যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রায় কাছাকাছি পৌঁছেছে লেবানন ও ইসরাইল

ডিএনবি নিউজ আন্তঃ ডেস্ক।

মার্কিন মধ্যস্থতায় লেবানন এবং ইহুদিবাদী ইসরাইল যুদ্ধবিরতি চুক্তির শর্তের ব্যাপারে একমত হয়েছে বলে খবর বেরিয়েছে। আমেরিকার কয়েকজন সরকারি কর্মকর্তা এবং ইসরাইলি সূত্র মার্কিন নিউজ ওয়েবসাইট এক্সিওসকে জানিয়েছে, চুক্তি প্রায় চূড়ান্ত হয়ে গেছে।

তারা বলেছেন, “আমরা মনে করি আমাদের হাতে একটি চুক্তি আছে। আমরা একেবারেই গোল লাইনে রয়েছি কিন্তু আমরা তা এখনো পাস করতে পারিনি। মঙ্গলবার ইসরাইলি মন্ত্রিসভায় চুক্তিটি অনুমোদন করতে হবে এবং তার আগ পর্যন্ত যেকোনো কিছুই ভুল হতে পারে।”

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের শীর্ষ পর্যায়ের উপদেষ্টা অ্যামোস হোসেচটিন বলেন, তিনি মনে করেন, শিগগিরই লেবাননে যুদ্ধবিরতি হবে। এছাড়া, ইসরাইলে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত গতকাল বলেছেন, কয়েক দিনের মধ্যেই যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে পৌঁছানো যেতে পারে।

এদিকে, লেবাননের চারজন শীর্ষ কর্মকর্তা বলেছেন, “ধারণা করা হচ্ছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাকরন আজ (মঙ্গলবার) যুদ্ধবিরতি চুক্তির ঘোষণা দেবেন। তবে এ ব্যাপারে হিজবুল্লাহর পক্ষ থেকে এখনো কোনো মন্তব্য করা হয়নি। গত বুধবার হিজবুল্লাহ মহাসচিব শেখ নাঈম কাসেম বলেছিলেন, তারা মার্কিন সরকারের তৈরি করা যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবের খসড়া পর্যালোচনা করে এ ব্যাপারে তাদের মতামত দিয়েছেন। এখন বিষয়টি ইসরাইল এবং নেতানিয়াহুর ওপর নির্ভর করছে। তবে হিজবুল্লাহ আলোচনার পাশাপাশি যুদ্ধ অব্যাহত রাখবে।

# সূত্র: পার্সটুডে




ভারতের উত্তর প্রদেশের সম্ভলের শাহী মসজিদে হত্যার দায় যোগী সরকারের: অখিলেশ যাদব

ভারতের উত্তর প্রদেশের সম্ভলের শাহী জামে মসজিদ সমীক্ষা নিয়ে পুলিশের সাথে সংঘর্ষে ৩ জন নিহত ও ৩০ জন আহত হওয়ার ঘটনায় যোগী আদিত্যনাথ সরকারকে দায়ী করেছেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা অখিলেশ যাদব।

হরিহর মন্দির ভেঙে শাহী মসজিদ নির্মাণ করা হয়েছে এ অভিযোগে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী বিষ্ণু শংকর জৈনের করা একটি মামলার দ্বিতীয় দফায় তদন্তে গেলে গতকাল সাধারণ মুসলমানরা তদন্ত কর্মকর্তাদের মসজিদে প্রবেশে বাধা দেয়। এ সময় পুলিশের সাথে সংঘর্ষে ঐ হতাহতের ঘটনা ঘটে।

সমাজবাদী পার্টি (এসপি)-র প্রধান অখিলেশ যাদবের অভিযোগ, উপনির্বাচনের অনিয়ম থেকে নজর ঘোরাতেই ওই সম্ভলের মসজিদে তদন্ত দল পাঠানো হয়েছে। তিনি বলেন, আগেও মসজিদে তদন্ত দল পাঠানো হয়েছে। তারা সমীক্ষা করেছেন। তা নিয়ে এলাকায় তীব্র উত্তেজনা ছিল। তারপরও গতকাল আবার কেন সেখানে তদন্ত দল পাঠানো হলো?

অখিলেখ যাদব এক সংবাদ সম্মেলনে আরও বলেন, ‘সম্ভলে যা ঘটছে তা অত্যন্ত গুরুতর। প্রশাসন ইচ্ছাকৃতভাবে ওই তদন্ত দল পাঠিয়েছিল। যাতে একটা গোলমাল হয়।

উল্লেখ্য, এর আগে বাবরি মসজিদ-রাম মন্দির নিয়ে তীব্র সংঘাত হয়,তারপর নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়েছে বারাণসীর জ্ঞানবাপী মসজিদ নিয়ে আর এবার সম্ভলের শাহী জামা মসজিদ নিয়ে সংর্ষের ঘটনা ঘটল। গল্প সেই একই-মন্দির ভেঙে মসজিদ বানানোর অভিযোগ।

হরিহর মন্দির ভেঙে মুঘল সম্রাট বাবর ১৫২৯ সালে মসজিদ তৈরি করেন বলে দাবি করেন মামলার বাদি সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী বিষ্ণু শংকর জৈন। ঐ মামলার পরিপ্রেক্ষিতে তদন্তের নির্দেশ দেয় আদালত। এর আগে ১৯ নভেম্বর প্রথম দফার তদন্ত শেষে গতকাল দ্বিতীয় দফার তদন্তে সেখানে যান সরকারি কর্মকর্তারা। আর তখন মুসল্লিরা মসজিদে ঢুকতে বাধা দিলে সংঘর্ষ শুরু হয়। বিষয়টি নিয়ে আগে থেকেই এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছিল।

পুলিশ বলেছে, রোববার প্রায় তিন শধাধিক মানুষ একত্রিত হয়ে তদন্ত কর্মকর্তাদের মসিজদে প্রবেশে বাধা দেয় ও ইট নিক্ষেপ করে পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করে। পুলিশ তখন কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়ে। যদিও মসজিদের ইমাম বারবার সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানান। এর পরেও সংঘর্ষ এড়ানো সম্ভব হয়নি। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। অন্যদিকে সংঘর্ষে আহত হয়েছেন ৩০ জন পুলিশকর্মী।

# পার্সটুডে




জর্ডানে ইসরাইলি দূতাবাসের কাছে গুলিবিনিময়, এক বন্দুকধারী নিহত

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

জর্ডানের রাজধানী আম্মানে ইসরাইলি দূতাবাসের কাছে গুলিবিনিময়ের ঘটনায় এক বন্দুকধারী নিহত ও তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। আজ (রোববার) রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম পেত্রা নিউজ এজেন্সি এ তথ্য জানিয়েছে।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সূত্রের বরাতে পেত্রার খবরে বলা হয়, আম্মানের রাবিয়াহ এলাকায় ইসরাইলি দূতাবাসের কাছে একটি টহল পুলিশ দলের ওপর একজন বন্দুকধারী প্রথমে গুলি চালান। এ সময় পুলিশের পাল্টা গুলিতে হামলাকারী নিহত হন। এ ঘটনায় তদন্ত শুরু হয়েছে। পুলিশ এই এলাকার বাসিন্দাদের নিজ নিজ বাড়িতে থাকার পরামর্শ দিয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গুলিবিনিময়ের ঘটনার পরপরই কঠোর নিরাপত্তা পরিবেষ্টিত ইসরাইলি দূতাবাসের কাছে ওই ঘটনাস্থল পুলিশ ঘিরে ফেলে এবং অ্যাম্বুলেসগুলোকে ছুটতে দেখা যায়। পুলিশ পুরো এলাকায় যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয়।

গাজায় ইসরাইলি গণহত্যার প্রতিবাদে মাঝেমধ্যেই রাবিয়াহ এলাকায় বিক্ষোভ করেন জর্ডানের জনগণ। তাদের মতে, ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করা তাঁদের প্রতিবেশী ফিলিস্তিনি ভাইদের অধিকারের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করার নামান্তর।

জর্ডানের ১ কোটি ২০ লাখ অধিবাসীর অনেকেই ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত। ১৯৪৮ সালে অবৈধ ইসরাইল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পর অনেক ফিলিস্তিনি পালিয়ে জর্ডানে চলে আসেন।

#সূত্র পার্সটুডে




দুর্গাপুরে সিরাত মাহফিল অনুষ্ঠিত

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

বিশ্বমানবতার মুক্তিরদূত মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর জীবনী থেকে শিক্ষা নিয়ে, মানব জীবনে তার বাস্তব প্রতিফলন করার লক্ষ্যে নেত্রকোনার দুর্গাপুরে সিরাত মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২৩ নভেম্বর) ঐতিহ্যবাহী দুর্গাপুর দ্বীনি আলিম মাদরাসা ময়দানে এ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

দুর্গাপুর সিরাত মাহফিল বাস্তবায়ন কমিটির আয়োজনে ইসলামী আরবী বিশ^বিদ্যালয়ের সাবেক পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক, প্রফেসর সিরাজ উদ্দিন আহমেদ এর সভাপতিত্বে, প্রভাষক সফিকুল ইসলাম এর সঞ্চালনায় প্রধান আলোচক হিসেবে আলোচনা করেন, বিশিষ্ট ইসলামী শিক্ষাবিদ ও গবেষক ড. নুরুল্লাহ (আল মাদানী)। বিশেষ আলোচক হিসেবে আলোচনা করেন, ইসলামী শিক্ষাবিদ মুফতি মো. তাহের কাসেমী, অন্যদের মধ্যে আলোচনা করেন, দুর্গাপুর দ্বীনি আলিম মাদরাসার অধ্যক্ষ মো. আব্দুর রহমান, কৈলাটি ফাজিল মাদরাসার অধ্যক্ষ শিহাব উদ্দীন, তেরী বাজার বড় মসজিদ দারুল উলুম মাদরাসার মুহ্তামিম মুফতি হুমায়ুন কবীর, চন্ডিগড় বাজার মাদরাসার মুহ্তামিম হাফেজ মাওলানা মো. ইব্রাহীম প্রমুখ।

এছাড়া অন্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন এডভোকেট আব্দুস সালাম, বিএনপি নেতা এডভোকেট এম এ জিন্নাহ, এডভোকেট ড. আব্দুর রাশিদ, এম রফিকুল ইসলাম সহ উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে আগত অধ্যক্ষ, প্রভাষক, শিক্ষক-শিক্ষার্থী সহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিগণ ।

মাহফিলে বক্তারা বলেন, মহান¬ আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বিশ্বনবী মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ (সাঃ) কে এই পৃথিবীতে রহমত স্বরুপ প্রেরণ করেছেন। শান্তি, ভালোবাসা ও সম্মানের ধর্ম ইসলাম নিয়ে তিনি এই পৃথিবীতে আর্বিভূত হয়েছিলেন। তার বরকতে আমরা পৃথিবীতে সুন্দরভাবে বেঁচে আছি। আল কোরআনের শাসন ব্যবস্থা ছাড়া মানুষের মুক্তির কোন বিকল্প পথ নেই। বিশ্ব মানবতার কল্যাণ চাইলে ইসলামী আদর্শ ও শাসন ব্যবস্থা ছাড়া কোন উপায় নেই। সকলকে বিশ^নবীর জীবন আদর্শের আলোকে জীবন গড়তে আহবান জানানো হয়।




প্রায় কোটি টাকার সহায়তা নিয়ে ফিলিস্তিনিদের পাশে (টিম এইচ সি এস বি)।

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

প্রায় এক কোটি টাকার সহায়তা নিয়ে ফিলিস্তিনিদের পাশে দাঁড়িয়েছে জাতীয় সেবা সংস্থা হাফেজ্জী চ্যারিটেবল সোসাইটি অব বাংলাদেশ (টিম এইচ সি এস বি)। বাংলাদেশ থেকে এবারই প্রথম কোনো জাতীয় সংস্থা আনুষ্ঠানিকভাবে সহায়তা নিয়ে ফিলিস্তিনিদের পাশে দাঁড়ালো।

জানা যায়, গত মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) মিশর পৌঁছেছে সংস্থাটির ৬ সদস্যের একটি টিম। এই টিমে আছেন সংস্থাটির পরিচালক নওমুসলিম মুহাম্মদ রাজ, নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক আমিরুল ইসলাম, সহ-সভাপতি ডক্টর মশিউর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মাওলানা ইবরাহিম খলিল, মুফতি তাওহিদুল ইসলাম, এবং স্বাস্থ্য বিষয়ক সহ-পরিচালক মাওলানা ইমরান নাফিস।

৬ দিনের এই সফরে মিশরের শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নেয়া ফিলিস্তিনিদের সহায়তা দেয়ার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সেবা সংস্থাগুলোর সাথে সমন্বয় করে গাজা ও খান ইউনিসেও সহায়তা পৌঁছে দিচ্ছেন তারা।

সংস্থাটির পরিচালক নওমুসলিম মুহাম্মদ রাজ বলেন, ফিলিস্তিনে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত বায়ান্ন হাজার মানুষ মিশরে আশ্রয় নিয়েছেন। আমরা এর আগেও সীমিত পরিসরে তাদের জরুরি সহায়তা দিয়েছি।

নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক আমিরুল ইসলাম বলেন, আমাদের এই সহায়তা নতুন নয়। ইতোমধ্যেই আমরা মিশরের ‘রেট ক্রিসেন্ট হাসপাতাল’ এবং ‘মাহাদ নাসির হাসপাতালে’ পঞ্চাশ জন রোগীকে চিকিৎসা সহায়তা দিয়েছি। এবার আরেকটু বিস্তৃত পরিসরে সহায়তা দিতে মিশর সফরে এসেছি। এই সফরে আমরা নগদ অর্থ বিতরণের পাশাপাশি ফিলিস্তিনের দুইশত পরিবারকে সাড়ে ঊনিশ লাখ টাকার সহায়তা প্রদান করছি। পাশাপাশি আহত ও রোগীদের পাঁচ লাখ টাকার চিকিৎসা সহায়তা, আল আজহারের ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থীদের তিন লাখ টাকা, দারিদ্র বিমোচনে আড়াই লাখ টাকার সহায়তা দিচ্ছি। এছাড়াও খান ইউনিসে বিশ লাখ টাকার এবং মিশরের শরণার্থী শিবিরে পাঁচ লাখ টাকার খাবার ও পানি বিতরণ করছি এবং পাঁচ লাখ টাকা ব্যয়ে শীতবস্ত্র বিতরণ করছি আলহামদুলিল্লাহ।

উল্লেখ্য,হাফেজ্জী চ্যারিটেবল সোসাইটি অব বাংলাদেশ ( টিম এইচ সি এস বি ) সরকারি নিবন্ধনভূক্ত একটি অলাভজনক এবং অরাজনৈতিক সেবা সংস্থা। দেশের শীর্ষ আলেমগণের তত্ত্বাবধানে এটি পরিচালিত হয়।




আপনাদের দুঃখ-কষ্টে আমরা সমব্যথী: লেবাননবাসীকে আয়াতুল্লাহ খামেনেয়ী

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী ইহুদিবাদী ইসরাইলি পাশবিক হামলায় বিপর্যস্ত লেবাননের জনগণ ও প্রতিরোধ যোদ্ধাদের উদ্দেশ করে একটি বার্তা পাঠিয়েছেন। বার্তায় তিনি লেবাননের প্রতি ইরানের অকুণ্ঠ সমর্থন অব্যাহত রাখার দৃঢ় প্রত্যয় জানিয়েছেন।

বার্তায় তিনি বলেন, “আমরা আপনাদের থেকে আলাদা নই। আমরা আপনাদের সঙ্গেই রয়েছি। আমরা একই দেহের অংশ। আমরা আপনাদের বেদনা, কষ্ট এবং ক্লেশের অংশীদার। আপনাদের ব্যথা মানে আমাদের ব্যথা, আপনাদের ভোগান্তি মানে আমাদের ভোগান্তি।”

সর্বোচ্চ নেতার বার্তাটি ইরানের বিশিষ্ট আলেমে দ্বীন মেইসাম মুতিয়ি লেবাননবাসীর কাছে পৌঁছে দিয়েছেন। গাজা ও লেবাননের অসহায় জনগণের জন্য সম্প্রতি ইরানের পক্ষ থেকে একটি সাহায্যের কাফেলা নিয়ে লেবানন সফর করেন মুতিয়ি।

গাজা ও লেবাননে ইসরাইলি হামলায় ক্ষতিগ্রস্তদের কাছে ইরান জুড়ে জনসাধারণের অনুদানের মাধ্যমে সংগ্রহ করা সাহায্যের চালান হস্তান্তর করার ক্যাম্পেইনের নাম দেয়া হয়েছে ‘ইরান-ই-হামদেল’ যার আক্ষরিক অর্থে সহানুভূতিশীল ইরান। মেইসাম মুতিয়ি ‘ইরান-ই-হামদেল’ ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে অর্জিত সর্বশেষ সাহায্যের চালান নিয়ে লেবানন সফর করেছেন।

# পার্সটুডে




ইসলামিক ফাউন্ডেশনের গভর্নর হলেন চরমোনাই পীরের ভাই অধ্যক্ষ মোসাদ্দেক বিল্লাহ মাদানি

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বোর্ড অব গভর্নরস পুনর্গঠন করেছে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়।

সংস্থাটির বোর্ড অব গভর্নরস নিযুক্ত হয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র প্রেসিডিয়াম সদস্য, বরিশালের চরমোনাই আহছানাবাদ রশিদিয়া কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ, চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীমের বড় ভাই মাওলানা সৈয়দ মোহাম্মদ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল-মাদানি।

সোমবার (১৮ নভেম্বর) ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, পুনর্গঠিত বোর্ড অব গভর্নরসে পদাধিকার বলে ধর্ম উপদেষ্টা চেয়ারম্যান ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। পদাধিকার বলে অন্য গভর্নররা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন চেয়ারম্যান, ধর্ম সচিব, ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর এবং মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান।

এদিকে মাওলানা সৈয়দ মোহাম্মদ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল-মাদানি ছাড়াও দেশের প্রখ্যাত মুসলিম চিন্তাবিদ ও প্রাজ্ঞ আলেম ওলামাদের মধ্য থেকে সরকার মনোনীত অন্য গভর্নররা হলেন- চট্টগ্রাম আন্দরকিল্লা শাহী মসজিদের মাওলানা সাইয়্যেদ আনোয়ার হোসাইন তাহির জাবেরী, কওমি মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড বেফাকের মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হক, ঢাকার তামিরুল মিল্লাত কামিল মাদরাসার ভাইস-প্রিন্সিপাল ড. খলিলুর রহমান মাদানী, পটুয়াখালীর ওয়ায়েজিয়া কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা শাহ মো. নেছারুল হক।

প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, পদাধিকার বলে নিযুক্ত গভর্নরসরা ছাড়া অন্য গভর্নরদের মেয়াদকাল এ প্রজ্ঞাপন জারির দিন থেকে ৩ বছর হবে। তবে ৩ বছর অতিক্রান্ত হলেও তার বা তাদের স্থলে সরকার নতুন গভর্নর মনোনয়ন না দেওয়া পর্যন্ত তিনি বা তারা দায়িত্ব পালন করে যাবেন। সরকার প্রয়োজনবোধে যেকোনো সময় পদাধিকার বলে নিযুক্ত গভর্নর ছাড়া অন্যান্য গভর্নর বা গভর্নরদের পরিবর্তন বা তার/তাদের পদ শূন্য ঘোষণা করতে পারবে।




রাশিয়ার গভীর অভ্যন্তরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাতে ইউক্রেনকে বাইডেনের অনুমতি

ডিএনবি নিউজ আন্ত: ডেস্ক:

রাশিয়ার গভীর অভ্যন্তরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর জন্য ইউক্রেনকে অনুমতি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এর আগেই মার্কিন প্রশাসন ইউক্রেনকে দীর্ঘ পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করেছে।

আমেরিকার দুইজন সরকারি কর্মকর্তা এবং এই সিদ্ধান্তের সাথে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছেন, আমেরিকা ইউক্রেনকে আর্মি ট্যাক্টিক্যাল মিসাইল সিস্টেম বা এটিএসিএম সরবরাহ করেছে এবং এই ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে রাশিয়ার অভ্যন্তরে হামলা চালানোর অনুমতি দিয়েছে।

সম্প্রতি অনুষ্ঠিত মার্কিন নির্বাচনে রিপাবলিকান দলের প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প বিজয়ী হওয়ার পর অনেকটা তড়িঘড়ি করে প্রেসিডেন্ট বাইডেন এই সিদ্ধান্ত দিলেন। নির্বাচনে বিজয়ের আগে ও পরে বহুবার ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তিনি রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যকার চলমান যুদ্ধ অবসানের জন্য দ্রুত পদক্ষেপ নেবেন।

আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্ভবত ইউক্রেন যুদ্ধে আমেরিকার পক্ষ থেকে গুরুত্বপূর্ণ সামরিক সমর্থন অব্যাহত নাও রাখতে পারেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মার্কিন সূত্র জানিয়েছেন, ইউক্রেন খুব শিগগিরই দীর্ঘ পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে রাশিয়ার ভেতরে হামলা চালাতে পারে।

এদিকে, গতকাল (রোববার) ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়াকে উদ্দেশ করে বলেছেন, ‘ক্ষেপণাস্ত্র তাদের সাথে কথা বলবে’। বহুদিন আগে থেকেই জেলেনস্কি দীর্ঘ পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে রাশিয়ার ওপর হামলা চালানোর অনুমতি দেয়ার জন্য আমেরিকাকে চাপ দিয়ে আসছেন।

# সূত্র: পার্সটুডে




না ফেরার দেশে শেরপুরের সাংবাদিক রেজাউল করিম বকুল

মোহনা টেলিভিশনের শেরপুর জেলা প্রতিনিধি ও দৈনিক কালের কণ্ঠ প্রতিনিধি সাংবাদিক রেজাউল করিম বকুল মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। শনিবার রাত ১২টার দিকে হৃদরোগে আক্রান্ত হলে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে তিনি মারা যান।

মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫২ বছর। তিনি স্ত্রী ও ৩ কন্যা সন্তানসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। সাংবাদিক বকুলের মৃত্যুতে জেলার সাংবাদিক মহলে গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

শ্রীবরদী উপজেলার গেরামারা গ্রামের এক সাধারণ মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন রেজাউল করিম বকুল। শেরপুর থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক দশকাহনীয়া দিয়ে তার সাংবাদিকতা জীবন শুরু। এরপর দৈনিক মাতৃভূমি ও দৈনিক আমার দেশ-এর শ্রীবরদী উপজেলা প্রতিনিধি হিসেবে যোগদান করেন তিনি। আমার দেশ পত্রিকা বন্ধ হয়ে গেলে যোগদান করেন কালের কণ্ঠে।

পাশাপাশি জেলা প্রতিনিধি হিসেবে যোগ দেন মোহনা টেলিভিশনে। এছাড়াও তিনি দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির শ্রীবরদী উপজেলার সাধারণ সম্পাদক ও সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) শ্রীবরদী শাখার সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। কর্মময় জীবনে তিনি ছিলেন নিরহংকার, সহজ-সরল ও একজন চারণ সাংবাদিক। দায়িত্বশীল সংবাদ ও ফিচারের খোঁজে তিনি চষে বেড়াতেন পথে-প্রান্তরে।

শনিবার রাত আটটার দিকে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে শ্রীবরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। ময়মনসিংহ নেয়ার পথে নকলা এলাকায় তিনি শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।




গাজায় একদিনের ইসরাইলি পাশবিকতায় আরো ৪৯ অসহায় ফিলিস্তিনির শাহাদাত

ডিএনবি নিউজ আন্ত: ডেস্ক:

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার বাস্তুহারা অসহায় ফিলিস্তিনিদের ওপর ইহুদিবাদী ইসরাইলের পাশবিক হামলা থামছেই না। গতকাল (শনিবার) এই উপত্যকার বিভিন্ন স্থানে দখলদার সেনাদের বোমাবর্ষণে অন্তত ৪৯ ফিলিস্তিনি শহীদ হয়েছেন যাদের বেশিরভাগ নারী ও শিশু।

কাতারের আল-জাযিরা টিভি জানিয়েছে, মূলত উত্তর গাজার বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে শনিবার হামলা চালায় ইসরাইলি সেনারা। গাজা সিটির পশ্চিমে শাতি শরণার্থী শিবিরের একটি স্কুলে আশ্রয় গ্রহণকারী অসহায় মানুষদের ওপর হামলার ফলে সেখানে এক হৃদয়বিদারক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। জাতিসংঘ পরিচালিত স্কুলটিতে চালানো ওই হামলায় ১০ ফিলিস্তিনি নিহত ও অপর ২০ জনেরও বেশি আহত হয়।

এছাড়া, মধ্য গাজার দুই শরণার্থী শিবির আর-বুরেইজ ও আন-নুসেইরাতের কয়েকটি আবাসিক ভবনে ইসরাইলি যুদ্ধবিমান থেকে বোমাবর্ষণ করা হয়।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে গাজা উপত্যকার ওপর নিরবচ্ছিন্নভাবে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইহুদিবাদী ইসরাইল। পাশাপাশি এই উপত্যকায় খাদ্যসহ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য ঢুকতে না দিয়ে সেখানকার মানবিক পরিস্থিতিকে সংকটময় করে তুলেছে তেল আবিব।

কিন্তু তারপরও ইহুদিবাদী সরকার একথা স্বীকার করতে বাধ্য হচ্ছে যে, ১৩ মাসের বেশি সময় ধরে আগ্রাসন চালিয়েও তারা তাদের গাজা যুদ্ধের ঘোষিত লক্ষ্যগুলো অর্জন করতে পারেনি। হামাসকে ধ্বংস করে গাজা থেকে নিজেদের পণবন্দিদের জীবিত উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া ছিল এই উপত্যকায় আগ্রাসন চালানোর পেছনে ইহুদিবাদী সরকারের ঘোষিত দু’টি প্রধান লক্ষ্য।

# পার্সটুডে