আ. লীগের লকডাউন প্রতিবাদে দুর্গাপুরে বিএনপির বিক্ষোভ ও সমাবেশ

দুর্গাপুর (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি

দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র মোকাবেলা, বিভিন্নস্থানে অগ্নিসংযোগ ও আগামী ‎কালের ডাকা কথিত লকডাউনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে দুর্গাপুর পৌর বিএনপি। বুধবার (১২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের অংশগ্রহনে এ বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।

বিক্ষোভ মিছিল শেষে দলীয় কার্যালয়ে পৌর বিএনপির সভাপতি আতাউর রহমান ফরিদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক হারেজ গণির সঞ্চালনায় অন্যদের মাঝে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা বিএনপি‘র সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আওয়াল, যুগ্ন-সম্পাদক আনোয়ার হোসেন আসাদ, উপজেলা যুবদলের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক এস এম কাইয়ুম, পৌর যুবদলের আহ্বাযক আবু সিদ্দিক রুক্কু, উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব ইউসুফ খান ও পৌর ও যুবদলের সদস্য সচিব সম্রাট গণি, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মির্জা নজরুল সদস্য সচিব হিমেল ছাত্রদল নেতা আলমগীর হোসেন, নুরুজ্জামান জনি সহ বিএনপি ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীগণ।

বক্তারা বলেন, “ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকার দেশের গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে দেশজুড়ে সন্ত্রাস ও নাশকতার রাজনীতি শুরু করেছে। চোরাগুপ্ত ভাবে থাকা ছাত্রলীগ-যুবলীগ দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করছে। আগামীকালের কথিত লকডাউন সাধারণ জনগণ কোনোভাবেই সফল হতে দেবে না। দেশের বিভিন্ন এলাকায় দেয়া অগ্নিসংযোগ ও ভাংচুরের আমরা তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।




নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছি, যা জাতির জন্য ঐতিহাসিক মুহূর্ত হবে : প্রধান উপদেষ্টা

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছে কানাডীয় সাত সদস্যের সংসদীয় প্রতিনিধিদল।

বুধবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এই সাক্ষাতে প্রতিনিধিদলটির নেতৃত্ব দেন সিনেটর সালমা আতাউল্লাহজান। সাক্ষাৎকালে উভয়পক্ষ দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সহযোগিতা আরও জোরদার করা এবং রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় সম্ভাব্য পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করেন।

প্রধান উপদেষ্টা এই প্রতিনিধিদলকে দেশের চলমান সংস্কার প্রক্রিয়া ও আসন্ন ফেব্রুয়ারির জাতীয় নির্বাচন প্রস্তুতি সম্পর্কে অবহিত করেন।

তিনি বলেন, আপনারা এমন এক সময় বাংলাদেশে এসেছেন, যখন দেশটি এক ঐতিহাসিক রূপান্তরের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে—একটি তরুণ-নেতৃত্বাধীন আন্দোলনের ফলাফল হিসেবে। এখন আমরা নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছি, যা জাতির জন্য এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত হয়ে উঠবে।

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি কানাডার দীর্ঘদিনের সহায়তার জন্য কৃতজ্ঞতা জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, রোহিঙ্গা সংকটের আট বছর পেরিয়ে গেছে। তাদের নিজ দেশে প্রত্যাবর্তনই একমাত্র টেকসই সমাধান—এর কোনো বিকল্প নেই। প্রায় ১২ লাখ মানুষ এখানে বসবাস করছে। হাজার হাজার শিশু জন্ম নিচ্ছে, বড় হচ্ছে—কিন্তু তারা জানে না তাদের নাগরিকত্ব কী, ভবিষ্যৎ কী। তারা হতাশ ও ক্ষুব্ধ। এখন আন্তর্জাতিক সহায়তা কমে যাওয়ায় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠছে।

সিনেটর সালমা আতাউল্লাহজান জানান, তিনি রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে বক্তব্য দেবেন এবং এ বিষয়ে কানাডার অব্যাহত অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে কথা বলছি। এটি একটি গুরুতর মানবিক উদ্বেগের বিষয়। বিশ্বের উচিত তাদের শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দিকে মনোযোগী হওয়া।

তিনি প্রফেসর ইউনুসকে ধন্যবাদ জানান রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে তার অব্যাহত প্রচেষ্টার জন্য।

প্রতিনিধিদলে আরও ছিলেন সংসদ সদস্য সালমা জাহিদ (স্কারবোরো সেন্টার–ডন ভ্যালি ইস্ট, লিবারেল), সামির জুবেরি—বৈচিত্র্য, অন্তর্ভুক্তি ও প্রতিবন্ধী বিষয়ক মন্ত্রীর সংসদীয় সচিব এবং পররাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক উন্নয়ন বিষয়ক স্থায়ী কমিটির সদস্য; মাহমুদা খান, হিউম্যান কনসার্ন ইন্টারন্যাশনালের (এইচসিআই) গ্লোবাল সিইও; মাসুম মাহবুব, হিউম্যান কনসার্ন ইউএসএ (এইচসিইউএসএ)-এর সিইও; আহমদ আতিয়া, জেস্টাল্ট কমিউনিকেশনসের সিইও; এবং উসামা খান, ইসলামিক রিলিফ কানাডার সিইও।




ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে বিস্ফোরণ : ভারত ভ্রমণে সতর্কতা জারি করল যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য

ডিএনবি নিউজ আন্তঃ ডেস্ক-

ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির লালকেল্লা মেট্রো স্টেশনের কাছে ভয়াবহ বিস্ফোরণের পর নাগরিকদের জন্য ভ্রমণ সতর্কতা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য।

ওই সতর্কবার্তায় নাগরিকদের সতর্ক থাকতে এবং নির্দিষ্ট এলাকা এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছে দেশ দুটি। মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টিভি।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, মার্কিন দূতাবাস এক নিরাপত্তা বার্তায় দিল্লিতে অবস্থানরত মার্কিন নাগরিকদের লালকেল্লা ও চাঁদনি চকের আশপাশের এলাকা এড়িয়ে চলার আহ্বান জানিয়েছে। পাশাপাশি বড় জনসমাগম থেকে দূরে থাকা, স্থানীয় গণমাধ্যমে হালনাগাদ খবর পর্যবেক্ষণ করা এবং সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে দূতাবাস।

এদিকে বিস্ফোরণে নিহতদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, তারা পরিস্থিতি ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই এবং আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করি।”

এদিকে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের কনস্যুলার অ্যাফেয়ার্স বিভাগ তাদের নিরাপত্তা সতর্কবার্তায় জানিয়েছে, বিস্ফোরণের কারণ এখনও পরিষ্কার নয়, তবে ভারত সরকার কয়েকটি রাজ্যে উচ্চ সতর্কতা জারি করেছে। এর আগে পররাষ্ট্র দপ্তরের এক মুখপাত্র বার্তাসংস্থা পিটিআইকে বলেন, “আমরা দিল্লির লালকেল্লার কাছে হওয়া বিস্ফোরণের বিষয়ে অবগত আছি। পরিস্থিতি ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করছি এবং প্রয়োজনে কনস্যুলার সহায়তা দিতে প্রস্তুত।”

অন্যদিকে বিস্ফোরণের ঘটনার পর যুক্তরাজ্য সরকারও ভারতের কিছু অঞ্চলে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। দেশটির পররাষ্ট্র, কমনওয়েলথ ও উন্নয়ন দপ্তর (এফসিডিও) ভারত-পাকিস্তান সীমান্ত থেকে ১০ কিলোমিটারের মধ্যে সব ধরনের ভ্রমণ থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিয়েছে। মূলত সীমান্ত এলাকায় সম্ভাব্য সশস্ত্র সংঘাতের আশঙ্কা উল্লেখ করে এই পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

একইসঙ্গে ভারতশাসিত জম্মু ও কাশ্মিরের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল (যেমন পেহেলগাম, গুলমার্গ, সোনমার্গ, শ্রীনগর শহর ও জম্মু-শ্রীনগর জাতীয় মহাসড়ক) ভ্রমণ থেকেও বিরত থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে। কেবল বিমানে করে জম্মু শহরে আসা-যাওয়া এবং শহরের অভ্যন্তরে ভ্রমণের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, বিস্ফোরণের সময় গাড়িটিতে তিনজন ছিলেন। ঘটনাস্থলে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, এটি আত্মঘাতী হামলা ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। #

সূত্র: পার্সটুডে




দুর্গাপুরের ঝানজাইল বাজারে মাদকবিরোধী মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

দুর্গাপুর (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি:

‘‘মাদক কে – না বলুন’’ এই প্রতিপাদ্যে কেন্দ্রীয় বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামালের নির্দেশে নেত্রকোণার দুর্গাপুরে মাদক ব্যবসায়ী, মাদকসেবী ও চোরাকারবারীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবীতে এক মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার (০৯ নভেম্বর) বিকেলে ঝানজাইল বাজারে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আয়োজনে এ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ হয়।

মানববন্ধনে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মীর্জা নজরুল এর সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব হিমেল সরকার এর সঞ্চালনায় ইউনিয়ন বিএনপি ও তাঁর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা বক্তব্যে রাখেন।

ঘন্টাব্যাপি মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, মাদক একটি ভয়ঙ্কর সামাজিক ব্যাধি। এটি তরুণ সমাজকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। এখনই যদি রুখে দাঁড়ানো না যায়, তাহলে অন্ধকারে নিমজ্জিত হবে অত্র এলাকার ভবিষ্যৎ প্রজন্ম। আমাদের সকলকে মাদকের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। সকল মিলে মাদক ব্যবসায়ীদের আইনের হাতে তুলে দিতে হবে। মানববন্ধন শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে ঝাঞ্জাইল বাজারের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিন করে।




প্রাথমিক শিক্ষকদের বেতন দুই ধাপ বাড়িয়ে ১১তম গ্রেডে উন্নীত করার প্রস্তাব গেল মন্ত্রণালয়ে

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের বেতন দুই ধাপ বাড়িয়ে ১১তম গ্রেডে উন্নীত করার প্রস্তাব পাঠিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। প্রস্তাবটি বাস্তবায়িত হলে বছরে অতিরিক্ত ব্যয় হবে প্রায় ৮৩১ কোটি ৯১ লাখ টাকা।

সম্প্রতি মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ৪ নভেম্বর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে লিখিতভাবে এ প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। এর আগে একই প্রস্তাব অর্থ বিভাগেও পাঠানো হয়।

মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবে বলা হয়েছে, বর্তমানে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের কাজের পরিমাণ ও গুণগত মান আগের তুলনায় অনেক বেড়েছে। তাছাড়া প্রধান শিক্ষকদের বেতন ১০ম গ্রেডে উন্নীত করার বিষয়ে সম্মতি থাকায়, সহকারী শিক্ষকদের বেতন ১১তম গ্রেডে উন্নীত করা যৌক্তিক বলে মনে করছে মন্ত্রণালয়।

বর্তমানে সহকারী শিক্ষকরা ১৩তম গ্রেডে বেতন পাচ্ছেন। প্রস্তাব অনুযায়ী ১১তম গ্রেডে উন্নীত হলে প্রত্যেকের বেতন গড়ে কয়েক হাজার টাকা বৃদ্ধি পাবে।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, শিক্ষকদের ন্যায্য দাবি ও পেশাগত মর্যাদা বিবেচনায় নিয়েই প্রস্তাবটি দেওয়া হয়েছে। এখন অর্থ বিভাগ ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অনুমোদনের পরই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে।

এরই মধ্যে ৩ দফা দাবিতে ১০ম গ্রেড বাস্তবায়ন সমন্বয় পরিষদের ব্যানারে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষকরা।

তাদের তিন দফা দাবি হলো:
১️. সহকারী শিক্ষকদের ১০ম গ্রেডে বেতন প্রদান,
২️. উচ্চতর গ্রেডের জটিলতার স্থায়ী সমাধান,
৩️. সহকারী শিক্ষক থেকে প্রধান শিক্ষক পদে শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতির নিশ্চয়তা।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, দেশে বর্তমানে ৬৫ হাজার ৫৬৭টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রায় ৩ লাখ ৮৪ হাজার শিক্ষক কর্মরত। চলমান কর্মবিরতির কারণে দ্বিতীয় দিনেও এসব বিদ্যালয়ে পাঠদান সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের ২৪ এপ্রিল সরকার প্রধান শিক্ষকদের ১১তম থেকে ১০ম গ্রেডে উন্নীত করে এবং ১৩তম গ্রেডের শিক্ষকদের ১২তম গ্রেডে উন্নীত করার উদ্যোগ নেয়। তবে এতে বৈষম্যের অভিযোগ তুলে সহকারী শিক্ষকরা আবারও আন্দোলনে নেমেছেন।




আশঙ্কার কোনো কারণ নেই, জাতীয় নির্বাচন ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই হবে: আইন উপদেষ্টা

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে আশঙ্কার কোনো কারণ নেই। সরকার ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনে বদ্ধপরিকর।

আজ (রোববার) সকালে রাজশাহী লিগ্যাল এইড অফিস পরিদর্শনকালে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

আসিফ নজরুল বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলো একে অপরের ওপর বা আমাদের ওপর চাপ সৃষ্টির জন্য অনেক কথা বলে। কিছু কথা তারা আন্তরিকভাবেও বলে। সব শুনে মনে হতে পারে নির্বাচন নিয়ে আশঙ্কা আছে। কিন্তু আমি দৃঢ় কণ্ঠে বলতে চাই, নির্বাচন ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই অনুষ্ঠিত হবে। এটাকে বিলম্বিত করার কোনো ইস্যু আছে বলে আমরা মনে করি না। এ নিয়ে দ্বিতীয় কোনো চিন্তা বা না হলে কী হবে, তা আমরা মাথায় রাখছি না।’

নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ে আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলো যে যা-ই বলুক, আমি ব্যক্তিগতভাবে বিশ্বাস করি, তারা নির্বাচনীব্যবস্থায় বিশ্বাস করেন। আমরা সরকারের পক্ষ থেকে নির্বাচনের প্রতি আস্থা ও আনন্দমুখর পরিবেশ সৃষ্টির জন্য যা যা করণীয়, সবই করব।’

দেশে দীর্ঘ ১৬-১৭ বছর ভোট দিতে না পারায় মানুষের ‘ভোটের অভ্যাস’ চলে গেছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। আসিফ নজরুল বলেন, ‘দেশে অনেক মানুষ আছে, যাদের বয়স ৩২ থেকে ৩৪ বছর, কিন্তু জীবনে একবারও ভোট দেওয়ার সুযোগ পায়নি। সম্ভবত প্রায় ৫ কোটি মানুষ ভোট দিতে পারেনি। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমি বিশ্বাস করি, বাংলাদেশের মানুষ নির্বাচনের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। নির্বাচন দেরি থাকলেও এর মধ্যেই পোস্টার-ব্যানারে ছেয়ে গেছে, মানুষের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়েছে।’

আইন উপদেষ্টা তার রাজশাহী সফরের উদ্দেশ্য সম্পর্কে বলেন, ‘গতকাল টিটিসি পরিদর্শনে এসেছিলাম। আজ এসেছি লিগ্যাল এইড অফিস দেখতে। আমরা লিগ্যাল এইড সহায়তায় বড় পরিবর্তন এনেছি। আইনগত সহায়তা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।’

আইন উপদেষ্টা জানান, মামলার চাপ কমাতে একজন বিচারকের জায়গায় তিনজন বিচারক দেওয়া হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে ২০টি জেলাকে বাছাই করে এর মধ্যে ১২টিতে পরীক্ষামূলকভাবে (পাইলটিং) কাজ চলছে। রাজশাহীতেও খুব দ্রুত এ কার্যক্রম শুরু হবে।

রাজশাহী লিগ্যাল এইড অফিসের স্থান সংকুলানের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘জেলা প্রশাসক আমাদের বারান্দার দিকে কয়েকটি কক্ষ করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। আইনগত সংস্কারের প্রভাব তাৎক্ষণিকভাবে দেখা যায় না, কিন্তু এতে মানুষের খুব উপকার হবে। মামলার খরচ ও ঝামেলা কমে যাবে।’

আসামিদের জামিন পাওয়া না-পাওয়ার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘জামিন শুধু বিচারকের ওপর নির্ভর করে না, পুলিশ কী প্রতিবেদন দিচ্ছে তার ওপরও নির্ভর করে। ভিডিও ফুটেজ বা কণ্ঠস্বর শোনার মতো প্রমাণ থাকলে ব্যতিক্রম হয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘যেখানে জামিন পাওয়ার যোগ্য, সেখানে জামিন পেতেই পারে। তবে যারা জামিন পেয়ে একই ধরনের অপরাধ করতে পারে, দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিনষ্ট করতে পারে বা নিষিদ্ধ সংগঠনের তৎপরতা চালাতে পারে, তাদের বেশি জামিন হলে আমরা আতঙ্কিত হব।’




মেলান্দহে মসজিদে রাজনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনা করায়: বিএনপি-জামায়াত সংঘর্ষে আহত ১

জামালপুরের মেলান্দহে মসজিদে রাজনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনা করাকে কেন্দ্র করে জামায়াতে ইসলামী ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (৭ নভেম্বর) রাত ৮টার দিকে উপজেলার মাহমুদপুর ইউনিয়নের পাঁছপয়লা জামে মসজিদে এ ঘটনা ঘটে। এতে রবিউল ইসলাম (৪০) নামে ইউনিয়ন জামায়াতের এক নেতা আহত হয়েছেন।

আহত রবিউল ইসলাম মাহমুদপুর ইউনিয়ন জামায়াত ইসলামীর সহ সাধারণ সম্পাদক ও ওই ইউনিয়নের ইমামপুর এলাকার আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এশার নামাজ শেষে মাহমুদপুর ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড জামায়াত ইসলামীর নেতাকর্মীরা মসজিদের ভেতরে বৈঠক করছিলেন। এ সময় মাহমুদপুর ইউনিয়ন বিএনপির শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক ও মসজিদ কমিটির সহ-সভাপতি মো. জিয়াউল হক সোহেলসহ স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীরা সেখানে উপস্থিত হয়ে মসজিদে রাজনৈতিক আলোচনা না করার জন্য অনুরোধ জানান। এনিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে প্রথমে বাগবিতণ্ডা হয় এবং পরে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এতে মাহমুদপুর ইউনিয়ন জামায়াত ইসলামী’র সহ-সাধারণ সম্পাদক মো. রবিউল ইসলাম আহত হন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে আহত রবিউল ইসলামকে মেলান্দহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। তার অবস্থা অবনতি হলে রাতেই সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়।

এ ঘটনায় রাতেই জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীরা মেলান্দহ বাজারে বিক্ষোভ মিছিল করেন। পরে ইউনিয়ন বিএনপির নেতাকর্মীরা মাহমুদপুর বাজারে বিক্ষোভ করে।

মাহমুদপুর ইউনিয়ন বিএনপির শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক মো. জিয়াউল হক সোহেল বলেন, এশার নামাজ পর জামায়াত ইসলামীর নেতারা মিটিং করছিল। আমিসহ কয়েকজন নিষেধ করতে গেলে তারা আমাদের ওপর আক্রমণ করে জামা ছিড়ে দেয়। আমাকে মসজিদ থেকে ধাক্কা দিয়ে বের করে দেয় জামায়াত নেতা রবিউল। পরে কি হয়েছে জানি না। এর আগেও কয়েকবার জামায়াত ইসলামীর নেতাদের মসজিদে রাজনৈতিক কার্যক্রম করতে নিষেধ করা হয়েছে। কিন্তু তারা শোনেনি।

এ বিষয়ে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি তৈয়বুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। সে সময় ইউনিয়ন জামায়াত ইসলামীর নেতাদের সঙ্গে বসার একটা প্রক্রিয়া চলছিল। কিন্তু তারাই আবার বিক্ষোভ মিছিল করে। পরে আর বসা হয়নি।

উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির ইদ্রিস আলী বলেন, মাহমুদপুর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডে শুক্রবার গণসংযোগ কর্মসূচি ছিল। সে বিষয়ে আলোচনা চলাকালে বিএনপি নেতাকর্মীরা আকস্মিকভাবে হামলা চালিয়ে ইউনিয়ন জামায়াত ইসলামীর সহ-সম্পাদক রবিউল ইসলামকে আহত করেছে। তার পায়ে আঘাত করা হয়েছে। সে গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।

মেলান্দহ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সফিকুল ইসলাম বলেন, জামায়াত ইসলামীর পক্ষ থেকে একটি অভিযোগ পেয়েছি। সেটি তদন্ত চলছে। এছাড়া বিএনপির পক্ষ থেকে মৌখিকভাবে জানানো হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।




সামরিক বিশেষজ্ঞ: ইরান একদিনেই ইসরায়েলকে ধ্বংস করতে পারে

ডিএনবি নিউজ আন্তঃ ডেস্ক- 

১২ দিনের যুদ্ধে ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রগুলো আয়রন ডোমকে ফাঁকি দিয়ে বিশ্বের সামরিক বিশেষজ্ঞদের প্রশংসা কুড়িয়েছে এবং ইসরায়েলকে এক নজিরবিহীন নিরাপত্তা দুঃস্বপ্নের মুখোমুখি করেছিল।

১২ দিনের যুদ্ধে আবারও তাদের শক্তি প্রদর্শন করে ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রগুলো আবারও পশ্চিমা বিশেষজ্ঞদের প্রশংসা জাগিয়ে তোলে এবং “ইসরায়েলের মারাত্মক দুঃস্বপ্ন” এর দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করে। ফার্স নিউজের বরাত দিয়ে পার্সটুডে জানিয়েছে,  “ইরানের একটি বিশাল ক্ষেপণাস্ত্র ভাণ্ডার রয়েছে। ইরান একদিনেই ইসরায়েলকে মাটিতে মিশিয়ে দিতে পারে”; মার্কিন সেনাবাহিনীর প্রাক্তন সদস্য কর্নেল ডগলাস ম্যাকগ্রেগরের এই মতামত।

তিনি আরও জোর দিয়ে বলেন যে ইরান যুদ্ধ শুরু করতে চায় না, তবে শত্রুর মুখোমুখি হওয়ার জন্য তাদের উল্লেখযোগ্য সামরিক ক্ষমতা রয়েছে। ম্যাকগ্রেগরই একমাত্র ব্যক্তি নন যিনি ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র ক্ষমতার প্রশংসা করেছেন। ১২ দিনের যুদ্ধের সময়, যখন ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রগুলো নিক্ষেপ করা হয়েছিল এবং অধিকৃত অঞ্চলের গভীরে আঘাত করা হয়েছিল,তখন অন্যান্য বিশেষজ্ঞরাও ইরানের প্রশংসা করেছিলেন।

কৌশলগত বিশেষজ্ঞ ইব্রাহিম কালাশ এই ব্যক্তিদের মধ্যে একজন। তিনি বলেছেন যে “ইরান ইসরায়েলের আয়রন ডোমকে একটি ড্রেনে পরিণত করেছে।”

তুর্কি বিশেষজ্ঞ বিশ্বাস করেন যে ১২ দিনের যুদ্ধের আগে, ইসরায়েল নিজেকে বিশ্বের সবচেয়ে নিরাপদ অঞ্চল হিসেবে উপস্থাপন করার চেষ্টা করছিল, কিন্তু এখন ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রগুলো এই আধিপত্য ভেঙে দিয়েছে এবং ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছে। তিনি ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তির কথাও উল্লেখ করেছেন এবং জোর দিয়ে বলেছেন যে ইসরায়েল এই ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তি এবং ইরানের ভয়াবহ আক্রমণ প্রতিহত করতে অক্ষম।

ইরান যুদ্ধে জয়লাভ করেছে

অবসরপ্রাপ্ত মিশরীয় জেনারেল সামির ফারাজ আরব মিডিয়ার সাথে এক সাক্ষাৎকারে জোর দিয়ে বলেছেন যে ১২ দিনের যুদ্ধের সময় ইরানই তার ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে শত্রুকে বেশি কার্যকর আঘাত দিয়েছে। তার সাক্ষাৎকারে ফারাজ বলেছেন যে কেবল ইরানই প্রথমবারের মতো ইহুদি বসতি স্থাপনকারীদের “আসল ভয়ের স্বাদ” দিতে সক্ষম হয়েছিল, তার প্রতিরক্ষা ক্ষমতার উপর নির্ভর করে।

তিনি আরও যোগ করেছেন যে ইরানের সামরিক শক্তি ইহুদিদের প্রথমবারের মতো আশ্রয়কেন্দ্রে টানা কয়েক দিন কাটাতে বাধ্য করেছিল। এমনকি ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রগুলো  প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুসহ ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের আশ্রয়কেন্দ্রে পালিয়ে যেতে বাধ্য করেছিল। ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রের কারণে ক্ষয়ক্ষতি নিয়ন্ত্রণের জন্য ইসরায়েলের প্রচেষ্টা সত্ত্বেও এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর দ্বারা সৃষ্ট ধ্বংসের গভীরতা দেখানো ভিডিওগুলো অব্যাহত রয়েছে।

ইরানের “অ্যাপোক্যালিপটিক” ক্ষেপণাস্ত্র সম্পর্কে পশ্চিমাদের ভয়

“অ্যাপোক্যালিপটিক” ক্ষেপণাস্ত্র নামে পরিচিত ইরানের নতুন হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ইসরায়েল এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে এতটাই ভীত করে তুলেছে যে তারা পশ্চিমা সামরিক ও প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের বিশ্লেষণের প্রধান বিষয় হয়ে উঠেছে। এই বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন যে ইরানের হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রগুলি আয়রন ডোমের মতো উন্নত বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভেদ করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। আমেরিকান ম্যাগাজিন ন্যাশনাল ইন্টারেস্ট একটি বিশ্লেষণে স্বীকার করেছে যে ক্ষেপণাস্ত্র হুমকি মোকাবেলায় শক্তিশালী লেজার ব্যবহার করার আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরায়েলকে এখনও অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে, যখন ইরান তার হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রগুলোকে আপগ্রেড করছে। প্রকাশনাটি স্বীকার করেছে যে ফাতাহ সিরিজের ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা ভেদ করতে এবং সামরিক ও বেসামরিক লক্ষ্যবস্তুতে উল্লেখযোগ্য ক্ষতি করতে সক্ষম হয়েছে।

ন্যাশনাল ইন্টারেস্ট স্বীকার করেছে যে ইসরায়েলের ক্ষয়ক্ষতি নিয়ন্ত্রণের প্রচেষ্টা সত্ত্বেও, ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র দ্বারা অধিকৃত অঞ্চলে ব্যাপক হতাহত এবং ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, যা ইরানের হাইপারসনিক ক্ষমতা সম্পর্কে ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের উদ্বেগ বাড়িয়েছে। প্রকাশনাটি জোর দিয়ে বলেছে যে ইসরায়েল বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের “এই অস্ত্রগুলো বিরুদ্ধে একটি বাস্তব প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নেই”, কারণ আয়রন ডোম হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র নয়, ধীর, আরও আদিম রকেটের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। ইসরায়েল ১৩ জুন ইরান আক্রমণ করেছিল, দেশটিকে ভেঙে ফেলার লক্ষ্যে; কিন্তু তার প্রত্যাশার বিপরীতে, যুদ্ধে তারা কেবল তাদের লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থ হয়নি, বরং বারবার ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র দ্বারা তাদের লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছিল এবং এর গুরুত্বপূর্ণ গবেষণা সুবিধা ধ্বংস করা হয়েছিল।

ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র পরিসরের মধ্যে ডিমোনা এবং হাইফা

পশ্চিমা বিশ্লেষকরা ইরানের নতুন ক্ষেপণাস্ত্র সম্পর্কে ইসরায়েল এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করে জোর দিয়ে বলেছেন যে ইরান পূর্ণ মাত্রার আক্রমণে ডিমোনা পারমাণবিক চুল্লি বা হাইফা বন্দরের মতো গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ লক্ষ্য করতে পারে। ইরান পূর্বে পশ্চিম এশিয়ায় দুটি আমেরিকান ঘাঁটি লক্ষ্য করে তার শক্তি প্রদর্শন করেছিল। শহীদ জেনারেল কাসেম সোলাইমানিকে হত্যা করে আমেরিকান অভিযানের জবাবে এই দেশটি তার ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ইরাকের আইন আল-আসাদ ঘাঁটি লক্ষ্য করে এবং তারপর, ১২ দিনের যুদ্ধে, ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় মার্কিন হামলার পর, তারা কাতারের আল-উদেইদ ঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা চালায়।#




আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কোনো জোট গঠন করবে না বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী: ডা. শফিকুর রহমান

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কোনো জোট গঠন করবে না বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান জানিয়েছেন, জামায়াত এবার জোট নয়, বরং নির্বাচনী সমঝোতার পথে হাঁটবে। বুধবার (৫ নভেম্বর) সকালে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, “আমরা কোনো জোট করার সিদ্ধান্ত নিইনি, জোট করবও না। তবে নির্বাচনী সমঝোতা করতে পারি। শুধু ইসলামী দল নয়, দেশপ্রেমিক ও প্রতিশ্রুতিশীল যারা আছেন, তারা সবাই এতে যুক্ত হচ্ছেন। আমরা চাই, সবাইকে নিয়ে দেশ গড়ে তুলতে।”

তিনি আরও বলেন, “গণভোট আগে না হলে জাতীয় নির্বাচন কিসের ভিত্তিতে হবে? আমরা চাই গণভোট আগে হোক এবং জুলাই সনদ আইনিভিত্তি পাক।” তিনি জোর দিয়ে বলেন, “আগামী ফেব্রুয়ারিতেই জাতীয় নির্বাচন আদায় করতে হবে, নইলে দেশে বিশৃঙ্খলা তৈরি হতে পারে।”

দলীয় রাজনৈতিক অবস্থান ব্যাখ্যা করে জামায়াত আমির বলেন, “আওয়ামী লীগ নিজেরাই তো নির্বাচন চায়নি। তাদের ওপর জোর করে নির্বাচন চাপিয়ে দেওয়া কোনো সমাধান নয়। জনগণের ইচ্ছার বিরুদ্ধে কিছু করা ঠিক হবে না।”

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, “গণতন্ত্রের সৌন্দর্যই হলো একাধিক দল ও আদর্শের অংশগ্রহণ। আমাদের প্রোপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন (পি আর) পদ্ধতির দাবি জনগণের জন্যই। বিশ্বের বহু দেশে এই পদ্ধতি ফ্যাসিবাদ রোধে কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে। জনগণ যদি এটাকে সমর্থন করে, তাহলে দেশে আর স্বৈরাচার ফিরে আসবে না।”

সাম্প্রতিক বিদেশ সফর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “বিদেশে প্রবাসীদের সঙ্গে দেখা হয়েছে। তাদের বুকভরা ভালোবাসা ও প্রত্যাশা এই জাতির প্রতি। তারা সম্মান ও অংশগ্রহণ চায়, বিনিময়ে কিছু নয়।”

তৃতীয় মেয়াদে জামায়াতের আমির নির্বাচিত হওয়ার পর এদিনই প্রথম নিজ জন্মভূমি সিলেটে ফিরে আসেন তিনি। বিমানবন্দরে দলীয় নেতাকর্মীদের ভালোবাসায় সিক্ত হন ডা. শফিকুর রহমান।




গত দুই দশকে ৩০ লাখ মুসলিমকে হত্যা করেছে যুক্তরাষ্ট্র-ইসরায়েল

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

বিশ্বের বিভিন্ন মুসলিম দেশে বিগত দুই দশকে প্রায় ৩০ লাখ নিরপরাধ মুসলিমকে হত্যা করেছে যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েল ও তাদের মিত্ররা। এই চাঞ্চল্যকর মন্তব্য করেছেন ইয়েমেনের হুথি আন্দোলনের নেতা আবদুল-মালিক বদরুদ্দিন আল-হুথি।

এ বিষয়ে তিনি মঙ্গলবার ইয়েমেনে শহীদ স্মরণ সপ্তাহ উপলক্ষে আয়োজিত বার্ষিক অনুষ্ঠানে ভাষণ দেন। এই শহীদ স্মরণ অনুষ্ঠান পুরো এক সপ্তাহ ধরে নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হবে। আবদুল-মালিক হুথি বলেন, এই হত্যাযজ্ঞ মূলত মুসলিম জনগণের দুর্বল অবস্থার সুযোগ নিয়ে চালানো হয়েছে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, যে জাতি আল্লাহর পথে জিহাদের চেতনা ও শাহাদাতের আকাঙ্ক্ষা নিয়ে এগিয়ে যায়, সেই জাতি গর্বিত থাকে এবং বিপদ প্রতিহত করতে সক্ষম। শাহাদাত হলো ধ্বংস ও অপমান থেকে রক্ষা করার শক্তিশালী প্রাচীর।

তিনি আরও বলেন, ইসলামী উম্মাহর ইতিহাসে প্রাচীন যুগ থেকে শুরু করে উপনিবেশিক আমল এবং বর্তমান পর্যন্ত বহু বড় বিপর্যয় ঘটেছে। তিনি উল্লেখ করেন, আমেরিকানরা স্বীকার করেছে যে, গত দুই দশকে তারা প্রায় ৩০ লাখ মানুষকে হত্যা করেছে, যাদের অধিকাংশই মুসলিম জনগণ। এসব হত্যাকাণ্ড তাদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য করা হয়েছে।

আবদুল-মালিক হুথি বলেন, শত্রুরা (ইসরায়েল) মানুষকে ক্ষুধার্ত রেখে ও অস্ত্রের মুখে (গাজায়) জিম্মি করার চেষ্টা করেছে, কিন্তু তাদের এই প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল মুসলিম জাতিগুলোকে দাসে পরিণত করতে মানসিকভাবে বিভ্রান্ত করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছে। তারা অন্যান্য দেশ দখল করেছে কেবল নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য। তিনি জোর দিয়ে বলেন, “এই অত্যাচারী শক্তিগুলোর মধ্যে কোনো দয়া-মায়া নেই; নিজেদের লক্ষ্য অর্জনের জন্য তারা যেকোনও অপরাধ করতে দ্বিধা করে না।” #

সূত্র: পার্সটুডে