প্লট দুর্নীতির ৩ মামলায় শেখ হাসিনার ২১ বছরের কারাদণ্ড

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

ঢাকার পূর্বাচলের নতুন শহর প্রকল্পে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির পৃথক তিন মামলায় ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭ বছর করে মোট ২১ বছরের কারাদণ্ড হয়েছে। শেখ হাসিনার পাশাপাশি তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে একটি মামলায় এবং মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলকে আরেক মামলায় পাঁচ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

ক্ষমতার অপব্যবহার করে পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে ৩০ কাঠা সরকারি জমি বরাদ্দ নেওয়ার অভিযোগে দুদকের পৃথক তিন মামলায় বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) বিচারক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন এ রায় ঘোষণা করেন।

এর আগে ২৩ নভেম্বর রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে একই আদালত আজ রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন।

 

ক্ষমতার অপব্যবহার করে পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে ১০ কাঠার সরকারি প্লট বরাদ্দ নেওয়ার অভিযোগে গত ১৪ জানুয়ারি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ আট জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন দুদকের উপ-পরিচালক সালাহউদ্দিন। তদন্ত শেষে গত ১০ মার্চ ১২ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়া।

অপরদিকে, ক্ষমতার অপব্যবহার করে পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে ১০ কাঠার সরকারি প্লট বরাদ্দ নেওয়ার অভিযোগে ১৪ জানুয়ারি সজীব ওয়াজেদ জয় ও শেখ হাসিনাসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় মামলাটি করেন দুদকের সহকারী পরিচালক এস এম রাশেদুল হাসান। তদন্ত শেষে গত ১০ মার্চ আরো দু’জনসহ মোট ১৭ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক এস এম রাশেদুল হাসান। এ মামলায় আদালতে ২৩ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন।

রাজধানীর পূর্বাচলে ১০ কাঠার প্লট জালিয়াতির অভিযোগে গত ১২ জানুয়ারি দুদকের সহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়া বাদী হয়ে শেখ হাসিনা ও পুতুলসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। পরবর্তীতে তদন্ত শেষে গত ১০ মার্চ শেখ হাসিনা ও পুতুলসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়া।

গত ৩১ জুলাই ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন এই তিন মামলায় অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন।

এর আগে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধে মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফাঁসির আদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। এছাড়া, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকেও মৃত্যুদণ্ডাদেশ এবং পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে ৫ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিলেন।

গত ১৭ নভেম্বর দুপুরে বিচারপতি গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এই রায় ঘোষণা করেন।




ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন!

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে দেশে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে বলে ইতোমধ্যে অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। সে হিসেবেই যাবতীয় প্রস্তুতি চলছে। ডিসেম্বরের শুরুতেই নির্বাচন কমিশন তফসিল ঘোষণা করতে যাচ্ছে। নির্বাচন কত তারিখে হবে সে ব্যাপারে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে কয়েকটি তারিখ নিয়ে আলোচনা চলছে। এর মধ্যে জোরালো মতামত এসেছে ৮ ফেব্রুয়ারির ব্যাপারে।

নির্বাচন কমিশন সূত্র জানায়, তিনটি তারিখ বিবেচনায় নিয়ে এগোচ্ছে ইসি। এক্ষেত্রে ৮ ফেব্রুয়ারিকে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে। এটি প্রায় চূড়ান্ত। এর বাইরে ৫ ও ১২ ফেব্রুয়ারিকেও ইসি তাদের চিন্তায় রেখেছে। বিগত সময়ে সংসদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণের দিন সাধারণ ছুটি থাকলেও এবার পরদিনও ছুটি রাখার বিষয়টি বিবেচনায় রাখা হচ্ছে।

কমিশন সূত্র জানায়, পোস্টাল ভোটসহ বেশকিছু বিষয় বিবেচনায় রেখে এবার তফসিল ঘোষণা ও ভোটগ্রহণের মধ্যে বেশি সময় হাতে রাখতে চাইছে কমিশন। অন্যান্য সময় তফসিল থেকে ভোটগ্রহণে সর্বোচ্চ দেড় মাসের মতো ব্যবধান থাকলেও এবার প্রায় দুই মাস আগে তফসিল ঘোষণা করবে ইসি।

ইসি সূত্রে জানা গেছে, আগামী ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে তফসিল ঘোষণা করা হবে। এক্ষেত্রে ৭ অথবা ৮ ডিসেম্বর তফসিল ঘোষণার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত হয়েছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিন জাতির উদ্দেশে ভাষণে তফসিল ঘোষণা করবেন।

সম্প্রতি নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ এক অনুষ্ঠানে বলেন, ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে। একই দিনে ব্রিফিংয়ে ইসি সচিব আখতার আহমেদকে উদ্ধৃত করে আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেন, সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল একই সঙ্গে ঘোষণা করা হবে।

এর আগে প্রধান উপদেষ্টা নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস জাতির উদ্দেশে ভাষণে আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে একই দিনে সংসদ নির্বাচন ও গণভোট অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্তের কথা জানান।




দাওরায়ে হাদিস সনদধারীদের কর্মসংস্থানে তিন মন্ত্রণালয়কে ধর্ম উপদেষ্টার ডিও লেটার

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

কওমি মাদরাসার সর্বোচ্চ ডিগ্রি দাওয়ায়ে হাদিসকে ২০১৮ সালে মাস্টার্স সমমান দিয়েছে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার। তবে সাত বছরেও এই সনদ কার্যকারিতা পায়নি। সরকারি কিছু দফতরে এই সনদ গ্রহণ করার কথা থাকলেও সেটা করা হয়নি। সনদের স্বীকৃতি দেওয়া আওয়ামী লীগ সরকার ইতোমধ্যে বিদায় নিয়েছে গণঅভ্যুত্থানে। প্রায় দেড় বছর ধরে অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায়। এই সরকারের আমলে কওমি সনদের স্বীকৃতি বাস্তবায়নের দাবি উঠছে নানা মহল থেকে। কিছু ক্ষেত্র নির্ধারণ করে এই সনদের কার্যকারিতার সুপারিশ করেছে কওমি মাদরাসার বোর্ডসমূহের সর্বোচ্চ অথরিটি আল-হাইয়্যাতুল উলয়া লিল-জামিয়াতিল কওমিয়াও।

এবার দাওরায়ে হাদিসের সনদকে মূল্যায়ন এবং কিছু ক্ষেত্রে কর্মসংস্থান নিশ্চিত করতে উদ্যোগী হয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন। যদিও বিষয়টি তার মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন নয়, তবু তিনি এর কার্যকারিতার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন। এই ধারাবাহিকতায় তিনি তিন মন্ত্রণালয়ে ডিও লেটার বা আধা সরকারি চিঠি পাঠিয়েছেন।

ধর্ম মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন সম্প্রতি শিক্ষা মন্ত্রণালয়, আইন মন্ত্রণালয় এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ে তিনটি ডিও লেটার পাঠিয়েছেন। সেখানে তিনি দাওরায়ে হাদিসের সনদধারীদের কর্মসংস্থানের ব্যাপারে সুপারিশ করেছেন।

শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. সি আর আবরারকে লেখা চিঠিতে ধর্ম উপদেষ্টা উল্লেখ করেন-

আপনি নিশ্চয় অবগত রয়েছেন যে, বাংলাদেশে প্রায় ২০ হাজারের অধিক কওমি মাদরাসা রয়েছে। এসকল মাদরাসা হতে প্রতি বছর উল্লেখযোগ্যসংখ্যক শিক্ষার্থী দাওরায়ে হাদিস (তাকমীল) এর সনদ লাভ করে থাকেন। গত ১০/০৯/২০১৮ খ্রি. মহান জাতীয় সংসদে ‘আল-হাইআতুল উলয়া লিল-জামি’আতিল কওমিয়া বাংলাদেশ’ এর অধীন কওমি মাদরাসার দাওরায়ে হাদিস (তাকমীল) এর সনদকে মাস্টার্স ডিগ্রি (ইসলামিক স্টাডিজ ও আরবি) এর সমমান প্রদান আইন, ২০১৮’ পাস হয় এবং তা একই তারিখে বাংলাদেশ গেজেটের অতিরিক্ত সংখ্যায় প্রকাশিত হয়।

আপনার মন্ত্রণালয়াধীন মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের জন্য ‘ইসলাম শিক্ষা’ পাঠ্য বই চালু আছে। মাধ্যমিক স্তরে ইসলাম শিক্ষা পাঠদানের জন্য ‘সহকারী শিক্ষক (ধর্ম)’ নিয়োগদান করা হয়ে থাকে। আরবি বা ইসলাম শিক্ষা বিষয়ে চার বছর মেয়াদি স্নাতক (সম্মান) বা স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারীদেরকে বর্ণিত পদে নিয়োগ দানের বিধান রয়েছে। উল্লিখিত পদে নিয়োগ লাভের যোগ্যতা হিসেবে কওমি মাদরাসার দাওরায়ে হাদিস (তাকমীল) এর সনদকে অন্তর্ভুক্ত না করার কারণে দাওরায়ে হাদিস সনদধারীরা উক্ত পদে নিয়োগ লাভের জন্য আবেদন করতে পারছেন না। ফলে ‘আল-হাইআতুল উলয়া লিল-জামি’আতিল কওমিয়া বাংলাদেশ’ এর অধীন কওমি মাদরাসার দাওরায়ে হাদিস (তাকমীল) এর সনদকে মাস্টার্স ডিগ্রি (ইসলামিক স্টাডিজ ও আরবি) এর সমমান প্রদান আইন, ২০১৮’ এর কোনো সুফল দাওরায়ে হাদিস (তাকমীল) এর সনদধারীরা অদ্যাবধি পাননি। এতে আইন প্রণয়নের উদ্দেশ্য ব্যাহত হচ্ছে এবং কওমি অঙ্গনের শিক্ষার্থীদের মধ্যে হতাশা ও ক্ষোভের সঞ্চার হচ্ছে।

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, বর্ণিতাবস্থায় ‘আল-হাইআতুল উলয়া লিল-জামি’আতিল কওমিয়া বাংলাদেশ’ এর অধীন কওমি মাদরাসার দাওরায়ে হাদিস (তাকমীল) এর সনদকে মাস্টার্স ডিগ্রি (ইসলামিক স্টাডিজ ও আরবি) এর সমমান প্রদান আইন, ২০১৮ বাস্তবায়ন এবং দাওরায়ে হাদিস (তাকমীল) এর সনদধারীদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে আপনার মন্ত্রণালয়াধীন মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে ‘সহকারী শিক্ষক (ধর্ম)’ বা অনুরূপ পদসমূহে নিয়োগদানের ক্ষেত্রে দাওরায়ে হাদিস সনদধারীদের নিয়োগ দানের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে আপনার ব্যক্তিগত উদ্যোগ ও সহযোগিতা কামনা করছি।

একই বিবরণ সম্বলিত আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুলকে লেখা চিঠিতে বলা হয়, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় হতে মুসলিম বিবাহ ও তালাক (নিবন্ধন) বিধিমালা, ২০০৯ অনুসারে নিকাহ রেজিস্ট্রারের লাইসেন্স প্রদান করা হয়ে থাকে। উল্লিখিত বিধিমালায় নিকাহ রেজিস্ট্রারের লাইসেন্স পাবার যোগ্যতা হিসেবে সরকার কর্তৃক স্বীকৃত কোন বিশ্ববিদ্যালয় বা মাদরাসা বোর্ড কর্তৃক নিবন্ধিত কোন মাদরাসা হতে আলিম সার্টিফিকেটধারী হওয়ার বিধান রয়েছে। নিকাহ রেজিস্ট্রারের লাইসেন্স পাবার ক্ষেত্রে প্রচলিত বিধানের পাশাপাশি কওমি মাদরাসার দাওরায়ে হাদিস (তাকমীল) এর সনদকে অন্তর্ভূক্ত করা হলে দাওরায়ে হাদিস সনদধারীরাও উক্ত লাইসেন্সের জন্য আবেদন করার সুযোগ পাবেন।

বর্ণিতাবস্থায় ‘আল-হাইআতুল উলয়া লিল-জামি’আতিল কওমিয়া বাংলাদেশ’ এর অধীন কওমি মাদরাসার দাওরায়ে হাদিস (তাকমীল) এর সনদকে মাস্টার্স ডিগ্রি (ইসলামিক স্টাডিজ ও আরবি) এর সমমান প্রদান আইন, ২০১৮ বাস্তবায়ন এবং দাওরায়ে হাদিস (তাকমীল) এর সনদধারীদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে আপনার মন্ত্রণালয়াধীন নিকাহ রেজিস্ট্রারের লাইসেন্স প্রদানের ক্ষেত্রে দাওরায়ে হাদিস সনদধারীদেরকে অগ্রাধিকার দেয়ার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে আপনার ব্যক্তিগত উদ্যোগ ও সহযোগিতা কামনা করছি।

আর প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আশরাফ উদ্দিনকে লেখা চিঠিতে উল্লেখ করা হয়-

আপনার মন্ত্রণালয়াধীন বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, বাংলাদেশ নৌবাহিনী ও বাংলাদেশ বিমানবাহিনীতে ‘ধর্মীয় শিক্ষক’ এর পদ রয়েছে। উল্লিখিত পদে আবেদনকারী শিক্ষাগত যোগ্যতা হিসেবে বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক স্বীকৃত কোন মাদরাসা হতে ফাজিল পাশের কথা উল্লেখ রয়েছে। কামিল অথবা ইসলামিক স্টাডিজ, আরবি ইত্যাদি বিষয়ে মাস্টার্স ডিগ্রি পাশ। প্রার্থীদেরকে অগ্রাধিকার দেয়ার বিধান রয়েছে। উল্লিখিত পদে নিয়োগদানের ক্ষেত্রে প্রচলিত বিধানের পাশাপাশি কওমি মাদরাসার দাওরায়ে হাদিস (তাকমীল) এর সনদকে অন্তর্ভূক্ত করা হলে দাওরায়ে হাদিস সনদধারীরাও উক্ত পদের জন্য আবেদন করার সুযোগ পাবেন।

বর্ণিতাবস্থায়, ‘আল-হাইআতুল উলয়া লিল-জামি’আতিল কওমিয়া বাংলাদেশ’ এর অধীন কওমি মাদরাসার দাওরায়ে হাদিস (তাকমীল) এর সনদকে মাস্টার্স ডিগ্রি (ইসলামিক স্টাডিজ ও আরবি) এর সমমান প্রদান আইন, ২০১৮ বাস্তবায়ন এবং দাওরায়ে হাদিস (তাকমীল) এর সনদধারীদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে আপনার মন্ত্রণালয়াধীন বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, বাংলাদেশ নৌবাহিনী ও বাংলাদেশ বিমানবাহিনীতে ‘ধর্মীয় শিক্ষক’ নিয়োগের ক্ষেত্রে দাওরায়ে হাদীস সনদধারীদের নিয়োগ দানের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে আপনার ব্যক্তিগত উদ্যোগ ও সহযোগিতা কামনা করছি।

প্রসঙ্গত, ড. মাওলানা আ ফ ম খালিদ হোসেন কওমি মাদরাসায় পড়াশোনা করেছেন। এজন্য নিজ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন না হওয়ার পরও শুরু থেকেই তিনি কওমি সনদের সরকারি স্বীকৃতি বাস্তবায়নের ব্যাপারে আন্তরিকতা প্রদর্শন করে আসছেন। তিনি কওমি মাদরাসার সংশ্লিষ্ট কর্তপক্ষকে বারবার অনুরোধ করেছেন, এ ব্যাপারে উদ্যোগী হওয়ার।

কয়েক মাস আগে হাইয়্যাতুল উলয়ার একটি প্রতিনিধি দল ধর্ম উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করলে তিনি এ ব্যাপারে করণীয় বলে দেন। পরে তিনিসহ একটি প্রতিনিধি দল শিক্ষা উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এবং প্রধান উপদেষ্টাকে একটি চিঠি দেওয়া হয়। সেখানে দাওরায়ে হাদিসের সনদকে কোন কোন ক্ষেত্রে কাজে লাগানো যায় সে ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট সুপারিশ করা হয়।




২৬ নভেম্বর, বুধবার চরমোনাই শুরু হচ্ছে তিন দিনব্যাপী বার্ষিক মাহফিল

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

আত্মশুদ্ধি ও আধ্যাত্মিকতার দেশব্যাপী বিস্তৃত, সংগঠিত ও জনপ্রিয় ধারা চরমোনাই তরিকার তিন দিনব্যাপী বার্ষিক মাহফিল আগামীকাল বুধবার (২৬ নভেম্বর (বুধবার) শুরু হচ্ছে। গত শতকের ২০ এর দশকে শুরু হওয়া এই ঐতিহ্যবাহী মাহফিল প্রতি বছর অগ্রহায়ণ ও ফাল্গুন মাসে অনুষ্ঠিত হয়।

আগামীকাল জোহরের নামাজের পরে বাংলাদেশ মুজাহিদ কমিটির প্রধান আমীরুল মুজাহিদিন মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম, পীর সাহেব চরমোনাই-র উদ্বোধনী বয়ানের মাধ্যমে মাহফিলের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হবে। তিন দিনব্যাপী মাহফিলে প্রতিদিন সকালে ও সন্ধ্যায় মোট সাতটি প্রধান বয়ান অনুষ্ঠিত হয়।

উদ্বোধনী ও সমাপনী বয়ান পেশ করেন পীর সাহেব চরমোনাই আর মাঝের তিনটি বয়ান পেশ করেন বাংলাদেশ মুজাহিদ কমিটির নায়েবে আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম, শায়েখে চরমোনাই। এছাড়াও দেশের শীর্ষস্থানীয় উলামায়ে কেরাম বিভিন্ন সময়ে বয়ান করেন।

চরমোনাই জামেয়া রশিদিয়া আহসানাবাদ কর্তৃক আয়োজিত মাহফিলের ব্যবস্থাপনায় থাকে বাংলাদেশ মুজাহিদ কমিটি। মাহফিলের ২য় দিন ২৭ নভেম্বর সকাল সাড়ে দশটা থেকে দেশের শীর্ষ উলামায়ে কেরাম ও বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে উলামা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। ৩য় দিন একই সময়ে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের ছাত্র জমায়েত অনুষ্ঠিত হবে।

১৯২৪ সালে মাহফিলের সূচনা হয়। কালক্রমে এই মাহফিল ও এই আধ্যাত্মিকধারা দেশের প্রধানতম আধ্যাত্মিকধারায় পরিণত হয়। এই ধারারই প্রধান মাওলানা সৈয়দ মুহাম্মাদ ফজলুল করীম রাহিমাহুল্লাহ ১৯৮৭ সালে ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন নামে প্রত্যক্ষ রাজনৈতিক কার্যক্রম শুরু করেন যা এখন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নামে পরিচিত। বাংলাদেশের আধ্যাত্মিকতা ও রাজনীতিতে এই মাহফিল ও ধারার শক্তিশালী অবস্থান রয়েছে।

মাহফিলে আগত মুসল্লিদের সেবা ও শৃঙ্খলার জন্য সহস্রাধিক স্বেচ্ছাসেবক থাকবেন। চিকিৎসার জন্য একশত শয্যার হাসপাতাল রয়েছে যেখানে দেশের শীর্ষ চিকিৎসকগণ সার্বক্ষণিক জরুরী সেবা প্রদান করবেন। দুইটি ওয়াটার অ্যাম্বুলেন্সসহ পাঁচটি অ্যাম্বুলেন্স থাকবে রোগীদের জরুরি স্থানান্তরের জন্য। নিরাপত্তার জন্য পুলিশ-আনসার বাহিনীর পাশাপাশি নিজস্ব নিরাপত্তা কর্মী নিয়োজিত থাকবে। ফায়ার সার্ভিসের একটি দল সদাপ্রস্তত অবস্থায় থাকবে।




হিজবুল্লাহ’র প্রভাবশালী কমান্ডার তাবাতাবায়ি হত্যার প্রতিশোধ কীভাবে নেবে হিজবুল্লাহ?

ডিএনবি নিউজ আন্ত: ডেস্ক-

ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন হিজবুল্লাহ’র প্রভাবশালী কমান্ডার হাইথাম আলী তাবাতাবায়ি হত্যাকাণ্ড লেবাননের সঙ্গে দখলদার ইসরায়েলের যুদ্ধের সমীকরণকে নতুন পর্যায়ে নিয়ে গেছে। হিজবুল্লাহর সম্ভাব্য জবাবের আশঙ্কায় তেলআবিব উচ্চমাত্রার সতর্কতা জারি করেছে।

ইসরায়েলি সেনা রেডিওর সামরিক প্রতিবেদক দোরোন কাদোশের মতে, হিজবুল্লাহ চারটি সম্ভাব্য উপায়ে এই হত্যাকাণ্ডের জবাব দিতে পারে।

এক- ইসরায়েলের গভীরে ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, এমন আশঙ্কায় ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলে সামরিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সর্বোচ্চ সতর্কতায় রাখা হয়েছে।

দুই- ইসরায়েলের ভেতরে প্রবেশ করে অভিযান পরিচালনা বা ইসরায়েলের সামরিক ঘাঁটিগুলোতে হামলা।

তিন- ইয়েমেনের আনসারুল্লাহ আন্দোলনকে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে হামলায় উদ্বুদ্ধ করা।

চার- সরাসরি প্রতিক্রিয়া না দিয়ে সামরিক শক্তি পুনর্গঠনে মনোযোগ দেওয়া।

দোরোন কাদোশ আরও বলেছেন, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী হিজবুল্লাহকে আরও দুর্বল করার জন্য প্রস্তুতিও নিচ্ছে। একই সঙ্গে ইসরায়েল লেবাননে তাদের হামলা অব্যাহত রাখবে যাতে হিজবুল্লাহ পুনরায় শক্তি সঞ্চয় করতে না পারে।

ইসরায়েলের সমস্যা: হামলা সত্ত্বেও হিজবুল্লাহ শক্তিশালী হচ্ছে

একের পর এক ইসরায়েলি হামলা সত্ত্বেও সাম্প্রতিক মাসগুলোতে হিজবুল্লাহ তার সামরিক সক্ষমতা পুনর্গঠন করতে সক্ষম হয়েছে।

ইসরায়েলের ইয়েদিয়োত আহরণোত পত্রিকার সামরিক বিশ্লেষক ইউআভ জেইতুন লিখেছেন, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী গত বছর লেবাননে বিমান হামলার পাশাপাশি ২১টি গ্রামজুড়ে প্রায় একহাজার ২০০টি স্থল অভিযান চালিয়েছে। কিন্তু এরপরও তারা হিজবুল্লাহকে দুর্বল করতে ব্যর্থ হয়েছে। এসব অভিযানের মধ্যে ছিল প্রকাশ্য ও গোপন টহল, ঘাঁটিতে হামলা, অবকাঠামো ধ্বংস এবং প্রতিদিন লেবাননের তিন থেকে পাঁচ কিলোমিটার গভীরে তিন থেকে পাঁচটি করে আক্রমণ।

ইউআভ জেইতুন সতর্ক করে বলেন, হিজবুল্লাহ নির্ভুল ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হাইফা ও তেলআবিবে হামলা করতে পারে এবং তারা গ্যালিলি এলাকায় ও ইসরায়েলের অন্যান্য কৌশলগত স্থাপনায় বিস্ফোরক ড্রোন পাঠাতে পারে।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, কয়েকজন জ্যেষ্ঠ কমান্ডারকে হারানোর পরেও হিজবুল্লাহর হাতে এখনো পর্যাপ্ত অস্ত্র রয়েছে।

হিজবুল্লাহর তরুণ নেতৃত্ব প্রতিশোধের পক্ষে

হাইফা বিশ্ববিদ্যালয়ের পশ্চিম এশিয়া-বিষয়ক বিশেষজ্ঞ আমাৎজিয়া বারাম মাআরিভ পত্রিকাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, মূল প্রশ্নটা হলো—হিজবুল্লাহ কীভাবে জবাব দেবে? দলটির মহাসচিব শেখ নাঈম কাসেম কি সংযম বজায় রাখার নীতি অব্যাহত রাখতে পারবেন, যখন তরুণ কমান্ডাররা তীব্র প্রতিশোধের দাবি জানাচ্ছেন?

বারামের মতে, হিজবুল্লাহর সামনে তিনটি বিকল্প রয়েছে:

এক- কোনো প্রতিক্রিয়া না দেখিয়ে সামরিক সক্ষমতা পুনর্গঠনে মনোনিবেশ করা

দুই- দক্ষিণ লেবাননে ইসরায়েলি সেনাঘাঁটিতে হামলা করা

তিন-ইসরায়েলের সীমান্তবর্তী ইহুদি বসতিগুলোতে আক্রমণ চালানো।#

সূত্র: পার্সটুডে




মানবতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করে রিফাতের পাশে দাঁড়ালেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

নেত্রকোনা জেলার দুর্গম কলমাকান্দা উপজেলার রংছাতি ইউনিয়নের হরিণাকুড়ি গ্রামের আলম মিয়ার ১৪ বছর বয়সী ছেলে রিফাত দীর্ঘদিন ধরে থ্যালাসেমিয়ার মতো জটিল রোগে ভুগছে। মাসের পর মাস রক্ত পরিবর্তন এবং চিকিৎসার মধ্যেই হঠাৎ করে ডাক্তাররা জানান—তার লিভারের অবস্থা দ্রুত খারাপ হচ্ছে, জীবন বাঁচাতে জরুরি ভিত্তিতে বড় অপারেশন দরকার।

পরিবারের সীমিত সামর্থ্য, গ্রামের দরিদ্র পরিবেশ এবং দীর্ঘ চিকিৎসার খরচ মিলিয়ে রিফাতের বাবা–মা চরম উদ্বেগে ছিলেন। বিষয়টি স্থানীয় নেতৃবৃন্দের মাধ্যমে পৌঁছায় দেশের জনপ্রিয় মানবিক নেতা, কেন্দ্রীয় বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামালের কাছে।

রিফাতের সংকটময় পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে পেরে ব্যারিস্টার কায়সার কামাল ব্যক্তিগত মানবিক উদ্যোগে তার চিকিৎসার দায়িত্ব নেন। চিকিৎসা–সংক্রান্ত করণীয়, ঢাকার হাসপাতালে ভর্তির সব ব্যবস্থা, পরিবারকে আর্থিক সহায়তা সবকিছুতে তিনি নিজে নজর রাখেন এবং তদারকি করেন।

ব্যারিস্টার কায়সার কামাল এর উদ্যোগে ৫ নভেম্বর ২০২৫ রিফাতকে ঢাকার পিজি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসকদের আন্তরিক প্রচেষ্টা ও নিয়মিত চিকিৎসার পর ২৪ নভেম্বর ২০২৫, অনুষ্ঠিত হচ্ছে তার বহুল প্রতীক্ষিত ও অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ লিভার অপারেশন।

রিফাতের বাবা আলম মিয়া আবেগাপ্লুত কণ্ঠে বলেন
আমরা অসহায় হয়ে পড়েছিলাম। মনে হয়েছিল ছেলেটাকে হয়তো আর বাঁচাতে পারব না। কিন্তু ব্যারিস্টার কায়সার কামাল স্যার আমাদের পাশে দাঁড়িয়ে না থাকলে আজকের দিনটি আমরা দেখতে পেতাম না। উনি আমাদের পরিবারের জন্য দোয়ার দরজা খুলে দিয়েছেন। আমরা তার প্রতি চিরকৃতজ্ঞ।”

স্থানীয় মানুষের দোয়া ও সমর্থনের স্রোত
রিফাতের চিকিৎসার খবর ছড়িয়ে পড়তেই কলমাকান্দা–দুর্গাপুরসহ পুরো অঞ্চলের মানুষ দোয়া করতে শুরু করেছেন। সামাজিক মাধ্যমে সবার একটাই কামনা
রিফাত যেন সফলভাবে অপারেশন শেষ করে দ্রুত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে আসে।

কলমাকান্দা–দুর্গাপুরের মানুষের কাছে ব্যারিস্টার কায়সার কামাল শুধু একজন রাজনৈতিক নেতা নন; তিনি মানুষের সুখ–দুঃখে পাশে দাঁড়ানো এক নির্ভরতার নাম। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বিপদে–আপদে ব্যক্তিগত উদ্যোগে একের পর এক অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে তিনি প্রমাণ করছেন—
রাজনীতি ক্ষমতার জন্য নয়, মানুষের সেবা করার জন্য।

ব্যারিস্টার কায়সার কামাল রিফাতের চিকিৎসায় সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে তিনি আবারও প্রমাণ করলেন
কষ্টে থাকা মানুষই তার রাজনীতির শক্তি, আর মানবসেবাই তার পথচলার মূল লক্ষ্য।

পরিবার, স্থানীয় মানুষ এবং ব্যারিস্টার কায়সার কামাল সকলেই দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন—
রিফাতের অপারেশন যেন সফল হয় এবং সে যেন সুস্থভাবে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারে।




ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে আসন ভাগাভাগির আলোচনায় আট দল

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলনসহ আটটি দল একসঙ্গে কয়েকটি দাবিতে আন্দোলন করে আসছে। এবার দলগুলো আগামী নির্বাচনে একবাক্স দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর অংশ হিসেবে আসন ভাগাভাগি নিয়ে আলোচনা শুরু করেছে।

আটটি দল একসঙ্গে হলেও তারা এটাকে কোনো জোট বলতে নারাজ। তারা এটাকে নির্বাচনি সমঝোতা বা মোর্চা বলতে চাচ্ছে। দলগুলো হলো— বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, খেলাফত মজলিস, নেজামে ইসলাম পার্টি, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টি ও জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা)।

দলগুলো সূত্রে জানা গেছে, পাঁচ দফা দাবির আন্দোলন ও প্রার্থী বাছাইয়ের কার্যক্রম একসঙ্গে চলায় প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করতে কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে।

ঐক্যভুক্ত দলগুলোর নেতাদের মতে, ডিসেম্বরের শুরুতেই আনুষ্ঠানিকভাবে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হবে। এখন চলছে আসন ভাগাভাগির আলোচনা। কোন দল কত আসনে প্রার্থী দেবে—তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি।

দলগুলোর শীর্ষ পর্যায়ে চলছে দরকষাকষি। বিভিন্ন দল সম্ভাব্য আসন চাহিদা তুলে ধরলেও সবকিছু নির্ভর করছে আলোচনার ফলাফলের ওপর।

ইসলামি দলগুলোর একাধিক সূত্রের মাধ্যমে জানা যায়, আসন ভাগাভাগি হবে আলোচনার ভিত্তিতে। স্থানীয় অবস্থান ও শক্তিমত্তা বিবেচনায় করা হবে প্রার্থী নির্ধারণ। যেখানে যে দলের অবস্থান শক্তিশালী, তাকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। ঐক্য টিকিয়ে রাখতে সব দলের ‘ত্যাগের মানসিকতা’ প্রয়োজন বলেও দলগুলো মনে করে।

আগামী ফেব্রুয়ারির শুরুতেই দেশে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহেই নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হতে পারে। এবারের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও তাদের মিত্রদের অনুপস্থিতিতে একদিকে বিএনপি ও তাদের মিত্ররা এবং অপর দিকে জামায়াত ও তাদের সঙ্গীদের মধ্যে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যদিও জাতীয় পার্টি নির্বাচনে অংশ নিলে দৃশ্যপট অন্যদিকে মোড় নিতে পারে বলেও কেউ কেউ মনে করেন।




লেবাননে ইসরায়েলের নতুন আগ্রাসন: বৈরুতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় নিহত ৫

ডিএনবি নিউজ আন্ত: ডেস্ক-

লেবাননের রাজধানী বৈরুতের একটি আবাসিক এলাকায় নতুন করে আগ্রাসন চালিয়েছে ইহুদিবাদী ইসরায়েল। এতে প্রায় দুই ডজন সাধারণ নাগরিক হতাহত হয়েছেন।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, আজ (রোববার) বৈরুতের দক্ষিণাঞ্চলীয় উপশহর আল-হারা এলাকায় একটি আবাসিক অ্যাপার্টমেন্টে তাদের বাহিনী ‘নির্ভুল হামলা’ চালায়।

ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর দফতর বলেছে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ‘বৈরুতের কেন্দ্রস্থলে’ এই হামলা পরিচালনা করেছে।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, শীর্ষ নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের সুপারিশের ভিত্তিতে নেতানিয়াহু এই অভিযানের অনুমোদন দেন।

লেবানন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই আগ্রাসনে কমপক্ষে পাঁচজন নিহত এবং ২১ জনের বেশি আহত হয়েছেন।

দুইজন সিনিয়র মার্কিন কর্মকর্তা ইসরায়েলের এই হামলা নিয়ে মন্তব্য করেছেন।

প্রথম কর্মকর্তা জানান, হামলার আগে ইসরায়েল যুক্তরাষ্ট্রকে অবহিত করেনি; হামলা চালানোর পরপরই বিষয়টি জানানো হয়।

দ্বিতীয় কর্মকর্তা বলেন, ওয়াশিংটন কয়েকদিন ধরে জানত যে ইসরায়েল লেবাননে হামলা বাড়াতে পারে, তবে হামলার সময়, স্থান বা লক্ষ্য সম্পর্কে পূর্বেই কোনো তথ্য ছিল না।

তবে ইয়েদিয়ত আহরোনোত পত্রিকা এক ইসরায়েলি সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, বৈরুতের দক্ষিণ উপশহরে পরিচালিত আক্রমণটি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সমন্বয় করেই করা হয়েছে, যদিও যুক্তরাষ্ট্র পূর্বে বৈরুতে যেকোনো সামরিক অভিযানের বিরোধিতা করেছিল।

ইসরায়েলি হামলার স্থল থেকে বক্তব্য দিতে গিয়ে লেবাননের এমপি আলি আম্মার এ ঘটনাকে “ওয়াশিংটন-সমর্থিত যুদ্ধবিরতির পর থেকে লেবাননজুড়ে চলমান আগ্রাসনের অংশ” বলে উল্লেখ করেন।

তিনি বলেন, “লেবাননের ওপর যেকোনো হামলাই ‘লাল রেখা’ লঙ্ঘন। এই আগ্রাসন লেবাননের মর্যাদা, সার্বভৌমত্ব এবং নাগরিকদের নিরাপত্তাকে লক্ষ্যবস্তু করার ধারাবাহিকতার অংশ।”

আম্মার আরও বলেন, প্রতিরোধশক্তি “চরম প্রজ্ঞা ও ধৈর্যের সাথে প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছে এবং যথাসময়ে শত্রুর মোকাবিলা করবে”।

তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, “লেবাননের ভেতরের কিছু কণ্ঠ নিজেদেরকে শত্রুর আগ্রাসনকে সমর্থনকারী হাতিয়ারে পরিণত করেছে, যা ইসরায়েলকে আরও বেপরোয়া করছে।”

বৈরুতের দক্ষিণাঞ্চলে এই হামলাটি ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহর মধ্যকার নভেম্বর ২০২৪-এর যুদ্ধবিরতি চুক্তির আরেকটি স্পষ্ট লঙ্ঘন, যা তীব্র সংঘাত কমানোর উদ্দেশ্যে করা হয়েছিল।

মঙ্গলবার রাতে দক্ষিণ লেবাননের সাইদনের কাছে আইন আল-হিলওয়ে শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ১৪ জন নিহত হয়। এ ঘটনায় কয়েকজন শিক্ষার্থীসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে লেবানন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।

ইসরায়েলি বাহিনী দাবি করেছে যে, হামলাটি ‘হামাসের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র’ লক্ষ্য করে চালানো হয়েছে। তবে, হামাস এ অভিযোগকে ‘নির্লজ্জ মিথ্যা ও গণহত্যা ঢাকার চেষ্টা’ বলে প্রত্যাখ্যান করে বলেছে, লেবাননের কোনো ফিলিস্তিনি শরণার্থী শিবিরে তাদের কোনো সামরিক স্থাপনা নেই; লক্ষ্যবস্তুটি ছিল কেবল একটি উন্মুক্ত ক্রীড়াঙ্গন।

লেবাননের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, অক্টোবর ২০২৩ থেকে ইসরায়েলি হামলায় প্রায় ৪,০০০ মানুষ নিহত হয়েছে এবং ১২ লাখের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।#

সূত্র: পার্সটুডে




দুর্গাপুরে যুব ইউনিয়নের কমিটি গঠন, রমজান আলী সভাপতি, সাদ্দাম হোসেন সাধারণ সম্পাদক

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

“কর্মসংস্থান ও ভোটাধিকারের দাবিতে জেগে উঠো তারুণ্য” এই প্রতিপাদ্যে নেত্রকোণার দুর্গাপুরে বাংলাদেশ যুব ইউনিয়নের দশম উপজেলা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২২ নভেম্বর) রাতে কাউন্সিল শেষে ২১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষনা করা হয়।

এতে রমজান আলী সরকারকে সভাপতি, সাদ্দাম হোসেনকে সাধারণ সম্পাদক এবং মীর আল মামুনকে সাংগঠনিক সম্পাদক করে নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়।

কাউন্সিলপুর্বে বিকেলে স্থানীয় শহীদ মিনারে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন শেষে সম্মেলন উদ্বোধন করেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম নান্নু। পরবর্তিতে উপজেলা যুব ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক রমজান আলী সরকার এর সঞ্চালনায়, উপজেলা যুব ইউনিয়নের সভাপতি মো. নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, সিপিবি কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও সমাজসেবক কমরেড ডা. দিবালোক সিংহ। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন, সিপিবি জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক কমরেড আলকাছ উদ্দিন মীর, যুব ইউনিয়নের জেলা কমিটির সভাপতি জয় কুমার দে পুলক এবং সিপিবি দুর্গাপুর উপজেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক কমরেড মোরশেদ আলম। এছাড়া বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় যুব ইউনিয়নের প্রেসিডিয়াম সদস্য আনোয়ার হোসেনসহ উদীচী, ক্ষেতমজুর সমিতি, কৃষক সমিতি ও ছাত্র ইউনিয়নের স্থানীয় নেতাকর্মীগণ।

দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত সম্মেলনে যুবসমাজের অধিকার, কর্মসংস্থান, গণতন্ত্রচর্চা, সাংগঠনিক বিকাশ এবং ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা নিয়ে বিভিন্ন সেশন ও আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।




সুষ্ঠু নির্বাচনে ইসিকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে সেনাবাহিনী: সেনাপ্রধান

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় এবং সুষ্ঠু নির্বাচন করতে নির্বাচন কমিশনকে সেনাবাহিনী সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে বলে জানিয়েছেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।

রবিবার (২৩ নভেম্বর) সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষ্যে ঢাকা সেনানিবাসের আর্মি মাল্টিপারপাস কমপ্লেক্সে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে সেনাপ্রধান এ কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে বীরত্বপূর্ণ কাজ ও বাহিনীতে অসামান্য অবদানের জন্য ৬৪ সেনাসদস্যকে পদক এবং ৭৫ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে সম্মাননা প্রদান করেন সেনাপ্রধান। এরমধ্যে ২০২৪-২০২৫ ও ২০২৫-২০২৬ অর্থ বছরে নানা অবদানের জন্য ৯ জনকে সেনাবাহিনী পদক, ১৭ জনকে অসামান্য সেবা পদক এবং ৩৮ সেনা সদস্যকে বিশিষ্ট সেবা পদক প্রদান করা হয়।

এসময় সেনাপ্রধান বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের দেখানো পথ অনুযায়ী দেশের স্বার্থে, দেশের মানুষের কল্যানে কাজ করে যাবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।