টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে পারছেন কাঠমিস্ত্রী জামাল, দেশবাসীর কাছে চেয়েছেন সহায়তা

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

নেত্রকোনার দুর্গাপুর পৌরশহরের ৮নং ওয়ার্ডের খুজিউড়া গ্রামের কাঠমিস্ত্রী নুর জামাল এখন মৃত্যুর মুখোমুখি। সংসারের ঘানি টানতে গিয়ে নানা সমস্যায়  ভোগছেন। তিনি ১ম স্ট্রোক করেন ২০১৮ সালে, তখন হার্টে ব্লক ধরা পড়ে। ওইসময় টাকার অভাবে চিকিৎসা না করিয়ে বাড়িতে চলে আসেন তিনি।

পরবর্তিতে চলতি বছরের জুন মাসে পুনরায় স্ট্রোক করলে হার্টে ৪টি ব্লক ধরা পরে। নানাবিধ সমস্যা নিয়ে আজ মৃত্যুর প্রহর গুনছে নুর জামাল। চিকিৎসা করাতে করাতে পরিবারটি এখন সর্বশান্ত হয়ে মানবতের জীবন কাটাচ্ছে। মেধাবী তিন মেয়ে ও এক ছেলের পড়াশোনাও এখন স্থবির হয়ে আছে। টাকার জন্য মাস্টার্স শেষ বর্ষে ভর্তি করাতে পারছেনা না বড় মেয়েকে। ডাক্তার বলেছেন হার্টে রিং পড়াতে হবে। চিকিৎসার খরচে সহায়তা করতে দেশবাসীর কাছে আকুল আবেদন জানিয়েছেন নুর জামাল এর পরিবার।

এ নিয়ে সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, চলতি বছরের জুন মাসে যখন পুনরায় স্ট্রোক করেন, তখন প্রথমেই ময়মনসিংহ ও পরে ঢাকার ন্যাশনাল হার্ডফাউন্ডেশনে ভর্তি করা হয় নুর জামাল কে। অসহায় নুর জামালের আর্থিক না সঙ্গতি থাকায় পুনরায় তাকে ফিরে আসতে হয় বাড়িতে। ডাক্তার বলেছেন, আগামী ১৫ দিনের মধ্যে বাইপাস অথবা রিং পড়াতে না পাড়লে পরবর্তিতে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

বড় মেয়ে এসএসসি ও এইচএসসিতে গোল্ডেন এ+ পেয়েছে। পরবর্তিতে অনার্সে ফাস্টক্লাশ পেয়েও টাকার অভাবে মাস্টার্সে ভর্তি হতে পারছেনা। এক মেয়ে ৯ম শ্রেনীতে রোল এক, আরেক মেয়ে ৭ম শ্রেনীতে রোল এক, ছেলে ৩য় শ্রেনীতে তার রোলও এক। মেধাবী শিক্ষার্থী হওয়া সত্বেও স্কুলের ক্রুটির কারণে মিলছে উপবৃত্তি। ভালো জামা-কাপড় কি তাও তারা জানে না। কোন রকেমে খেয়ে না খেয়ে চলছে তাদের সংসার।

নুর জামালের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, অর্থাভাবে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা হচ্ছে না তার। গত ৬ বছর ধরে বুকের তীব্র ব্যথা-যন্ত্রণা নিয়ে এ বাড়ি-ও বাড়িতে কাঠ মিস্ত্রীর কাজ করে গেছে ছেলে-মেয়ের পড়াশোনা চালানোর জন্য। তীব্র ব্যাথা থাকলেও কাউকে বুঝতে দেয়নি নুর জামাল। নীরবে চোখের পানি ফেলে রাত দিন কঠোর পরিশ্রম করে গেছেন। মাঝে-মধ্যে তীব্র ব্যাথা উঠলে স্থানীয় হাসপাতালে ডাক্তারের সাথে কথা বলে একটু আদটু ঔষধ খেয়ে গেছে। তীব্র ব্যাথায় স্বাভাবিক চলাফেরাও করা ছিলো কষ্টকর। চিকিৎসকদের মতে, প্রায় ৪লক্ষ টাকা লাগবে বাইপাস অথবা রিং পড়াতে। নয়তো অল্প কিছুদিনের মধ্যেই নিভে যাবে নুর জামালের জীবন প্রদীপ।

নুর জামালের অনার্স পড়–য়া মেয়ে অশ্রুভেজা চোখে বলেন, আমার বাবা ছাড়া আমাদের সংসারে হাল ধরার মতো কেউ নেই। গত প্রায় দুই মাস ধরে হার্টের চিকিৎসা করাতে করাতে আমরা নিঃস্ব। ডাক্তার জানিয়েছেন, ১৫ দিনের মধ্যে যদি বাইপাস বা হার্টে রিং না পড়ানো হয়, তাহলে বাবাকে বাঁচানো যাবে না। যার বাবা নাই একমাত্র সে জানে বাবা হারানোর ব্যাথা কি। বাবার অপারেশন করাতে আমি সকলের সহযোগিতা কামনা করছি।

অসুস্থ্য নুর জামাল বলেন, কিভাবে যে কি হলো আমি জানি না। আমার মতো গরীব মানুষের শরীরে এতা বড় রোগ হানা দিবে বুঝতে পারিনি। শরীরের চিকিৎসা করতে গিয়ে সহায় সম্বল যা ছিলো সব বিক্রি করেছি। এখন আমি সম্পুর্ন নিরুপায়। হার্ডের সমস্যার চিকিৎসা করাতে গিয়ে ছেলে-মেয়ের পড়াশোনাও করাতে পারছি না। আমি দেশের বৃত্তবানদের কাছে আমার চিকিৎসার জন্য সহযোগীতা চাই। সহযোগীতার জন্য আমার মুঠোফোনে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারেন। ০১৭৩৬৩৫৩৭২ (নুর জামাল)।




ইয়েমেন থেকে ইসরায়েলে ফের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

ডিএনবি নিউজ আন্তঃ ডেস্ক:

ইসরায়েলের তিনটি বন্দর ও একটি বিদ্যুৎকেন্দ্রে হামলার পাল্টা জবাবে ইয়েমেন থেকে ফের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে। দেশটির হুতি বিদ্রোহীরা দুটি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী (আইডিএফ)।

সোমবার (৭ জুলাই) ভোরে টাইমস অব ইসরায়েল এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ইয়েমেন থেকে দুটি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে। আইডিএফ জানিয়েছে, এগুলো প্রতিহত করার চেষ্টা করা হয়েছে। তবে সফলভাবে ভূপাতিত করা গেছে কিনা তা এখনও তদন্তাধীন।

ইসরায়েলের জরুরি পরিষেবা সংস্থা ম্যাগেন ডেভিড অ্যাডম জানিয়েছে, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ হতাহত হওয়ার তথ্য পাওয়া যায়নি।

ইয়েমেন থেকে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের পর জেরুজালেমের দক্ষিণে এটজিওন ব্লক ও হেবরনসহ কয়েকটি এলাকায় সাইরেন বেজে ওঠে।

এর আগে ইসরায়েলি বাহিনী জানায়, ইয়েমেনের হোসেইন, রাস ইসা ও সালিফ বন্দর এবং রাস কান্তিব বিদ্যুৎকেন্দ্রে হামলা চালানো হয়েছে।

হুতি-নিয়ন্ত্রিত আল-মাসিরা টিভি জানিয়েছে, ইসরায়েল হোদাইদায় একের পর এক হামলা চালাচ্ছে। এর আগে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ইয়েমেনের তিনটি বন্দর খালি করার জন্য স্থানীয়দের সতর্ক করেছিল।

এদিকে ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিক্রিয়ায় নতুন করে ইসরায়েলের বেন গুরিওন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে হামলার ঘোষণা দেয় ইয়েমেনি সশস্ত্র বাহিনী।

রোববার (৬ জুলাই) ইয়েমেনি সেনাবাহিনীর মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারি জানান, ইসরায়েলের তেল আবিবের কাছে অবস্থিত বেন গুরিওন বিমানবন্দরে একটি হাইপারসনিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে। তিনি দাবি করেন, এই অভিযান সম্পূর্ণ সফল হয়েছে এবং এর ফলে বিমানবন্দরের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়।

ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদে ইয়েমেন কয়েক দফায় ইসরায়েলের বেন গুরিওন বিমানবন্দরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে।

 




বাংলাদেশে কোনো জঙ্গিবাদের অবস্থান নেই : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ নেই বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘‘বাংলাদেশে জঙ্গিদের অবস্থান নেই। এখানে কোনো ধরনের জঙ্গিবাদ নেই।’’

রবিবার (৬ জুলাই) হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের রপ্তানি কার্গো পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের নাগরিকদের ‘জঙ্গি’ ট্যাগ দেয়ার ইস্যুতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘‘দেশে যে তিন জনকে ফেরত পাঠানো হয়েছে, তাদের কেউ জঙ্গি নন। মূলত ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় তাদের ফেরত পাঠানো হয়েছে।’’ এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রেস রিলিজ দিয়েছে বলেও জানান তিনি।

মালয়েশিয়ার পুলিশের প্রধান যে পাঁচজনের কথা বলেছেন, তারা এখনো দেশে আসেননি বলে জানান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, ‘‘তাদের সঙ্গে সরকারি পর্যায়ে যোগাযোগের চেষ্টা করা হচ্ছে এবং এ বিষয়ে তদন্ত করা হবে।’’ তবে তিনি দৃঢ়ভাবে বলেন, ‘‘বাংলাদেশে তাদের কোনো জঙ্গি সম্পৃক্ততা নেই।’’

মালয়েশিয়ার আইজিপি বাংলাদেশের পাঁচজনকে জঙ্গি সম্পৃক্ততার কথা বলেছেন—এমন প্রশ্নের উত্তরে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘‘সে দেশের (মালয়েশিয়ার) আইজিপি কী বলেছেন, আমি জানি না। আমরা অফিসিয়ালি সরকারি লেভেলে কোনো মেসেজ পাইনি। আমরা বিভিন্ন মাধ্যমে যে মেসেজ পেয়েছি, সেটা সঠিক নয় এবং বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের অস্তিত্ব নেই।’’



প্রথমবারের মতো প্রকাশ্যে এলেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি

ডিএনবি নিউজ আন্তঃ ডেস্ক:

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি ইসরাইলের সঙ্গে ১২ দিনের যুদ্ধের পর প্রথমবারের মতো জনসমক্ষে উপস্থিত হয়েছেন। শনিবার তেহরানে আশুরা উপলক্ষে এক ধর্মীয় অনুষ্ঠানে তার এই উপস্থিতি দেখা যায়, যা রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে প্রচারিত ভিডিও ফুটেজে উঠে আসে। ৮৫ বছর বয়সী খামেনিকে ইমাম খোমেইনি মসজিদে প্রবেশের সময় উপস্থিত লোকজনকে দাঁড়িয়ে স্লোগান দিতে দেখা যায়। ভিডিওতে তাকে উপস্থিত জনতার প্রতি হাত নাড়াতে ও সম্মতিসূচক মাথা নাড়তে দেখা যায়।

১৩ জুন যুদ্ধ শুরুর পর থেকে খামেনি জনসমক্ষে আসেননি। তার সকল ভাষণই এ পর্যন্ত রেকর্ড করা ছিল। শনিবারের ভিডিওটি তার প্রথম সরাসরি উপস্থিতির প্রমাণ। ২২ জুন যুক্তরাষ্ট্র ইরানের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালায় এবং সে সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প সামাজিক মাধ্যমে জানান যে, আমরা জানি খামেনি কোথায় আছেন, তবে তাকে হত্যা করার কোনো পরিকল্পনা আপাতত নেই। ২৬ জুন খামেনির পূর্বে রেকর্ডকৃত ভাষণে তিনি ট্রাম্পের আত্মসমর্পণের আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেন এবং বলেন, আমরা আমেরিকার মুখে চড় মেরেছি কাতারে অবস্থিত একটি মার্কিন ঘাঁটিতে হামলা চালানোর মাধ্যমে। এর জবাবে ট্রাম্প বলেন, আপনি একজন ধর্মপ্রাণ মানুষ, নিজ দেশের মধ্যে খুব সম্মানিত। কিন্তু সত্যটা বলুন— আপনি তো একেবারে মার খেয়ে গেছেন।

ইরান স্বীকার করেছে যে, যুদ্ধের সময় তাদের ৯ শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছে এবং হাজার হাজার আহত হয়েছে। পাল্টা হামলায় ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র ইসরাইলে কমপক্ষে ২৮ জনকে হত্যা করে। যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয় ২৪ জুন। তবে এরপর থেকেই পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠে। ইরান জানিয়েছে, তাদের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে বড় ধরনের ক্ষতি হয়েছে। এর পাশাপাশি তারা জাতিসংঘের পারমাণবিক পর্যবেক্ষক সংস্থা আইএইএ’কে এসব স্থাপনায় প্রবেশের অনুমতি বাতিল করেছে। যুদ্ধ চলাকালে আইএইএ’র পরিদর্শকরা তেহরানে অবস্থান করছিলেন।

কিন্তু ইসরাইলি হামলায় ইরানের উচ্চপর্যায়ের বিজ্ঞানী ও সামরিক কর্মকর্তারা নিহত হওয়ার পর ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসউদ পেজেশকিয়ান একটি আইন স্বাক্ষর করে আইএইএ’র সঙ্গে সহযোগিতা স্থগিত করেন। এরপর পরিদর্শকরা তেহরান ত্যাগ করেন। আইএইএ প্রধান রাফায়েল গ্রোসি শুক্রবার বলেছেন, ইরানের সঙ্গে সংলাপ আবার শুরু হওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, যাতে পারমাণবিক তৎপরতা পর্যবেক্ষণ আবার চালু করা যায়।

যুদ্ধ শুরুর আগে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্র পারমাণবিক চুক্তি নিয়ে আলোচনা করছিল। ট্রাম্প প্রশাসন ২০১৮ সালে ২০১৫ সালের পারমাণবিক চুক্তি থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলেন। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র একটি নতুন চুক্তির লক্ষ্যে কাজ করছে। তবে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি বৃহস্পতিবার বলেন, ইরান এখনো পারমাণবিক অস্ত্র বিস্তার রোধ সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক চুক্তির প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং দেশটি এই চুক্তি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছে না।




কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় নৌকাডুবির ঘটনায় ৩ মাদরাসা শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার

মাদরাসায় যাওয়ার পথে ব্রহ্মপুত্র নদে নৌকাডুবির ঘটনায় কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ার তিন মাদরাসা শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে একজন ছাত্রী এবং দুজন ছাত্র।

বুধবার (২ জুলাই) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে ঘটনাস্থল থেকে তিন কিলোমিটার ভাটির দিকে দুইজনের লাশ ভেসে ওঠে। এর আগে গতকাল এ ঘটনার দুই ঘণ্টার পর নবম শ্রেণির আরও এক শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার করেছিল কিশোরগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিদল।

নিহতরা হলো কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার চর আলগী গ্রামের মাইনুদ্দিনের মেয়ে শাপলা (১৫)। একই গ্রামের হাবিব মিয়ার ছেলে আবির (৭) এবং মুমতাজ উদ্দিনের ছেলে জুবায়েদ (৬)। তারা সবাই ময়মনসিংহের পাগলা থানা এলাকার বিরুই নদীর পাড় দাখিল মাদরাসার শিক্ষার্থী।

পাকুন্দিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. বিল্লাল হোসেন জানান, গতকাল মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে প্রতিদিনের মত ৯ জন শিক্ষার্থী একটি ছোট নৌকায় করে পাকুন্দিয়ার চর আলগী থেকে ব্রহ্মপুত্র নদ পাড়ি দিয়ে মাদরাসায় যাচ্ছিল। ময়মনসিংহ জেলার পাগলা থানার দত্তের বাজার সংলগ্ন এলাকায় পৌঁছালে হঠাৎ করে নৌকাটি ডুবে যায়। এর মধ্যে ৬ জন সাঁতরে তীরে উঠতে পারলেও তিনজন নিখোঁজ হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিদল বেলা ১১টার দিকে শাপলা নামে একজনের রাশ উদ্ধার করে। আজ বুধবার সকাল ৬টায় ঘটনাস্থল থেকে ৩ কিলোমিটার ভাটির দিকে বামনখালী গ্রামের মহর খাঁ ঘাট এলাকায় দুইজনের লাশ ভেসে ওঠে।

কিশোরগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপ সহকারী পরিচালক মোফাজ্জল হোসেন বলেন, খবর পাওয়ার পরপরই ডুবুরি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার কাজ শুরু করেছে। ঘটনার দিন শাপলা আক্তার নামে এক শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ বাকি দুজনের লাশ উদ্ধার করা হলো।




ইসলামে দৃষ্টিতে সাজসজ্জা ও পরিচ্ছন্নতা

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

পবিত্র ইসলাম ধর্ম সৌন্দর্য ও সাজসজ্জার ওপর বিশেষ গুরুত্ব প্রদান করেছে। এই ধর্ম তার অনুসারীদের নির্দেশ দেয় যে, তারা যেন সর্বদা নিজেদের জীবন থেকে কদর্যতা ও কুৎসিততার চিহ্নগুলো দূর করে এবং অন্যদের সাথে দেখা করার সময় সুসজ্জিত ও সুন্দরভাবে নিজেদেরকে উপস্থাপন করে।

এই নিবন্ধে আমরা ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গিতে সাজসজ্জা ও পরিচ্ছন্নতার গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করব।

সাজসজ্জার সংজ্ঞা

‘সাজসজ্জা’ অর্থ সুসজ্জিত হওয়া। আভিধানিকভাবে এর অর্থ ‘সাজানো বা অলংকৃত করা’। তবে এর আরও কিছু অর্থ রয়েছে, যেমন সুশৃঙ্খল ও পরিপাটি হওয়া, সামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়া এবং প্রস্তুত থাকা।

কুরআনের দৃষ্টিতে সাজসজ্জা

পবিত্র কুরআনের দৃষ্টিতে সৌন্দর্য উপলব্ধির সক্ষমতা আল্লাহর পক্ষ থেকে মানুষের আত্মায় প্রদত্ত একটি স্বভাবজাত গুণ। সৃষ্টিজগতে সুন্দর বস্তুর উপস্থিতি এই স্বভাবজাত চাহিদারই প্রতিক্রিয়া এবং এটি মহান স্রষ্টার অমূল্য নিদর্শন। আল্লাহ তায়ালা কুরআনে বলেন: “নিশ্চয়ই আমরা নিকটবর্তী আকাশকে নক্ষত্ররাজির সৌন্দর্য দ্বারা সজ্জিত করেছি।” (সূরা সাফফাত: ৬)

এই আয়াত অনুসারে, আল্লাহ নক্ষত্রগুলোকে আকাশের সৌন্দর্য হিসেবে সৃষ্টি করেছেন এবং এটিকে তাঁর নিয়ামত হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

ইমামদের দৃষ্টিকোণ থেকে সাজসজ্জার গুরুত্ব

আমাদের পবিত্র ইমামরা সাজসজ্জা ও পরিচ্ছন্নতার গুরুত্বের ওপর জোর দিয়েছেন এবং নিজেরাই এই নীতি মেনে চলেছেন। মহানবী মুহাম্মাদ (সা.) বলেন: “আল্লাহ পবিত্র, পবিত্রতাকে ভালোবাসেন; পরিচ্ছন্ন, পরিচ্ছন্নতাকে ভালোবাসেন।”

হজরত আলী (আ.) যিনি অত্যন্ত বিনয়ী ও সরল জীবনযাপন করতেন, তবুও সাজসজ্জা ও পরিচ্ছন্নতায় অবহেলা করতেন না। তিনি বলেন:
“তোমাদের প্রত্যেকে যেন তার মুসলিম ভাইয়ের জন্য সাজে, ঠিক যেমন সে অপরিচিত ব্যক্তির জন্য সাজে যে তাকে সর্বোত্তম অবস্থায় দেখতে চায়।”

সাজসজ্জার ধরন

সাজসজ্জা দুই ধরনের হয়:

১. আত্মিক সাজসজ্জা ২. বাহ্যিক সাজসজ্জা

আত্মিক সাজসজ্জাকে তিনটি ভাগে ভাগ করা যায়:

১. চিন্তাভাবনার সাজসজ্জা– এর মধ্যে জ্ঞান, প্রজ্ঞা ও শিষ্টাচার অন্তর্ভুক্ত।

২. বাক্যের সাজসজ্জা

৩. আচরণের সাজসজ্জা

বাহ্যিক সাজসজ্জা

বাহ্যিক সৌন্দর্য্য ও সাজসজ্জা ব্যক্তিগত এবং সামাজিক জীবনের সুস্থতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে এবং এটি মানুষের প্রাকৃতিক চাহিদা ও প্রকৃতির সাথে যুক্ত।

মহানবী (সা.) বলেন: ‘পরিচ্ছন্নতা ঈমানের অংশ’।




মানিকগঞ্জের ব্যবসায়ী আলী আজম মানিককে মারধর : আসামি নাসিম গ্রেপ্তার

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলায় মানিক কম্পিউটার দোকানের মালিক আলী আজম মানিককে দাড়ি ধরে টানা-হেঁচড়া ও মারধরের ঘটনায় দায়ের করা মামলার আসামি নাসিম ভূঁইয়াকে অবশেষে গ্রেপ্তার করেছে জেলার গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) পুলিশ।

আজ ( ২৭ জুন শুক্রবার ) সকাল ৭টার দিকে ঢাকার আশুলিয়া থানার নিশ্চিন্তপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইমতিয়াজ মাহবুব তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন।

জানা যায়, গ্রেপ্তারকৃত আসামি নাসিম ভূঁইয়া ঘিওর উপজেলার বাসস্ট্যান্ড এলাকার মোশারফ হোসেন ভূঁইয়া ওরফে বাচ্চু ভূঁইয়ার ছেলে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত সোমবার রাত ৯টার দিকে ঘিওর উপজেলার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ভুক্তভোগী মানিকের কম্পিউটার দোকানে ডুকে আসামি নাসিম তার দাড়ি ধরে টানা হেচড়া ও মারধর করে। এরপর থেকে অভিযুক্ত নাসিম পলাতক ছিলেন।

মানিকগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইমতিয়াজ মাহবুব বলেন, ঘিওরের দাড়ি ধরে টানা হেঁচড়ার ও মারধরের ঘটনায় ভুক্তভোগী বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরে সেই মামলার একমাত্র আসামি নাসিম ভূঁইয়াকে ঢাকার আশুলিয়া থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

আসামিকে আদালতে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।




অধিক লাভের আশায় সমিতিতে টাকা জমা দিয়ে ফেরত না পেয়ে ঘুরছেন দ্বারে দ্বারে

এইচ.এম সাইদুল ইসলাম :

বেশি মুনাফার আশায়, জীবনের সঞ্চয়কৃত সব টাকা তুলে দিয়েছিলেন সমিতিতে। কেউবা গার্মেন্টসে কাজ করে ঘাম ঝরানো আয়, কেউবা ব্যবসার আবার কারো পেনশনের টাকা তুলে জমা দিয়েছেন সমিতিতে। কিন্তু মুনাফা তো দুরের কথা আসল টাকার জন্যই হন্যে হয়ে ঘুরছেন অনেকেই। টাকার শোকে কেউবা প্রাণ হারিয়েছেন আবার কেউবা ঘুরছেন দ্বারে দ্বারে। আবার কেউ বা আশ্রয় নিয়েছেন আদালতের।

নেত্রকোণার দুর্গাপুর উপজেলার ৭ং গাঁওকান্দিয়া ইউনিয়নের জাগিরপাড়া এলাকায় এক সময়ের আলোচিত ‘‘প্যাসিফিক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি লিমিটেড’’ কে ঘিরেই ঘটেছে এই চাঞ্চল্যকর প্রতারণার কাহিনী। ২০১৯ সালে প্রতিষ্ঠিত এই সমিতি নানা কৌশলে মানুষের আস্থা অর্জন করে। প্রতি লাখ টাকায় মাসে চার হাজার টাকা লাভ দেয়ার প্রতিশ্রুতিতে গ্রাম-গঞ্জের বহু মানুষের সঞ্চিত অর্থ সমিতির কথা বলে জমা নিয়েছেন তারা। টাকা জমা নেয়ার পর তিন চার মাস লাভ দিলেও পরবর্তিতে নানা অজুহাতে বন্ধ করে দেন গ্রাহকদের মুনাফার অর্থ।

এমনই এক গার্মেন্টস কর্মী কান্নাজড়িত কন্ঠে সাংবাদিকদের জানান, ১৫ বছর গার্মেন্টসে কাজ করে উপার্জিত প্রায় পাঁচ লক্ষ টাকা এই সমিতিতে জমা রেখেছি। প্রতি লাখ টাকায় মাসে ৪ হাজার টাকা দিবে বলে চুক্তি হয়। পরবর্তিতে দু’মাস লাভের টাকা পেলেও এরপর বন্ধ করে দেয় টাকা দেয়া। এখন আমি গুরুতর অসুস্থ্য, টাকা উদ্ধার করতে প্রায় চার বছর ধরে মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরে কোন সুরাহা পাচ্ছিনা।

স্থানীয় গাঁওকান্দিয়া বাজারের এক ব্যবসায়ী তাইজুল ইসলামও পড়েছেন একই ফাঁদে। তিনি জমা দিয়েছিলেন ২০ লাখ টাকা। এখন টাকা ফেরত না পেয়ে দিশেহারা হয়ে আইনের আশ্রয় নিয়েছেন । ঋণ করে সমিতিতে টাকা জমা দিয়েছিলাম। এখন সেই ঋণ মেটাতে ধানের জমি বিক্রি করে এখন দিশেহারা। টাকা উদ্ধারে আদালতে মামলা করে মহান আল্লাহ’র উপর ভরসা করে বসে আছেন তিনি।

এই প্রতারণা কেবল আর্থিক ক্ষতিই আনেনি, কেড়ে নিয়েছে মানুষের জীবনও। গাঁওকান্দিয়া গ্রামের অধিবেষ সরকার নামে এক ব্যক্তি এই সমিতিতে জমা রেখেছিলেন ১৯ লাখ টাকা। প্রতারণার শিকারে মানসিক কষ্টে অসুস্থ হয়ে পড়েন। চিকিৎসার অভাবে আগে মারা যান তার স্ত্রী। পরে চলতি মাসের ৬ তারিখে মারা যান তিনিও।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্যাসিফিক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমবায় সমিতিটি জাগিরপাড়ায় একটি ঘরে ২০১৯ সালে চালু করে। কিন্তু এখন সেখানে সেই অফিস নেই, নেই কোনো কার্যক্রম। আছে কেবল প্রতারণার শিকার মানুষের হাহাকার। এই সমিতি পরিচালনায় ছিলেন ওই এলাকার আব্দুল জলিল (সভাপতি), আব্দুল জলিল আকাশ (সহ-সভাপতি), আব্দুর রশিদ (সাধারণ সম্পাদক), আবুল কাশেম (যুগ্ম সম্পাদক), ইদ্রিস আলী (কোষাধ্যক্ষ), মাহফুজুল ইসলাম (বোর্ড সদস্য)।

বিষয়টি নিয়ে কথা বলার চেষ্টা করা হলেও খোঁজ পাওয়া যায়নি ওই সমিতির সভাপতি আব্দুল জলিলের সাথে। তার ব্যবহৃত দুইটি মোবাইল ফোনেও একাধিকবার কল দিলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়।

উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা বিজন কান্তি ধর বলেন, সমিতিটি আমাদের কার্যালয় থেকে রেজিস্ট্রেশন নিয়েছে ঠিকই, তবে পরবর্তীতে আমাদের সাথে কোনো কার্যক্রম পরিচালনা করেনি। সাধারণ মানুষের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহের বিষয়ে এখনো পর্যন্ত কোনো লিখিত অভিযোগ আমরা পাইনি। অভিযোগ পেলে অবশ্যই তদন্ত করে দেখবো।”

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. নাভিদ রেজওয়ানুল কবীর বলেন, ঘটনাটি জানা ছিলো না আজকেই শুনলাম। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবো।

লোভে পড়ে মানুষ জীবনের সঞ্চয় তুলে দিয়েছিল একটি ‘‘প্যাসিফিক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি লিমিটেড’ এ। আজ সেই লোভই তাদের সর্বনাশ ডেকে এনেছে। এখন প্রয়োজন দ্রুত প্রশাসনিক পদক্ষেপ ও আইনি সহায়তা । যাতে প্রতারিত মানুষরা অন্তত কিছুটা স্বস্তি ফিরে পান, আর ভবিষ্যতে কেউ যেন এমন ফাঁদে পা না দেন।




ইরানি হামলার পর ক্ষতিপূরণ চেয়ে ৩৯ হাজার ইসরাইলির আবেদন

ঘরবাড়ি ক্ষতির আবেদন ৩০,৮০৯টি,  যানবাহন ক্ষতির সংখ্যা ৩৭১৩

ডিএনবি নিউজ আন্ত: ডেস্ক-

অপারেশন ট্রু প্রমিজ-৩ চলাকালে ইরানের একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলায় পর্যুদস্ত ইসরাইলিরা বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সরকারের কাছে ক্ষতিপূরণ চেয়ে প্রায় ৩৯ হাজার আবেদন জমা দিয়েছেন।

তুরস্কের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা আনাদোলু জানিয়েছে, ইরানি হামলায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য একটি ক্ষতিপূরণ তহবিল গঠন করেছে ইসরাইলের কর কর্তৃপক্ষ। ১৩ জুন ইরান-ইসরাইলের মধ্যে সংঘাত শুরুর পর থেকে এ তহবিল থেকে ক্ষতিপূরণ চেয়ে মোট ৩৮ হাজার ৭০০টি আবেদন জমা পড়েছে।

ইরানের ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ঘরবাড়ি-ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ক্ষতিপূরণ চেয়ে আবেদন জমা পড়েছে ৩০ হাজার ৮০৯টি। এ ছাড়া, ৩ হাজার ৭১৩টি আবেদন জমা পড়েছে যানবাহনের ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার কারণে। যন্ত্রপাতি আর অন্যান্য জিনিস ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কারণে ক্ষতিপূরণ চেয়ে আবেদন জমা পড়েছে ৪ হাজার ৮৫টি।

ইসরাইলি ওয়েবসাইট বেহাদ্রেই হারেদিমের তথ্যমতে, শুধু তেল আবিবেই ক্ষতিপূরণ চেয়ে ২৪ হাজার ৯৩২টির বেশি আবেদন জমা পড়েছে। দক্ষিণাঞ্চলের আশকেলন শহরে আবেদন জমা পড়েছে ১০ হাজার ৭৯৩টি।

ইসরাইল সরকারের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত ইসরাইলিদের কী পরিমাণে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে, সেটা এখনো জানানো হয়নি।

# পার্সটুডে




দুর্গাপুর সীমান্তে ভারতীয় ৭০ বোতল মদ জব্দ

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

নেত্রকোনার সীমান্তবর্তী উপজেলা দুর্গাপুরে ৭০ বোতল অফিসার্স চয়েজ ব্র্যান্ডের ভারতীয় মদ জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। মালিকবিহীন জব্দকৃত এসব মদক নেত্রকোনা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের নিকট হস্তান্তর করা হবে। বৃহস্পতিবার (২৫ জুন) দুপুরে প্রেরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এতথ্য জানান নেত্রকোনা ব্যাটালিয়নের (৩১ বিজিবি) অধিনায়ক লে. কর্ণেল এ এস এম কামরুজ্জামান (পিবিজিএম)।

তিনি জানান, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে নিজস্ব গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে নেত্রকোনা ব্যাটালিয়নের অধীনস্থ বিজয়পুর বিওপি’র (বর্ডার অবজারবেশন পোষ্ট) চার সদস্যের একটি বিশেষ টহল দল মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করেন।

এ অভিযানে ওই বিওপি’র দায়িত্বপূর্ণ এলাকার সীমান্ত পিলার ১১৫০/২-এস হতে আনুমানিক তিনশত গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে দুর্গাপুরের কুল্লাগড়া ইউনিয়নের পশ্চিম বিজয়পুর এলাকায় মালিকবিহীন অবস্থায় ৭০ বোতল অফিসার্স চয়েজ ব্র্যান্ডের মদ জব্দ করতে সক্ষম হয় বিজিবি সদস্যরা।