আ. লীগের লকডাউন প্রতিবাদে দুর্গাপুরে বিএনপির বিক্ষোভ ও সমাবেশ

দুর্গাপুর (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি

দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র মোকাবেলা, বিভিন্নস্থানে অগ্নিসংযোগ ও আগামী ‎কালের ডাকা কথিত লকডাউনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে দুর্গাপুর পৌর বিএনপি। বুধবার (১২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের অংশগ্রহনে এ বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।

বিক্ষোভ মিছিল শেষে দলীয় কার্যালয়ে পৌর বিএনপির সভাপতি আতাউর রহমান ফরিদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক হারেজ গণির সঞ্চালনায় অন্যদের মাঝে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা বিএনপি‘র সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আওয়াল, যুগ্ন-সম্পাদক আনোয়ার হোসেন আসাদ, উপজেলা যুবদলের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক এস এম কাইয়ুম, পৌর যুবদলের আহ্বাযক আবু সিদ্দিক রুক্কু, উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব ইউসুফ খান ও পৌর ও যুবদলের সদস্য সচিব সম্রাট গণি, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মির্জা নজরুল সদস্য সচিব হিমেল ছাত্রদল নেতা আলমগীর হোসেন, নুরুজ্জামান জনি সহ বিএনপি ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীগণ।

বক্তারা বলেন, “ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকার দেশের গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে দেশজুড়ে সন্ত্রাস ও নাশকতার রাজনীতি শুরু করেছে। চোরাগুপ্ত ভাবে থাকা ছাত্রলীগ-যুবলীগ দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করছে। আগামীকালের কথিত লকডাউন সাধারণ জনগণ কোনোভাবেই সফল হতে দেবে না। দেশের বিভিন্ন এলাকায় দেয়া অগ্নিসংযোগ ও ভাংচুরের আমরা তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।




নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছি, যা জাতির জন্য ঐতিহাসিক মুহূর্ত হবে : প্রধান উপদেষ্টা

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছে কানাডীয় সাত সদস্যের সংসদীয় প্রতিনিধিদল।

বুধবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এই সাক্ষাতে প্রতিনিধিদলটির নেতৃত্ব দেন সিনেটর সালমা আতাউল্লাহজান। সাক্ষাৎকালে উভয়পক্ষ দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সহযোগিতা আরও জোরদার করা এবং রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় সম্ভাব্য পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করেন।

প্রধান উপদেষ্টা এই প্রতিনিধিদলকে দেশের চলমান সংস্কার প্রক্রিয়া ও আসন্ন ফেব্রুয়ারির জাতীয় নির্বাচন প্রস্তুতি সম্পর্কে অবহিত করেন।

তিনি বলেন, আপনারা এমন এক সময় বাংলাদেশে এসেছেন, যখন দেশটি এক ঐতিহাসিক রূপান্তরের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে—একটি তরুণ-নেতৃত্বাধীন আন্দোলনের ফলাফল হিসেবে। এখন আমরা নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছি, যা জাতির জন্য এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত হয়ে উঠবে।

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি কানাডার দীর্ঘদিনের সহায়তার জন্য কৃতজ্ঞতা জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, রোহিঙ্গা সংকটের আট বছর পেরিয়ে গেছে। তাদের নিজ দেশে প্রত্যাবর্তনই একমাত্র টেকসই সমাধান—এর কোনো বিকল্প নেই। প্রায় ১২ লাখ মানুষ এখানে বসবাস করছে। হাজার হাজার শিশু জন্ম নিচ্ছে, বড় হচ্ছে—কিন্তু তারা জানে না তাদের নাগরিকত্ব কী, ভবিষ্যৎ কী। তারা হতাশ ও ক্ষুব্ধ। এখন আন্তর্জাতিক সহায়তা কমে যাওয়ায় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠছে।

সিনেটর সালমা আতাউল্লাহজান জানান, তিনি রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে বক্তব্য দেবেন এবং এ বিষয়ে কানাডার অব্যাহত অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে কথা বলছি। এটি একটি গুরুতর মানবিক উদ্বেগের বিষয়। বিশ্বের উচিত তাদের শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দিকে মনোযোগী হওয়া।

তিনি প্রফেসর ইউনুসকে ধন্যবাদ জানান রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে তার অব্যাহত প্রচেষ্টার জন্য।

প্রতিনিধিদলে আরও ছিলেন সংসদ সদস্য সালমা জাহিদ (স্কারবোরো সেন্টার–ডন ভ্যালি ইস্ট, লিবারেল), সামির জুবেরি—বৈচিত্র্য, অন্তর্ভুক্তি ও প্রতিবন্ধী বিষয়ক মন্ত্রীর সংসদীয় সচিব এবং পররাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক উন্নয়ন বিষয়ক স্থায়ী কমিটির সদস্য; মাহমুদা খান, হিউম্যান কনসার্ন ইন্টারন্যাশনালের (এইচসিআই) গ্লোবাল সিইও; মাসুম মাহবুব, হিউম্যান কনসার্ন ইউএসএ (এইচসিইউএসএ)-এর সিইও; আহমদ আতিয়া, জেস্টাল্ট কমিউনিকেশনসের সিইও; এবং উসামা খান, ইসলামিক রিলিফ কানাডার সিইও।