মাদ্রাসাছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা, মৃত্যুদণ্ডের ফয়সালা আদালতের

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

মাদারীপুরে আলোচিত মাদ্রাসাছাত্রী দীপ্তি (১৫) ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় ইজিবাইকচালক মো. সাজ্জাদ হোসেন খানকে মৃত্যুদণ্ডের ফয়সালা দিয়েছেন আদালত।

একই সঙ্গে আসামিকে ১০ লাখ টাকা জরিমানার আদেশ দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে মাদারীপুর আদালতের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক শরীফ এ এম রেজা জাকের এ রায় ঘোষণা করেন।

এ সময় মামলার সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অ্যাডভোকেট শরীফ সাইফুল কবির উপস্থিত ছিলেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি সাজ্জাদ মাদারীপুর সদর উপজেলার পূর্ব খাগদী এলাকার মৃত সিরাজুল ইসলামের ছেলে। আসামি এর আগে ১৯৯২ সালে শিশু হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজা খেটে ২০১১ সালে মুক্তি পান।

মামলার নথি থেকে জানা গেছে, ২০১৯ সালের ১৩ জুলাই মাদারীপুর শহরের পূর্ব খাগদী এলাকার একটি পরিত্যক্ত পুকুর থেকে অজ্ঞাত এক কিশোরীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরদিন নিহতের বাবা মজিবর ফকির মরদেহ শনাক্ত করেন এবং তার মেয়ে দীপ্তির মরদেহ বলে জানান।

পরে মজিবর ফকির বাদী হয়ে মাদারীপুর সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনাটি নিয়ে তদন্তে নামে র‌্যাব-৮’র সদস্যরা। তাদের তদন্তে বেরিয়ে আসে, ইজিবাইকচালক সাজ্জাদ হোসেন খান দীপ্তিকে ধর্ষণের পর হত্যা করেছে।

নিহত দীপ্তি মাদারীপুর সদর উপজেলার চরনচনা গ্রামের মজিবর ফকিরের মেয়ে। তিনি বলাইরচর শামসুন্নাহার বালিকা মাদ্রাসার দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন।

র‌্যাবের তদন্তে জানা যায়, সাজ্জাদ হোসেন পূর্বে শিশু হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ছিলেন এবং ২০১১ সালে মুক্তি পান। ২০১৯ সালের ১১ জুলাই বৃষ্টির দিনে জেলা শহরের ইটেরপুল থেকে চরমুগরিয়া যাওয়ার উদ্দেশ্যে দীপ্তি তার ইজিবাইকে ওঠেন। এ সময় অন্যকোনো যাত্রী না থাকার সুযোগে দীপ্তিকে জোর করে পূর্ব খাগদি এলাকায় নিজের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ ও হত্যা করেন। পরে মরদেহ বিদ্যুতের তার দিয়ে বেঁধে কয়েকটি ইটসহ পুকুরে ফেলে দেন। দুই দিন পর লাশটি ভেসে উঠলে এলাকাজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। মানববন্ধন, বিক্ষোভ ও দ্রুত বিচারের দাবিতে ফেটে পড়ে স্থানীয়রা।

দীপ্তির বাবা মজিবর ফকির রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, আমার মেয়ের হত্যাকারী আজ আইনের কাছে জবাবদিহি করেছে। আমরা এই রায়ের মাধ্যমে ন্যায়বিচার পেয়েছি।

মামলার পিপি শরীফ সাইফুল কবীর বলেন, মামলায় একমাত্র আসামি সাজ্জাদ হোসেনকে মৃত্যুদণ্ড এবং ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন। দীর্ঘ ছয় বছর বিচারিক কার্যক্রম শেষে আদালত ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করেছেন। এটি ছিল অত্যন্ত নৃশংস একটি হত্যা ও ধর্ষণ মামলা। আমরা রায়ে সন্তুষ্ট।




রাশিয়ায় আন্তর্জাতিক কুরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম হলেন ইরানি কারী ইসহাক আবদুল্লাহি

ডিএনবি নিউজ আন্ত: ডেস্ক-

রাশিয়ায় অনুষ্ঠিত ২৩তম আন্তর্জাতিক পবিত্র কুরআন প্রতিযোগিতায় ইরানের কোম প্রদেশের (মধ্য ইরান) একজন বিশিষ্ট ইরানি তিলাওয়াতকারী প্রথম স্থান অর্জন করেছেন।

ইসহাক আবদুল্লাহি”, কোম প্রদেশের একজন বিশিষ্ট ইরানি তিলাওয়াতকারী এবং হযরত মাসুমেহ (সা.)-এর মাজার ও জামকারান মসজিদের তিলাওয়াতকারী ও মুয়াজ্জিন।  তিনি রাশিয়ায় অনুষ্ঠিত এই বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের সুযোগকে কাজে লাগিয়ে পবিত্র কুরআন তেলাওয়াতের ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতার এই পর্বে প্রথম স্থান অর্জনে সফল হয়েছেন।

রাশিয়ার রাজধানী মস্কোতে বিশ্বের ৩০টি দেশের প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে এই প্রতিযোগিতাটি ১৫ থেকে ১৮ অক্টোবর, ২০২৫ (২৩ থেকে ২৬ মেহের, চলতি ফার্সি বছর) অনুষ্ঠিত হয়েছিল। আব্দুল্লাহি প্রতিযোগিতার মান এবং বিচারকদের নির্ভুলতাকে অত্যন্ত উচ্চমানের বলে বর্ণনা করে বলেন: “বিচারকদের কঠোরতা সত্ত্বেও, আমি খুশি যে আমি ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া এবং লেবাননের শক্তিশালী আবৃত্তিকারদের সাথে প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করতে পেরেছি।”

ইসহাক আবদুল্লাহি পবিত্র কুরআন বিষয়ক একজন শিক্ষক এবং ইরানের জাতীয় স্বেচ্ছাসেবী বাহিনী বা বাসিজ ও রেড ক্রিসেন্ট কুরআন প্রতিযোগিতায়ও প্রথম স্থান অর্জন করেছেন। তিনি হযরত মাসুমা (সা.)-এর পবিত্র মাজারের প্রতিনিধি হিসেবে তৃতীয় কারবালা আন্তর্জাতিক কুরআন প্রতিযোগিতায় তাহক্বিক-তেলাওয়াত (মাঝারি গতিতে তিলাওয়াত) বিভাগে চতুর্থ স্থান অর্জন করেছেন। #

সূত্র: পার্স টুডে




ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মসজিদের অজুখানা নিয়ে সংঘর্ষ : আহত ২০, গ্রেফতার ৪

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার কাইয়ুমপুর ইউনিয়নের জগন্নাথপুর গ্রামে মসজিদের অজুখানা নির্মাণকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনায় অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত ১২ জনকে প্রথমে কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। পরবর্তী অবস্থার অবনতি হলে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখান থেকে ৬ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

সোমবার (২০ অক্টোবর) বিকালে উপজেলার কাইয়ুমপুর ইউনিয়নের জগন্নাথপুর পূর্বপাড়া জামে মসজিদের সামনে ঘটনাটি ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওই মসজিদের অজুখানা নির্মাণ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলছিল। সোমবার দুপুরে দুলাল মিয়া (৬০), পুলিশ নিয়ে এসে অজুখানার কাজ বন্ধ করে দেন। এ সময় আলম মিয়া (৬০), ফজলু মিয়া (৫৫) ও সাইদ মিয়া (৬৫) সহ নসু হাজির পরিবারের সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। তখন দুলাল মিয়ার অনুসারীরা পুলিশের সামনেই অতর্কিত হামলা চালায়।

এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হন। পুলিশ আহতদের উদ্ধার করে কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায়।

কসবা থানার ওসি রিপন দাস জানান, মসজিদের অজুখানা নির্মাণকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে আছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।