দুর্গাপুরে মেডিকেল ক্যাম্প উদ্বোধন করলেন : ব্যারিস্টার কায়সার কামাল

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

‘‘মানুষ মানুষের জন্য-জীবন জীবনের জন্য’’ এই প্রতিপাদ্যে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের প্রতিষ্ঠাতা, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের আয়োজনে, ডক্টরস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) এর সহযোগিতায় নেত্রকোনার দুর্গাপুরে বিনামুল্যে ঔষধ বিতরণ ও মেডিক্যাল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার দুপুরে এই ক্যাম্পের উদ্বোধন করেন কেন্দ্রীয় বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।

গাঁওকান্দিয়া ইউনিয়নের প্রত্যন্ত অঞ্চলে, ভাদুয়া নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে ময়মনসিংহ থেকে হৃদরোগ, চক্ষু সেবা, গাইনী, অর্থোপেডিক্স, ডায়াবেটিস, শিশু রোগ, নাক কান গলা, চর্ম ও মেডিসিন সহ প্রায় ১৫টি রোগের ২৯জন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার এই মেডিকেল ক্যাম্পে বিনামুল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান করেন। পরবর্তিতে প্রায় ২ হাজার গরীব ও দুঃস্থ্য রোগীদের মাঝে বিনামুল্যে ঔষধ বিতরণ করা হয়।

এ সময় অন্যদের মাঝে, জেলা বিএনপি‘র সাবেক সহ:সভাপতি আলহাজ্ব ঈমাম হাসান আবুচান, উপজেলা বিএনপি‘র সাবেক সভাপতি এম এ জিন্নাহ্, উপজেলা বিএনপি‘র আহবায়ক জহিরুল আলম ভুইয়া, যুগ্ন-আহবায়ক জামাল উদ্দিন মাস্টার, সদস্য সচিব আবদুল আওয়াল, পৌর বিএনপি‘র আহবায়ক ফরিদ আলী, সদস্য সচিব হারেজ গণি, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মাজারুল ইসলাম রিপন, পৌর যুবদলের আহ্বায়ক আবু সিদ্দিক রুক্কু, সদস্য সচিব সম্রাট গনি সহ বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীগণ উপস্থিত ছিলেন।

ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, বিএনপি মাটি ও মানুষের দল। বিএনপি‘র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, সাধারণ মানুষের সুখ দুঃখের পাশে থেকে রাজনীতি করার নির্দেশ দিয়েছেন। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকার বাংলার মানুষের ওপর যে নির্যাতন চালিয়েছে, তারই প্রেক্ষিতে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। ফ্যাসিস্ট সরকারের কোন কর্মসুচী এই বাংলায় আর প্রতিষ্ঠিত হবে না। দেশের স্বার্থে জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ের সকল বিএনপি‘র নেতাকর্মীদের এক হয়ে কাজ করার আহবান জানিয়েছেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।

তিনি আরও বলেন, গত ১৬ বছর ফ্যাসিস্ট সরকার, এ দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে শুরু করে গ্রাম বাংলা ও শহরের আনাচে-কানাচে প্রতিটি মানুষের রক্ত চুষে খেয়েছে। বিএনপি সেই রাজনীতির আমুল পরিবর্তন করে, মানুষের অধিকার নিশ্চিত করতে চাই। বিএনপি‘র পক্ষ থেকে জনগণের সেবা দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে চাই। সাধারণ মানুষ যেন বুঝতে পারে বিএনপি মানে জনকল্যাণমূলক রাজনীতি, বিএনপি মানে দেশমাতৃকা ও সাধারণ মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের রাজনীতি। সেই লক্ষ্য নিয়েই আজকের এই ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প করা হয়েছে। বিএনপি‘র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানের নির্দেশে সারা বাংলাদেশের প্রত্যন্ত এলাকায়, মানবতার কল্যানে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কাজ করে আসছি।

উল্লেখ্য : গত অক্টোবরে আকস্মিক বন্যায় দুর্গাপুর উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে গাঁওকান্দিয়া ইউনিয়ন। অত্র এলাকার সাধারণ মানুষ, বাড়িতে থেকে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের চিকিৎসা সেবা ও বিনামুল্যে ঔষধ পেয়ে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, বিএনপি‘র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং দুর্গাপুর-কলমাকান্দা এলাকার মানুষের আস্থার প্রতিক, কেন্দ্রীয় বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামালের জন্য দোয়া ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।




গাজা উপত্যকায় বাধাহীনভাবে ত্রাণ সরবরাহের সুযোগ দিন

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় বাধাহীনভাবে ত্রাণসাহায্য পৌঁছানোর সুযোগ দিতে ইহুদিবাদী ইসরাইলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ।

জাতিসংঘের প্রধানের মুখপাত্র স্টিফান ডুজারিক গতকাল (শুক্রবার) বলেছেন, আন্তর্জাতিক মানবিক আইন অনুসারে, বেসামরিক নাগরিকরা যেখানেই থাকুক না কেন তাদের সহায়তা পাওয়ার সুযোগ দেয়া উচিত।

স্টিফান ডুজারিক বলেন, ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ উত্তর গাজার হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা সামগ্রী পৌঁছানোর অনুরোধ অস্বীকার করে চলেছে। তিনি বলেন, “বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আমাদের বলে যে, ইসরাইল কর্তৃপক্ষ উত্তর গাজার কামাল আদওয়ান এবং আল-আওদা হাসপাতালে চিকিৎসা সামগ্রী পৌঁছানোর অনুরোধ নাকচ করেছে।”

ডুজারিকের মতে, গত সপ্তাহে হাসপাতালে একটি আন্তর্জাতিক জরুরি মেডিকেল টিম মোতায়েনের তিন দফা প্রচেষ্টায় বাধা দিয়েছে ইসরাইল।

উত্তর গাজা এক মাসেরও বেশি সময় ধরে সর্বাত্মক অবরোধের মধ্যে রয়েছে এবং সেখানকার লোকজনকে সরিয়ে নেয়ার নির্দেশ দিয়েছে ইসরাইল। সেখানে ব্যাপক হত্যাযজ্ঞ চালাচ্ছে দখলদার সেনারা। এ অবস্থায় ফিলিস্তিনিরা দক্ষিণে যাওয়ার চেষ্টা করছে কিন্তু ইসরাইলি স্নাইপাররা এবং ড্রোন তাদেরকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করছে।

# সুত্র: পার্সটুডে




ইসলামী সহযোগিতা সংস্থা বা ওআইসি’র শীর্ষ সম্মেলনে মুসলিম ও আরব লীগ-নেতৃবৃন্দ যা বললেন

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

সম্প্রতি সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে আরব লীগ ও ইসলামী সহযোগিতা সংস্থার জরুরি শীর্ষ বৈঠকে গাজা ও লেবাননে ইসরাইলি গণহত্যা অভিযান তথা জাতিগত শুদ্ধি অভিযানের ধ্বংসাত্মক ফলাফল নিয়ে পর্যালোচনা হয়েছে।

চলতি সপ্তায় গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসনের চারশত দিন অতিবাহিত হল। প্রায় অর্ধ লক্ষ ফিলিস্তিনি শহীদ হয়েছেন এ আগ্রাসনে যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।

ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের অনুরোধে আয়োজিত এই শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নিয়েছেন বিশ্বের ৫৮টি মুসলিম দেশের নেতৃবৃন্দ। এতে অংশ নিয়েছেন ইসলামী ইরানের ভাইস প্রেসিডেন্ট মুহাম্মাদ রেজা আরেফ, ফিলিস্তিনি স্বশাসন কর্তৃপক্ষের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস, লেবাননের প্রধানমন্ত্রী নাজিব মিকাতি, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগান, সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদসহ আরও অনেক খ্যাতনামা মুসলিম নেতৃবৃন্দ। সৌদি যুবরাজ মুহাম্মাদ বিন সালমান ছিলেন এই সম্মেলনের মিজবান।

এই সম্মেলনের সমাপনী বৈঠকের ইশতেহারে পূর্ব বায়তুল মুকাদ্দাসকে রাজধানী করে স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার ওপর জোর দেয়া হয়। এ অঞ্চলের ওপর ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্বকে মৌলিক ও রেড-লাইন বা লাল সীমানা বলে উল্লেখ করা হয়েছে। বায়তুল মুকাদ্দাসের ইহুদিকরণ ও সেখানে দখলদারিত্বের ইসরাইলি পদক্ষেপও প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে ওই ইশতেহারে। ওই ইশতেহারে এটাও বলা হয়েছে যে ফিলিস্তিনে ইসরাইলি দখলদারিত্ব জোরদারের বিষয়ে ইসরাইলি শাসকগোষ্ঠীর সিদ্ধান্ত অগ্রহণযোগ্য ও অবৈধ এবং এ ধরনের সিদ্ধান্ত জাতিসংঘের নানা ঘোষণা ও আন্তর্জাতিক আইনেরও পরিপন্থী।

মুসলিম দেশগুলো গাজায় ও লেবাননে ইসরাইলি সহিংস আচরণ জোরদারে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে একে নৃশংস অপরাধযজ্ঞ বলে উল্লেখ করেছে এবং ইসরাইলের পক্ষ থেকে ইরান, ইরাক ও সিরিয়ার সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘনের বিরুদ্ধেও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছে। এ ছাড়াও হাজার হাজার ফিলিস্তিনির নিখোঁজ হওয়া এবং ইসরাইলি কারাগারগুলোতে ফিলিস্তিনিদের ওপর নির্যাতন ও তাদের সঙ্গে ইসরাইলের অবমাননাকর আচরণেরও নিন্দা জানানো হয়। আরব ও মুসলিম দেশগুলো এই সম্মেলনে লেবাননের প্রতি পরিপূর্ণ বা সর্বাত্মক সমর্থন জানিয়েছে এবং দেশটির নিরাপত্তা, স্থিতিশীলতা ও নাগরিকদের কল্যাণের প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ থাকার কথা ঘোষণা করেছে।

একই ইশতিহার বা বিবৃতিতে গাজা ও লেবাননে যুদ্ধ-বিরতি প্রতিষ্ঠা না হওয়ার জন্য ইসরাইলকে দায়ী করার পাশাপাশি এ দুই অঞ্চলে যুদ্ধ-বিরতি কার্যকর করতে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে বাধ্যতামূলক প্রস্তাব পাস করার আহ্বান জানানো হয়েছে।

এই ইশতেহারে ইসরাইলের সহযোগী সরকারগুলোর দ্বিমুখী নীতির নিন্দা জানিয়ে বলা হয়েছে, ইসরাইলকে জবাবদিহিতার ঊর্ধ্বে মনে করে ও ইসরাইলকে সহায়তা দিয়ে তারা নিজ নিজ পদক্ষেপগুলোর বিশ্বাসযোগ্যতাকে অত্যন্ত দুর্বল করেছে ও মানবীয় মূল্যবোধের ব্যাপারেও তাদের বিশেষ বাছাইকৃত নীতি বা পক্ষপাতমূলক অবস্থানকেও স্পষ্ট করেছে।

সম্মিলিত দায়িত্ববোধ

ইরানের ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মাদ রেজা আরেফ এই সম্মেলনে দেয়া বক্তব্যে ফিলিস্তিনি ও লেবাননিদের ওপর ইসরাইলের জাতিগত নির্মূল অভিযান বন্ধে জাতিসংঘের ও বিশেষ করে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের ব্যর্থতার বিষয়টি তুলে ধরেছেন এবং এই ব্যর্থতার জন্য ইসরাইলের প্রতি মার্কিন সরকারসহ পশ্চিমা কোনো কোনো সরকারের জোরালো সমর্থনকে দায়ী করেছেন।

আরেফ এ বৈঠকে ইসরাইলি অপরাধযজ্ঞ বন্ধে মুসলিম ও আরব দেশগুলোকে জোরালো ও ঐক্যবদ্ধ অবস্থান নেয়ার আহ্বান জানান এবং আন্তর্জাতিক সমাজের কার্যকর হস্তক্ষেপের অভাবে এক্ষেত্রে এই দেশগুলোর মধ্যে সমন্বয়ের প্রচেষ্টার ওপর জোর দেন।

ইরানের ইসলামী বিপ্লবের রূপকার ইমাম খোমেনী –র. বলেছিলেন, মুসলমানরা যদি এক বালতি করে পানি ঢালত তাহলে ইসরাইল ভেসে যেত। তিনি এ ব্যাপারে মুসলিম বিশ্বকে ঐক্যবদ্ধ করার জন্য বিশ্ব-কুদস দিবস প্রবর্তন করেছিলেন। ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ীও মুসলমানদের প্রথম কিবলার দখলদার ইসরাইলের পরিচালিত ও মার্কিন মদদপুষ্ট গণহত্যাসহ নানা অপরাধ বন্ধ করতে মুসলিম বিশ্বের ঐক্যের ও ঐক্যবদ্ধ পদক্ষেপের ওপর জোর দিয়ে এসেছেন। মুসলমানরা ঐক্যবদ্ধ না হলে খোদায়ি রহমত, সম্মান ও শত্রুর ওপর বিজয় সম্ভব নয় বলে তিনি উল্লেখ করেছেন।

ফিলিস্তিন স্বশাসন কর্তৃপক্ষের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস ফিলিস্তিনিদের প্রতি সমর্থন ও সহায়তা দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন এই সম্মেলনে। তিনি গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসন বন্ধ করতে জাতিসংঘের প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়নের ও অবরুদ্ধ এ উপত্যকায় মানবীয় সহায়তা পাঠানো নিশ্চিত করারও আহবান জানান।

লেবাননের প্রধানমন্ত্রী নাজিব মিকাতিও এই সম্মেলনে বলেছেন, তার দেশ এক নজিরবিহীন সংকটের সম্মুখীন ও দেশটির টিকে থাকা এখন হুমকির মুখে রয়েছে, কারণ ইসরাইল লেবাননের জনগণের বিরুদ্ধে আগ্রাসন অব্যাহত রেখেছে। তিনি আরও বলেছেন, ইসরাইলি হামলায় এ পর্যন্ত তিন হাজার লেবাননি শহীদ ও ১৩ হাজারেরও বেশি আহত হয়েছেন ও শরণার্থী হয়েছেন ১২ লাখেরও বেশি এবং অর্থনৈতিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ৮৫০ কোটি ডলার যার মধ্যে রয়েছে এক লাখেরও বেশি ঘরবাড়ি ধ্বংস হওয়া ও শিক্ষা, স্বাস্থ্য আর কৃষি খাতের মত জীবন ধারণের মৌলিক বা প্রধান খাতগুলোর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি।

গণহত্যায় সহযোগিতা

সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ বলেছেন, ইসরাইল যে হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছে তা বন্ধের নানা মাধ্যম বা উপকরণ রয়েছে, কিন্তু এসব ব্যবহার না করা হলে তা হবে গণহত্যা অব্যাহত রাখতে সহযোগিতা করে যাওয়া। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ইসরাইল যদি আগ্রাসন বন্ধের আহ্বানে সাড়া না দেয় তাহলে আগ্রাসন বন্ধের উপকরণগুলো ব্যবহার করা উচিত। তিনি ইসরাইলি শাসকগোষ্ঠীকে অবৈধ সরকার হিসেবে উল্লেখ করে বলেন এই অবৈধ সরকার গড়ে উঠেছে একদল নরঘাতক ও অপরাধীকে নিয়ে।

এই সম্মেলনে ইয়েমেনের প্রতিনিধি ও দেশটির রাজনৈতিক উচ্চ পরিষদের প্রধান মাহদি আলমাশাত্ব ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলনের প্রতি সহায়তার পাশাপাশি ইসরাইলের ওপর অর্থনৈতিক অবরোধ আরোপের ওপর জোর দিয়েছেন। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, যদি ইসরাইলি নৃশংসতা উপেক্ষা করা হয় ও এমন ও এমন কারো কাছ থেকে এ সংকটের সুরাহার আশা করা হয় যারা ইসরাইলের প্রধান সহযোগী তাহলে সবার জন্য কঠোর পরিণতি অপেক্ষা করছে।

এই সম্মেলনের মিজবান সৌদি যুবরাজ ফিলিস্তিনি ও লেবাননি জনগণের বিরুদ্ধে ইসরাইলি অপরাধযজ্ঞের নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি ফিলিস্তিনি সরকারকে স্বীকৃতি দিতে বিশ্বের প্রতি আহ্বান জানান ও আরও বেশি আগ্রাসী পদক্ষেপ না নিতে ইসরাইলের প্রতি আহ্বান জানান।

আরব লীগের মহাসচিব আহমাদ আবুল গ্বাইতও সৌদি যুবরাজের বক্তব্যের পুনরাবৃত্তি করে গাজা ও লেবাননে ইসরাইলের প্রাণঘাতী ও ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের নিন্দা জানান। তিনি বলেন, শব্দগুলো ফিলিস্তিনি জনগণের দুর্ভোগ ও যন্ত্রণা তুলে ধরতে সক্ষম নয়। ইসরাইল গাজার পর লেবাননেও যুদ্ধ ছড়িয়ে দেয়ায় এর নিন্দা জানান জর্দানের বাদশাহ আবদুল্লাহ। এক বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা গাজা যুদ্ধের ট্র্যাজেডি অসহনীয় বলে তিনি উল্লেখ করেন। তিনি ফিলিস্তিনে মানবীয় সহায়তা পাঠানোর ওপর জোর দেন।

আন্তর্জাতিক আরবিয় ও ইসলামী জোট গড়ার আহ্বান

এ সম্মেলন উপলক্ষে পাঠানো এক বিবৃতিতে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস গাজা ও লেবাননে ইসরাইলি অপরাধযজ্ঞ বন্ধের লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক আরবিয় ও ইসলামী জোট গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছে।

# পার্সটুডে




ভবিষ্যতের বাংলাদেশ হবে ন্যায়বিচার ও বাকস্বাধীনতার : প্রধান উপদেষ্টা

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

তরুণরা সবাইকে সঙ্গে নিয়ে একটি ন্যায়ভিত্তিক সমাজ গড়ার স্বপ্ন দেখছেন জানিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, তরুণদের উদ্যোগেই ভবিষ্যতের বাংলাদেশ হবে ন্যায়বিচার, মানবাধিকার ও বাকস্বাধীনতার।

শনিবার সকালে রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজের (সিজিএস) সম্মেলনে এমন মন্তব্য করেন তিনি।

বর্তমান সভ্যতা আমাদের ব্যর্থতার মুখে ফেলেছে বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, যা শুধু পরিবেশের ক্ষতিই করেনি, মুনাফার পেছনে মানুষের অন্ধ দৌড়ও এর জন্য দায়ী। আসুন, আমরা একটি নতুন সভ্যতা তৈরি করি থ্রি জিরো মডেলের ভিত্তিতে, যেখানে সম্পদ কুক্ষিগত থাকবে না এবং সবার মধ্যে সমানভাবে বণ্টন হবে।

বিদেশি অতিথিদের উদ্দেশ্যে ড. ইউনূস বলেন, আপনারা বাংলাদেশের রাস্তাঘাট ঘুরে দেখুন। তরুণদের অন্তরের ভাষা বুঝতে পারবেন।

তিনি বলেন, আমি আপনাদের আহ্বান জানাই- নতুন একটি বিশ্ব গড়ার চিন্তা করুন, যেমনভাবে আমাদের তরুণরা আমাদের শিখিয়েছেন একটি নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখতে।

দেশের লাখ লাখ মানুষ আজ পরিবর্তন চায় দাবি করে প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, মানবাধিকার, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, ন্যায়বিচার এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক ভবিষ্যৎ গড়ার জন্য সবাই ঐক্যবদ্ধ। তাই এ বছরের সংলাপের থিম ‘এক বিভক্ত পৃথিবী’। আমি বিশ্বাস করি, প্রতিটি সমস্যার সমাধান রয়েছে, যদি আমরা ধৈর্য ও সাহসের সঙ্গে এগিয়ে যাই।

শনিবার থেকে শুরু হওয়া তিন দিনব্যাপী সম্মেলন চলবে ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত। এবারের থিম নির্ধারণ করা হয়েছে ‘এ ফ্র্যাকচারড ওয়ার্ল্ড’। এতে ৮০টিরও বেশি দেশ থেকে ২০০ জনের বেশি আলোচক, ৩০০ জন প্রতিনিধি এবং ৮০০ জন অংশ নেবেন।




‘ইসরাইলের সাথে সব রকমের সম্পর্ক ছিন্ন করেছে তুরস্ক’

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগান দাবি করেছেন, ইহুদিবাদী ইসরাইলের সাথে তার দেশ সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করেছে। ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় এবং লেবাননে ইসরাইল যে গণহত্যা ও রক্তক্ষয়ী বর্বর আগ্রাসন চালাচ্ছে তার প্রতিবাদে তুরস্ক এই পদক্ষেপ নিয়েছে বলে দাবি করেন প্রেসিডেন্ট এরদোগান।

সৌদি আরব এবং আজারবাইজান সফর শেষে দেশে ফেরার পথে বিমানে সাংবাদিকদের সাথে আলাপে বসেন তুর্কি নেতা। তিনি বলেন, তার নেতৃত্বাধীন তুর্কি প্রশাসন ইসরাইলের সাথে সম্পর্ক উন্নত করার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে না। তুরস্কের ক্ষমতাসীন জোট এই সিদ্ধান্তের ব্যাপারে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ এবং এই অবস্থান ভবিষ্যতেও ধরে রাখবে।

এরদোগানের উদ্ধৃতি দিয়ে তুর্কি বার্তা সংস্থা আনাদোলু জানিয়েছে, ফিলিস্তিনিদের ব্যাপারে ইসরাইলি কর্মকাণ্ডের শক্ত জবাব দিয়েছে তুরস্ক। পাশাপাশি ইহুদিবাদী ইসরাইলের যুদ্ধবাজ প্রধানমন্ত্রীকে গণহত্যার বিষয়ে জবাবদিহি করার জন্য এরদোগান তার ক্ষমতার ভেতরে থেকে সবকিছু করবেন বলেও জানান।

ইসরাইলে বিভিন্ন পশ্চিমা দেশ যে সমস্ত অস্ত্রের চালান পাঠাচ্ছে সে ব্যাপারেও তুর্কি প্রেসিডেন্ট উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত ইসরাইলে অস্ত্রের চালান পাঠানো অব্যাহত থাকবে ততক্ষণ ইসরাইল আরও বেশি আগ্রাসী হবে এবং ফিলিস্তিন ও লেবাননের পরিস্থিতি আরো খারাপ হবে।

গত বছরের ৭ অক্টোবর গাজা-ইসরাইল সংঘাত শুরুর পর থেকে তেল আবিবের সাথে আঙ্কারার সম্পর্ক উল্লেখযোগ্যভাবে অবনতি হয়েছে। কিন্তু ইসরাইলের বিরুদ্ধে আরো কার্যকর ব্যবস্থা না নেয়ার কারণে তুরস্কের বিষয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নানামুখী সমালোচনা রয়েছে। ইসরাইলের সাথে তুরস্ক সম্পর্ক পুরোপুরি ছিন্ন করেনি। গত মে মাসে গাজা পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে তুরস্ক ইসরাইলের সাথে বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিন্ন করে। এছাড়া, ইসরাইলে নিযুক্ত তুর্কি রাষ্ট্রদূতকে দেশে ডেকে পাঠানো হয় কিন্তু তেল আবিবে তুরস্কের দূতাবাস এখনো চালু রয়েছে।

# পার্সটুডে




দুর্গাপুর সাংবাদিক সমাজের সঙ্গে মতবিনিময়ে ফারুক আহম্মদ

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

নেত্রকোনার দুর্গাপুরে জেলা এবং উপজেলা পর্যায়ের প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকদের সাথে দুর্গাপুর মহিলা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ ও আলহাজ¦ মাফিজ উদ্দিন তালুকদার কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ফারুক আহম্মদ তালুকদারের বিরুদ্ধে প্রকাশিত সংবাদ সম্পর্কীয় এক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে দুর্গাপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

মতবিনিময় ও প্রতিবাদ সভায় অধ্যক্ষ ফারুক আহমেদ তালুকদার বলেন আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ এবং প্রকাশিত সংবাদ সংবাদ সত্য নয়, স্থানীয় কিছু ব্যক্তি ঈর্ষাকাতর হয়ে চক্রান্ত ও কিছু কাগজ পত্রাদি সৃজন করে গত ১০ নভেম্বর নিউজ ভিশন নামের একটি অনলাইন পোর্টালে ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশ করে। যাহা প্রকৃতপক্ষে সত্য নয়,উক্ত প্রকাশিত সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। তিনি আরো বলেন, কলেজের স্টাফ নিয়োগ, টাকা আত্মসাৎসহ যে অভিযোগ এনেছে, তার কোনটির সাথেই আমি জড়িত নই। আমার নিয়োগে কাম্যসংখ্যক সকল যোগ্যতাই আমার রয়েছে বিধায় কমিটি আমাকে নিয়োগ দিয়েছেন। আমার জানামতে সব কিছুই বিধি মোতাবেক সম্পন্ন করা হয়েছে। আমার পরিবারের সকল সদস্য উচ্চ শিক্ষিত এবং বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে উচ্চ পর্যায়ে কর্মরত আছেন, যে কারনে একটি মহল প্রতিহিংসা বশত: সাংবাদিক ভাইদের ভুল বুঝিয়ে এই সংবাদ প্রকাশ করিয়েছেন।

এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন,সহকারি অধ্যাপক আব্দুল আজিজ, গৌতম কুমার মল্লিক, দিলোয়ারা বেগম, প্রভাষক আসাদুজ্জামান, রেজাউল করীম, জুয়েল রানা, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জেলা কমিটির যুগ্ন-আহবায়ক রাতুল খান রুদ্র, জোবায়ের হোসেন আব্বাসী হীরা প্রমুখ।




ব্যরিস্টার কায়সার কামালের উদ্দ্যেগে দুর্গাপুরে কাঠের ব্রীজের ভিত্তিপ্রস্তর

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

সাধারণ মানুষ ও যানবাহন পারাপারের জন্য নেত্রকোনার দুর্গাপুরের বিরিশিরি ইউনিয়নের গুরুত্বপুর্ন চৈতাটি ফেরীঘাটে ব্যরিস্টার কায়সার কামালের উদ্দ্যেগে অস্থায়ী কাঠের ব্রীজ নির্মানের ভিত্তিপ্রস্তর করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে সোমেশ্বরী নদীর চৈতাটি ঘাট এলাকায় এ ভিত্তিপ্রস্তর করা হয়।

ভিত্তিপ্রস্তর অনুষ্ঠানে বিরিশিরি ইউনিয়ন বিএনপি’র আহবায়ক আজিজুল হক মাস্টারের সভাপতিত্বে, সদস্য সচিব আবুল বাশার এর সঞ্চালনায়, প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, নেত্রকোনা জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব ইমাম হাসান আবুচান। বিশেষ বক্তা আলোচনা করেন, দুর্গাপুর উপজেলা বিএনপির আহবায়ক জহিরুল আলম ভূঁইয়া, বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা বিএনপি’র সদস্য সচিব আবদুল আওয়াল, সাবেক সভাপতি এডভোকেট এম এ জিন্নাহ, দুর্গাপুর উপজেলা বিএনপি’র যুগ্ন আহবায়ক আলহাজ্ব জামাল উদ্দিন মাস্টার, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মাজহারুল ইসলাম রিপন, যুবদলের সদস্য সচিব সম্রাট গনি, সহ বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

বক্তারা বলেন, ফ্যাসিষ্ট আওয়ামী সরকারের আমলে অত্র উপজেলার সকল নদী গুলো থেকে, যাত্রী পারাপারে দ্বিগুন হারে টাকা নেয়া হতো। এই লাঘব ও সাধারণ মানুষের কথা ভেবে, দুর্গাপুর-কলমাকান্দার গণমানুষের নেতা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের মহাসচিব, কেন্দ্রীয় বিএনপি‘র আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যরিস্টার কায়সার কামাল এর ব্যক্তিগত প্রচেস্টায় বিভিন্ন এলাকায়, সাঁকো ও কাঠের ব্রীজ নির্মানের উদ্দ্যেগ নেয়া হয়েছে। অতি শিঘ্রই এ ব্রীজ উদ্বোধন করা হবে। এই ব্রীজ দিয়ে বিনামুল্যে যাত্রী ও মালামাল পারাপার করা হবে বলে জানান বিএনপি‘র নেতাকর্মীরা।




ড্রোন হামলার ভয়ে ‘আন্ডারগ্রাউন্ড সেইফরুম’ থেকে কাজ করছেন নেতানিয়াহু

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

ইহুদিবাদী ইসরাইলের যুদ্ধবাজ প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু আঞ্চলিক প্রতিরোধ যোদ্ধাদের ড্রোন হামলার ভয়ে একটি “আন্ডারগ্রাউন্ড সেইফরুম” থেকে কাজ করছেন। ইসরাইলের চ্যানেল-টুয়েলভ এই খবর দিয়েছে।

নেতানিয়াহু কঠোর প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থার মধ্যে অধিকৃত জেরুজালেম আল-কুদস শহরে তার অফিসের বেইজমেন্টে অবস্থিত নিরাপদ কক্ষে “নিরাপত্তা সভা” করছেন। কিছুদিন আগে তেল আবিবের উত্তরে সিজারিয়া শহরে নেতানিয়াহুর বাসভবনে হিজবুল্লাহ যোদ্ধারা একটি ড্রোন দিয়ে আঘাত হানে। এর পর থেকে নেতানিয়াহু গোপন এই নিরাপদ কক্ষটি ব্যবহার করছেন।

ইসরাইলের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা হিজবুল্লাহর ড্রোন আটকাতে ব্যর্থ হলে নেতানিয়াহু এই আন্ডারগ্রাউন্ড কক্ষ ব্যবহার করা শুরু করেন। সেদিন ইসরাইলের কথিত হোম ফ্রন্ট কমান্ডও সতর্কতা জারি করতে ব্যর্থ হয়।

এর আগে, আগস্ট মাসে হিজবুল্লাহর একটি ড্রোন ইসরাইলের উত্তরাংশে অনুপ্রবেশ করে নেতানিয়াহুর বাসস্থানের চিত্রগ্রহণ করেছিল। সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে নিউইয়র্ক সফর থেকে নেতানিয়াহু ইসরাইলে ফিরলে ইয়েমেনের সশস্ত্র বাহিনী বেন গুরিয়ন বিমানবন্দরে হামলা চালায়।

এদিকে, ইসরাইলের কর্মকর্তারা নেতানিয়াহুকে বেশি সময় নির্দিষ্ট কোনো অবস্থানে থাকার বিষয়ে সতর্ক করেছেন। তারা আশংকা করছেন, নেতানিয়াহু কোনো এক স্থানে বেশিদিন ধরে অবস্থান করলে কিংবা বার বার একইস্থানে যাতায়াত করলে প্রতিরোধ যোদ্ধারা সেখানে হামলা চালাতে পারে।#

পার্সটুডে




ঘুমের মধ্যে ৩৫ অসহায় ফিলিস্তিনিকে হত্যা করল মানবতার শত্রু ইসরাইল

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

বর্বর ইসরাইলি সেনারা গাজা উপত্যকার একটি ভবনে হামলা চালিয়ে অন্তত ৩৫ অসহায় ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে যাদের বেশিরভাগ শিশু ও প্রতিবন্ধী মানুষ। গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসন শুরুর ৪০০তম দিনে রোববার গভীর রাতে ওই পাশবিক হামলা চালানো হয়।

উত্তর গাজার জাবালিয়া এলাকার ওই ভবনে নিজেদের বাড়িঘর হারিয়ে শরণার্থীতে পরিণত হওয়া ফিলিস্তিনিরা আশ্রয় নিয়েছিলেন। এদের মধ্যে নারী, শিশু ও প্রতিবন্ধীদের সংখ্যা ছিল বেশি। ভবনটি বিমান হামলা চালিয়ে ধ্বংস করে ফেলার আগে কোনো সতর্কবার্তা দেয়নি দখলদার সেনারা। এর ফলে ভবনটিতে অবস্থানকারী কোনো মানুষ প্রাণে রক্ষা পায়নি।

আল-জাযিরা এক রিপোর্টে জানিয়েছে, “ভবনটির সবাই নিহত হয়েছে বলে আমরা নিশ্চিত হয়েছি। এটির ধ্বংসাবশেষ থেকে কেবল হতভাগ্য মানুষের টুকরা টুকরা ও থেঁতলে যাওয়া লাশ বের করা হয়েছে।”

ফিলিস্তিনি সেন্টার ফর হিউম্যান রাইটস বলেছে, জাবালিয়ার এই হত্যাকাণ্ডে তাদের গবেষক মোহাম্মাদ আলুশের পরিবারের এক ডজনেরও বেশি সদস্য শহীদ হয়েছেন। মানবাধিকার সংস্থাটি জানিয়েছে, এসব নিরপরাধ মানুষ অনাহারে ও অর্ধাহারে গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন থাকা অবস্থায় শহীদ হয়েছেন।

ঘণ্টায় ঘণ্টায় গাজায় এভাবে অসহায় মানুষদের হত্যা করা হচ্ছে জানিয়ে সংস্থাটি বলেছে, পশ্চিমা দেশগুলো অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি কার্যকর করার জন্য ইসরাইলকে চাপ দেয়ার পরিবর্তে অস্ত্র সরবরাহ করে চলমান গণহত্যায় নিজেদের অংশগ্রহণ অব্যাহত রেখেছে।

# পার্সটুডে




তিন দিন ধরে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে চলছে শ্রমিক অবরোধ

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

তিন ধরে চলছে ঢাকা–ময়মনসিংহ মহাসড়কে পোশাকশ্রমিক বিক্ষোভ ও অবরোধ। বকেয়া বেতনের দাবিতে এ কর্মসূচি পালন করছেন গাজীপুরের টিএনজেড অ্যাপারেলস কারখানার শ্রমিকরা। কর্তৃপক্ষের আশ্বাসের পরও বেতন না পাওয়ায় মহাসড়কটি অবরোধ করে রেখেছেন তারা। সোমবার সকাল আটটার দিকে নগরের মালেকের বাড়ি এলাকায় শ্রমিকদের এ কর্মসূচি পালন করতে দেখা গেছে। গত শনিবার সকাল ৮টা থেকে তারা বিরতিহীনভাবে এ অবরোধ পালন শুরু করেন।

শিল্প পুলিশ ও শ্রমিক সূত্রে জানা গেছে, গাজীপুরের মোগরখাল এলাকায় টিএনজেড অ্যাপারেলসের ছয়টি কারখানার প্রায় তিন হাজার শ্রমিক গত তিন মাস বেতন পাচ্ছেন না। কয়েক দফা আন্দোলনের সময় শিল্প পুলিশসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা তাদের বেতন পরিশোধের আশ্বাস দিয়েছিলেন। শ্রমিকরা তা মেনে নিয়ে আবার কাজে ফিরে যান। কিন্তু কয়েক দফায় বেতন পরিশোধের দিন নির্ধারিত হলেও কারখানা কর্তৃপক্ষ তা করেনি।

এতে শ্রমিকেরা ক্ষিপ্ত হয়ে গত শনিবার সকাল আটটা থেকে কারখানার সামনে জড়ো হতে শুরু করেন। ওই দিন সকাল পৌনে নয়টা থেকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন তারা। এরপর থেকেই মহাসড়কটিতে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। যানবাহন চলাচল করতে না পারায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রী ও চালকরা। অনেকে ট্রেনে বা বিভিন্ন আঞ্চলিক সড়ক দিয়ে গন্তব্যে যাতায়াতের চেষ্টা করছেন।

সোমবার শ্রমিকদের কেউ রাস্তায় বসে আছেন, কেউ কেউ স্লোগান দিচ্ছেন। তাদের অনেকের হাতেই লাঠিসোঁটা। কোনো যানবাহন যাওয়ার চেষ্টা করলেই সেগুলো আটকানোর চেষ্টা করছেন। রাতে যেসব শ্রমিক সড়কে অবস্থান করেছেন, তাদের অনেকেই ফিরে যাচ্ছেন, আবার নতুন করে মহাসড়কে এসে অবস্থান নিচ্ছেন শ্রমিকদের আরেকটি অংশ। এতে মহাসড়কটির উভয় পাশে সোমবারও দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।

হাবিবুর রহমান নামে এক শ্রমিক গণমাধ্যমকে বলেন, দুই মাস ধরে তারা ঘরভাড়া দিতে পারছে না। দোকানের বাকিও শোধ করতে পারছে না। অথচ বেতন দেওয়া হচ্ছে না। তাই বাধ্য হয়েই রাস্তায় নামতে হয়েছে।

গাজীপুর শিল্পাঞ্চলের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সারোয়ার আলম বলেন, মালিকপক্ষকে একাধিকবার সময় দেওয়া হয়েছিল, তারা বারবার বেতন পরিশোধে ব্যর্থ হয়েছেন। এ কারণে শ্রমিকরা এখন আর আমাদের কথা বিশ্বাস করছে না। আমরা তাদের একাধিকবার বোঝানোর চেষ্টা করেছি। কিন্তু ওরা নাছোড়বান্দা, মহাসড়ক ছাড়বে না।