল। ভেঙ্গে পড়ছে শিক্ষাঙ্গনের অবকাঠামোগত পরিবেশও।

এ নিয়ে বুধবার এলাকার বিভিন্ন স্কুল ঘুরে দেখা গেছে, করোনা কালিন সময়ে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায়, স্কুলের কক্ষ, বারান্দা এবং মাঠে বেঁধে রাখা হয়েছে গরু-ছাগল। ইতোমধ্যে সরকারি কঠোর নির্দেশনা থাকায় স্থানীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানগন নজরদারিতে নিয়ে আসলেও কিছু কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তা আমলে নিচ্ছেনা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রাথমিক শিক্ষক বলেন, স্থানীয় প্রভাবশালী ও দলীয় লোকজন প্রতিষ্ঠান না খোলায় বিভিন্ন সময়ে প্রতিষ্ঠানের আঙ্গিনা ও স্কুলের বারান্দায় বৃষ্টি হলেই গরু-ছাগল বেধে রাখতো। স্কুলের প্রহরীগন নিয়মিত দায়িত্ব পালন না করায় বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে এখনো গো-বিচরণ করতে দেখা যায়।

এ নিয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার  বলেন, উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গো-বিচরণ করছে এমন খবর পেয়ে ওই সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানদের সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক কঠোর সতকর্তা করা হয়েছে। ইতোমধ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলো খোলার আভাস পেয়ে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার কাজও চলছে। স্কুল খোলা হলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পাঠদানে প্রস্তত রয়েছে প্রতিষ্ঠান গুলো।




ফিলিস্তিনিদের হত্যায় যুক্তরাষ্ট্রও সমান অপরাধী: হামাস

ডিএনবি নিউজ আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের আগ্রাসন ও গণহত্যা সমর্থন করে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন যে বক্তব্য দিয়েছেন, তার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস।

ব্লিঙ্কেন গত সোমবার এক বক্তব্যে ফিলিস্তিন জনগণের ওপর তেলআবিবের সাম্প্রতিক আগ্রাসনকে ‘আত্মরক্ষা’ বলে উল্লেখ করেন এবং ইহুদিবাদী ইসরাইলের প্রতি আমেরিকার পূর্ণ সমর্থন অব্যাহত থাকবে বলে ঘোষণা করেন।  খবর ফিলিস্তিন বার্তা সংস্থা শাহাবের।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা ইসরাইলের নিরাপত্তা রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সমরাস্ত্রের পাশাপাশি আয়রন ডোম প্রতিরক্ষাব্যবস্থা শক্তিশালী করে দেওয়ার সিদ্ধান্তে অটল রয়েছি।

এর প্রতিক্রিয়ায় হামাস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, আমরা কুদস দখলদার ইসরাইল সরকারের প্রতি আমেরিকার সামরিক সমর্থন এবং তেলআবিবের হাতে অত্যাধুনিক সমরাস্ত্র তুলে দেওয়ার মার্কিন নীতির তীব্র নিন্দা জানাই। আমেরিকা এ সমর্থনের মাধ্যমে ফিলিস্তিনের নিরস্ত্র সাধারণ জনগণকে হত্যার অপরাধে সমান অংশীদারে পরিণত হয়েছে।

হামাসের বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে— আমেরিকা যদি মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠার দাবিতে আন্তরিক হয়, তবে তাকে স্বাধীনচেতা ফিলিস্তিন জাতির আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতি সম্মান জানাতে হবে। জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবে ফিলিস্তিন জনগণকে তাদের মাতৃভূমিতে ফিরে যাওয়ার যে অধিকার দেওয়া হয়েছে তা বাস্তবায়নে ওয়াশিংটনকে সহযোগিতা করতে হবে।

গত ১০ থেকে ২১ মে পর্যন্ত অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইহুদিবাদী ইসরাইলের পাশবিক হামলায় ৬৯ শিশু, ৩৯ নারী ও ১৭ বৃদ্ধসহ ২৭০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

মার্কিন সমর্থনে চালানো এ হামলায় আহত হন আরও ১৯১০ ফিলিস্তিনি নাগরিক। এই ১১ দিনে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ ইসরাইলি হামলার নিন্দা জানাতে ও হামলা বন্ধ করতে তিনবার বৈঠকে বসলেও আমেরিকার বিরোধিতার কারণে তেলআবিবের বিরুদ্ধে কোনো প্রস্তাব পাস করা সম্ভব হয়নি।




ইসরায়েলের সেনারা এ পর্যন্ত ১০ লাখ ফিলিস্তিনিকে গ্রেপ্তার করেছে

ডিএনবি নিউজ আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

ইসরায়েলের দখলদার বাহিনী ১৯৬৭ সালের আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের সময় থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ১০ লাখ ফিলিস্তিনিকে গ্রেপ্তার করেছে। এর মধ্যে ২২৬ জন ফিলিস্তিনি ইসরায়েলের কারাগারে বন্দী থাকা অবস্থায় মারা গেছেন।

ফিলিস্তিনি কারাবন্দীদের হিসাব রাখা একটি বেসরকারি সংস্থা (এনজিও) শনিবার এমন তথ্য প্রকাশ করেছে। ডিটেইনি অ্যান্ড এক্স ডিটেইনি (বন্দি এবং সাবেক বন্দি) নামের স্থানীয় এই সংস্থাটির এক বিবৃতির বরাত দিয়ে খবর দিয়েছে তুরস্কের সরকারি বার্তা সংস্থা আনাদুলু। বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হওয়া ১০ লাখ বন্দীর মধ্যে ৫০ হাজার শিশু এবং ১৭ হাজার নারী। এ ছাড়াও ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ৫৪ হাজার প্রশাসনিক গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে দখলদার ইসরায়েল।

এই প্রশাসনিক গ্রেপ্তারি পরোয়ানা হলো এমন এক নীতি, যার ফলে কোনো বিচার ও অভিযোগ গঠন ছাড়াই গ্রেপ্তার হওয়াদের বন্দিত্বের মেয়াদ বাড়াতে পারে ইসরায়েলি প্রশাসন।

এনজিওটির বিবৃতিতে আরো জানানো হয়েছে, ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে যেসব ফিলিস্তিনি গ্রেপ্তার হয়েছেন, তাদের প্রত্যেকেই বিভিন্ন ধরনের শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন এবং নানা নিষ্ঠুর আচরণের অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছেন।

ডিটেইনি অ্যান্ড এক্স ডিটেইনি জানিয়েছে, বর্তমানে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার ফিলিস্তিনি দখলদার ইসরায়েলের কারাগারে বন্দী আছেন। এর মধ্যে ১৪০ শিশু, ৪১ জন নারী এবং ৪৪০ জন প্রশাসনিক আদেশের বন্দী রয়েছেন।

উল্লেখ্য, ১৯৬৭ সালে ইসরায়েল ও আরব দেশগুলোর মধ্যে যুদ্ধ হয়। ওই সময় ফিলিস্তিনের পূর্ব জেরুজালেম ও পশ্চিম তীর, সিরিয়ার গোলান মালভূমি এবং মিশরের সিনাই উপদ্বীপ দখল করে নেয় ইসরায়েল। পরে ১৯৭৯ সালে এক শান্তি চুক্তির পর ইসরায়েল সিনাই উপদ্বীপ মিশরকে ফেরত দেয়।




আবারো ১০ দিন বাড়িয়ে লকডাউনের প্রজ্ঞাপন জারি

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসায় আরও ১০ দিন বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার। ৬ জুন মধ্যরাত থেকে ১৬ জুন মধ্যরাত পর্যন্ত বিধিনিষেধের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। রোববার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, করোনাভাইরাসজনিত রোগ (কোভিড-১৯) সংক্রমণের বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় পূর্বের সব বিধিনিষেধ ও কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় সূত্রস্থ স্মারকসমূহের নির্দেশনার অনুবৃত্তিক্রমে নিম্নোক্ত শর্তাবলি সংযুক্ত করে এ বিধিনিষেধ আরোপের সময়সীমা ০৬ জুন ২০২১ তারিখ মধ্যরাত হতে ১৬ মে ২০২১ তারিখ মধ্যরাত পর্যন্ত বর্ধিত করা হলো। আজ মধ্যরাত থেকে চলমান বিধিনিষেধের মেয়াদ শেষ হচ্ছে।




এবার বাগদাদের মার্কিন ‘কূটনৈতিক কেন্দ্রে রকেট হামলা

ডিএনবি নিউজ আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

ইরাকের রাজধানী বাগদাদে অবস্থিত একটি মার্কিন কূটনৈতিক স্থাপনায় রকেট হামলার ঘটনা ঘটেছে। দেশটিতে মোতায়েন মার্কিন সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকে এই তথ্য জানানো হলেও এখন পর্যন্ত কেউ এ হামলার দায় স্বীকার করেনি। এর আগেও অনেকবার বাগদাদের গ্রিন জোনে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস লক্ষ্য করে রকেট ছোড়া হয়েছে।

ইরাকে নিযুক্ত মার্কিন সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র কর্নেল ওয়েনে মারত্তো টুইটার পোস্টে জানিয়েছেন, গতকাল শনিবার দিবাগত রাতে বাগদাদে অবস্থিত ডিপ্লোমেটিক সাপোর্ট সেন্টার হামলার শিকার হয়। এ ধরনের হামলায় ইরাকের জাতীয় সার্বভৌমত্ব ক্ষুণ্ন হয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি। এক প্রতিবেদনে পার্সটুডে জানিয়েছে, মার্কিন সামরিক বাহিনীর ওই মুখপাত্র আরো বলেন, প্রাথমিকভাবে জানা গেছে- স্থানীয় সময় শনিবার দিবাগত রাত সোয়া ১২টার দিকে একটি রকেট ছোড়া হয়, যার লক্ষ্য ছিল কূটনৈতিক কেন্দ্র। কূটনৈতিক কেন্দ্রের কাছেই রকেটটি পড়ে। তবে এতে হত্যাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলেও জানান কর্নেল ওয়েনে মারত্তো।

২০০৩ সালে তৎকালীন ইরাকি প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম সরকারের কাছে গণবিধ্বংসী অস্ত্র আছে অভিযোগ তুলে দেশটিতে সামরিক আগ্রাসন চালায় আমেরিকা ও ব্রিটেন। তখন থেকেই ইরাকে রয়েছে মার্কিন সেনা। তবে ২০১৪ সালে জঙ্গি গোষ্ঠী আইএস দমনের নামে বাড়ানো হয় মার্কিন সেনা। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ইরাকে মার্কিন বিরোধী মনোভাব চরম আকার ধারণ করেছে।




লক্ষ্মীপুরে ১৫০ বছরের পুরোনো মসজিদ ডিজিটাল রুপান্তরে নির্মান শুরু

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

প্রায় চার কোটি টাকা ব্যয়ে ১৫০ বছরের পুরনো কেন্দ্রীয় জামে মসজিদটি ডিজিটাল রুপান্তরে নির্মান কাজ শুরু করা হয়েছে। অভিনন্দন জানিয়ে শনিবার রাতে (৫ জুন) লক্ষ্মীপুরের রায়পুরের বামনী ও সদর উপজেলার হামছাদি ইউপির সীমান্তবর্তী কাজিরদিঘির পাড় বাজার ব্যবসায়ী ও গ্রামের সুশীল ব্যাক্তিগন এক মতবিনিময় সভা আয়োজন করেছেন।

মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন, বিশিষ্ট সমাজ সেবক রোটারিয়ান আলহ্বাজ রফিকুল হায়দার চৌধুরী, উপজেলা ভাইসচেয়ারম্যান এডভোকেট মারুফ বিন জাকারিয়া, জেলা পরিষদের সদস্য সাখাওয়াত হোসেন আরিফ, হামছাদি ইউপি চেয়ারম্যান এমরান হোসেন নান্নু ও ব্যবসায়ী মফিজ কোম্পানিসহ গন্যমান্য ব্যাক্তিগন । রোটারিয়ান রফিকুল হায়দার জানান, কেন্দ্রীয় এ মসজিদকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠে মসজিদ কেন্দ্রিক সমাজ। সমাজ ব্যবস্থার একটি অপরিহার্য অংশ।এখানে মসজিদ সংলগ্ন পুকুরঘাট, কবরস্থান, দাতব্য চিকিৎসা কেন্দ্র এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অস্তিত্ব মসজিদ ভিত্তিক। এ পুরাতন মসজিদের বেশিরভাগই স্থানীয় জনগণের আর্থিক সহায়তায় পরিচালিত হয়। পবিত্র কোরআন ও হাদিসের জ্ঞান অর্জনে পাঠকের জন্য ১টি লাইব্রেরিও সুবিধা হবে। আজ থেকে মসজিদের উন্নয়নের দায়িত্ব আমার।।

উল্লেখ্য-রায়পুর ও সদর উপজেলার সীমান্তবর্তী কাজেরদিঘির পাড় বাজারের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদটি চার কোটি টাকা ব্যায়ে ধাপে ধাপে ডিজিটাল রুপান্তরে নির্মিত হবে। এতে মসজিদসহ ওজুখানা, ওয়াসরুম– ঈদগাহ সহ পাঠাগার রয়েছে।