ইসরায়েল থেকে মুক্ত শহিদুল আলম, আজই ফিরছেন দেশে

ইসরায়েলের কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে তুরস্কে চলে এসেছেন আলোকচিত্রী শহিদুল আলম। টার্কিশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে তিনি আজ শুক্রবার দুপুরে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে পৌঁছান।

স্থানীয় সময় বেলা ২টা ২৫ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় বিকেল ৫টা ২৫ মিনিট) শহিদুল আলমকে বহনকারী ফ্লাইটটি ইস্তাম্বুল বিমানবন্দরে অবতরণ করে বলে তুরস্কে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম আমানুল হক জানিয়েছেন। ইস্তাম্বুলে বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল মো. মিজানুর রহমান বিমানবন্দরে শহিদুল আলমকে স্বাগত জানান।

রাষ্ট্রদূত আমানুল হক জানিয়েছেন, আজই ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করছেন শহিদুল আলম। ইস্তাম্বুলের স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টা ৪৫ মিনিটে টার্কিশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট ঢাকা উদ্দেশে উড্ডয়ন করবে। ওই ফ্লাইটে দেশের পথে যাত্রা করবেন শহিদুল আলম। ফ্লাইটটি আগামীকাল শনিবার ভোর ৪টা ৫৫ মিনিটে ঢাকা পৌঁছাবে।

আলোকচিত্রী শহিদুল আলম স্বাধীন মিডিয়া প্রতিষ্ঠান দৃকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। নাগরিক অধিকার নিয়েও সোচ্চার তিনি। গাজা অভিমুখী একটি নৌবহরে অংশ নিয়ে গত বুধবার ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে আটক হন শহিদুল আলম।

ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের নৃশংসতা বন্ধ এবং গাজায় ইসরায়েলি নৌ অবরোধ ভাঙার প্রত্যয় নিয়ে ‘ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন’ নামের একটি বৈশ্বিক প্ল্যাটফর্ম গাজা অভিমুখে ওই নৌযাত্রা শুরু করেছিল। ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধের দাবিতে আত্মপ্রকাশ করা আরেক উদ্যোগ থাউজেন্ড ম্যাডলিনস টু গাজার আটটি নৌযানও এ যাত্রায় অংশ নিয়েছিল। মোট ৯টি নৌযানের এ বহরে বিভিন্ন দেশের রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক, চিকিৎসক ও অধিকারকর্মীরা যোগ দিয়েছিলেন। সেই দলে ছিলেন আলোকচিত্রী শহিদুল আলম। গত বুধবার ওই নৌবহরে আক্রমণ করে সব অধিকারকর্মী ও নাবিককে ধরে নিয়ে যান ইসরায়েলি সেনারা।

পরে শহিদুল আলমসহ আটক অনেককে ইসরায়েলের কেৎজিয়েত কারাগারে নেওয়া হয়। ইসরায়েলে আটক হওয়ার পর থেকেই শহিদুল আলমের মুক্তি নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সরকার জর্ডান, মিসর ও তুরস্কের মাধ্যমে কূটনৈতিক তৎপরতা চালিয়ে আসছিল।

কারামুক্ত হয়ে শহিদুল আলম আজই ইসরায়েল থেকে তুরস্কের উদ্দেশে যাত্রা করেন। শহিদুল আলমের মুক্তি ও ইসরায়েল থেকে তাঁর প্রত্যাবর্তনে সাহায্য করার জন্য তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ানের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।#




পবিত্র কুরআন শরীফ অবমাননাকারির ফাঁসির দাবীতে দুর্গাপুরে বিক্ষোভ মিছিল

দুর্গাপুর (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি :

নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী অপূর্ব পাল ধর্ম নিয়ে কটূক্তি এবং পবিত্র কুরআন অবমাননার প্রতিবাদে নেত্রকোনার দুর্গাপুরে বিক্ষোভ  মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (০৮ অক্টোবর) বিকেলে দুর্গাপুর উপজেলার  যুবসমাজের আয়োজনে এই বিক্ষোভ মিছিল  ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে সর্বস্তরের তৌহিদী জনতা অংশ গ্রহণ করেন।

বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিলে বক্তারা বলেন, আমরা ৯০ শতাংশ মুসলমানদের দেশে বসবাস করি। এর পরও এই দেশে সম্প্রীতি নস্ট করার জন্য, বারবার অন্য ধর্মের লোকেরাই আল কুরআন অবমাননার ঘটনা ঘটাচ্ছে। আমরা কুরআন অবমাননাকারী অপুর্ব পালের ফাঁসি চাই। এই দেশে আর কেউ পবিত্র কুরআন অবমাননা করুক আমরা তা চাই না, কুরআনকে নিয়ে কটুক্তি করুক আমরা আর শুনতে চাইনা।

সমাবেশে মুফতি নুরে আলমের সভাপতিত্বে এবং জামাল উদ্দীন কারিমী‘র সঞ্চালনায়, অন্যদের মাঝে বক্তব্য রাখেন, মুফতি সাব্বির আহমেদ, যুবনেতা সম্রাট গণি, মুফতি রেজাউল করীম, মুফতি বরকত উল্লাহ্, মাওলানা ইমরান। আলোচনা শেষে দোয়া পরিচালনা করেন হাফেজ মাওলানা মনজুরুল হক।




দুর্গাপুর প্রেসক্লাবকে কম্পিউটার সেট দিলেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

নেত্রকোনার দুর্গাপুর প্রেসক্লাবকে একটি কম্পিউটার সেট প্রদান করেছেন কেন্দ্রীয় বিএনপি‘র আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। বুধবার (৮ অক্টোবর) বিকেলে প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দের কাছে ওই কম্পিউটার সেট হস্তান্তর করেন শিবগঞ্জ-দুর্গাপুর সেতু কমিটির সদস্যগণ।

কম্পিউটার সেট হস্তান্তর পুর্ব আলোচনায় প্রেসক্লাব সভাপতি তোবারক হোসেন খোকন এর সভাপতিত্বে, সাধারণ সম্পাদক মাসুম বিল্লাহ্ এর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, সেতু কমিটির সদস্য পঙ্কজ মারাক, প্রভাত সাহা, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও উপজেলা বিএনপি‘র সাবেক সভাপতি এম এ জিন্নাহ, উপজেলা বিএনপি‘র সহ:সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মামুন মুকুল, সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ¦ জামাল উদ্দিন মাস্টার, কুল্লাগড়া ইউনিয়ন বিএনপি‘র সাধারণ সম্পাদক মো. শাহা আলম এছাড়া অনুষ্ঠানে বিএনপি ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীগণ উপস্থিত ছিলেন।

আলোচনা সভায় এম এ জিন্নাহ বলেন, কেন্দ্রীয় বিএনপি’র আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামালের উদ্যোগে জনস্বার্থে সোমেশ্বরী নদীতে কাঠের সেতু নির্মাণ করা হয়েছিলো। সেই সেতু থেকে আদায়কৃত টাকার মধ্যে সেতু নির্মান খরচ বাদে অবশিষ্ট টাকা বিভিন্ন সামাজিক, ধর্মীয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিতরণ করা হচ্ছে। তারই অংশ হিসেবে দুর্গাপুর প্রেসক্লাবে একটি কম্পিউটার সেট প্রদান করা হয়েছে।

ঐতিহ্যবাহী দুর্গাপুর প্রেসক্লাবকে কম্পিউটার সেট প্রদান করায়, কেন্দ্রীয় বিএনপি‘র আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামালের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন দুর্গাপুর প্রেসক্লাবের প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সকল সাংবাদিকগণ।




ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের জন্য জনগণ প্রস্তুত: রুহুল কবির রিজভী

প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ পদে একটি ধর্মভিত্তিক দলের অনুগতদের বসানো হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

তিনি বলেন, দল অনুগত প্রশাসন দিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব হবে না। ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের জন্য জনগণ প্রস্তুত; তারা পূর্বের মতো ডামি নির্বাচন চায় না।

শনিবার সকালে ইঞ্জিনিয়ার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (এ্যাব) নবগঠিত কমিটির সদস্যদের নিয়ে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা শেষে এ কথা বলেন তিনি।

রিজভী বলেন, নতুন ইস্যু তৈরি করে জনগণের মাঝে বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা চলছে। ভ্রান্ত কথা বলে মিথ্যা পরিসংখ্যান দিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করা যাবে না। গত ১৫ বছর কারা আপোষহীন লড়াই করেছে তা সাধারণ মানুষ জানে।




ক্ষমতাচ্যুত শাসকগোষ্ঠী ও তাদের দোসররা ফেব্রুয়ারির নির্বাচন চায় না: ড. ইউনূস

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ক্ষমতাচ্যুত শাসকগোষ্ঠী ও তাদের দোসররা চুরি করা অর্থ ব্যবহার করে ভুয়া তথ্য ছড়ানোর মাধ্যমে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা চালাচ্ছেন। তিনি আরও বলেন, তারা ফেব্রুয়ারির নির্বাচন চায় না। কিছু আন্তর্জাতিক মহলও তাদের পৃষ্ঠপোষকতা করছে।

জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এ অভিযোগ করেন। যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে স্থানীয় সময় সোমবার জাতিসংঘ সদর দপ্তরে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। গুতেরেস বাংলাদেশে চলমান গণতান্ত্রিক উত্তরণ ও সংস্কার প্রক্রিয়ায় তার পূর্ণ সমর্থন ও সংহতির অঙ্গীকার করেছেন।

রাজনৈতিক সংস্কার, আগামী ফেব্রুয়ারির জাতীয় নির্বাচন, জুলাইয়ের গণ–অভ্যুত্থানে সংঘটিত নৃশংসতার দায় নিরূপণ, সংরক্ষণবাদী শুল্কনীতির কারণে বৈশ্বিক বাণিজ্য উদ্বেগ এবং ৩০ সেপ্টেম্বর (আজ) অনুষ্ঠেয় আন্তর্জাতিক রোহিঙ্গা সম্মেলনসহ নানা বিষয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়।

প্রধান উপদেষ্টা অন্তর্বর্তী সরকারের নেওয়া সংস্কার পদক্ষেপ এবং অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন নিশ্চিতের অঙ্গীকার জাতিসংঘ মহাসচিবকে জানান। তিনি বলেন, আগামী কয়েক মাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নির্বাচন আয়োজনে আপনাদের সহযোগিতা প্রয়োজন।

এ সময় জাতিসংঘ মহাসচিব বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণ ও সংস্কার কর্মসূচির প্রতি দৃঢ় সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন। পাশাপাশি রোহিঙ্গা সংকটের স্থায়ী সমাধানে বৈশ্বিক পর্যায়ে জাতিসংঘের ধারাবাহিক ভূমিকার প্রতিশ্রুতি দেন।#

সূত্র: পার্সটুডে




ট্রাম্পের ২০ দফা পরিকল্পনা; গাজায় যুদ্ধে পরাজয় থেকে ইসরায়েলকে রক্ষার চেষ্টা

আঞ্চলিক প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলো মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ২০ দফা গাজা পরিকল্পনাকে 'ইহুদিবাদী ইসরায়েলকে পরাজয় থেকে বাঁচানোর চেষ্টা' হিসেবে অভিহিত করেছে।

ডিএনবি নিউজ আন্ত: ডেস্ক-

ফিলিস্তিনের ইসলামি জিহাদ আন্দোলন, হামাস এবং ইয়েমেনের আনসারুল্লাহ ঘোষণা করেছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের গাজা বিষয়ক নতুন পরিকল্পনা মূলত ইসরায়েলি শাসকগোষ্ঠীকে গাজার যুদ্ধে পরাজয় থেকে রক্ষা করার জন্য তৈরি করা হয়েছে।

দখলদারিত্বের নতুন নির্দেশিকা: ইসলামি জিহাদ

ইসলামি জিহাদ আন্দোলনের মহাসচিব জিয়াদ আল-নাখালা বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়োমিন নেতানিয়াহু’র যৌথ সংবাদ সম্মেলনের বিবৃতি দখলদারিত্ব অব্যাহত রাখার নির্দেশিকা ছাড়া আর কিছুই নয়।

তিনি আরও বলেন, ইসরায়েল যুক্তরাষ্ট্রের মাধ্যমে যেসব লক্ষ্য যুদ্ধে অর্জন করতে ব্যর্থ হয়েছে, তা রাজনৈতিকভাবে হাসিল করতে চাইছে। তাই এই তথাকথিত মার্কিন-ইসরায়েলি পরিকল্পনা আসলে গোটা অঞ্চলকে বিস্ফোরণের দিকে ঠেলে দেওয়ার নির্দেশনা।

হামাসের অবস্থান: অস্ত্র, বন্দি মুক্তি ও দীর্ঘমেয়াদি যুদ্ধবিরতি

একই বিষয়ে হামাস নেতা তাহের আল-নোনো আল-আরাবি টিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, প্রতিরোধের অস্ত্র ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সঙ্গে অবিচ্ছেদ্যভাবে জড়িত। ‘ইসরায়েলি’ বন্দিদের মুক্তি- যুদ্ধের অবসান ও গাজা থেকে দখলদার বাহিনীর প্রত্যাহারের সঙ্গে সম্পর্কিত এবং এ বিষয়ে তারা আন্তরিক। তবে বন্দি মুক্তি অবশ্যই এমন এক চুক্তির অংশ হতে হবে যা যুদ্ধ শেষ করবে এবং দখলদার সেনাদের প্রত্যাহার নিশ্চিত করবে।

তিনি আরও জানান, হামাস দীর্ঘমেয়াদি যুদ্ধবিরতিতে প্রস্তুত এবং গাজা উপত্যকার জন্য স্বাধীন প্রশাসন গঠনে মিশরের প্রস্তাব মেনে নিয়েছে। একই সঙ্গে তিনি উল্লেখ করেন, তারা মার্কিন পরিকল্পনাটি এমনভাবে বিবেচনা করবেন যাতে ফিলিস্তিনিদের অধিকার ও স্বার্থ রক্ষা হয়। হামাস যুদ্ধ দীর্ঘায়িত করতে চায় না এবং ফিলিস্তিনি স্বার্থবিরোধী নয় এমন যেকোনো প্রস্তাব তারা গুরুত্বের সঙ্গে অধ্যয়ন করবে। আল-নোনো স্পষ্ট করে বলেন, ফিলিস্তিনি জনগণ অপ্রাপ্তবয়স্ক নয় এবং তারা বাইরে থেকে কোনো অভিভাবকত্ব মেনে নেবে না।

হামাসের আরেক নেতা মাহমুদ মারদাউই বলেন, ট্রাম্পের পরিকল্পনা মূলত আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র স্বীকৃতির অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা। ঘোষিত পরিকল্পনা অস্পষ্ট এবং এতে কোনো নিশ্চয়তা নেই।

তিনি জানান, হামাস এমন কোনো প্রস্তাব গ্রহণ করবে না যাতে ফিলিস্তিনি জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার ও গণহত্যা থেকে সুরক্ষা অন্তর্ভুক্ত নেই। মারদাউই আরও বলেন, ট্রাম্পের পরিকল্পনা এখনো হামাসের কাছে পৌঁছেনি, এমনকি কোনো ফিলিস্তিনি পক্ষও তা পায়নি। যদিও তারা পরিকল্পনাটি সরাসরি দেখেননি, তবু এর বিধানসমূহ স্পষ্টতই ‘ইসরায়েলি’ দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিফলন।

আনসারুল্লাহর প্রতিক্রিয়া: হামাসকে বিচ্ছিন্ন করার প্রচেষ্টা

ইয়েমেনের আনসারুল্লাহ আন্দোলনের জ্যেষ্ঠ সদস্য মোহাম্মদ আল-ফারাহ এ সম্পর্কে বলেন, ট্রাম্পের গাজার নতুন যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনা অবিবেচক এবং অকার্যকর। এর মূল উদ্দেশ্য হলো হামাসকে বিচ্ছিন্ন করা এবং বিশ্বব্যাপী ইসরায়েলবিরোধী ক্ষোভ নিয়ন্ত্রণ করা। তার মতে, এই পরিকল্পনার কোনো বাস্তবায়নযোগ্য কাঠামো নেই।

অনেক বিশ্লেষক ও ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ গোষ্ঠীর দৃষ্টিতে ট্রাম্পের ২০ দফা পরিকল্পনা হলো গাজায় সামরিক ও রাজনৈতিক ব্যর্থতা থেকে ইসরায়েলি শাসনকে রক্ষার প্রচেষ্টা। ইসরায়েল গাজা যুদ্ধে তার সামরিক লক্ষ্যগুলো অর্জন করতে ব্যর্থ হয়েছে; যেমন প্রতিরোধের অবকাঠামো ধ্বংস করা, বন্দি ইসরায়েলিদের মুক্ত করা, কিংবা গাজার আশেপাশের ইসরায়েলি বসতিগুলোতে নিরাপত্তা ফিরিয়ে আনা। এখন ট্রাম্পের পরিকল্পনার কেন্দ্রবিন্দু হলো হামাসকে নিরস্ত্র করা এবং গাজাকে আন্তর্জাতিক সংস্থার হাতে তুলে দেওয়া—যা মূলত সেই লক্ষ্যগুলো রাজনৈতিক পথে অর্জনের চেষ্টা।

ওয়াশিংটনের হোয়াইট হাউসে স্থানীয় সময় গতকাল সোমবার ২০ দফা গাজা শান্তি পরিকল্পনা তুলে ধরেন ট্রাম্প। যৌথ সংবাদ সম্মেলনে পাশে ছিলেন ইসরায়েলের উগ্রবাদী প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু। এই পরিকল্পনায় ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলোকে সম্পূর্ণভাবে নিরস্ত্র করার এবং গাজার প্রশাসন থেকে বাদ দেওয়ার প্রস্তাব রাখা হয়েছে। অর্থাৎ, যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যর্থ হয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল রাজনৈতিকভাবে প্রতিরোধের প্রধান শক্তিগুলোকে সরাতে চাইছে।

টনি ব্লেয়ার ও GITA: পশ্চিমা নিয়ন্ত্রণের নতুন রূপ

পরিকল্পনা অনুযায়ী, যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার গাজার অস্থায়ী প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব নেবেন এবং তিনি ‘গাজা ইন্টারন্যাশনাল ট্রানজিশন অথরিটি’ বা GITA-র নেতৃত্ব দেবেন। ব্লেয়ার, যিনি দীর্ঘদিন ধরে আমেরিকা ও ইসরায়েলের ঘনিষ্ঠ, তাকে সামনে আনার মানে হলো পশ্চিমা-নিয়ন্ত্রিত আন্তর্জাতিক কাঠামোর মাধ্যমে গাজাকে নিয়ন্ত্রণ করা। এটি ফিলিস্তিনি জনগণ ও প্রতিরোধ শক্তির ইচ্ছাকে পাশ কাটিয়ে যাওয়া ছাড়া আর কিছু নয়।

গাজার বাসিন্দাদের মিশর বা জর্ডানে স্থানান্তরের প্রস্তাবকেও প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলো ‘জাতিগত নিধন’ ও ‘জোরপূর্বক উচ্ছেদ’ হিসেবে বর্ণনা করেছে। পরিকল্পনায় ইসরায়েলি সেনাদের দখলকৃত গাজা অঞ্চল থেকে প্রত্যাহারের কোনো নির্দিষ্ট সময়সীমা উল্লেখ করা হয়নি। ফলে প্রতিরোধ গোষ্ঠীর মতে, এটি কেবল আন্তর্জাতিক চাপ কমানোর জন্য ইসরায়েলের এক রাজনৈতিক কৌশল।

প্রতিরোধ গোষ্ঠীর দৃষ্টিতে, ট্রাম্পের পরিকল্পনা সংকট সমাধানের পথ নয়, বরং ইসরায়েলি শাসনকে পরাজয় থেকে বাঁচানোর চেষ্টা এবং ফিলিস্তিনি জনগণের উপর মার্কিন-ইসরায়েলি ইচ্ছা চাপিয়ে দেওয়ার প্রচেষ্টা। এটি ইসরায়েলি দখলদারিত্ব শেষ করার বদলে সেটিকে দীর্ঘায়িত করবে।

ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ ও বহু বিশ্লেষকের মতে, ট্রাম্পের ২০ দফা পরিকল্পনা ফিলিস্তিনি জনগণের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করে না। পরিকল্পনার কাঠামো, বিষয়বস্তু ও লক্ষ্য সবই ফিলিস্তিনিদের ঐতিহাসিক, মানবিক ও বৈধ চাহিদাকে উপেক্ষা করে, এবং কেবল ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থকে অগ্রাধিকার দেয়।

এই পরিকল্পনা ফিলিস্তিনিদের অংশগ্রহণ ছাড়াই তৈরি হয়েছে, যেখানে গাজা বা পশ্চিম তীরের জনগণের মতামত নেওয়ার কোনো ব্যবস্থা নেই। এটি আন্তর্জাতিক আইনের মৌলিক নীতি “জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার”-এর সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। পরিকল্পনায় প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলোকে পুরোপুরি নিরস্ত্র করার কথা বলা হলেও, ইসরায়েলি দখলদারিত্বের অবসান, বসতি নির্মাণ বন্ধ করা বা ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের প্রত্যাবর্তনের বিষয়ে কোনো নিশ্চয়তা দেওয়া হয়নি। ফলে এই পরিকল্পনা প্রতিরোধকে প্রতিরক্ষা থেকে বঞ্চিত করবে, কিন্তু ফিলিস্তিনিদের জন্য নিরাপত্তা বা স্বাধীনতা নিশ্চিত করবে না।

ট্রাম্পের পরিকল্পনা মূলত গাজায় ইসরায়েলের পরাজয় রোধে একটি হাতিয়ার, যা মার্কিন-ইসরায়েলি স্বার্থের ভিত্তিতে নতুন শৃঙ্খলা চাপিয়ে দিতে চায় এবং ফিলিস্তিন সংকটের কোনো ন্যায্য সমাধান দেয় না।#

 সূত্র: পার্সটুডে




খাগড়াছড়ির ঘটনায় ‘ভারতের ইন্ধন’ দেখছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা




আগামী মাসে সপরিবারে ওমরাহ পালনে যাচ্ছেন তারেক রহমান

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আগামী মাসে সপরিবারে পবিত্র ওমরাহ পালন করবেন। ওমরাহ পালন শেষে নভেম্বরে তার দেশে ফেরার পরিকল্পনা রয়েছে বলে লন্ডনে তারেক রহমানের ঘনিষ্ঠ বিএনপির একাধিক ব্যক্তি এ তথ্য জানিয়েছেন।

ওই ব্যক্তিদের বরাতে জানা গেছে, তারেক রহমান তার স্ত্রী জোবাইদা রহমান ও মেয়ে জাইমা রহমানকে নিয়ে ২০ অক্টোবর সৌদি আরবের উদ্দেশে যাত্রা করবেন। ওমরাহ পালন শেষে লন্ডনে ফিরে সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে নভেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে তিনি (তারেক রহমান) দেশে ফেরার পরিকল্পনা করছেন বলে ইঙ্গিত পাওয়া গেছে।

এদিকে, ব্রিটেনে অবস্থানরত বিএনপির একাধিক নেতা তারেক রহমানের সঙ্গে ওমরাহ করতে যাওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করলেও পরিবারের সদস্যদের বাইরে একই ফ্লাইটে আর কারা যাচ্ছেন, সেই তালিকা এখনও চূড়ান্ত হয়নি বলে জানা গেছে।

এর আগে, তারেক রহমান সর্বশেষ ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে পবিত্র হজ পালনের উদ্দেশ্যে সৌদি আরবে যান। সে সময় খালেদা জিয়া তার সঙ্গে যোগ দিয়েছিলেন। তার পূর্বে ২০১৪ সালেও তিনি খালেদা জিয়ার সঙ্গে ওমরাহ পালন করেছিলেন।




এবার ফিলিস্তিনকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দিল ইউরোপের আরেক দেশ- সান মারিনো

এবার স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে ফিলিস্তিনকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দিল ইউরোপের দেশ সান মারিনো। শনিবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশনে এ ঘোষণা দেন সান মারিনোর পররাষ্ট্রমন্ত্রী লুকা বেক্কারি। খবর আরব নিউজের।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “গত ১৫ মে আমাদের সংসদ সর্বসম্মত সমর্থনসহ সরকারকে এ বছরের মধ্যে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। আজ এই পরিষদের সামনে আমরা সেই নির্দেশ পূরণের ঘোষণা দিচ্ছি। সান মারিনো আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিচ্ছে।’

বেক্কারি জাতিসংঘের প্রস্তাব অনুযায়ী নিরাপদ ও আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সীমানার ভেতরে ফিলিস্তিনকে একটি সার্বভৌম ও স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতির ঘোষণা দেন।

তিনি আরো বলেন, “একটি রাষ্ট্র পাওয়া ফিলিস্তিনি জনগণের অধিকার। এটি হামাসের জন্য কোনো পুরস্কার নয় এবং কখনো হতে পারে না।”

তিনি গাজা ও পশ্চিম তীরে চলমান মানবিক বিপর্যয়ের জন্য দুঃখ প্রকাশ করে এটিকে ‘অসহনীয়’ এবং ‘আমাদের সময়ের সবচেয়ে বেদনাদায়ক ও দীর্ঘস্থায়ী ট্র্যাজেডিগুলোর মধ্যে একটি’ হিসেবে অভিহিত করেন।

বেক্কারি ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ওপর হামাসের হামলার নিন্দা জানান এবং সব জিম্মিকে অবিলম্বে ও নিঃশর্ত মুক্তির আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেন।

তিনি আরো একবার তার দেশের দাবি পুনরুল্লেখ করেন, গাজায় অবিলম্বে স্থায়ী যুদ্ধবিরতি, পূর্ণ ও বাধাহীন মানবিক সহায়তার প্রবেশাধিকার এবং পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনি ভূমিতে ইসরায়েলের অবৈধ দখলদারিত্বের অবসান, যা যে কোনো ‘বাস্তবসম্মত শান্তির সম্ভাবনাকে’ নস্যাৎ করছে।

বেক্কারি আরো বলেন, “গাজায় নির্বিচারে বোমাবর্ষণ, অনাহার ও বাস্তুচ্যুতির মাধ্যমে ফিলিস্তিনি জনগণের সম্মিলিত শাস্তিকে কোনোভাবেই সমর্থন করা যায় না। আমরা যদি ঐক্য ও দৃঢ়তার সঙ্গে পদক্ষেপ না নিই, তাহলে মর্যাদা ও নিরাপত্তার সঙ্গে দুটি জাতির পাশাপাশি বসবাসের দৃষ্টিভঙ্গি হারিয়ে যাবে।”

উল্লেখ্য, সম্প্রতি জাতিসংঘের বৈশ্বিক সম্মেলনে ফিলিস্তিনকে স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে বেশ কয়েকটি পশ্চিমা দেশ। ফ্রান্স ও সৌদি আরবের আয়োজিত ওই সম্মেলনে যুক্তরাজ্য, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, পর্তুগাল, ফ্রান্স, বেলজিয়াম, লুক্সেমবার্গ, মাল্টা, আন্দোর্রা ও মোনাকো ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিয়েছে । এর আগে চলতি বছরের ২০ মার্চ মেক্সিকো সরকার জানায়, তারা ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিয়েছে।




পাকিস্তানের জ্বালানি পরিবহনকারী ট্যাঙ্কারে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল

ডিএনবি নিউজ আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

ইসরায়েলের চালানো ড্রোন হামলার শিকার হয়েছে একটি জ্বালানি পরিবহনকারী ট্যাঙ্কার, যাতে ২৪ জন পাকিস্তানি ছাড়াও মোট ২৭ জন ক্রো ছিলেন। ইয়েমেনের একটি বন্দরে অবস্থানকালে এ হামলা চালানো হয়। শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোহসিন নকভি বিষয়টি গণমাধ্যমে নিশ্চিত করেন।

মন্ত্রী জানান, ১৭ সেপ্টেম্বর ওই জাহাজটি ইয়েমেনের রাস ইসা বন্দরে নোঙর করেছিল, যা বর্তমানে হুতি বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ট্যাঙ্কারে কর্মরত ক্রুদের মধ্যে ২৪ জন পাকিস্তানি নাগরিক, দুজন শ্রীলঙ্কান ও একজন নেপালি ছিলেন। জাহাজটির ক্যাপ্টেনও পাকিস্তানের নাগরিক।

ড্রোন হামলার পরপরই ট্যাঙ্কারে বিস্ফোরণ ঘটে। তবে পরিস্থিতি দ্রুত সামাল দিয়ে আগুন নিভিয়ে ফেলেন জাহাজের ক্রুরা। মোহসিন নকভি বলেন, ‘এরপর হুথি নৌযান ট্যাঙ্কার থামায় এবং ক্রুদের জাহাজে বন্দি করে রাখে।’

তিনি আরও জানান, বর্তমানে জাহাজ ও এর আরোহীরা হুতিদের নিয়ন্ত্রণ থেকে মুক্ত হয়ে ইয়েমেনের জলসীমার বাইরে চলে গেছে।

ঘটনার পর যেসব পক্ষ সহযোগিতা করেছে, তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান নকভি। তিনি বলেন, ‘আমাদের নাগরিকদের নিরাপদ মুক্তি নিশ্চিত করতে নিরাপত্তা সংস্থাগুলো দিন-রাত অতুলনীয় পরিশ্রম করেছে।’ একইসঙ্গে তিনি ওমান ও সৌদি আরবে অবস্থানরত পাকিস্তানি কূটনৈতিকদের ভূয়সী প্রশংসা করেন।

এর আগে, পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছিল, জাহাজের ২৪ জন পাকিস্তানি ক্রু নিরাপদে আছেন এবং তারা ইয়েমেনি জলসীমা ত্যাগ করছেন। ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসার পরপরই ইয়েমেনের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে ইসলামাবাদ।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভাষ্য অনুযায়ী, জাহাজে অবস্থানরত প্রত্যেকের পরিবারের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করা হয়েছে। বর্তমানে ট্যাঙ্কারটি যাত্রা শুরু করেছে এবং সব ক্রু নিরাপদে রয়েছে।