জাকসুর ভিপি স্বতন্ত্রের জিতু, জিএস শিবিরের মাজহার

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচনে সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে ‘স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী সম্মিলন’ প্যানেলের আব্দুর রশিদ জিতু ও সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেলের মাজহারুল ইসলাম নির্বাচিত হয়েছেন।

এছাড়া এজিএস (ছাত্র) পদে ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেলের ফেরদৌস আল হাসান এবং এজিএস (ছাত্রী) পদে একই প্যানেলের আয়েশা সিদ্দিকা মেঘলা জয় পেয়েছেন।

নিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৭টা ২০ মিনিটের দিকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন রেজিস্ট্রার ভবনের সিনেট কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ফলাফল ঘোষণা করেন নির্বাচন কমিশনের সদস্য সচিব ড. রাশেদুল আলম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশনের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. মনিরুজ্জামান।

নির্বাচিত ভিপি আব্দুর রশিদ জিতু বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনামূলক সাহিত্য ও সংস্কৃতি ইনস্টিটিউটের ৪৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। এছাড়া নবনির্বাচিত জিএস মাজহারুল ইসলাম ইংরেজি বিভাগের ৪৮তম ব্যাচের শিক্ষার্থী।

এছাড়া সহসাধারণ সম্পাদক-এজিএস (পুরুষ) পদে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের ৪৯তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ফেরদৌস আল হাসান ও এজিএস (ছাত্রী) পদে দর্শন বিভাগের ৪৮তম ব্যাচের শিক্ষার্থী আয়েশা সিদ্দিকা মেঘলা, শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদক পদে ফার্মেসি বিভাগের শিক্ষার্থী আবু উবায়দা উসামা, পরিবেশ ও প্রকৃতি সংরক্ষণ সম্পাদক পদে গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী সাফায়েত মীর, সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম বাপ্পি, সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী শেখ জিসান আহমেদ, সহ-সাংস্কৃতিক সম্পাদক হিসেবে উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী রায়হান উদ্দিন, নাট্য সম্পাদক পদে নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী রুহুল ইসলাম নির্বাচিত হয়েছেন।

এছাড়া কার্যকরী সদস্য পদে রয়েছেন-ফাবলিহা জাহান, নাবিলা বিনতে হারুন, নুসরাত জাহান ইমা, হাফেজ তরিকুল ইসলাম, আবু তালহা, ও মোহাম্মদ আলী চিশতী।

৩৩ বছর পর গত বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত জাকসু ও হল সংসদের নির্বাচনের ভোটগ্রহণ করা হয়।

এবারের জাকসু নির্বাচনে মোট ভোটার ছিলেন ১১ হাজার ৭৫৯ জন। ভোট পড়েছে প্রায় ৬৮ শতাংশ। কেন্দ্রীয় সংসদের ২৫টি পদের জন্য ১৭৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে ভিপি পদে ৯ জন, জিএস পদে ৮ জন, এজিএস পদে ১৬ জন প্রার্থী রয়েছেন, যাদের মধ্যে ৬ জন নারী।

এবারের জাকসু নির্বাচনে পূর্ণ ও আংশিক মিলে মোট ৮টি প্যানেল অংশ নেয়। তবে ভোটগ্রহণ শুরুর পর ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলসহ ৫টি প্যানেল ভোট কারচুপির অভিযোগ তুলে নির্বাচন বর্জন করে। বর্জন করে প্রগতিশীল শিক্ষার্থীদের সম্প্রীতির ঐক্য, ছাত্র ইউনিয়ন ও ছাত্র ফ্রন্টের সংশপ্তক পর্ষদ এবং স্বতন্ত্র অঙ্গীকার পরিষদ। এছাড়া ছাত্র ফ্রন্টের একাংশের একটি প্যানেল ও কিছু স্বতন্ত্র প্রার্থীও নির্বাচন বর্জন করেন।




তেল আবিবে স্পর্শকাতর স্থাপনা লক্ষ্য করে ইয়েমেনি বাহিনীর ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

ডিএনবি নিউজ আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ইয়েমেনি সশস্ত্র বাহিনী জানিয়েছে যে তাদের ক্ষেপণাস্ত্র বাহিনী ইসরায়েলি-অধিকৃত অঞ্চলের গভীরে তেল আবিবের স্পর্ষকাতর লক্ষ্যবস্তুতে একটি ফিশন মাল্টি-ওয়ারহেড "ফিলিস্তিন-২" হাইপারসনিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে।

শনিবার এক বিবৃতিতে ইয়েমেনি সশস্ত্র বাহিনী জানিয়েছে যে তারা গাজার বিরুদ্ধে ইসরায়েলের “গণহত্যা ও দুর্ভিক্ষের অপরাধ” এবং “ইয়েমেনের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের আগ্রাাসন”র প্রতিক্রিয়া হিসাবে এই অভিযান পরিচালনা করেছে।

বিবৃতিতে তারা বলেছে যে অভিযান “আল্লাহর করুণায় সফলভাবে তার লক্ষ্য অর্জন করেছে” এবং ” লাখ লাখ দখলদার ইহুদিবাদীদের আশ্রয়স্থলে পালিয়ে যেতে বাধ্য করেছে।” ইয়েমেনি সশস্ত্র বাহিনী দেশের প্রতিরক্ষায় এবং “গাজার আমাদের অবিচল ভাইদের বিরুদ্ধে আগ্রাসন বন্ধ না হওয়া এবং অবরোধ প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত” সমর্থন করার জন্য অভিযান চালিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। দিনের শুরুতে ইসরায়েলি মিডিয়া জানিয়েছে যে আসন্ন ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর ইসরায়েলি-অধিকৃত অঞ্চলে বিমান হামলার সাইরেন সক্রিয় করা হয়েছে।

ইসরায়েলি মিডিয়ার প্রতিবেদন অনুসারে, ইয়েমেন থেকে শুরু হওয়া ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শনিবার ভোরে তেল আবিব এবং অধিকৃত অঞ্চলের অন্যান্য সম্প্রদায়গুলোতে সাইরেন বাজিয়েছে। ইসরায়েলের ম্যাগেন ডেভিড অ্যাডম (এমডিএ) জরুরি প্রতিক্রিয়া পরিষেবা আক্রমণ বা ধ্বংসাবশেষের আঘাতের ফলে সরাসরি কোনো আহত হওয়ার খবর দেয় নি।

পরবর্তীতে সামরিক বাহিনী দাবি করে যে তাদের বিমান বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা প্রজেক্টাইলটিকে “প্রতিরোধ” করেছে। ইয়েমেনি সেনাবাহিনী “হাইপারসোনিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র” এবং তিনটি ড্রোন ব্যবহার করে ইসরায়েলি অবস্থানের বিরুদ্ধে ধারাবাহিক বিমান হামলার দায় স্বীকার করার দুই দিন পর এই ঘটনা ঘটে।

ইয়েমেনি সামরিক মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইয়াহিয়া সারি বৃহস্পতিবার বলেছেন যে নেগেভ মরুভূমিতে নির্ধারিত স্থানগুলোকে লক্ষ্য করে আরো দুটি ড্রোন দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর ইলাতের রামন বিমানবন্দরকে লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে । তিনি আক্রমণগুলোকে “সফল” বলে বর্ণনা করেছেন।

সূত্র: পার্সটুডে




ময়মনসিংহের ভালুকায় দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ২ আহত ১০

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

ময়মনসিংহের ভালুকায় দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে দুইজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো অন্তত ১০ জন।

শনিবার সকাল ৮টার দিকে উপজেলার ভরাডোবা তাসরিফ কটন মিলের সামনে ময়মনসিংহগামী রোডে এ দুর্ঘটনা ঘটে। তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতদের পরিচয় জানা যায়নি। ভালুকা মডেল থানার ওসি হুমায়ুন কবির এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, দুর্ঘটনার পর নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে থানায় রাখা হয়েছে। আহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজনকে প্রথমে ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে গুরুতর আহতদের ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

ওসি আরো বলেন, দুর্ঘটনার পর পুলিশ বাস দুটি জব্দ করেছে। ঘটনার তদন্ত চলছে এবং নিহতদের পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।




মিটফোর্ডে সোহাগ হত্যাকাণ্ডে দুই এজাহার নামীয় আসামি গ্রেপ্তার: জানাল র‍্যাব

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতালে প্রকাশ্যে ভাঙারি ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যাকাণ্ডে এজাহারনামীয় দুই আসামিকে গ্রেপ্তারের তথ্য জানিয়েছে র‍্যাব। শনিবার (১২ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টায় কারওয়ান বাজারে র‍্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বাহিনীটির মহাপরিচালক (ডিজি) একেএম শহিদুর রহমান এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, গত ৯ জুলাই মিটফোর্ড হাসপাতালের ৩ নম্বর গেটের সামনে মো. সোহাগকে মাথায় ইট দিয়ে আঘাত করে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। নিহতের বড় বোনের দায়েরকৃত মামলার পর র‍্যাব গোয়েন্দা নজরদারি জোরদার করে।

এর ধারাবাহিকতায় শুক্রবার (১১ জুলাই) রাজধানীর কেরানীগঞ্জে অভিযান চালিয়ে ৪ নম্বর এজাহারনামীয় আসামি আলমগীর (২৮) এবং ৫ নম্বর আসামি মনির ওরফে লম্বা মনির (৩২)-কে গ্রেপ্তার করা হয়।

র‍্যাব ডিজি জানান, “মূল তদন্ত করছে ডিএমপি। র‍্যাব ছায়া তদন্তের মাধ্যমে সহায়তা করছে। তবে আমরা এখনো এমন কোনো পর্যায়ে পৌঁছাইনি, যেখানে প্রাথমিক তদন্তের ফলাফল প্রকাশ করা যায়।”

হত্যার পেছনে কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, “প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, ঘটনাটি স্থানীয় ব্যবসা ও চাঁদাবাজি-সংক্রান্ত বিরোধ থেকে ঘটেছে। বিস্তারিত তদন্তে বেরিয়ে আসবে।”

তিনি আরও জানান, ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

উল্লেখ্য, এই মামলায় এখন পর্যন্ত মোট পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।




আবারো দুর্গাপুর সীমান্ত দিয়ে ২১ জনকে পুশইন

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার বিজয়পুর সীমান্ত দিয়ে ২১ জনকে বাংলাদেশে ঠেলে পাঠিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী-বিএসএফ। এদের মধ্যে ১৯ জন তৃতীয় লিঙ্গ ও ২ জন পুরুষ রয়েছেন। বিজয়পুর বিওপির ১১৪৮/৪ এস পিলার থেকে প্রায় ১০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে আড়াপাড়া এলাকায় পুশইন করানো হলে তাদের আটক করে বিজিবি। আটককৃতদের বাড়ি, ঢাকা, নারায়নগঞ্জ, চট্রাগ্রাম, রাজবাড়ি, পটুয়াখালি, মৌলভীবাজার, জামালপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও টাঙ্গাইল জেলার বিভিন্ন এলাকায়।

বৃহস্পতিবার ভোর ৫ টার দিকে দুর্গাপুর উপজেলার বিজয়পুর সীমান্ত দিয়ে তাদেরকে পুশইন করা হয় বলে জানিয়েছেন নেত্রকোণা ৩১ বিজিবির বিজয়পুর ক্যাম্প কমান্ডার মো. শহীদুল ইসলাম।

আটকদের জিজ্ঞাসাবাদে তাদের পরিচয় নিশ্চিত করা হয়েছে। আটককৃতরা ভারতের দিল্লীতে কাজের জন্যে যায়। তাদেরকে দিল্লীর বিভিন্ন এলাকা থেকে একত্রিত করে গতকাল দিল্লীর নাজিরাবাদ বিমানবন্দর দিয়ে বিমানে করে আসামে আনা হয়। পরে তাদেরকে আজ ভোরে বিজয়পুর সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঠেলে পাঠায় বিএসএফ।

ক্যাম্প কমান্ডার মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, হাবিলদার আব্দুল করিমের নেতৃত্বে একটি দল, সীমান্তে টহল দেয়ার সময় বিএসএফের পুশইন করা ওই ২১ জনকে আড়াপাড়া এলাকা থেকে আটক করে। আমাদের অফিসিয়াল প্রক্রিয়া শেষে তাদের দুর্গাপুর থানায় হস্তান্তর করা হবে।




চীন, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠতা ভারতের নিরাপত্তায় প্রভাব ফেলতে পারে: জেনারেল চৌহান

ভারতের জন্য চ্যালেঞ্জ

ডিএনবি নিউজ আন্ত: ডেস্ক-

ভারতের প্রতিরক্ষা সর্বাধিনায়ক (সিডিএস) জেনারেল অনিল চৌহান বলেছেন, চীন, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ নিজেদের স্বার্থে একে অন্যের প্রতি ঝুঁকছে। এই ঘনিষ্ঠতা ভারতের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে।

গতকাল(মঙ্গলবার) ভারতের চিন্তক প্রতিষ্ঠান অবজার্ভার রিসার্চ ফাউন্ডেশন (ওআরএফ) আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে অনিল চৌহান এ কথাগুলো বলেন।

জেনারেল চৌহান বলেন, ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোর অর্থনৈতিক সংকট বহিরাগত শক্তিদের প্রভাব বিস্তারের সুযোগ করে দিচ্ছে। ঋণ–কূটনীতির সাহায্যে প্রভাব বিস্তারের মধ্য দিয়ে তারা ভারতের জন্য বিপজ্জনক হয়ে উঠছে। পাশাপাশি ঘনঘন সরকার পরিবর্তন এবং সেই সঙ্গে তাদের আদর্শচ্যুতি ভারতের জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠছে।

জেনারেল চৌহান বলেন, এই প্রবণতা ভারতের জন্য বড় এক সমস্যা। সম্প্রতি চীনের কর্মকর্তারা সে দেশে পাকিস্তান ও বাংলাদেশের কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক সম্মেলনে মিলিত হয়েছিলেন। তিনটি দেশই নিজেদের স্বার্থে একে অন্যের কাছাকাছি আসছে। এই নৈকট্য ভারতের স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তার ওপর প্রভাব ফেলতে পারে বলে তাঁর ধারণা।

চীন ও পাকিস্তানের ঘনিষ্ঠতা বহু পুরোনো। বাংলাদেশে রাজনৈতিক পালাবদল, ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেশত্যাগ এবং তাঁর ভারতে আশ্রয়লাভ ভারত–বাংলাদেশ সম্পর্কে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। এ পরিস্থিতিতে চীন–পাকিস্তান–বাংলাদেশের কাছাকাছি আসা জেনারেল চৌহানকে সন্দিহান করে তুলেছে। তিনি মনে করছেন, এই তিন দেশের ঘনিষ্ঠতা ভারতের চিন্তা বাড়াতে পারে। স্থিতিশীলতার পক্ষে বিপজ্জনক হতে পারে।

অনুষ্ঠানে সিডিএস জেনারেল চৌহানকে পাকিস্তান–ভারত সাম্প্রতিক সংঘাতের সময় চীনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। জবাবে তিনি বলেন, ওই সংঘাতে পাকিস্তানকে চীন কতটা ও কীভাবে সমর্থন দিয়েছে, সহায়তা করেছে, তা বলা খুবই কঠিন। ওই সংঘাতের সময় উত্তর সীমান্তে কোনো অস্বাভাবিকতা দেখা যায়নি।

জেনারেল চৌহান বলেন, তবে ঘটনা হলো পাকিস্তান তাদের প্রয়োজনীয় প্রতিরক্ষা সরঞ্জামের বেশির ভাগটাই চীন থেকে নেয়। সে কারণে পাকিস্তানে চীনের উপস্থিতি থাকার কথা। বিশেষ করে সংঘাত ও সংঘর্ষের সময়। সেটা কতটা ছিল এবং সমর্থন বা সহায়তার চরিত্র কেমন ছিল, তা বলা সহজ নয়।

অপারেশন সিঁদুর নাম দিয়ে পাকিস্তানে হামলার প্রসঙ্গে ভারতের উপসেনাপ্রধান লে. জেনারেল রাহুল আর সিং অবশ্য গত শুক্রবার বলেছিলেন, সংঘাতের সময় পাকিস্তানকে চীন শুধু সাহায্যই করেনি, সংক্ষিপ্ত ওই যুদ্ধকে তারা তাদের অস্ত্রের পরীক্ষাগার করে তুলেছিল।

ওই কর্মকর্তার দাবি, ভারতের বিরুদ্ধে পাকিস্তান ওই যুদ্ধে যেসব অস্ত্র ব্যবহার করেছে, সেগুলোর ৮১ শতাংশই চীনের তৈরি। সেসব অস্ত্র প্রকৃত যুদ্ধের সময় কতটা কার্যকর, সে পরীক্ষাও চীন করে ফেলেছে। ওই সংঘাতকে চীন তার অস্ত্রসম্ভারের পরীক্ষাগার হিসেবে ব্যবহার করেছে।#

সূত্র: পার্সটুডে




সংসদে গিয়ে ২০১৮ সালের নির্বাচনকে বৈধতা দিয়েছে বিএনপি: ফয়জুল করীম

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম বলেছেন, ২০১৮ সালের নির্বাচনের ফলাফল সবাই প্রত্যাখ্যান করেছে। কিন্তু বিএনপি সংসদে গিয়ে সেই নির্বাচনকে বৈধতা দিয়েছে।

সোমবার (৭ জুলাই) সন্ধ্যায় রাজশাহীর একটি কমিউনিটি সেন্টারে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

দলের রাজশাহী মহানগর সভাপতি মাওলানা হোসাইন আহমদের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন দলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক (রাজশাহী বিভাগ) মুফতি শেখ মুহাম্মদ নুরুন নবী, রাজশাহী জেলার সভাপতি মাওলানা মুরশিদ আলম ফারুকী।

সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম বলেন, ‘বিএনপি আজকে আমাদের বলে আওয়ামী লীগের দালাল। আমরা নাকি আওয়ামী লীগকে সহযোগিতা করেছি। রাজনীতি করবেন, জেনেশুনে রাজনীতি করেন।’

তিনি বলেন, আমরা আজ পর্যন্ত প্রশ্নবিদ্ধ কোনো জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করিনি। ২০১৪ সালের নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলন অংশগ্রহণ করেনি। ২০১৮ সালের নির্বাচনে সবাই অংশগ্রহণ করেছে। এ কারণে আমরাও অংশ নিয়েছি। তবে কখনো গণভবনে যায়নি। তখন কিন্তু মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর পর্যন্ত গণভবনে গিয়েছিলেন শেখ হাসিনার কাছে। 

তিনি বলেন, ‘২০১৮ সালের নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করেছে সবাই। কিন্তু বিএনপি অবৈধ সংসদে গিয়ে ২০২২ সাল পর্যন্ত ছিল। সেই সংসদকে তারা বৈধ ঘোষণা দিয়েছে। অবৈধ সংসদে বিএনপির পাঁচ-ছয়জন সদস্য গিয়ে পুরা নির্বাচনটাকে বৈধ ঘোষণা করছে। তারা আওয়ামী লীগের দালাল না। আর আমরা আওয়ামী লীগের দালাল!’

তিনি আরও বলেন, ‘বিগত দিনে বিএনপি ভোট পেয়েছে। আগামীতেও ভোট পাবে, সেই চিন্তায় আছে তারা। কেন মানুষ ভোট দিবে তাদের। পাটগ্রাম থানায় পুলিশদের মারার জন্য। থানা লুট করার জন্য, থানা ভাঙচুর করার জন্য আপনাদেরকে ভোট দিবে? এই পর্যন্ত ১৫০-এর উপরে খুন হয়ে গেছে। বিএনপির নিজেরা নিজেরা মারামারি করতে করতে বহুত লোক পঙ্গু হয়ে গেছে। এখনো ক্ষমতায় যায় নাই। তাতেই যদি এই অবস্থা হয়, তাহলে ক্ষমতায় গেলে অবস্থাটা কী হবে। এ দেশের মানুষ এখন সেই মানুষ আর নাই। মানুষ সচেতন হয়েছে। মানুষের চক্ষু খুলছে। এমন কোনো জায়গা নাই, যেখানে চাঁদা তোলে না বিএনপি।’




৪ বিভাগে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস, জলাবদ্ধতার শঙ্কা

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

মঙ্গলবার সকালে দেওয়া সতর্ক বার্তায় বলা হয়েছে, দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকার কারণে মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের কোথাও কোথাও ভারী (৪৪-৮৮ মিমি/২৪ ঘণ্টা) থেকে অতি ভারী (>৮৮ মিমি/২৪ ঘণ্টা) বর্ষণ হতে পারে। অতি ভারী বর্ষণের কারণে চট্টগ্রাম বিভাগের পাহাড়ি এলাকার কোথাও কোথাও ভূমিধসের শঙ্কা রয়েছে।

সেই সঙ্গে ভারী বর্ষণের কারণে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও খুলনা মহানগরীর কোথাও কোথাও অস্থায়ীভাবে জলাবদ্ধতা তৈরি হতে পারে বলেও বার্তায় বলা হয়।




ইবতেদায়ি মাদরাসা এমপিওভুক্ত করার আবেদন শুরু

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

অনুদানভুক্ত স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সমূহ এমপিওভুক্তিরর জন্য আবেদন শুরু হয়েছে।

মঙ্গলবার (৮ জুলাই) থেকে শুরু হওয়া এই আবেদন চলবে ১৫ জুলাই পর্যন্ত।

কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের এমপিও শাখার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। ৩ জুলাই হতে এ কার্যক্রম শুরুর কথা থাকলেও পরে তারিখ পরিবর্তন করে আজ থেকে করা হয়।

উপসচিব মো. আব্দুল হান্নান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের আওতাধীন অনুদানভুক্ত স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহ এমপিভুক্ত করার লক্ষ্যে গত ২৬ জুনের গণবিজ্ঞপ্তির আলোকে ৩ হতে ১০ জুলাই পর্যন্ত আবেদনের সময়সীমা ছিল। কারিগরি ত্রুটিজনিত কারণে ৮ হতে ১৫ জুলাই পর্যন্ত অনলাইনে আবেদন গ্রহণ করা হবে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের ওয়েবসাইট (www.tmed.gov.bd) অথবা মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট (www.dme.gov.bd) অথবা বাংলাদেশ শিক্ষাতথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরো (ব্যানবেইস)-এর ওয়েবসাইট (www.banbeis.gov.bd)-এ Online Ebtedie MPO Application শিরোনামে প্রদর্শিত লিংক এর মাধ্যমে আবেদন করা যাবে।

অনুদানভুক্ত স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসাসমূহের এমপিওভুক্তির আবেদন সরাসরি, ইমেইল বা পত্রের মাধ্যমে কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগ অথবা এর অধীনস্থ কোন দপ্তরে গ্রহণ করা হবে না। অনুদানভুক্ত স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসাসমূহ এমপিওভুক্তকরণের সকল কার্যক্রম ডিজিটাল পদ্ধতিতে সম্পন্ন করা হবে।

এ পদ্ধতিতে ‘স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসা স্থাপন, পাঠদান, স্বীকৃতি, পরিচালনা ও জনবল কাঠামো এবং এমপিও নীতিমালা, ২০২৫’ অনুযায়ী নির্দিষ্ট মানদণ্ডের ভিত্তিতে যোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহের তালিকা প্রস্তুত করা হবে। যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে এ নোটিশ জারি করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।




দুর্গাপুরে পথ পাঠাগারের আয়োজনে মৌসুমী ফল উৎসব অনুষ্ঠিত

দুর্গাপুরে পথ পাঠাগারের আয়োজনে প্রথমবারের মতো মৌসুমী ফলের উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার (7 জুলাই) দুর্গাপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এই ফল উৎসবের আয়োজন করা হয়।

এতে আম, কাঁঠাল, আনারস, পেয়ারা, পেঁপে, কলা,  লটকন সহ দেশীয় বিভিন্ন প্রজাতির  ফলের সমাহার ছিল। পথ পাঠাগারের প্রতিষ্ঠাতা নাজমুল হুদা সারোয়ার এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেব উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: নাভিদ রেজওয়ানুল কবীর।, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব অধ্যক্ষ শহীদুল্লাহ খান, সমাজসেবা কর্মকর্তা শাশুল তালুকদার, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা তানজিরুল ইসলাম রায়হান, প্রেসক্লাব সভাপতি তোবারক হোসেন খোকন, সাবেক সভাপতি রফিকুল ইসলাম রফিক, সাবেক সভাপতি নির্মলেন্দু সরকার বাবুল, সাবেক সাধারন সম্পাদক জামাল তালুকদার, দুর্গাপুর সাংবাদিক সমিতির সভাপতি দেলোয়ার হোসেন, কবি লোকান্ত শাওন, কবি দুনিয়া মামুন সহ শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও স্থানীয় সাংবাদিকবৃন্দ । তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে এসব ফলের সাথে পরিচিত হওয়ার পাশাপাশি এর  স্বাদ গ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানটি সবার সম্মিলিত ও স্বতঃস্ফুর্ত অংশগ্রহণে  উৎসবমুখর হয়ে ওঠে।

এ সময় বক্তারা বলেন, ইতিহাস, ঐতিহ্য ও প্রকৃতির প্রতি ভালোবাসার এক অনন্য দৃষ্টান্ত আমাদের এই ফল উৎসব। বাংলাদেশ এক অপার সম্ভাবনার দেশ। এ দেশের মাটি অনেক উর্বর। এ দেশের মাটিতে কয়েকশ প্রজাতির মৌসুমী ফল উৎপাদন হয়। কিন্তু অনেক ফলের সাথেই আমাদের বর্তমান প্রজন্মের পরিচয় নেই। এসব ফলের সাথে তাদের পরিচয় করিয়ে দিতেই মূলত পথ পাঠাগারের এই আয়োজন। এদেশ ছয় ঋতুর দেশ, প্রায় সব মৌসুমেই বিভিন্ন প্রজাতীর ফল পাওয়া যায়।

বাংলাদেশের মতো এমন সুজলা, সুফলা, শস্য, শ্যামলা দেশ বিশ্বের বুকে খুব বিরল। কেননা অন্যান্য দেশে দেখা যায়, অনেক শীত, অনেক বৃষ্টি, অথবা অনেক গরম। কিন্তু বাংলাদেশের মতো এমন সবুজ ও সতেজ দেশ দেখা যায় না বললেই চলে। এ দেশে মৌসুমী ফলের পাশাপাশি শীতকালে বিভিন্ন জাতের সবজি চাষ হয়। এসব ফল ও সবজি কেবল সুস্বাদু নয়; বরং অনেক স্বাস্থ্যসম্মত। এসব খেলে অনেক রোগ-ব্যাধি থেকে প্রতিকার পাওয়া সম্ভব।

সবাইকে খালি জায়গায় সুযোগ অনুযায়ী গাছ লাগানোর এবং বেশি বেশি করে দেশি ফল খাওয়ার আহ্বান জানান।