বিধিনিষেধ অমান্য করলে লকডাউন: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

ড্ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

দেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে চলমান ১১ দফা বিধিনিষেধ অমান্য করলে লকডাউন দেওয়া হতে পারে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

শনিবার (১৫ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে ডায়ালাইসিস ইউনিট ও সিটি স্ক্যান মেশিন উদ্বোধন শেষে এ কথা বলেন তিনি।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, করোনা সংক্রমণ আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েই চলছে। সরকারের দেওয়া ১১ দফা বিধিনিষেধ না মানলে দেশের পরিস্থিতি ভয়াবহ হবে। লকডাউন দিলে দেশের অনেক ক্ষতি হবে। আমরা সেদিকে যেতে চাই না, তাই সবাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন। যদি বিধিনিষেধ অমান্য করা হয় তাহলে লকডাউন দেওয়া হবে।

এর আগে দেশে মহামারি করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় গত ১০ জানুয়ারি ১১টি বিধিনিষেধ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। গত ১৩ জানুয়ারি থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এ ১১ দফা নির্দেশনা মেনে চলার কথা বলা হয়েছে।




কাঁদায় ভাসছে দুর্গাপুর

ডিএনবি নিউজ ডেস্কঃ

শীতের এই শুষ্ক তাপমাত্রায় চারপাশের পরিবেশে প্রভাব পরলেও পুরোপুরি বিপরীত নেত্রকোনার দুর্গাপুরের চিত্র। কনকনে শীতের মাঝেও কাঁদায় ভাসছে শহরের প্রতিটি সড়ক। দেখে বোঝার উপায় নেই এখন শীত নাকি বর্ষাকাল?
অথচ পর্যটন সম্ভাবনাময় এই নগরীর চারপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে ভৌগলিক নির্দেশক স্বীকৃতি বা জি-আই সনদ স্বীকৃতিপ্রাপ্ত বিজয়পুরের সাদা মাটির পাহাড় সহ অসংখ্য পর্যটন স্পট। প্রতিদিনই এই স্পটগুলো দেখতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ছুটে আসছেন দর্শনার্থীরা। প্রকৃতির টানে পর্যটকরা আসলেও তাদের ভাগ্যে জোটে কাঁদা ভরা সড়ক।
২০১০ সাল থেকে শহরটি প্রাণ ও নানা প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর সোমেশ্বরী নদীকে ঘিরে গড়ে উঠেছে বালুখেকোদের তান্ডব। নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করেই যত্রতত্র বালু উত্তোলন সহ অপরিকল্পিত পরিবহনে মারাত্মক পরিবেশ বিপর্যয়ের মুখে দুর্গাপুর। এই নিয়ে বেশ কয়েক বার পরিবেশবাদী সংগঠনগুলো সর্তক করলেও সুফল আনতে পারেননি তারা।
পৌর শহরের পথঘাট সহ বহুল কাক্সিক্ষত দুর্গাপুর-শ্যামগঞ্জ মহাসড়ক নিয়ে প্রতিনিয়ত ভেজা বালু পরিবহনে কাঁদায় জরাজীর্ণ থাকে সারা বছরই। শহরের প্রেসক্লাব মোড়,তেরি বাজার, কালীবাড়ি মোড়, কলেজ রোড, হাসপাতাল মোড়, উপজেলা মোড়, কাচারি মোড় সহ অলিগলিতেও স্তূপ বেঁধে থাকে কাঁদা। একদিকে যেমন ব্যাহত হচ্ছে পথচারীদের যাতায়াত তেমনি লোকসানের মুখে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।
পৌর শহরের ভেতর দিয়ে বালুবাহী ট্রাক চলাচল বন্ধ সহ কয়েক দফা দাবি নিয়ে গেল বছর স্থানীয়রা লাগাতার আন্দোলন করেও কোন সুফল আসেনি। স্থানীয়দের দুর্ভোগ কাটাতে স্থানীয় প্রশাসন ও পৌর কর্তৃপক্ষ বালুবাহী ট্রাকের জন্য বাইপাস সড়কের আশ্বাস দিলেও বাস্তবায়ন হয়নি গেল এক বছরেও। উল্টো বেড়েছে দুর্ভোগ আরও কয়েকগুণ।
স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রতিবছর কোন সমীক্ষা যাচাই ছাড়াই জেলা প্রশাসকএর মাধ্যমে সোমেশ্বরী নদী থেকে পাঁচটি বালুমহাল ইজারা প্রদান করে আসছে। অথচ বালু ট্রাক চলাচলের জন্য অধ্যাবদি পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থাই করতে পারেনি প্রশাসন। নামেমাত্র মাইকিং করে ভেজা বালু পরিবহন নিষেধাজ্ঞা দিলেও এর তোয়াক্কা করে না কেউ। যে যার মত করে যাচ্ছে বালু পরিবহন। আইন থাকলেও নেই এর প্রয়োগ! যার ফলে দুর্ভোগ বাড়ছে প্রতিনিয়ত।
স্থানীয়রা আরো জানান, বালু ব্যবসায়ীরা তাদের আখের গোছাতে কোন নিয়ম নীতির তোয়াক্কা করে না। তাদের কাছে সবাই অসহায়। কারণ আইন প্রণেতারাই আইন অমান্য করে। তাহলে আইন কিভাবে সঠিক পথে চলবে। প্রতিদিন হাজার হাজার গাড়ি দুর্গাপুর পৌর শহরের ভিতর দিয়ে চলাচল করছে। এমন একটা গাড়িও মিলবে না যারা ভেজা বালু পরিবহন করে না। দুর্গাপুরে শীত, গ্রীস্ম, বর্ষা সবসময়ই রাস্তাঘাটে দেখা মিলবে কাঁদা ও ময়লা পানি। স্থানীয় ব্যবসায়ীরাও ঠিকমতো করতে পারেনা। সড়কের ময়লা পানি, কাঁদা ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে ভিতরে ছিটে নষ্ট হচ্ছে আসবাবপত্র সহ মালামাল। এই অভিশাপ থেকে আমরা কবে রক্ষা পাবো। এই দুর্গাপুর কে বাঁচাতে আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
নিরাপদ সড়ক চাই দুর্গাপুর উপজেলা শাখার সভাপতি নুরুল আলম জানান, পৌর শহরের ভেতর দিয়ে বালুবাহী ট্রাক চলাচল বন্ধের দাবিতে আমরা কয়েক বার মানববন্ধন কর্মসূচি সহ বিভিন্ন দপ্তরে স্মারকলিপি প্রদান করেছি। কিন্তু এর কোন বাস্তবায়ন আমরা দেখতে পারিনি। সড়ক দিয়ে চলাচল করা যায় না কাঁদার কারণে। এতদিন করোনার কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও এখন সবগুলো প্রতিষ্ঠান খুলেছে। ফলে শিক্ষার্থীরাও বিদ্যালয়ে যেতে রাস্তার এপার থেকে ওপারে যেতেও নষ্ট হচ্ছে স্কুল ড্রেস সহ পোশাক-আশাক। আসলে এই দুর্ভোগ আমাদের সবার। বাহির থেকে পর্যটকরা অনেক আশা নিয়ে আমাদের দুর্গাপুরে আসেন। অথচ সড়কের বেহাল দশার কারণে দুর্ভোগ ছাড়া কোন কিছুই দেখতে পারেন না তারা। আমরা এই দুর্ভোগের পরিত্রাণ চাই। আর কতদিন মানুষ এভাবে কষ্ট করবে?

ভেজা বালু পরিবহন বন্ধে প্রতিনিয়ত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হচ্ছে বলে জানান উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাজিব উল আহসান। তিনি বলেন, ভেজা বালু পরিবহন দুর্গাপুর বাসীর জন্য একটি দুর্ভোগের কারণ আমরা চেষ্টা করছি এই দুর্ভোগ কমিয়ে আনতে। এর জন্য আমরা সবসময় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ছোট-বড় বিভিন্ন ট্রাককে জরিমানার আওতায় আনছি, ১৩জানুয়ারী বৃহস্পতিবারও মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে ভেজাবালু পরিবহনকারীকে জরিমানার আওতায় আনা হয়েছে।বালু মহালের ঠিকাদারদের ভেজা বালু পরিবহন বন্ধের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। আশা করি সকলের আন্তরিকতা থাকলে ভেজা বালু পরিবহন বন্ধ করা যাবে। মেয়রের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন আমি কি করতে পারি পরামর্শদেন।




পশ্চিমবঙ্গে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা, বহু হতাহতের আশঙ্কা

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়িতে গৌহাটি-বিকানার এক্সপ্রেস ট্রেন লাইনচ্যুত হয়েছে। ভয়াবহ এ দুর্ঘটনায় ওই ট্রেনের অন্তত অর্ধশত যাত্রীর প্রাণহানির আশঙ্কা করা হচ্ছে বলে দেশটির গণমাধ্যমের খবরে জানানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার জলপাইগুড়ির দোমোহনি এলাকায় স্থানীয় সময় বিকেল ৫টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। আনন্দবাজার অনলাইনের খবরে বলা হয়েছে, পাটনা থেকে গুয়াহাটিগামী ওই ট্রেনটি বৃহস্পতিবার বিকেল পাঁচটা নাগাদ দুর্ঘটনায় পড়ে। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে আলিপুরদুয়ার থেকে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় একটি উদ্ধারকারী দল।

ট্রেনটির ৪-৫টি বগি দুমড়ে মুচড়ে গিয়েছে। তার জেরে হতাহতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। দুর্ঘটনার সময় ট্রেনটির গতিবেগ ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার ছিল বলে প্রাথমিক ভাবে খবর পাওয়া গিয়েছে। উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের জনসংযোগ কর্মকর্তা নীলাঞ্জন দেব আনন্দবাজার অনলাইনকে বলেন, ‘বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টা নাগাদ গুয়াহাটি-বিকানের এক্সপ্রেস লাইনচ্যুত হয়েছে। আলিপুরদুয়ার ডিভিশনের নিউ ময়নাগুড়ি এবং নিউ দোমোহনি সেকশনে এই ঘটনা ঘটেছে। রিলিফ ভ্যান যাচ্ছে। ডিআরএম-রাও যাচ্ছেন। বাকি তথ্য এখনো জানতে পারিনি। জানলেই জানাব।’
পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ কর্মকর্তা একলব্য চক্রবর্তী বলেন, ‘রেলের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে যাচ্ছেন। এখন আমাদের একমাত্র লক্ষ্য উদ্ধারকাজ।’

আলিপুরদুয়ারের ডিআরএম দিলীপ সিংহ আনন্দবাজার অনলাইনকে বলেন, ‘লাইনচ্যুত হয়েছে বিকানের এক্সপ্রেস। এখনো হতাহতের খবর নেই। আমি ঘটনাস্থলে যাচ্ছি। আগে উদ্ধার কাজ। পরে অন্য কিছু। চারটে কামরা উল্টেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি।’



ভারতে একদিনে প্রায় ২ লাখ মানুষের করোনা শনাক্ত

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক

ভারতে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। দেশটিতে দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ফের দুই লাখের কাছে পৌঁছেছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে আক্রান্ত হয়েছে ১ লাখ ৯৪ হাজার ৭২০ জন। এতে করে ভারতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩ কোটি ৬০ লাখ ছাড়িয়েছে।

আক্রান্তের পাশাপাশি গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে বেড়েছে দৈনিক মৃতের সংখ্যা। গতকাল মারা গেছে ৪৪২ জন। দেশের সব রাজ্যে আক্রান্ত বাড়লেও মৃতের সংখ্যা বেশি কেরালাতে। ভারতে ওমিক্রনে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৮৬৮তে। সবচেয়ে বেশি ওমিক্রন আক্রান্ত মহারাষ্ট্রে। এরপর রয়েছে দিল্লি ও পশ্চিমবঙ্গ।

দ্বিতীয় ঢেউয়ের পর দেশটিতে সংক্রমণের হার ফের ১০ শতাংশ ছাড়িয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণের হার ১১.০৫ শতাংশ।

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত সপ্তাহ জুড়ে দেশের ২৯টি রাজ্যের অন্তত ১২০টি জেলায় সংক্রমণের হার ছিল ১০ শতাংশের বেশি। এই তথ্য দেখাচ্ছে দেশটির অধিকাংশ এলাকায় কীভাবে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ।




দুর্ঘটনারোধে স্কুল-কলেজে ট্রাফিক রুল পড়ানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

দুর্ঘটনারোধে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে ট্রাফিক রুল পড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এছাড়া রাস্তা পারাপারে ট্রাফিক পুলিশের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের সহায়তা করতে স্কুল কর্তৃপক্ষের লোক রাখারও নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি। শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা দেওয়ার কথাও বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।

বুধবার (১২ জানুয়ারি) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের চারটি প্রকল্প উদ্বোধন করেন।

এগুলো হলো- ঢাকা এয়ারপোর্ট মহাসড়কে শহীদ রমিজ উদ্দীন ক্যান্টনমেন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজ সংলগ্ন পথচারী আন্ডারপাস, সিলেট শহর বাইপাস-গ্যারিসন লিংক ৪ মহাসড়ক, বালুখালী (কক্সবাজার)-ঘুনধুম (বান্দরবান) সীমান্ত সংযোগসড়ক এবং রাঙ্গামাটি জেলার নানিয়ারচর চেংগী নদীর ওপর ৫০০ মিটার দীর্ঘ সেতু।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সড়ক দুর্ঘটনারোধে সারাদেশের জাতীয় মহাসড়কে ২০১০ থেকে ২০১২ সালে ২০৯টি ব্ল্যাকস্পট (দুর্ঘটনাপ্রবণ স্থান) চিহ্নিত করা হয়েছে। তাতে প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। পরবর্তীতে জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কে আরও ২৫২টি দুর্ঘটনাপ্রবণ স্থান চিহ্নিত করা হয়। এরমধ্যে ১৭২টির প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। অবশিষ্ট ৮০টি ব্ল্যাকস্পটেও প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এর ফলে সড়ক ও মহাসড়কে দুর্ঘটনা উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পাবে।

এসময় পথচারীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আমাদের দেশে একটা প্রবণতা আছে- দুর্ঘটনা হলেই গাড়ির ড্রাইভারকে পেটানো হয়। অনেক সময় গণপিটুনিতে তাকে মেরেই ফেলে। কেন দুর্ঘটনা ঘটলো, কার দোষে ঘটলো- সেটা খুঁজে বের করা দরকার। আর সবার ট্রাফিক রুল সম্পর্কে জ্ঞান থাকা দরকার এবং সেটা মেনে চলা দরকার। মোবাইল ফোন কানে দিয়ে সড়ক পার, রেললাইনে চলা বন্ধ করতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, হঠাৎ দৌড়ে রাস্তা পার হবেন না। রাস্তা পারাপারেই কিন্তু দুর্ঘটনা ঘটে। সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। সব জায়গায় ফুটওভার ব্রিজ ও আন্ডারপাস করা আছে। সেগুলোর যথাযথ ব্যবহার করতে হবে। বিশেষ করে ছাত্র-ছাত্রীদের বলবো, রাস্তায় চলাচলে ট্রাফিক রুল মানতে হবে। স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে ট্রাফিক রুলটা শেখাতে হবে।

তিনি বলেন, স্কুলে যাতায়াতে নিরাপদে রাস্তা পারাপারে ট্রাফিক পুলিশ সহায়তা করবে, তবে স্কুল কর্তৃপক্ষেরও লোক রাখতে হবে। অনেক সময় বাচ্চারা অন্যদের মানতে চায় না। স্কুল কর্তৃপক্ষের লোক থাকলে ঠিকই মানবে। প্রত্যেকটা স্কুলকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় নির্দেশ দেবে, যাতে তাদের শিক্ষার্থীদের নিরাপদে রাস্তা পারাপারে উদ্যোগ নেয়।

আইন নিজের হাতে তুলে না নেওয়ার নির্দেশ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুর্ঘটনা দুর্ঘটনাই। দোষ কার, সেটা পরে দেখা যাবে। অনেক সময় ধাক্কা লেগে পড়ে যায়, সে হয়তো বেঁচে যেতো। কিন্তু ড্রাইভার গাড়ি থামালে তাকে পিটিয়ে মেরে ফেলবে এই ভয়ে সে পিষে চলে যায়। একটা মানুষের জীবন চলে যায়। কিছু হলেই ড্রাইভারকে ধরে পেটাবেন, গাড়িতে আগুন দেবেন, এটা ঠিক না। আইন কেউ হাতে তুলে নেবেন না। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আছে, তারাই সেটা দেখবে।

এসময় গাড়ির চালক ও হেলপারদের প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি জানি তারা অনেক সময় ক্লান্ত হয়ে পড়ে, ঝিমিয়ে পড়ে। সে জন্য মহাসড়কের পাশে চালক ও যাত্রীর জন্য বিশ্রামের ব্যবস্থা নিচ্ছি। সুনির্দিষ্ট দূরেত্ব একটি করে বিশ্রামাগার থাকবে। পাশাপাশি চালকদের ট্রেনিংয়েরও ব্যবস্থা করছি। গাড়ি বাড়ছে, চালক বাড়ছে না। সে জন্য সমস্ত উপজেলায় চালকদের ট্রেনিং দেওয়ার ব্যবস্থা করছি। তাহলে এ সংকট কিছুটা কমবে। ড্রাইভার ক্লান্ত হলে গাড়ি থামাবেন, রেস্ট নেবেন। কিন্তু হেলপার দিয়ে চালানো ঠিক নয়, এটা অন্যায় কাজ।

করোনার সতর্কতা মেনে চলার পরামর্শ দিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, ব্যাপক কর্মসূচি ছিল আমরা ভার্চুয়ালি করছি। কারণ করোনা নতুনভাবে হানা দিয়েছে। সকলে নিয়ম মেনে চলবেন। মাস্ক পরবেন। সবকিছু স্বাভাবিক চলুক আমরা চাই। উন্নয়নের নানা কাজ করছি। ফলে আমরা দ্রুত এগিয়ে যাবো। ২২ সালে কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প আছে উদ্বোধন করবো আমরা। দেশের মানুষের জন্য গত ১৩ বছরে আমরা নানা অবকাঠামোগত উন্নয়ন করেছি। এটি আমাদের প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন।




ফের জাতীয় ঐক্যের ডাক দিলেন ড. কামাল

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেছেন, ‘দেশ ও জাতির বৃহত্তর স্বার্থে এই মুহূর্তে জাতীয় ঐক্যের প্রয়োজন। আমি সব সময় ঐক্যের কথা বলেছি। দেশ ও জাতির এই ক্রান্তিলগ্নে ঐক্যের কথা আবারও বলছি। দেশ ও জাতিকে রক্ষা করতে ঐক্য করুন।’

গতকাল সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে মোস্তফা মহসিন মন্টুর নেতৃত্বাধীন গণফোরামের একাংশের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে ‘মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গীকার ভূলুণ্ঠিত’ শীর্ষক আলোচনা সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

ড. কামাল হোসেন বলেন, ‘সংবিধানে স্পষ্ট লেখা আছে ‘দেশের মালিক জনগণ’। তাই দেশ জনগণের হাতেই তুলে দিতে হবে। নির্বাচনে কালো টাকার খেলা বন্ধ করতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘আজ ১০ জানুয়ারি, আমার জীবনের স্মরণীয় দিন। এই দিনে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে বাংলাদেশে ফিরেছিলাম। বঙ্গবন্ধু যে স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়তে চেয়েছিলেন, তা আজ অনেক দূরে। তাই বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা রক্ষা করতে আসুন আবার আমরা ঐক্যবদ্ধ হই।’

গণফোরামের একাংশের সভাপতি মোস্তফা মহসিন মন্টুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য দেন দলটির নির্বাহী সভাপতি অধ্যাপক আবু সাইয়িদ, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, নির্বাহী সভাপতি আসাদুজ্জামান, বীর প্রতীক মহিউদ্দিন আব্দুল কাদের, অ্যাডভোকেট মহসিন রশিদ ও অ্যাডভোকেট জগলুল আফ্রিদি।




হে দয়াময় প্রভু

হে দয়াময়-

তোমাকে খুঁজেছি পর্বত চূঁড়ায়

খুঁজেছি সমুদ্র গর্ভে,

খুঁজেছি তোমায় দিক-দিগন্তে

নিঃলীম নিলীমা নভে।

বিন্দু থেকে বিশালতায়

খুঁজেছি বারবার,

আঁথার খেকে আলোর মাঝে

দেখি তুমিই নিরাকার।

হে করুনাময়-

তুমি করেছো সৃজন এ নশ্বর ধরনী

প্রেরণ করেছো আমায় করতে তোমার গোলামী

তুমি ব্যতিত উপাস্য নাহি আর,

দু’নয়নে দেখেছি তোমার কুদরতি খেলা

শুধু দেখিনি তোমার অদৃশ্য কায়া

তুমিই এ গুলবাগের অনিন্দ্য রূপকার

প্রভু তুমি নিরাকার।

এইচ এম সাইদুল ইসলাম

সম্পাদক- ডিএনবি নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম




দেশের ৫ বিভাগে হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: দেশের পাঁচ বিভাগে হালকা থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। সোমবার রাতে এক পূর্বাভাসে এমন তথ্য জানিয়েছে সংস্থাটি।

আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়েছে, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ হিমালয়ের পাদদেশীয় পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। আর মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ অবস্থান করছে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে এবং এর বর্ধিতাংশ উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।

পূর্বাভাস অনুযায়ী মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত চট্টগ্রাম বিভাগের কুমিল্লা ও নোয়াখালী অঞ্চলসহ রাজশাহী, খুলনা, ময়মনসিংহ এবং ঢাকা বিভাগের দু’এক জায়গায় হালকা অথবা গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিপাত হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। তবে মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারাদেশের কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।

এই আবহাওয়ায় সারাদেশের রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পাবে এবং দিনের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়তে পারে। ঢাকায় এ সময় উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে বাতাসের গতিবেগ থাকবে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার। বুধবার পর্যন্ত বৃষ্টিপাতের প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে। আর বর্ধিত পাঁচদিনের শেষের দিকে তাপমাত্রা হ্রাস পাবে।




অর্ধেক যাত্রীতে চলবে বাস ট্রেন লঞ্চ

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি রোধে অর্ধেক আসন খালি রেখে গণপরিবহণ চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এছাড়া সর্বপ্রকারের যানবাহনের চালক ও সহকারীদের আবশ্যিকভাবে টিকা সনদ নিতে হবে।

দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ আবার বাড়তে থাকায় সব ধরনের জনসমাগম সীমিত করাসহ ১১ দফা নির্দেশনা জারি করে সরকার।

সোমবার এ নির্দেশনায় বলা হয়, গণপরিবহণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে এবং ধারণক্ষমতার ৫০ শতাংশের বেশি যাত্রী পরিবহণ করা যাবে না। আগামী ১৩ জানুয়ারি থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে , করোনাভাইরাসজনিত রোগ (কোভিড-১৯) এর নতুন ধরন ওমিক্রনের প্রাদুর্ভাব ও দেশে এ রোগের সংক্রমণ পরিস্থিতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত সভায় নেওয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থা, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড সচল রাখা এবং সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনায় ১৩ জানুয়ারি ২০২২ তারিখ থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সার্বিক কাৰ্যাবলি/চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ করা হলো।

এতে বলা হয়, দোকান, শপিংমল ও বাজারে ক্রেতা-বিক্রেতা এবং হোটেল-রেঁস্তোরাসহ সব জনসমাগমস্থলে বাধ্যতামূলকভাবে সবাইকে মাস্ক পরিধান করতে হবে। অন্যথায় তাকে আইনানুগ শান্তির সম্মুখীন হতে হবে।



সামাজিক-ধর্মীয়-রাজনৈতিক সমাবেশ বন্ধের নির্দেশ

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি রোধে উন্মুক্ত স্থানে সব ধরনের সামাজিক, রাজনৈতিক, ধর্মীয় অনুষ্ঠান এবং সমাবেশ বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে সরকার।

দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ আবার বাড়তে থাকায় সব ধরনের জনসমাগম সীমিত করাসহ ১১ দফা নির্দেশনা জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

সোমবার এ নির্দেশনায় বলা হয়, কোভিড আক্রান্তের হার ক্রমবর্ধমান হওয়ায় উন্মুক্ত স্থানে সর্বপ্রকার সামাজিক, রাজনৈতিক, ধর্মীয় অনুষ্ঠান এবং সমাবেশসমূহ পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ রাখতে হবে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে , করোনাভাইরাসজনিত রোগ (কোভিড-১৯) এর নতুন ধরন ওমিক্রনের প্রাদুর্ভাব ও দেশে এ রোগের সংক্রমণ পরিস্থিতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত সভায় নেওয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থা, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড সচল রাখা এবং সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনায় ১৩ জানুয়ারি ২০২২ তারিখ থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সার্বিক কাৰ্যাবলি/চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ করা হলো।