সামরিক বিশেষজ্ঞ: ইরান একদিনেই ইসরায়েলকে ধ্বংস করতে পারে

ডিএনবি নিউজ আন্তঃ ডেস্ক- 

১২ দিনের যুদ্ধে ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রগুলো আয়রন ডোমকে ফাঁকি দিয়ে বিশ্বের সামরিক বিশেষজ্ঞদের প্রশংসা কুড়িয়েছে এবং ইসরায়েলকে এক নজিরবিহীন নিরাপত্তা দুঃস্বপ্নের মুখোমুখি করেছিল।

১২ দিনের যুদ্ধে আবারও তাদের শক্তি প্রদর্শন করে ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রগুলো আবারও পশ্চিমা বিশেষজ্ঞদের প্রশংসা জাগিয়ে তোলে এবং “ইসরায়েলের মারাত্মক দুঃস্বপ্ন” এর দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করে। ফার্স নিউজের বরাত দিয়ে পার্সটুডে জানিয়েছে,  “ইরানের একটি বিশাল ক্ষেপণাস্ত্র ভাণ্ডার রয়েছে। ইরান একদিনেই ইসরায়েলকে মাটিতে মিশিয়ে দিতে পারে”; মার্কিন সেনাবাহিনীর প্রাক্তন সদস্য কর্নেল ডগলাস ম্যাকগ্রেগরের এই মতামত।

তিনি আরও জোর দিয়ে বলেন যে ইরান যুদ্ধ শুরু করতে চায় না, তবে শত্রুর মুখোমুখি হওয়ার জন্য তাদের উল্লেখযোগ্য সামরিক ক্ষমতা রয়েছে। ম্যাকগ্রেগরই একমাত্র ব্যক্তি নন যিনি ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র ক্ষমতার প্রশংসা করেছেন। ১২ দিনের যুদ্ধের সময়, যখন ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রগুলো নিক্ষেপ করা হয়েছিল এবং অধিকৃত অঞ্চলের গভীরে আঘাত করা হয়েছিল,তখন অন্যান্য বিশেষজ্ঞরাও ইরানের প্রশংসা করেছিলেন।

কৌশলগত বিশেষজ্ঞ ইব্রাহিম কালাশ এই ব্যক্তিদের মধ্যে একজন। তিনি বলেছেন যে “ইরান ইসরায়েলের আয়রন ডোমকে একটি ড্রেনে পরিণত করেছে।”

তুর্কি বিশেষজ্ঞ বিশ্বাস করেন যে ১২ দিনের যুদ্ধের আগে, ইসরায়েল নিজেকে বিশ্বের সবচেয়ে নিরাপদ অঞ্চল হিসেবে উপস্থাপন করার চেষ্টা করছিল, কিন্তু এখন ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রগুলো এই আধিপত্য ভেঙে দিয়েছে এবং ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছে। তিনি ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তির কথাও উল্লেখ করেছেন এবং জোর দিয়ে বলেছেন যে ইসরায়েল এই ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তি এবং ইরানের ভয়াবহ আক্রমণ প্রতিহত করতে অক্ষম।

ইরান যুদ্ধে জয়লাভ করেছে

অবসরপ্রাপ্ত মিশরীয় জেনারেল সামির ফারাজ আরব মিডিয়ার সাথে এক সাক্ষাৎকারে জোর দিয়ে বলেছেন যে ১২ দিনের যুদ্ধের সময় ইরানই তার ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে শত্রুকে বেশি কার্যকর আঘাত দিয়েছে। তার সাক্ষাৎকারে ফারাজ বলেছেন যে কেবল ইরানই প্রথমবারের মতো ইহুদি বসতি স্থাপনকারীদের “আসল ভয়ের স্বাদ” দিতে সক্ষম হয়েছিল, তার প্রতিরক্ষা ক্ষমতার উপর নির্ভর করে।

তিনি আরও যোগ করেছেন যে ইরানের সামরিক শক্তি ইহুদিদের প্রথমবারের মতো আশ্রয়কেন্দ্রে টানা কয়েক দিন কাটাতে বাধ্য করেছিল। এমনকি ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রগুলো  প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুসহ ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের আশ্রয়কেন্দ্রে পালিয়ে যেতে বাধ্য করেছিল। ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রের কারণে ক্ষয়ক্ষতি নিয়ন্ত্রণের জন্য ইসরায়েলের প্রচেষ্টা সত্ত্বেও এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর দ্বারা সৃষ্ট ধ্বংসের গভীরতা দেখানো ভিডিওগুলো অব্যাহত রয়েছে।

ইরানের “অ্যাপোক্যালিপটিক” ক্ষেপণাস্ত্র সম্পর্কে পশ্চিমাদের ভয়

“অ্যাপোক্যালিপটিক” ক্ষেপণাস্ত্র নামে পরিচিত ইরানের নতুন হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ইসরায়েল এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে এতটাই ভীত করে তুলেছে যে তারা পশ্চিমা সামরিক ও প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের বিশ্লেষণের প্রধান বিষয় হয়ে উঠেছে। এই বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন যে ইরানের হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রগুলি আয়রন ডোমের মতো উন্নত বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভেদ করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। আমেরিকান ম্যাগাজিন ন্যাশনাল ইন্টারেস্ট একটি বিশ্লেষণে স্বীকার করেছে যে ক্ষেপণাস্ত্র হুমকি মোকাবেলায় শক্তিশালী লেজার ব্যবহার করার আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরায়েলকে এখনও অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে, যখন ইরান তার হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রগুলোকে আপগ্রেড করছে। প্রকাশনাটি স্বীকার করেছে যে ফাতাহ সিরিজের ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা ভেদ করতে এবং সামরিক ও বেসামরিক লক্ষ্যবস্তুতে উল্লেখযোগ্য ক্ষতি করতে সক্ষম হয়েছে।

ন্যাশনাল ইন্টারেস্ট স্বীকার করেছে যে ইসরায়েলের ক্ষয়ক্ষতি নিয়ন্ত্রণের প্রচেষ্টা সত্ত্বেও, ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র দ্বারা অধিকৃত অঞ্চলে ব্যাপক হতাহত এবং ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, যা ইরানের হাইপারসনিক ক্ষমতা সম্পর্কে ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের উদ্বেগ বাড়িয়েছে। প্রকাশনাটি জোর দিয়ে বলেছে যে ইসরায়েল বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের “এই অস্ত্রগুলো বিরুদ্ধে একটি বাস্তব প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নেই”, কারণ আয়রন ডোম হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র নয়, ধীর, আরও আদিম রকেটের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। ইসরায়েল ১৩ জুন ইরান আক্রমণ করেছিল, দেশটিকে ভেঙে ফেলার লক্ষ্যে; কিন্তু তার প্রত্যাশার বিপরীতে, যুদ্ধে তারা কেবল তাদের লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থ হয়নি, বরং বারবার ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র দ্বারা তাদের লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছিল এবং এর গুরুত্বপূর্ণ গবেষণা সুবিধা ধ্বংস করা হয়েছিল।

ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র পরিসরের মধ্যে ডিমোনা এবং হাইফা

পশ্চিমা বিশ্লেষকরা ইরানের নতুন ক্ষেপণাস্ত্র সম্পর্কে ইসরায়েল এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করে জোর দিয়ে বলেছেন যে ইরান পূর্ণ মাত্রার আক্রমণে ডিমোনা পারমাণবিক চুল্লি বা হাইফা বন্দরের মতো গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ লক্ষ্য করতে পারে। ইরান পূর্বে পশ্চিম এশিয়ায় দুটি আমেরিকান ঘাঁটি লক্ষ্য করে তার শক্তি প্রদর্শন করেছিল। শহীদ জেনারেল কাসেম সোলাইমানিকে হত্যা করে আমেরিকান অভিযানের জবাবে এই দেশটি তার ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ইরাকের আইন আল-আসাদ ঘাঁটি লক্ষ্য করে এবং তারপর, ১২ দিনের যুদ্ধে, ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় মার্কিন হামলার পর, তারা কাতারের আল-উদেইদ ঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা চালায়।#




আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কোনো জোট গঠন করবে না বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী: ডা. শফিকুর রহমান

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কোনো জোট গঠন করবে না বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান জানিয়েছেন, জামায়াত এবার জোট নয়, বরং নির্বাচনী সমঝোতার পথে হাঁটবে। বুধবার (৫ নভেম্বর) সকালে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, “আমরা কোনো জোট করার সিদ্ধান্ত নিইনি, জোট করবও না। তবে নির্বাচনী সমঝোতা করতে পারি। শুধু ইসলামী দল নয়, দেশপ্রেমিক ও প্রতিশ্রুতিশীল যারা আছেন, তারা সবাই এতে যুক্ত হচ্ছেন। আমরা চাই, সবাইকে নিয়ে দেশ গড়ে তুলতে।”

তিনি আরও বলেন, “গণভোট আগে না হলে জাতীয় নির্বাচন কিসের ভিত্তিতে হবে? আমরা চাই গণভোট আগে হোক এবং জুলাই সনদ আইনিভিত্তি পাক।” তিনি জোর দিয়ে বলেন, “আগামী ফেব্রুয়ারিতেই জাতীয় নির্বাচন আদায় করতে হবে, নইলে দেশে বিশৃঙ্খলা তৈরি হতে পারে।”

দলীয় রাজনৈতিক অবস্থান ব্যাখ্যা করে জামায়াত আমির বলেন, “আওয়ামী লীগ নিজেরাই তো নির্বাচন চায়নি। তাদের ওপর জোর করে নির্বাচন চাপিয়ে দেওয়া কোনো সমাধান নয়। জনগণের ইচ্ছার বিরুদ্ধে কিছু করা ঠিক হবে না।”

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, “গণতন্ত্রের সৌন্দর্যই হলো একাধিক দল ও আদর্শের অংশগ্রহণ। আমাদের প্রোপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন (পি আর) পদ্ধতির দাবি জনগণের জন্যই। বিশ্বের বহু দেশে এই পদ্ধতি ফ্যাসিবাদ রোধে কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে। জনগণ যদি এটাকে সমর্থন করে, তাহলে দেশে আর স্বৈরাচার ফিরে আসবে না।”

সাম্প্রতিক বিদেশ সফর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “বিদেশে প্রবাসীদের সঙ্গে দেখা হয়েছে। তাদের বুকভরা ভালোবাসা ও প্রত্যাশা এই জাতির প্রতি। তারা সম্মান ও অংশগ্রহণ চায়, বিনিময়ে কিছু নয়।”

তৃতীয় মেয়াদে জামায়াতের আমির নির্বাচিত হওয়ার পর এদিনই প্রথম নিজ জন্মভূমি সিলেটে ফিরে আসেন তিনি। বিমানবন্দরে দলীয় নেতাকর্মীদের ভালোবাসায় সিক্ত হন ডা. শফিকুর রহমান।




গত দুই দশকে ৩০ লাখ মুসলিমকে হত্যা করেছে যুক্তরাষ্ট্র-ইসরায়েল

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

বিশ্বের বিভিন্ন মুসলিম দেশে বিগত দুই দশকে প্রায় ৩০ লাখ নিরপরাধ মুসলিমকে হত্যা করেছে যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েল ও তাদের মিত্ররা। এই চাঞ্চল্যকর মন্তব্য করেছেন ইয়েমেনের হুথি আন্দোলনের নেতা আবদুল-মালিক বদরুদ্দিন আল-হুথি।

এ বিষয়ে তিনি মঙ্গলবার ইয়েমেনে শহীদ স্মরণ সপ্তাহ উপলক্ষে আয়োজিত বার্ষিক অনুষ্ঠানে ভাষণ দেন। এই শহীদ স্মরণ অনুষ্ঠান পুরো এক সপ্তাহ ধরে নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হবে। আবদুল-মালিক হুথি বলেন, এই হত্যাযজ্ঞ মূলত মুসলিম জনগণের দুর্বল অবস্থার সুযোগ নিয়ে চালানো হয়েছে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, যে জাতি আল্লাহর পথে জিহাদের চেতনা ও শাহাদাতের আকাঙ্ক্ষা নিয়ে এগিয়ে যায়, সেই জাতি গর্বিত থাকে এবং বিপদ প্রতিহত করতে সক্ষম। শাহাদাত হলো ধ্বংস ও অপমান থেকে রক্ষা করার শক্তিশালী প্রাচীর।

তিনি আরও বলেন, ইসলামী উম্মাহর ইতিহাসে প্রাচীন যুগ থেকে শুরু করে উপনিবেশিক আমল এবং বর্তমান পর্যন্ত বহু বড় বিপর্যয় ঘটেছে। তিনি উল্লেখ করেন, আমেরিকানরা স্বীকার করেছে যে, গত দুই দশকে তারা প্রায় ৩০ লাখ মানুষকে হত্যা করেছে, যাদের অধিকাংশই মুসলিম জনগণ। এসব হত্যাকাণ্ড তাদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য করা হয়েছে।

আবদুল-মালিক হুথি বলেন, শত্রুরা (ইসরায়েল) মানুষকে ক্ষুধার্ত রেখে ও অস্ত্রের মুখে (গাজায়) জিম্মি করার চেষ্টা করেছে, কিন্তু তাদের এই প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল মুসলিম জাতিগুলোকে দাসে পরিণত করতে মানসিকভাবে বিভ্রান্ত করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছে। তারা অন্যান্য দেশ দখল করেছে কেবল নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য। তিনি জোর দিয়ে বলেন, “এই অত্যাচারী শক্তিগুলোর মধ্যে কোনো দয়া-মায়া নেই; নিজেদের লক্ষ্য অর্জনের জন্য তারা যেকোনও অপরাধ করতে দ্বিধা করে না।” #

সূত্র: পার্সটুডে




দুর্দশাগ্রস্ত শরিয়াহ ভিত্তিক ৫ ব্যাংকের বোর্ড ভেঙে দিলো বাংলাদেশ ব্যাংক

দুর্দশাগ্রস্ত ৫ শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংক একীভূত করে একটি বৃহৎ ইসলামি ব্যাংক গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ লক্ষে ব্যাংকগুলোর বোর্ড ভেঙে দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বুধবার ব্যাংকগুলোর ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের চিঠি দিয়ে এ সিদ্ধান্ত জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

বোর্ড ভেঙে দেওয়া ব্যাংকগুলো হলো- এক্সিম, সোশ্যাল ইসলামী, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী, ইউনিয়ন ও গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক।

পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে এ ৫ ব্যাংকের মধ্যে ৪টি মালিকানায় ছিল এস আলম। একটির মালিকানায় ছিল নজরুল ইসলাম মজুমদার।

ওই সময়ে ব্যাংকগুলো থেকে নামে-বেনামে হাজার হাজার কোটি টাকা সরিয়ে নেওয়া হয়। ফলে ব্যাংকগুলোর আর্থিক অবস্থা দুর্বল হয়ে পড়ে।

এতে গ্রাহকের জমানো অর্থ ফেরত দিতে পারছে না। এমন পরিস্থিতিতে এসব ব্যাংকে একীভূত করার উদ্যোগ নেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে সরকারও সম্মতি দিয়েছে।




দুর্গাপুরের সীমান্তে বিদেশী মদসহ যুবক আটক

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক : নেত্রকোনার সীমান্তবর্তী উপজেলা দুর্গাপুর হতে ২৪ বোতল বিভিন্ন ব্র্যান্ডের বিদেশী মদের বোতলসহ একজনকে আটক করেছে বর্ডার বার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। জব্দকৃত মাদকের মধ্যে রয়েছে, ১৫ বোতল আইস ভদকা ও ৯ বোতল এসি ব্ল্যাক ব্র্যান্ডের ভারতীয় মদ।

আটককৃত যুবক হলেন- দুর্গাপুর উপজেলার মিনকী ফান্দা গ্রামের মৃত মো. আবুল কাশেমের ছেলে মো. রুহুল আমীন (২১)।

মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) দুুপুর সোয়া ২টার দিকে প্রেরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানান নেত্রকোনা ব্যাটালিয়নের (৩১ বিজিবি) অধিনায়ক লে. কর্ণেল এ এস এম কামরুজ্জামান (পিবিজিএম)।

এরআগে একই দিন বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মো. রুহুল আমীনকে ২৪ বোতল ভারতীয় মদের বোতলসহ আটক করে বিজিবি’র সদস্যরা।

৩১ বিজিবি’র অধিনায়ক জানান, নিজস্ব গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে নেত্রকোনা ব্যাটালিয়নের অধীনস্থ বারমারী বিওপি’র (বর্ডার অবজারবেশন পোষ্ট) চার সদস্যের একটি বিশেষ টহল দল মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে।

এ অভিযানে ওই বিওপি’র দায়িত্বপূর্ণ সীমান্ত পিলার ১১৬২ এমপি হতে আনুমানিক আটশো গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে দুর্গাপুর ইউনিয়নের চন্দ্রকোনা নামক এলাকা থেকে বিদেশী মদের বোতলসহ এক যুবককে আটক করতে সক্ষম হয় বিজিবি’র টহল দলটি।

জব্দকৃত ২৪ বোতল বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ভারতীয় মদের বোতলসহ আটককৃত আসামিকে দুর্গাপুর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন বলে জানান বিজিবি’র এই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।




মাওলানা মামুনুল হকের পছন্দের আসনে প্রার্থী দেয়নি বিএনপি, নেপথ্যে কী?

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

মাওলানা মামুনুল হকের (ইবনে শাইখুল হাদিস) নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস কোন জোট বা বলয়ে যাবে সেই আলোচনা চলছে অনেক দিন ধরেই। বর্তমানে দলটি জামায়াতে ইসলামীসহ আটটি দল নিয়ে গঠিত প্লাটফর্মে রয়েছে। জুলাই সনদের আইনি স্বীকৃতিসহ পাঁচ দফা দাবিতে চলমান আন্দোলনেও সক্রিয়। তবে আলোচিত নেতা মাওলানা মামুনুল হকের কদর রয়েছে বিএনপির কাছে। শেষ পর্যন্ত তিনি এবং তার দল বিএনপি বলয়ে যেতে পারে বলেও গুঞ্জন আছে।

বিএনপি গতকাল প্রাথমিকভাবে ২৩৭টি আসনে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে। বাকি ৬৩টি আসন ফাঁকা রেখেছে দলটি। সেই আসনগুলোর মধ্যে একটি বড় অংশ জোটসঙ্গীদের ছাড়ার ইঙ্গিত দিয়েছে বিএনপি। এছাড়া নিজেদের আভ্যন্তরীণ জটিলতার কারণেও কিছু আসনে প্রার্থী ঘোষণা স্থগিত রেখেছে দলটি।

বিএনপি যেসব আসনে প্রার্থী দেয়নি এর মধ্যে তিনটি আসন এমন রয়েছে, যেখান থেকে নির্বাচন করার ব্যাপারে নিজের আগ্রহের কথা ইতোমধ্যে জানিয়েছেন মাওলানা মামুনুল হক। তবে তিনটি আসনের মধ্যে একটিতে ইতোমধ্যে অন্য দলের একজন প্রার্থীকে সবুজ সংকেত দেওয়ার কথা জানা গেছে।

সম্প্রতি মাওলানা মামুনুল হক জানিয়েছিলেন, তিনি নির্বাচন করার ব্যাপারে ব্যক্তিগতভাবে ততটা আগ্রহী না। তবে দল তাকে প্রার্থী করার প্রয়োজন বোধ করলে তিনি নির্বাচন করবেন। সে ক্ষেত্রে তিনটি আসন তার পছন্দের তালিকায় রয়েছে। এর মধ্যে দুটি ঢাকায় এবং একটি বাগেরহাটে।

মাওলানা মামুনুল হক জানিয়েছিলেন, তার কর্মক্ষেত্র রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকায় হওয়ায় ঢাকা-১৩ আসনে তিনি প্রার্থী হতে আগ্রহী। তিনি বেড়ে উঠেছেন লালবাগ এলাকায়। সে ক্ষেত্রে ঢাকা-৭ আসনও তার পছন্দের তালিকায় আছে। এছাড়া নানার বাড়ি এবং বাবার কিছুদিনের কর্মস্থল হিসেবে বাগেরহাট-১ আসনেও তিনি নির্বাচন করতে পারেন।

বিএনপি ঘোষিত তালিকায় দেখা যায়, তিনটি আসনই ফাঁকা রাখা হয়েছে। তবে এর মধ্যে মোহাম্মদপুর আসনে ইতোমধ্যে বিএনপির যুগপৎ আন্দোলনের সঙ্গী জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন-এনডিএমের চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজকে সবুজ সংকেত দেওয়া হয়েছে এবং তিনি কাজও শুরু করেছেন। বাকি দুটি আসন অবশ্য মাওলানা মামুনুল হকের সঙ্গে সমঝোতা হলে বিএনপি ছাড়তে রাজি বলে জানা গেছে।

মাওলানা মামুনুল হক সম্প্রতি নিজেই জানিয়েছেন, নির্বাচনে তিনি কোন জোট বা বলয়ে যাবেন সেটা এখনো সিদ্ধান্ত নেননি। তবে তিনি আট দলের সঙ্গে আছেন। নির্বাচনি সমঝোতা যে কারও সঙ্গে হতে পারে বলে আভাস দিয়েছিলেন। সে ক্ষেত্রে বিএনপির সঙ্গেও তার একটা বোঝাপড়া হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যদিও বিষয়টি চূড়ান্ত হতে আরও কিছু দিন অপেক্ষা করতে হবে।




দুর্গাপুরে প্রশিক্ষনার্থীদের মাঝে সনদপত্র বিতরণ

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

নেত্রকোনার দুর্গাপুরে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের আওতায়, বে-সরকারি উন্নয়ন সংস্থা ‘‘রুসা বাংলাদেশ’’ এর আয়োজনে “সার্টিফিকেট ইন এনিমেল হেলথ অ্যান্ড প্রোডাকশন” একবছর মেয়াদী কোর্স সমাপ্ত হয়েছে। সোমবার (০৩ নভেম্বর) দুপুরে তাদের সনদপত্র বিতরণ করা হয়।

এম এন আলম মেডিক্যাল টেকনোলজি ইনস্টিটিউট এর ব্যবস্থাপনায়, উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে নতুন নতুন উদ্দ্যেক্তা তৈরীর লক্ষ্যে, ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের অধীনে প্রশিক্ষনার্থীদের হাঁস, মুরগী, গরু, ছাগলের উপর হেলথ অ্যান্ড প্রোডাকশন বিষয়ে একবছর মেয়াদী এই প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। দুর্গাপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে এই শিক্ষাবর্ষে ১৭ জন প্রশিক্ষনার্থী এই কোর্স সম্পন্ন করেন। ২০২৪-২৫ ও ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণ চলমান রয়েছে।

বিরিশিরিস্থ রুসা বাংলাদেশ এর মিলনায়তনে, রুসা‘র নির্বাহী পরিচালক এম এন আলম এর সভাপতিত্বে, রুসা‘র প্রশাসনিক কর্মকর্তা জন ক্রসওয়েল খকসির সঞ্চালনায়, প্রধান অতিথি হিসেবে আলোচনা করেন, উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডা: অমিত দত্ত। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ এডভোকেট এম এ জিন্নাহ, উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার মুহাম্মদ নাসির উদ্দিন, দুর্গাপুর প্রেসক্লাব সভাপতি তোবারক হোসেন খোকন, উপজেলা এনজিও সমন্বয় পরিষদের সভাপতি রুপন কুমার সরকার, সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক রাজেশ গৌড়, প্রশিক্ষক আনোয়ার হোসেন প্রমুখ।




‘দলগুলো ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত দিতে ব্যর্থ হলে সরকার নিজের মতো সিদ্ধান্ত নেবে’

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

বাংলাদেশে জুলাই জাতীয় সনদ বা সংস্কার প্রস্তাব বাস্তবায়নের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যে মতভেদ দেখা দিয়েছে, তাতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ।

এ বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোকে নিজ উদ্যোগে নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা করে সম্ভাব্য দ্রুততম সময়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে ঐক্যবদ্ধ দিকনির্দেশনা দেওয়ার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলো যদি ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত দিতে না পারে, তাহলে সরকার তার মতো করে সিদ্ধান্ত নেবে।

আজ (সোমবার) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে উপদেষ্টা পরিষদের ‘জরুরি সভায়’ এই সিদ্ধান্ত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। পরে সেখানে এক সংবাদ সম্মেলনে সরকারের সিদ্ধান্ত জানান আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল। সংবাদ সম্মেলনে উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, আদিলুর রহমান খান ও প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম উপস্থিত ছিলেন।

গত মঙ্গলবার জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে সুপারিশ জমা দিয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এতে বলা হয়েছে, সনদের সংবিধান-সম্পর্কিত সংস্কার প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়নে বিশেষ আদেশ জারি করে তার ভিত্তিতে গণভোট হবে। গণভোটে প্রস্তাব পাস হলে আগামী সংসদ সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে ২৭০ দিনের মধ্যে সংবিধান সংস্কার করবে।

তবে গণভোট কবে হবে, সে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার সরকারের ওপর ছেড়ে দিয়েছে ঐকমত্য কমিশন। সরকার সিদ্ধান্ত নেবে গণভোট কি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন একই সঙ্গে হবে, নাকি আগে হবে। এসব সুপারিশ জমা দেওয়ার পর রাজনৈতিক দলগুলো পরস্পরবিরোধী অবস্থান নিয়েছে। এ রকম পরিস্থিতিতে আজ জরুরি বৈঠকে বসে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ।

সংবাদ সম্মেলনে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন, উপদেষ্টা পরিষদের সভায় জুলাই জাতীয় সনদ, সংবিধান সংস্কার চূড়ান্ত করা এবং এতে উল্লেখিত গণভোট আয়োজন ও গণভোটের বিষয়বস্তু নিয়ে আলোচনা হয়। সভায় লক্ষ করা হয়, দীর্ঘদিন আলোচনা করার পরেও কয়েকটি সংস্কারের সুপারিশের বিষয়ে ভিন্নমত রয়েছে। এ ছাড়া গণভোট কবে ও তার বিষয়বস্তু কী হবে—এসব প্রশ্নে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যে মতভেদ দেখা দিয়েছে, তা নিয়ে সভায় উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।

আসিফ নজরুল বলেন, এর পরিপ্রেক্ষিতে গণভোটের সময় কখন হবে, কবে অনুষ্ঠিত হবে, গণভোটের বিষয়বস্তু কী হবে, জুলাই সনদে বর্ণিত ভিন্নমত প্রসঙ্গে কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে—এগুলোসহ ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাবগুলোর আলোকে জরুরি ভিত্তিতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া প্রয়োজন বলে সভায় অভিমত ব্যক্ত করা হয়। এসব ক্ষেত্রে ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে দীর্ঘদিনের মিত্র রাজনৈতিক দলগুলো নিজ উদ্যোগ নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা করে সম্ভাব্য দ্রুততম সময়ে, সম্ভব হলে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে সরকারকে ঐক্যবদ্ধ দিকনির্দেশনা দেওয়ার জন্য আহ্বান জানানো হয়। দিকনির্দেশনা পেলে সরকারের পক্ষে সিদ্ধান্ত নেওয়া অত্যন্ত সহজ হবে।

আসিফ নজরুল বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে কালক্ষেপণের কোনো সুযোগ নেই। সেটি সভায় বিবেচনায় রাখা হয়। উপদেষ্টা পরিষদের সভায় আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে সরকারের সংকল্প পুনর্ব্যক্ত করা হয়।

প্রশ্নের জবাবে যা বললে আইন উপদেষ্টা

সংবাদ সম্মেলনে একজন সাংবাদিক জানতে চান, কবে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি হতে পারে?

জবাবে আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা ফ্যাসিবাদবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে একটু সময় দিতে চাই। যে বিষয়টি উল্লেখ করলাম, আমরা একটু দেখি।’

রাজনৈতিক দলগুলোকে আলোচনার জন্য এক সপ্তাহের আলটিমেটাম দেওয়া হয়েছে। তারা যদি আলোচনায় ব্যর্থ হয়, তাহলে সরকার কী করবে, কী সিদ্ধান্ত নেবে? এমন প্রশ্নের জবাবে আসিফ নজরুল বলেন, ‘আমরা কোনো আলটিমেটাম দিইনি, আহ্বান জানিয়েছি। আমরা অপেক্ষা করব। তারপর সরকার সরকারের মতো পদক্ষেপ নেবে।’

সরকার রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য আলোচনার আয়োজন করে দেবে কি না— এক সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে আইন উপদেষ্টা বলেন, সরকার বহু আলোচনা করেছে। সরকার আর কোনো আয়োজন করতে যাচ্ছে না। ফ্যাসিবাদবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো ১৫ বছরে আলোচনা করে বহু সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তারা অত্যন্ত প্রতিকূল সময়ে একসঙ্গে আন্দোলন করেছে, নির্যাতনের শিকার হয়েছে। তারা নিজেরা আলোচনা করে ঐক্যবদ্ধ নির্দেশনা দেবে—এ প্রত্যাশা সরকার করছে।

আরেকজন সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, একটি বড় রাজনৈতিক দলের পক্ষে অভিযোগ করা হচ্ছে, ঐকমত্য কমিশনে যে বিষয়গুলো আলাপ-আলোচনা করা হয়েছিল, বাস্তবায়ন সুপারিশে এসে, সেই আলাপ-আলোচনার বিষয়গুলোর ব্যত্যয় ঘটেছে বা সম্পূর্ণভাবে সেগুলো রক্ষা করা হয়নি।

এর জবাবে কোনো মন্তব্য নেই বলে জানান আসিফ নজরুল। তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলো নিজেরা আলাপ-আলোচনা করে এই বিষয়েও আমাদের একটি ঐক্যবদ্ধ নির্দেশনা দেবে—এ প্রত্যাশা করছি। ওনারা যদি আলাপ-আলোচনা করেন, আমাদের জন্য কাজটি অত্যন্ত সহজ হয়। ওনারা যদি ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত দিতে না পারে, অবশ্যই সরকার সরকারের মতো সিদ্ধান্ত নেবে।’#




জামায়াত ক্ষমতায় আসলে কওমি ও সুন্নিদের অস্তিত্ব থাকবে না: আল্লামা শাহ মহিবুল্লাহ বাবুনগরী

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির শায়খুল হাদিস আল্লামা শাহ মুহিবুল্লাহ বাবুনগরী বলেছেন,আওয়ামী লীগ ইসলামের দুশমন আর জামায়াতে ইসলামী কওমি মাদ্রাসার দুশমন।

তিনি দাবি করেন, যদি কখনও জামায়াত ক্ষমতায় আসে, তাহলে দেশে কওমি দেওবন্দী ধারা ও আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত ধারার মাদ্রাসাগুলোর অস্তিত্ব টিকবে না।

সম্প্রতি চট্টগ্রামে এক সমাবেশে অংশ নিয়ে ভিডিও বার্তায় তিনি এসব মন্তব্য করেন।

মহিবুল্লাহ বাবুনগরী বলেন, আল্লাহ তা না করুক, যদি এই ফেরাউনের জাত আবার ক্ষমতায় ফিরে আসে, তাহলে এ দেশের মাদ্রাসাগুলোর কোনো অস্তিত্ব থাকবে না। আমি কসম করে বলছি, তারা কওমি ও সুন্নিয়ত ধারার মাদ্রাসা মুছে ফেলবে।

তিনি আরও বলেন, জামায়াত ইসলামী মুখে ইসলামের কথা বললেও বাস্তবে তারা ইসলামী শিক্ষার সবচেয়ে বড় ক্ষতি করেছে। এই দলের নেতারা ক্ষমতায় থাকাকালীন কওমি মাদ্রাসাকে নানা প্রকারভাবে অবমূল্যায়ন করেছে। তারা ইসলামী রাজনীতির নামে নিজেদের স্বার্থ রক্ষা করে।

হেফাজত আমিরের এ মন্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। দলটির সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এহসানুল মাহবুব জুবায়ের এক বিবৃতিতে বলেন, “মুহিবুল্লাহ বাবুনগরীর বক্তব্য সম্পূর্ণ মনগড়া ও ভিত্তিহীন।

জামায়াতে ইসলামী প্রতিষ্ঠার পর থেকেই দেশে অসংখ্য মসজিদ, মাদ্রাসা ও এতিমখানা প্রতিষ্ঠা করেছে। ২০০১ থেকে ২০০৬ সালে জামায়াতের দুইজন মন্ত্রী ক্ষমতায় থাকাকালীন কওমি মাদ্রাসাকে বরং মুক্তহস্তে সহায়তা দিয়েছেন।”




১০ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা বিএনপির

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

আগামী ৭ নভেম্বর জাতীয় সংহতি ও বিপ্লব দিবস উপলক্ষে ১০ দিনব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল- বিএনপি।

রোববার (২ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক যৌথ সভার পর দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন।

সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল বলেন, দেশ এখন একরকম অনিশ্চিত সময় পার করছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রতিনিয়ত অপতথ্য ছড়িয়ে দেশকে অস্থিতিশীল তৈরি করার চেষ্টা চলছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

এদিকে সকালে ভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে জুলাই সনদ ইস্যুতে চলমান বিতর্কের বিষয়ে সরকারের নীরবতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি জানান, প্রতিবাদের ভাষা হিসেবে মাঠে নেমে সরকারকে হুমকিতে ফেলতে চায় না তার দল।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘জুলাই সনদ ইস্যুতে বিএনপি প্রতিবাদের পথ বেছে নিলে বর্তমান সরকার টিকতে পারবে না। পরিস্থিতি মোকাবেলায় ধৈর্য ধারণ করে এই সরকারের অধীনেই অবাধ ও সুষ্ঠু নিবর্বাচনের প্রত্যাশা করি।’