বেগম খালেদা জিয়ার আত্মার শান্তি কামনায় দুর্গাপুরে দোয়া মাহফিল

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

বাংলাদেশের সাবেক তিনবারের সফল প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে নেত্রকোনার দুর্গাপুরে উপজেলা ও পৌর বিএনপি‘র আয়োজনে আয়োজনে বেগম খালেদা জিয়ার রুহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বাদযোহর স্থানীয় ঈদগাহ মাঠে এ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

দোয়া মাহফিলে অন্যান্যদের মাঝে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা বিএনপির সভাপতি জহিরুল আলম ভুইয়া, সাবেক সভাপতি ইমাম হাসান আবুচান, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আওয়াল, সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ্ব জামাল উদ্দীন মাস্টার, পৌর বিএনপির সভাপতি আতাউর রহমান ফরিদ, সাধারণ সম্পাদক হারেজ গণি সহ বিএনপি ও তার সকল অংগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা কর্মীগণ।

দোয়া মাহফিল পুর্ব আলোচনায় বক্তারা বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ছিলেন বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও স্বাধীনতার প্রতীক। দেশের মানুষ তাঁর রাজনৈতিক জীবন, ত্যাগ ও অবদান জাতি চিরদিন শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে। তিনি ছিলেন আপোষহীন ও দৃঢ়চেতা একজন রাষ্ট্রনায়ক, যিনি দেশের সংকটময় সময়ে গণতন্ত্র রক্ষায় নিঃস্বার্থভাবে ভূমিকা রেখেছেন, কখনোই দেশ ছেড়ে যাননি। আজকের এই দোয়া মাহফিলে আমরা তাঁর আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।




এবার সব রেকর্ড ভাঙল তিনবারের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় জানাজা অনুষ্ঠিত হলো তিনবারের প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার। এতে কয়েক মিলিয়ন (দশ লাখে এক মিলিয়ন) মুসল্লি অংশ নেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। এত বড় জানাজার উদাহরণ দেশের ইতিহাসে আর দ্বিতীয়টি নেই বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বেলা ৩টা ৫ মিনিটে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় ইমামতি করেন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিব মাওলানা আব্দুল মালেক।

জানাজার আগে খালেদা জিয়ার একমাত্র ছেলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান পরিবারের পক্ষ থেকে বক্তব্য দেন এবং মায়ের জন্য দোয়া প্রার্থনা করেন। তার কাছে কেউ কোনো ঋণ পেলে যোগাযোগ করতে বলেন। এছাড়া খালেদা জিয়ার আচরণে কেউ কোনো কষ্ট পেয়ে থাকলে ক্ষমা করে দেওয়ার আবেদন জানান তারেক রহমান।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস, উপদেষ্টাবৃন্দ, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিসহ সর্বস্তরের লাখ লাখ মানুষ জানাজায় অংশ নেন।

রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ ও সংসদ ভবন এলাকা জানাজার জন্য নির্ধারিত হলেও লোক সমাগম ছড়িয়ে পড়ে আশপাশের এলাকায়। ফার্মগেট, বিজয় সরনি, আগারগাঁও, কারওয়ানবাজার, বাংলামোটর, তেজগাঁও পর্যন্ত লোকে লোকারণ্য ছিল। বানের স্রোতের মতো চার দিক থেকে সাধারণ মানুষ আসতে থাকে জানাজার দিকে। প্রচণ্ড শীত উপেক্ষা করে গতকাল থেকেই ঢাকামুখী মানুষের ঢল নামে।

জনশ্রুতি আছে দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় জানাজা হয়েছিল বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের। সম্প্রতি ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহীদ ওসমান হাদির জানাজাও ছিল স্মরণকালের বৃহৎ। তবে সব রেকর্ড ছাপিয়ে খালেদা জিয়া স্থান করে নিয়েছেন ইতিহাসের পাতায়। এতো বিপুলসংখ্যক মানুষের উপস্থিতি ও ভালোবাসায় এর আগে কোনো নেতা বিদায় নিতে পারেননি।