পশ্চিমবঙ্গে শুরু ভারী বৃষ্টি, দুর্যোগ মোকাবিলায় ব্যাপক প্রস্তুতি, তৈরি উড়িষ্যাও

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক।

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপ বুধবার সকালে ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’য় রূপ নিয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার সকালের মধ্যে তা স্থলভাগে আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।

উড়িষ্যার ভিতরকণিকা এবং ধামারের মাঝে ঘূর্ণিঝড়ের ‘ল্যান্ডফল’ হতে পারে বলে জানিয়েছে পশ্চিমবঙ্গের আলিপুর আবহাওয়া দফতর। এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে কলকাতাসহ পশ্চিমবঙ্গের উপকূল সংলগ্ন জেলাগুলিতে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।

এই মুহূর্তে ‘ডানা’ উড়িষ্যার পারাদ্বীপ উপকূল থেকে প্রায় ৫২০ কিলোমিটার, পশ্চিমবঙ্গের সাগরদ্বীপ থেকে ৬০০ কিলোমিটার এবং বাংলাদেশের খেপুপাড়া থেকে ৬১০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে।

ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’ মোকাবিলার জন্য রাজ্য প্রশাসন ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। অন্যদিকে দুর্যোগের কারণে প্রশাসন থেকে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের একাধিক কর্মসূচি বাতিল হয়েছে। আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) মন্ত্রিসভার বৈঠকে চার মন্ত্রীকে যোগ দিতে নিষেধ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁদের ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় জোর দিতে বলা হয়েছে। ঝড়ের কারণে বাতিল হয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সফরও।

দুর্যোগের কারণে কলকাতা, হাওড়া-সহ একাধিক পুরসভায় জরুরি বিভাগকে আগেভাগে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। খোলা হয়েছে একাধিক কন্ট্রোল রুম। রাজ্যের চার মন্ত্রীকে ঘূর্ণিঝড় পরিস্থিতি তদারকির বিশেষ দায়িত্ব দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। ঘূর্ণিঝড়ের সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়তে পারে পূর্ব মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার উপকূল সংলগ্ন এলাকায়। ওই দুই জেলাতেও আলাদা করে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। প্রস্তুত রয়েছে প্রশাসন।

প্রবল বৃষ্টির রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, উত্তর ২৪ পরগনা এবং ঝাড়গ্রামে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে শুক্রবার পর্যন্ত। এই জেলাগুলিতে জারি করা হয়েছে অরেঞ্জ অ্যালার্ট।

কলকাতা পুরসভায় প্রস্তুতি

বুধবার দুপুর থেকে শনিবার পর্যন্ত কলকাতা পুরসভায় জরুরি বিভাগে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। নিকাশি, বিদ্যুৎ, আলো, উদ্যান, স্বাস্থ্য, নাগরিক সুরক্ষা এবং জঞ্জাল অপসারণ বিভাগকে বাড়তি সতর্ক থাকতে বলেছেন পুর কর্তৃপক্ষ। খোলা হয়েছে বিশেষ কন্ট্রোল রুম।#

পার্সটুডে




তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফেরাতে এবার জামায়াতের আবেদন

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল সংক্রান্ত সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিলে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের রায়ের বিষয়ে রিভিউ আবেদন করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। বুধবার (২৩ অক্টোবর) জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে এ রিভিউ আবেদন করেন। তাদের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির বিষয়টি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।

গত ১৬ অক্টোবর তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল সংক্রান্ত সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ (পুনর্বিবেচনা) আবেদন করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এদিকে গত আগস্ট মাসে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল সংক্রান্ত সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে সুজনের সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার পৃথক রিভিউ আবেদন করেন।

উল্লেখ্য, ১৯৯০ সালে গণঅভ্যুত্থানে এরশাদ সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তীকালীন একটি সরকারের অধীনে সাধারণ নির্বাচন হলেও তখন বিষয়টি সংবিধানে যুক্ত করা হয়নি। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে বিরোধীদলগুলোর আন্দোলনের চাপে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান এনে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী সংসদে পাস করে বিএনপি।

আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে ওই সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ১৯৯৮ সালে অ্যাডভোকেট এম সলিম উল্লাহসহ তিন জন আইনজীবী হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন। পরে বিএনপি সরকারের সময়ে ২০০৪ সালের ৪ আগস্ট সেই রিট খারিজ হলে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বৈধ থাকে। হাইকোর্টের ওই রায়ের বিরুদ্ধে ২০০৫ সালে আপিল করেন রিটকারীরা। ২০০৬ সালে রাজনৈতিক সংকটের প্রেক্ষাপটে জরুরি অবস্থা জারির পর গঠিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দুই বছর ক্ষমতায় থাকার পর এ পদ্ধতির দুর্বলতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। পরে আবার আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে ২০১০ সালের ১ মার্চ আপিল বিভাগে ত্রয়োদশ সংশোধনী মামলার শুনানি শুরু হয়। শুনানিতে আপিল আবেদনকারী এবং রাষ্ট্রপক্ষ ছাড়াও অ্যামিকাস কিউরি হিসেবে শীর্ষস্থানীয় ৮ জন আইনজীবী বক্তব্য দেন। তারা তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বহাল রাখার পক্ষে মত দেন। তৎকালীন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমও এর পক্ষে মত দেন।

২০১১ সালের ১০ মে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তনে করা সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করে তা বাতিল করেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। তবে পরবর্তী ১০ম ও ১১তম নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে করা যেতে পারে বলে মত দিয়েছিলেন তৎকালীন প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হকের নেতৃত্বাধীন আদালত। রায়ে বলা হয় এক্ষেত্রে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচনে সংসদে ঐকমত্যের ভিত্তিতে যেকোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া যেতে পারে।




সব সমুদ্র বন্দরে ২ নম্বর সতর্ক সংকেত

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন আন্দামান সাগরে অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে।

বুধবার সকালে পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ৬৫৪ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্বে এটি অবস্থান করছিল। নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড় ‘ডানা’য় রূপ নিয়েছে। এর প্রভাবে পটুয়াখালীর উপকূলীয় এলাকায় গুমট পরিবেশ বিরাজ করছে। থেমে থেমে গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে এবং আকাশ মেঘলাচ্ছন্ন রয়েছে। ভ্যাপসা গরমে দিশেহারা হয়ে পড়েছে উপকূলের মানুষ।

এদিকে পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগর সময়ের সঙ্গে সঙ্গে উত্তাল হয়ে উঠছে। বৃদ্ধি পাচ্ছে পানির উচ্চতা। আতঙ্ক বাড়ছে ঘূর্ণিঝড়ের।

তাই উপকূলীয় এলাকা দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার শঙ্কায় পায়রাসহ দেশের সব সমুদ্র বন্দরে ২ নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অফিস। সমুদ্রে সকল প্রকার মাছধরা ট্রলার ও নৌযানগুলোকে নিরাপদ অবস্থানে থাকতে বলা হয়েছে।

পটুয়াখালীর মহিপুর মৎস্য আড়ৎ মালিক সমবায় সমিতির সভাপতি মো. দিদার উদ্দিন আহম্মেদ মাসুম বলেন, ‘নদ-নদী ও সাগরে ১১ অক্টোবর থেকে মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা শুরু হয়েছে। বর্তমানে তা বলবৎ আছে। তাই উপকূলের সকল ট্রলারই মহিপুর শিববাড়িয়া নদীতে অবস্থান করে নিষেধাজ্ঞা পালন করছে।’




গাজার যুদ্ধে ফিরতে চাইছে না বহু ইসরাইলি সেনা

ডিএনবি নিউজ আন্তঃ ডেস্ক:

ইহুদিবাদী ইসরাইলের বহু সংখ্যক সেনা গাজা উপত্যকার যুদ্ধ-ময়দানে আর ফিরতে চাইছে না। যুদ্ধের ময়দানে ফিরতে অস্বীকৃতি জানানো এই সেনার সংখ্যা দিন দিন বেড়ে চলেছে।

এক বছরের বেশি সময় ধরে ইহুদিবাদী ইসরাইল গাজায় বর্বর আগ্রাসন ও গণহত্যা চালালেও এখনো সেখানকার বিরাট অংশ ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ যোদ্ধাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

ইসরাইলের গণমাধ্যম হামাকোম সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, তারা ২০ জন সেনা ও তাদের মা-বাবার সাক্ষাৎকার নিয়েছে। সেই সাক্ষাৎকারের ভেতর দিয়ে প্রকাশ হয়েছে যে, সেনা সদস্য এবং তাদের পরিবারের লোকজন যুদ্ধের ব্যাপারে অসন্তুষ্ট।

সাক্ষাৎকার দেয়া লোকজন বলেছে, টানা ১২ মাসের বেশি যুদ্ধ করার পরেও কোনো সমাধান আসেনি এবং সেনারা এখন ক্লান্ত। হামাকোম বলছে, এর অর্থ হচ্ছে যুদ্ধের কারণে সেনারা তাদের নৈতিক মনোবল হারিয়েছে।

সাক্ষাৎকার দেয়া সেনারা জানিয়েছে, তারা হতাশ, অনুৎসাহিত এবং মানসিকভাবে বিধ্বস্ত। গাজা উপত্যকায় একের পর এক ধ্বংস ও হত্যাযজ্ঞ দেখে তাদের এই মানসিক বৈকল্য সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছে।

পাশাপাশি সহকর্মীদের মৃত্যুতেও তারা ভীষণভাবে হতাশ ও ক্ষুব্ধ। বিশেষ করে জাবালিয়া, যাইতুন এবং সুজাইয়া এলাকায় ইসরাইলি সেনারা ব্যাপক মৃত্যুর মুখোমুখি হয়েছে।#

পার্সটুডে




এবার গাজাবাসীকে ‘স্বেচ্ছায়’ উপত্যকা ত্যাগ করার আহ্বান ইসরাইলি মন্ত্রীর

ডিএনবি নিউজ আন্তঃ ডেস্ক:

ফিলিস্তিনি জনগণকে গাজা উপত্যকা থেকে অন্য কোথাও চলে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ইহুদিবাদী ইসরাইলের উগ্র ডান-পন্থি মন্ত্রী ইতামার বেন-গাভির। তিনি দাবি করেছেন, গাজা একটি ‘ইসরাইলি ভূখণ্ড’ এবং সে কারণে ফিলিস্তিনিদের এই উপত্যকা ছেড়ে চলে যাওয়া উচিত।

গতকাল (সোমবার) নিজের উগ্র সমর্থকদের নিয়ে ‘গাজায় পুনরায় বসতি স্থাপনের প্রস্তুতি’ শীর্ষক বিক্ষোভ মিছিল করেন বেন-গাভির। তিনি সেখানে এক বক্তৃতায় গাজাবাসীকে ‘স্বেচ্ছায়’ অবরুদ্ধ এই উপত্যকা ছেড়ে চলে যাওয়ার আহ্বান জানান।

ইহুদিবাদী এই মন্ত্রী বলেন, “আমরা গাজার সকল অধিবাসীকে স্বেচ্ছায় এই উপত্যকা ত্যাগ করার আহ্বান জানাচ্ছি। তাদেরকে আমরা অন্যান্য দেশে চলে যাওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি, কারণ, এই ভূখণ্ড আমাদের।”

বেন-গাভিরের পাশাপাশি ইসরাইলের উগ্র অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোটরিচ গত এক বছর ধরে গাজাবাসীকে উৎখাত করে এই উপত্যকার দখল নেয়ার আহ্বান জানিয়ে আসছিলেন। তবে এই প্রথমবার বেন-গাভির গাজাবাসীকে ‘স্বেচ্ছায়’ তাদের আবাসভূমি ত্যাগ করার আহ্বান জানালেন।

ইসরাইলি এই মন্ত্রী এর আগে বলেছিলেন, বিশ্বব্যাপী বহু দেশ ইসরাইলের মিত্র এবং তারা গাজাবাসীকে গ্রহণ করার জন্য প্রস্তুত রয়েছে।

বেন-গাভির এমন সময় গাজাকে ইসরাইলের অংশ বলে দাবি করলেন যখন বাস্তবতা হচ্ছে, গোটা ইসরাইলি ভূখণ্ডের মালিক গাজাবাসী ফিলিস্তিনিরা। তাদের ভূখণ্ড জবরদখল করে ১৯৪৮ সালে ইসরাইল নামক অবৈধ রাষ্ট্র গঠিত হয়।

সে সময় এই ভূখণ্ডের মূল অধিবাসী ফিলিস্তিনিরা ইহুদিবাদীদের গণহত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞ থেকে বাঁচতে গাজায় এসে আশ্রয় নিয়েছিলেন। তাদের পক্ষে আর কোনোদিন তাদের জন্মভূমিতে ফেরত যাওয়ার সুযোগ হয়নি।#

পার্সটুডে




সিনওয়ার ঝড়ে ধ্বংস হবে ইহুদিবাদী ইসরাইল

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

ফিলিস্তিনের ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের শীর্ষ পর্যায়ের নেতা ও সাবেক প্রধান খালেদ মাশআল বলেছেন, হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর সাবেক প্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ারের নেতৃত্বে ইসরাইল-বিরোধী যে সংগ্রাম শুরু হয়েছে তা দখলদার ইসরাইলকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাবে।

খালেদ মাশআল তুরস্কের ইস্তাম্বুল শহরে সিনওয়ারের সম্মানে আয়োজিত এক শোক অনুষ্ঠানে এই মন্তব্য করেন। গত বৃহস্পতিবার গাজা উপত্যকার দক্ষিণে ইহুদিবাদী সেনাদের সাথে লড়াই করতে করতে শহীদ হন ফিলিস্তিনের বীর যোদ্ধা ইয়াহিয়া সিনওয়ার।

খালেদ মাশআল বলেন, “সিনওয়ার ইহুদিবাদী শাসনের বিরুদ্ধে একটি ঝড় তুলেছিলেন এবং ভূমিকম্পের মতো বিরাট ঝাঁকুনি দিয়েছেন যা ইসরাইলকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাবে।”

মাশআল আরো বলেন, শত্রুরা সিনওয়ারকে প্রতিকূল ভাগ্যের মুখোমুখি করতে চেয়েছিল, কিন্তু মহান আল্লাহ তার জন্য একটি সম্মানজনক ভাগ্য নির্ধারণ করেছেন। তিনি ছিলেন সাহসী অস্তিত্ব এবং সম্মানজনকভাবে তিনি শাহাদাতবরণ করেছেন।

ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলনগুলো ইসরাইলি নৃশংসতার মোকাবেলা অব্যাহত রাখবে এবং ফিলিস্তিনি জনগণের অধিকার আদায় নিশ্চিত করে- এমন যেকোন পদ্ধতিকে স্বাগত জানাবে।#

পার্সটুডে




প্রতিরোধকামী যোদ্ধাদের হামলায় ২৪ ঘন্টায় ৫৩ দখলদার সেনা আহত

ডিএনবি নিউজ ডেস্কঃ

ইহুদিবাদী ইসরাইলের বিরুদ্ধে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন প্রতিরোধকামী সংগঠনের প্রতিশোধমূলক হামলা অব্যাহত রয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় এসব সংগঠনের হামলায় ইহুদিবাদী ইসরাইলের অন্তত ৫৩ জন সেনা আহত হয়েছে যার মধ্যে ১৫ জনের অবস্থা গুরুতর। ইসরাইলের বর্বর সামরিক বাহিনী এসব হামলা ও ক্ষয়ক্ষতির কথা স্বীকার করেছে।

এদিকে, লেবাননের হিজবুল্লাহ যোদ্ধাদের হামলায় আক্কা, শ্লোমি এবং হাইফা শহরে ১৭ জন অবৈধ ইহুদি বসতি স্থাপনকারীও আহত হয়েছে। এছাড়া, সাতটি সেনা সমাবেশ লক্ষ্য করে হিজবুল্লাহ হামলা চালিয়েছে। এর পাশাপাশি হিজবুল্লাহ যোদ্ধারা গতকালও ইসরাইলি সামরিক বাহিনীর একটি মারকাভা ট্যাঙ্কে গাইডেড মিসাইল দিয়ে হামলা চালায়। এতে ট্যাংকটি ধ্বংস হয় এবং নিশ্চিতভাবে ইসরাইলি সেনা হতাহত হয়েছে।

অন্যদিকে, ইসরাইলি সেনারা দক্ষিণ লেবাননের কয়েকটি জায়গা দিয়ে ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা করলে হিজবুল্লাহ যোদ্ধারা তাদের সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। প্রতিরোধের মুখে ইসরাইলি সেনারা পিছু হটতে বাধ্য হয়েছে।#

পার্সটুডে




সিনওয়ারের শাহাদাতে প্রতিরোধ ফ্রন্ট থামবে না; হামাস বেঁচে আছে, থাকবে: ইরানের সর্বোচ্চ নেতা

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

ফিলিস্তিনের ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর প্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ারের শাহাদাতে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ সাইয়্যেদ আলী খামেনেয়ীর বার্তা:

বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম

প্রিয় মুসলিম জাতিগুলো!

এই অঞ্চলের প্রিয় সাহসী যুবকেরা!

বীর মুজাহিদ কমান্ডার ইয়াহিয়া সিনওয়ার তাঁর শহীদ বন্ধুদের কাছে চলে গেছেন। তিনি ছিলেন প্রতিরোধ ও সংগ্রামের এক উজ্জ্বল প্রতিচ্ছবি।

ইয়াহিয়া সিনওয়ার জালিম ও আগ্রাসী শত্রুর বিরুদ্ধে ইস্পাত কঠিন দৃঢ়তা নিয়ে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন। তিনি সুপরিকল্পনা ও সাহসিকতার সাথে শত্রুকে চপেটাঘাত করেছেন এবং শত্রুর ওপর ৭ অক্টোবরের (আল-আকসা তুফান অভিযান) অপূরণীয় আঘাতের মাধ্যমে এই অঞ্চলে ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন। এরপর তিনি সম্মান ও মর্যাদার সাথে শহীদদের মিছিলে যোগ দিতে ঊর্ধ্বগমন করলেন।

দখলদার ও জালিম শত্রুর বিরুদ্ধে সারা জীবন লড়াই করেছেন ইয়াহিয়া সিনওয়ার। তাঁর মতো ব্যক্তির জন্য শাহাদাত ভিন্ন অন্য কোনো প্রতিদান উপযুক্ত নয়।

ইয়াহিয়া সিনওয়ারকে হারানো প্রতিরোধ ফ্রন্টের জন্য অবশ্যই বেদনাদায়ক, তবে শেখ আহমাদ ইয়াসিন, ফাতি শাকাকি, রানতিসি এবং ইসমাইল হানিয়ার মতো বিশিষ্ট ব্যক্তিদের শাহাদাতের কারণে প্রতিরোধ ফ্রন্টের অগ্রযাত্রা থেমে যায় নি; আল্লাহর ইচ্ছায়, সিনওয়ারের শাহাদাতেও তা এক মুহুর্তের জন্য থামবে না। হামাস বেঁচে আছে, বেঁচে থাকবে। আল্লাহর সাহায্য ও নির্দেশনায় আমরা বরাবরের মতো ফিলিস্তিনের মুজাহিদ ও একনিষ্ঠ সংগ্রামীদের পাশে থাকব।

আমি আমাদের ভাই ইয়াহিয়া সিনওয়ারের শাহাদাতে তাঁর পরিবার, তাঁর সহযোদ্ধাবৃন্দ ও জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহর প্রতি অনুরক্তদের প্রতি অভিনন্দন এবং তাঁর অনুপস্থিতির জন্য শোক জানাচ্ছি।

আল্লাহর নেক বান্দাদের উপর শান্তি বর্ষিত হোক।

সাইয়্যেদ আলী খামেনেয়ী

ফার্সি ২৮ মেহের ১৪০৩ (১৯ অক্টোবর ২০২৪)




নেতানিয়াহুর বাসভবনের কাছে আঘাত হেনেছে হিজবুল্লাহর ড্রোন

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

লেবানন থেকে উৎক্ষেপণ করা হিজবুল্লাহর একটি ড্রোন ইসরায়েলের কেন্দ্রীয় শহর সিজারিয়াতে আঘাত হেনেছে। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর বাসভবন এই শহরেই রয়েছে।

ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানিয়েছে।-খবর আল জাজিরার।

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী (আইডিএফ) এক বিবৃতিতে বলেছে, লেবানন থেকে ইসরায়েলের কেন্দ্রীয় শহর লক্ষ্য করে তিনটি ড্রোন ছোড়া হয়েছিল। এর মধ্যে দুটি ড্রোন ধ্বংস করা হয়েছে। তবে একটি ড্রোন সিজারিয়ার একটি ভবনে আঘাত হেনেছে।

এ ঘটনায় হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি বলে জানিয়েছে আইডিএফ। বিশদ কোনো বিবরণও তারা প্রকাশ করেনি।

আইডিএফ বলছে, তারা ঘটনাটি তদন্ত করছে।

ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমগুলো তেল আবিবের দক্ষিণে অবস্থিত সিজারিয়ায় যুদ্ধবিমান ও হেলিকপ্টার মোতায়েন করার খবর জানিয়েছে।




বায়তুল মোকাররমের নতুন খতিব মুফতি আব্দুল মালেকের বর্ণাঢ্য জীবন

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব নিযুক্ত হয়েছেন দেশের বরেণ্য আলেম ইসলামি আইন বিশেষজ্ঞ মুফতি আবদুল মালেক। হাদিসশাস্ত্রসহ বিভিন্ন বিষয়ে গবেষণামূলক লেখালেখির জন্য তিনি দেশের গন্ডি পেরিয়ে পুরো মসলিম বিশ্বে সুপরিচিত।

জন্ম ও পরিবার:

মুফতি আবদুল মালেক ১৯৬৯ সালের ২৯ আগস্ট কুমিল্লা জেলার লাকসাম উপজেলার সারাশপুরে জন্মগ্রহণ করেন। পাঁচ ভাইবোনের মধ্যে তিনি দ্বিতীয়। তার পিতা শামসুল হক একজন আলেম ছিলেন। তাঁর বড় ভাই মুফতি আবুল হাসান আব্দুল্লাহ দেশের উচ্চতর গবেষণামূলক প্রতিষ্ঠান মারকাযুদ দাওয়াহ আল ইসলামিয়ার পরিচালক।

প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা:

মুফতি আব্দুল মালেক নিজের পরিবারে কুরআন ও প্রাথমিক শিক্ষা অর্জন করেন। তারপর তিনি চাঁদপুরের খিড়িহারা কওমি মাদ্রাসায় মিশকাত জামাত পর্যন্ত অধ্যয়ন করেন।

উচ্চতর শিক্ষা:

১৯৮৮ সালে তিনি পাকিস্তানের জামিয়া উলুমুল ইসলামিয়ায় দাওরায়ে হাদিস সমাপ্ত করেন। এরপর তিনি এই মাদরাসার উচ্চতর হাদিস বিভাগে ভর্তি হয়ে তিন বছর আব্দুর রশীদ নোমানীর তত্ত্বাবধানে হাদিস অধ্যয়ন করেন। ১৯৯২ সালে তিনি দারুল উলুম করাচিতে ভর্তি হয়ে দুই বছর তাকি উসমানির তত্ত্বাবধানে উচ্চতর ফিকহ ও ফতোয়া অধ্যয়ন করেন।

১৯৯৫ সালে তিনি সৌদি আরব গমন করে আব্দুল ফাত্তাহ আবু গুদ্দাহর তত্ত্বাবধানে ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত প্রায় আড়াই বছর হাদিসশাস্ত্রসহ অন্যান্য গবেষণামূলক কাজের গবেষণা সহযোগী হিসেবে কাজ করেন।

বর্ণাঢ্য কর্মজীবন:

১৯৯৬ সালে তিনি সহ আরও কয়েকজন আলেম ঢাকায় উচ্চতর ইসলামি শিক্ষা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান মারকাযুদ দাওয়াহ আল ইসলামিয়া প্রতিষ্ঠা করেন। বর্তমানে তিনি এই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষাসচিব ও উচ্চতর হাদিস গবেষণা বিভাগের প্রধানের দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়াও তিনি জামিয়াতুল উলুম আল ইসলামিয়া ঢাকার শায়খুল হাদিস এবং ঢাকার শান্তিনগরের আজরুন কারিম জামে মসজিদের খতিবের দায়িত্ব পালন করছেন। কওমি মাদ্রাসার সরকারি স্বীকৃতি প্রদানের লক্ষ্যে ২০১২ সালে বাংলাদেশ কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা কমিশন গঠিত হলে তিনি এর সদস্য মনোনীত হন। ২০১৯ সালে তিনি ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের জাতীয় চাঁদ দেখা উপকমিটির প্রধান মনোনীত হন।

সাহিত্যকর্ম:

২০০৫ সালে তাঁর তত্ত্বাবধানে মারকাযুদ দাওয়াহ আল ইসলামিয়ার মুখপত্র হিসেবে ‘মাসিক আলকাউসার’ প্রকাশিত হয়। এ পত্রিকায় হাদিসশাস্ত্রের নবউদ্ভাবিত বিভ্রান্তির নিরসনমূলক রচনাসহ সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয়ে তার লেখা প্রকাশিত হয়।

প্রকাশিত গ্রন্থাবলি:

মুফতি আব্দুল মালেক বাংলা ও আরবি ভাষায় গুরুত্বপূর্ণ বেশ কয়েকটি গবেষণাধর্মী গ্রন্থ রচনা করেছেন। তন্মধ্যে উল্লখযোগ্য হলো:

★ আল মাদখাল ইলা উলুমিল হাদিসিশ শরিফ (আরবি: المدخل إلى علوم الحديث الشريف)

★উম্মাহর ঐক্য পথ ও পন্থা (আরবি: وحدة الأمة واتباع السنة)

★আল ওয়াজিজ ফি শাইয়ি মিন মুসত্বলাহিল হাদিসিশ শরিফ (আরবি: الوجيز في شيء من مصطلح الحديث الشريف)

★মুহাদিরাত ফি উলুমুল হাদিস (আরবি: محاضرات في علوم الحديث)

★ ইনায়াতুর রহমান ফি আদাদি আয় আল কুরআন (আরবি: عنايات الرحمن في عدد آي القرآن)

★ তাসাওউফ তত্ত্ব ও বিশ্লেষণ (আরবি: التصوف بين عرض ونقد)

★ তালিবানে ইলম পথ ও পাথেয় (আরবি: زاد طلاب علم النبوة)

★ ঈমান সবার আগে (আরবি: الإيمان هو ا الأول)

★ প্রচলিত ভুল (আরবি: الأغلاط الشائعة)

★ তাওতিদ আল উখওয়াত আল ঈমানিয়াত বায়নাল মুসলিমিন আজদার বিআলমুহাওলাত মিন তাওহিদ আল আহলাত ওয়াল আয়াদ (আরবি: توطيد الأخوة الإيمانية بين المسلمين أجدر بالمحاولة من توحيد الأهلة والأعياد)

★ নির্বাচিত প্রবন্ধ (আরবি: مجموع البحوث والمقالات)

★ তাবলীগ জামাত: বর্তমান পরিস্থিতি ও উত্তরণের উপায় (আরবি: جماعة التبليغ : الأزمة الراهنة وطريق التقصي عنها)

সম্পাদিত গ্রন্থাবলি:

★ আররুয়াত আসসিকাত আল মুতাকাল্লিম ফিয়হিম বিমা লা ইউজিবু রাদাহুম (আরবি: الرواة الثقات المتكلم فيهم بما لا يوجب ردهم)

★ এসব হাদিস নয় (আরবি: ليس بحديث)[১১]
মাযহাব কী ও কেন? (আরবি: منزلة التقليد في الشريعة الإسلامية)

★ নবীজির নামাজ (আরবি: صلاة النبي)
হাদিসের আলো (আরবি: من صحاح الأحاديث القصار للناشئة الصغار)

★ তাওযীহুল কুরআন (আরবি: تفسير توضيح القرآن)

★ তাকসিম আল আখবার ওয়াদালালাতুহা ইনদাস সাআদাতাল হানাফিয়াহ (আরবি: تقسيم الأخبار ودلالتها عند السادة الحنفية)

★ কিতাবুল জিহাদ (আরবি: كتاب الجهاد)

★ ফজলুল বারী শরহে সহীহ বুখারী (আরবি: فضل الباري شرح صحيح البخاري)

★ ইঞ্জিল ও প্রচলিত ইঞ্জিল একটি পর্যালোচনা (আরবি: كفاية المغتذي في شرح جامع الترمذي)