গাইবান্ধায় এইচপিভি টিকা নিয়ে ১৬ ছাত্রী অসুস্থ

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে কিশোরীদের হিউম্যান পেপিলোমা ভাইরাস (এইচপিভি) টিকা দেওয়ার পর একটি বিদ্যালয়ের ১৬ জন ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়ে। অক্টোবর বুধবার দুপুরে তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। অসুস্থ হয়ে পড়া সবাই উপজেলার হরিরামপুর ইউনিয়নের বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ডা. নুরুল হক প্রি-ক্যাডেট স্কুলের ছাত্রী।

তবে চিকিৎসক বলেন, টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় নয়, তারা ভয়ে অসুস্থ হয়েছে।

দুপুরে ওই বিদ্যালয়ে এইচপিভি টিকা দেওয়া হচ্ছিল। হাসপাতালের দায়িত্বরত চিকিৎসক ছাত্রীদের টিকা দেন। দুপুর দেড়টার দিকে কয়েকজন ছাত্রী টিকা নেওয়ার পর শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন ধরনের অসুস্থতা বোধ করে। একে একে ১৬ জন ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়লে তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

অসুস্থ ছাত্রীরা জানায়, টিকা নেওয়ার পরই তাদের পেট ব্যথা, শ্বাসকষ্টসহ নানা উপসর্গ দেখা দেয়।

এ ব্যাপারে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. জায়েদ জামান জিতি বলেন, ছাত্রীরা ভয় ও আতঙ্কে অসুস্থ হয়েছে। বড় কোনো সমস্যা নেই। টিকা নেওয়ার কারণে তাদের কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়নি।




গরু চোর সন্দেহে ৩ জনকে পিটিয়ে হত্যা

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

নড়াইলে গরু চোর সন্দেহে তিনজনকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। বুধবার ভোরে নড়াইল-ঢাকা-বেনাপোল মহাসড়কের তুলারামপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

এলাকাবাসী জানায়, তুলারামপুর এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে গরু চুরির ঘটনা ঘটছে। এরই ধারাবাহিকতায় ভোরে তুলারামপুর এলাকার তরফদার বখতিয়ার হোসেন হান্নানের বাড়িতে তিনজন গরু চুরি করতে যায়। কুকুরের ঘেউ ঘেউ আওয়াজে বাড়ির মালিক বিষয়টি টের পেয়ে চিৎকার করেন। তাদের চিৎকারে গ্রামবাসী চোরদের ধাওয়া করে গণপিটুনি দিলে তিনজন নিহত হয়। তাদের কাছে থাকা মোবাইল ফোনে কথা বলে গ্রামের লোকজন জানতে পারেন- এদের মধ্যে দুজনের বাড়ি বগুড়া জেলার শিবগঞ্জে।

সদর থানার ওসি সাজেদুল ইসলাম বলেন, লাশ উদ্ধার করে আইনগত প্রক্রিয়া গ্রহণ করা হচ্ছে। তাদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা চলছে। তিনজনের মধ্যে দুজনের পরিচয় প্রাথমিকভাবে জানা গেলেও আরেকজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি।




নরসিংদীর শীর্ষস্থানীয় আলেম হাফেজ মাওলানা আহমদ আলীর ইন্তেকাল

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

নরসিংদী জেলার শীর্ষস্থানীয় আলেমেদ্বীন, জামিয়া ইসলামিয়া দারুল উলুম গনেরগাঁও শাহী ঈদগাহ কমপ্লেক্সে মাদরাসার শায়খুল হাদিস ও মুহতামিম হাফেজ মাওলানা আহমদ আলী ইন্তেকাল করেছেন।

ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। মরহুমের জামাতা মুফতি সাকিবুল ইসলাম কাসেমী আওয়ার ইসলামকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, আজ মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) দুপুর সোয়া দুইটার দিকে তিনি রাজধানীর জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৬৫ বছর।
এর আগে গতরাত থেকে তিনি বুকে ব্যথা অনুভব করলে আজ ভোরে তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।’

তিনি জানান, আজ রাত ১০টায় হাফেজ মাওলানা আহমদ আলী রহ. -এর নিজ হাতে সাজানো ইলমি বাগান জামিয়া ইসলামিয়া দারুল উলুম গনেরগাঁও শাহী ঈদগাহ কমপ্লেক্স ময়দানেই প্রবীণ এই আলেমের জানাযার নামাজ অনুষ্ঠিত হবে। জানাযার নামাজে ইমামতি করবেন তার একমাত্র সাহেবজাদা হাফেজ নেয়ামতুল্লাহ। এরপর মরহুমের অসিয়ত অনুযায়ী গনেরগাঁও শাহী ঈদগাহ কমপ্লেক্স কবরস্থানে তাকে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হবে।
হাফেজ মাওলানা আহমদ আলী রহ. মৃত্যুকালে এক ছেলে, তিন মেয়ে, অসংখ্য শাগরেদ ও গুণমুগ্ধ রেখে গেছেন। তার মৃত্যুতে নরসিংদীর আলেম সমাজ ও দ্বীন দরদি মানুষের মাঝে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

নরসিংদী জেলার সর্বজন শ্রদ্ধেয় এ আলেমেদ্বীন ছিলেন দ্বীনি আন্দোলন-সংগ্রাম ও বুদ্ধিবৃত্তিক পদক্ষেপের অগ্রনায়ক। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নরসিংদী জেলা শাখার সাবেক সহ-সভাপতি তিনি।

তার গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগরে হলেও জীবনের প্রায় পুরোটা সময় তিনি কাটিয়েছেন নরসিংদীতে। নরসিংদী জেলার আঞ্চলিক শিক্ষাবোর্ড তানযিমুল মাদারিসিল কওমিয়ার সহসভাপতির দায়িত্বেও ছিলেন তিনি।

এছাড়া তিনি নবীনগর ওলামা পরিষদের সভাপতি, নরসিংদীর মনোহরদীর প্রাচীনতম শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আল-জামিয়াতুল ইসলামিয়া আশরাফুল উলুম বড় মির্জাপুর মাদরাসার শায়খুল হাদিসের দায়িত্ব পালনসহ বিভিন্ন দ্বীনি প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।

তিনি নরসিংদীর ঐতিহ্যবাহী দ্বীনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জামিয়া ইসলামিয়া দারুল উলুম সাহেপ্রতাপ ও রেইছা আজীজিয়া কারীমিয়া কওমিয়া মাদরাসা নবাববাড়ীরও প্রিন্সিপাল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন এক সময়।
তার মৃত্যুতে নরসিংদী জেলার ইলমি অঙ্গনে অপূরণীয় এক শূন্যতা তৈরি হলো।




দুর্গাপুরে চালু হলো ‘কৃষকের বাজার’ পণ্য কিনে হাসিমুখে ফিরছে ক্রেতা

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সহযোগিতায় নেত্রকোনার দুর্গাপুরে চালু হয়েছে কৃষকের বাজার। মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) সকালে পৌর শহরের কাঁচা বাজারে এই কৃষক বাজারের উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. নাভিদ রেজওয়ানুল কবীর।

উদ্বোধনকালে ইউএনও মো. নাভিদ রেজওয়ানুল কবীর বলেন, বর্তমান সময়ে বাজারে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি বিরাজ করছে। যার কারণে নি¤œ আয়ের মানুষের কষ্ট পোহাতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত। এই অবস্থায় বাজারে যে সিন্ডিকেট রয়েছে তা নিয়ন্ত্রণ করতে এবং সাধারন মানুষের কষ্ট লাঘব করার জন্য আমরা কৃষকের বাজার চালু করেছি। এখন আমরা কৃষকদের আহবান জানাবো যেন তারা এখান থেকেই বিক্রি করেন এবং ক্রেতারা কেনেন। পাশাপাশি যেন কোনো সিন্ডিকেট না হয় সেদিকে লক্ষ্যে রাখতে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা মনিটরিং করবে। আমরা পর্যায়ক্রমে এটি আরো ব্যাপক আকারে করার চেষ্টা করেছি।

স্থানীয় কৃষক রুবেল মিয়া বলেন, আমাদের উৎপাদিত পণ্য আমরা সরাসরি ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করতে পারছি এতেই আমরা খুশি। যারা কিনতে আসছেন তাঁরাও অনেক খুশি।

পণ্য কিনতে আসা রহিমা বেগম বলেন, বর্তমান বাজারে সবকিছুর যে দাম, তা কেনার ক্ষমতা আমাদের মতো মধ্যবিত্তদের অনেকেরই সামর্থ্য নেই। উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে এই কৃষক বাজার থেকে ন্যায্যমূল্যে কিনতে পেরে খুবই খুশি।

উপজেলা প্রশাসনের এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে সুরুজ আলী, আব্দুল খালেক ও আবুল হাশেম বলেন, দ্রব্যমূল্যের যে ঊর্ধ্বগতি তাতে আমাদের বাজারে এসে আর বেশি কিছু ক্ষমতা নেই। যা আয় হয় তা দিয়ে সংসার চালানো খুবই কষ্টকর। আজকে উপজেলা প্রশাসন এমন একটি উদ্যোগ নেওয়ায় আমরা খুবই আনন্দিত।

এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষি অফিসার নীপা বিশ্বাস, উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মাসুল তালুকদার, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বজলুর রহমান আনছারী, একাডেমিক সুপারভাইজার মুহাম্মদ নাসির উদ্দিন, উপ-সহকারি কৃষি অফিসার আনিসুর রহমান, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থী রাতুল খান রুদ্র, শেখ সাব্বির, রেদোয়ান প্রমুখ।




সংবিধানের দোহাই দিয়ে ফ্যাসিবাদকে প্রতিষ্ঠার কোন সুযোগ নেই: চরমোনাই পীর

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই বলেছেন, সংবিধান মানুষের জন্যে। সংবিধানের জন্য মানুষ নয়। যে সংবিধান মানুষের জন্য কল্যাণকর নয়, এমন সংবিধান হতে পারে না। বিগত ফ্যাসিবাদী সরকার নিজেদের স্বার্থে সংবিধানকে বার বার সংশোধন করেছে। এখন সংবিধান সংশোধন করলে অসুবিধা কোথায়? কাজেই সংবিধানের দোহাই দিয়ে ফ্যাসিবাদকে প্রতিষ্ঠার কোন সুযোগ নেই।

ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার উদ্যোগে চিটাগাংরোডস্থ গ্রীণ গার্ডেন মিলনায়তনে শায়েখ (রহ.) এর রাজনৈতিক দর্শন শীর্ষক আলোচনা সভা ও ইউনিয়ন প্রতিনিধি সম্মেলনে পীর সাহেব চরমোনাই এসব কথা বলেন।

সংগঠনের নারায়ণগঞ্জ জেলা সভাপতি মুহাম্মাদ জোবায়ের আহমদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আবদুর রশীদের সঞ্চালনায় সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর শরীয়াহ উপদেষ্টা মুফতি ওমর ফারুক সন্দীপী, মুফতী বদরুল আলম সিলেটী। প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন, ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ এর সেক্রেটারি জেনারেল মুফতী মানসুর আহমদ সাকী। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি মাওলানা দ্বীন ইসলাম, সহ সভাপতি মাওলানা শফিকুল ইসলাম, সেক্রেটারী মুহাম্মাদ জাহাঙ্গীর আলম,নারায়ণগঞ্জ মহানগরীর সেক্রেটারী সুলতান মাহমুদ। এছাড়াও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও সহযোগী সংগঠনসমূহের জেলা ও থানা নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।

পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, বিগত ১৬ বছরে ফ্যাসিস্ট সরকারকে দেশকে সবদিক থেকে ধ্বংস করে দিয়েছে। অর্থনৈতিকভাবে দেশকে পঙ্গু করে দিয়েছে। দেশের টাকা বিদেশে পাচার করার ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। তিনি পাচারকৃত টাকা ফেরত এনে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমার করার দাবি জানান। সেইসাথে পাচারকারীদেরকেও গ্রেফতার এবং সন্ত্রাস, দুর্নীতিবাজ এবং পেশীশক্তিকে নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণার দাবি জানিয়ে এ প্রসঙ্গে আইন পাশ করার আহ্বান জানান।

ইসলামী আন্দোলনের আমীর বলেন, ফজলুল করীম রহ. রাজনীতিতে আদর্শিক ও গুণগত পরিবর্তনে কাজ করে এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গেছেন। তিনি ইবাদতের রাজনীতির দর্শন প্রতিষ্ঠা করে গেছেন। তাঁর চিন্তা চেতনা জগৎবাসীর জন্যে এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত থাকবে। জাতি তাকে আজীবন স্মরণ রাখবে।

তিনি জাতীয় সরকার প্রতিষ্ঠায় পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন দেওয়ার দাবি জানিয়ে বলেন, সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতির নির্বাচনেই কেবল জাতীয় সরকার প্রতিষ্ঠা সম্ভব। এছাড়া ফলপ্রসূ জাতীয় সরকার সম্ভব নয়। আর জাতীয় সরকার ছাড়া দেশকে ছাত্র-জনতার আগামীর বাংলা প্রতিষ্ঠা করা যাবে না। দুর্নীতিবা ও চাঁদাবাজদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে যাতে ভবিষ্যতে কেউ দূর্নীতি করার সাহস না পায়। গণহত্যার সাথে জড়িতদের কঠোর শাস্তির বিধান পাশ করতে হবে।




ইসরাইলি আগ্রাসী হামলার বিরুদ্ধে ইরানের সুন্নি আলেম সমাজের তীব্র নিন্দা

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

ইরানের বিরুদ্ধে ইহুদিবাদী ইসরাইলের সাম্প্রতিক আগ্রাসী হামলার নিন্দা জানিয়েছেন এদেশের সুন্নি আলেম সমাজ। তারা বলেছেন, পশ্চিম এশিয়ায় ইসরাইলি ঔদ্ধত্বের পেছনে আমেরিকার পৃষ্ঠপোষকতা মূল কারণ হিসেবে কাজ করছে।

যেকোনো হঠকারিতার ব্যাপারে অবৈধ ও অপরাধী ইসরাইল সরকারের বিরুদ্ধে ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের হুঁশিয়ারি সত্ত্বেও ইহুদিবাদী সরকার ২৬ অক্টোবর শনিবার ভোররাতে উত্তেজনা বাড়িয়ে দিয়ে ইরানের তেহরান, খুজিস্তান ও ইলাম প্রদেশের কয়েকটি সামরিক স্থাপনায় হামলা চালায়। ইরানের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ইসরাইলের বেশিরভাগ ক্ষেপণাস্ত্র আকাশেই ধ্বংস করে দেয়।

পার্সটুডের রিপোর্ট অনুসারে, ইহুদিবাদী ইসরাইলের এই আগ্রাসী হামলার বিরুদ্ধে ইরানের নানা অঙ্গনের বিশিষ্টজনরা বিশেষ করে সুন্নি আলেম সমাজ নিন্দা জানিয়েছেন:

ইরানের কুর্দি অধ্যুষিত সানান্দাজ শহরের জুমার নামাজের ইমাম ওস্তাদ ফায়েক রুস্তামি এ সম্পর্কে বলেন: ইরান পশ্চিম এশিয়া অঞ্চলের অন্যতম বৃহৎ শক্তি এবং বিশ্ববাসী ইরানের সামরিক শক্তিমত্তা সম্পর্কে সম্পূর্ণ ওয়াকিবহাল রয়েছে। ইরানে আগ্রাসন চালিয়ে ইসরাইল বাঘের লেজে পা দিয়েছে এবং নিঃসন্দেহে তাকে এজন্য চড়া মূল্য দিতে হবে।

ওস্তাদ রুস্তামি আরো বলেন, ইরানের ইসলামি বিপ্লবের ইতিহাস প্রমাণ করে যে, যেখানেই ইরানের ভূমিতে আগ্রাসন চালানো হয়েছে সেখানেই আগ্রাসী শক্তিকে দাঁতভাঙা জবাব দেয়া হয়েছে। ইহুদিবাদী ইসরাইলকে এখন ইরানের দাঁতভাঙা জবাবের অপেক্ষায় থাকতে হবে।

ইরানের অপর প্রখ্যাত সুন্নি আলেম ও দেহগালান শহরের জুমার নামাজের ইমাম ওস্তাদ আব্দুস সালাম মোহাম্মাদি তার প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন: ফিলিস্তিন, গাজা ও লেবানন বর্তমান সময়ে মুসলিম বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু। গাজা ও লেবাননে বর্তমানে গণহত্যা ও জাতিগত শুদ্ধি অভিযান চলছে যা ইহুদিবাদী সরকারের বর্বরতা, নিষ্ঠুরতা ও কুকর্মের বাস্তব উদাহরণ।

দেহগালান শহরের জুমার নামাজের ইমাম বলেন, ইহুদিবাদী ইসরাইল নিজের সম্ভাব্য পতনের খবর জানে এবং অচিরেই তার অনিবার্য ধ্বংস সম্পর্কে অবগত রয়েছে। তিনি বলেন, ইহুদিবাদী ইসরাইলের জেনে রাখা উচিত যে, ইরানের জনগণ, প্রতিরোধ অক্ষ, আলেম সমাজ ও মুসলিম চিন্তাবিদরা ইসলাম, বিপ্লব ও ফিলিস্তিনি জাতির আশা-আকাঙ্ক্ষা রক্ষায় বদ্ধপরিকর এবং তারা কোনো অবস্থায় ইরানের ভূমিতে কাউকে আগ্রাসন চালাতে দেবেন না।

এদিকে ইরানের কেরমানশাহ শহরের সুন্নি আলেম ও জুমার নামাজের ইমাম ওস্তাদ আব্দুর রহমান মোরাদি পশ্চিম এশিয়া অঞ্চলে ইসরাইলি ঔদ্ধত্বের কারণ হিসেবে আমেরিকার পৃষ্ঠপোষকতাকে দায়ী করে বলেন, ইহুদিবাদী ইসরাইলকে এই আগ্রাসী হামলার জন্য মূল্য দিতে হবে।

ইরানের আরেক সুন্নি আলেম ও রাওয়ানসার শহরের জুমার নামাজের ইমাম মোহাম্মাদ মাহমুদিও ইরানের বিরুদ্ধে ইহুদিবাদী ইসরাইলের সাম্প্রতিক হামলার তীব্র নিন্দা জানান এবং বলেন: অপরাধী ইসরাইল সরকার ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে জাতিগত শুদ্ধি অভিযান চালিয়ে অনেক আগেই নিজের পাশবিক সত্ত্বাকে বিশ্ববাসীর সামনে উন্মোচনা করে দিয়েছে। এবার সে ইরানের কয়েকটি সামরিক স্থাপনায় হামলা চালিয়ে প্রমাণ করেছে, ইসরাইল অপরাধযজ্ঞ ছাড়া আর কিছু চেনে না এবং আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি তার বিন্দুমাত্র শ্রদ্ধা নেই।#

– পার্সটুডে




হিজবুল্লাহর হামলায় ইসরায়েলের চার সেনা নিহত

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

লেবাননে শক্তিশালী সশস্ত্র মুক্তিকামী সংগঠন হিজবুল্লাহ’র হামলায় সন্ত্রাসী ইসরায়েলের আরও চার সেনা নিহত এবং অন্তত ১৪ জন আহত হয়েছেন। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী রবিবার এই তথ্য জানিয়েছে।

শনিবার সন্ধ্যায় লেবাননের একটি গ্রামে অবস্থান করার সময় এই সন্ত্রাসীরা হিজবুল্লাহর হামলার শিকার হন।

ইসরায়েলি সন্ত্রাস বাহিনী জানায়, নিহত সেনারা সবাই একই ব্রিগেডের সদস্য ছিলেন। তাদের মধ্যে একজন প্লাটুন কমান্ডার, একজন উপকমান্ডার, একজন সামরিক রাব্বি এবং একজন সাধারণ সেনা রয়েছেন। আহত ১৪ জনের মধ্যে পাঁচজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় আশঙ্কা করা হচ্ছে নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

টাইমস অব ইসরায়েলের বরাতে জানা যায়, এই হামলায় হিজবুল্লাহর তিন সদস্যও প্রাণ হারিয়েছেন। গত ২৬ সেপ্টেম্বর ইসরায়েল লেবাননে অবৈধ স্থল অভিযান শুরু করে।

ইমরাইলের এ সন্ত্রাসী অভিযানে হিজবুল্লাহ’র মুক্তিকামী যোদ্ধারা ইসরায়েলি বাহিনীর ওপর পাল্টা জবাব দেয়।

উল্লেখ্য, ০১ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত লেবাননে হিজবুল্লাহর প্রতিরোধে ইসরায়েলের ৩১ সন্ত্রাসী সেনা নিহত হয়েছে। সীমান্ত এলাকায় আক্রমণ ও প্রতিরোধের পাশাপাশি হিজবুল্লাহ যোদ্ধারা ইসরায়েলের অবৈধ বসতিগুলোকেও লক্ষ্য করে ড্রোন ও রকেট হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।

আজ রোববারও সীমান্তে হিজবুল্লাহর ড্রোন ও রকেট ছোড়ার খবর পাওয়া গেছে।




পশ্চিম এশিয়ায় সংঘাত বেড়ে যাওয়ায় জাতিসংঘ মহাসচিবের উদ্বেগ প্রকাশ

ডিএনিব নিউজ ডেস্ক :

পশ্চিম এশিয়া অঞ্চলে সংঘাত বেড়ে যাওয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস। তিনি একটি ‘পূর্ণমাত্রার যুদ্ধ প্রতিহত করতে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা’ চালানোরও আহ্বান জানিয়েছেন।

ইহুদিবাদী ইসরাইল শনিবার ভোররাতে ইরানের তিন প্রদেশের সামরিক স্থাপনাগুলোতে আগ্রাসী হামলা চালানোর পর গুতেরেস এ উদ্বেগ প্রকাশ করলেন।

জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টেফান ডুজারিচ এক বিবৃতিতে একথা জানান। তিনি বলেন, গুতেরেস সকল পক্ষকে সব ধরনের সামরিক তৎপরতা বিশেষ করে গাজা ও লেবাননে সামরিক তৎপরতা বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন।

জাতিসংঘ মহাসচিব সংঘাত-সংঘর্ষ এড়িয়ে কূটনৈতিক উপায়ে সংকট সমাধানের আহ্বান জানান।

ইরানের তেহরান, খুজিস্তান ও ইলাম প্রদেশের সামরিক স্থাপনাগুলোতে ইহুদিবাদী ইসরাইল হামলা চালিয়েছে বলে ইরানের সশস্ত্র বাহিনী নিশ্চিত করার পর গুতেরেসে উদ্বেগ প্রকাশের খবর পাওয়া গেল। ইসরাইলি হামলায় ব্যবহৃত ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর বেশিরভাগ আকাশে ভূপাতিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ইরানের সশস্ত্র বাহিনী। এই বাহিনী বলেছে, ইসরাইলি আগ্রাসনে চার ইরানি সৈন্য শহীদ হয়েছেন।#

# পার্সটুডে




‘প্রতিটি হত্যার ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে হবে’

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

বিডিআর বিদ্রোহ থেকে শুরু করে জুলাই বিপ্লব পর্যন্ত সংগঠিত প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে হবে বলে দাবি করেছেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক।

শনিবার সকালে চৌমুহনী রেলওয়ে ময়দানে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস নোয়াখালী জেলা উত্তর আয়োজিত গণসমাবেশে তিনি এ দাবি জানান।

মামুনুল হক বলেন, বিজয় অর্জন করা যতটা সহজ, স্বাধীনতা রক্ষা করা ততটাই কঠিন- আমাদের সবাইকে সজাগ এবং সোচ্চার থাকতে হবে।

তিনি বলেন, ক্রীতদাসী ও সেবাদাসী হিসেবে বাংলাদেশে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা রাখার জন্য ভারতের ১৫ বছরের বাংলাদেশ নীতিকে আমরা ধিক্কার জানাই।

নোয়াখালী জেলা উত্তর সভাপতি মাওলানা মো. সালাহ উদ্দিনের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন নায়েবে আমির মাওলানা ইউসুফ, খুরশিদ আলম কাসেমীসহ কেন্দ্রীয় ও জেলা নেতৃবৃন্দ।




দুর্গাপুরে বসতবাড়ি দখলের অভিযোগ, হাসপাতালে ২

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

নেত্রকোনার দুর্গাপুরে মারধর ও লুটপাট করে বসতবাড়ি দখলের অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষ মো. শাহজাহান ও তারই ভাই সম্রাট মিয়ার বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে দুর্গাপুর পৌর শহরের মধ্যে বাজার সোমেশ^রী নদীর পাড় এলাকায়। শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) সকালে দুর্গাপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ তুলেছেন ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা।

সংবাদ সম্মেলনে মো. উছমান আলী জানান, পৌর শহরের মধ্যবাজার নদীর পাড় এলাকায় বিগত ১৬-১৭ বছর ধরে বসবাস করে আসছেন কিন্তু তাদের বসতবাড়ি দখলের জন্য শত্রুতা করে আসছিলেন অভিযুক্তরা। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গত বুধবার ১০-১৫ জন সংঘবদ্ধ হয়ে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমাদের বসতবাড়ি দখলের জন্য অতর্কিত মারধর শুরু করে।

জোরপূর্বক আমাদের বসত বাড়িতে প্রবেশ করে ঘরের মালামাল লুটপাট করে নিয়ে যায় এবং বাসার অন্যান্য ভাড়াটিয়াদের বাহির করে দেয়।

তিনি আরো বলেন, তাদের মারপিটে আমরা আহত হলে এলাকাবাসী আমাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কয়েকজন কে চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেয় এবং আমার ছেলে, ভাতিজা ও আমার শ্যালক কে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এমতাবস্থায় বাসা বাড়ি উদ্ধার সহ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য সরকারের বিভিন্ন মহলে আকুতি জানান তারা। এ সময় ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যদের মধ্যে, আব্দুর রশীদ, আব্দুল লিটন, রনি হোসেন, মনির হোসেন, জনি হোসেন উপস্থিত ছিলেন।