১০ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা বিএনপির

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

আগামী ৭ নভেম্বর জাতীয় সংহতি ও বিপ্লব দিবস উপলক্ষে ১০ দিনব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল- বিএনপি।

রোববার (২ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক যৌথ সভার পর দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন।

সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল বলেন, দেশ এখন একরকম অনিশ্চিত সময় পার করছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রতিনিয়ত অপতথ্য ছড়িয়ে দেশকে অস্থিতিশীল তৈরি করার চেষ্টা চলছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

এদিকে সকালে ভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে জুলাই সনদ ইস্যুতে চলমান বিতর্কের বিষয়ে সরকারের নীরবতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি জানান, প্রতিবাদের ভাষা হিসেবে মাঠে নেমে সরকারকে হুমকিতে ফেলতে চায় না তার দল।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘জুলাই সনদ ইস্যুতে বিএনপি প্রতিবাদের পথ বেছে নিলে বর্তমান সরকার টিকতে পারবে না। পরিস্থিতি মোকাবেলায় ধৈর্য ধারণ করে এই সরকারের অধীনেই অবাধ ও সুষ্ঠু নিবর্বাচনের প্রত্যাশা করি।’




৬৩ দেশে ইরানের ন্যানো পণ্য রপ্তানি: আমেরিকা-ইসরায়েলকে কঠিন শিক্ষা দিয়েছে ইয়েমেন

ইরানের তৈরি ন্যানো পণ্য বর্তমানে ৬৩টি দেশে রপ্তানি করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন দেশটির ন্যানো ও মাইক্রো প্রযুক্তি উন্নয়ন দপ্তরের সচিব ইমাদ আহমদওয়ান্দ।

ডিএনবি নিউজ আন্ত: ডেস্ক:

গতকাল (শনিবার) তেহরানে অনুষ্ঠিত ১৬তম আন্তর্জাতিক ন্যানো প্রযুক্তি প্রদর্শনীতে তিনি সাংবাদিকদের জানান, ফার্সি ১৪০৩ সালে (২০২৪-২৫ সাল) বিশ্বের ৬৩টি দেশে প্রায় ১৮৩ মিলিয়ন ডলারের ন্যানো পণ্য রপ্তানি করা হয়েছে। ইরানের ন্যানো রপ্তানির প্রধান গন্তব্য দেশগুলোর মধ্যে ইরাক, তুরস্ক, ভারত, ভেনেজুয়েলা, পাকিস্তান ও রাশিয়ার অংশই সবচেয়ে বেশি।

তিনি আরও বলেন, গত নয় বছরে ইরানে উৎপাদিত ন্যানো ওষুধ আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ব্যাপক সাড়া পেয়েছে।

আহমদওয়ান্দ উল্লেখ করেন, ফার্সি ১৪০৩ সালে (২০২৪-২৫ সাল) ২৪ মিলিয়ন ডলারের বেশি ন্যানো-ক্যাটালিস্ট রাশিয়া, তুরস্ক, ইরাক ও উজবেকিস্তানে রপ্তানি হয়েছে— যা আগের বছরের তুলনায় প্রায় তিন গুণ বেশি।

ক্যারিবিয় অঞ্চলে আমেরিকার অতিরিক্ত বলপ্রয়োগের নিন্দা রাশিয়ার

রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে ক্যারিবীয় সাগরে কথিত ‘মাদকবিরোধী অভিযান’-এ অতিরিক্ত সামরিক শক্তি প্রয়োগ গভীরভাবে নিন্দনীয়।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, রাশিয়া ভেনেজুয়েলার বৈধ সরকারের প্রতি সমর্থন জানায় এবং লাতিন আমেরিকা ও ক্যারিবীয় অঞ্চলকে শান্তিপূর্ণ অঞ্চল হিসেবে রক্ষা করার আহ্বান জানায়।

ইসরায়েলের যেকোনো ভুলের কঠোর জবাব দেওয়া হবে: ইরাকি রাজনীতিক

ইরাকের ‘কোঅর্ডিনেশন ফ্রেমওয়ার্ক জোট’-এর নেতা ইসাম শাকের বলেছেন, ইসরায়েল যদি ইরাকের বিরুদ্ধে কোনো আগ্রাসন চালায়, তার জবাবে কঠোর প্রতিক্রিয়া জানানো হবে।

তিনি আরও বলেন, ইরাক তার সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় স্বার্থ রক্ষায় কোনো ধরনের আপস করবে না।

যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে সামরিক যোগাযোগ চ্যানেল স্থাপনে চুক্তি

আমেরিকার প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগস ঘোষণা করেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও চীন পারস্পরিক উত্তেজনা কমানো এবং সম্ভাব্য সংঘাত প্রতিরোধের লক্ষ্যে সামরিক যোগাযোগ চ্যানেল স্থাপনে একমত হয়েছে।

তিনি জানান, দুই দেশের কর্মকর্তারা শিগগিরই এই যোগাযোগ ব্যবস্থার কাঠামো নিয়ে অতিরিক্ত বৈঠক করবেন।

আমরা ওয়াশিংটনের সঙ্গে সরাসরি আলোচনা চাই না: আরাকচি

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাইয়্যেদ আব্বাস আরাকচি আল-জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, “আমরা সব ধরনের পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত এবং ইসরায়েলের যেকোনো শত্রুতাপূর্ণ আচরণের সম্ভাবনা বিবেচনা করছি। আমেরিকার অনুমোদন ছাড়া ইসরায়েল কখনোই ইরানের ওপর হামলা চালাতে পারত না। নেতানিয়াহু একজন যুদ্ধাপরাধী এবং সে প্রমাণ করেছে যে, ইসরায়েলই এ অঞ্চলের প্রকৃত শত্রু।”

তিনি আরও বলেন, “আমরা ওয়াশিংটনের সঙ্গে সরাসরি আলোচনা করতে আগ্রহী নই; পরোক্ষ আলোচনার মাধ্যমেও আমরা সমঝোতায় পৌঁছাতে পারি।”

‘পশ্চিম তীরে বসতি স্থাপনকারীদের সহিংসতা ১২ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ’

জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য ত্রাণ ও কর্মসংস্থান সংস্থা (ইউএনআরডব্লিউএ) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, গত মাসে (অক্টোবর) তারা পশ্চিম তীরে ইসরাইলি বসতি স্থাপনকারীদের হামলার সবচেয়ে সহিংস সময় প্রত্যক্ষ করেছে, যা গত ১২ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।

সংস্থাটি সতর্ক করে বলেছে, যয়তুন কাটার মৌসুমে এই হামলাগুলোর বৃদ্ধি বহু ফিলিস্তিনি পরিবারের জীবন ও জীবিকা হুমকির মুখে ফেলেছে।

ট্রাম্পের হুমকি: নাইজেরিয়ায় সামরিক হামলার আশঙ্কা

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার “ট্রুথ সোশ্যাল” প্ল্যাটফর্মে লিখেছেন: “যদি নাইজেরিয়া সরকার খ্রিস্টানদের হত্যাকাণ্ড চলতে দেয়, তাহলে যুক্তরাষ্ট্র অবিলম্বে দেশটিতে সব ধরনের সাহায্য বন্ধ করবে।”

তিনি আরও সতর্ক করেছেন, পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে যুক্তরাষ্ট্র নাইজেরিয়ায় সরাসরি সামরিক পদক্ষেপ নিতে পারে, যাতে এই ভয়াবহ অপরাধে জড়িত সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলো সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়।”

আমেরিকা ও ইসরায়েলকে কঠিন শিক্ষা দিয়েছি: ইয়েমেনের অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী

ইয়েমেনের “পরিবর্তন ও পুনর্গঠন সরকার”-এর ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ মিফতাহ বলেছেন, “ইয়েমেন- আমেরিকা ও ইসরায়েলিদের সঙ্গে লড়েছে এবং তাদের কঠিন শিক্ষা দিয়েছে।”

তিনি আরও যোগ করেন, “আমেরিকা যখন জোট, সাবমেরিন, বিমানবাহী রণতরী, যুদ্ধবিমান ও ডেস্ট্রয়ার পাঠিয়ে অঞ্চলে প্রবেশ করেছিল, শেষ পর্যন্ত তারা অপমানিত হয়ে সমুদ্র থেকে ফিরে যেতে বাধ্য হয়েছে।”

ইসরায়েলের নতুন হামলা: দক্ষিণ লেবাননে চারজন নিহত

লেবাননের “আল-মায়াদিন” টেলিভিশন চ্যানেল জানিয়েছে, দক্ষিণ লেবাননের নাবাতিয়েহ জেলার দোহা কাফররমান এলাকায় ইসরায়েলি ড্রোন হামলায় চারজন নিহত ও তিনজন আহত হয়েছেন।#

সূত্র: পার্সটুডে




আজ থেকে বন্ধ অতিরিক্ত সিম – ইউএনবি।

 

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

বহুল আলোচিত এবং প্রতীক্ষিত বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) নতুন নির্দেশনাটি আজ, শনিবার থেকে কার্যকর হয়েছে। এই নির্দেশনার ফলে এখন থেকে একজন নাগরিক তাঁর জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) বিপরীতে সর্বোচ্চ ১০টি সিম ব্যবহার করতে পারবেন। অতিরিক্ত সক্রিয় সিমগুলো আজ থেকেই দেশের মোবাইল ফোন অপারেটরগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ করে দেওয়া শুরু করেছে। এই পদক্ষেপটি সিম ব্যবস্থাপনায় শৃঙ্খলা ফেরানো এবং মোবাইলভিত্তিক প্রতারণা রোধ করার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

সিম ব্যবহারের সীমা ১৫ থেকে ১০-এ নামল

দীর্ঘদিন ধরে একজন গ্রাহক তার জাতীয় পরিচয়পত্রের বিপরীতে সর্বোচ্চ ১৫টি সিমকার্ড ব্যবহার করার সুযোগ পেতেন। কিন্তু গত ৩০ জুলাই, ২০২৫ তারিখে বিটিআরসি একটি গুরুত্বপূর্ণ নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। সংস্থাটি ঘোষণা করে যে, এই সংখ্যা কমিয়ে ১০টিতে আনা হবে এবং নভেম্বর মাস থেকে অতিরিক্ত সিম নিষ্ক্রিয় করার কাজ শুরু হবে। সেই ঘোষণা অনুযায়ী, আজ ১ নভেম্বর, ২০২৫ থেকে এই নিয়ম পুরোপুরি কার্যকর হলো।

বিটিআরসি সম্প্রতি জারি করা এক বিজ্ঞপ্তিতে স্পষ্ট করে জানিয়েছে যে, নভেম্বর মাস থেকে এই অতিরিক্ত সিমগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিষ্ক্রিয় হয়ে যাবে। এটি একটি কঠোর পদক্ষেপ, যা গ্রাহকদের তাদের সক্রিয় সিমের সংখ্যা যাচাই করতে এবং অপ্রয়োজনীয় সিমগুলো বন্ধ করতে উৎসাহিত করছে।

গুরুত্বপূর্ণ সিম বন্ধ হওয়ার ঝুঁকি ও করণীয়

এই স্বয়ংক্রিয় নিষ্ক্রিয়করণ প্রক্রিয়ার সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো, যেসব ব্যবহারকারী নিজেরা অতিরিক্ত সিম বন্ধ করার উদ্যোগ নেবেন না, তাদের এনআইডিতে নিবন্ধিত গুরুত্বপূর্ণ সিমকার্ডও বন্ধ হয়ে যেতে পারে। কারণ, সিম বন্ধ করার ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষ ‘দৈবচয়ন’ (র‌্যান্ডম সিলেকশন) নীতি অনুসরণ করবে। অর্থাৎ, গ্রাহকের পছন্দ বা প্রয়োজনের তোয়াক্কা না করে যেকোনো অতিরিক্ত সিম বন্ধ করে দেওয়া হতে পারে। এটি গ্রাহকদের জন্য একটি জরুরি সতর্কবার্তা।

অতিরিক্ত সিম ডি-রেজিস্ট্রেশন বা বন্ধ করতে হলে গ্রাহকদের দ্রুত সংশ্লিষ্ট অপারেটরের কাস্টমার কেয়ার সেন্টারে যোগাযোগ করতে হবে। কাস্টমার কেয়ারে গিয়ে গ্রাহক তাঁর এনআইডির বিপরীতে নিবন্ধিত সিমগুলোর তালিকা দেখতে পারবেন এবং কোনটি রাখতে চান আর কোনটি বন্ধ করতে চান, সেই সিদ্ধান্ত জানাতে পারবেন। এই প্রক্রিয়াটি গ্রাহককে তার প্রয়োজনীয় সিমগুলো সক্রিয় রাখার নিশ্চয়তা দেবে।

বিটিআরসি’র দৃঢ়তা: ডিসেম্বরের মধ্যে লক্ষ্য অর্জন

বিটিআরসি চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) এমদাদ উল বারী গণমাধ্যমকে দেওয়া এক বক্তব্যে এই পদক্ষেপের বিষয়ে কমিশনের দৃঢ় অবস্থান ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেন, “আজ শনিবার (১ নভেম্বর) থেকেই অপারেটররা অতিরিক্ত সিম নিষ্ক্রিয় করা শুরু করেছে। আমরা দৃঢ়ভাবে আশাবাদী যে, ডিসেম্বর মাসের মধ্যে আমরা নিশ্চিত করব, কোনো এনআইডির নামে ১০টির বেশি সিম সক্রিয় থাকবে না।

বিটিআরসি চেয়ারম্যানের এই মন্তব্য সরকারের এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষের জিরো টলারেন্স নীতিকেই তুলে ধরে। এই স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থা বাস্তবায়নে অপারেটরদের সফটওয়্যারে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন আনা হয়েছে এবং বিটিআরসি মনিটরিং-এর মাধ্যমে এই প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করবে।

পরিসংখ্যান: কেন এই কঠোর সিদ্ধান্ত?

বিটিআরসি’র পরিসংখ্যানে মোবাইল সিমের সংখ্যার একটি স্পষ্ট অসঙ্গতি দেখা যায়, যা এই সিদ্ধান্তের যৌক্তিকতা প্রমাণ করে। ২০২৫ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত দেশে সক্রিয় মোবাইল সিমের সংখ্যা ছিল প্রায় ১৮ কোটি ৬২ লাখ। অথচ এই সময়ে দেশের প্রকৃত মোবাইল গ্রাহক সংখ্যা ছিল প্রায় ছয় কোটি ৭৫ লাখ। এই বিশাল ব্যবধানই প্রমাণ করে যে, একজন গ্রাহকের নামে একাধিক সিম নিবন্ধিত হচ্ছে, যা ব্যবস্থাপনায় বড় ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে।

পরিসংখ্যান আরও দেখায় যে:

  • ৮০ শতাংশের বেশি ব্যবহারকারীর নামে পাঁচটির কম সিম সক্রিয় রয়েছে।
  • ৬ থেকে ১০টি সিম ব্যবহার করছেন প্রায় ১৬ শতাংশ গ্রাহক।
  • ১১টির বেশি সিম ব্যবহার করছেন মাত্র তিন শতাংশ গ্রাহক, যারা মূলত এই নতুন নিয়মের আওতায় আসছেন।

যদিও এই ব্যবহারকারীর সংখ্যা শতাংশের হিসাবে কম, তবুও এদের কারণেই সিমের অতিরিক্ত নিবন্ধন এবং তা থেকে সৃষ্ট জটিলতা তৈরি হচ্ছিল। এই অতিরিক্ত সিমগুলো অনেক সময়ই অব্যবহৃত বা প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত হওয়ার ঝুঁকি তৈরি করত।

শৃঙ্খলা ফেরানো ও প্রতারণা রোধই মূল লক্ষ্য

বিটিআরসি কর্মকর্তারা এই সিদ্ধান্তের মূল কারণ ব্যাখ্যা করে জানিয়েছেন যে, সিম ব্যবস্থাপনায় শৃঙ্খলা ফেরানো এবং মোবাইলভিত্তিক প্রতারণা রোধ করাই এই নতুন নিয়মের প্রধান উদ্দেশ্য। অতিরিক্ত সিমকার্ডের ব্যবহার প্রায়শই অবৈধ ভিওআইপি (VoIP) কার্যক্রমে এবং বিভিন্ন আর্থিক প্রতারণা যেমন—ফিশিং বা চাঁদাবাজিতে ব্যবহৃত হয়। সিমের সংখ্যা সীমিত করার মাধ্যমে এই ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের বিস্তার অনেকাংশে কমিয়ে আনা সম্ভব হবে বলে কমিশন মনে করে।

এছাড়াও, একটি এনআইডির বিপরীতে মাত্রাতিরিক্ত সিম থাকার কারণে সিমের প্রকৃত ব্যবহারকারী চিহ্নিত করা কঠিন হয়, যা নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর তদন্ত কাজকেও ব্যাহত করে। ১০টি সিমের সীমা নির্ধারণ করার ফলে প্রত্যেক গ্রাহকের দায়বদ্ধতা বাড়বে এবং সিমের অপব্যবহার রোধ করা যাবে।

আপনার এনআইডিতে কয়টি সিম? যাচাই করার উপায়

গ্রাহকদের মধ্যে যেন কোনো বিভ্রান্তি না থাকে, সেজন্য বিটিআরসি সহজ উপায়ে তাদের নিবন্ধিত সিমের সংখ্যা যাচাই করার সুযোগ দিয়েছে। গ্রাহকরা খুব সহজেই *অনলাইনে বা ১৬০০২# ডায়াল করে নিজেদের এনআইডিতে নিবন্ধিত সিমের সংখ্যা যাচাই করতে পারেন। এই যাচাই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে গ্রাহকরা জানতে পারবেন তাদের কোন কোন অপারেটরের কতগুলো সিম সক্রিয় আছে এবং সেই অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারবেন।

গ্রাহকদের প্রতি নির্দেশনা হলো, যত দ্রুত সম্ভব তারা যেন এই যাচাই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন এবং অতিরিক্ত সিম থাকলে তা কাস্টমার কেয়ারে গিয়ে ডি-রেজিস্ট্রেশন করে নেন। এতে করে তাদের গুরুত্বপূর্ণ সিমগুলো দৈবচয়নের মাধ্যমে বন্ধ হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি এড়ানো যাবে।

ডিজিটাল বাংলাদেশের পথে আরও একধাপ

বিটিআরসি’র এই উদ্যোগ কেবল সিম ব্যবস্থাপনার একটি প্রশাসনিক পরিবর্তন নয়, বরং এটি ডিজিটাল বাংলাদেশের পথে সুশৃঙ্খল এবং নিরাপদ যোগাযোগ নিশ্চিত করার একটি বড় পদক্ষেপ। সিমের সুব্যবস্থাপনা দেশের টেলিযোগাযোগ খাতে স্বচ্ছতা আনবে এবং গ্রাহকদের আস্থাও বাড়াবে। এই পদক্ষেপের সফল বাস্তবায়ন দেশের সাইবার নিরাপত্তা জোরদার করতে এবং মোবাইল আর্থিক সেবার (MFS) অপব্যবহার কমাতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।

অপারেটর এবং গ্রাহক—উভয় পক্ষই এই নতুন নিয়মের সঙ্গে দ্রুত মানিয়ে নিতে পারলে ডিসেম্বরের মধ্যে সিম ব্যবস্থাপনা নিয়ে সরকারের লক্ষ্য অর্জন করা সম্ভব হবে, যা দেশের সামগ্রিক ডিজিটাল ইকোসিস্টেমের জন্য ইতিবাচক বার্তা দেবে।




ভোলায় বিএনপি-বিজেপি সংঘর্ষ, আহত ৫০

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

ভোলায় বিএনপি ও বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি ঘিরে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ৫০ জন। শনিবার (১ নভেম্বর) দুপুরে শহরের নতুন বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, সকাল থেকে জেলা বিএনপি ও বিজেপি’র অফিসের সামনে পাল্টা-পাল্টি কর্মসূচি চলছিল। পরে বিজেপির সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা নতুন বাজারে তাদের দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে মিছিল বের করে। বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে গিয়ে শেষ হয় মিছিলটি।

মিছিলের পর সমাবেশের আয়োজন করেন তারা। অন্যদিকে শহরের মহাজনপট্টিতে জেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ শেষে একটি মিছিল বের করেন দলের নেতাকর্মীরা। নতুন বাজারের পৌর ভবনের সামনে পৌঁছালে উভপক্ষের মধ্যে প্রথমে ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও লাঠি ছোঁড়াছুঁড়ি এবং পরবর্তীতে ধাওয়া ও পাল্টা শুরু হয়। আহত হয় উভয় পক্ষের অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী।

খবর পেয়ে, ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয় পুলিশ। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।