আ.লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে খেলাফত মজলিস

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

আওয়ামী লীগের সকল রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার অন্তর্বর্তী সরকারের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে খেলাফত মজলিস। গতরাতে দলটির উপদেষ্টা পরিষদের বিশেষ বৈঠকে এই সিদ্ধান্তকে “গণআন্দোলনের বিজয়” হিসেবে আখ্যায়িত করেন দলটির নেতৃবৃন্দ।

রবিবার (১১ মে) গণমাধ্যমে পাঠানো এক যৌথ বিবৃতিতে খেলাফত মজলিসের আমীর মাওলানা আবদুল বাছিত আজাদ ও মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের বলেন, “জুলাই-আগস্ট গণহত্যা সহ বিগত সাড়ে ১৫ বছরে সংঘটিত নানা মানবতাবিরোধী অপরাধের সাথে আওয়ামী লীগের জড়িত থাকার বিষয়টি আজ আর কারো অজানা নয়। ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করতে দলটি ভারতের সহযোগিতায় দেশের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিল, যার ফল ভুগতে হয়েছে সাধারণ জনগণকে।”

বিবৃতিতে বলা হয়, ৫ আগস্ট ২০২৪ সালের অভ্যুত্থান-পরবর্তী সময় থেকেই দলটি আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ ও নিবন্ধন বাতিলের দাবিতে আন্দোলন করে আসছিল। “ছাত্র-জনতার ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের ফলেই অন্তর্বর্তী সরকার আওয়ামী লীগের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিতে বাধ্য হয়েছে,” বলা হয় বিবৃতিতে।

খেলাফত মজলিস সরকারকে অনতিবিলম্বে দল হিসেবে আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বাতিল, অপরাধে জড়িত নেতাকর্মীদের বিচার এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছে।




যুদ্ধবিরতি কার্যকরের ঘোষণা দিয়েছে দুই দেশ ভারত-পাকিস্তান

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

অবশেষে দুই প্রতিবেশী ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধ পরিস্থিতির সাময়িক ইতি ঘটল। যুদ্ধবিরতি কার্যকরের ঘোষণা দিয়েছে দুই দেশই। এর আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দুই দেশ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে বলে জানান।

বিবিসির খবরে বলা হয়, ভারত ঘোষণা করেছে যে, স্থানীয় সময় আজ শনিবার (১০ মে) বিকেল পাঁচটা থেকে স্থল, বিমান ও নৌবাহিনী পাকিস্তানের দিকে সব ধরনের গুলি চালানো বন্ধ রাখছে।

ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি বলেছেন, পাকিস্তানের ডিরেক্টর জেনারেল মিলিটারি অপারেশন্স ভারতীয় সময় তিনটা ৩৫ মিনিটে ভারতের ডিরেক্টর জেনারেল মিলিটারি অপারেশন্সকে ফোন করেছিলেন। তাদের দুজনের মধ্যে স্থির হয়েছে আজ ভারতীয় সময় বিকেল পাঁচটা থেকে দুই পক্ষই সব ধরনের গুলি-গোলা চালানো এবং স্থল, আকাশ ও জলপথে সামরিক কর্মকাণ্ড বন্ধ করবে।
দুই দেশের পক্ষ থেকে দুই দিকেই এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

দুই ডিজিএমও আবার ১২ তারিখ সোমবার দুপুর ১২টার সময়ে কথা বলবেন বলে বিক্রম মিশ্রি।

এদিকে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও উপ-প্রধানমন্ত্রী ইসাক দার একটি টুইট বার্তায় বলেছেন, পাকিস্তান ও ভারত অবিলম্বে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে।

তিনি লিখেছেন, এই অঞ্চলে শান্তি এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য পাকিস্তান সবসময়েই চেষ্টা করে যাচ্ছে এবং কখনোই নিজের সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতার প্রশ্নে আপস করেনি।

এর কিছুক্ষণ আগেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক্স প্ল্যাটফর্মে দেয়া একটি বার্তায় জানান যে, ভারত ও পাকিস্তান- দুই দেশ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে।

পাকিস্তানের বেসরকারি টিভি চ্যানেল জিও নিউজকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে ইসাক দার বলেন, যুদ্ধ কোনো কিছুর জন্যই সমাধান নয়। আজ বিকাল সাড়ে চারটা থেকে (পাকিস্তানের সময়) যু্দ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে।




ভারতের এস-৪০০ ধ্বংসের দাবি পাকিস্তানের; দ্য হিন্দু বলছে দাবিটি অসত্য

ডিএনবি নিউজ আন্ত: ডেস্ক

ভারতের অত্যাধুনিক আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এস-৪০০ ধ্বংসের দাবি করেছে পাকিস্তান। ইসলামাবাদের দাবি, ভারতের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি সামরিক স্থাপনায় তাদের পাল্টা হামলায় যেসব ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তার বিবরণে ভারতের এস-৪০০ ধ্বংসের কথা বলা হচ্ছে। পাকিস্তানের তিন বিমানঘাঁটিতে ভারতীয় হামলার পাল্টা জবাবে এ হামলা চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসলামাবাদ সরকার।

পাকিস্তান এই পাল্টা হামলার নাম দিয়েছে ‘অপারেশন বুনইয়ান–উন–মারসুস’। আরবি শব্দ বুনইয়ান–উন–মারসুস –এর অর্থ হলো ‘সুদৃঢ়, সুসংগঠিত ও অভেদ‍্য প্রাচীর’।

ভারত অত্যাধুনিক আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এস-৪০০ রাশিয়ার কাছ থেকে কিনেছে।

পাকিস্তানের দাবি, অপারেশন বুনইয়ানুম মারসুসের অংশ হিসেবে তারা ভারতের পাঞ্জাবের জলন্ধর জেলার আদমপুরে অবস্থিত এস-৪০০ বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে সফলভাবে লক্ষ্যবস্তু করে ধ্বংস করেছে।

পাকিস্তানের নিরাপত্তা সূত্রের মতে, দেশটির বিমান বাহিনী তাদের প্রতিশোধমূলক হামলায় হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তি ব্যবহার করেছে, যার মধ্যে একটি জেএফ-১৭ থান্ডার বিমান গুরুতর আঘাত হেনেছে বলে জানা গেছে। এস-৪০০ সিস্টেমটি অত্যাধুনিক। এটির মূল্য প্রায় ১.৫ বিলিয়ন ডলার। যা ভারতের সবচেয়ে মূল্যবান কৌশলগত সম্পদের মধ্যে একটি।

অবশ্য ভারতের একজন সেনা কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে দেশটির দৈনিক দ্য হিন্দু লিখেছে, পাকিস্তানের এই দাবি মিথ্যা।

গত মঙ্গলবার রাতে পাকিস্তানে ভারত ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর পর থেকেই পাকিস্তান নানা সাফল্যের দাবি করছে। তারা সে রাতে পাকিস্তানের ৫টি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার দাবি করেছে। পরে ড্রোন ধ্বংস করার দাবি করেছে। যদিও এসব খবরকে সত্যতা স্বীকার করেনি ভারত। তবে কয়েকটি সূত্র ফ্রান্সের কাছে থেকে কেনা রাফাল বিমান ভূপাতিত করার খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছে।#

সূত্র: পার্সটুডে




আ.লীগ আর রাজনৈতিক দল নয়, ভয়ংকর একটি অপরাধচক্র, নিষিদ্ধ করুন: পীর সাহেব চরমোনাই

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম বগুড়ায় এক গণসমাবেশে বলেছেন, গত জুলাই-আগস্টসহ বিগত পনের বছরে আওয়ামী লীগের অপরাধের ব্যাপকতা ও মাত্রা এতো বেশি যে, আওয়ামী লীগকে আর রাজনৈতিক দল বলা যায় না। এটা বরং ভয়ংকর অপরাধীদের একটি অপরাধচক্র। তাই এদেরকে রাজনীতি করতে দেওয়ার কোন সুযোগ নাই। এদেরকে রাজনীতি করতে দেয়ার মানে একটি ভয়ংকর অপরাধীচক্রকে আবারো নির্মমতা চালানোর সুযোগ করে দেয়া।

শুক্রবার (৯ মে) বিকেলে বগুড়ায় এক বিশাল গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ইসলামবিরোধী নারী নীতিমালা বাতিল, শাপলা ও জুলাই হত্যাকাণ্ডের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি, দুর্নীতিবাজদের বিচার এবং নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা, ইসলামী হুকুমত কায়েমের লক্ষ্যে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, বগুড়া জেলা শাখার উদ্যোগে ঐতিহাসিক সাতমাথার মুক্ত মঞ্চে মাওলানা আ. ন. ম মামুনুর রশীদের সভাপতিত্বে এই গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর, মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম (পীর সাহেব চরমোনাই) বলেন, নারী সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব কুরআন-হাদীস ও এদেশের মানুষের হাজার বছরের ইতিহাস-ঐতিহ্যের সাথে সম্পূর্ণ সাংঘর্ষিক।

নারী কমিশনের প্রস্তাবনায় যৌনকর্মে নিষ্পেষিত নারীদের রক্ষার বদলে তার ওপরে চলা নির্মমতাকে শ্রম আখ্যা দিয়ে নারীকে এক  বিভৎস চক্রে আটকে ফেলার ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। নারীর সাথে এই ধরণের নির্মমতার প্রস্তাব যে কমিশন করে তাদের কমিশন বাতিল করতেই হবে।

তিনি আরো বলেন, মায়ানমারকে মানবিক করিডোরের প্রস্তাব আমাদেরকে সন্দিহান করে তুলেছে। কারণ এই  জাতিসংঘ ১৩ লক্ষ রোহিঙ্গা মুসলমানকে মায়ানমারকে ফেরত পাঠানোর জন্য কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি।  ফিলিস্তিনে ইসরাইল যে মানব ইতিহাসের জঘন্যতম বর্বরতা চালাচ্ছে জাতিসংঘ কাগুজে বিবৃতি ছাড়া ইসরাইলকে বিরত রাখার জন্য কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। মোদি সরকার ভারতে মুসলমান, মাদ্রাসা এবং মসজিদের উপর যে চরম নির্যাতন ও ধ্বংসলিলা চালাচ্ছে বিশ্ব সম্প্রদায় সম্পূর্ণভাবে নিরবতা পালন করছে।

পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, সংস্কার ও নির্বাচন উভয়ই জরুরি, তবে মৌলিক সংস্কার ছাড়া নির্বাচন অর্থবহ কোনো কল্যাণ নিশ্চিত করতে পারবে না।

গণসমাবেশ বিশেষ অতিথি দলের নায়েবে আমীর— আল্লামা আব্দুল হক আজাদ বলেন, নারী নীতিমালায় নারী ও পুরুষকে সাংঘর্ষিক করে উপস্থাপন করা হয়েছে। অথচ বাংলাদেশে নারী ও পুরুষের সম্পর্ক পারস্পরিক পরিপূরক।

তিনি আরো বলেন অতীতের সরকার পরিবর্তন হয়েছে কিন্তু মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়নি। কেননা শাসকদের অন্তরে আল্লাহর ভয় ছিলো না এবং ক্ষমতাই তাদের মূল উদ্দেশ্য ছিলো। যে সরকার ক্ষমতায় আসে দেশের সমস্ত টার্মিনাল তাদের দখলে নিয়ে চাঁদাবাজি করে। পরবর্তী সরকার আসলে ঐ টার্মিনাল তাদের দখলে যায়। অবাধে রাষ্ট্রীয় সম্পদ আত্মসাৎ করে দেশকে তলাবিহীন ঝুড়িতে পরিনত করে। সুতরাং ইসলামী আন্দোলনের মূল বক্তব্য ইসলামী আইন চাই, খোদা ভীরু লোকের শাসন চাই। এর বিপরীতে বর্তমান অবস্থা চলতে থাকলে কেয়ামত পর্যন্ত মানুষ এবং দেশের ভাগ্যের কোনো পরিবর্তন হবে না।

সভাপতি তার বক্তব্যে  ইসলামী আন্দোলনের সমস্ত নেতা কর্মীদের ইসলামের আদর্শ প্রত্যেক ঘরে ঘরে পৌছে দেওয়ার আহবান জানান।

উক্ত সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন সংগঠনের বগুড়া জেলার প্রধান উপদেষ্টা মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, জেলা সহ-সভাপতি,প্রভাষক মীর মাহমুদুর রহমান (চুন্নু) জেলা সেক্রেটারী সহ: অধ্যাপক শফিকুল ইসলাম শফিক, জতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের সভাপতি মাওলানা আব্দুল মতিন, জাতীয় শিক্ষক ফোরামের সভাপতি মাওলানা আলতাব আলী, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলনের সভাপতি মুহা. ফরহাদ হোসেন মন্টু, ইসলামী যুব আন্দোলনের সভাপতি, মুহা. সোহরাব হোসেন, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ এর সাধারণ সম্পাদক মুহা. সোহেল রানা প্রমুখ।




ভারতের ২৫টি ইসরাইলি হরপ ড্রোন ভূপাতিত : পাকিস্তান সেনাবাহিনী

ডিএনবি নিউজ আন্ত: ডেস্ক-

পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনী গতকাল বুধবার রাত থেকে এখন পর্যন্ত দেশটিতে পাঠানো ২৫টি ইসরায়েলি হরপ ড্রোন ভূপাতিত করেছে। পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) আজ বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানিয়েছে।

সেনাবাহিনী বলেছে, পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনী তাদের ‘সফট-কিল’ (প্রযুক্তিগত) ও ‘হার্ড-কিল’ (অস্ত্রশস্ত্রের ব্যবহার) দক্ষতা পুরোপুরি কাজে লাগিয়ে ভারত থেকে পাঠানো ২৫টি ইসরায়েলি হরপ ড্রোন গুলি করে নামিয়েছে।

সেনাবাহিনী আরও বলেছে, ‘৬ মে ভারতের বিমান হামলার জবাবে পাকিস্তানের পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় দেশটির পাঁচটি অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান ও একাধিক ড্রোন ধ্বংস এবং কয়েকজন সেনার মৃত্যুতে ভারত আতঙ্কে ভুগছে।’

কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণরেখায় ভারত বড় ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছে উল্লেখ করে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী বলেছে, ‘পাকিস্তানের বিভিন্ন স্থানে ভূপাতিত করা এসব ইসরায়েলি হরপ ড্রোনের ধ্বংসাবশেষ জড়ো করা হচ্ছে।’

পাকিস্তান সেনাবাহিনী আজ বৃহস্পতিবার একথা বলেছে। পারমাণবিক শক্তিধর দুই প্রতিবেশীর মধ্যে গতকাল বুধবার পাল্টাপাল্টি প্রাণঘাতী হামলার এক দিন পর এই ঘটনা ঘটল।

গতকাল বুধবার দিনের প্রথম প্রহরে পাকিস্তানের ছয়টি শহরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ভারত। তাৎক্ষণিক প্রতিরোধ গড়ে তোলে পাকিস্তান। গতকাল কাশ্মীর সীমান্তে দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে চলে দফায় দফায় পাল্টাপাল্টি গোলাবর্ষণ।

পাকিস্তানের আন্তবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) তথ্য অনুযায়ী, ভারতের হামলায় নারী-শিশুসহ ৩১ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত ও ৫৭ জন আহত হন। অন্যদিকে ভারতের সেনাবাহিনীর তথ্য অনুসারে, হামলার পর থেকে সীমান্তে পাকিস্তানি বাহিনীর গোলাবর্ষণে ১৫ বেসামরিক নাগরিক নিহত ও ৪৩ জন আহত হয়েছেন। গোলার আঘাতে ভারতীয় এক সেনাও নিহত হয়েছেন বলে দ্য হিন্দু জানিয়েছে।

পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরিফ চৌধুরী আজ বলেন, গত রাতে ভারত একাধিক স্থানে ড্রোন পাঠিয়ে আরেকটি আগ্রাসনের কাজ করল। ভারতের এই কর্মকাণ্ডের কারণে মিয়ানোতে একজন বেসামরিক নাগরিক শহীদ হয়েছেন।

বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়, পাকিস্তানের পাঞ্জাব ও সিন্ধুর বিভিন্ন স্থানে ড্রোনগুলোর ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা ধ্বংসাবশেষ দেখার জন্য লোকজন জড়ো হয়।

পাকিস্তানের বেসামরিক উড়োজাহাজ চলাচল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ইসলামাবাদ, করাচি ও লাহোর-এই তিন প্রধান শহরের বিমানবন্দর আজ সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।#

সূত্র: পার্সটুডে




বেড়েই চলছে ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে উত্তেজনা: তিন দিনে ভারতীয় ১৬ ড্রোন ভূপাতিত

ডিএনবি নিউজ আন্ত: ডেস্ক

ভারতের সঙ্গে সীমান্ত উত্তেজনার মধ্যেই পাকিস্তানের সেনাবাহিনীঘনিষ্ঠ সূত্রের বরাতে জানানো হয়েছে, দেশটির আকাশ প্রতিরক্ষা বাহিনী গত তিন দিনে অন্তত ১৬টি ভারতীয় ড্রোন ভূপাতিত করেছে। এসব ড্রোন পাকিস্তানের বিভিন্ন শহরে নজরদারি ও হামলার উদ্দেশ্যে পাঠানো হয়েছিল বলে দাবি করা হয়েছে।

সূত্রগুলো জানায়, ভারত ১২টি ভিন্ন ভিন্ন শহরে নজরদারি ড্রোন পাঠিয়েছিল। এগুলোর মধ্যে বেশিরভাগই ইসরায়েলে তৈরি IAI Harop নামক ড্রোন, যা মূলত ‘কামিকাজে ড্রোন’ হিসেবে পরিচিত এবং আক্রমণাত্মক সামরিক অভিযানে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।

লাহোরের ওয়ালটন এলাকায় পাকিস্তানের চতুর্থ বিমান প্রতিরক্ষা ঘাঁটিতে একটি ড্রোন হামলায় চারজন সেনাসদস্য আহত হয়েছেন এবং একটি সামরিক যান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে নিরাপত্তা সূত্র জানিয়েছে। এছাড়া সিন্ধু প্রদেশের ঘোটকি এলাকায় ড্রোন হামলায় একজন কৃষক নিহত হয়েছেন।

সীমান্ত পরিস্থিতির অবনতি এবং নিরাপত্তা ঝুঁকির কারণে করাচি, লাহোর, ইসলামাবাদ ও সিয়ালকোটের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরগুলো বৃহস্পতিবার বিকাল ৬টা পর্যন্ত বন্ধ রাখার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। লাহোরের ওয়ালটন ও বারকি রোড এলাকায় বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে, যা ভারতীয় ড্রোনের সঙ্গে সংঘর্ষের ফলে হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।

এদিকে, পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র এক বিবৃতিতে জানান, “আমরা ১২টির বেশি ড্রোন ভূপাতিত করেছি এবং তাদের ধ্বংসাবশেষ সংগ্রহ করেছি। একটি ড্রোন লাহোরে আমাদের সামরিক স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে।”

সামরিক উত্তেজনার এই আবহে কূটনৈতিক অঙ্গনেও তৎপরতা দেখা গেছে। পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ‘আইন আল-নিসর’-এর বরাতে জানা গেছে, সৌদি আরবের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আদেল আল-জুবেইর হঠাৎ করে নয়াদিল্লি সফর করেছেন এবং ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্করের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, দক্ষিণ এশিয়ায় নতুন করে যুদ্ধের ঝুঁকি তৈরি হয়েছে এবং দুই পারমাণবিক শক্তিধর দেশের এই মুখোমুখি অবস্থান আন্তর্জাতিক মহলের গভীর উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।




সেনাবাহিনীকে পাল্টা হামলার স্বাধীনতা দিলো পাকিস্তান

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা কমিটি (এনএসসি) জানিয়েছে, ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলার প্রতিক্রিয়া জানানোর অধিকার তাদের আছে।

এনএসসি বলেছে, ভারতের হামলার জবাবে সময় অনুযায়ী যথাযথ স্থানে পছন্দ মতো পাকিস্তান প্রতিক্রিয়া জানাবে। একই সঙ্গে সামরিক বাহিনীকে ‘‘সংশ্লিষ্ট পদক্ষেপ’’ গ্রহণের জন্য অনুমোদন দিয়েছে পাকিস্তানের নিরাপত্তাবিষয়ক এই সর্বোচ্চ কমিটি। খবর দ্যা ডনের।

মঙ্গলবার মধ্যরাতে ভারতের হামলার পর পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত এনএসসির বৈঠকে ভারতের হামলার নিন্দা জানানো হয়।

দেশটির সংবাদমাধ্যম ডনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আত্মরক্ষায় ভারতের বিমান হামলার জবাব দেওয়ার অধিকার পাকিস্তানের রয়েছে বলে জানিয়েছে এনএসসি। এই বিষয়ে ভারতের হামলার প্রতিক্রিয়া জানানোর জন্য দেশের সামরিক বাহিনীকে অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

জাতিসংঘ সনদের ৫১ অনুচ্ছেদের বরাত দিয়ে এনএসসি বলেছে, নিরীহ পাকিস্তানিদের প্রাণহানি ও পাকিস্তানের সার্বভৌমত্বের স্পষ্ট লঙ্ঘনের প্রতিশোধ নেওয়ার অধিকার পাকিস্তানের রয়েছে।

এনএসসির বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনীকে এই বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য অনুমতি দেওয়া হয়েছে।’’

বিবৃতিতে পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা কমিটি বলেছে, ভারতের নগ্ন আগ্রাসনে সমগ্র পাকিস্তানি জাতি সশস্ত্র বাহিনীর সাহসিকতা, ত্যাগ ও মাতৃভূমির প্রতিরক্ষায় তাদের সময়োচিত কাজের প্রশংসা করছে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পাকিস্তান আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি ভারতের অবৈধ কর্মকাণ্ডের গুরুত্ব স্বীকার এবং আন্তর্জাতিক নিয়ম ও আইনের স্পষ্ট লঙ্ঘনের জন্য দেশটিকে জবাবদিহি করার আহ্বান জানায়।

পাকিস্তান শান্তির প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং তারা কখনও সার্বভৌমত্ব, আঞ্চলিক অখণ্ডতার লঙ্ঘন বা জনগণের কোনও ক্ষতি হতে না দেওয়ার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করছে।

জম্মু-কাশ্মিরের পেহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলার দুই সপ্তাহ পর মঙ্গলবার মধ্যরাতে পাকিস্তান ও পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মিরের অন্তত ৯টি স্থানে হামলা চালিয়েছে ভারতীয় সামরিক বাহিনী।

এই হামলায় ভারতীয় সামরিক বাহিনী মাত্র ২৫ মিনিটে অন্তত ২৪ ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে পাকিস্তানে। এতে পাকিস্তানে কমপক্ষে ৭০ জন নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে ভারত।

যদিও পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী বলেছে, ভারতের হামলায় ২৬ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। অন্যদিকে, কাশ্মির সীমান্তের নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলওসি) বরাবর ভারত ও পাকিস্তানের সেনাদের মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে ভারত-শাসিত কাশ্মিরে অন্তত ১০ জন নিহত ও ৩০ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন।

পাকিস্তান দাবি করেছে, তারা ভারতীয় অন্তত পাঁচটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে। তবে ভারতীয় কর্মকর্তারা জম্মু-কাশ্মীরে এখন পর্যন্ত তিনটি ভারতীয় বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে বলে স্বীকার করেছেন।




হামলায় মাওলানা মাসুদ আজহারের পরিবারের ১০ সদস্য নিহত

ডিএনবি নিউজ আন্ত: ডেস্ক

পাকিস্তানের আলোচিত আলেম মাওলানা মাসুদ আজহার জানিয়েছেন, আজাদ কাশ্মিরে বাহাওয়ালপুরে সুবাহান আল্লাহ মসজিদে হামলায় তার পরিবারের ১০ সদস্য এবং চার ঘনিষ্ঠ সহযোগী নিহত হয়েছেন।

বিবিসি উর্দু জানাচ্ছে, তার নেতৃত্বাধীন জইশ-ই-মোহাম্মদ (জেইএম) বুধবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে ছিলেন মাসুদ আজহারের বড় বোন ও তার স্বামী, তার ভাতিজা ও তার স্ত্রী, একজন ভাগ্নি এবং পরিবারের আরও পাঁচজন শিশু।

হামলায় স্বজন হারানোর প্রতিক্রিয়ায় মাওলানা মাসুদ আজহার বলেন, ‘আমার মনে কোনো অনুশোচনা নেই, হতাশাও নেই। বরং, বারবার মনে হচ্ছে আমিও যেন এই ১৪ জনের সুখী কাফেলায় শামিল হতাম।’ মাসুদ আজহার বলেন, ‘তাদের বিদায়ের সময় এসে গিয়েছিল, কিন্তু আল্লাহ তাদের শহীদ করেছেন।’

জেইএম ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে ভারতশাসিত কাশ্মীরে একটি আত্মঘাতী হামলা চালায়, যেখানে ৪০ জন সৈন্য নিহত হয়। এই হামলা দুই প্রতিবেশী দেশকে যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গিয়েছিল।

সংগঠনটি আরও জানিয়েছে, ওই হামলায় আজহারের তিনজন ঘনিষ্ঠ সহযোগী এবং তাদের একজনের মাও নিহত হয়েছেন।

মাওলানা মাসুদ আজহার হামলায় নিহতদের জানাজায় অংশ নিতে জনগণকে আহ্বান জানান। মঙ্গলবার রাতে পাকিস্তান ও পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের নয়টি স্থানে ২৪টি নির্ভুল ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ভারত। এই হামলায় ৭০ জনের বেশি নিহত এবং ৬০ জনের বেশি আহত হয়েছেন বলে দাবি করা হচ্ছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে।

মাওরানা মাসউদ আজহার জইশ-ই-মোহাম্মদের প্রতিষ্ঠাতা। তিনি পাকিস্তানিদের কাছে মুজাহিদ হিসেবে পরিচিত হলেও ভারত তাকে সন্ত্রাসী হিসেবে মনে করে। ২০১৮ সালের ১ মে, জাতিসংঘের সুরক্ষা কাউন্সিল কর্তৃক মাসউদ আজহারকে আন্তর্জাতিক মুজাহিদ হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়।




নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশন যে সুপারিশ করেছে এটা সরকারি কোনো সিদ্ধান্ত নয়-আইন উপদেষ্টা

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশন সম্প্রতি যে সুপারিশ পেশ করেছে এর বিরুদ্ধে হেফাজতে ইসলামসহ ইসলামি দলগুলো আন্দোলন করে আসছে। এই অবস্থায় নারী সংস্কার কমিশনের সুপারিশের ব্যাপারে সরকারের পক্ষ থেকে প্রথমবারের মতো মুখ খুললেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।

মঙ্গলবার (৬ মে) বিকেলে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক নিয়ে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে তিনি এ ব্যাপারে কথা বলেন।

আইন উপদেষ্টা জানান, নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশন যে সুপারিশ করেছে এটা সরকারি কোনো সিদ্ধান্ত নয়। বড় ধরনের কোনো সংস্কার করতে হলে জাতীয়ভাবে ঐকমত্য হতে হবে।

নারী কমিশনের সুপারিশ নিয়ে কারও কোনো ভিন্নমত থাকলে সেটা সহনশীলতা এবং শালীনতার মাধ্যমে পেশ করার আহ্বান জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা।

নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রধান শিরীন পারভীন হকের নেতৃত্ব কমিশনের সদস্যরা গত ১৯ এপ্রিল প্রধান উপদেষ্টার কাছে তাদের প্রতিবেদন জমা দেন। প্রতিবেদনে নারীর প্রতি বৈষম্য দূর করতে মুসলিম, হিন্দু ও খ্রিষ্টান পারিবারিক আইনের সংস্কার করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এসব আইনের পরিবর্তে অভিন্ন পারিবারিক আইনের মাধ্যমে সব ধর্মের নারীর জন্য বিয়ে, তালাক ও সন্তানের ভরণপোষণে সমান অধিকার নিশ্চিত করার জন্য অধ্যাদেশ জারি করার সুপারিশের পাশাপাশি সব সম্প্রদায়ের জন্য আইনটিকে ঐচ্ছিক রাখার সুপারিশ করা হয়েছে।

এছাড়া উত্তরাধিকার আইন সংশোধন করে মুসলিম ও অন্যান্য ধর্মীয় উত্তরাধিকার আইন সংশোধন করে সম্পদে নারীর ৫০ শতাংশ নিশ্চিত করার সুপারিশ করেছে কমিশন। এর অংশ হিসেবে সিডও সনদের ওপর অবশিষ্ট দুটি সংরক্ষণ প্রত্যাহার এবং আইএলও সনদ সি১৮৯ ও সি১৯০ অনুস্বাক্ষর ও পূর্ণ বাস্তবায়ন করার সুপারিশ করা হয়েছে। পাশাপাশি শ্রম আইনে যৌনকর্মীদের শ্রমিক হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার সুপারিশ করেছে নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশন।

তবে কমিশনের এসব সুপারিশ নিয়ে তুমুল আপত্তি দেখা দিয়েছে। জামায়াতে ইসলামী, হেফাজতে ইসলামসহ ইসলামি দলগুলো এর কড়া সমালোচনা করেছে। এই সুপারিশের বিভিন্ন ধারাকে সরাসরি কোরআন-সুন্নাহ পরিপন্থী আখ্যায়িত করে পুরো কমিশন বাতিরের দাবি জানিয়েছে। হেফাজতে ইসলাম গত ৩ মে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যে চার দাবিতে মহাসমাবেশ করে এর প্রধানতম দাবি ছিল এই কমিশন বাতিল করা।

তবে নারী সংস্কার কমিশনের সুপারিশ নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে তুমুল আলোচনা-সমালোচনা হলেও এ ব্যাপারে সরকারের দায়িত্বশীল কেউ এত দিন মুখে খোলেননি। এবারই প্রথম আইন উপদেষ্টা এই কমিশন নিয়ে সরকারের অবস্থান পরিষ্কার করলেন।




চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরলেন খালেদা জিয়া: বিমানবন্দরে বিএনপি নেতাকর্মীদের ঢল

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া যুক্তরাজ্যে উন্নত চিকিৎসা শেষে ঢাকায় পৌঁছেছেন।

আজ (মঙ্গলবার) সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে তাকে বহনকারী কাতারের আমিরের বিশেষ বিমানটি (এয়ার অ্যাম্বুলেন্স) হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। একই ফ্লাইটে খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেশে ফিরেছেন দুই পুত্রবধূ জোবাইদা রহমান ও সৈয়দা শর্মিলা রহমান।

খালেদা জিয়াকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলের জ্যেষ্ঠ নেতারা। দলীয় চেয়ারপারসনকে একনজর দেখতে এবং তাকে শুভেচ্ছা জানাতে সকাল থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে নেতাকর্মীরা ছুটে আসেন বিমানবন্দর সড়কে।

এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে বেগম খালেদা জিয়া

বিমানবন্দর থেকে গুলশানের ফিরোজা পর্যন্ত বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে দলীয় নেতাকর্মীরা অবস্থান নেন ফুটপাতে। অনেকেই হাতে ফুল, ব্যানার-প্ল্যাকার্ড ও খালেদা জিয়ার ছবি নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন। তাঁদের স্লোগানে স্লোগানে মুখর হয়ে ওঠে বিমানবন্দর সড়ক ও আশপাশের এলাকা। বেগম জিয়া কিছুটা সুস্থ হয়ে দেশে ফেরায় স্বস্তি প্রকাশ করছেন তারা।

হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে খালেদা জিয়া সরাসরি তাঁর গুলশান-২ নম্বরের ৭৯ নম্বর সড়কের বাসভবন ফিরোজায় যান। বিমানবন্দর থেকে ফিরোজায় যাওয়ার সময় পথে পথে খালেদা জিয়াকে স্বাগত জানান দলের বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মী। বেলা ১টা ২৫ মিনিটে তিনি ‘ফিরোজা’য় পৌঁছান।

খালেদা জিয়ার দেশে ফেরা উপলক্ষ্যে রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। সেখানে অন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি কাজ করে সেনাবাহিনীও।

প্রসঙ্গত, গতকাল (সোমবার) বাংলাদেশ সময় রাত ৯টা ৩৫ মিনিটে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে বহনকারী এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে বাংলাদেশের উদ্দেশে রওনা হয়।

খালেদা জিয়া গত ৮ জানুয়ারি উন্নত চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যের লন্ডনে যান। সেখানে লন্ডন ক্লিনিকের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি।

খালেদা জিয়ার শারীরিক অসুস্থতার কথা জেনে কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি তার যুক্তরাজ্য গমনের জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স পাঠিয়েছিলেন। সেটিতেই লন্ডন যান এবং একই এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে দেশে ফিরলেন।#

সূত্র: পার্সটুডে