এই বছরের শেষ দিকে হতে পারে নির্বাচন, জানালেন প্রধান উপদেষ্টা

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, গণতন্ত্রের পথে নির্বাচন একটি অপরিহার্য পদক্ষেপ। এই বছরের শেষের দিকে বাংলাদেশে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি।

জাপানের ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশনকে (এনএইচকে) দেওয়া বিশেষ সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।

নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার পর, নতুন যে সরকার আসবে তাদের কাজ করার জন্য অত্যন্ত নিরাপদ এবং শক্তিশালী ভিত্তি থাকবে বলেও মনে করেন তিনি।

৫ আগস্টের পরবর্তী সময়ে যে পরিস্থিতিতে ড. ইউনূস প্রধান উপদেষ্টার পদে বসেছিলেন সেই সময়ের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা যখন এসেছিলাম তখনকার পরিস্থিতি বিবেচনা করে, আমার মনে হয় আমরা অনেক দূর এগিয়েছি, কারণ এটা সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত একটা সমাজ, বিধ্বস্ত অর্থনীতি, রাজনৈতিক ব্যবস্থা, বিচার ব্যবস্থা, সবকিছুই বিধ্বস্ত ছিল।

প্রধান উপদেষ্টা আশা করেন যে দেশের তরুণরা ভবিষ্যতে প্রভাবশালী ভূমিকা রাখবে। গত বছরের আন্দোলনে তারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল।

ড. ইউনূস বলেন, তরুণরা যা করতে চায় তা হলো তাদের সৃজনশীল শক্তি প্রদর্শন করে বিশ্বকে তা জানিয়ে দেওয়া। তাই আমাদের মনে সেই উচ্চাকাঙ্ক্ষা রয়েছে এবং দেখা যাক আমরা কীভাবে এগিয়ে যাই।

তিনি দেশের বৃহত্তম উন্নয়নশীল অংশীদার জাপানের প্রতি কৃতজ্ঞতাও প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, তাদের প্রযুক্তি এবং বিনিয়োগ তরুণ বাংলাদেশিদের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে।




চবিতে রাসুলুল্লাহ (সা.) কে নিয়ে কটুক্তি, বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

মুসলিমদের প্রাণের স্পন্দন রাসুলুল্লাহ হযরত মুহাম্মাদ সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। তাঁকে নিয়ে কটুক্তি করলে সকল মুসলিমের অন্তরে আঘাত লাগবে।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) নৃবিজ্ঞান বিভাগের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের সানবিম সিফাত ফেসবুকে রাসুলুল্লাহ (স) কে নিয়ে কটুক্তিসহ ইসলাম অবমাননাকর মন্তব্য করে। এর প্রতিবাদে মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪) দুপুর ১২ টা ৩০ মিনিটে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শহিদ মিনার প্রাঙ্গণে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ সমাবেশ করেন।

নৃবিজ্ঞান বিভাগের ২৩-২৪ সেশনের শিক্ষার্থী মাহদী হাসান বলেন, “আমাদের সহপাঠী সানবিম সোশ্যাল মিডিয়াতে রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে কটুক্তি করে। এছাড়াও সে সোশ্যাল মিডিয়াতে অনবরত ইসলাম বিদ্বেষী বক্তব্য দিয়ে আসছে। তাকে ক্ষমা চাইতে বলা হলে সে উদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করে। আমরা তার বিচার চাই। তাকে আজীবনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করতে হবে। তাকে বহিষ্কারের আগ পর্যন্ত আমরা নৃবিজ্ঞান বিভাগের ২০২৩-২৪ সেশনের সকল শিক্ষার্থী ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন করলাম। তাকে বহিষ্কার না করলে আমাদের পুরো ব্যাচকে বহিষ্কার করতে হবে। রাসুলুল্লাহ (স) এর অবমাননাকারী শাতিমের ব্যাপারে কোনো আপোষ নাই।”

আইন বিভাগের ২০২১-২২ সেশনের শিক্ষার্থী আহসান হাবিব বলেন, “কেউ ব্যক্তিগতভাবে কোনো বিশ্বাস অবলম্বন করতে পারে। কিন্তু, রাসুলুল্লাহ (স) এর ব্যাপারে অবমাননাকর কোনো মন্তব্য করার কোনো অধিকার কারো নাই। কেউ এমনটা করলে কোটি মুসলিমের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ শুরু হবে। তাদের পক্ষে এটা সহ্য করা সম্ভব নয়। এসব উজ্জ্বল দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হলে এরকম ঘটনা অহরহ ঘটতে থাকবে। এমন অবমাননাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির মাধ্যমে দমন করতে হবে। অন্যথায় সমাজে নৈরাজ্য সৃষ্টির সম্ভবনা রয়েছে। আমরা আমাদের জীবনের চেয়ে প্রিয় নবি হযরত মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বেশি ভালোবাসি। আমাদের ভালোবাসায় আঘাত করা হয়েছে। আমরা দ্রুত দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির মাধ্যমে এর সমাধানের দাবী জানাচ্ছি।”

শিক্ষার্থীর বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে শহিদ মিনার থেকে সমাজবিজ্ঞান অনুষদ হয়ে প্রক্টর অফিসে যান। এসময় তারা “বিশ্বনবীর অপমান, সইবে না রে মুসলমান”, ” শাতিমের ঠিকানা, এই জমিনে হবে না”, “নবি অবমাননাকারীকে বহিষ্কার করো, করতে হবে”, “নারায়ে তাকবির, আল্লাহ আকবার”, “ইসলামের শত্রুরা, হুঁশিয়ার সাবধান” স্লোগান দেন। শিক্ষার্থীদের হাতে এসময় “Defending the honor of the Prophet (Sm) is our duty.”, “যে ক্যাম্পাস মহানবী (স.) এর সম্মান রক্ষা করতে পারে না, সে ক্যাম্পাস সঠিক শিক্ষাও প্রতিষ্ঠা করতে পারে না।”, “We stand united against any insult to our beloved Prophet (Sm)” প্রভৃতি লেখা প্ল্যাকার্ড দেখা যায়।




দুর্গাপুরে সরকারি রাস্তা দখল করে বসতঘর নির্মাণের অভিযোগ

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার চন্ডিগড় ইউনিয়নের ফেচিয়া এলাকায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) রাস্তা দখল করে স্থানীয় বাসিন্দা মো. আব্দুল কাদিরের বিরুদ্ধে বসতঘর নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে।

এ ঘটনায় গত ৩০ জানুয়ারি স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপজেলা প্রকৌশলী বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন একই এলাকার আওলাদ আহাম্মেদ নামের এক ব্যক্তি। পরে রবিবার (৩ ফেব্রুয়ারী) সকালে স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছেও লিখিত অভিযোগ দেন তিনি।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার চন্ডিগড় ইউনিয়নের অন্তর্গত চন্ডিগড় উচ্চ বিদ্যালয় হতে ফেচিয়া গুদারাঘাট পর্যন্ত রাস্তা যার আইডি নং – ৩৭২১৮৪০০৩ ফেচিয়া মাদ্রাসা সংলগ্ন পশ্চিম পাশে মানুষের চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে বসতঘর নির্মাণ শুরু করেছেন। ওই রাস্তা দিয়ে এলাকার সকল মানুষ বিদ্যালয়, মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ও কৃষি পণ্য বাজারজাত করার এক মাত্র রাস্তা। এমন অবস্থায় ওই রাস্তার উপর বসতঘর নির্মাণ করলে মানুষের চলাচলের অসুবিধা হবে। এছাড়াও ঘটনাটিতে আইন শৃঙ্খলা অবনতি হতে পারে বলেও লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেন অভিযোগকারী আওলাদ আহাম্মেদ।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে অভিযুক্ত আব্দুল কাদির মুঠোফোনে বলেন, আমি আমার জায়গায় বসত বাড়ি করতেছি, অফিস থেকে কাগজপত্র আমাদেরকে দিয়ে গেছে সরকারি খাজনা ছাড়া সরকারের আর কোনো দাবী নাই। আপনারা এখানে এসে দেখে যান, আমি আমার জায়গায় বসত বাড়ি করছি।

এ প্রসঙ্গে উপজেলা প্রকৌশলী মো. মনিরুজ্জামান বলেন, একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগে উল্লেখিত আইডি নং অনুযায়ী রাস্তাটি আমাদের। তবে সরেজমিনে গিয়ে ঘটনাটি দেখে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. নাভিদ রেজওয়ানুল কবীর বলেন, এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলীকে বলেছি সরেজমিনে গিয়ে বিষয়টি দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য।




আল্লাহর ইচ্ছায় অসম্ভবও সম্ভব হয়; আমেরিকা ও ইসরাইলের ওপর গাজা বিজয়ী হয়েছে: সর্বোচ্চ নেতা

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানে অনুষ্ঠিত ৪১তম আন্তর্জাতিক কুরআন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষক, ক্বারী ও হাফেজদের সঙ্গে বৈঠকে সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী ইমাম হুসাইন (আ.)’র শুভ জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। তেহরানে ইমাম খোমেনী (রহ.) হুসাইনিয়াতে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে তিনি কুরআনের শব্দ, গঠন, বিষয়বস্তু এবং ঐশী রীতি- এই সব কিছুকে মুজিযা হিসেবে বর্ণনা করেছেন।

আয়াতুল্লাহ খামেনেয়ী জোর দিয়ে বলেন, যদি এই মহা মুজিযাকে সঠিক ভাবে কাজে লাগানো হয়, তাহলে মানবজাতির সব সমস্যার সমাধান হবে এবং মানব জীবনে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে।

তিনি মহানবী হজরত মুহাম্মদ (স.)-এর মুজিযা আমাদের মাঝে বিদ্যমান থাকাকে মানবতা তথা গোটা বিশ্বের জন্য এক বিরাট আশীর্বাদ হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, কুরআন নিয়ে কাজ করার সময় ও তেলাওয়াত করার সময় পূর্ণ মনোযোগ দিতে হবে। মনে রাখতে হবে সর্বশেষ নবীর মুজিযা আমার সামনে। পবিত্র কুরআনে উল্লেখিত তাওয়াক্কুল (আল্লাহর উপর আস্থা) সম্পর্কে ব্যাখ্যা তুলে ধরতে গিয়ে সর্বোচ্চ নেতা বলেন, পবিত্র কুরআনে যেমনটি বলা হয়েছে কেউ আল্লাহর উপর ভরসা করলে তিনিই তার জন্য যথেষ্ট; আল্লাহর ওপর নির্ভরতার শর্তাবলী পূর্ণ হলে এই ঐশী প্রতিশ্রুতি অবশ্যই বাস্তবায়িত হবে।

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আরও বলেন, কুরআন এক চিরন্তন মুজিযা। এই মুজিযার সঙ্গে অন্যান্য মুজিযার পার্থক্য হলো, অন্যান্য মুজিযা সম্মানিত নবীর যুগের সাথে সম্পর্কিত। মূসা (আ.)’র লাঠি কেবল ঐ যুগের মানুষ দেখতে পেত। কিন্তু ইসলামের নবীর মুজিযা পবিত্র কুরআন হাজার হাজার বছর ধরে মানুষ দেখতে পাবেন।

সর্বোচ্চ নেতা বলেন, আল্লাহর ইচ্ছায় অসম্ভবও সম্ভব হয়ে ওঠে। যদি বলা হতো যে, গাজা আমেরিকার সরকারের মতো একটি বৃহৎ শক্তির সাথে লড়াই করবে এবং গাজা তাতে বিজয়ী হবে। তাহলে কি আপনি বিশ্বাস করতেন?! না, বিশ্বাস করতেন না। এগুলো অসম্ভব বিষয়গুলোর মধ্যে পড়ে। কিন্তু আল্লাহর ইচ্ছায় তা সম্ভব হয়েছে।

আয়াতুল্লাহ খামেনেয়ী আরও বলেন, অন্যান্য জাতির সাথে ইরানি জাতির পার্থক্য হলো- ইরানি জাতি আমেরিকাকে আগ্রাসী, মিথ্যাবাদী এবং প্রতারক বলার সাহস রাখে। কিন্তু অন্যরা সাহস দেখায় না এবং তাদের ভূমিকা পালন করে না। যখন এটা করা হয় না তখন ফলও পাওয়া যায় না। গত ৪০ বছরেরও বেশি সময় ধরে বিশ্বের সব দাম্ভিক শক্তি ইরানের বিরুদ্ধে চেষ্টা চালিয়েছে। কিন্তু ইরানি জাতি আঘাতপ্রাপ্ত হয় নি বরং অগ্রগতি লাভ করেছে। আজকের ইরান আর ৪০ বছর আগের ইরান এক নয়। আমরা সব ক্ষেত্রেই উন্নতি করেছি।#

পার্সটুডে




দুর্গাপুরে অবাক কান্ড ! এক রিপোর্টে জটিল রোগ, অন্য রিপোর্টে কিছুই না

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

তল পেটে অসুস্থতা অনুভব নিয়ে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন মধ্য বয়সী নারী মোছাঃ ফাতেমা খাতুন (৫০)। চিকিৎসকের পরামর্শে ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পরীক্ষা করিয়ে জানতে পারেন তার কঠিন রোগ। মুখোমুখি হয়েছেন কঠিন এক চ্যালেঞ্জের। গত ২৪ জানুয়ারি স্থানীয় একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারের আলট্রাসনোগ্রাম, প্রসাব ও রক্ত পরীক্ষা করিয়ে জরায়ু পেশীর টিউমার শনাক্ত হয়। এমন খবরে হতাশায় ভেঙে পড়েন ফাতেমা ও তার পরিবার। ফাতেমা খাতুনের বাড়ি দুর্গাপুর উপজেলার চন্ডিগড় ইউনিয়নের মউ গ্রামে। ওই গ্রামের সাইদুর রহমানের স্ত্রী তিনি।

পরবর্তিতে তিনদিন পর ২৮ জানুয়ারি ফাতেমাকে নিয়ে ময়মনসিংহে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন তিনি। সেখানে পুনরায় আলট্রাসনোগ্রাম করালে সেখানকার পরীক্ষায় আসে স্বাভাবিক ফলাফল। মাত্র তিনদিনের ব্যবধানে দুই পরিক্ষায় দুই রকম ফলাফল দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন ভুক্তভোগী পরিবার। এমনি ঘটনা ঘটেছে নেত্রকোনার দুর্গাপুরে। পৌর শহরের হাসপাতাল সংলগ্ন গেইটের সামনে ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টারের দেয়া ভুল রিপোর্টে অপচিকিৎসা হচ্ছিল বলে অভিযোগ রোগী ও স্বজনদের।

ভুক্তভোগী পরিবার জানায়, গত ২৪ জানুয়ারি তল পেটে অসুস্থতা নিয়ে ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টার চেম্বারে গায়নী বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডাঃ জয়ন্তী রানী ধরের কাছে চিকিৎসা নিতে যান ফাতেমা খাতুন। সেসময় ওই চিকিৎসক আলট্রাসনোগ্রাম, রক্ত ও প্রসাব পরীক্ষা করতে দেন ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টারে। সেখানে আলট্রাসনোগ্রাম প্রস্তত করেন ডাঃ রকিবুল হাসান। তার দেওয়া রিপোর্টে রোগী ফাতেমার জরায়ু সৌম্য মসৃণ পেশীর টিউমার শনাক্ত হয়। সেই রিপোর্ট নিয়ে পুনরায় চিকিৎসক জয়ন্তী রানী ধরের কাছে গেলে তিনি অপারেশনের মাধ্যমে রোগ মুক্তি লাভের কথা জানিয়ে প্রয়োজনীয় কিছু ওষুধ সেবন করার জন্য ব্যবস্থাপত্র দেন। পরে তারা জমি বন্ধক দিয়ে অন্য চিকিৎসক দেখানো জন্য ময়মনসিংহ যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। ময়মনসিংহে আরেকজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দেখান ও দুর্গাপুরের রিপোর্টের কথা চিকিৎসকে বললে তিনি সন্দেহের বিষয়টি দূর করতে পূনরায় আলট্রাসনোগ্রাম করালে বেরিয়ে আসে থলের বিড়াল। দুর্গাপুরের দেয়া রিপোর্টের সাথে কোন মিলই নাই ময়মনসিংহের রিপোর্টে। রোগীর শরীরে জরায়ু মুখের টিউমারের কোন অস্তিত্বই পাওয়া যায়নি। ভুক্তভোগী পরিবারের দাবী, দুর্গাপুরের দেয়া ভুল রিপোর্টে অপারেশন করালে বড় ধরনের ক্ষতি হতে পারতো ফাতেমা খাতুনের ।

ভুক্তভোগী রোগী ফাতেমা খাতুন বলেন, পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরে আমার জরায়ু মুখে টিউমার হইছে শুনে মহা দুঃচিন্তায় পরেছিলাম। অপারেশন বহু টাকার প্রয়োজন। আমি বাড়িতে এসে বিশ্বাস করতে পারছিলাম না যে আমার টিউমার হয়েছে তাই আর ওই ঔষধ খায়নি ময়মনসিংহ গিয়ে আবার ডাক্তার দেখালে আবারও আলট্রা করিয়ে নিশ্চিত হলাম টিউমার বলে কিছুই হয়নি। শুধু প্রসাবে ইনফেকশন হয়েছে। এরা কি ডাক্তার না কসাই ?

এদিকে ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টারের আলট্রাসনোগ্রাম রিপোর্টে ভুলের বিষয়ে ডাঃ রকিবুল হাসান বলেন, রিপোর্ট গুলো আমার দেখতে হবে তা নাহলে কিছু বলা সম্ভব না। আমরা দুর্গাপুরের যে মেশিন গুলো দিয়ে আলট্রা করি এর চেয়েও ময়মনসিংহে দামী মেশিন পাওয়া যায় এবং উন্নত মানের মেশিন তাই আমাদের প্রায় এমন কনফিউশন হয় আমরা রোগীদেরকেও বলে থাকি উন্নতমানের মেশিনে আলট্রা করার জন্য। বিষয়টি আনকমন না স্বাভাবিক বিষয়ই বলে জানান তিনি। ডাঃ রকিবুল হাসান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার এবং ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টারে চেম্বার করেন।

ভুক্তভোগী ওই নারীর ব্যবস্থাপত্র দেওয়া চিকিৎসক জয়ন্তী রানী ধর মুঠোফোনে বলেন, ডাক্তারের সব কিছু তো আপনারা জানেন না বা বুঝেনও না, আমি যেমন সাংবাদিকতার সব কিছু বুঝবো না, আমি আপনাকে যেটা বুঝাতে পারি ডাঃ রকিবুল যদি টিউমার পেয়ে থাকেও আমি এন্টিবায়োটিক ডোজ দিয়েছি তাতেও অনেক সময় টিউমার ভ্যানিশ অর্থাৎ ওটা মিশে গেছে হয়তো।
একাধিক সূত্রে জানা গেছে, এর আগেও ডাঃ জয়ন্তী রানী ধর ও ডাঃ রকিবুল হাসানের বিরুদ্ধে দুর্গাপুরে বহু অপচিকিৎসার অভিযোগ উঠেছিল। এমনকি রোগীর মৃত্যুর ঘটনাও ঘটে। অন্য দিকে ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোর পরীক্ষার মান ভালো না থাকায় ফ্যাসাদে পড়তে হয় রোগীদের। এমনকি পরীক্ষা নিরীক্ষার চার্জও বেশি নেওয়া হয়। এতে করে রোগীদের হয়রানিসহ আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হতে হয় প্রতিনিয়ত।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দায়িত্বে থাকা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডাঃ তানরিুল ইসলাম রায়হান বলেন, ঘটনাটি এমনটি হলে খুবই দুঃখজনক। বিষয়টি আমাদের হাসপাতালের না তাই এর দায় ওই বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকেই নিতে হবে।




জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে ইজতেমা ময়দান

ফজরের নামাজের পর আম বয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে মুসলিমদের অন্যতম বড় জমায়েত বিশ্ব ইজতেমা। দেশের লাখ লাখ মুসলমানদের পাশাপাশি কয়েক হাজার বিদেশি মুসলিমও এসেছেন ইজতেমায় অংশ নিতে।

ইজতেমাকে কেন্দ্র করে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ও গুজব প্রতিরোধে পুলিশের পাশাপাশি গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করছে।

শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) সকাল ১০ থেকে ইজতেমা মাঠের বিভিন্ন ব্লক ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিটি তাবুতে বিভিন্ন জেলা থেকে আগত মুসল্লীরা ইবাদত-বন্দেগি করছেন। অনেকেই ইজতেমার সহযাত্রীদের জন্য খাবার রান্না করছেন। সবাই আগে রান্না শেষ করে জুমার নামাজ আদায়ের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

পল্টন থেকে ইজতেমার মাঠে এসেছেন আহমেদ রাফি। তিনি বলেন, আমরা প্রায় ৩০০ জন এসেছি। এবারের পরিবেশ আগের চেয়ে ভালো। আমাদের সবারই চাওয়া দেশে শান্তি বিরাজ করুক। আমরা যেনো ইসলামের পথে সঠিকভাবে চলতে পারি।

১৫০ জন সাথী নিয়ে পুরান ঢাকার লালবাগ থেকে আগত জামিল বলেন, আমি ইজতেমায় আগেও এসেছি। এবারের পরিবেশ ও নিরাপত্তা অনেক ভালো। বর্তমানে তাবলীগ জামায়াত ঘিরে যে সমস্যা চলছে আল্লাহর পক্ষ থেকে এর সমাধান চাই।

ভারত, সৌদি আরব ও পাকিস্তানসহ বিশ্বের ৭০ টি দেশ থেকে দুই হাজারের বেশি মুসল্লি ইজতেমায় অংশ নিয়েছেন বলে জানা গেছে। আয়োজকদের পক্ষ থেকে বিদেশি মেহমানদের জন্য বিশেষ নিরাপত্তার আয়োজন করা হয়েছে। নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যে তাদের জন্য আলাদা তাবুর ব্যবস্থা রয়েছে। কেউ চাইলেই তাদের সংস্পর্শে আসতে পারবে না।

পাকিস্তানের পেশোয়ার থেকে এসেছেন জিয়াউর রহমান ফারুকী। তিনি বলেন, আমি এপর্যন্ত ৫ বার এই বিশ্ব ইজতেমায় এসেছি। বাংলাদেশের মানুষ অনেক অতিথিপরায়ন। আল্লাহর পথে দাওয়াতি কাজে মেহনত করতে এসেছি। বাংলাদেশিদের আল্লাহ উত্তম প্রতিদান দেবেন। কারণ তারা আমাদের মতো বিদেশি মেহমানদের জন্য ভালো ব্যবস্থা করেছেন। মেহমানদারিতে বাংলাদেশের মানুষ অনেক এগিয়ে।

বাংলাদেশি নাগরিক হয়েও বিদেশি কামরায় অবস্থান করেন দীন ইসলাম। তার সাথে কথা বলে জানা গেছে, তিনি কুয়েত প্রবাসী। সেখান থেকে ২০ জনের একটি জামায়াত নিয়ে এসেছেন ইজতেমায় অংশগ্রহন করতে।

তিনি বলেন, আমাদের মত যেসব বাংলাদেশী বিদেশে আছেন তারা কাকরাইল মসজিদের মাধ্যমে ম্যাসেজ পেয়ে যান। আমরা সময় মতো চলে আসি। আমরা আরব তাবুতে অবস্থান করছি। এখানে অনেক সুন্দর আয়োজন। প্রতিটি টেন্ড ও খিমায় আমল হচ্ছে। কোনো কোনো খিমায় তালিম হচ্ছে। সবাই আমলের মধ্যে সময় পার করছেন।

ইজতেমা মাঠে হামলার বিষয়টি নিয়ে বিদেশি মুসল্লিদের ভাবনার বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা খুব আন্তরিকতার সঙ্গে ইজতেমায় অংশ গ্রহণ করি। একটা গ্রুপ আছে ইজতেমার এই সুন্দর আয়োজনকে নষ্ট করার জন্য কাজ করছে। তারা ভয় দেখিয়ে বিদেশি মেহমানদের না-আসার চক্র করে যাচ্ছে। দাওয়াত ও তাবলীগের এই কাজটি তো হকের কাজ। কিন্তু এই কাজকে প্রশ্নবিদ্ধ করতেই তারা নিরীহ ও ঘুমন্ত মুসল্লীদের ওপর হামলা চালিয়ে হত্যা করেছে। এটা ন্যক্কারজনক ঘটনা।

জানা গেছে, ইজতেমার মাঠের নিরাপত্তায় প্রায় সাড়ে ৬ হাজারের বেশি পুলিশ এবং প্রায় ১০ হাজার স্বেচ্ছাসেবী কাজ করছেন। পাশাপাশি সাদা পোশাকে গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরাও কাজ করছেন।

ইজতেমা মাঠের নিরাপত্তার বিষয়ে গাজীপুর মহানগর পুলিশ (জিএমপি) কমিশনার ড.নাজমুল করিম খান বলেন, ইজতেমার মাঠে খুবই শান্তিপূর্ণ অবস্থা বিরাজ করছে। ইজতেমা ঘিরে কোনো যানজট নেই। দূরপাল্লার গাড়ি চলছে। মানুষ চলাচল করছে। নিরাপত্তা নিয়ে আমি সন্তুষ্ট। ইজতেমার মাঠে আসা হকারদের আমরা বুঝিয়ে সরিয়ে দিচ্ছি।




৫৮তম বিশ্ব ইজতেমা শুরু হচ্ছে আগামীকাল থেকে

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

৫৮তম বিশ্ব ইজতেমা, বিশ্বের সর্ববৃহৎ দ্বিতীয় মুসলিম জমায়েত শুরু হতে যাচ্ছে আগামীকাল শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি)। সুষ্ঠুভাবে ইজতেমা সম্পন্ন করার লক্ষ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার ও গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক শরফ উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী। শুক্রবার ইজতেমার প্রথম পর্ব শুরু হয়ে শেষ হবে ২ ফেব্রুয়ারি।

গতকাল (২৯জানুয়ারী) বুধবার টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে প্রস্তুতি বিষয়ে সাংবাদিকদের এ কথা জানান শরফ উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী।

ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব ৩ ফেব্রুয়ারী শুরু হয়ে ৫ ফেব্রুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে। এরপর আট দিন বিরতি দিয়ে ১৪ ফেব্রুয়ারি তৃতীয় ধাপের বিশ্ব ইজতেমার আয়োজন করবেন সাদপন্থিরা। ১৬ ফেব্রুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে ২০২৫ সালের বিশ্ব ইজতেমা। পরে ১৮ ফেব্রুয়ারি বাদ মাগরিব প্রশাসনের নিকট ময়দান বুঝিয়ে দিবেন সাদ অনুসারীরা।

ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার ও গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক শরফ উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী জানান, ইতোমধ্যে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে ইজতেমায় আগত মুসল্লিদের পানি, টয়লেট সুবিধা, পয়ঃনিষ্কাশন ও ইলেকট্রিসিটি সরবরাহের জন্য কাজ চলমান রয়েছে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করে ইজতেমার জন্য ময়দান প্রস্তুত করা হবে।

এছাড়া, ৫৮তম বিশ্ব ইজতেমা উপলক্ষ্যে ময়দানের চারিদিকে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে সিসি ক্যামেরায় নজরদারির ব্যাবস্তা করা হয়েছে। পাশাপাশি সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নকর্মীরা ইজতেমা ময়দানের সামনের রাস্তা পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার কাজ শেষ করেছেন। শেষ মুহূর্তের কিছু কাজ আজ বৃহস্পতিবারের মধ্যেই শেষ হয়ে যাবে বলে জানান ইজতেমা কর্তৃপক্ষ।




গাজা যুদ্ধবিরতির আওতায় ৩ ইসরাইলি বন্দির বিনিময়ে মুক্তি পাচ্ছেন ১১০ ফিলিস্তিনি

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

ইহুদিবাদী ইসরাইল এবং ফিলিস্তিনি ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তির আওতায় বন্দি বিনিময়ের তৃতীয় ধাপ হিসেবে তিনজন ইসরাইলি বন্দির বিনিময়ে ৩০ জন নাবালকসহ ১১০ জন ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দিতে প্রস্তুত ইসরাইল।

গতকাল বুধবার এক বিবৃতিতে ফিলিস্তিনি প্রিজনার্স ক্লাব এ্যাডভোকেসি গ্রুপ জানিয়েছে, আজ বৃহস্পতিবার ১১০ জন ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেয়া হবে। এতে আরো বলা হয়েছে, বন্দিরা দুপুরের দিকে রামাল্লার রাদানা এলাকায় পৌছাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

বন্দিদের তালিকা প্রকাশ করে গ্রুপটি জানিয়েছে যে ইসরাইলি কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়া ৩০ জন নাবালক,৩২ জন যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত এবং ৪৮ জন বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ভোগ করছেন। ক্লাবের মতে, মুক্তিপ্রাপ্ত বন্দিদের মধ্যে ২০ জনকে নির্বাসনে পাঠানো হবে। এছাড়া বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে বন্দি বিনিময়ের তৃতীয় ধাপে পাঁচ থাই নাগরিকসহ তিন ইসরাইলি বন্দিকে মুক্তি দেয়া হবে। শেষ দুটি বিনিময়ে হামাস ২৯০ জন বন্দির বিনিময়ে সাতজন ইসরাইলি বন্দীকে মুক্তি দিয়েছে।

এদিকে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় জানিয়েছে যে শনিবার চতুর্থ ধাপে তিনজন ইসরাইলিকে মুক্তি দেয়ার কথা রয়েছে। তিনজন ইসরাইলি বন্দির বিনিময়ে ৯০ জন ফিলিস্তিনির মুক্তির মাধ্যমে গত ১৯ জানুয়ারী গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তির বাস্তবায়ন শুরু হয়েছিল।

এদিকে, ইসরাইল চুক্তির আওতায় মুক্তি পেতে যাওয়া ৭০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি বন্দির একটি তালিকা প্রকাশ করেছে। এদের মধ্যে ২৩০ জনের বেশি বন্দি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ভোগ করেছেন এবং মুক্তির পর তাদেরকে স্থায়ীভাবে নির্বাসনে পাঠানো হবে।




ইবতেদায়ী মাদরাসা জাতীয়করণের আশ্বাস, অবস্থান কর্মসূচি প্রত্যাহার

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

দেশের সব স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসা পর্যায়ক্রমে জাতীয়করণের নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। মঙ্গলবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব (কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগ) মাসুদুল হক এক ব্রিফিংয়ে এ ঘোষণা দিয়েছেন।

শিক্ষকদের অন্যান্য দাবি চলতি বছর থেকে বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া শুরুর ঘোষণাও দেন যুগ্ম সচিব। তিনি জানান, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মতো স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসায় প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণি খোলা অনুমোদনের পাশাপাশি শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে।

এরপর অবস্থান কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নিয়েছে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসার শিক্ষকরা। অবশ্য চলতি বছরের জুনের মধ্যে এসব দাবি পূরণের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত না হলে জুলাইয়ের ১ তারিখ থেকে কঠোর কর্মসূচি পালনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আন্দোলনকারী শিক্ষকরা।

এর আগে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসা জাতীয়করণে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেয় আন্দোলনরত শিক্ষকরা। নির্ধারিত সময়ে দাবি না মানলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘেরাওয়ের হুঁশিয়ারিও দেয় তারা।

গতকাল সোমবার রাজধানীর শাহবাগের জাতীয় জাদুঘর সংলগ্ন এলাকায় শিক্ষকদের অবস্থান কর্মসূচি থেকে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসার শিক্ষকদের পক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক রুহুল আমিন এই আল্টিমেটামের সিদ্ধান্ত জানান।

ইবতেদায়ী শিক্ষকদের ৬ দাবি-

১। স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসা নিবন্ধন স্থগিতাদেশ ২০০৮ প্রত্যাহার করা।

২। রেজিস্ট্রেশনপ্রাপ্ত কোডবিহীন মাদরাসাগুলো বোর্ড কর্তৃক কোড নম্বরে অন্তর্ভুক্তকরণ।

৩। স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসার আলাদা নীতিমালা।

৪। পাঠদানের অনুমতি, স্বীকৃতি, বেতন-ভাতা, নীতিমালা-২০২৫ অনুমোদন।

৫। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মতো অফিস সহায়ক নিয়োগের ব্যবস্থা নেওয়া।

৬। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মতো স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসায় প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণি খোলা অনুমোদনের ব্যবস্থা নেওয়া।




স্বর্ণপদক পাচ্ছেন কবি মুসা আল হাফিজ

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

দেশের প্রাচীনতম সাহিত্য প্রতিষ্ঠান কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদ প্রবর্তিত ‘কেমুসাস দেওয়ান আহবাব স্বর্ণ পদক-২০২৫’-এর জন্য বিশিষ্ট গবেষক, অনুবাদক, কবি মুসা আল হাফিজকে মনোনীত করা হয়েছে। ‘কেমুসাস দেওয়ান আহবাব স্বর্ণ পদক ব্যবস্থাপনা কমিটি’র সভাপতি হারুনুজ্জামান চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় মনোনীত ব্যক্তির নাম ঘোষণা করা হয়। ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যসচিব সেলিম আউয়ালের সঞ্চালনায় সাহিত্য সংসদ কার্যালয়ে শনিবার রাতে অনুষ্ঠিত সভায় অন্যান্যের মধ্যে আলোচনায় অংশ নেন শাবিপ্রবি’র সাবেক ডিন প্রফেসর ড. কামাল আহমদ চৌধুরী, সিলেট প্রেসক্লাবের সভাপতি ইকরামুল কবির, সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এমাদ উল্লাহ শহীদুল ইসলাম শাহিন, কেমুসাস-এর সাবেক সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান মাহমুদ রাজা চৌধুরী, পদকের দাতা সদস্য যুক্তরাজ্যের সলিসিটর দেওয়ান মাহদি।

প্রখ্যাত লেখক, রাজনীতিবিদ, সমাজসংস্কারক, দেওয়ান আহবাব চৌধুরী বিদ্যাবিনোদ (এমএলএ)’র স্মৃতিরক্ষা তথা অগ্রসর সমাজ বিনির্মাণে তার অবদানকে তুলে ধরা ও নতুন প্রজন্মকে তার চেতনায় উজ্জীবিত করার লক্ষ্যে কেমুসাস এ পুরস্কার প্রবর্তন করেছে। আগামী ৩০ জানুয়ারি ২০২৫ সন্ধ্যায় কেমুসাস’র ৮৮ বর্ষের বার্ষিক সাধারণ সভায় কবি মুসা আল হাফিজকে স্বর্ণপদকটি তুলে দেয়া হবে।

মুসা আল হাফিজ কবি, গবেষক, অনুবাদক, কথাশিল্পী, ইতিহাসবিদ, কলামিস্ট, সুবক্তা। তিনি ১৯৮৪ সালের ৫ অক্টোবর সিলেটের বিশ^নাথ উপজেলার আমতৈল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৯৫ সালে ১১ বছর বয়সে কুরআন মজিদের হিফজ সম্পন্ন করেন। ২০০৭ সালে কৃতিত্বের সাথে তাকমিল ফিল হাদিস এবং ২০০৮ সালে তাফসীরে বিশেষায়িত ডিগ্রি অর্জন করেন। এ বছরই জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ তরুণ আলেম হিসেবে পুরস্কৃত হন। কর্মজীবনে তিনি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে হাদীস – তাফসীর ও ভাষা-সাহিত্যে শিক্ষকতা করেন। ২০১৯ সালে ঢাকার যাত্রাবাড়িতে প্রতিষ্ঠা করেন ইসলামি দাওয়াহ ও গবেষণা কেন্দ্র মাহাদুল ফিকরি ওয়াদদিরাসাতিল ইসলামিয়া। বর্তমানে ইসলামিক হিস্ট্রি অ্যান্ড কালচার অলিম্পিয়াড বাংলাদেশের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন।

নানা বিষয়ে তার প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা ষাটের অধিক। তার উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ ঈভের হ্রদের মাছ (কবিতা), ঐন্দ্রজালিক আত্মজীবনী (আত্মকথন), প্রাচ্যবিদের দাঁতের দাগ, (গবেষণা), ইসলামোফোবিয়ার উজানে ( প্রবন্ধ) মহাসত্যের বাঁশী জালালুদ্দীন রুমী (জীবনী), অনিবার্য ইবনে খালদুন ( প্রবন্ধ) , দৃশ্যকাব্যে ফররুখ আহমদ (সাহিত্য সমালোচনা), বাংলা সাহিত্যে অন্ধকার যুগ: মিথ বনাম বাস্তবতা (সাহিত্য সমালোচনা), ছড়াবৃন্দ ( ছড়া) জাতিগত বিজয়ের অদৃশ্য কারিগরি (আলোচনাগ্রন্থ), আত্মগত দার্শনিক (উপন্যাস)।