লন্ডনে বৈঠকের বিষয় ও সিদ্ধান্ত পরিষ্কার করতে হবে: পীর সাহেব চরমোনাই

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই বলেছেন, প্রধান উপদেষ্টা ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের বৈঠক দেশের রাজনীতিতে কিছু সংকট সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখলেও এই বৈঠক রাজনীতিতে এক ধরণের অস্বস্তিও তৈরি করেছে।

বিশেষত দুই পক্ষের প্রতিনিধিসহ বৈঠকের পরে দুই নেতার একান্ত বৈঠক রাজনীতিতে কিছু প্রশ্ন তৈরি করেছে। আগামী রাজনীতির স্বাচ্ছন্দের জন্য এবং দলগুলোর অস্বস্তি দুর করতে একান্ত বৈঠকের আলোচনা ও সিদ্ধান্ত জাতির সামনে উপস্থাপন করা উচিৎ বলে মনে করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।

রোববার (১৫ জুন) পুরানা পল্টনের অফিসে দলের সিনিয়র দায়িত্বশীলদের সঙ্গে দেশের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনাকালে তিনি এসব কথা বলেন।

পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতি বহুদলীয় রাজনীতি। বিগত ফ্যাসিবাদ বিরোধী লড়াই দেশের বহুসংখ্যক রাজনৈতিক সংগঠন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অংশ নিয়েছে। আগামীর বাংলাদেশ নির্মাণে সকলকে সমান গুরুত্ব ও মর্যাদা প্রদান করা নৈতিক কর্তব্য। লন্ডন বৈঠকের চরিত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে অবমূল্যায়নের ধারণা জন্ম দিয়েছে। বিশেষ করে নির্বাচন আয়োজনের সময় নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর নানা রকম দাবী থাকা সত্যেও সব উপেক্ষা করে প্রধান উপদেষ্টা ঈদের আগের দিন জাতীর উদ্দেশ্যে দেয়া ভাষণে একটা সংক্ষিপ্ত সময়সীমা ঘোষণা করেছিলেন। জাতির উদ্দেশ্যে দেয়া ভাষনে যে সময়সূচি নির্ধারণ করা হয়েছে তা একটি একান্ত বৈঠকের পরে পুনর্বিবেচনা করার যৌথ ঘোষণা দেয়া রাজনীতিতে অস্বস্তি তৈরি করেছে। সুস্থ্য রাজনৈতিক সংস্কৃতি নির্মাণের স্বার্থেই এই অস্বস্তি দুর করা উচিত।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির বলেন, নির্বাচনের আগে প্রয়োজনীয় মৌলিক সংস্কার ও পতিত ফ্যাসিবাদের বিচার নিশ্চিত করার দাবী পুনর্ব্যক্ত করছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। নির্বাচনের ডামাঢোলে সংস্কার ও বিচার যাতে আড়াল না হয় সেদিকে সরকার ও সংশ্লিষ্ট সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

পীর সাহেব বিএনপির প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, নির্বাচন নিয়ে আপনাদের প্রত্যাশা পূরণ হয়েছে। এখন দেশকে ভবিতব্য সকল স্বৈরতন্ত্রের হাত থেকে রক্ষা করতে সাংবিধানিক সংস্কারে সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবের সাথে আপনাদের সহযোগীতা কামনা করছি। প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ, এনসিসি গঠন, সংসদীয় কমিটির প্রধান বিরোধীদল থেকে দেয়াসহ স্বৈরতন্ত্র প্রতিরোধে যেসব সতর্কতামূলক আইনী প্রতিবন্ধকতা প্রস্তাব করা হয়েছে তাকে বিএনপি সমর্থন করবে বলে আশা করছি।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, মহাসচিব মাওলানা ইউনুছ আহমদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী, অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, যুগ্ম-মহাসচিব গাজী আতাউর রহমান।




এবার পবিত্র ঈদুল আযহায় ৯১ লাখের বেশি পশু কোরবানি হয়েছে

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

ঈদুল আজহা মুসলিম বিশ্বের অন্যতম বড় একটি ধর্মীয় উৎসব। ধর্মীয় উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে এবারের ঈদুল আজহায় সারা বিশ্বে বিপুল সংখ্যক পশু কোরবানি করা হয়েছে। এরই ধারাবহিকতায় এ বছর বাংলাদেশে ঈদুল আজহায় ৯১ লাখের বেশি পশু কোরবানি করা হয়। এর মধ্যে গরু ও ছাগলের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি।

১০ জুন মঙ্গলবার গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার মো. মামুন হাসান।

সরকারি সংস্থা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের হিসাব মতে, ২০২৫ সালে দেশে ৯১ লাখ ৩৬ হাজার ৭৩৪টি পশু কোরবানি হয়েছে। যার মধ্যে গরু/ মহিষ ৪৭ লাখ ৫ হাজার ১০৬টি; ছাগল / ভেড়া ৪৪ লাখ ৩০ হাজার ৬৬৮ টি; অন্যান্য ৯৬০ টি।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর মূলত পশু কোরবানির হিসাব করে থাকে। অধিদপ্তর বলছে স্তরায়িত দৈব নমুনায়নের (স্ট্র্যাটিফায়েড র‍্যান্ডম স্যাম্পলিং) ভিত্তিতে তথ্য সংগ্রহ করে এবারের হিসাব করা হয়েছে। প্রতিটি উপজেলার ৩টি গ্রাম (ছোট, মাঝারি এবং বড়) থেকে অন্তত এক শতাংশ নমুনা সংগ্রহ করে হিসাবটি করা হয়েছে।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, এবার কোরবানির পশু অবিক্রীত ছিল ৩৩ লাখ ১০ হাজার ৬০৩ টি। কারণ হিসেবে অধিদপ্তর বলছে, এবার কোরবানির পশুর উৎপাদন বেশি ছিল। তাই পশু অবিক্রীত থাকাটা অস্বাভাবিক নয়।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, এবার সবচেয়ে কম পশু কোরবানি হয়েছে সিলেট বিভাগে। এই সংখ্যা ৩ লাখ ১৯ হাজার ৮২৩ টি। এরপর কম পশু কোরবানি হয়েছে ময়মনসিংহ বিভাগে। এই সংখ্যা ৩ লাখ ৮৩ গাজার ১৬২ টি। আর সবচেয়ে বেশি পশু কোরবানি হয়েছে রাজশাহী বিভাগে। এই সংখ্যা ২৩ লাখ ২৪ হাজার ৯৭১ টি গবাদি পশু। এর পর বেশি কোরবানি হয়েছে ঢাকা বিভাগে। এই সংখ্যা ২১ লাখ ৮৫ হাজার ৪০ টি। চট্টগ্রাম বিভাগে কোরবানি হয়েছে ১৭ লাখ ৫৩ হাজার ৭৩২ টি গবাদিপশু। খুলনা বিভাগে কোরবানি হয়েছে ৮ লাখ ৪ হাজার ২২৪ টি গবাদিপশু।

বরিশাল বিভাগে কোরবানি হয়েছে ৪ লাখ ৭৮৩ টি গবাদিপশু। রংপুর বিভাগে কোরবানি হয়েছে ৯ লাখ ৬৪ হাজার ৯৯৯ টি গবাদিপশু।




আজ পবিত্র হজের দিন: লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক ধ্বনিতে মুখরিত আরাফা ময়দান

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক  :

আজ পবিত্র হজের দিন, ইওয়ামুল আরাফাহ। ‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক’ ধ্বনিতে পবিত্র আরাফার পাহাড় ঘেরা ময়দান ছাপিয়ে আকাশ-বাতাস মুখর ও প্রকম্পিত ।

স্থানীয় সময় সূর্যোদয় পর্যন্ত মিনায় অবস্থান শেষে ফজরের পর পরই আরাফাতের ময়দানের উদ্দেশ্যে রওনা হন মুসল্লিরা। সেখানে সূর্যাস্ত পর্যন্ত অবস্থান করে হজের খুতবা শুনবেন লাখো মুসল্লিরা।

আরফাতের ময়দানে অবস্থানকেই মূল হজ বিবেচনা করা হয়। এবার পবিত্র হজের খুতবা দেবেন মক্কার গ্র্যান্ড মসজিদের ইমাম শায়খ সালেহ বিন হুমাইদ। যা ৩৪টি ভাষায় সরাসরি সম্প্রচারিত হবে।

আজ প্রভাত থেকে সৌদি আরবের মক্কা নগরীর আরাফার আদিগন্ত মরু প্রান্তর এক অলৌকিক পুণ্যময় শুভ্রতায় ভরে উঠেছে। সফেদ-শুভ্র দুই খণ্ড কাপড়ের এহরাম পরিহিত হাজিদের অবস্থানের কারণে সাদা আর সাদায় একাকার। পাপমুক্তি আর আত্মশুদ্ধির আকুল বাসনায় ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা ইসলামের অন্যতম প্রধান স্তম্ভ এই পবিত্র হজ্ব পালন করেছেন।

আজ ফজরের পর গোটা দুনিয়া থেকে আগত ২৫ লক্ষাধিক মুসলমান ঐতিহাসিক আরাফার ময়দানে উপস্থিত হচ্ছেন। এর মধ্যে বাংলাদেশি হজযাত্রীর সংখ্যা ৮৭ হাজারের বেশি। আজ ৯ জিলহজ মূল হজের দিন তারা এখানে সূর্যাস্ত পর্যন্ত অবস্থান করবেন।

আরাফার ময়দানের মসজিদে নামিরায় জোহরের নামাজের আগে এ বছর পবিত্র হজের খুতবা দেবেন মসজিদে হারামের প্রখ্যাত খতিব ও সৌদি সিনিয়র ওলামা পরিষদের সদস্য ড. শায়খ সালেহ বিন হুমাইদ।

সূর্যাস্ত পর্যন্ত তারা আরাফার ময়দানে অবস্থান করে আল্লাহ তা’আলার জিকির আসকার ইবাদতে মশগুল থাকবেন। অতঃপর মুজদালিফার উদ্দেশ্যে আরাফার ময়দান ত্যাগ করবেন। মুজদালিফায় গিয়ে মাগরিব ও এশার নামাজ এশার ওয়াক্তে একত্রে পড়বেন এবং সারা রাত অবস্থান করবেন। সেই সঙ্গে জামরাতে নিক্ষেপ করার জন্য ৭০টি কংকর এখান থেকে সংগ্রহ করবেন। মুজদালিফায় ফজরের নামাজ পড়ে পুনরায় মিনার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হবেন।

১০ জিলহজ মিনায় পৌঁছার পর হাজিদের পর্যায়ক্রমে চারটি কাজ সম্পন্ন করতে হয়। প্রথমে মিনাকে ডান দিকে রেখে হাজিরা দাঁড়িয়ে শয়তানকে (জামারা) পাথর নিক্ষেপ করবেন। দ্বিতীয় কাজ আল্লাহর উদ্দেশ্যে পশু কোরবানি করা। তৃতীয় পর্বে মাথা ন্যাড়া করা। চতুর্থ কাজ তাওয়াফে জিয়ারত।

জিলহজের ১১ তারিখ মিনায় রাত যাপন করে দুপুরের পর থেকে সূর্যাস্তের পূর্বমুহূর্ত পর্যন্ত সময়ের মধ্যে হাজিরা বড়, মধ্যম ও ছোট শয়তানের ওপর সাতটি করে পাথর নিক্ষেপ করবেন। আর এ কাজটি করা সুন্নত।

১২ জিলহজ মিনায় অবস্থান করে পুনরায় একইভাবে হাজিরা তিনটি শয়তানের ওপর পাথর নিক্ষেপ করবেন। শয়তানকে পাথর নিক্ষেপ করা শেষ হলে অনেকে সূর্যাস্তের আগেই মিনা ছেড়ে মক্কায় চলে যাবেন। আর মক্কায় পৌঁছার পর হাজিদের একটি কাজ অবশিষ্ট থাকে। সেটি হচ্ছে কাবা শরিফ তাওয়াফ করা। একে বলে বিদায়ি তাওয়াফ।

স্থানীয়রা ছাড়া বিদায়ি তাওয়াফ অর্থাৎ কাবা শরিফে পুনরায় সাত বার চক্কর দেওয়ার মাধ্যমে হাজিরা সম্পন্ন করবেন পবিত্র হজব্রত পালন।

প্রসঙ্গত, প্রতি বছরের মতো পবিত্র হজের খুতবা এবারও বাংলাসহ বহু ভাষায় অনুবাদ করা হবে। বাংলায় অনুবাদ করবেন চার জন বাংলাদেশি। তারা হলেন ড. খলীলুর রহমান, আ ফ ম ওয়াহিদুর রহমান, মুবিনুর রহমান ও নাজমুস সাকিব। তারা সবাই মক্কার উম্মুল কুরা ইউনিভার্সিটিতে পড়াশোনা করেছেন।




এপ্রিলের প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচন: প্রধান উপদেষ্টা

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস ঘোষণা দিয়েছেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন ২০২৬ সালের এপ্রিল মাসের প্রথমার্ধে যেকোনো একদিন অনুষ্ঠিত হবে।

শুক্রবার (৬ জুন) সন্ধ্যা ৭টায় পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তিনি এ ঘোষণা দেন।

ভাষণের শুরুতেই তিনি পবিত্র ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, “শিশু, কিশোর-কিশোরী, তরুণ-তরুণী, ছাত্র-ছাত্রী, নারী-পুরুষ, বয়স্ক ও বৃদ্ধ—সবাইকে জানাই আন্তরিক সালাম ও শুভেচ্ছা।”

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “আমি জানি, আগামী জাতীয় নির্বাচন কবে হবে—তা জানার জন্য রাজনৈতিক দল ও সাধারণ জনগণের মধ্যে গভীর আগ্রহ রয়েছে। এর আগেও বলেছি, এই নির্বাচন ডিসেম্বর ২০২৫ থেকে জুন ২০২৬-এর মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে। সেই সময়সীমার মধ্যেই আমরা নির্বাচন অনুষ্ঠানের পরিবেশ তৈরি করছি।”

তিনি বলেন, “বাংলাদেশের ইতিহাসে আমরা দেখেছি, ত্রুটিপূর্ণ নির্বাচন ছিল জাতীয় সংকটের মূল কারণ। নির্বাচন প্রক্রিয়ায় দুর্বলতা, অনিয়ম ও পক্ষপাতিত্বের মাধ্যমে একসময় ক্ষমতা দখলদার একটি রাজনৈতিক দল ফ্যাসিবাদী রূপ নেয়। এমন নির্বাচনের আয়োজকরা জাতির কাছে অপরাধী হিসেবে বিবেচিত হয়েছে, আর যারা ক্ষমতায় এসেছে, তারাও জনগণের ঘৃণার পাত্রে পরিণত হয়েছে।”

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “এই সরকারের অন্যতম বড় দায়িত্ব একটি পরিচ্ছন্ন, শান্তিপূর্ণ, অংশগ্রহণমূলক ও উৎসবমুখর জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করা। যাতে করে জাতি আর কোনো সংকটে না পড়ে। এজন্য সবচেয়ে জরুরি হলো প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার। যেসব প্রতিষ্ঠান নির্বাচন পরিচালনায় জড়িত, সেখানে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা না গেলে পূর্ববর্তী আত্মত্যাগ ও গণআন্দোলনের সব অর্জন ব্যর্থ হয়ে যাবে।”

প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, “সংস্কার, বিচার ও নির্বাচন—এই তিনটি ম্যান্ডেট নিয়েই আমরা দায়িত্ব গ্রহণ করেছি। আমি বিশ্বাস করি, আগামী রমজানের ঈদের মধ্যেই বিচার ও সংস্কার বিষয়ে আমরা একটি গ্রহণযোগ্য অবস্থানে পৌঁছাতে পারব। বিশেষ করে, মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার—যা জুলাইয়ের গণ-অভ্যুত্থানে শহীদদের প্রতি আমাদের সম্মিলিত দায়—সে বিষয়ে দৃশ্যমান অগ্রগতি হবে।”

তিনি বলেন, “এই ম্যান্ডেট বাস্তবায়নের অংশ হিসেবেই আমরা ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করেছি এবং চলমান সংস্কার কার্যক্রম পর্যালোচনা করেছি। সেই আলোকে আমি আজ ঘোষণা করছি—আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০২৬ সালের এপ্রিল মাসের প্রথমার্ধে যেকোনো একদিন অনুষ্ঠিত হবে। এই ঘোষণার ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন যথাসময়ে নির্বাচনের বিস্তারিত রোডম্যাপ প্রকাশ করবে।”

ভবিষ্যতের নির্বাচনী চিত্র তুলে ধরে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “আমরা এমন একটি নির্বাচন চাই, যা দেখে অভ্যুত্থানের শহীদদের আত্মা তৃপ্তি পাবে। এমন একটি নির্বাচন চাই, যেখানে থাকবে সর্বোচ্চ ভোটার উপস্থিতি, সর্বোচ্চ সংখ্যক প্রার্থী ও রাজনৈতিক দল। এই নির্বাচন যেন ইতিহাসে সবচেয়ে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচনের উদাহরণ হয়ে থাকে।”




রোহিঙ্গা ইস্যুতে একযোগে কাজ করবে বাংলাদেশ-জাপান

রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করবে জাপান। পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন টোকিওতে জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইওয়ায়া তাকেশির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেছেন। বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা হয়।

শুক্রবার (৩০ মে) জাপানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এ বৈঠক হয়।

বৈঠকের বিষয়ে জাপানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন ও জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইওয়ায়া তাকেশি দুই দেশের মধ্যে ‘কৌশলগত অংশীদারিত্ব’ পুনর্ব্যক্ত করেন। তারা অর্থনীতি, উন্নয়ন সহযোগিতা, নিরাপত্তা, জনগণের সঙ্গে যোগাযোগ এবং সাংস্কৃতিক বিনিময়ের মতো বিস্তৃত ক্ষেত্রে সহযোগিতা বৃদ্ধিতে একমত হন।

তারা উভয়েই মতামত ব্যক্ত করেন যে, উভয় দেশ মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে বাস্তুচ্যুত ব্যক্তিদের সমস্যাসহ আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বিষয়গুলোতে একসঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কার্যক্রম চালিয়ে যাবে।

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের চার দিনের জাপান সফরে সফরসঙ্গী হিসেবে অন্যান্যদের মধ্যে রয়েছেন তৌহিদ হোসেন। সফর শেষে প্রধান উপদেষ্টা এখন ঢাকার পথে রওয়ানা দিয়েছেন।




ইসলামের দৃষ্টিতে সাজসজ্জা ও পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা

পবিত্র ইসলাম ধর্ম সৌন্দর্য ও সাজসজ্জার ওপর বিশেষ গুরুত্ব প্রদান করেছে। এই ধর্ম তার অনুসারীদের নির্দেশ দেয় যে, তারা যেন সর্বদা নিজেদের জীবন থেকে কদর্যতা ও কুৎসিততার চিহ্নগুলো দূর করে এবং অন্যদের সাথে দেখা করার সময় সুসজ্জিত ও সুন্দরভাবে নিজেদেরকে উপস্থাপন করে।

এই নিবন্ধে আমরা ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গিতে সাজসজ্জা ও পরিচ্ছন্নতার গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করব।

সাজসজ্জার সংজ্ঞা

‘সাজসজ্জা’ অর্থ সুসজ্জিত হওয়া। আভিধানিকভাবে এর অর্থ ‘সাজানো বা অলংকৃত করা’। তবে এর আরও কিছু অর্থ রয়েছে, যেমন সুশৃঙ্খল ও পরিপাটি হওয়া, সামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়া এবং প্রস্তুত থাকা।

কুরআনের দৃষ্টিতে সাজসজ্জা

পবিত্র কুরআনের দৃষ্টিতে সৌন্দর্য উপলব্ধির সক্ষমতা আল্লাহর পক্ষ থেকে মানুষের আত্মায় প্রদত্ত একটি স্বভাবজাত গুণ। সৃষ্টিজগতে সুন্দর বস্তুর উপস্থিতি এই স্বভাবজাত চাহিদারই প্রতিক্রিয়া এবং এটি মহান স্রষ্টার অমূল্য নিদর্শন। আল্লাহ তায়ালা কুরআনে বলেন: “নিশ্চয়ই আমরা নিকটবর্তী আকাশকে নক্ষত্ররাজির সৌন্দর্য দ্বারা সজ্জিত করেছি।” (সূরা সাফফাত: ৬)

এই আয়াত অনুসারে, আল্লাহ নক্ষত্রগুলোকে আকাশের সৌন্দর্য হিসেবে সৃষ্টি করেছেন এবং এটিকে তাঁর নিয়ামত হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

ইমামদের (আ.) দৃষ্টিকোণ থেকে সাজসজ্জার গুরুত্ব

আমাদের পবিত্র ইমামরা সাজসজ্জা ও পরিচ্ছন্নতার গুরুত্বের ওপর জোর দিয়েছেন এবং নিজেরাই এই নীতি মেনে চলেছেন। মহানবী মুহাম্মাদ (সা.) বলেন: “আল্লাহ পবিত্র, পবিত্রতাকে ভালোবাসেন; পরিচ্ছন্ন, পরিচ্ছন্নতাকে ভালোবাসেন।”

হজরত আলী (আ.) যিনি অত্যন্ত বিনয়ী ও সরল জীবনযাপন করতেন, তবুও সাজসজ্জা ও পরিচ্ছন্নতায় অবহেলা করতেন না। তিনি বলেন:
“তোমাদের প্রত্যেকে যেন তার মুসলিম ভাইয়ের জন্য সাজে, ঠিক যেমন সে অপরিচিত ব্যক্তির জন্য সাজে যে তাকে সর্বোত্তম অবস্থায় দেখতে চায়।”

সাজসজ্জার ধরন

সাজসজ্জা দুই ধরনের হয়:

১. আত্মিক সাজসজ্জা ২. বাহ্যিক সাজসজ্জা

আত্মিক সাজসজ্জাকে তিনটি ভাগে ভাগ করা যায়:

১. চিন্তাভাবনার সাজসজ্জা– এর মধ্যে জ্ঞান, প্রজ্ঞা ও শিষ্টাচার অন্তর্ভুক্ত।

২. বাক্যের সাজসজ্জা

৩. আচরণের সাজসজ্জা

বাহ্যিক সাজসজ্জা

বাহ্যিক সৌন্দর্য্য ও সাজসজ্জা ব্যক্তিগত এবং সামাজিক জীবনের সুস্থতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে এবং এটি মানুষের প্রাকৃতিক চাহিদা ও প্রকৃতির সাথে যুক্ত। মহানবী (সা.) বলেন: ‘পরিচ্ছন্নতা ঈমানের অংশ’।#




কর্মচারীদের দাবি কাল মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে জানাবেন সচিবেরা

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

বাংলাদেশের সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ বাতিল করার বিষয়ে কর্মচারীদের দাবি আগামীকাল বুধবার মন্ত্রিপরিষদ সচিবের কাছে তুলে ধরবেন দায়িত্বপ্রাপ্ত সচিবেরা। এমন পরিস্থিতিতে আন্দোলন কর্মসূচি আগামীকাল এক দিনের জন্য স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কর্মচারীরা।

আজ (মঙ্গলবার) দুপুরের পর সচিবালয়ে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এ এস এম সালেহ আহমেদসহ কয়েকজন সচিবের সঙ্গে আন্দোলনকারী কর্মচারী নেতারা বৈঠক করেন।

বৈঠক শেষে ভূমিসচিব সাংবাদিকদের বলেন, আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলার জন্য তিনিসহ কয়েকজন সচিবকে আজ সকালে মন্ত্রিপরিষদ সচিব দায়িত্ব দেন। সে অনুযায়ী আজ তারা আন্দোলনকারীদের কথা শুনেছেন। তাদের কথা আগামীকাল সকাল ১০টায় মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে তারা জানাবেন। এ অবস্থায় কর্মচারীরা আগামীকাল কোনো কর্মসূচি করবেন না।

আন্দোলনকারীদের একজন নেতা বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা কর্মচারী ঐক্য ফোরামের কো-চেয়ারম্যান ও সচিবালয় কর্মকর্তা কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের একাংশের সভাপতি মুহা. নুরুল ইসলাম এ সময় জানান, তারা আগামীকাল কোনো কর্মসূচি পালন করবেন না।

গত বৃহস্পতিবার অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ সংশোধন করে সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫-এর খসড়া অনুমোদন হয়। এর পর থেকে এই অধ্যাদেশের বিরোধিতা করে আন্দোলনে নামেন বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কর্মচারীরা।

আন্দোলনের মধ্যেই গত রোববার সন্ধ্যায় সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ জারি করে সরকার। এই অধ্যাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে আজসহ টানা চার দিন সচিবালয়ের ভেতরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেন বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কর্মচারীরা। নিজেদের দপ্তর ছেড়ে বিপুলসংখ্যক কর্মচারী এই কর্মসূচিতে অংশ নেন।

কর্মচারীদের বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে আজ সচিবালয়ে কড়া নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়। সচিবালয়ের প্রধান ফটকে বিশেষায়িত বাহিনী সোয়াট মোতায়েন করা হয়। এ ছাড়া বিজিবি, র‍্যাবও মোতায়েন করা হয়। সচিবালয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারী ছাড়া কেউ ঢুকতে পারেননি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কড়া নিরাপত্তাব্যবস্থার মধ্যেই আজ সচিবালয়ের ভেতরে বিক্ষোভ করেন কর্মচারীরা।#

সূত্র: পার্সটুডে




দুর্গাপুরে ইট ভর্তি ট্রাকের ধাক্কায় মোটরসাইকেল চালক আনোয়ার হোসেন (২৫) এর মৃত্যু

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

নেত্রকোনার দুর্গাপুরে ইট ভর্তি ট্রাকের ধাক্কায় আনোয়ার হোসেন (২৫) নামে এক মোটরসাইকেল চালক নিহত হয়েছেন। সোমবার (২৬ মে) বিকেলে পৌরশহরের ভাঙ্গাব্রীজ সংলগ্ন ঠাকুরবাড়ী কান্দা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। আনোয়ার হোসেন কলমাকান্দা উপজেলার খারনই ইউনিয়নের বাউসাম গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ইট বোঝাই একটি ট্রাক দুর্গাপুর থেকে নাজিরপুরের দিকে যাচ্ছিল। এমন সময় মোটরসাইকেল চালক আনোয়ার হোসেন ওই ট্রাকের পাশ দিয়ে একই দিকে যাচ্ছিল। এ সময় হর্ন বাজালেও মোটরসাইকেল কে সাইড না দেয়ায় ট্রাকের ধাক্কায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই মোটরসাইকেল চালক মারা যান। এ ঘটনায় ঘাতক ট্রাকটি আটক করতে পারলেও ট্রাকের চালক পালিয়ে যান।

দুর্গাপুর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হাসান বলেন, ঘাতক ট্রাকটি পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তে পাঠানোর জন্য প্রস্ততি নেয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে নিহতের পরিবারের সাথে যোগাযোগ করা হয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা করা হলে পরবর্তীতে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।




মিথ্যা হত্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে দুর্গাপুরে হাজারো নারীদের বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

নেত্রকোনার দুর্গাপুরে বিএনপির নেতাকর্মীদের নামে হত্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (২৬ মে) দুপুরে নারী সমাজের উদ্দ্যেগে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

এ উপলক্ষে হাজারো নারীদের অংশগ্রহনে এক বিক্ষোভ মিছিল পৌরশহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিন শেষে প্রেসক্লাব মোড়ে এসে শেষে হয়। পরে এখানে ঘন্টাব্যাপি মানববন্ধন করেন তারা।

মানববন্ধনে অংশগ্রহনকারী আফরোজা আক্তার বলেন, গত বৃহস্পতিবার (২২ মে) রাতে পুর্ব-বাকলজোড়া গ্রামে সংঘঠিত বাড়ীঘর ভাংচুর, আহত ও নিহতের ঘটনায় আমার স্বামী তাজুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মূলত ঘটনার দিন সে নেত্রকোনা অবস্থান করে বাড়ির জন্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতেছিলো, যার ভিডিও ফুটেজ ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। আমার স্বামী সহ বিএনপি নেতাকর্মীদের নামে যে মিথ্যা মামলা দেয়া হয়েছে আমি প্রত্যাহারের দাবী জোর জানাই।

নারী সমাজের সদস্য জাহানারা বেগম বলেন, বিএনপি নেতাকর্মীদের নামে যে মিথ্যা মামলা দেয়া হয়েছে তা সঠিক নয়। মূলত বিএনপি‘র রাজনীতি থেকে জামাল মাস্টার সহ অন্যান্যদের কুলষিত করার জন্য, কৌশলে তাদের নাম ব্যবহার করা হয়েছে। আমরা এই মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের জন্য জোর দাবী জানাচ্ছি।

মানবাধিকার কর্মী শিউলী আক্তার বলেন, জামাল মাস্টার একজন আদর্শবান শিক্ষক, তার জনপ্রিয়তাকে ধংস করার জন্য কিছু কু-চক্রী মহল তাকে হত্যা মামলায় জড়াতে চাচ্ছে। জামাল মাস্টার উপজেলার বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রমে জড়িত, তাকে দাবিয়ে দেয়ার জন্যই এই নীল নকশা করা হয়েছে। আমি এই মামলা প্রত্যাহারের দাবী জানাই।

এ সময় অন্যদের মাঝে বক্তব্য রাখেন, শ্যামলী বেগম, হাসিনা আক্তার, তানজিনা আক্তার সাবিনা বেগম, মুন্নি আক্তার, জমিলা খাতুন ও তাহেরা বেগম প্রমুখ।




মাল্টা ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেবে: ফ্রান্স ও ব্রিটেনও একই পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে

স্পেন সহ বেশ কয়েকটি দেশের অনুসরণ করে মাল্টার প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন যে দেশটি আগামী মাসে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেবে।

ডিএনবি নিউজ আন্ত: ডেস্ক-

মাল্টার প্রধানমন্ত্রী রবার্ট অ্যাবেলা বলেছেন যে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার মাধ্যমে দেশটিতে গত ৪৫ বছরের জাতীয় বিতর্কের অবসান ঘটাবে। পার্সটুডে জানিয়েছে, মাল্টার প্রধানমন্ত্রী রবার্ট অ্যাবেলা গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসনে ৫০,০০০ এরও বেশি মানুষের নিহত হওয়ার কথা উল্লেখ করে বলেছেন, “দিন দিন পরিস্থিতির আরও অবনতি হওয়া এই মানবিক বিপর্যয়ের ব্যাপারে আমরা চোখ বন্ধ করে বসে থাকতে পারি না।”

রবিবার এক অনুষ্ঠানে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেয়ার এই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয়, যেখানে মাল্টার প্রধানমন্ত্রী রবার্ট অ্যাবেলা বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ নানা বিষয়ে নিয়ে কথা বলার পাশাপাশি গাজার মানবিক সংকটের উপর বিশেষভাবে আলোকপাত করেন।

অ্যাবেলা জর্ডানের শরণার্থী শিবির পরিদর্শন করে তার অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন। তিনি চিকিৎসার জন্য মাল্টায় আনা ফিলিস্তিনি শিশুদের সাথেও দেখা করেন।

২০ জুন একটি সম্মেলন অনুষ্ঠানের পর ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেওয়া হবে। মাল্টার প্রধানমন্ত্রী বলেছেন যে এই অঞ্চলের ক্রমবর্ধমান পরিস্থিতির কারণে এই পদক্ষেপ দেয়া একটি নৈতিক দায়িত্ব।

ফিলিস্তিনিদের সমর্থনকারী ইউরোপীয় দেশগুলোর মধ্যে স্পেন, নরওয়ে এবং আয়ারল্যান্ড গত বছর ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিয়েছে, অন্যদিকে ফ্রান্স এবং ব্রিটেনও ঘোষণা করেছে যে তারা ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেয়ার বিষয়টি ভাবছে।# সূত্র: পার্সটুডে