দুর্গাপুরে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন ও বিক্ষোভ

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) ভবনের সামনে পাহাড়ি জনগোষ্ঠী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনার প্রতিবাদে নেত্রকোনার দুর্গাপুরে মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন দুর্গাপুর উপজেলা ছাত্র সংসদ। রবিবার (১৯ জানুয়ারি) বিকালে দুর্গাপুর প্রেসক্লাব মোড়ে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে আদিবাসী শিক্ষার্থীরা, আদিবাসীদের সাংবিধানিক স্বীকৃতি চাই, সেটেলার হামলা করে প্রশাসন চুপ কেন? বিচ্ছিন্নতাবাদী বলার আগে রাষ্ট্রের কাঠামোতে সম্পৃক্ত করুন, আদিবাসীদের ওপর সাম্প্রদায়িক সহিংসতা বন্ধ করুন, বৈষম্যহীন বাংলাদেশে আদিবাসীদের সাথে বৈষম্য কেন? আমাদের কেন উপজাতি বলা হবে, এ ধরনের বিভিন্ন লিখা সম্বলিত প্লেকার্ড হাতে নিয়ে আদিবাসী শিক্ষার্থীরা মানববন্ধনে অংশ নেন।

মানববন্ধনে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন দুর্গাপুর উপজেলা সংসদ এর সভাপতি নুরে আলম খান এর সভাপতিত্বে, সাধারণ সম্পাদক জহির রায়হান এর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, আদিবসী নেতা অন্তর হাজং, অবনী কান্ত হাজং, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন জেলা কমিটির সদস্য নুরে আলম, উপজেলা কমিটির সহ:সভাপতি কবিরুল ইসলাম, সিপিবি উপজেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক রুপন কুমার সরকার, সভাপতি আলকাছ উদ্দীন মীর প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, গত ১৫ই জানুয়ারি ঢাকায় এনসিটিবি ভবনের সামনে, আদিবাসীদের ওপর হামলার তীব্র নিন্দা জানাই। আমরা এমন একটা রাষ্ট্রে বসবাস করি যেখানে ধর্মের নামে আধিপত্য বিস্তার করা হয়, জাতির নামে আধিপত্য বিস্তার করা হয়। ‘স্টুডেন্টস ফর সভেরেনটি’ নামক সন্ত্রাসী সংগঠনকে নিষিদ্ধ করা হউক। যারা এ ধরণের সন্ত্রাসী কার্যক্রম করে তারা কখনো দেশপ্রেমিক হতে পারে না। ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী নয়, পাঠ্যপুস্তকে আদিবাসী শব্দটি রাখতে হবে। আমরা এ সমাবেশ থেকে সরকারের কাছে জোর দাবি জানাই, এই হামলার সাথে জড়িত সকলকে শাস্তির আওতায় আনা হউক। মানববন্ধন শেষে এক বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।




দুর্গাপুর উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অগ্নিনির্বাপণের সব যন্ত্র মেয়াদোত্তীর্ণ

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার ৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের আগুন নেভানোর (অগ্নিনির্বাপণ) সব যন্ত্র মেয়াদোত্তীর্ণ। হাসপাতালের কয়েকটি স্থানে দেয়ালে লাগানো যন্ত্রগুলোর কোনোটিরই এখন মেয়াদ নেই। শনিবার(১৮জানুয়ারি)সকালে সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে,হাসপাতালের বহির্বিভাগ,জরুরি বিভাগসহ প্রতিটি ওয়ার্ডের দেয়ালসহ বিভিন্ন স্থানে অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র সাজিয়ে রাখা হয়েছে। মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ায় আগুন লাগলে এগুলোতে কোনো কাজে আসবে না। ওই যন্ত্রগুলোর গায়ে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী,শয্যা ওয়ার্ডের অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্রের বিতরণের সময় দেওয়া আছে ২০২০ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর। এগুলোর মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গেছে ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর। সে হিসাবে অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্রগুলোর মেয়াদ তিন বছর আগে শেষ হলেও এখনো পরিবর্তন করা হয়নি। কোনোটার প্রস্তুত/উত্তীর্ণের তারিখও লিখা নেই,নাম মাত্র সাজিয়ে রাখা হয়েছে। অন্যদিকে বহি:র্বিভাগ,জরুরি বিভাগসহ হাসপাতালের বিভিন্ন স্থানের অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্রের বিতরণের সময় দেওয়া আছে ২০২৩ সালের ৮ জুন। এগুলোর মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গেছে ২০২৪ সালের ৭ জুন। ৫০শয্যার এ হাসপাতালে দুর্গাপুর উপজেলাসহ আশপাশের আরো দুইটি উপজেলার ৫০০ থেকে ৭০০ রোগী চিকিৎসা নেন প্রতিদিন। সেখানে রয়েছেন চিকিৎসকসহ স্টাফরা। এ ছাড়াও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসা রোগী ও স্বজনরাও রয়েছেন ঝুঁকিতে। এমন একটি জনগুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের অগ্নিদুর্ঘটনায় ভরসা অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্রগুলো। অনেকে বলছেন, এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে মেয়াদোত্তীর্ণ সিলিন্ডার রেখে দুর্ঘটনা রোধে কর্তৃপক্ষ কী করে ভরসা রাখছে, জানা নেই। তবে এমন উদাসীনতায় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। শহিদ মিয়া নামের একজন বলেন, এমন পরিস্থিতিতে হঠাৎ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটলে সঙ্গে সঙ্গে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ আগুন নেভাতে পারবে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। দ্রুত এগুলো পরিবর্তন প্রয়োজন। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা মেডিকেল অফিসার ডাঃ মো. তানজিরুল ইসলাম রায়হান বলেন, আমাদের ১০ টির মতো আগুন নেভানোর যন্ত্র আছে কিন্তু কোনোটারই মেয়াদ নেই। আমরা মৌখিকভাবে ফায়ার সার্ভিসকে জানিয়েছি। দুর্গাপুর উপজেলা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার(ভারপ্রাপ্ত)মনজুর ফরাজি প্রতিবেদককে বলেন, আমি নতুন এসেছি বিষয়টি জানা নেই। স্যার ছুটিতে আছেন ওনি আসলে বিষয়টি বলতে পারবেন। তবে এটির রাসায়নিকের মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ায় প্রয়োজনে কোনো কাজেই আসবে না। নেত্রকোনা জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ অনুপম ভট্টাচার্য্য প্রতিবেদককে জানান,যিনি এখন দায়িত্বে আছেন উনার সাথে কথা বলবো। তাছাড়াও হাসপাতালটিতে নতুন স্বাস্থ্য কর্মকর্তা যোগদান করবেন। ইতিমধ্যে চিঠি লিখা হয়েছে। আশা করছি দ্রুতই যোগদান করবেন এবং যন্ত্র গুলো কার্যকরি করে আনতে গুরুত্ব দেওয়া হবে।




সরকারের সময়সীমা অনুযায়ী ভোটের প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন জানিয়েছেন, নির্বাচন কমিশন কোনও রাজনৈতিক দলের পক্ষ নিচ্ছে না এবং সংবিধানের আওতাতেই কাজ করছে। সরকারের নির্ধারিত সময়সীমা অনুযায়ী ইসি নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছে।

রবিবার ( ১৯ জানুয়ারি ) সকালে রাজধানীর আগারগাঁও নির্বাচন কমিশন ভবনে ভোটার তালিকা হালনাগাদে প্রয়োজনীয় ল্যাপটপ, স্ক্যানারসহ অন্যান্য সরঞ্জাম হস্তান্তর করে জাতিসংঘের উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি)। ওই অনুষ্ঠানে সিইসি এ কথা বলেন।

এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন কোনোভাবেই রাজনীতিতে জড়াতে চায় না। দেশের জনগণ আমাদের কাছ থেকে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আশা করে। আমরা সেই প্রত্যাশা পূরণে অঙ্গীকারবদ্ধ। মানুষের যে সন্দেহ রয়েছে, তা দূর করতে ভোটার তালিকা হালনাগাদ প্রক্রিয়াকে স্বচ্ছতার সঙ্গে সম্পন্ন করা হবে।’

সিইসি বলেন, ‘ভোটার তালিকা কার্যক্রমে সহযোগিতার জন্য আমরা ইউএনডিপির কাছে অনুরোধ জানিয়েছিলাম। তারা খুব দ্রুত সময়ে সহায়তা করেছে। আমরা পুরো নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় তাদের সহযোগিতা চাই। আমাদের মতো তারাও একটি সুষ্ঠু নির্বাচন দেখতে আগ্রহী।’

ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি স্টেফেন লিলার জানান, রাজনৈতিক দলসহ বিভিন্ন অংশীজনের সঙ্গে বৈঠকের মাধ্যমে কীভাবে সহযোগিতা করা যায়, তা নির্ধারণ করা হবে।

অনুষ্ঠানে ভোটার তালিকা হালনাগাদের জন্য নির্বাচন কমিশনের হাতে ১৭৫টি ল্যাপটপ, ২০০টি স্ক্যানার এবং বাড়ি বাড়ি তথ্য সংগ্রহে ব্যবহারের জন্য ৪ হাজার ৩০০টি ব্যাগ তুলে দেওয়া হয়।




সীমান্তের ঘটনা ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখতে বলেছে বিএসএফ

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার কিরণগঞ্জ সীমান্ত এলাকা দিয়ে অনুপ্রবেশ করে বাংলাদেশিদের আম গাছের ডাল কেটে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছে বিএসএফ ও ভারতীয়রা। এ সময় বিজিবি স্থানীয়দের সাথে নিয়ে তাদের এই কার্যক্রমকে রুখে দেয়। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। তবে দুইজনের নাম নিশ্চিত করেছে এলাকাবাসী।

শনিবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার বিনোদপুর ইউনিয়নের কিরণগঞ্জ সীমান্ত এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন- শিবগঞ্জ উপজেলার বিনোদপুর ইউনিয়নের ঝাইটন আলীর ছেলে আসমাউল (১৮) এবং একই এলাকার বাবু (২৬)।

বিজিবি জানিয়েছে, এ ঘটনায় বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিষয়টি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখতে বলেছে বিএসএফ।

বিজিবির তাৎক্ষণিক পদক্ষেপে ভারতীয়রা পিছু হটে এবং বিকেল ৪টার দিকে বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। পতাকা বৈঠকে গাছ কাটার বিষয়টিকে কেন্দ্র করে ঘটা ঘটনায় ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখতে বলেছে বিএসএফ।
স্থানীয়রা জানান, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে হঠাৎ করে বিএসএফ ও শতাধিক ভারতীয় মিলে ভারতীয় সীমান্ত এলাকায় অনুপ্রবেশ করে এবং বাংলাদেশ প্রান্তের ১২ থেকে ১৫টি আম গাছ কেটে ফেলে। পরে বিজিবির টহল দল মাইকিং করে স্থানীয়দের সহযোগিতার আহ্বান জানান। এ সময় স্থানীয়রা বিজিবিকে সহযোগিতা করতে সীমান্ত এলাকায় ছুটে আসেন। দুই পাশে উত্তেজনা দেখা দেয়। বিএসএফ সদস্যরা ৪টি সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। স্থানীয় ভারতীয়রা পাথর ছুঁড়ে মারে। এতে বেশ কয়েকজন বাংলাদেশি আহত হয়েছেন। পরে ভারতীয়রা কাটা গাছ ও ডালপালা ফেলে পালিয়ে যায়।

বিনোদপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা হাবিবুর রহমান বলেন, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিজিবির সহযোগিতার মাইকিং শুনে বিজিবিকে সহযোগিতা করতে এগিয়ে আসি। এ সময় বিএসএফ ও ভারতীয় নাগরিকরা সাউন্ড গ্রেনেড, টিয়ারশেল, ককটেল ও পাথর নিক্ষেপ করে। এছাড়া ভারতীয়রা জয় শ্রীরাম স্লোগান দেয় এবং বাংলাদেশের নাগরিকরা নারায়ে তাকবির, আল্লাহু আকবার স্লোগান দেয়। পরে আমাদের পাল্টা ধাওয়ায় তারা কাটা গাছ ফেলে পালিয়ে যায়।

৫৯ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল গোলাম কিবরিয়া বলেন, বাংলাদেশ সীমান্তের মধ্যে গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে দুই দেশের সীমান্তবর্তী এলাকাবাসীর মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার সৃষ্টি হয়। পরে বিজিবির তাৎক্ষণিক পদক্ষেপে ভারতীয়রা পিছু হটে এবং বিকেল ৪টার দিকে বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। পতাকা বৈঠকে গাছ কাটার বিষয়টিকে কেন্দ্র করে ঘটা ঘটনায় ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখতে বলেছে বিএসএফ। বর্তমানে পরিস্থিতির স্বাভাবিক আছে।




গাজার পূর্ণ দায়িত্ব নিতে প্রস্তুত ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ : আব্বাস

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

গাজা উপত্যকার পূর্ণ দায়িত্ব নিতে সম্পূর্ণ প্রস্তুত আছে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ফিলিস্তিনের সরকারি জোট ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ (পিএ)। শুক্রবার ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট এবং পিএ জোটের বৃহত্তম শরিক ফাতাহের শীর্ষ নেতা মাহমুদ আব্বাসের দপ্তর থেকে এক বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে এ তথ্য।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “প্রেসিডেন্ট আব্বাসের নির্দেশনা অনুযায়ী গাজা উপত্যকার পূর্ন দায়দায়িত্ব নিতে যাবতীয় প্রস্তুতির শেষ করেছে ফিলিস্তিনের সরকার। এই দায়িত্ব পালনের জন্য যেসব প্রশাসনিক ও নিরাপত্তা টিম প্রয়োজন, সেসব গঠনের কাজও শেষ হয়েছে।”

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার গাজার বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের ফিরিয়ে আনা, পানি ও বিদ্যুতসহ জরুরি সব পরিষেবা ফের চালু করা, সীমান্ত ব্যবস্থাপনা এবং উপত্যকার ভবন, রাস্তাঘাট ও অবকাঠামো পুনর্গঠনের কাজে নেতৃত্ব দেবে পিএ।

গাজা উপত্যকায় এক সময় ফাতাহ ক্ষমতাসীন ছিল। ২০০৬ সালের নির্বাচনে সেখানে হামাস জয়ী হয়। তারপর ২০০৭ সাল শেষ হওয়ার আগেই ফাতাহকে উপত্যকা থেকে বিদায় করে হামাস। বস্তুত ২০০৬ সালের পর আর কোনো নির্বাচন হয়নি গাজায়।

ফলে, গত প্রায় ১৯ বছর ধরে উপত্যকা নিয়ন্ত্রণ করছে হামাস। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ভূখণ্ডে যে অতর্কিত হামলা ঘটেছিল, তার মূল পরিকল্পনাকারী এবং নেতৃত্বের ভূমিকায়ও ছিল হামাস। নজিরবিহীন সেই হামলায় নিহত হয়েছিলেন ১ হাজার ২০০ জন। পাশাপাশি ২৫০ জনকে জিম্মি হিসেবে গাজায় ধরে নিয়ে গিয়েছিল হামাস ও প্যালেস্টাইনিয়ান ইসলামিক জিহাদের যোদ্ধারা।

হামলার জবাব দিতে এবং আটক জিম্মিদের উদ্ধার করতে ওই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী, যা পুরোপুরি শেষ হচ্ছে আগামীকাল রোববার। ১৫ মাসের ভয়াবহ এই অভিযানে গাজায় নিহত হয়েছেন ৪৬ হাজার ৭ শতাধিক এবং আহত হয়েছেন আরও ১ লাখ ১৫ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি। এছাড়া উপত্যকার প্রায় ২২ লাখ জনসমষ্টির অধিকাংশই বাড়িঘর ছেড়ে উদ্বাস্তু হতে বাধ্য হয়েছেন।




আপনাদের সঙ্গে দেখা হলে, বসতে পারলে খুব ভালো লাগে মনে সাহস পাই : প্রধান উপদেষ্টা

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস রাজনৈতিক নেতাদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনাদের সঙ্গে দেখা হলে, বসতে পারলে খুব ভালো লাগে। মনে সাহস পাই। কারণটা পরিষ্কার, এ সরকারের জন্ম হয়েছে ঐক্যের মাঝখানে, ঐক্যের দ্বারা এটা সৃষ্টি। যখন আমরা নিজেরা নিজেরা কাজ করি, তখন দেখি একা পড়ে গেছি, আশেপাশে কেউ নেই আপনারা। তখন একটু দুর্বল মনে করি। যখন আবার সবাই একসঙ্গে কাজ করি তখন মনের মধ্যে সাহস বাড়ে, একতাবদ্ধভাবে আছি। একতাতেই আমাদের জন্ম। একতাতেই আমাদের শক্তি।

তিনি বলেন, ৫ আগস্ট ছিল আমাদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার প্রতীক। ওইদিন পুরো অনুভূতিটাই ছিল একতার অনুভূতি। তাই এখন কিছু করতে হলে সবার মতামতের ভিত্তিতে করতে হবে। যাতে কেউ বলতে না পারে, তুমি অমুক, তুমি তমুক। কাজেই জুলাই ঘোষণাপত্র সবার মতামতের ভিত্তিতে করতে চাই।

তিনি বলেন, আপনারা দোয়া করবেন আমি যতদিন আছি। এই একতা নিয়েই থাকব। কাজেই সেই পথেই আমাদের চলতে হবে। যখন আপনাদের সঙ্গে বসি তখন সেই সাহসটা দেন। আজকে আপনাদের দেখে খুবই সাহসী মনে হচ্ছে। ৫ আগস্টের কথা স্মরণ করে আমরা একতাবদ্ধ আছি। সেই একতাকে কীভাবে মানুষের সামনে প্রকাশ করবো, ৫ আগস্টকে রিক্রিয়েট করবো, সেটি এখন আলাপের বিষয়বস্তু হবে।

আজ বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর বেইলি রোডে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র নিয়ে সর্বদলীয় বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।

ড. ইউনূস বলেন, যে লক্ষ্য নিয়ে বা উদ্দেশ্য নিয়ে এ সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, সে সরকার নতুন উদ্যম পায়। সবার সঙ্গে দেখলে প্রাণ সঞ্চার হয়।

তিনি বলেন, মাঝখানে একদিন ছাত্ররা এসে বললো তারা একটা ঘোষণাপত্র দেবে। আমাকেও সেখানে থাকতে হবে। বুঝতে চাইলাম কি ঘোষণাপত্র দিচ্ছে, বললো। আমি বললাম এটা হবে না। আমার চাওয়াটা হবে না, তোমাদের চাওয়াটাও হবে না। তোমরা যদি ৫ আগস্টে ফিরে যেতে চাও, সেদিনের পরিপ্রেক্ষিতে যা হয়েছিল সেটাকে রিক্রিয়েট করতে হবে। একা এটা করা যাবে না। ওইদিনের পুরো অনুভূতিটাই ছিল একতার অনুভূতি। কেউ বলে নাই তুমি অমুক, তুমি তমুক। কাজেই তোমরা করতে চাইলে সবাইকে নিয়েই করতে হবে। এটা পরিষ্কার। না করলে এটা ঠিক হবে না।

ড. ইউনূস বলেন, যে একতা দিয়ে তোমরা ৫ আগস্ট সৃষ্টি করেছিলে সেটার অবমাননা হবে। তারা আমার কথাই খুব খুশি হয়নি। কিন্তু ক্রমে তারা বুঝলো ৫ আগস্ট রিক্রিয়েট করতে হলে এইভাবে করতে হবে। সেই কথা থেকে এ আলাপ শুরু। আজকে আলোচনা একে কেন্দ্র করেই হবে। আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে করতে না পারলে উদ্দেশ্যে ব্যাহত হবে। দরকারও নেই। ঐক্যের মাধ্যমে করলে সবার মনে সাহস আসবে। সবাই ভাববে আমরা তো জেগে আছি এখনো। আমরা ভোঁতা হয়ে যাইনি। আমাদের অনুভূতি ভোঁতা হয়নি এখনো, এখনো চাঙা আছে। আমরা জাতি হিসেবে ঐক্যবদ্ধ আছি।

ঘোষণাপত্রের বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটা নিয়ে সর্বসম্মতিক্রমে সবার সামনে আসতে পারি, তা দেশের জন্য ভালো। আন্তর্জাতিকভাবেও ভালো। সবাই দেখবে যে এ জাতির মধ্যে বহু ঠোকাঠুকি হয়েছে কিন্তু নড়ে না। স্থির হয়ে আছে, শক্ত হয়ে আছে। তা সারা দুনিয়াকে জানাতে চাই, দেশবাসীকে জানাতে চাই।




সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর মুক্তি পাচ্ছেন বৃহস্পতিবার

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

আলোচিত ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলায় যাবজ্জীবন সাজা থেকে খালাস পেয়েছেন বিএনপি নেতা ও সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর। তার মুক্তিতে এখন আর বাধা নেই। এছাড়া এই মামলায় আরও চারজনকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন উলফার সামরিক কমান্ডার পরেশ বড়ুয়াসহ পাঁচজনের সাজা কমানো হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) দুপুরে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি নাসরীন আক্তারের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।

লুৎফুজ্জামান বাবরের পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) দুপুর ২টায় ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার (কেরানীগঞ্জ) থেকে মুক্তি পাবেন তিনি।

এদিকে, ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলায় বাবরের পাশপাশি খালাস পেয়েছেন মহসীন তালুকদার, এনামুল হক, রেজ্জাকুল হায়দার ও নুরুল আমিন। তবে পরেশ বড়ুয়া ১৪ বছর ও ১০ বছর করে আকবর হোসেন, লিয়াকত হোসেন, হাফিজুর রহমান, শাহাবুদ্দিনকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

এ ছাড়া মৃত্যুজনিত কারণে আপিল অ্যাবেটেড মতিউর রহমান নিজামী, দীন মোহাম্মদ ও আব্দুর রহিম, হাজি আব্দুস সোবহানকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। ফলে রায়ে আদালত ১৪ আসামির মধ্যে পাঁচজনকে সাজা, পাঁচজনকে খালাস ও চারজন মারা যাওয়ায় তাদের অব্যাহতি দিয়েছেন।

১০ ট্রাক অস্ত্র আটকসংক্রান্ত দুটি মামলার মধ্যে চোরাচালান মামলায় (বিশেষ ক্ষমতা আইনে) সাবেক শিল্পমন্ত্রী ও জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামী, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর এবং ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন উলফার সামরিক কমান্ডার পরেশ বড়ুয়াসহ ১৪ আসামিকে ২০১৪ সালের ৩০ জানুয়ারি মৃত্যুদণ্ড দিয়ে রায় দেন চট্টগ্রামের স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক এসএম মজিবুর রহমানের আদালত।

অস্ত্র আইনে দায়ের অন্য মামলাটিতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ পেয়েছেন একই আসামিরা। এ ছাড়া অস্ত্র আটক মামলার অপর ধারায় সাত বছর কারাদণ্ড দেন বিচারক। দণ্ডপ্রাপ্ত প্রত্যেক আসামিকে ৫ লাখ টাকা করে জরিমানাও করা হয়।

মৃত্যুদণ্ড ও যাবজ্জীবন দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত অন্য ১১ জন হলেন- এনএসআইর সাবেক মহাপরিচালক অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল রেজ্জাকুল হায়দার চৌধুরী, এনএসআইর সাবেক মহাপরিচালক অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আব্দুর রহিম, ডিজিএফআইর সাবেক পরিচালক (নিরাপত্তা) অবসরপ্রাপ্ত উইং কমান্ডার সাহাবুদ্দিন আহমেদ, এনএসআইর সাবেক উপপরিচালক অবসরপ্রাপ্ত মেজর লিয়াকত হোসেন, এনএসআইর সাবেক মাঠ কর্মকর্তা আকবর হোসেন খান, রাষ্ট্রায়ত্ত সার কারখানা চিটাগং ইউরিয়া ফার্টিলাইজার লিমিটেডের (সিইউএফএল) সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহসিন উদ্দিন তালুকদার, সিইউএফএলের সাবেক মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) কেএম এনামুল হক, সাবেক ভারপ্রাপ্ত শিল্পসচিব নুরুল আমিন, চোরাচালানি হিসেবে অভিযুক্ত হাফিজুর রহমান, অস্ত্র খালাসের জন্য শ্রমিক সরবরাহকারী দীন মোহাম্মদ ও ট্রলার মালিক হাজী আবদুস সোবহান।

পরে নিয়ম অনুযায়ী, ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে পাঠানো হয়। পাশাপাশি কারাবন্দি আসামিরা আপিল করেন। এরপর পেপারবুক প্রস্তুত করা হয়।




আগামী কাল ঐতিহ্যবাহী জামিয়া শাহিদিয়া ইমদাদিয়া ঝাঞ্জাইল মাদ্রাসার ইসলামী মহা সম্মেলন

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

নেত্রকোনা জেলার দুর্গাপুর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জামিয়া শাহিদিয়া ইমদাদিয়া ঝাঞ্জাইল মাদ্রাসার আগামীকাল মঙ্গলবার বেলা ২ ঘটিকা হইতে বাৎসরিক ইসলামী মহা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হইবে ।

উক্ত মহা সম্মেলনে পীরে কামেল, আলহাজ্ব আল্লামা জিয়াউদ্দিন সাহেব এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন, কারানির্যাতিত মজলুম আলেমে দ্বীন, শাইখুল হাদীস ইবনে শাইখুল হাদীস, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশের সম্মানিত আমীর, আল্লামা মামুনুল হক, অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখবেন মাওলানা মুফতি খালেদ সাইফুল্লাহ্ আইয়ুবী, মাওলানা মুফতি মুজিবুর রহমান চাটগামী, মাওলানা মুফতি ইলিয়াছ হামিদী , মাওলানা মুফতী অলিউল্লাহ্, মাওলানা মুফতি মাহমুদুল হাসান আশরাফী, মাওলানা মুফতি সালমান ফার্সী, মাওলানা মুফতি আনিসুর রহমান, মাওলানা মুফতি উবায়দুর রহমান হোজাইফী, মাওলানা মুফতি আবুল কালাম তৈয়্যবী, মাওলানা মুফতি আব্দুল মালেক, মাওলানা মুফতি এনামুল হক আইয়ুবী প্রমূখ। আরোও দেশ বরেণ্য উলামায়ে কেরাম ওয়াজ ও নছীহত পেশ করবেন।

মাহফিল কর্তৃপক্ষ সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন। ।




সীমান্তে বেড়া নির্মাণ বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছে ভারত: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

বিজিবি এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের শক্ত অবস্থানের কারণে ভারত সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

রোববার (১২ জানুয়ারি) সচিবালয়ে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, সীমান্তের ১৫০ গজের মধ্যে ভারত কোনোভাবেই কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ করতে পারবে না। তবে ১৫০ গজের বাইরে হলে আপত্তি থাকবে না।

তিনি বলেন, ভারতকে এসব নির্মাণ কাজ করতে দেওয়া হবে না। ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানানো হয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ভারতীয় হাই কমিশনারকে ডেকে দুই একদিনের মধ্যেই বিস্তারিত তথ্য জানাবে এবং নির্মাণ কাজের প্রতিবাদ জানাবে।

লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ২০১০ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ভারত সীমান্তে কিছু অসম কাজ করেছে, যেগুলো তাদের করা উচিত হয়নি। আমাদের আগের সরকার তাদের সেই সুযোগ দিয়েছিল। বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে ৪ হাজার ১৫৬ কিলোমিটার সীমান্তের ৩ হাজার ২৭১ কিলোমিটার সীমান্তে ভারত কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ কাজ শেষ করেছে। বাকি ৮৮৫ কিলোমিটার সীমান্তে ভারত কাঁটাতারের নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে।

তিনি বলেন, দুদেশের চুক্তি অনুসারে যেকোনো স্থানে এ ধরনের উন্নয়ন কাজ করতে হলে দুদেশের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে করতে হবে। কিন্তু ভারত সেটি করেনি।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, সম্প্রতি সীমান্তের পাঁচটি জায়গায় কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ কাজ শুরু করে ভারত। কিন্তু, বিজিবির এবং স্থানীয়দের শক্ত অবস্থানের কারণে ওই সব স্থানে কাজ বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে তারা।




পার্লামেন্ট জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ঢাকা মেইলের হারুন জামিল

ডিএনবি নিউ ডেস্ক :

জাতীয় সংসদ বিটের সাংবাদিকদের সংগঠন বাংলাদেশ পার্লামেন্ট জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিজেএ) সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন ঢাকা মেইলের হেড অব নিউজ হারুন জামিল। আর সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন শওকত আলী খান লিথো।

নতুন সভাপতি হারুন জামিল পেয়েছেন ৬২ ভোট। একই পদের অন্য প্রার্থী দৈনিক কালের কণ্ঠের নিখিল ভদ্র পেয়েছেন ৫০ ভোট।

শনিবার (১১ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে বাংলাদেশ পার্লামেন্ট জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিজেএ) বার্ষিক সাধারণ সভা শেষে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। বেলা ১২টা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত চলে ভোটগ্রহণ।

এতে সভাপতি পদে নির্বাচিত হন হারুন জামিল। সাধারণ সম্পাদকসহ বাকি পদগুলোতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রার্থীরা নির্বাচিত হন। তবে কার্যনির্বাহী সদস্য পদে ক্রমধারা নির্ধারণে ভোট দিয়েছেন ভোটাররা।

সহসভাপতি পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন ফয়েজ উল্লাহ ভুঁইয়া। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে মিজানুর রহমান, অর্থ সম্পাদক পদে শাহজাহান মোল্লা, দফতর সম্পাদক পদে নাজমুল ইসলাম তানিম আহমেদ নির্বাচিত হয়েছেন।

নির্বাহী সদস্য পদে নির্বাচিতরা হলেন মশিউর রহমান (৭১ ভোট), মনিরুল ইসলাম (৫১ ভোট), রফিকুল ইসলাম সবুজ (৫১ ভোট), জাহাঙ্গীর কিরণ (৫০ ভোট) ও হাবিবুর রহমান পঞ্চায়েত (৪৮ ভোট)।

এই নির্বাচনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করেন জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের পরিচালক (গণসংযোগ-২) মো. এমদাদুল হক। আর নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করেন সংসদ সচিবালয়ের কর্মকর্তা নীলুফার ইয়াসমিন ও মো. শোয়াইব।