দুর্গাপুরে জনদুর্ভোগ লাঘবে সোমেশ্বরী নদীর ওপর কাঠের সেতুর উদ্বোধন

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

নেত্রকোনার দুর্গাপুর পৌরশহরের সোমেশ্বরী নদীর ওপর বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামালের অর্থায়নে ২শত মিটার লম্বা কাঠের সেতুর উদ্বোধন করা হয়েছে। রবিবার দুপুরে সোমেশ্বরী নদীর ওপর এ সেতুর উদ্বোধন করা হয়।

দীর্ঘ দিন যাবৎ এলাকায় একটি সেতুর অভাবে শিবগঞ্জ-দুর্গাপুর এলাকার মানুষের নদী পারাপারের ব্যবস্থা খুবই নাজুক অবস্থা বিরাজ করছিল। এলাকর সার্বিক দিক বিবেচনায় সর্বস্তরের মানুষ, রিক্সা, স্ভ্যিএনজি,ভ্যান, প্রাইভেটকার ও মোটরসাইকেল চলাচল উপযোগী প্রায় পনের লক্ষ টাকা ব্যয়ে বাঁশ-কাঠের এই সেতু নির্মাণ করে দেন কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতা ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।

উদ্বোধনে পবিত্র কোরআন তেলোয়াত শেষে মোনাজাত পরিচালনা করেন, তেরী বাজার জামে মসজিদের খতিব মুফতি মাওলানা আব্দুর রব। এ সময় অন্যদের মাঝে, নেত্রকোনা জেলা বিএনপির সাবেক সহ: সভাপতি আলহাজ্ব ইমাম হাসান আবুচান বলেন, উপজেলা বিএনপি‘র সাবেক সভাপতি এডভোকেট এম এ জিন্নাহ, সিনিয়র সহ:সভাপতি শহিদুল্লাহ খান, উপজেলা বিএনপি‘র যুগ্ন আহবায়ক আলহাজ¦ জামাল উদ্দীন মাস্টার, উপজেলা যুবদলের আহবায়ক মাজহারুল হক রিপন, উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক মাসুম বিল্লাহ, পৌর যুবদলের সদস্য সচিব স¤্রাট গণি সহ বিএনপি ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীগণ উপস্থিত ছিলেন।




ভারতকে ‘অসহযোগী’ দেশ ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

ভারতকে ‘অসহযোগী’ দেশ হিসেবে ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। প্রত্যর্পণ প্রক্রিয়ায় যথাযথ সহযোগিতা না করায় ভারতকে অসহযোগী দেশের তালিকাভুক্ত করা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন ও শুল্ক প্রয়োগ সংস্থা আইসিই অভিযোগ করেছে, ভারত সাক্ষাৎকার গ্রহণ, সময়মতো ভ্রমণ নথি ইস্যু এবং নির্ধারিত ফ্লাইটে তাদের নাগরিকদের ফেরত নিতে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দিতে ব্যর্থ হয়েছে।

উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রের অসহযোগী দেশের তালিকায় আরো আছে- ভুটান, কিউবা, ইরান, পাকিস্তান, রাশিয়া ও ভেনিজুয়েলা।

এই তালিকায় সর্বশেষ সংযোজন হলো ভারত।

আইসিই জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র ১৪ লাখ ৫০ হাজার অবৈধ অভিবাসীকে বিতাড়িত করার পরিকল্পনা নিয়েছে। এর মধ্যে ১৮ হাজার অভিবাসীই ভারতের নাগরিক। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে প্রায় ৯০ হাজার ভারতীয়কে যুক্তরাষ্ট্রে অনুপ্রবেশের চেষ্টাকালে আটক করা হয়েছে। এদের বেশির ভাগই পাঞ্জাব, গুজরাট ও অন্ধ্র প্রদেশের বাসিন্দা।




ভারত সম্পর্ক চাইলে শেখ হাসিনাকে ফেরত দিতে হবে: সারজিস আলম

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

বাংলাদেশের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক চাইলে শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক ও জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম।

তিনি বলেন, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক কী হবে সেটি তাদের কাজের মাধ্যমে নির্ধারিত হবে। সম্পর্ক ভালো রাখতে চাইলে ভারতকে খুনি শেখ হাসিনাকে আশ্রয় না দিয়ে বাংলাদেশে ফেরত দিতে হবে। এদেশের মানুষ তার বিচার করবে।

শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজশাহী জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

সারজিস আলম বলেন, গুলি চালানো পুলিশ সদস্যদের শাস্তির বদলে বদলি করে নতুন পোস্টিংয়ের তদবির চলছে। মামলা বাণিজ্যের সঙ্গে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা ও প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জড়িত হচ্ছে। গণঅভ্যুত্থানের বিশ্বাসের সাথে বেঈমানি করলে কাউকেই ছাড়া দেওয়া হবে না। এমনকি গণঅভ্যুত্থানের বিশ্বাসের সঙ্গে বেইমানি করলে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসকেও ছাড় দেওয়া হবে না বলেও তিনি হুঁশিয়ারি দেন।

তিনি বলেন, শেখ মুজিবুর রহমান হত্যার বিচারের জন্য কবর থেকে লাশ উত্তোলনের প্রয়োজন না হলে জুলাই-আগস্টের শহীদদের লাশ কেন কবর থেকে তুলতে হবে? আর কোনো শহীদের লাশ কবর থেকে উত্তোলন করতে দেওয়া হবে না।

সারজিস আলম বলেন, শহীদদের হত্যা মামলাগুলোতে বিচারকার্য পর্যন্ত নিয়ে যেতে যারা অসহযোগিতা করবে তারাও হত্যাকারী হিসেবে বিবেচিত হবে।

পরে জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে রাজশাহী বিভাগের শহীদ পরিবারের মাঝে আর্থিক সহায়তার চেক হস্তান্তর করেন। রাজশাহী বিভাগের ৬৩ শহীদ পরিবারের মধ্যে ৪৬ পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয় জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন থেকে। প্রতিটি শহীদ পরিবারকে পাঁচ লাখ টাকা করে সহায়তা দেওয়া হয়।




সিরিয়ার ঘটনাবলীর যৌথ কমান্ড রুম আমেরিকা ও ইহুদিবাদী ইসরাইলে: সর্বোচ্চ নেতা

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা বলেছেন: সিরিয়ার সাম্প্রতিক ঘটনাবলীর মূল ষড়যন্ত্রকারী এবং চক্রান্তকারী, মূল হোতা হলো আমেরিকা ও ইহুদিবাদী ইসরাইল। চক্রান্তের প্রধান কমান্ড রুম আমেরিকা ও ইহুদিবাদী ইসরাইলে রয়েছে।

এইসব ঘটনা নিয়ন্ত্রণের চাবিকাঠি যে তাদের হাতে সে সম্পর্কে আমাদের কাছে প্রমাণ রয়েছে। এসব প্রমাণ নিয়ে সন্দেহের কোনো অবকাশ নেই।

তাসনিম নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, আজ (১১ ডিসেম্বর বুধবার) ইমাম খোমেনি হোসাইনিয়ায় ইসলামি ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ীর সঙ্গে দেশের বিভিন্ন স্তরের হাজার হাজার মানুষ সাক্ষাৎ করেছেন।

এতে কোনো সন্দেহ নেই যে সিরিয়ায় যা ঘটেছে তা আমেরিকা ও ইসরাইলের যৌথ পরিকল্পনার ফসল। হ্যাঁ, সিরিয়ার একটি প্রতিবেশী সরকার এ ক্ষেত্রে একটি সুস্পষ্ট ভূমিকা পালন করেছে এবং করে যাচ্ছে-সবাই তা দেখছে। কিন্তু নি:সন্দেহে মূল ষড়যন্ত্রকারী এবং চক্রান্তকারী আমেরিকা ও ইহুদিবাদী ইসরাইল। তিনি সিরিয়ার সাম্প্রতিক ঘটনাবলীর সাথে ইহুদিবাদী ও আমেরিকার আচরণকে এর অন্যতম প্রমাণ হিসেবে অভিহিত করে বলেন: তারা যদি সিরিয়ার ঘটনার মূল হোতা না হয়ে থাকে, তাহলে অন্যান্য দেশের মত তারা কেন নীরব থাকল না? কেন তারা শত শত স্থাপনা, বিভিন্ন কেন্দ্রের অবকাঠামো, বিমানবন্দর, গবেষণা কেন্দ্র, বৈজ্ঞানিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রসহ সিরিয়ার বিভিন্ন এলাকায় বোমাবর্ষণ করার মতো অযাচিত হস্তক্ষেপ করলো?

ঘটনার প্রথম দু’য়েক দিনেই সিরিয়ার ৭৫টি পয়েন্টে হামলার কথা আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকার করেছে আমেরিকা। বিপ্লবের নেতা এ প্রসঙ্গে বলেন: তাদের পাশাপাশি ইহুদিবাদীরাও সিরিয়ার ভূমি দখল করে তাদের ট্যাংক নিয়ে দামেস্কের কাছাকাছি চলে এসেছে। যেই আমেরিকা অন্যান্য দেশের ছোটখাটো সীমান্ত লঙ্ঘনের ঘটনায় অনেক বেশি সংবেদনশীলতা দেখায়, তারা একটু প্রতিবাদও তো করলো না, উল্টো বরং তারা সাহায্য করেছে। তো, সিরিয়ার এই ঘটনায় কি প্রমাণ হয় না যে এইসব দুর্ঘটনার পেছনে তাদের হাত রয়েছে?

হজরত আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী সিরিয়ার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও ইহুদিবাদীদের জড়িত থাকার আরেকটি প্রমাণ ব্যাখ্যা করে বলেন: শেষের দিনগুলোতে সিরিয়ার একটি অঞ্চলের জনগণের জন্য-বিশেষ করে জয়নাবিয়াহ-এলাকার জন্য কিছু সাহায্য ও ত্রাণ পাঠানোর কথা ছিল। কিন্তু ইহুদিবাদীরা সমস্ত স্থলপথ এবং বিমানপথ বন্ধ করে দেয়। আমেরিকা এবং ইহুদিবাদীরা ওই সাহায্যগুলোকে ফ্লাইটের মাধ্যমেও আকাশপথে স্থানান্তর করতে দেয় নি। যদি তারা সিরিয়ার ঘটনার নেপথ্যে না থাকবে এবং কোন সন্ত্রাসী বা সশস্ত্র গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত হয়ে সিরিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ না করবে, তাহলে তারা সিরিয়ার জনগণকে সাহায্য করা বন্ধ করল কেন?

সর্বোচ্চ নেতা বলেন: প্রতিরোধ ফ্রন্টের বৈশিষ্ট্য হলো: যত বেশি ধাক্কা দেবেন, তত তারা শক্তিশালী হবে। যত বেশি অপরাধযজ্ঞ চালাবেন, তত বেশি উদ্যমী হবে। আপনি তাদের সাথে যত বেশি লড়াই করবেন, তত বেশি তারা বিস্তৃত হবে। আমি আপনাদের বলতে চাই, মহান আল্লাহর ইচ্ছায় প্রতিরোধ ফ্রন্টের পরিধি গোটা পশ্চিম এশিয়া অঞ্চলকে আগের চেয়ে বেশি আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে ফেলবে। এই পুরো অঞ্চলে প্রতিরোধ ফ্রন্ট আগের চেয়েও অনেক বেশি শক্তিশালী হবে।

প্রতিরোধের অর্থ সম্পর্কে যার বিন্দুমাত্র ধারনা নেই, তারা মনে মনে ভাবে, যখন প্রতিরোধ ফ্রন্ট দুর্বল হয়ে পড়েছে, তখন ইসলামি ইরানও দুর্বল হয়ে পড়বে। আমি আপনাদের দৃঢ়তার সঙ্গে জানাতে চাই, সর্বশক্তিমান আল্লাহর ইচ্ছায়, ইরান অনেক শক্তিশালী এবং সামনের দিকে আরো বেশি শক্তিশালী হবে ইনশাআল্লাহ।

অবশ্য যেসব আগ্রাসীর কথা উল্লেখ করলাম তাদের প্রত্যেকেরই একটি উদ্দেশ্য আছে। তাদের লক্ষ্য ভিন্ন, তাদের মধ্যে কেউ কেউ সিরিয়ার উত্তর বা সিরিয়ার দক্ষিণ থেকে ভূমি দখল করতে চাচ্ছে, আমেরিকা এ অঞ্চলে তাদের অবস্থান মজবুত করতে চাচ্ছে,এগুলোই তাদের লক্ষ্য। সময়মতো দেখা যাবে তাদের এইসব লক্ষ্যের কোনোটাই অর্জিত হবে না ইনশাআল্লাহ। সিরিয়ার দখলকৃত এলাকা মুক্ত হবে উদ্যমী সিরিয়ান যুবকদের মাধ্যমে; এটা যে ঘটবে তাতে কোনো সন্দেহ নেই। আমেরিকার অবস্থানও মজবুত হবে না, আল্লাহর রহমতে, আমেরিকাকেও প্রতিরোধ ফ্রন্টের মাধ্যমে এ অঞ্চল থেকে বিতাড়িত করা হবে।

তিনি গত ১৪ মাসের চাপে হিজবুল্লাহ, হামাস, ইসলামি জিহাদ এবং অন্যান্য ফিলিস্তিনি বাহিনী শক্তিশালী হয়েছে বলে উল্লেখ করেন। এই শক্তিশালী হবার ঘটনাকে সত্যের চিহ্ন হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন: বিপর্যয়ের চাপ এবং সাইয়েদ হাসান নাসরুল্লাহকে হারানোর ক্ষতি খুব ভারী ছিল, কিন্তু হিজবুল্লাহর শক্তি এবং মুষ্টি আরো বেশি শক্তিশালী হয়েছে এবং এই সত্য উপলব্ধি করে তারা যুদ্ধবিরতি চাইতে বাধ্য হয়েছে।

তিনি ইহুদিবাদীদের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধাকে জাতিগুলোর জন্য লাল রেখা বলে উল্লেখ করে বলেন: ইহুদিবাদী এবং তাদের সহযোগীদের জানা উচিত; ঐশি নিয়ম অনুসারে অপরাধ কখনও বিজয় নিয়ে আসে না। আজ সেই ঐশি নীতি এবং ঐতিহাসিক অভিজ্ঞতার পুনরাবৃত্তি ঘটছে গাজা, জর্দান নদীর পশ্চিম তীর এবং লেবাননে।

বহু বছর ধরে সিরিয়ায় ইরানের উপস্থিতির কথা উল্লেখ করে সর্বোচ্চ নেতা বলেন: একটি বিষয় যা অধিকাংশ তরুণ-তরুণীই জানে না তা হলো, সিরিয়া সরকারকে আমাদের সাহায্যের আগে, অর্থাৎ পবিত্র প্রতিরক্ষার একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে যখন সবাই সাদ্দামের পক্ষে এবং আমাদের বিপক্ষে কাজ করছিল, সিরিয়া সরকার তখন ইরানকে গুরুত্বপূর্ণ সহায়তা দিয়েছিল। সিরিয়া সরকার ওই সিদ্ধান্তমূলক পদক্ষেপ নিয়ে ইরাক থেকে ভূমধ্যসাগরে তেলের পাইপলাইন বন্ধ করে দেয় এবং সাদ্দামকে তার আয় থেকে বঞ্চিত করে।

তিনি সিরিয়া ও ইরাকে ইরানি যুবকদের উপস্থিতি এবং কিছু ইরানি কমান্ডারের উপস্থিতির কারণ হিসেবে আইএসআইএস মোকাবেলার কথা উল্লেখ করে বলেন: আইএসআইএস ছিল নিরাপত্তাহীনতার একটি বোমা। তারা সিরিয়া ও ইরাককে নিরাপত্তাহীন করার পর আমাদের দেশকেও নিরাপত্তাহীন করার চূড়ান্ত লক্ষ্যে কাজ করছিল।

আমাদের কর্মকর্তারা খুব দ্রুত বুঝতে পেরেছিলেন যে আইএসআইএসের সন্ত্রাসীযাত্রা বন্ধ করা না হলে নিরাপত্তাহীনতা পুরো ইরানকে ছেয়ে ফেলবে। তাদের সন্ত্রাসী বিপর্যয়ের উদাহরণ আপনারা আমাদের সংসদ, শাহচেরাগ এবং কেরমানের ঘটনাগুলোতে দেখেছেন।

সিরিয়ার ঘটনা থেকে শিক্ষণীয় বিষয়ের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন: প্রথম শিক্ষা হল শত্রুকে অবহেলা না করা। সিরিয়ায় শত্রুরা খুব দ্রুত কাজ করেছে কিন্তু তাদেরকে গোয়েন্দা রিপোর্ট আগেই দেওয়া উচিত ছিল এবং তা প্রতিরোধ করা উচিত ছিল। আমাদের গোয়েন্দা সংস্থা কয়েক মাস আগে সিরিয়ার কর্তৃপক্ষকে সতর্কবার্তা পাঠিয়েছিল।

আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী আরও বলেন: ইসলামি বিপ্লবের ৪৬ বছরে আমরা ছোট-বড়ো অনেক কঠিন ঘটনা ও পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে গেছি, যেমন সাদ্দামের বিমান তেহরান বিমানবন্দরে বোমাবর্ষণ করেছিল এবং জনগণের হৃদয়ে ভীতি সৃষ্টি করেছিল, কিন্তু সমস্ত তিক্ত ঘটনার মুখোমুখি হবার পরও ইসলামী প্রজাতন্ত্র এক মুহূর্তের জন্যও নিষ্ক্রিয় হয় নি।

সর্বোচ্চ নেতা তাঁর বক্তৃতার শেষে ইরানের জনগণকে সক্রিয় ও সদাপ্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন: আল্লাহর রহমতে এ অঞ্চলে ইহুদিবাদ এবং তাদের পশ্চিমা খবিসদের মূল উৎপাটন করা হবে।

# সূত্র: পার্সটুডে




প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ইইউ’র ২৭ রাষ্ট্রদূতের বৈঠক আজ

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস আজ সোমবার ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) ২৭ দেশের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন। প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ইইউ রাষ্ট্রদূতদের এটাই হবে প্রথম সম্মিলিত সৌজন্য সাক্ষাৎ।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মোহাম্মদ রফিকুল আলম এ তথ্য জানিয়েছেন। রফিকুল আলম বলেন, সোমবার (০৯ ডিসেম্বর) ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২৭ দেশ ছাড়াও আরও একটি দেশের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। ইইউ’র সব সদস্যরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত একত্র হয়ে সরকারপ্রধানের সঙ্গে আলোচনার উদ্যোগটি এবারই প্রথম। এ উদ্যোগ বাংলাদেশ ও ইইউর সম্পর্কে আরও সুসংহত করবে বলে আশা করা যাচ্ছে।

মুখপাত্র বলেন, আসন্ন বৈঠকে বাংলাদেশের সঙ্গে ইইউভুক্ত সদস্যরাষ্ট্রগুলো এবং ইইউর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের সার্বিক পর্যালোচনা, সহযোগিতার নতুন ও সম্ভাবনাময় ক্ষেত্র, এলডিসি উত্তরণ–পরবর্তী জিএসপি প্লাস বাণিজ্য সুবিধাদি, জলবায়ু পরিবর্তন সৃষ্ট অস্তিত্ব সংকট মোকাবিলা, দ্রুত রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বাস্তবায়ন এবং সর্বোপরি একটি টেকসই ভবিষ্যৎ বিনির্মাণে উভয়ের অঙ্গীকার ও করণীয় সম্পর্কে আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।




স্বৈরশাসকের পতন, সিরিয়ার নিপীড়িত জনগণকে অভিনন্দন কাবার ইমামের

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

দীর্ঘ দুই যুগ শাসনের পর পতন ঘটেছে সিরিয়ার স্বৈরশাসক বাশার আল আসাদের। উল্লাসে মেতে উঠেছেন সিরিয়ার সাধারণ জনগণ। সশস্ত্র যোদ্ধাদের হাতে ইতোমধ্যে পতন ঘটেছে সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কসহ দেশটির গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলোর। দেশটির সরকারি রেডিও ও টেলিভিশন ভবন দখল করে নিয়েছেন সশস্ত্র যোদ্ধারা।

একইসঙ্গে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে সিরীয় সেনাদের সরিয়ে নেওয়ার পর সেই স্থাপনাও দখলে নিয়েছেন তারা।

এর আগে যোদ্ধারা প্রায় বিনা বাধায় রাজধানী দামেস্কে ঢুকে পড়েন। এরপরই বিমানে করে অজানা গন্তব্যের উদ্দেশ্যে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান দেশটির প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ।

বাশার আল আসাদের পতন, সিরিয়ার জনগণের বিজয় উল্লাসকে স্বাগত জানিয়েছেন মুসলিম বিশ্বের তীর্থস্থান কাবা শরীফের ইমাম শায়খ ইয়াসির আদ-দাওসারী। তিনি সিরিয়াসহ পৃথিবীর সব দেশের নিপীড়িত জনগণের জন্য দোয়া ও শুভকামনা জানিয়েছেন।

তার নামে পরিচালিত ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজ থেকে পোস্ট করে বলা হয়েছে, হে আমাদের সিরিয়ান বন্ধুরা, আপনাদের অভিনন্দন। অভিনন্দন পৃথিবীর প্রত্যেক নিপীড়িত জনতার প্রতি। সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ তায়ালার, যিনি প্রত্যেক মজলুমের অন্তর প্রশান্ত করেছেন।

উল্লেখ্য, ২০০০ সাল থেকে সিরিয়ায় শাসন করে আসছিলেন বাশার আল আসাদ। এর আগে তার বাবা হাফিফ আল আসাদ দেশটিতে শাসন করেছেন ২৯ বছর। ১৯৭১ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট ছিলেন, তার মৃত্যু হলেই বাশার ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হন।




‘প্রেসিডেন্ট বাশার আসাদের শাসনের অবসান হয়েছে’

ডিএনবি নিউজ নিউজ আন্তঃ ডেস্ক :

সিরিয়ার সামরিক বাহিনীর কমান্ড সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের জানিয়েছে যে, প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের শাসনের অবসান হয়েছে। সরকার-বিরোধী সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর সশস্ত্র সদস্যরা রাজধানী দামেস্কে পৌঁছানোর পর সামরিক কমান্ডের পক্ষ থেকে এই ঘোষণা দেয়া হয়।

আজ (রোববার) সিরিয়ার সামরিক কমান্ডের একজন কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে একথা বলেছেন। এর আগে খবর বের হয় যে, প্রেসিডেন্ট বাশার আসাদ বিমানে করে রাজধানী দামেস্কের বাইরে অজানা কোনো গন্তব্যে চলে গেছেন।

এদিকে, সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা ঘোষণা করেছে, বাশার আল-আসাদ সরকারের পতনের পর তারা রাজধানীর দামেস্ক দখল করেছে।

অন্যদিকে, সিরিয়ার প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ গাজী আল-জালালি বিদ্রোহী গেরিলাদের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়ানোর বিষয়ের সরকারের প্রস্তুতির কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, তারা একটি অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে প্রস্তুত রয়েছেন। তিনি এক ভিডিও বার্তায় বলেন, “আমি আমার বাড়িতে আছি এবং দেশ ত্যাগ করিনি কারণ এটি আমার দেশ।”

ভিডিও বার্তায় তিনি আরো জানান, আজ সকালেও তিনি অফিসে যাবেন। তিনি সরকারি সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতি না করার জন্য দেশের নাগরিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

# সূত্র: পার্সটুডে




দুর্গাপুর মুক্ত দিবস পালিত

দুর্গাপুর(নেত্রকোণা)প্রতিনিধি :

৬ ডিসেম্বর দুর্গাপুর মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সনের এই দিনে বাংলার দামাল ছেলেদের এক রক্তক্ষয়ী লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে নেত্রকোণার সীমান্তবর্তী দুর্গাপুর উপজেলাকে মুক্ত করেছিলেন। এ উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে, সর্বস্তরের অংশগ্রহনে নানা কর্মসুচীর মাধ্যমে এ দিবস পালিত হয়।

এ উপলক্ষে সকাল ১১টায় উপজেলা চত্বরে সর্বস্তরের অংশগ্রহনে পায়রা উড়িয়ে এক বর্নাঢ্য র‌্যালি পৌরশহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. নাভিদ রেজওয়ানুল কবীর এর সভাপতিত্বে উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার মুহাম্মদ নাসির উদ্দিন‘র সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে, উপজেলা স্বাস্থ্য ও প:প: কর্মকর্তা মোছাম্মৎ জেবুনেচ্ছা, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার সোহরাব হোসেন তালুকদার, বীর মুক্তিযোদ্ধা ¯িœগ্নেন্দু বাউল, ওসি মো. বাচ্চু মিয়া, আয়কর উপদেষ্ট অজয় সাহা, উপজেলা বিএনপি‘র সদস্য সচিব আব্দুল আওয়াল, পৌর বিএনপি‘র সদস্য সচিব হারেজ গনি, প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক জামাল তালুকদার, বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান বিকাশ সরকার সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীগণ বক্তব্য রাখেন।

বক্তারা বলেন, পাকিস্তানি মেজর সুলতানের নেতৃত্বে বিরিশিরিতে একটি শক্তিশালী পাকসেনা ঘাঁটি গড়ে উঠেছিল। এখান থেকেই বাংলার কুখ্যাত দালাল, আলবদর, রাজাকারদের সহযোগিতায় নিয়ন্ত্রন করতো দুর্গাপুর ও কলমাকান্দার সীমান্ত এলাকা গুলো। সেইসাথে বুদ্ধিজীবি মানুষদের ধরে এনে রাতের আঁধারে বিরিশিরি‘র বধ্যভূমিতে নৃশংসভাবে হত্যা করা হতো। সর্বপ্রথম যাদের হত্যা করা হয়েছিল, তাদের মধ্যে নেত্রকোনা সরকারি কলেজের দর্শন বিভাগের অধ্যাপক শহীদ আরজ আলী, এমকেসিএম পাইলট সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুল আওয়াল, দুর্গাপুরের তদানিন্তন এমএনএ গৌরাঙ্গ চন্দ্র সাহা, কুল্লাগড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ আলী হোসেন, শিক্ষক আশুতোষ সান্যাল, কাকৈরগড়া ইউনিয়নের শিক্ষক জালাল উদ্দিন তালুকদার, সমাজসেবক ধীরেন্দ্র নাথ পত্রনবীশ, সুসং ডিগ্রি কলেজের ছাত্র দিলদার হোসেন, বিল্লাল হোসেন, কৃষক ইমাম হোসেন ও ছোট্রনী সহ নাম অজানা অনেককেই। এছাড়া ৫ মে গাঁওকান্দিয়া গ্রামে ১৯ জন মুক্তিযোদ্ধাকে এক সাথে গুলি করে হত্যা করেছিলো পাকসেনারা। নতুন প্রজন্মের কাছে এসকল তথ্যগুলো জানাতে সকলকে অনুরোদ জানানো হয়।




ভারতে সাম্প্রদায়িকতার নতুন নজির: মুসলমানের নিকট ফ্ল্যাট বিক্রিতে হিন্দুদের বিক্ষোভ

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

সাম্প্রদায়িকতার নতুন নজির সৃষ্টি করল ভারত। দেশটির মুরাদাবাদে টিডিআই সোসাইটিতে এক মুসলিম চিকিৎসকের ফ্ল্যাট বিক্রি করায় বিক্ষোভে নেমেছেন সেখানকার হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন। এসময় সোসাইটির কলোনি গেটে সোসাইটি সভাপতি অমিত শর্মাসহ অনেকে বিক্ষোভে অংশ নেন।

বিক্ষোভকারীরা জানায়, ড. আশোক বাজাজ তার বাড়ি ড. ইকরা চৌধুরী নামে এক মুসলিম চিকিৎসককে বিক্রি করেছেন। তাই তারা বিক্ষোভে নেমেছেন। এসময় সোসাইটির সদস্যরা স্লোগান দিতে থাকেন- ‘ড. আশোক বাজাজ, আপনার বাড়ি ফেরত নিন।’

এনডিটিভিকে সোসাইটির এক বাসিন্দা বলেন, এটি একটি হিন্দু সমাজ, এখানে ৪০০-এরও বেশি হিন্দু পরিবার বাস করে। আমরা চাই না- মুসলিম সম্প্রদায়ের লোক এখানে বসবাস করুক।

সোসাইটির আরেক বাসিন্দা বলেন, আমরা ভীত যে, মালিকানা পরিবর্তন হলে সমাজের গঠন পরিবর্তন হবে। মুসলিমরা এখানে বসবাস করতে শুরু করলে হিন্দুরা চলে যেতে পারে।

এ বিষয়ে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট অঞ্জ কুমার সিংহ বলেন, সোসাইটির সদস্যরা এ বিষয়ে অভিযোগ দায়ের করেছেন। পরিস্থিতি শান্ত করার জন্য তারা সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর সাথে আলাপ-আলোচনা করছেন।




দুর্গাপুরে প্রেসক্লাব সম্পাদকের মায়ের ইন্তেকাল

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

নেত্রকোনার দুর্গাপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ জামাল তালুকদার এর মাতা হাজেরা খাতুন আর নেই। সোমবার (০২ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার কাকৈরগড়া ইউনিয়নের শান্তিপুর গ্রামের নিজ বাড়িতে ইন্তেকাল করেছেন তিনি। ইন্না লিল্লাহি ………. রাজিউন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬২ বছর।

দুর্গাপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জামাল তালুকদার জানান, বার্ধক্যজনিত কারণে অসুস্থ ছিলেন ওনার মাতা হাজেরা খাতুন। সোমবার সকালে তিনি ইন্তেকাল করেন। বাদ আছর শান্তিপুর গ্রামে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।

মৃত্যুকালে ৬ ছেলে, ৩ মেয়ে ও নাতী নাতনী সহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। মরহুমা হাজেরা খাতুন মৃত নবাব আলী তালুকদার এর সহধর্মিণী। ওনার মৃত্যুতে দুর্গাপুর প্রেসক্লাব পরিবার, সাংবাদিক সমিতিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগনের নেতৃবৃন্দ গভীর শোক জানিয়েছেন।