প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ ইস্যুতে জাতীয় সেমিনার শনিবার

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

দেশের সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ এবং ধর্মীয় মূল্যবোধ পরিপন্থী সকল সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবিতে জাতীয় সেমিনারের আয়োজন করেছে জাতীয় মূল্যবোধ সংরক্ষণ পরিষদ।

আগামী শনিবার (২৫ অক্টোবর) বেলা ২টা থেকে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে এই সেমিনার শুরু হবে।

সেমিনারে অতিথি হিসেবে থাকবেন- মুফতি সৈয়দ মুহা. রেজাউল কারীম; পীর সাহেব চরমোনাই, আমির, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।

ওলানা সাজিদুর রহমান, মহাসচিব, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ।

অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, সেক্রেটারি জেনারেল, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।

সালাহ উদ্দিন আহমদ, স্থায়ী কমিটির সদস্য, বিএনপি

মাওলানা মামুনুল হক, আমির, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস।

ড. আহমদ আবদুল কাদের মহাসচিব, খেলাফত মজলিস।

মাওলানা মাহফুজুল হক, মহাসচিব, বেফাকুল মাদারিস।

মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দি, মহাসচিব, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম।

নুরুল হক নুর, সভাপতি, গণঅধিকার পরিষদ।

হাসানাত আবদুল্লাহ, মুখ্য সংগঠক, এনসিপি।

মাওলানা আব্দুল্লাহ বিন আব্দুর রাযযাক, পরিচালক, আদ দাওয়াহ ইলাল্লাহ।




মাদ্রাসাছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা, মৃত্যুদণ্ডের ফয়সালা আদালতের

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

মাদারীপুরে আলোচিত মাদ্রাসাছাত্রী দীপ্তি (১৫) ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় ইজিবাইকচালক মো. সাজ্জাদ হোসেন খানকে মৃত্যুদণ্ডের ফয়সালা দিয়েছেন আদালত।

একই সঙ্গে আসামিকে ১০ লাখ টাকা জরিমানার আদেশ দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে মাদারীপুর আদালতের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক শরীফ এ এম রেজা জাকের এ রায় ঘোষণা করেন।

এ সময় মামলার সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অ্যাডভোকেট শরীফ সাইফুল কবির উপস্থিত ছিলেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি সাজ্জাদ মাদারীপুর সদর উপজেলার পূর্ব খাগদী এলাকার মৃত সিরাজুল ইসলামের ছেলে। আসামি এর আগে ১৯৯২ সালে শিশু হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজা খেটে ২০১১ সালে মুক্তি পান।

মামলার নথি থেকে জানা গেছে, ২০১৯ সালের ১৩ জুলাই মাদারীপুর শহরের পূর্ব খাগদী এলাকার একটি পরিত্যক্ত পুকুর থেকে অজ্ঞাত এক কিশোরীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরদিন নিহতের বাবা মজিবর ফকির মরদেহ শনাক্ত করেন এবং তার মেয়ে দীপ্তির মরদেহ বলে জানান।

পরে মজিবর ফকির বাদী হয়ে মাদারীপুর সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনাটি নিয়ে তদন্তে নামে র‌্যাব-৮’র সদস্যরা। তাদের তদন্তে বেরিয়ে আসে, ইজিবাইকচালক সাজ্জাদ হোসেন খান দীপ্তিকে ধর্ষণের পর হত্যা করেছে।

নিহত দীপ্তি মাদারীপুর সদর উপজেলার চরনচনা গ্রামের মজিবর ফকিরের মেয়ে। তিনি বলাইরচর শামসুন্নাহার বালিকা মাদ্রাসার দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন।

র‌্যাবের তদন্তে জানা যায়, সাজ্জাদ হোসেন পূর্বে শিশু হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ছিলেন এবং ২০১১ সালে মুক্তি পান। ২০১৯ সালের ১১ জুলাই বৃষ্টির দিনে জেলা শহরের ইটেরপুল থেকে চরমুগরিয়া যাওয়ার উদ্দেশ্যে দীপ্তি তার ইজিবাইকে ওঠেন। এ সময় অন্যকোনো যাত্রী না থাকার সুযোগে দীপ্তিকে জোর করে পূর্ব খাগদি এলাকায় নিজের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ ও হত্যা করেন। পরে মরদেহ বিদ্যুতের তার দিয়ে বেঁধে কয়েকটি ইটসহ পুকুরে ফেলে দেন। দুই দিন পর লাশটি ভেসে উঠলে এলাকাজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। মানববন্ধন, বিক্ষোভ ও দ্রুত বিচারের দাবিতে ফেটে পড়ে স্থানীয়রা।

দীপ্তির বাবা মজিবর ফকির রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, আমার মেয়ের হত্যাকারী আজ আইনের কাছে জবাবদিহি করেছে। আমরা এই রায়ের মাধ্যমে ন্যায়বিচার পেয়েছি।

মামলার পিপি শরীফ সাইফুল কবীর বলেন, মামলায় একমাত্র আসামি সাজ্জাদ হোসেনকে মৃত্যুদণ্ড এবং ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন। দীর্ঘ ছয় বছর বিচারিক কার্যক্রম শেষে আদালত ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করেছেন। এটি ছিল অত্যন্ত নৃশংস একটি হত্যা ও ধর্ষণ মামলা। আমরা রায়ে সন্তুষ্ট।




রাশিয়ায় আন্তর্জাতিক কুরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম হলেন ইরানি কারী ইসহাক আবদুল্লাহি

ডিএনবি নিউজ আন্ত: ডেস্ক-

রাশিয়ায় অনুষ্ঠিত ২৩তম আন্তর্জাতিক পবিত্র কুরআন প্রতিযোগিতায় ইরানের কোম প্রদেশের (মধ্য ইরান) একজন বিশিষ্ট ইরানি তিলাওয়াতকারী প্রথম স্থান অর্জন করেছেন।

ইসহাক আবদুল্লাহি”, কোম প্রদেশের একজন বিশিষ্ট ইরানি তিলাওয়াতকারী এবং হযরত মাসুমেহ (সা.)-এর মাজার ও জামকারান মসজিদের তিলাওয়াতকারী ও মুয়াজ্জিন।  তিনি রাশিয়ায় অনুষ্ঠিত এই বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের সুযোগকে কাজে লাগিয়ে পবিত্র কুরআন তেলাওয়াতের ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতার এই পর্বে প্রথম স্থান অর্জনে সফল হয়েছেন।

রাশিয়ার রাজধানী মস্কোতে বিশ্বের ৩০টি দেশের প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে এই প্রতিযোগিতাটি ১৫ থেকে ১৮ অক্টোবর, ২০২৫ (২৩ থেকে ২৬ মেহের, চলতি ফার্সি বছর) অনুষ্ঠিত হয়েছিল। আব্দুল্লাহি প্রতিযোগিতার মান এবং বিচারকদের নির্ভুলতাকে অত্যন্ত উচ্চমানের বলে বর্ণনা করে বলেন: “বিচারকদের কঠোরতা সত্ত্বেও, আমি খুশি যে আমি ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া এবং লেবাননের শক্তিশালী আবৃত্তিকারদের সাথে প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করতে পেরেছি।”

ইসহাক আবদুল্লাহি পবিত্র কুরআন বিষয়ক একজন শিক্ষক এবং ইরানের জাতীয় স্বেচ্ছাসেবী বাহিনী বা বাসিজ ও রেড ক্রিসেন্ট কুরআন প্রতিযোগিতায়ও প্রথম স্থান অর্জন করেছেন। তিনি হযরত মাসুমা (সা.)-এর পবিত্র মাজারের প্রতিনিধি হিসেবে তৃতীয় কারবালা আন্তর্জাতিক কুরআন প্রতিযোগিতায় তাহক্বিক-তেলাওয়াত (মাঝারি গতিতে তিলাওয়াত) বিভাগে চতুর্থ স্থান অর্জন করেছেন। #

সূত্র: পার্স টুডে




ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মসজিদের অজুখানা নিয়ে সংঘর্ষ : আহত ২০, গ্রেফতার ৪

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার কাইয়ুমপুর ইউনিয়নের জগন্নাথপুর গ্রামে মসজিদের অজুখানা নির্মাণকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনায় অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত ১২ জনকে প্রথমে কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। পরবর্তী অবস্থার অবনতি হলে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখান থেকে ৬ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

সোমবার (২০ অক্টোবর) বিকালে উপজেলার কাইয়ুমপুর ইউনিয়নের জগন্নাথপুর পূর্বপাড়া জামে মসজিদের সামনে ঘটনাটি ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওই মসজিদের অজুখানা নির্মাণ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলছিল। সোমবার দুপুরে দুলাল মিয়া (৬০), পুলিশ নিয়ে এসে অজুখানার কাজ বন্ধ করে দেন। এ সময় আলম মিয়া (৬০), ফজলু মিয়া (৫৫) ও সাইদ মিয়া (৬৫) সহ নসু হাজির পরিবারের সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। তখন দুলাল মিয়ার অনুসারীরা পুলিশের সামনেই অতর্কিত হামলা চালায়।

এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হন। পুলিশ আহতদের উদ্ধার করে কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায়।

কসবা থানার ওসি রিপন দাস জানান, মসজিদের অজুখানা নির্মাণকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে আছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।




জামায়াতের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদের

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

পিআর নিয়ে জামায়াতে ইসলামীর আন্দোলনকে ‘একটি পরিকল্পিত রাজনৈতিক প্রতারণা’ বলে বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।

রোববার (১৯ অক্টোবর) বিকেলে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে এ মন্তব্য করেন তিনি।

নাহিদ বলেন, ‘জামায়াতে ইসলামীর শুরু করা তথাকথিত “প্রোপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন (পিআর) আন্দোলন” একটি পরিকল্পিত রাজনৈতিক প্রতারণা ছাড়া আর কিছুই না।’

ঐকমত্য কমিশনের সংস্কার প্রক্রিয়াকে লাইনচ্যুত করতে এবং জনগণের অভ্যুত্থানের পরিপ্রেক্ষিতে রাষ্ট্র ও সংবিধান পুনর্গঠন প্রশ্নে জাতীয় আলোচনাকে ভিন্ন খাতে সরিয়ে দিতেই ইচ্ছাকৃতভাবে এর নকশা করা হয়েছে’, বলেন তিনি।

নাহিদ বলেন, ‘ভোটের আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বের ওপর ভিত্তি করে উচ্চকক্ষ প্রতিষ্ঠার মূল সংস্কারের দাবিকে একটি সাংবিধানিক সুরক্ষা হিসাবে কল্পনা করা হয়েছিল। আমরা এই ধরনের মৌলিক সংস্কারগুলোর ওপর ভিত্তি করে একটি আন্দোলন গড়ে তুলতে এবং বিস্তৃত জাতীয় ঐকমত্যের মাধ্যমে জুলাই সনদের আইনি কাঠামো প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিলাম।’




যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর ইসরাইল ৪৭ বার যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের রেকর্ড করেছে

ডিএনবি নিউজ আন্ত: ডেস্ক-

গাজায় যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর থেকে ৪৭ বার ইসরাইল যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের রেকর্ড করেছে। গাজার সরকারি তথ্য অফিস এ তথ্য জানিয়েছে।

শনিবার গাজায় সরকারি তথ্য অফিস ঘোষণা করেছে: গাজায় ইসরাইল কর্তৃক যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন অব্যাহত রয়েছে। এই প্রতিবেদন অনুসারে, গাজায় যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর থেকে ইসরাইল ৪৭ বার যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে।

গাজার সরকারি তথ্য অফিসের মতে, ইহুদিবাদী ইসরাইল কর্তৃক যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের বিভিন্ন ঘটনা ঘটেছে। নাগরিকদের ওপর সরাসরি গুলি চালানো থেকে শুরু করে বোমা হামলা এমনকি ইচ্ছাকৃতভাবে বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্যবস্তু করা পর্যন্ত বিভিন্নভাবে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করা হয়েছে।#

সূত্র: পার্সটুডে




রাফাহ ক্রসিং বন্ধের ঘোষণা নেতানিয়াহুর, হুমকির মুখে যুদ্ধবিরতি চুক্তি

ডিএনবি নিউজ আন্ত: ডেস্ক

গাজায় যুদ্ধবিরতির পরও জারি রয়েছে ইসরায়েলি আগ্রাসন। গেল ১০ অক্টোবর চুক্তি কার্যকরের পর থেকে এ পর্যন্ত ৪৭ বার যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে তেল আবিব।

গোলাবর্ষণ, টার্গেট হামলা ও বেসামরিকদের ওপরগুলি চালানোর অভিযোগ এনেছে স্থানীয় প্রশাসন। মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, এসব হামলায় ব্যবহার করা হয়েছে ট্যাংক, ড্রোন ও সেনা যান।

শেজাইয়া, আল-তুফাহ ও যায়তুনেসেনা মোতায়েন অব্যাহত রেখেছে নেতানিয়াহু বাহিনী। খান ইউনিস থেকেও সেনা পুরোপুরি প্রত্যাহার করা হয়নি। এমনকি বেইত লাহিয়া ও বেইত হানুনে এখনও ফিলিস্তিনিদের প্রবেশ নিষিদ্ধ রয়েছে।

এই অবস্থার মধ্যে গাজার একমাত্র আন্তর্জাতিক প্রবেশদ্বার রাফাহ সীমান্ত খুলে দেয়ার কথা থাকলেও তা পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তার দাবি, হামাস এখনো সব মৃত জিম্মির মরদেহ ফেরত দেয়নি, তাই সীমান্ত খোলা সম্ভব নয়।

ফিলিস্তিনি দূতাবাসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, গেল সোমবার থেকে রাফাহ খুলে দেওয়ার কথা। কিন্তু নেতানিয়াহুর সিদ্ধান্তে তা স্থগিত হয়ে যায়। স্বাধীনতাকামী সংগঠনের দাবি করেছে যে রাফাহ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত যুদ্ধবিরতির শর্ত লঙ্ঘন।

রাফাহ সীমান্ত পুনরায় খোলা ও মানবিক সহায়তা প্রবেশের বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় হওয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তির অন্যতম প্রধান শর্ত ছিল। ওই চুক্তির লক্ষ্য ছিল যুদ্ধ বন্ধ করে গাজার মানবিক সংকট কিছুটা লাঘব করা।

হামাস শনিবার জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে ইসরাইল রাফাহ সীমান্ত বন্ধ রাখলে বন্দিদের মরদেহ হস্তান্তর বিলম্বিত হবে।

এদিকে, যুদ্ধবিরতি চুক্তির আওতায় শনিবার রাতে গাজায় আরও দুই ইসরায়েলি জিম্মির মরদেহ রেডক্রসের কাছে হস্তান্তর করেছে হামাস।  ইসরাইলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) ও নিরাপত্তা সংস্থা (আইএসএ) এক যৌথ বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে।




শাপলা চত্বর ও মোদিবিরোধী আন্দোলনে শহীদ ৭৭ পরিবার পেল অনুদানের চেক

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

বিগত ২০১৩ সালের ৫ মে শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে সংঘটিত হত্যাযজ্ঞে শহীদ ৫৮ জন এবং ২০২১ সালের মার্চে নরেন্দ্র মোদিবিরোধী বিক্ষোভ কর্মসূচিতে শহীদ ১৯ জনের পরিবারকে ১০ লাখ টাকা করে অনুদানের চেক হস্তান্তর করেছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। মোট ৭ কোটি ৭০ লাখ টাকার চেক প্রদান করা হয়েছে।

শনিবার (১৮ অক্টোবর) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে এই আর্থিক অনুদান প্রদান করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।

প্রধান অতিথি আসিফ মাহমুদ বলেন, ২০১৩ সালে হেফাজত ইসলামের আন্দোলনেই ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনের সূচনা হয়েছিল। সেদিন সরকার নিরপরাধ ও নিরীহ হেফাজত কর্মীদের হত্যা করে ভেবেছিল, দেশ থেকে ইসলামকে নিশ্চিহ্ন করা যাবে। জুলুম-নির্যাতনের বিরুদ্ধে গণমানুষের আন্দোলনকে স্তব্ধ করে হত্যা করা যাবে। কিন্তু এই অনুষ্ঠান প্রমাণ করে, জুলুম ও নির্যাতন কখনো স্থায়ী হয় না।

উপদেষ্টা বলেন, হেফাজত ইসলামের সেই আন্দোলনের সূত্র থেকেই ২০২৪ সালে ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনের জন্ম। ছাত্র-জনতার তীব্র আন্দোলনের মুখে ফ্যাসিবাদের নেত্রী শেখ হাসিনা পালিয়ে যেতে বাধ্য হন।

উপদেষ্টা আরও বলেন, ২০১৩ সালে নবম শ্রেণিতে পড়তাম। টেলিভিশনে দেখেছি লাখো জনতা কিভাবে আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। কিন্তু সেদিনের প্রকৃত তথ্য জাতিকে জানানো হয়নি।

তিনি আরও জানান, হেফাজত ইসলামের শহীদদের নামের তালিকা সম্বলিত একটি স্থায়ী স্মৃতিস্তম্ভ শাপলা চত্বরে তৈরি করা হবে। এতে এই আন্দোলন আগামী প্রজন্মের জন্য প্রেরণা যোগাবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ. ফ. ম. খালিদ হোসেন বলেন, ২০১৩ সালে শাপলা চত্বরে হেফাজত কর্মীদের নৃশংসভাবে হত্যা করে তৎকালীন সরকার মনে করেছিল জুলুম-নির্যাতন বিরোধী আন্দোলন দমন করা যাবে।

ওই আন্দোলনে শহীদ ও আহতদের একটি তালিকা প্রস্তুত করার হেফাজত ইসলামের নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। এ বিষয়ে ধর্ম মন্ত্রণালয় সব ধরনের সহযোগিতা করবে বলেও আশ্বাস দেন।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, সেদিন শাপলা চত্বরে সাত হাজারের বেশি পুলিশ, র‌্যাব ও বিজিবির সদস্যরা হেফাজত কর্মীদের ওপর হামলা চালিয়েছিল। প্রায় দেড় লক্ষ গুলি খরচ করা হয়েছিল। তারপরও ইতিহাস থেকে সেই ঘটনা মুছে ফেলা যায়নি।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব রেজাউল মাকসুদ জাহিদী।

আরও উপস্থিত ছিলেন হেফাজত ইসলাম বাংলাদেশের আমির মুহিবুল্লাহ বাবুনগরী, মহাসচিব মাওলানা মাজেদুর রহমান, জামাত ইসলামের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরোয়ার, খেলাফতে ইসলামের নেতা মাওলানা মামুনুল হক, গণধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নূর প্রমুখ।

শহীদ পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দেওয়ার জন্য স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়াকে কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানান মাওলানা মুহিবুল্লাহ বাবুনগরী।




জুলাই জাতীয় সনদে ২৫ দল ও জোটের যে সকল নেতা স্বাক্ষর করেছেন

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের উদ্যোগে আয়োজিত ‘জুলাই জাতীয় সনদ-২০২৫’ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ২৫টি রাজনৈতিক দল ও জোটের নিম্নোক্ত প্রতিনিধিরা স্বাক্ষর করেছেন।

১। লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এলডিপি

ড. রেদোয়ান আহমেদ, মহাসচিব

ড. নেয়ামূল বশির, প্রেসিডিয়াম সদস্য

২। খেলাফত মজলিস

মাওলানা আব্দুল বাছিত আজাদ, আমীর, খেলাফত মজলিস

ড. আহমদ আবদুল কাদের, মহাসচিব, খেলাফত মজলিস

৩। রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন

হাসনাত কাইয়ুম, প্রধান সমন্বয়ক

সৈয়দ হাসিবউদ্দীন হোসেন, মিডিয়া সমন্বয়ক

৪। আমার বাংলাদেশ পাটি (এবি পার্টি)

মোহাম্মদ মজিবুর রহমান ভূঁইয়া মঞ্জু, চেয়ারম্যান

ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, সাধারণ সম্পাদক

৫। নাগরিক ঐক্য

মাহমুদুর রহমান মান্না, সভাপতি

শহীদুল্লাহ কায়সার, সাধারণ সম্পাদক

৬। জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন (এনডিএম)

ববি হাজ্জাজ, চেয়ারম্যান

মোমিনুল আমিন, মহাসচিব

৭। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, মহাসচিব

সালাহউদ্দিন আহমেদ, সদস্য, জাতীয় স্থায়ী কমিটি

৮। বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস

মাওলানা ইউসুফ আশরাফ, সিনিয়র নায়েবে আমীর

মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ, মহাসচিব

৯। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী

ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের, কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর

মিয়া গোলাম পরওয়ার, সেক্রেটারী জেনারেল

১০। গণসংহতি আন্দোলন

জোনায়েদ সাকি, প্রধান সমন্বয়কারী

আবুল হাসান রুবেল, নির্বাহী সমন্বয়কারী

১১। জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি

শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, সাধারণ সম্পাদক

মিসেস তানিয়া রব, সিনিয়র সহ-সভাপতি

১২। গণঅধিকার পরিষদ (জিওপি)

নুরুল হক নুর, সভাপতি

মো. রাশেদ খাঁন, সাধারণ সম্পাদক

১৩। বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি

সাইফুল হক, সাধারণ সম্পাদক

বহ্নিশিখা জামালী, রাজনৈতিক পরিষদ সদস্য

১৪। জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট

ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, সমন্বয়ক, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট ও চেয়ারম্যান, এনপিপি

বীর মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার লুৎফর রহমান, সভাপতি, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি-জাগপা

১৫। ১২ দলীয় জোট

শাহাদাত হোসেন সেলিম, মুখপাত্র, ১২ দলীয় জোট ও চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ এলডিপি

১৬। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ

অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, প্রেসিডিয়াম সদস্য

মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব

১৭। গণফোরাম

বীর মুক্তিযোদ্ধা সুব্রত চৌধুরী, জ্যেষ্ঠ এডভোকেট, ভারপ্রাপ্ত সভাপতি

ডা. মো. মিজানুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক

১৮। জাকের পাটি

আলহাজ্ব শহীদুল ইসলাম ভুইয়া, ভাইস চেয়ারম্যান

জহিরুল হাসান শেখ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, গাজীপুর জেলা ছাত্রফ্রন্ট

১৯। জাতীয় গণফ্রন্ট

আমিনুল হক টিপু বিশ্বাস, কেন্দ্রীয় কমিটির সমন্বয়ক

মঞ্জুরুল আরেফিন লিটু বিশ্বাস, সদস্য কেন্দ্রীয় কমিটি

২০। বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি

মাওলানা আবদুল মাজেদ আতহারী, সিনিয়র নায়েবে আমীর

মাওলানা মুসা বিন ইযহার, মহাসচিব

২১। বাংলাদেশ লেবার পার্টি

ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, চেয়্যারম্যান

খন্দকার মিরাজুল ইসলাম, ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব

২২। ভাসানী জনশক্তি পার্টি

বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ রফিকুল ইসলাম (বাবলু), চেয়ারম্যান

ড. মোহাম্মদ আবু ইউসুফ (সেলিম), মহাসচিব

২৩। জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ

মাওলানা আব্দুর রব ইউসুফী, সহ-সভাপতি

মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী, মহাসচিব

২৪। ইসলামী ঐক্যজোট

মাওলানা আব্দুল কাদের, চেয়ারম্যান

মুফতী সাখাওয়াত হোসাইন রাজী, মহাসচিব

২৫। আমজনতার দল

কর্নেল মিয়া মশিউজ্জামান (অব:), সভাপতি

মো. তারেক রহমান, সাধারণ সম্পাদক

এগুলো ছাড়াও শহীদ পরিবারের পক্ষ থেকে শহীদ মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধর বাবা মীর মোস্তাফিজুর রহমান এবং শহীদ তাহির জামান প্রিয়র মা শামসী আরা বেগম জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষর মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন।




আফগান সীমান্তে আত্মঘাতী হামলা, ৭ পাক সেনা নিহত

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

প্রতিবেশী আফগানিস্তনের সঙ্গে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর অস্থায়ী যুদ্ধবরতির শেষ দিনে এ হামলার ঘটনা ঘটে।

পাকিস্তানের নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের বরাতে শুক্রবার বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছেন।

পাকিস্তানের পাঁচজন নিরাপত্তা কর্মকর্তা জানিয়েছেন, উত্তর ওয়াজিরিস্তানে একটি সামরিক ক্যাম্পে সশস্ত্র গ্রুপের হামলায় পাঁচ সেনা নিহত ও ১৩ জন আহত হয়েছেন।

কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, একজন জঙ্গি বিস্ফোরক ভর্তি গাড়ি একটি সামরিক শিবির হিসেবে ব্যবহার করা একটি দুর্গের প্রাচীরে আঘাত করে। এ সময় অন্য দুজন ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা করলে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে তারা নিহত হয়।

এ বিষয়ে তাৎক্ষণিককোনো মন্তব্য করেনি পাকিস্তান সেনাবাহিনী।

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারতের নির্দেশে  তালেবান সরকার পাকিস্তানে হামলা চালিয়েছে। আফগানিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি যখন ভারত সফরে ছিলেন, তখনই এই হামলার ঘটনা ঘটে।

এদিকে পাল্টাপাল্টি সংঘর্ষের পর ৪৮ ঘণ্টার অস্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে আছে পাকিস্তান ও আফগানিস্তান। শুক্রবার গ্রিনিচ মান সময় দুপুর ১টায় এই যুদ্ধবিরতি শেষ হওয়ার কথা। বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) পাক-আফগান সীমান্ত উত্তেজনা নিয়ে ফেডারেল মন্ত্রিসভার বৈঠকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ বলেন, স্থায়ী যুদ্ধবিরতির জন্য বল এখন তালেবান সরকারের কোর্টে।