দিল্লি-ইসলামাবাদ উত্তেজনায় পাক পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ঢাকা সফর স্থগিত

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

কাশ্মীর ইস্যুতে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে সৃষ্ট তীব্র উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র মন্ত্রী ইসহাক দারের আসন্ন ঢাকা সফর স্থগিত করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার ঢাকাস্থ পাকিস্তান হাইকমিশনের পক্ষ থেকে এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়। ইসহাক দারের আসন্ন সফর স্থগিতের ব্যাপারে পাকিস্তান হাইকমিশনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির কারণে উপপ্রধানমন্ত্রী ইসহাক দার আগামী ২৭ ও ২৮ এপ্রিল তার পূর্ব নির্ধারিত ঢাকা সফরে যেতে পারছেন না। দু’দেশের পারস্পরিক আলোচনার ভিত্তিতে এই সফরের নতুন সূচি চূড়ান্ত করা হবে বলে পাকিস্তান হাইকমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

উল্লেখ্য, চলতি মাসের ১৭ তারিখে ঢাকায় অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ-পাকিস্তান পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠকে ইসহাক দারের ঢাকা সফরের সূচি চূড়ান্ত করা হয়েছিল।

গত ২২ এপ্রিল ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলায় ২৮ জন নিহত হয়েছে। নিহতের সকলেই পর্যটক বলে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে। ওই ঘটনার পেছনে পাকিস্তানের হাত হয়েছে বলে ভারতের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে। তবে পাকিস্তান এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। ওই ঘটনার জের ধরে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। এক দেশ অপর দেশের বিরুদ্ধে ভিসা বাতিল, নিজ নিজ দেশের নাগরিকদের দেশত্যাগের নির্দেশ, কূটনৈতিকের সংখ্যা কমানোসহ নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করছে।#

সূত্র: পার্সটুডে




ভারতে মুসলিম নির্যাতনের প্রতিবাদ ও নারী সংস্কার কমিশন বাতিলের দাবিতে সাভারে হেফাজতের বিক্ষোভ

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

ভারতে মুসলিম নির্যাতনের প্রতিবাদ ও ইসলাম বিদ্বেষী নারী সংস্কার কমিশন বাতিলের দাবিতে সাভারে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ।

আজ (২৫ এপ্রিল) শুক্রবার বাদ জুমা সাভার মডেল মসজিদের সামনে আয়োজিত বিক্ষোভে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রবীণ আলেমেদ্বীন ও ব্যাংক কলোনি মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা আবদুল্লাহ। হেফাজত ঢাকা জেলা উত্তরের সভাপতি ও যাদুরচর মাদরাসার মুহতামিম হাফেজ মাওলানা আলী আকবর কাসেমীর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আলী আজম, যমযমনূর গ্রুপের এমডি হাফেজ মাওলানা নূর মোহাম্মদ, মাওলানা শাহেদ জহিরী, মুফতি আমিনুল ইসলাম কাসেমী, মুফতি নাজমুল হাসান বিন নূরী, মুফতি মাহফুজ হায়দার কাসেমী, মুফতি আলী আকরাম প্রমুখ।

বিক্ষোভে বক্তারা ভারতে ওয়াকফ আইন বাতিল ও মুসলিম নির্যাতনের প্রতিবাদ জানিয়ে আরও বলেন, ভারতে মুসলিম নির্যাতন ভয়াবহ রূপ নিয়েছে, যা গভীর উদ্বেগের কারণ। লাউড স্পিকারে আজান দেয়ায় ইমামের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। হোলি উৎসবের নামে নামাজ আদায়ে বাধা দেওয়া এবং নামাজরত মুসল্লিদের ওপর সরাসরি হামলা চালানো হচ্ছে।

ভারতে মুসলিম নির্যাতন মোটেই দুয়েকটি ঘটনায় সীমাবদ্ধ নয়। সেখানে অনেক বড় পরিসরে মসজিদ আক্রান্ত, বাড়িঘর উচ্ছেদ, পরিবারকে বিচ্ছিন্ন, তরুণদের গণপিটুনি, নারীদের হেনস্তাসহ সমগ্র মুসলিম জাতীকে নিজ ভূমিতে দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিকে পরিণত করা হয়েছে।
ভারতের মুসলমানদের ওপর এ নির্যাতন নিপীড়ন বন্ধে ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে জোরাল ভূমিকা রাখার দাবি জানান তারা।

সমাবেশে বক্তারা নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রদত্ত প্রতিবেদন ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করে অবিলম্বে কমিশন বাতিলের দাবি জানান। তারা বলেন, কমিশনের প্রতিবেদনে মুসলিম উত্তরাধিকার আইন বাতিলের প্রস্তাব করা হয়েছে। মুসলিম পারিবারিক আইন সংস্কার করে সকল ধর্মের জন্য অভিন্ন পারিবারিক আইন প্রণয়নের প্রস্তাব করা হয়েছে যেখানে বিয়ে, তালাক, উত্তরাধিকার ও ভরণপোষণে নারী-পুরুষের কথিত সমান অধিকার থাকবে। স্ত্রী স্বামীর বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করতে পারবে। যৌনকর্মীদের শ্রমিক হিসেবে স্বীকৃতি প্রদানের প্রস্তাব করা হয়েছে। এসব প্রস্তাবনা পবিত্র কুরআন ও সুন্নাহর বিধানের সাথে সরাসরি সাংঘর্ষিক। বাংলাদেশের মুসলিম নারী সমাজের সাথে এর কোন সম্পর্ক নেই। এই প্রস্তাবনার মাধ্যমে দেশের ধর্মীয় ও সামাজিক ভারসাম্য এবং পারিবারিক কাঠামো ধ্বংস করার গভীর ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। এই কমিশনের সদস্যরা দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায়। আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে অবিলম্বে নারী সংস্কার কমিশন বাতিল এবং তাদের সকল বিতর্কিত প্রস্তাবনা রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রত্যাখ্যানের দাবি জানাই।

বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে হাফেজ মাওলানা আলী আকবর কাসেমীর নেতৃত্বে বিশাল একটি মিছিল ঢাকা আরিচা মহাসড়কের বিভিন্ন স্থান প্রদক্ষিণ করে।




ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরে নিরীহ পর্যটকদের হত্যার প্রতিবাদে মুসলিমদের বিক্ষোভ

ডিএনবি নিউজ আন্ত: ডেস্ক:

ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরে নিরীহ পর্যটকদের নৃশংসভাবে হত্যার নিন্দা জানিয়েছেন সেখানকার স্থানীয় বাসিন্দারা। বুধবার (২৩ এপ্রিল) পেহেলগাম জামে মসজিদের মাঠে জড়ো হয়ে তারা বিক্ষোভ করেন। তারা সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে সন্ত্রাসের প্রতীকী কুশপুতুল দাহ করেন এবং ভারত সরকারকে এমন হত্যাকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান।

বক্তারা বলেন, ইসলাম কখনোই নিরীহ মানুষ হত্যার অনুমতি দেয় না। যারা স্বার্থের জন্য মানুষের জীবন নিয়ে খেলে, তাদের কঠোর শাস্তি পাওয়া উচিত।

কাশ্মিরের পেহেলগামে মঙ্গলবার নৃশংস হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন ২৬ জন, আহত হয়েছেন অন্তত ১৭ জন।

পাঞ্জাবের শাহি ইমাম মাওলানা মুহাম্মদ উসমান রেহমানী লুধিয়ানভি কাশ্মিরের পেহেলগামে পর্যটকদের ওপর সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা জানান এবং একে মানবতার জন্য লজ্জাজনক বলে উল্লেখ করেন।

এই উপলক্ষে শাহি ইমাম বলেন, মানুষকে ধর্ম জিজ্ঞেস করে হত্যা করা কাপুরুষতা। তিনি উল্লেখ করেন, কোরআনে বলা হয়েছে, একজন নিরীহ মানুষকে হত্যা করা মানে পুরো মানবজাতিকে হত্যা করার সমান।

তিনি জোর দিয়ে বলেন, যারা নিজেদের মুসলমান দাবি করে এ ধরনের সন্ত্রাসী কাজ করছে, তারা কোনো অবস্থাতেই ইসলামের অনুসারী হতে পারে না। শাহি ইমাম বলেন, শুধু এই ঘটনার তদন্ত করাই নয়, দোষীদের প্রকাশ্যে ফাঁসি দেওয়াও উচিত। তিনি বলেন, সন্ত্রাসবাদের মূল উদ্দেশ্য হলো সমাজের ঐক্য ও সংহতি নষ্ট করা—তাই একতা বজায় রাখা খুবই জরুরি।

তিনি ভারত সরকারের প্রতি আহ্বান জানান, এই সন্ত্রাসী হামলায় নিহতদের পরিবারকে এক কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হোক এবং এই হামলার পেছনে যে চক্রান্ত আছে তা জনসমক্ষে আনা হোক, যাতে কাশ্মিরে যে সৌহার্দ্যের পরিবেশ তৈরি হয়েছিল তা আবার ফিরিয়ে আনা যায়।

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়ার




যুগের সাথে তাল মিলিয়ে মাদরাসা শিক্ষায়ও আধুনিকায়ন আনা হয়েছে। : ধর্ম উপদেষ্টা

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

বাংলাদেশ সরকারের ধর্ম উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, নৈতিক শিক্ষা এখন কেবল মাদরাসা থেকেই পাওয়া যায়। মাদরাসা অঙ্গনে ইয়াবা খায় না। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ে নেশা করা হয়।

সোমবার (২১ এপ্রিল) রাতে সিলেটের বিশ্বনাথ পৌরসভার কামালপুর গ্রামে আল হেরা জামেয়া ইসলামিয়া একাডেমির শুভ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, এ দেশের ক্ষমতার চেয়ারে যে বসে সে সব কিছু লুটেপুটে খেতে চায়। দেশের টাকা বিদেশে পাচার করে বিদেশে বাড়ি করে। বাংলাদেশ ছাড়া পৃথিবীর কোনো দেশে এমন দৃষ্ঠান্ত নেই। আমাদের দুর্ভাগ্য রাজনীতির দুর্বৃত্তায়নে শিক্ষাব্যবস্থা বন্দি।

মাদরাসা শিক্ষায় যারা শিক্ষিত তারা অপরাধের সাথে জড়িত কম হয়। এজন্য যুগের সাথে তাল মিলিয়ে মাদরাসা শিক্ষায়ও আধুনিকায়ন আনা হয়েছে।

তিনি বলেন, সবদেশে বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্ররা ক্লাসের সময় শুনশান নিরবতার মধ্য দিয়ে ক্লাস করে। আমাদের দেশে ক্লাসের সময় শিক্ষার্থীরা ক্যান্টিনে বসে আড্ডা দেয়।

আফসোসের কথা শিক্ষার্থীরা সুকুমারবৃত্তি পরিবার থেকে ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে শিখবে।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এখন শিক্ষার্থীদের শিষ্টাচার, ভদ্রতা, নৈতিকতা শিক্ষা দেয় না।

ক্যাম্পাসে রাজনীতি বন্ধের দাবি তুলে তিনি বলেন, রাজনীতি যদি করতে হয়, ক্যাম্পাসের বাইরে গিয়ে রাজনীতি করেন। রাজনীতিতে একটা সহমর্মিতা বজায় রাখেন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, বুয়েটের সাবেক সহকারী অধ্যাপক ও একাডেমির ট্রাস্টি প্রকৌশলী ড. আবুল খয়ের।

একাডেমির পরিচালনা কমিটির সভাপতি রফিক মিয়ার সভাপতিত্বে ও একাডেমি প্রধান মাওলানা আলমগীর হোসেনের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন, খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মুনতাসীর আলী,  লাউয়াই মাদ্রাসা প্রিন্সিপাল মাওলানা রওনক আহমদ, জামেয়া মোহাম্মদীয়ার বাইস প্রিন্সিপাল মাওলানা ফয়জুর রহমান, উপজেলা জামায়াতের আমীর নিজাম উদ্দিন সিদ্দিকী, বিশ্বনাথ সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মাহমুদুল হাসান মানিক, মাদ্রাসা শিক্ষক মাওলানা ওলিউর রহমান, ক্যামব্রিয়ান কলেজের পরিচালক শাহিন আহমদ রাজু, মাদ্রাসা শিক্ষক মাওলানা মুফতি শিহাব উদ্দিন, হাফিজ মাওলানা শরিফ উদ্দিন, মাওলানা হাসান বিন ফাহিম, সংগঠক ময়নুল হক জানু মিয়া। ভার্চুয়ালি বক্তব্য দেন একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা মাওলানা রুহুল আমিন দিলোয়ার।




যদি আজ ফিলিস্তিনিদের নির্বাসিত করা হয় তাহলে আগামীকাল কার পালা?

ডিএনবি নিউজ আন্ত: ডেস্ক:

সোমবার একদল ফরাসি বুদ্ধিজীবী লে মন্ডে পত্রিকায় একটি নিবন্ধ প্রকাশ করেছেন যেখানে ইহুদিবাদী ইসরাইলি সরকারের চরমপন্থী নীতির নিন্দা জানানো হয়েছে এবং ফিলিস্তিনিদের বিতাড়নের পরিকল্পনার প্রতি প্রতিক্রিয়া জানাতে ইউরোপীয় দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। পার্স টুডে অনুসারে, এই দলটি বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সরকারের নীতির সমালোচনা করে ঘোষণা করেছে যে, ইহুদিবাদী ইসরাইরি সরকার চরমপন্থী গোষ্ঠীর প্রভাবে গাজা এবং সম্ভবত পশ্চিম তীর থেকে ফিলিস্তিনিদের বিতাড়িত করার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে।

ইসরাইলি অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচের নেতৃত্বে একটি নতুন ‘অভিবাসন সংস্থার’ মাধ্যমে এগিয়ে নেওয়া এই পরিকল্পনাটি জাতিগত নির্মূলের লক্ষ্যে কাজ করছে। লেখকরা এই পদক্ষেপকে আন্তর্জাতিক নিয়ম, নৈতিক নীতি এবং মানবাধিকারের স্পষ্ট লঙ্ঘন বলে মনে করেন এবং সতর্ক করে দেন যে লাখ লাখ ফিলিস্তিনির জীবন ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।

ফরাসি বুদ্ধিজীবীরা যুক্তি দেখান যে, ইহুদিবাদী ইসরাইলি সরকার আমেরিকার সহায়তায় বোমাবর্ষণ এবং অনাহারের মুখে অমানবিক পরিস্থিতিতে দুই মিলিয়ন ফিলিস্তিনিকে গণ-নির্বাসনের জন্য প্রস্তুত করছে। গণহত্যা বা মানবতাবিরোধী অপরাধের মতো শব্দ দিয়ে বর্ণনা করা এই কর্মকাণ্ডগুলো ইসরাইলি শাসক গোষ্ঠীর একটি নতুন আধিপত্যবাদী মতাদর্শের অংশ যা অন্যান্য জাতির অধিকারকে সম্মান না করে কেবল তার ইচ্ছা চাপিয়ে দেওয়ার কথা চিন্তা করে।

ফরাসি চিন্তাবিদরা জুন মাসে ইমানুয়েল ম্যকরন ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্তকে আশাব্যঞ্জক হিসেবে দেখছেন। কিন্তু একইসঙ্গে জোর দিয়ে বলছেন যে ফিলিস্তিনিদের বাঁচানোর জন্য তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ না নিলে এই পরিকল্পনাগুলো অকার্যকর হয়ে পড়বে।

লেখকরা সতর্ক করে বলেছেন যে ইসরাইলি সরকারের চরমপন্থী নীতি গ্রহণ অন্যান্য সরকারের জন্য একটি মডেল হয়ে উঠতে পারে এবং জিজ্ঞাসা করেন: যদি আজ ফিলিস্তিনিদের নির্বাসিত করা হয় তাহলে আগামীকাল কার পালা?

এই গোষ্ঠীটি গাজার ট্র্যাজেডিকে সরকারি নীতির বাইরে এবং বৈশ্বিক মূল্যবোধের পতনের লক্ষণ বলে মনে করে। তারা ইউরোপীয় ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, সংগঠন এবং দলগুলোকে এই মতাদর্শের স্পষ্ট নিন্দা করার আহ্বান জানিয়েছে। কারণ এই জরুরি অবস্থার মুখে নীরব থাকা অপরাধ।

লেখকরা জোর দিয়ে উপসংহারে পৌঁছেছেন যে,পতনের দ্বারপ্রান্তে থাকা বিশ্বে ফিলিস্তিনিদের একটি রাষ্ট্র এবং জীবনের অধিকার নিশ্চিত করার জন্য সমতা ও ভ্রাতৃত্বের মূল্যবোধ রক্ষা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

এই নিবন্ধে যারা সাক্ষর করেছেন:

মিশেল ডুক্লোস, জাতিসংঘে সাবেক ফরাসি প্রতিনিধি এবং সিরিয়ায় সাবেক ফরাসি রাষ্ট্রদূত এবং মন্টেইন ইনস্টিটিউটের বিশেষ উপদেষ্টা

জিন-পল চেনিওলু, বিশিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এবং আইআরএমএমও  (iReMMO-)ইনস্টিটিউটের সভাপতি (ভূমধ্যসাগরীয় ও পশ্চিম এশীয় গবেষণা ও অধ্যয়ন ইনস্টিটিউট)

বার্নার্ড অরকেড, ফরাসি জাতীয় বৈজ্ঞানিক গবেষণা কেন্দ্র (CNRS)-এর বিশিষ্ট গবেষণা পরিচালক এবং iReMMO-এর সদস্য

জ্যাক হান্টসিঙ্গার, এস্তোনিয়া, ম্যাসেডোনিয়া, ইসরাইলে ফরাসি রাষ্ট্রদূত এবং বার্নার্ডিন কলেজের সদস্য

জামাল আল-শালবি, হাশেমি বিশ্ববিদ্যালয়ের (জারকা, জর্ডান) রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক

ব্রিজিট করমি, লিবিয়া, মাল্টা এবং সিরিয়ায় প্রাক্তন ফরাসি রাষ্ট্রদূত

অ্যান্টোইন আরঝাকোভস্কি, গবেষণা পরিচালক, কলেজ বার্নার্ডিন প্যারিস

অ্যানি ইয়েস লোভালোয়া, ভাইস প্রেসিডেন্ট, আইআরইএমএমও

 

সূত্র: পার্সটুডে




দুর্গাপুরে চোরাচালানির মালামালসহ এক মহিলা আটক

নেত্রকোনার দুর্গাপুরে ভারতীয় তৈরী ডাভ সাবান, হেয়ার ওয়েল, ঝান্ডুবাম, টেলকম পাউডার, অলিভ ওয়েলসহ বিপুল পরিমান কসমেটিসসহ একজনকে আটক করা হয়েছে। রোববার রাতে পৌরশহরের সাধুপাড়া এলাকা থেকে কসমেটিকসসহ সোনিয়া (৩৭) নামে এক মহিলা কসমেটিকস ব্যবসায়িকে আটক করা হয়। সোনিয়া ওই এলাকার রেজাউল মিয়ার স্ত্রী। মামলা সুত্রে জানা গেছে, ওই এলাকা দিয়ে কসমেটিকের বড় চালান যাচ্ছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দুর্গাপুর থানা পুলিশ অভিযান পরিচালনা করেন। পরে একটি অটো গাড়ি থেকে ৫টি বড় ব্যাগ ভর্তি ভারতীয় কসমেটিকস আটক করা হয়। এর মধ্যে ডাব সাবান একশত পিস, হেয়ার ওয়েল পয়তাল্লিশ পিচ, ঝান্ডুবাম চল্লিশ পিস, টেলকম পাউডার আটশত পিস এবং অলিভ ওয়েল নব্বই বোতল। সেইসাথে পাচারকারী হিসেবে সোনিয়া নামক এক মহিলা ব্যাবসায়িকে আটক করা হয়। এছাড়া অভিযান চলাকালীন সময়ে একটি পরিত্যাক্ত ব্যাগ থেকে ২০ বোতল ভারতীয় মদ উদ্ধার করা হয়। দুর্গাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মাহমুদুল হাসান বলেন, মাদক ও চোরাচালান বিষয়ে অভিযানে ভারতীয় কসমেটিকসসহ ১জন এবং ২০ বোতল ভারতীয় মদ উদ্ধার করা হয়েছে। আইনী পক্রিয়া শেষে আসামীকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। মদ ও চোরাচালান রোধে আমাদের অভিযান অভ্যাহত থাকবে।




ক্যাথলিক খ্রিষ্টানদের সর্বোচ্চ ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিস মারা গেছেন

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

ক্যাথলিক খ্রিষ্টানদের সর্বোচ্চ ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিস মারা গেছেন। তার বয়স হয়েছিল ৮৮ বছর। আজ সোমবার ভ্যাটিকানের একটি ভিডিও বার্তায় তার মৃত্যুর কথা জানানো হয়েছে।

ভিডিও বার্তায় কার্ডিনাল কেভিন ফারেল জানান, স্থানীয় সময় সোমবার সকাল ৭টা ৩৫ মিনিটে ভ্যাটিক্যানে নিজ বাসভবন কাসা সান্টা মার্টায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন পোপ।

ভ্যাটিক্যানের টেলিভিশন চ্যানেলে ফারেল বলেন, “গভীর দুঃখের সঙ্গে আমাকে আমাদের পবিত্র ফাদার ফ্রান্সিসের মৃত্যুর কথা ঘোষণা করতে হচ্ছে। রোমের বিশপ আজ সকাল ৭টা ৩৫ মিনিটে নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন। তার পুরো জীবন প্রভু এবং তার গির্জার সেবায় নিবেদিত ছিল।”

“তিনি আমাদের বিশ্বস্ততা, সাহস এবং সর্বজনীন প্রেমের সাথে সুসমাচারের মূল্যবোধগুলো জীবনযাপন করতে শিখিয়েছিলেন, বিশেষ করে দরিদ্রতম এবং সবচেয়ে প্রান্তিক মানুষের পক্ষে।”

ফারেল আরো বলেন, “প্রভু যীশুর একজন প্রকৃত শিষ্য হিসেবে তার উদাহরণের জন্য অপরিসীম কৃতজ্ঞতার সাথে, আমরা ঈশ্বরের অসীম করুণাময় প্রেমের কাছে পোপ ফ্রান্সিসের আত্মাকে প্রণাম জানাই।”

রবিবারই খ্রিস্টান ক্যাথলিক ধর্মালবলম্বীদের উদ্দেশে ইস্টারের বার্তা দিয়েছিলেন পোপ ফ্রান্সিস। সেন্ট পিটারস ব্যাসিলিকার ব্যালকনি থেকে নিজের বার্তা শুনিয়েছিলেন তিনি। তার কথা শোনার জন্য ভ্যাটিক্যান স্কোয়ারে ভিড় করেছিলেন হাজার হাজার মানুষ।

দীর্ঘদিন ধরে নিউমোনিয়া সংক্রান্ত সমস্যায় ভুগছিলেন পোপ ফ্রান্সিস। হাসপাতালে ভর্তি রেখে চিকিৎসা চলছিল তার। সম্প্রতি রোমের গেমেলি হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান রোমান ক্যাথলিক গির্জার প্রধান। তারপর থেকে ভ্যাটিক্যানে নিজের বাসভবনেই ছিলেন তিনি। সোমবার সকালে সেখানেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন পোপ।

২০১৩ সালের ১৩ মার্চ ভ্যাটিকানের ২৬৬তম পোপ নির্বাচিত হন ফ্রান্সিস। রোমের বিশপ হিসেবে তিনি বিশ্বব্যাপী ক্যাথলিক চার্চ এবং সার্বভৌম ভ্যাটিকান সিটির প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।

তিনি ছিলেন ৭৪১ সালের পর প্রথম নন-ইউরোপিয়ান পোপ। ৭৪১ সালে সিরিয়ান বংশোদ্ভূত তৃতীয় গ্রেগরির মৃত্যুর পর রোমে আর কোনো নন-ইউরোপীয় পোপ আসেননি। পুরো আমেরিকা অঞ্চল এবং দক্ষিণ গোলার্ধ থেকে নির্বাচিত প্রথম পোপ ছিলেন ফ্রান্সিস। তিনি ক্যাথলিক গির্জায় সংস্কার কখনো বন্ধ করেননি। তারপরও তিনি সকলের কাছে জনপ্রিয় ছিলেন।




পাকিস্তানের খনিজ সম্পদের প্রতি মার্কিন সরকারের লোলুপ দৃষ্টি

ডিএনবি নিউজ আন্ত: ডেস্ক:

আমেরিকান ম্যাগাজিন “ফরেন পলিসি” পাকিস্তানের খনিজ সম্পদের প্রতি মার্কিন সরকারের প্রত্যাশা সম্পর্কে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

ইসনার উদ্ধৃতি দিয়ে পার্সটুডে জানিয়েছে, রাশিয়ার সাথে যুদ্ধের সময় কিয়েভে পাঠানো সাহায্যের টাকা ফেরত নেওয়ার অজুহাতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয় প্রশাসন যখন ইউক্রেন সরকারের সাথে খনিজ সম্পদ বিষয়ে চুক্তি সম্পাদনের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে এবং এখনও কোন ফল পায়নি, তখন আমেরিকান ম্যাগাজিন “ফরেন পলিসি” পাকিস্তানের খনিজ সম্পদের ব্যাপারে ওয়াশিংটনের আগ্রহের বিষয়টি তুলে ধরেছে।

“ফরেন পলিসি”র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক ব্যুরোর একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এরিক মেয়ার খনি খাতে বিনিয়োগ সংক্রান্ত একটি শীর্ষ সম্মেলনে অংশগ্রহণের জন্য ইসলামাবাদে একটি প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফের সাথে এক বৈঠকে মেয়ার বলেন যে আমেরিকান কোম্পানিগুলি পাকিস্তানের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ খনিজ সম্পদে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী।

ফরেন পলিসির মতে, মার্কিন কংগ্রেসের আইন প্রণেতারা পাকিস্তানের খনিজ সম্পদ আহরণে আমেরিকার ইচ্ছা সম্পর্কে ইউক্রেনের মতোই একই রকম সংকেত পাঠাচ্ছেন বলে মনে হচ্ছে। মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদে পাকিস্তান পার্লামেন্টের যৌথ কমিটির সভাপতি জ্যাক বার্গম্যান সম্প্রতি বলেছেন যে খনিজ এলাকা পাকিস্তানের সাথে অংশীদারিত্বের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হতে পারে।

২০২৩ সালের পর পাকিস্তান সফরকারী মার্কিন কংগ্রেসের কর্মকর্তাদের প্রথম প্রতিনিধি দলের অংশ হিসেবে বার্গম্যান গত সপ্তাহে ইসলামাবাদ সফর করেন।

পাকিস্তানের খনিজ সম্পদের মধ্যে রয়েছে তামা ও সোনার বিশাল মজুদ, সেইসাথে লিথিয়ামের মতো অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ খনিজ পদার্থ এবং অনুমান করা হয় যে এর আয়তন প্রায় ৬০০,০০০ বর্গকিলোমিটার জুড়ে যা যুক্তরাজ্যের আয়তনের দ্বিগুণ। যদিও পাকিস্তানের খনিজ সম্পদের মূল্য বর্তমানে ৮ ট্রিলিয়ন ডলার বলে অনুমান করা হচ্ছে এবং ইসলামাবাদ দীর্ঘদিন ধরে তার খনিজ সম্পদ নিয়ে গর্ব করে আসছে, কিন্তু সেগুলো কাজে লাগাতে ইচ্ছুক বিনিয়োগকারীদের খুঁজে পেতে বেগ পেতে হচ্ছে।

ফরেন পলিসি মনে করে যে এই পরিস্থিতিতে, মার্কিন সরকারের এই ধরনের বিনিয়োগের প্রতি আগ্রহ প্রকাশ ইসলামাবাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে।

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী বিশ্বাস করেন যে খনি খাতে বিনিয়োগ আন্তর্জাতিক অর্থায়নের উপর দেশের নির্ভরতা কমাতে পারে এবং দীর্ঘমেয়াদী অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে পারে।#

সূত্র: পার্সটুডে




আল-আকসা মসজিদটি ভেঙে থার্ড টেম্পল নির্মাণের প্রচারণায় ইসরায়েল

ডিএনবি নিউজ আর্ন্তজাতিক ডেস্ক:

ফিলিস্তিনের মুসলিমদের পবিত্রতম স্থানগুলোর একটি আল-আকসা মসজিদকে কেন্দ্র করে ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীদের সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ড গভীর উদ্বেগ ও উত্তেজনার সৃষ্টি করেছে। মসজিদটি ধ্বংস করে সেখানে ‘থার্ড টেম্পল’ নির্মাণের আহ্বান এবং পরিকল্পনার অভিযোগে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ফিলিস্তিনি সরকার।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার বরাতে জানা গেছে, সম্প্রতি হিব্রু ভাষায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এমন কিছু পোস্ট ছড়িয়ে পড়েছে যেখানে আল-আকসা মসজিদে হামলার উসকানি এবং সেই জায়গায় নতুন ইহুদি উপাসনালয় নির্মাণের আহ্বান জানানো হয়েছে। বিষয়টিকে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ অত্যন্ত উদ্বেগজনক বলে উল্লেখ করেছে এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।

শনিবার (১৯ এপ্রিল) ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্র ও প্রবাসী মন্ত্রণালয় জানায়, এই ধরনের আহ্বান শুধু ধর্মীয় অবমাননা নয়, বরং এটি সরাসরি মুসলিম বিশ্বের অনুভূতিতে আঘাত এবং পবিত্র স্থানের স্থিতিশীলতা নষ্টের চেষ্টা। তারা সতর্ক করে দিয়ে বলেন, এই প্রচেষ্টা জেরুজালেমে ইসরায়েলি আগ্রাসনের অংশ এবং ধর্মীয় সহিংসতা উসকে দেওয়ার কৌশল।

সম্প্রতি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) মাধ্যমে তৈরি একটি ভিডিও আরও উদ্বেগ বাড়িয়েছে। ভিডিওটিতে দেখানো হয়েছে, আল-আকসা মসজিদ ধ্বংস করে সেখানে তৃতীয় ইহুদি মন্দির গড়ে তোলার দৃশ্য। আগামী বছর জেরুজালেমে শিরোনামের এই ভিডিও সামাজিকমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে এবং মুসলিম বিশ্বে তীব্র প্রতিক্রিয়ার জন্ম দেয়।

ফিলিস্তিনিদের মতে, আল-আকসা শুধু একটি ধর্মীয় স্থান নয়, এটি তাদের জাতীয় পরিচয়ের প্রতীক। ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের জন্য এটি তৃতীয় সর্বোচ্চ মর্যাদাসম্পন্ন পবিত্র স্থান। যদিও প্রাঙ্গণের প্রশাসনিক দায়িত্ব জর্ডানের হাতে, ইসরায়েলি বাহিনী নিয়ন্ত্রণ করছে প্রবেশ ও নিরাপত্তাব্যবস্থা।

অন্যদিকে, ইহুদি ধর্মাবলম্বীদের একটি অংশ বিশ্বাস করে, এই স্থানেই প্রাচীনকালে প্রথম ও দ্বিতীয় টেম্পল স্থাপিত ছিল, যা রোমান সাম্রাজ্য খ্রিস্টপূর্ব ৭০ সালে ধ্বংস করে। সেই ঐতিহাসিক পটভূমিকে সামনে রেখেই তারা এখানে তৃতীয় মন্দির নির্মাণের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে।

ডানপন্থি ইসরায়েলি রাজনীতিবিদরা এই দাবি আরও জোরদার করছেন। জাতীয় নিরাপত্তাবিষয়ক মন্ত্রী ইতামার বেন-গভির ২০২৪ সালের আগস্টে আল-আকসা প্রাঙ্গণে টেম্পল মাউন্ট স্থাপনের ঘোষণা দিয়ে বিতর্কে জড়ান। জানা গেছে, তিনি ২০২২ সালে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে অন্তত ছয়বার আল-আকসা সফর করেছেন। প্রতিবারই এই সফর ঘিরে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে।

ফিলিস্তিনি সরকার এই ঘটনাগুলোকে একটি পরিকল্পিত উসকানি হিসেবে দেখছে এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও জাতিসংঘের সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে, যেন এ ধরনের উসকানিমূলক কর্মকাণ্ডকে আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

বর্তমানে আল-আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণ কার্যত ডানপন্থি ইসরায়েলি রাজনীতিবিদ ও বসতি স্থাপনকারীদের টার্গেটে পরিণত হয়েছে। ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনীর সহায়তায় তারা প্রায় প্রতি সপ্তাহেই জোরপূর্বক মসজিদ চত্বরে প্রবেশ করছে এবং সেখানে ধর্মীয় আচার পালন করছে, যা বর্তমানে চুক্তিভিত্তিক নিষিদ্ধ।

আন্তর্জাতিক মহলের মধ্যে অনেকেই এই পরিস্থিতিকে হেবরনের ইব্রাহিমি মসজিদের ঘটনার সঙ্গে তুলনা করছেন, যেখানে মুসলিম ও ইহুদি অংশে জায়গা ভাগ করে দেওয়া হয়েছিল। অনেকে আশঙ্কা করছেন, আল-আকসার ক্ষেত্রেও হয়তো ইসরায়েল এমনই কিছু পরিকল্পনা করছে।

এই পরিস্থিতিতে আল-আকসা মসজিদের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন মুসলিম বিশ্ব ও ফিলিস্তিনি জনগণ আন্তর্জাতিক সংহতি ও প্রতিরোধের আহ্বান জানাচ্ছে। তারা বলছে, এই পবিত্র স্থানকে রক্ষা করা কেবল একটি ধর্মীয় দায়িত্ব নয়, বরং এটি একটি বৈশ্বিক ন্যায়বিচারের প্রশ্ন।




খান ইউনুসের দক্ষিণে ইসরাইলি সৈন্য নিহত; গাজা যুদ্ধের প্রতিবাদকারী ইসরাইলি ডাক্তারদের তলব

ডিএনবি নিউজ আন্ত: ডেস্ক:

হামাসের সামরিক শাখা ইজ্জাদ্দিন আল-কাসসাম ব্রিগেড ঘোষণা করেছে যে এই ব্রিগেডের যোদ্ধারা দক্ষিণ গাজা উপত্যকার খান ইউনুসের দক্ষিণে ইসরাইলি বাহিনীর একটি দলকে হতাহত করেছে।

পার্সটুডে জানিয়েছে, হামাস আন্দোলনের সামরিক শাখা কাসসাম ব্রিগেড এক বিবৃতিতে ঘোষণা করেছে: গত বুধবার, এই ব্রিগেডের যোদ্ধারা খান ইউনুস শহরের দক্ষিণে ইসরাইলি সেনাবাহিনীর তিনটি D9 সাঁজোয়া বুলডোজারকে অত্যন্ত শক্তিশালী বোমা দিয়ে ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে।

বিবৃতি অনুসারে, একই এলাকায় একটি পৃথক অভিযানে, কাসসাম ব্রিগেডের যোদ্ধারা একটি শত্রু সামরিক ইউনিটকে একটি ফাঁদে আটকে থাকা সুড়ঙ্গ খোলার জন্য প্রলুব্ধ করতে সফল হয়েছিল। বেশ কয়েকজন ইসরাইলি সৈন্য সুড়ঙ্গে প্রবেশ করার সাথে সাথে একের পর এক বোমা বিস্ফোরিত হয়, যার ফলে তাদের বেশ কয়েকজন নিহত এবং আরো অনেকে আহত হয়।

গত বৃহস্পতিবারও, কায়জান আল-নাজ্জার এলাকায় আরও তিনটি ইসরাইলি সেনাবাহিনীর বুলডোজারকে ট্যাঙ্ক-বিধ্বংসী অস্ত্র দিয়ে লক্ষ্যবস্তু করা হয়, যার মধ্যে রয়েছে একটি “ইয়াসিন ১০৫” ক্ষেপণাস্ত্র, একটি “শাওয়াজ” বোমা এবং একটি ব্যারেল বোমা।

অন্য খবরে, ইসরাইলি গণমাধ্যম জানিয়েছে যে ইসরাইলের সেনাবাহিনী যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার বিরোধিতা করে একটি আবেদনে স্বাক্ষরকারী সামরিক বাহিনীর বেশ কয়েকজন রিজার্ভ ডাক্তারকে সামরিক কমান্ডারদের সাথে বৈঠকের জন্য ডেকে পাঠায়।

ইসরাইলে প্রকাশিত দৈনিক “হারেৎজ”, ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর একজন রিজার্ভ ডাক্তারের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছে যে সামরিক কমান্ডাররা এই বৈঠকে স্বাক্ষরকারীদেরকে তাদের স্বাক্ষর প্রত্যাহার করতে বলেছিলেন এবং তাদের যুদ্ধ না করার এ পদক্ষেপকে “অবৈধ” বলে বর্ণনা করেছেন।

বিমান বাহিনীর একজন রিজার্ভ ডাক্তার হারেৎজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন: “আমি চাকরিচ্যুত হওয়ার ভয় পাই না।” যা ঘটছে তা হলো কিছু রাজনীতিবিদ সেনাবাহিনীকে আমাদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক অবস্থান নিতে বাধ্য করার চেষ্টা করছেন।

গত মঙ্গলবার আরেকটি দৈনিক “ইসরায়েল হায়োম” লিখেছে যে ৩,০০০ ইসরাইলি শিক্ষা কর্মী গাজা উপত্যকা থেকে ইসরাইলি বন্দীদের ফিরিয়ে দেওয়ার এবং এই অঞ্চলে যুদ্ধ বন্ধ করার দাবিতে একটি আবেদনে স্বাক্ষর করেছেন।

এ ছাড়া, ইসরাইলের ২০০ বন্দী পরিবার এবং মুক্তিপ্রাপ্ত যুদ্ধবন্দীরা যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানিয়ে বার্তা প্রকাশ করেছে।

এর আগে, ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে দুটি আবেদন প্রকাশিত হয়েছিল, যেগুলোতে এখন পর্যন্ত ২০০ জনেরও বেশি লোক স্বাক্ষর করেছেন।

একটি আবেদনপত্র তৈরি এবং তাতে স্বাক্ষর করেছেন সাইবার ইউনিটের যোদ্ধারা এবং অন্যটি করেছেন ইসরাইলি সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা “আমান”-এর বিশেষ অপারেশন ইউনিটের অভিজ্ঞ সদস্যরা।

অন্যদিকে, ইসরাইলি আর্মি রেডিও জানিয়েছে যে সরকারের নৌবাহিনীর ৪৫০ জন বর্তমান এবং প্রাক্তন কর্মকর্তা অবিলম্বে যুদ্ধ অবসান এবং গাজা উপত্যকা থেকে ইসরাইলি বন্দীদের ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টার আহ্বান জানিয়ে একটি আবেদনে স্বাক্ষর করেছেন।

এই পদক্ষেপ এমন এক পরিস্থিতিতে নেওয়া হয়েছে যেখানে যুদ্ধ দীর্ঘায়িত হওয়া এবং এর লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থতা বিশেষ করে গাজা উপত্যকা থেকে ইসরাইলি বন্দীদের মুক্ত করতে ব্যর্থ হওয়ায় ইসরাইলের ভেতরে অসন্তোষ বিরাজ করছে।সূত্র: পার্সটুডে