দেশে বন্যায় মৃত্যু বেড়ে ৬৮

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

 

দেশে গত ১৭ মে থেকে আজ বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) পর্যন্ত বন্যায় মোট ৬৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বুধবার পর্যন্ত এ সংখ্যা ছিল ৪২।

আজ বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো বন্যা বিষয়ক এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, ১৭ মে থেকে ২৩ জুন পর্যন্ত ময়মনসিংহে পাঁচজন, নেত্রকোনায় পাঁচজন, জামালপুর পাঁচজন, শেরপুরে তিনজন, লালমনিরহাটে একজন, কুড়িগ্রামে তিনজন, সিলেট জেলায় ১৬ জন, সুনামগঞ্জে ২৬ জন, হবিগঞ্জে একজন এবং মৌলভীবাজারে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।

এতে আরো বলা হয়, বজ্রপাত, সাপের কামড়, বন্যার পানিতে ডুবে এবং বন্যাজনিত অন্যান্য কারণে এ ৭০ জনের মৃত্যু হয়েছে।




দুর্গাপুরে বন্যার্তদের মাঝে সেনাবাহিনীর ত্রাণ বিতরণ

ডিএনবি নিউজ ডেস্কঃ

নেত্রকোনার দুর্গাপুরে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১৯ পদাতিক ডিভিশন ঘাটাইল এরিয়ার ব্যবস্থাপনায় উপজেলার ঝানজাইল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে ফ্রী মেডিক্যাল ক্যাম্প, ত্রাণ বিতরণ ও বিশুদ্ধকরণ পানি সাপ্লাই কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে এ সামগ্রী বিতরন করা হয়।

এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এরিয়া কমান্ডার ঘাটাইল মেজর জেনারেল নকিব আহমদ চৌধুরী, ১৯ পদাতিক ডিভিশন ও এরিয়া কমান্ডার ঘাটাইল এরিয়া এবং টাস্ক ফোর্স গ্রæপ কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ মাহবুবুর রহমান,৭৭ পদাতিক মেজর মোঃ রিফাত আহমদ ভুইয়া, এডিএমএস মেডিকেল ব্র্যান্স কর্নেল শহিদ, সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার মোঃ শামীম, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ রাজীব-উল-আহসান, ইউপি চেয়ারম্যান শিব্বির আহাম্মদ তালুকদার বাচ্ছু প্রমুখ।

মেজর জেনারেল নকিব আহমদ চৌধুরী বলেন, দেশের প্রায় সকল জেলা বন্যায় কম বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হলেও কিছু কিছু এলাকা নিদারুণভাবে আক্রান্ত হয়েছে। নেত্রকোনার খালিয়াজুরী, বারহাট্টা, মোহনগঞ্জ, কলমাকান্দার পাশাপাশি দূর্গাপুর উপজেলায় প্রায় ১,৫৫,৬৭০ জন মানুষ বন্যায় দুর্দশাগ্রস্ত এবং সেখানকার প্রায় ৩,৬২০টি পরিবার সাময়িকভাবে গৃহহীন হয়ে পড়েছে। সকলেই বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে সহযোগীতা করবেন, যেন আমরা আমাদের মহান দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে পারি।




মহান রাব্বুল আলামীনের কাছে শুকরিয়া আদায় করি যে পদ্মা সেতু নির্মাণ করতে পেরেছি। : প্রধানমন্ত্রী

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক: 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, পদ্মা সেতুর কাজের মান নিয়ে কেউ প্রশ্ন তুলতে পারবে না। এটি অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে নির্মাণ করা হয়েছে। এ সময় তিনি বলেন, মহান রাব্বুল আলামীনের কাছে শুকরিয়া আদায় করি যে পদ্মা সেতু নির্মাণ করতে পেরেছি।

তিনি বলেছেন, বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে অত্যাধুনিক নকশায় ও দৃষ্টিনন্দন স্থাপত্যশৈলী দিয়ে পদ্মা সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। এই দোতলা সেতুর মান নিয়ে প্রশ্ন তোলার সুযোগ নেই।

বুধবার বেলা ১১টায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি। পদ্মা সেতুর উদ্বোধনসহ দেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে এই সংবাদ সম্মেলন করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখা হাসিনা।

করোনা পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক হওয়ার পর সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে এটিই প্রধানমন্ত্রীর প্রথম সংবাদ সম্মেলন। করোনাকালে সরকার প্রধানের সংবাদ সম্মেলনগুলোতে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন সাংবাদিকরা।

গ্রামীণ ব্যাংকের সামান্য ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদের জন্য নোবেল বিজয়ী ড. ইউনূস পদ্মা সেতু নিয়ে ষড়যন্ত্র করেছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ব্যাংকের সামান্য এমডি পদের জন্য পদ্মা সেতু নিয়ে ষড়যন্ত্র করেন ড. ইউনূস।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ব্যক্তি স্বার্থ্যের জন্য মানুষ দেশের, দেশের মানুষের জন্য এত বড় ক্ষতি করতে পারে আমার জানা ছিল না।’

পদ্মা সেতু নিয়ে প্রকল্পের কাজে দুর্নীতি হয়েছে, এমন অভিযোগের প্রক্ষিতে কয়েক বছর সময় নষ্ট হয়েছে বলে জানান আওয়ামী লীগ সভাপতি।

পদ্মা সেতুর কাজে কোনো আপোষ করা হয়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘পদ্মা সেতু নির্মাণের কাজের মানে আমরা কোনো আপোষ করিনি।’ ভূমিকম্প, ধারণ ক্ষমতাসহ সকল দিক বিবেচনায় নিয়ে এ সেতু নির্মাণ করা হয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।

দেশবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি বাংলাদেশের মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। অনেকেই সন্দেহ করেছিলেন, যখন এই সেতু আমি করব। মানুষ আমার পাশে দাঁড়িয়েছি। তাদের শক্তিতে আমরা এই সেতু করতে পেরেছি।’

শেখ হাসিনা বলেন, সিলেটে যে বন্যা হয়েছে তা অকল্পনীয়, স্মরণকালের মধ্যে ভয়াবহ। প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঠেকানোর ক্ষমতা মানুষ বা সরকারের কারোই নেই। তবে ক্ষয়ক্ষতি লাঘবে সরকারের দায়িত্ব রয়েছে। আর বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করছে।

শেখ হাসিনা বলেন, দুর্গত মানুষদের সহায়তার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এজন্য বিভিন্ন বাহিনীর শতাধিক বোট, হেলিকপ্টার ও অন্যান্য যান উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছে।

সরকারপ্রধান বলেন, বানভাসীদের সহায়তায় সব ধরনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। তাদের দুর্ভোগ লাঘবে সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ব্যবস্থা করা হয়েছে পর্যাপ্ত খাবারের। সিলেট অঞ্চলে কাজ করছে ৩০০ মেডিকেল টিম। সিলেটে ১২৮৫টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে।




দুর্গাপুরে মাটি খুরতেই বের হচ্চে কেরোসিন তেল-উৎসুক জনতার ভীড়

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

জ্বালানীর অন্যতম অনুসঙ্গ হচ্ছে তেল। বাজারে তেলের দাম থাকলেও দুর্গাপুরে তা পাওয়া যাচ্ছে বিনা মুল্যে। পৌরশহরের কাচারী মোড় এলাকায় মোজাম্মেল হকের বাসায় বিদ্যুৎ এর খুটি গাড়তে গিয়ে বেরুতে থাকে কালো জ্বালানী তেল। বৃহস্পতিবার দুপুরে এ তেলের সন্ধ্যান মেলে।

এ নিয়ে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, দুর্গাপুর পৌরশহরের কাচারী রোড এলাকায় ইাতোমধ্যে গড়ে উঠছে বহুতল বিশিষ্ট ইমারত। এ সকল বিল্ডিং গুলোতে বিদ্যুৎ এর খুঁটি পোতা সহ পাইলিং এর জন্য গাড়তে হচ্ছে লোহার পাইপ। বৃহস্পতিবার দুপুরে ওই এলাকার মোজাম্মেল হক এর বিল্ডিংয়ের জন্য বিদ্যুৎ এর খুটি গাড়তে যায় মিস্ত্রী শফিকুল ইসলাম। তার বাসার সামনে প্রায় ৫ ফুট নিচে যাওয়া মাত্রই ঘন-কালো ডিজেল এর মতো তেল বেরুতে থাকে। পরে কেউ কেউ তা প্লাষ্টিক মগ দিয়ে উঠিয়ে আগুন জ্বালাতে গিয়ে বুঝতে পারে এটা কোন না কোন জ্বালানী দ্রব্য। এ খবর ছড়িয়ে পড়তেই আশ-পাশের উৎসুক জনতা প্লাষ্টিক বালতি, মগ ও কলসি নিয়ে সংগ্রহ করতে থাকে ওই তেল।

এনিয়ে স্থানীয় পান্থনীড় ফিলিং সেন্টারের কর্মচারী নুরুজ্জামান বলেন, এটা ডিজেলের চেয়ে একটু ঘন এক ধরনের জ্বালানী তেল। হয়তো ডিজেল কে রিফাইন করার আগে যা থাকে তেমন হবে হয়তো। আশ-পাশের কোন তেলের পাম্প ফেটে এটা আসতে পারে কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, এটা কোন পাম্পের তেল না। এটা মাটির গভীর থেকেই উঠে আসছে।

এ নিয়ে উপজেলা নিবার্হী অফিসার মোহাম্মদ রাজীব-উল-আহসান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করার জন্য দ্রুত পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের লোক পাঠানো হয়েছে। যদি সত্যিই এখানে কোন তেলের সন্ধ্যান পাওয়া যায়, তবে এটা রাষ্ট্রীয় সম্পদ। উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।




সিলেটে আবারও বন্যা, সুরমা উপচে পানি ঢুকছে নগরেও

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

টানা বৃষ্টিপাত ও ভারত থেকে নেমে আসা উজানের ঢলে সিলেট জেলায় আবারও বন্যা দেখা দিয়েছে। বন্যা পরিস্থিতির দ্রুত অবনতি হচ্ছে।

জেলার সদর, কোম্পানীগঞ্জ, গোয়াইনঘাট, জৈন্তাপুর, কানাইঘাট, জকিগঞ্জ, গোলাপগঞ্জ ও ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।জেলার অন্তত ৫ শতাধিক গ্রাম ইতিমধ্যে প্লাবিত হয়েছে বলে বৃহস্পতিবার দুপুরে জানিয়েছে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন।

এদিকে সুরমা নদীর তীর উপচে আবারও পানি ঢুকছে সিলেট নগরীতে। নগরীর সুরমা নদীর তীরবর্তী এলাকার বাসা-বাড়ি, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্যা কবলিত হয়ে পড়ছে।

নগরীর শাহজালাল উপশহর, তেররতন, ছড়ারপাড়, কালিঘাট, তালতলা, জামতলা, শেখঘাটসহ ৮-১০টি এলাকা ইতিমধ্যে প্লাবিত হয়েছে। এসব এলাকার মূল সড়ক, অলি-গলি, বাসা-বাড়ি, দোকানপাটে পানি ঢুকেছে। ফলে আর্থিক ক্ষতি ও চরম দুর্ভোগে পড়েছেন মানুষ। ভারী বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় বন্যা দীর্ঘস্থায়ী হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

সিলেট পানি উন্নয়ন (পাউবো) বোর্ড সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত সিলেটের প্রধান দুই নদী সুরমা ও কুশিয়ারাসহ অন্যান্য নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত ছিল।

সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার শূন্য দশমিক ৯৯ সেন্টিমিটার, সিলেট পয়েন্টে বিপৎসীমার শূন্য দশমিক ২৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। কুশিয়ারা নদীর পানি ফেঞ্চুগঞ্জে বিপৎসীমার শূন্য দশমিক ৩ সেন্টিমিটার, সারি নদীর পানি সারিঘাটে বিপৎসীমার শূন্য দশমিক ৩২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

নগরীর কিছু এলাকা ছাড়াও জেলার ৫ শতাধিক গ্রাম ইতিমধ্যে বন্যাকবলিত হয়েছে। এসব এলাকার অনেক সরকারি দপ্তর, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও পানি ঢুকেছে। ফলে স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।

এক মাসেরও কম সময়ের মধ্যে ফের বন্যা দেখা দেওয়ায় মানুষ ভোগান্তিতে পড়েছেন।

বৃহস্পতিবার দুপুরে সিলেট নগরীর বন্যাকবলিত বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায় মানুষ কিছুদিন আগের বন্যার ক্ষতি কাটিয়ে উঠার আগেই আবারও বন্যার ক্ষতি ও দুর্ভোগের মুখে পড়েছেন।

অনেকের বাসা-বাড়িতে পানি ঢুকে আসবাবপত্র ভিজে নষ্ট হচ্ছে। ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে পানি ঢুকায় আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে আরও বেশি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লুসিকান্ত হাজং জানান, বন্যার্তদের সহায়তায় উপজেলা প্রশাসন আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমান বলেন, জেলায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় যেসব স্থানে আশ্রয়কেন্দ্র খোলা প্রয়োজন সেখানে আশ্রয়কেন্দ্র খুলতে উপজেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া পর্যাপ্ত ত্রাণ বিতরণেরও ব্যবস্থা করা হচ্ছে




দুর্গাপুরে ভারতের মেঘালয় থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে সোমেশ্বরী নদীর পানি বৃদ্ধি, আতঙ্কে নিম্নাঞ্চলের মানুষ

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

নেত্রকোনার দুর্গাপুরে টানা দুই দিনে অতিবৃষ্টি ও সীমান্তবর্তী ভারতের মেঘালয় থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে দুর্গাপুর উপজেলায় সোমেশ্বরী নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। ভবানীপুর বটতলা সীমান্তে বাংলাদেশ-ভারতের সীমান্তের পিলার ধ্বসে যাওয়ার মাত্র দুই ফুট বাকি আছে। যে কোন সময় ধ্বসে যেতে পারে। তা ছাড়া আতঙ্কে রয়েছে কুল্লাগড়া, গাঁওকান্দিয়া ও সীমান্তবর্তী দুর্গাপুর ইউনিয়নের প্রায় ৩০ গ্রামের মানুষ। এ নিয়ে, সোমবার (১৩ জুন) বিকেলে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, গত কয়েক দিনের ভারী বৃষ্টিতে নদীর পানি বৃদ্ধি পেলেও তা এখনো ও বিপদসীমার নিচ দিয়েই প্রবাহিত হচ্ছে। তবে রাতে আরো পানি বৃদ্ধি পেলে বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে বলে ধারনা করা হচ্ছে। এ সময় নদীতে থাকা বালু উত্তোলনকারী কিছু ড্রেজার ভেসে গেছে, উজান থেকে পানি নামতে থাকলে অন্যান্য এলাকার নিম্নাঞ্চলের বাড়িঘর, মাছের ঘের, ফসলের মাঠ সহ সবজি বাগান গুলো তলিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। পানি বৃদ্ধির ফলে আতঙ্কে রয়েছে নিম্নাঞ্চলের প্রায় ৩০ গ্রামের মানুষ। নদীর পাড় ভাঙ্গা অব্যাহত থাকায়, কুল্লাগড়া, কামারখালী, ইসলামপুর, বিজয়পুর, ভবনীপুর, দাহাপাড়া, বন্ধউষান এলাকার মানুষ আতঙ্কে রয়েছে। অপরদিকে টানা বৃষ্টির কারণে নিম্ন আয়ের মানুষের বেড়েছে ভোগান্তি। রিকশা ও ঠেলাগাড়ী চালানো সহ খেটে খাওয়া মানুষদের কাজকর্ম বন্ধ হয়ে পড়েছে একেবারেই। বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে নিম্নাঞ্চল গুলোতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হতে পারে। স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাবেক কর্মচারী মাইকেল প্রদীপ বাউল বলেন, সোমেশ্বরী নদীর ধরনটাই এই রকম। তবে নদীতে যেভাবে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে যদি রাতে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকে তাহলে এলাকা প্লাবিত হয়ে আগাম বন্যা দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা বলেন, সোমেশ্বরী নদীর পানির বিপদ সীমার স্কেল হচ্ছে ১২.৬৫। আজ সন্ধ্যা পর্যন্ত ১১.৩৩ অব্যাহত রয়েছে। রাতে বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ী পানি বাড়তে থাকলে বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে। ইতোমধ্যে এলাকা পরিদর্শন করে সকল কে সাবধান করা হয়েছে। এ নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রাজীব-উল-আহসান বলেন, পানি বৃদ্ধির খবর পেয়ে ইতোমধ্যে বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেছি। এলাকায় বন্যা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা কোন প্রকার খাদ্য সমস্যা দেখা দিলে, তা মোকাবেলার জন্য প্রস্তত রয়েছে উপজেলা প্রশাসন।




চলন্ত ট্রেনে সেলফি তুলতে গিয়ে যুবকের মর্মান্তিক মৃত্যু

ডিএনবি নিউজ ডেস্কঃ

 চুয়াডাঙ্গায় ট্রেনের দরজায় দাঁড়িয়ে বাইরে হাত বাড়িয়ে ছবি তোলায় সময় সিগন্যালে হাত আটকে রোহান (১৭) নামের এক যুবকের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। সোমবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার ফার্মপাড়ায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

রোহান চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার উথলী ইউনিয়নের সেনেরহুদা গ্রামের পশ্চিমপাড়ার রায়হান হোসেনের ছেলে ও উথলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের (ভোকেশনাল সেকশন) দশম শ্রেণির ছাত্র।

জানা যায়, গতকাল বিকেল ৪টার দিকে উথলী রেলস্টেশন থেকে চুয়াডাঙ্গামুখী মহানন্দ লোকাল ট্রেনে চড়ে রোহান। বিকেলে ট্রেনটি চুয়াডাঙ্গা পৌঁছালে সেখানে নেমে পড়ে রোহান। বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে চুয়াডাঙ্গা থেকে খুলনাগামী গোয়ালন্দ মেইল ট্রেনে বাড়ির উদ্দেশে যাত্রা করে। ট্রেনটি স্টেশন থেকে ছেড়ে গেলে রোহান ট্রেনের দরজায় দাঁড়িয়ে বাইরে হাত বাড়িয়ে সেলফি তোলার সময় একটি সিগন্যালের সাথে ধাক্কা লাগলে তিনি ট্রেন থেকে ছিটকে পড়ে। এ সময় তার মাথা ও বাম পায়ে আঘাত লাগলে গুরুতর জখম হয়। পরে স্থানীয়রা রোহানকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেয়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল অথবা ঢাকা পঙ্গু হাপসাতালে নেয়ার পরামর্শ দেন।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা: নূরজাহান রুমি বলেন, ‘বিকেল সাড়ে ৫টার পরে স্থানীয় ব্যক্তিরা অজ্ঞাত এক যুবককে জরুরি বিভাগে নেয়। এ সময় জানতে পারি সে ট্রেন থেকে পড়ে যেয়ে রক্তাক্ত জখম হয়। তার বাম পায়ের পাতার বেশিরভাগ অংশ বিচ্ছিন্ন হয়েছে। এছাড়াও মাথায় গুরুতর আঘাত পাওয়ায় দুই কান দিয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। জরুরি বিভাগ থেকে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা দিয়ে সার্জারি বিভাগে অবজারভেশনে রাখা হয়। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য যতদ্রত সম্ভব রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়।

এদিকে, গতকাল রাত সাড়ে ৯টার দিকে অ্যাম্বুলেন্সযোগে তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিচ্ছিল পরিবার। পথেই রাত সাড়ে ১০টার দিকে ঝিনাইদহ জেলার হাটগোপালপুর নামক স্থানে তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

রোহানের চাচা সবেদ আলী এ তথ্য নিশ্চিত করেন। পরে ওই অ্যাম্বুলেন্সযোগেই পরিবারের সদস্যরা রোহানের লাশ নিয়ে বাড়ি ফেরেন।




প্রধানমন্ত্রীর উদ্ভাবনী উদ্যোগ নিয়ে দুর্গাপুরে কর্মশালা

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

নেত্রকোনার দুর্গাপুরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র ১০টি উদ্ভাবনী উদ্যোগ নিয়ে দিনব্যাপী এক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার সকাল ১০টায় উপজেলা প্রশাসন ও গর্ভন্যান্স ইনোভেশন ইউনিটের সহযোগিতায় উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

এ উপলক্ষে পবিত্র ধর্মগ্রন্থ থেকে পাঠ শেষে, উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার মুহাম্মদ নাসির উদ্দিন এর সঞ্চালনায়, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ রাজীব-উল-আহসান এর সভাপতিত্বে কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জান্নাতুল ফেরদৌস আরা ঝুমা তালুকদার। প্রধানমন্ত্রীর ১০টি বিশেষ উদ্যোগ প্রান্তিক পর্যায়ে বাস্তবায়নের চ্যালেঞ্জ এবং নতুন সম্ভাবনা চিহ্নিত করার পাশাপাশি উদ্যোগ সমূহের বহুল প্রচারে আমাদের করণীয় নির্ধারণ বিষয়ে নতুন সুপারিশ প্রণয়নের উদ্দেশ্যে ১০টি গ্রুপের মাধ্যমে এ ওয়ার্কশপের আয়োজন করা হয়। এর মধ্যে নারীর ক্ষমতায়ন, পরিবেশ সুরক্ষা, শিক্ষা সহায়তা, পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক, ডিজিটাল বাংলাদেশ, কমিউনিটি ক্লিনিক ও শিশুর বিকাশ, বিনিয়োগ বিকাশ, পরিবেশ সুরক্ষা, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি ও সবার জন্য বিদ্যুৎ নিয়ে দেশকে এগিয়ে নিতে নতুন নতুন পরিকল্পনা বিষয়ক সুপারিশ তুলে ধরা হয়। এ সময় অন্যদের মধ্যে গুরুত্বপুর্ন আলোচনা করেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা সোহরাব হোসেন তালুকদার, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ হক, প্রেমক্লাব সভাপতি এসএম রফিকুল ইসলাম, অফিসার ইনচার্জ দুর্গাপুর থানা শিবিরুল ইসলাম, প্রধান শিক্ষক একেএম ইয়াহিয়া প্রমুখ।

দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালায় বীর মুক্তিযোদ্ধা, সরকারি বে-সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা, ডাক্তার, প্রকৌশলী, প্রেসক্লাব প্রতিনিধি, শিক্ষক, জনপ্রতিনিধি, পুলিশ, ইমাম, পুরোহিত, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও কলেজ শিক্ষার্থী অংশ নেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা যেমন আমাদের সোনালি অতীতকে স্মরণ করিয়ে দেয়, তেমনি প্রধানমন্ত্রীর ১০টি বিশেষ উদ্যোগ আমাদের সোনালি ভবিষ্যতের সম্ভাবনাও জাগিয়ে দিয়েছে। এর মাধ্যমে আমাদের জীবন, সমাজ ও দেশকে ক্ষুধা, দারিদ্রমুক্ত ও স্বনির্ভর বাংলাদেশ গড়তে শক্তি যোগাবে।




দুর্গাপুর পৌরশহরে রাস্তার উন্নয়ন কাজের উদ্বোধন

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

নেত্রকোনার দুর্গাপুর পৌরসভার ২০২০-২১ অর্থবছরের ৯টি প্রকল্পের মধ্যদিয়ে উন্নয়ন কাজ শুরু হয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ৩ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে একটি এবং প্রায় ১ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা ব্যায়ে আরেকটি প্রকল্পের মাধ্যমে বিভিন্ন উন্নয়ন কাজের উদ্বোধন করেন মেয়র আলা উদ্দিন আলাল। সোমবার দুপুরে শহরের উকিলপাড়া এলাকায় এর উদ্বোধন করা হয়।

এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, প্যানেল মেয়র মশিউজ্জামান বাদল, সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড কাউন্সিলর এস এম কামরুল হাসার জনি, কাউন্সিলর আল আমিন মিয়া, ঠিকাদার দেবল চক্রবর্ত্তী, আওয়ামীলীগ নেতা বাবুল মড়ল, হারাধন সরকার, মো. হাবিবুর রহমান, সাইফুল ইসলাম বেগ, ব্যবসায়ী আবিদুর রহমান শাওন, পৌর প্রকৌশলী উত্তম দাস, রাজু আহমেদ প্রমুখ।

উন্নয়ন কাজ নিয়ে মেয়র আলা উদ্দিন বলেন, যে এলাকার রাস্তাঘাট যত উন্নত-ওই এলাকা দেশের মানুষের কাছে তত পরিচিত। আমি সকলকে সাথে নিয়ে দুর্গাপুর পৌরসভাকে একটি মডেল পৌরসভায় রুপান্তর করতে চাই। পৌর এলাকার উন্নয়ন কাজ চলছে, সামনে আরোও নতুন নতুন প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। এ সকল কাজ বাস্তবায়নে শহরে চলাচলে সাময়িক অসুবিধার জন্য আমি দুঃখিত। আশা করছি অল্প কিছু দিনের মধ্যে সব কিছু ঠিক হয়ে যাবে। সকলেই আমার জন্য দোয়া করবেন।




সৌদি আরবে এক বাংলাদেশি বায়তুল্লাহর মুসাফিরের ইন্তেকাল

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

হজের উদ্দেশ্যে সৌদি আরবে যাওয়ার পর চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার মো. জাহাঙ্গীর কবির (৫৯) ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

১১ জুন মক্কা আল-মুকাররমায় ইন্তেকাল করেছেন তিনি। তার পাসপোর্ট নম্বরঃ A01012228 । গত ৫ জুন থেকে সর্বমোট ৭,৫৭৩ জন হজযাত্রী সৌদি পৌঁছেছেন। সৌদি পৌঁছানোর পর এই প্রথম কোন বাংলাদেশি ইন্তেকাল করলেন। সৌদি আরবে নিযুক্ত মৌসুমী হজ অফিসার মোহাম্মদ মাহবুব আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

জানা গেছে, সৌদিতে হজযাত্রী নিতে ১২ জুন পর্যন্ত ১৯টি ফ্লাইট পরিচালিত হয়েছে। এরমধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স পরিচালিত ১১টি, সৌদি এয়ারলাইন্সের ৫টি ফ্লাইনাসের ৩টি ফ্লাইট হজযাত্রী নিয়ে গেছে।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ৮ জুলাই (৯ জিলহজ) সৌদি আরবে পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। এ বছর সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৪,০০০ জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৫৩,৫৮৫ জনসহ সর্বমোট ৫৭,৫৮৫ জন হজযাত্রী পবিত্র হজ পালনের জন্য সৌদি আরব গমনের সুযোগ পাচ্ছেন। বাংলাদেশে থেকে এবার হজে যেতে ১২৮টি ফ্লাইট পরিচালিত হবে। বিমান ৬৫টি, সাউদিয়া ৫১টি, ফ্লাইনাস ১২টি ফ্লাইটে হজ যাত্রী নিয়ে যাবে। ঢাকা থেকে শেষ হজ ফ্লাইট ছেড়ে যাবে ৪ জুলাই।