জামায়াতের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদের

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

পিআর নিয়ে জামায়াতে ইসলামীর আন্দোলনকে ‘একটি পরিকল্পিত রাজনৈতিক প্রতারণা’ বলে বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।

রোববার (১৯ অক্টোবর) বিকেলে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে এ মন্তব্য করেন তিনি।

নাহিদ বলেন, ‘জামায়াতে ইসলামীর শুরু করা তথাকথিত “প্রোপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন (পিআর) আন্দোলন” একটি পরিকল্পিত রাজনৈতিক প্রতারণা ছাড়া আর কিছুই না।’

ঐকমত্য কমিশনের সংস্কার প্রক্রিয়াকে লাইনচ্যুত করতে এবং জনগণের অভ্যুত্থানের পরিপ্রেক্ষিতে রাষ্ট্র ও সংবিধান পুনর্গঠন প্রশ্নে জাতীয় আলোচনাকে ভিন্ন খাতে সরিয়ে দিতেই ইচ্ছাকৃতভাবে এর নকশা করা হয়েছে’, বলেন তিনি।

নাহিদ বলেন, ‘ভোটের আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বের ওপর ভিত্তি করে উচ্চকক্ষ প্রতিষ্ঠার মূল সংস্কারের দাবিকে একটি সাংবিধানিক সুরক্ষা হিসাবে কল্পনা করা হয়েছিল। আমরা এই ধরনের মৌলিক সংস্কারগুলোর ওপর ভিত্তি করে একটি আন্দোলন গড়ে তুলতে এবং বিস্তৃত জাতীয় ঐকমত্যের মাধ্যমে জুলাই সনদের আইনি কাঠামো প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিলাম।’




যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর ইসরাইল ৪৭ বার যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের রেকর্ড করেছে

ডিএনবি নিউজ আন্ত: ডেস্ক-

গাজায় যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর থেকে ৪৭ বার ইসরাইল যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের রেকর্ড করেছে। গাজার সরকারি তথ্য অফিস এ তথ্য জানিয়েছে।

শনিবার গাজায় সরকারি তথ্য অফিস ঘোষণা করেছে: গাজায় ইসরাইল কর্তৃক যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন অব্যাহত রয়েছে। এই প্রতিবেদন অনুসারে, গাজায় যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর থেকে ইসরাইল ৪৭ বার যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে।

গাজার সরকারি তথ্য অফিসের মতে, ইহুদিবাদী ইসরাইল কর্তৃক যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের বিভিন্ন ঘটনা ঘটেছে। নাগরিকদের ওপর সরাসরি গুলি চালানো থেকে শুরু করে বোমা হামলা এমনকি ইচ্ছাকৃতভাবে বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্যবস্তু করা পর্যন্ত বিভিন্নভাবে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করা হয়েছে।#

সূত্র: পার্সটুডে




রাফাহ ক্রসিং বন্ধের ঘোষণা নেতানিয়াহুর, হুমকির মুখে যুদ্ধবিরতি চুক্তি

ডিএনবি নিউজ আন্ত: ডেস্ক

গাজায় যুদ্ধবিরতির পরও জারি রয়েছে ইসরায়েলি আগ্রাসন। গেল ১০ অক্টোবর চুক্তি কার্যকরের পর থেকে এ পর্যন্ত ৪৭ বার যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে তেল আবিব।

গোলাবর্ষণ, টার্গেট হামলা ও বেসামরিকদের ওপরগুলি চালানোর অভিযোগ এনেছে স্থানীয় প্রশাসন। মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, এসব হামলায় ব্যবহার করা হয়েছে ট্যাংক, ড্রোন ও সেনা যান।

শেজাইয়া, আল-তুফাহ ও যায়তুনেসেনা মোতায়েন অব্যাহত রেখেছে নেতানিয়াহু বাহিনী। খান ইউনিস থেকেও সেনা পুরোপুরি প্রত্যাহার করা হয়নি। এমনকি বেইত লাহিয়া ও বেইত হানুনে এখনও ফিলিস্তিনিদের প্রবেশ নিষিদ্ধ রয়েছে।

এই অবস্থার মধ্যে গাজার একমাত্র আন্তর্জাতিক প্রবেশদ্বার রাফাহ সীমান্ত খুলে দেয়ার কথা থাকলেও তা পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তার দাবি, হামাস এখনো সব মৃত জিম্মির মরদেহ ফেরত দেয়নি, তাই সীমান্ত খোলা সম্ভব নয়।

ফিলিস্তিনি দূতাবাসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, গেল সোমবার থেকে রাফাহ খুলে দেওয়ার কথা। কিন্তু নেতানিয়াহুর সিদ্ধান্তে তা স্থগিত হয়ে যায়। স্বাধীনতাকামী সংগঠনের দাবি করেছে যে রাফাহ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত যুদ্ধবিরতির শর্ত লঙ্ঘন।

রাফাহ সীমান্ত পুনরায় খোলা ও মানবিক সহায়তা প্রবেশের বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় হওয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তির অন্যতম প্রধান শর্ত ছিল। ওই চুক্তির লক্ষ্য ছিল যুদ্ধ বন্ধ করে গাজার মানবিক সংকট কিছুটা লাঘব করা।

হামাস শনিবার জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে ইসরাইল রাফাহ সীমান্ত বন্ধ রাখলে বন্দিদের মরদেহ হস্তান্তর বিলম্বিত হবে।

এদিকে, যুদ্ধবিরতি চুক্তির আওতায় শনিবার রাতে গাজায় আরও দুই ইসরায়েলি জিম্মির মরদেহ রেডক্রসের কাছে হস্তান্তর করেছে হামাস।  ইসরাইলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) ও নিরাপত্তা সংস্থা (আইএসএ) এক যৌথ বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে।