আগামীকালকের রাজধানীর মহাসমাবেশ সফল করার আহ্বান বৃহত্তর উত্তরা ওলামা পরিষদের

dnbnews desk:

আগামীকাল ৫ নভেম্বর রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দেশের শীর্ষস্থানীয় ওলামা-মাশায়েখের উদ্যোগে তাবলীগ,কওমি মাদরাসা এবং দ্বীন রক্ষার লক্ষ্যে অনুষ্ঠিতব্য ইসলামী মহাসম্মেলন সফল করার আহ্বান জানিয়েছেন বৃহত্তর উত্তরার সাত থানার আলেমদের সম্মিলিত প্লাটফর্ম বৃহত্তর উত্তরা ওলামা পরিষদ।

সোমবার (৪ নভেম্বর) সকালে উত্তরা বাইতুল মুমিন মাদরাসা মিলনায়তনে বৃহত্তর ওলামা পরিষদ-এর এক মতবিনিময় সভায় এ আহ্বান জানান তারা।
বক্তারা বলেন, দাওয়াত ও তাবলীগের শান্তিপূর্ণ কাজে বিশৃংখলা তৈরির জন্য মাওলানা সাদ সাহেবের অনুসারীরা তাকে ইজতেমায় আনা এবং প্রথম পর্বে ইজতেমা করার পায়তারা করছে।

এসব বিষয় সামনে রেখে দেশের নতুন পরিস্থিতিতে দাওয়াত ও তাবলিগের মেহনত, কওমি মাদরাসাগুলোর হেফাজত ও দ্বীনি জিম্মাদারী আরো সুচারুরূপে রক্ষণাবেক্ষণের লক্ষ্যে দেশের শীর্ষস্থানীয় ওলামা-মাশায়েখদের আহ্বানে আগামীকাল ৫ নভেম্বর সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত হবে ঐতিহাসিক এক ইসলামী মহাসম্মেলন।

তারা বলেন, মঙ্গলবারের ইসলামী মহাসম্মেলন সফল করার মধ্য দিয়ে আমাদের ঐক্যবদ্ধ জোরালো অবস্থান ও সিদ্ধান্তের জানান দিতে হবে। সাংবিধানিকভাবে ধর্মীয় শিক্ষা গ্রহণের স্বাধীনতা সকল নাগরিকের রয়েছে। এখানে অযাচিত হস্তক্ষেপ করতে কাউকে সুযোগ দেওয়া হবে না। আমাদের সামনে বৃহৎ প্রতিবেশী হিন্দু অধ্যুষিত ভারতের কওমি মাদ্রাসা পরিচালনা পদ্ধতির নজির রয়েছে।

মহাসম্মেলনে দেশের শীর্ষস্থানীয় আলেমগণ উপস্থিত থেকে ধর্মপ্রাণ সবাইকে সুচিন্তিত দিক-নির্দেশনা দেবেন বলেও জানান তারা।




পিলখানা হত্যাকাণ্ডের পুনঃতদন্ত হবেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

dnb news desk :

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (ফাইল ফটো)

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, পিলখানা হত্যাকাণ্ডের অবশ্যই পুনঃতদন্ত হবে। তবে এ হত্যাকাণ্ড তদন্তে কমিশন গঠন করা হবে কিনা- তা এখনই বলা যাচ্ছে না।

সোমবার (০৪ নভেম্বর) বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদর দপ্তর পরিদর্শন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে সারা দেশে বিজিবির সার্বিক কর্মকাণ্ডের ভূয়সী প্রশংসা করে সীমান্তে বিজিবিকে কঠোর হওয়ার নির্দেশ দেন তিনি।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেছেন, সীমান্তে কোনো শিথিলতা দেখানো যাবে না। সীমান্তে সর্বোচ্চ সতর্কতা ও নজরদারি বজায় রাখতে হবে। জাতীয় স্বার্থ বজায় রেখে চোরাচালান প্রতিরোধে কঠোর অবস্থান নিতে হবে।

তিনি বলেন, বিজিবিকে তাদের আইন ও ম্যান্ডেট অনুযায়ী কাজ করতে হবে। তাদের পারফরম্যান্স আগের চেয়ে ভালো হয়েছে। সে জন্য সাধারণ জনগণ বিজিবির কর্মকাণ্ডে খুশি।

আজ সকাল ৯টায় পিলখানায় সীমান্ত সম্মেলন কেন্দ্রে বিজিবি সদর দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, অন্যান্য পদবীর কর্মকর্তা, জুনিয়র কর্মকর্তা এবং সকল পর্যায়ের বিজিবি সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। এ সময় বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী উপস্থিত ছিলেন।

২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকার পিলখানায় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদরদপ্তরে বিদ্রোহের ঘটনায় ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হন। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আলোড়ন তোলে ওই ঘটনা।

সেই বিদ্রোহের পর সীমান্ত রক্ষা বাহিনী বিডিআরের নাম বদলে যায়, পরিবর্তন আসে পোশাকেও। এ বাহিনীর নাম এখন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বা বিজিবি।




হাইফা বন্দরের সামরিক ঘাঁটিতে ড্রোন হামলা চালালো হিজবুল্লাহ

ডিএনবি নিউজ আন্তঃ ডেস্ক:

ইহুদিবাদী ইসরাইলের হাইফা নগরীর একটি সামরিক ঘাঁটিতে ড্রোন দিয়ে হামলা চালিয়েছে লেবাননের ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন হিজবুল্লাহর যোদ্ধারা।

সংগঠনটি গতকাল (রোববার) শেষ বেলায় এক বিবৃতিতে বলেছে, হাইফা বন্দরের এলিয়াকিম প্রশিক্ষণ ঘাঁটিতে এক স্কোয়াড্রন ড্রোন দিয়ে হামলা চালানো হয়েছে।

বিবৃতিতে পরিষ্কার করে বলা হয়েছে, ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার দৃঢ়প্রতিজ্ঞ জনগণ এবং তাদের সম্মানিত ও সাহসী প্রতিরোধের প্রতি সমর্থনের অংশ হিসেবে ইসরাইলি ঘাঁটিতে এই হামলা চালানো হয়। এর পাশাপাশি লেবাননের জনগণের প্রতিরক্ষা নিশ্চিত করাও এই অভিযানের অন্যতম লক্ষ্য।

বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, হিজবুল্লাহ যোদ্ধারা শহীদ হাসান নাসরুল্লাহর সেবায় নিয়োজিত রয়েছে এবং তারা ইসরাইল-বিরোধী সংগ্রামের অংশ হিসেবে এলিয়াকিম ঘাঁটিতে নিখুঁতভাবে ড্রোন দিয়ে হামলা চালিয়েছে।

হাইফা বন্দর নগরীতে ড্রোন হামলার পাশাপাশি ইসরাইলের উত্তরাঞ্চলীয় মেতুলা ইহুদি বসতিতে গাইডেড মিসাইল দিয়ে হামলা চালানো হয়েছে। এতে ইহুদিবাদী ইসরাইলিদের মধ্যে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া, অধিকৃত নেতানেয়া শহরের বেইত লিদ সামরিক ঘাঁটি এবং ইসরাইলের পশ্চিমাঞ্চলীয় ব্রিগেড কমান্ডের সদর দপ্তরেও গতকাল হিজবুল্লাহ যোদ্ধারা হামলা চালিয়েছে।#

# পার্সটুডে




পুত্রসহ সাবেক সচিব আটক, কোটি টাকাসহ ১১ আইফোন জব্দ

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের সাবেক অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ আমজাদ হোসেন ও তার ছেলেকে আটক করেছে যৌথবাহিনী। এসময় তার বাসা থেকে নগদ এক কোটি সাড়ে নয় লাখ টাকা, বেশকিছু বিদেশী মুদ্রা, ১১টি আইফোন ও ব্র্যান্ডের মূল্যবান ঘড়ি জব্দ করা হয়। রবিবার রাতে যৌথবাহিনী উত্তরায় সাবেক সচিবের বাসায় অভিযান চালায়।

সোমবার সকালে উত্তরা পশ্চিম থানার ডিইউটি অফিসার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, মোহাম্মদ আমজাদ হোসেন ও তার ছেলে থানায় গ্রেফতার আছেন। রবিবার রাতে তাদের গ্রেফতার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে একটি মামলাও হয়েছে।

২০২০ সালে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব হিসেবে কর্মরত থাকা অবস্থায় অবসর নেন আমজাদ হোসেন খান। তার গ্রামের বাড়ি গাজীপুর সদরে।




দুর্গাপুরে সৌদি প্রবাসী ও যুবদলের সাবেক সভাপতিকে মারধর, প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার বাকলজোড়া ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সভাপতি ও ইউনিয়ন বিএনপি‘র সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৌদি প্রবাসী আবু সুফিয়ান সহ অন্যান্যদের ওপর ব্যাপক মারধরের অভিযোগ উঠেছে। রোববার দুপুরে ওই ইউনিয়নের বিএনপি নেতা মোঃ আলাল মিয়া গংদের বিরুদ্ধে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ অভিযোগ তুলে ধরেন আবু সুফিয়ান সহ অন্যান্য ভুক্তভুগিরা।

এ উপলক্ষে দুর্গাপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে অভিযোগ তুলে ধরে আবু সুয়িান বলেন, গত শনিবার (০২ নভেম্বর) বিকেলে কুমুদগঞ্জ বাজারে, বিএনপি’র ইউনিয়ন দলীয় কার্যালয়ে আমাকে ডেকে নিয়ে ওই এলাকার মো. নুরুল ইসলামের ছেলে বিএনপি নেতা, মো. আলাল মিয়া, মো. জলিল মিয়া, মো. কাজল মিয়া সহ আরো ৬-৭ জন স্বার্থান্বেষী দলীয় নেতারা, আমাকে মেরে ফেলার উদ্দেশ্যে আমার ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। ওই আমার ডাক চিৎকারে আমার ভাই মাওঃ আবুল হোসাইন এবং ভাতিজা মনিরুজ্জামান বাবু এসে রক্তাক্ত অবস্থায় আমাকে উদ্ধার করে।

নেতারা, আমার আরেক ভাই সাবেক ইউপি সদস্য আবুল বাশার ও আরেক ভাতিজা হাফেজ নাঈম হোসেনকেও গুরুতর আহত করে। ওদের হাত থেকে বাঁচাতে আমার দুই ভাই এবং এক ভাতিজাকে স্থানীয়রা একটি দোকান ঘরে নিয়ে তালাবদ্ধ করে রাখে। পরবর্তিতে আমি গুরুতর অসুস্থ্য অবস্থায় দুর্গাপুর থানায় এবং স্থানীয় সেনাক্যাম্পে বিষয়টি জানাইলে সেনা সদস্যদের সহায়তায় ওই ঘর থেকে তাদের উদ্ধার করে স্থানীয়দের সহায়তায় উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে পাঠানো হয়।

তিনি আরো বলেন, দলীয় প্রভাব খাটিয়ে এলাকায় নিরব চাঁদাবাজি, জুয়ার বোর্ড, গাঁজা, ইয়াবা এমনকি রামনগর ঋষিপাড়ায় বাংলা মদ উৎপাদনের অনুমতি প্রদান করে। আমি এর প্রতিবাদ করতে গেলে আমার ওপর এই হামলা চালানো হয়। দীর্ঘ ২৩ বছর বিএনপি‘র রাজনীতি করে আজ বিএনপি‘র নেতাকর্মী দ্বারাই গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে আমরা হাসপাতালে চিকিৎধীন অবস্থায় আছি। এ বিষয়ে উপজেলার দলীয় নেতাদের কাছে জানিয়েছি।

আমি আমার ওপর এই অতর্কিত হামলার সুষ্ঠ বিচার দাবী করছি। সেইসাথে অত্র ইউনিয়নের যুব সমাজকে নেশার হাত থেকে রক্ষা, দলীয় প্রভাব বিস্তার না করা সহ এলাকায় নিরব চাঁদাবাজি বন্ধের দাবী জানাচ্ছি। এ সময় অন্যদের মধ্যে মাওঃ আবুল হোসাইন, আবুল বাশার, মনিরুজ্জামান বাবু, আবু ইউসুফ, নাঈম হোসাইন, আজিম উদ্দিন, আক্কাছ মিয়া, জালাল রনি সহ গ্রামবাসীরা উপস্থিত ছিলেন।




নতুন বাংলাদেশ গড়তে সাংবাদিকদের অবদান রাখতে হবে : পিআইবি মহাপরিচালক

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি) মহাপরিচালক ফারুক ওয়াসিফ গত শুক্রবার রাতে বগুড়া প্রেস ক্লাবে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেছেন। বগুড়া প্রেস ক্লাবের আহ্বায়ক ওয়াসিকুর রহমান বেচানের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম-আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদের পরিচালনায় এ সভায় বক্তব্য দেন, দৈনিক করতোয়ার সম্পাদক মোজাম্মেল হক লালু, প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি রেজাউল হাসান রানু, সাংবাদিক ইউনিয়ন

বগুড়া’র সভাপতি গনেশ দাস, সাবেক সভাপতি মীর্জা সেলিম রেজা ও সৈয়দ ফজলে রাব্বী ডলার, সাধারণ সম্পাদক এস এম আবু সাঈদ, সিনিয়র সাংবাদিক আব্দুর রহীম বগ্রা, প্রতীক ওমর প্রমুখ।

বগুড়াকে ব্র্যান্ডিং করার আহ্বান জানিয়ে পিআইবি মহাপরিচালক বলেন, বগুড়ার অনেক ইতিহাস, ঐতিহ্য লুকিয়ে রয়েছে। অবহেলা, অনাদরে ইতিহাস-ঐতিহ্যগুলো হারিয়ে যাচ্ছে। এসব ইতিহাস-ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে স্থানীয় সাংবাদিকদের দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখতে হবে। বগুড়ার বিশিষ্ট

ব্যক্তিদের সামনে এনে জেলার ব্র্যান্ডিং করতে হবে। মহাপরিচালক আরো বলেন, ৫ আগষ্টের বিপ্লব একদিনে হয়নি। দীর্ঘ সময় দেশের মানুষ জুলুম-নির্যাতন সহ্য করে এই আন্দোলনের ভিত গড়েছিল। ছাত্র-জনতার জীবনের বিনিময়ে সেই আন্দোলন পূর্ণতা পেয়েছে।




যাত্রীকে জিম্মি করে বাসে ডাকাতি, গ্রেপ্তার ৩

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

সিরাজগঞ্জ থেকে যাত্রীর ছদ্মবেশে বাসে উঠে ৪৩ যাত্রীকে জিম্মি করে ঢাকার ধামরাইয়ে নিয়ে আসার ঘটনায় ৩ ডাকাতকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এরা হলেন- ধামরাইয়ের সোমভাগ ইউনিয়নের কালামপুর আশ্রয়ন প্রকল্প এলাকার বাসিন্দা সজিব (২৫), মো. মিজানুর রহমান (২৫) ও ফজলু (২৮)।

শনিবার (২ নভেম্বর) গ্রেপ্তারদের আদালতে পাঠানো হয়। এর আগে, শুক্রবার ধামরাইয়ের সুতিপাড়া ইউনিয়নের বেলিশ্বর এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা গত ২৫ অক্টোবরও অপর একটি বাস ডাকাতিতে জড়িত ছিলো।

শনিবার (২ নভেম্বর) দুপুরে ধামরাই থানায় সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম আ্যান্ড অবস) মো. জসিম উদ্দিন এসব তথ্য জানান।

জসিম উদ্দিন জানান, গত ৩১ অক্টোবর পঞ্চগড় থেকে ৪৩ যাত্রীসহ ইসলাম পরিবহনের যাত্রীবাহী বাসটি ছেড়ে আসে। ভোর ৪টার দিকে সিরাজগঞ্জের কড্ডার মোড় এলাকায় পৌঁছালে যাত্রীর ছদ্মবেশে সাত ডাকাত বাসটিতে ওঠেন। ভোর ৫টার দিকে টাঙ্গাইল বাইপাস এলাকায় ডাকাতরা চালক হারুনের গলায় ছুরি ধরে তাদের একজন সজিব নামে একজনকে চালকের আসনে বসায়। এছাড়া সুপারভাইজারের গলায় তারা ছুরিকাঘাত করে রক্তাক্ত করে। একপর্যায়ে বাসটি মির্জাপুর-কাওয়ালীপাড়া সড়কে নিয়ে যায়। ভোর ৭টার দিকে বাসটি ধামরাইয়ের সুতিপাড়া ইউনিয়নের বেলিশ্বর এলাকায় নিয়ে আসে। একপর্যায়ে বাসটি সেখানে একটি খাদে পড়ে যায়। এরইমধ্যে তারা যাত্রীদের কাছ থেকে ৮০ হাজার টাকা, মুঠোফোনসহ বিভিন্ন সামগ্রী ছিনিয়ে নেয়। বাসটি দুর্ঘটনার শিকার হলে হেলপার কৌশলে বাসের জানালা দিয়ে লাফিয়ে নেমে ডাকাত ডাকাত বলে চিৎকার করতে থাকে। আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসতে আসতে ডাকাতরা পালিয়ে যায়। তবে স্থানীয়রা দুইজনকে আটক করতে সক্ষম হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে দুটি ছুরি উদ্ধার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে আটকরা বাসচালক সজিবও তাদের সঙ্গী বলে জানায়। তাকেও আটক করা হয়।

এছাড়া তারা গত ২৫ অক্টোবর হওয়া বাস ডাকাতির সঙ্গেও জড়িত বলে স্বীকারোক্তিতে জানিয়েছে। জসিম উদ্দিন বলেন, গ্রেপ্তারদের কাছ থেকে ডাকাতিতে ব্যবহৃত চারটি ছুরি, লুট করা ৩,২৪০ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত আরও চারজনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।




পশ্চিমা আগ্রাসন প্রতিরোধে মোহাম্মদপুরে মানববন্ধন

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

রাজধানীর মোহাম্মাদপুরের বসিলা রোড সংলগ্ন আন নূর ইসলামিয়া নৈশ মাদরাসার ছাত্র সংসদের উদ্যোগে পশ্চিমা আগ্রাসন প্রতিরোধে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার (১নভেম্বর) দুপুরে মুহাম্মাদ ইয়ামিনের পরিচালনায় বসিলা রোডে এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।

এ মানববন্ধনে বক্তারা বলেন- মানবাধিকার ভালো জিনিস কিন্তু মানবাধিকারের নামে যদি মানবাধিকার পরিষদের প্রস্তাবিত ওই কার্যালয় থেকে সমকামিতা ও ইসলাম সমর্থন করে না এমন কর্মকাণ্ড সমাজে ছড়িয়ে দেওয়া হয় তাহলে আমরা মেনে নেবো না। আমরা চাই বাংলাদেশে জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদের কার্যালয় না হোক।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, মাওলানা মাহমুদুল হাসান, সংগঠন সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মাদ ইয়ামিন, মুহাম্মদ নাইম, মুহাম্মাদ আশরাফ প্রমূখ।




দুর্গাপুরে বনবিভাগের গাছ করাত কলে, জানেন না বন কর্মকর্তা দেওয়ান আলী

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার কুল্লাগড়া ইউনিয়নের মাধবপুর এলাকা থেকে বন বিভাগের শাল-গজারি গাছ কেটে বিক্রি করছে ব্যবসায়ীরা। অভিযোগ রয়েছে, বিট কর্মকর্তা ও বন বিভাগের কিছু অসাধু কর্মকর্তার যোগ সাজশে চলছে গাছ কর্তন। তবে বিষয়টি জানেন না বলে দাবি করেছেন দুর্গাপুর বন কর্মকর্তা দেওয়ান আলী।

স্থানীয়রা জানান, দুর্গাপুর উপজেলার কুল্লাগাড় ইউনিয়নের বিজয়পুর, মাইজপাড়া ও মাধবপুর এলাকায় রয়েছে বনবিভাগের বিশাল সেগুন ও গজারী বাগান। প্রতিবছর বর্ষা ও শীতকালীন সময়ে বিভিন্ন অজুহাতে কাটা হয় বাগানের গাছ। তবে অধিকাংশই বন বিভাগের কর্মকর্তাদের যোগসাজশে হয়ে থাকে। এ বছরও বন বিভাগের কিছু কর্মকর্তার যোগসাজশে কাটা গাছগুলো ক্রয় করেছেন ডাকুমারা এলাকার কাঠ ব্যবসায়ি শাহআলম ও দুলাল মিয়া। এ নিয়ে বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) দুপুরে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, মাইজপাড়া এলাকার বাগান থেকে বেশ কিছু শাল-গজারি গাছ কেটে ডাকুমারা এলাকায় এক করাত কলের পিছনে এনে রাখেন শ্রমিকরা। এছাড়া মাধবপুর গ্রামের আব্দুল করিমের বাড়ীর সামনে এনে রাখা হয়েছে বেশ কিছু সদ্য কাটা গজারী গাছ।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক গাছকাটা শ্রমিক জানান, আজ নিয়ে তিন দিন ধরে পাঁচজনে মিলে প্রায় ৫০টি গাছ কেটেছেন। বিভিন্ন বাগান থেকে বাকি আরও ৫০টি‘র মতো গাছ কাটবেন। রাতের আঁধারে গাছ গুলো কেটে এলাকার বিভিন্ন বাড়ীতে রাখা পর্যন্ত তাদের দায়িত্ব। আরেক গ্রæপ রয়েছে ওই বাড়ী গুলো থেকে নদীর পাড়ে এনে দেয়। পরে গাড়ীতে করে দেশের বিভিন্ন এলাকায় নিয়ে যায়।

কাকড়াকান্দা গ্রামের সমাজকর্মী আমিনুল ইসলাম বলেন, রাতের অন্ধকারে প্রায় সময়ই সরকারি সেগুন- গজারী গাছ গুলো কাটা হয়। গাছগুলো কেটে করাত কলে সাইজ কাঠ বানিয়ে দেশের বিভিন্ন এলাকায় নিয়ে যায়। এই গাছ কাটার সাথে বন-বিভাগের অসাধু কর্মকর্তারা জড়িত আছেন। বন-বিভাগের লোকদের জিজ্ঞেস করলে তারা ওয়াকসনের গাছ কাটা হচ্ছে বলে জানান।

ডাকুমারা এলাকার করাত কলের মালিক ফরিদ আলী বলেন, বৃহস্পতিবার সকালে করাত কলে আসার সময় ডাকুমারা এলাকার কাঠ ব্যবসায়ী শাহআলম ও দুলাল বেশ কিছু গজারী গাছ ঠেলাগাড়ীতে করে নিয়ে যাওয়ার সময় আমি বাঁধা দেই এবং পরবর্তিতে বন-কর্মকর্তা, স্থানীয় সাংবাদিক এবং এলাকাবাসীকে অবগত করি।

সরকারি গাছ কাটা নিয়ে কাঠ ব্যবসায়ী সাহালমের কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি সরকারি গাছ ক্রয়ের কথা অস্বীকার করেন পরে, সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে এ নিয়ে পরে কথা বলবেন বলে জানান।

দুর্গাপুর বন কর্মকর্তা দেওয়ান আলী বলেন, বিষয়টি আগে জানতাম না। ঝড়ে পড়ে গিয়েছিলো এমন কিছু গাছ কেটে দুর্গাপুর রেঞ্জ অফিসে আনার কথা ছিলো। গাছ কাটার বিষয়টি জানার পর গাছ কাটতে বিট অফিসার আব্দুর রহিমকে নিষেধ করে দিয়েছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখে পরবর্তি ব্যবস্থা নেবো।




দুর্গাপুর মুজাহিদ কমিটি ও ফজলুল উলুম কারীমিয়া মাদ্রাসার যৌথ উদ্যোগে ওয়াজ মাহফিল ও হালকায়ে জিকির অনুষ্ঠিত

ডিএনবি নিউজ ডেস্কঃ

বাংলাদেশ মুজাহিদ কমিটি দুর্গাপুর উপজেলা শাখা ও ফজলুল উলুম কারীমিয়া মাদ্রাসার যৌথ উদ্যোগে ওয়াজ মাহফিল ও হালকায়ে জিকির অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গতকাল বুধবার (৩০ অক্টোবর) বাদ এশা ফজলুল উলুম কারীমিয়া মাদ্রাসা খরস এর মাঠে ওয়াজ মাহফিল ও হালকায়ে জিকির অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ মুজাহিদ কমিটি, দুর্গাপুর উপজেলা শাখার সভাপতি আলহাজ্ব ডাঃ মাওলানা আলী আকবর সাহেবের সভাপতিত্বে ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, দুর্গাপুর উপজেলার সভাপতি মাওলানাআজিজুল হক এর সহ-সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন শায়েখে চরমোনাই নায়েবে আমিরুল মুজাহিদীন শাইখুল হাদিস হযরত মাওলানা মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করিম।

এসময় উপস্থিত ছিলেন মাওলানা মামুনুর রশিদ রব্বানী, সিনিয়র সহ সভাপতি-জাতীয় উলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ, গাজীপুর জেলা, মাওলানা মুফতি নুরুল ইসলাম হাকিমী, সভাপতি – ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নেত্রকোণা জেলা, মাওলানা মুফতি ওয়ালিউল্লাহ, সহ সভাপতি-জাতীয় উলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ নেত্রকোনা জেলা, মাওলানা সাইফুল ইসলাম মুহতামীম-হিফজুল উলুম মাদ্রাসা, বারহাট্টা সহ ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন বাংলাদেশ, ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ ও ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ এর জেলা ও উপজেলার নেতৃবৃন্দ।

এসময় আশপাশের উপজেলা থেকে ধর্মপ্রাণ মুসুল্লি ও চরমোনাই পীরের ভক্ত-মুরিদানের উপস্থিতে মাঠ কানায় কানায় ভরে যায়।
বক্তব্য শেষে চরমোনাইর পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম দেশ ও জাতির কল্যাণে বিশেষ মুনাজাত পরিচালনা করেন।