শাপলা গণহত্যার বিচার দাবিতে আগামীকাল সারাদেশে মানববন্ধন করবে ইসলামী ছাত্রশিবির

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

২০১৩ সালের ৫ মে মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের ঢাকা অবরোধকে কেন্দ্র করে চালানো হত্যাকাণ্ডকে গণহত্যা হিসেবে আখ্যায়িত করেছে ইসলামী ছাত্রশিবির। শাপলা হত্যাকাণ্ডের এক যুগ পূর্তিতে আগামীকাল সোমবার (৫ মে) মানববন্ধনের ডাক দিয়েছে সংগঠনটি।

ছাত্রশিবিরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সব বিভাগীয় শহরে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হবে।

শিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি আবু সাদিক কায়্যিম তার ফেসবুক পোস্টে লিখেন-

৫ মে ২০১৩—গণহ’ত্যার সাক্ষী এক ভয়াল দিন। ইসলাম ও দেশের পক্ষে লক্ষ লক্ষ মানুষ শাপলা চত্বরে জমায়েত হলে, ফ্যাসিবাদী ও খুনি হাসিনা ক্ষমতা রক্ষার নেশায় রাতের আঁধারে বিদ্যুৎ ও যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে চালায় বর্বর হামলা। নিরস্ত্র ধর্মপ্রাণ মানুষের রক্তে রঞ্জিত হয় রাজপথ, রচিত হয় বাংলাদেশের ইতিহাসের নিষ্ঠুরতম অধ্যায়।

খুনি হাসিনার জুলুম, গ্রেফতার ও হত্যার হুমকির ভয়ে সন্তানহারা বহু বাবা-মা মুখ খুলতে পারেনি—বলতে পারেনি, তাদের ছেলে শাপলার শহীদ। মানবাধিকার সংস্থার তদন্ত সর্বস্তরে বাধাগ্রস্ত করা হয়।

হত্যাকারী জালিমদের প্রতি ধিক্কার ও লানত। সেই সাথে আমাদের সম্মিলিত দাবি— শাপলা গণহত্যার দৃষ্টান্তমূলক বিচার নতুন বাংলাদেশে দ্রুত সময়ের মধ্যে নিশ্চিত করতে হবে ।




শাপলার গণহত্যায় হাসিনার বিরুদ্ধে মামলা হওয়া উচিত: আমার দেশের সম্পাদক মাহমুদুর রহমান

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

২০১৩ সালের ৫ মে রাতের আঁধারে রাজধানীর শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীদের ওপর পালিয়ে যাওয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে হত্যাকাণ্ড চালিয়েছেন এর জন্য তার বিরুদ্ধে গণহত্যার মামলার দায়ের করা উচিত বলে মনে করেন দৈনিক আমার দেশের সম্পাদক মাহমুদুর রহমান।

শনিবার (৩ মে) রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে হেফাজতে ইসলামের মহাসমাবেশে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এই কথা বলেন।

মাহমুদুর রহমান বলেন, শাপলা চত্বরে যারা শহীদ হয়েছেন, তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে আজ এখানে এসেছি। ২০১৩ সালের ৫ মে হেফাজতের নেতাকর্মীদের ওপর চালানো গণহত্যার জন্য এখনো কোনো মামলা হয়নি শেখ হাসিনার নামে। কেন আপনারা মামলা করেননি তা আমি জানি না। যারা শাপলায় গণহত্যার শিকার হয়েছেন, তাদের প্রত্যেকের মামলা করা  উচিত শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে।

আমার দেশ সম্পাদক বলেন, আমরা মুসলমান। উম্মতের প্রতি আমাদের ভালোবাসা থাকতে হবে। গাজার শহীদ এবং কাশ্মীরের মুসলমানদের ওপর যুলুমের বিরুদ্ধে আমাদের আন্দোলন করতে হবে।

নারী কমিশন ইস্যুতে অন্তর্বর্তী সরকারকে উদ্দেশ্য করে মাহমুদুর রহমান বলেন, ইউনূস সরকারের কাছে আমার একটি প্রশ্ন, আপনারা অপ্রয়োজনীয় ইস্যু তৈরি করছেন। এই অপ্রয়োজনীয় ইস্যুর জন্য জুলাই আন্দোলন হয়নি। জুলাই আন্দোলনে শহীদ হয়েছে কি নারী সংস্কার কমিশন গঠন করার জন্য? না, ভারতের আধিপত্যের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর জন্য।

মাহমুদুর রহমান বলেন, আপনাদেরকে বলতে চাই, অপ্রয়োজনীয় ইস্যু তৈরি করবেন না ।অপ্রয়োজনীয় যত কমিশন গঠন করেছেন সব বাতিল করতে হবে। রাষ্ট্রের সম্পদ অযথা কাজে নষ্ট করবেন না।

আমার দেশ সম্পাদক বলেন, আমাদের বৃহত্তর লড়াই ভারতের বিরুদ্ধে। আপনারা নারীনীতি নিয়ে লড়াই করতে গিয়ে আমাদের বৃহত্তর লড়াই নষ্ট করার চেষ্টা করবেন না ।




পহেলগাঁও মামলা খারিজ করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট

ডিএনবি নিউজ আন্ত: ডেস্ক
বাহিনীর মনোবলে আঘাত করবেন না-বাদীকে আদালত

ভারতের কাশ্মিরের পহেলগাঁও কাণ্ডে বিচারবিভাগীয় তদন্তের আবেদন খারিজ করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। বাদীর উদ্দেশে শীর্ষ আদালতের মন্তব্য, “প্রত্যেক ভারতীয় হাতে হাত ধরে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করছে। এই সময়ে বাহিনীর মনোবলে আঘাত করবেন না।”

মামলার বাদীকে সতর্ক করে শীর্ষ আদালতের দুই বিচারপতির বেঞ্চ জানিয়েছে, এই পরিস্থিতিতে যেন সশস্ত্র বাহিনীর মনোবল ভাঙা না-হয়। বিচারপতি সূর্যকান্ত এবং বিচারপতি এনকে সিংহের বেঞ্চ জানিয়েছে, “এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত, যখন প্রত্যেক ভারতীয় হাতে হাত ধরে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করছে। বাহিনীর মনোবলে আঘাত করবেন না। বিষয়টির সংবেদনশীলতাকে দেখুন।”

মামলার বাদীর আবেদনে বলা হয়েছিল, অবসরপ্রাপ্ত কোনও বিচারপতির নেতৃত্বে গঠিত বিচারবিভাগীয় কমিশনের মাধ্যমে যাতে পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার তদন্ত করা হয়। এই আর্জি নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে সুপ্রিম কোর্ট।

আবেদনকারীর আইনজীবীর উদ্দেশে দুই বিচারপতির বেঞ্চের মন্তব্য, দয়া করে দায়িত্বশীল হোন। আপনি কি এই সময়ে বাহিনীর মনোবল ভেঙে দিতে চাইছেন? সুপ্রিম কোর্ট বা হাই কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিরা কবে থেকে তদন্তে বিশেষজ্ঞ হয়ে উঠেছেন? আমরা কবে থেকে এই ক্ষমতা পেয়েছি? আমরা শুধুমাত্র বিরোধের নিষ্পত্তি করি।” সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতিদের প্রশ্নের মুখে পড়ে শেষ পর্যন্ত মামলাকারীর আইনজীবী জানান, তিনি তদন্তের আর্জি জানিয়ে ওই মামলা প্রত্যাহার করে নেবেন।

গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের উপর জঙ্গি হামলার ঘটনায় ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনায় সীমান্তপারের যোগ রয়েছে বলে অভিযোগ ভারতের। যদিও সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে পাকিস্তান। পহেলগাঁও কাণ্ডের পরে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বেশ কিছু কূটনৈতিক পদক্ষেপ করেছে ভারত। পাল্টা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে পাকিস্তানও। এরই মধ্যে কাশ্মীরে নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর পাক সেনার বিরুদ্ধে সংঘর্ষবিরতি লঙ্ঘনেরও অভিযোগ উঠেছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনাও বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে পহেলগাঁও কাণ্ডের তদন্ত করছে এনআইএ।#

সূত্র: পার্সটুডে




যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ৯২ শতাংশ মুসলিম শিক্ষার্থী নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন

ডিএনবি নিউজ আন্ত: ডেস্ক-

যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে বেড়েছে ইসলাম বিরোধী বিদ্বেষ। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের গঠিত টাস্কফোর্স এক প্রতিবেদনে জানায়, ৯২ শতাংশ মুসলিম শিক্ষার্থীই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। অনেকে আছেন ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁসের ভয়ে। টাস্কফোর্স তাদের প্রতিবেদনে আরো জানায়, বিশ্ববিদ্যালয়টিতে ইহুদিবিদ্বেষও বেড়েছে।

‘নিউইয়র্ক টাইমস’-এর এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে।

গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে বিশ্বের বিভিন্ন দেশেই বিক্ষোভ হচ্ছে। অনেক দেশে রাস্তায় নামেন শিক্ষার্থীরাও। যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়েও ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ হয়েছে।

গাজায় চলমান ইসরাইলি হামলাকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে বেড়েছে ইসলাম ও ইহুদিবিদ্বেষ। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের গঠিত দু’টি টাস্কফোর্সের অনুসন্ধানে উঠে এসেছে এমন চিত্র।

গাজা যুদ্ধকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয়টির ক্যাম্পাস যখন বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে, তখনই ওই টাস্কফোর্স দু’টি গঠন করা হয়। হার্ভার্ড ক্যাম্পাসে ইসলাম ও ইহুদিবিদ্বেষের চিত্র তুলে ধরে মঙ্গলবার আলাদা দুটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে উভয় সম্প্রদায়ের ছাত্র-শিক্ষকরা কী ধরনের বৈষম্য ও বৈরিতার মুখোমুখি হচ্ছেন, তা উঠে এসেছে প্রতিবেদনটিতে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯২ শতাংশ মুসলিম শিক্ষার্থীই আশঙ্কা করছেন, গাজা ইস্যুতে নিজেদের রাজনৈতিক মত প্রকাশ করলে অ্যাকাডেমিক এবং পেশার ক্ষেত্রে শাস্তি পেতে হতে পারে। এমনকি অনেকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নিজেদের ওপর হামলার আশঙ্কাও করছেন।

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, ফিলিস্তিনপন্থি আন্দোলনে সরাসরি সম্পৃক্ত শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি অন্য মুসলিম শিক্ষার্থীরাও হেনস্তার শিকার হচ্ছেন। হিজাব পরেন এমন শিক্ষার্থীদেরও মৌখিক হেনস্তার শিকার হতে হয়। অনেককে ডাকা হয় ‘সন্ত্রাসী’ বলে।

প্রতিবেদনে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে ‘ডক্সিং’ বা ব্যক্তিগত তথ্য অনলাইনে ফাঁস করে দেওয়ার বিষয়টি। শুধু শারীরিক নিরাপত্তা ও মানসিক স্বাস্থ্যের জন্যই নয়, বরং শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ কর্মজীবনের জন্যও এটিকে হুমকি হিসেবে আখ্যা দেয়া হয়েছে।

গাজাযুদ্ধ শুরুর পর থেকে ইহুদি ও মুসলিম শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত তথ্য সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ঘটনা বেশ বেড়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনে।




ইসরায়েলের বিস্তীর্ণ এলাকায় আগুন ছড়িয়ে পড়েছে, বেসামরিক ও সামরিক স্থাপনাগুলোকে ঘিরে ফেলেছে, জরুরি অবস্থা ঘোষণা

ডিএনবি নিউজ আন্ত: ডেস্ক

আজ ইসরায়েলের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে আগুন ছড়িয়ে পড়েছে এবং তা বেসামরিক ও সামরিক স্থাপনাগুলোকে ঘিরে ফেলেছে। এ অবস্থায় কর্তৃপক্ষ জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে এবং বিদেশ থেকে সহায়তা চেয়েছে। জেরুজালেমের পাহাড়ে আগুন লাগানোর সন্দেহে ৩ জনকে গ্রেপ্তারের কথা নিশ্চিত করেছে কর্তৃপক্ষ।

সকাল থেকেই জেরুজালেমের পশ্চিম পাহাড়ে ভয়াবহ আগুন ছড়িয়ে পড়ে, যা পরে বিস্তীর্ণ এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে এবং প্রধান সড়কগুলোতে পরিবহন বন্ধ হয়ে যায়।

জেরুজালেম ও তেল আবিবগামী মহাসড়কের কাছে আগুন প্রবলভাবে জ্বলছে, যাতে অন্তত ২২ জন আহত হয়েছেন।

ইসরায়েলি দমকল বাহিনীর জেরুজালেম অঞ্চলের প্রধান বলেন, “আমরা এখনো এই বিশাল অগ্নিকাণ্ড নিয়ন্ত্রণে আনতে অনেক দূরে রয়েছি।”

ইসরায়েলি অগ্নি নির্বাপণ কর্তৃপক্ষ ঘোষণা করেছে, “ভালো অবস্থায় থাকলে আমরা আগামীকাল সকাল নাগাদ আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে পারি।”

দমকল বাহিনীকে সহায়তা করতে সেনা মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছেন ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী।

তিনি বলেন, “আমরা একটি জাতীয় জরুরি পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছি, জীবন বাঁচাতে ও আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে আমাদের সমস্ত শক্তি নিয়োজিত করতে হবে।”

ইসরায়েলি গণমাধ্যম জানিয়েছে, পশ্চিম জেরুজালেমে তীব্র বাতাসের কারণে দমকল বাহিনীর অনেক দল আগুনে আটকে পড়েছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, পশ্চিম জেরুজালেমের একটি সামরিক ঘাঁটিতে ইসরায়েলি দখলদার বাহিনীর সেনারা আগুনে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে।

চ্যানেল ১২ জানায়, অভ্যন্তরীণ ফ্রন্টের জেরুজালেম ও কেন্দ্রীয় অঞ্চলের ব্রিগেড কমান্ডার বলেন, “এই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড কীভাবে শুরু হয়েছে তা এখনো আমাদের অজানা।”

এছাড়া, পশ্চিম জেরুজালেমের আটটি জনপদের বাসিন্দাদের আগুনের কারণে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। জেরুজালেমের হাদাসা আইন কারেম হাসপাতাল থেকেও রোগীদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

ইসরায়েলি অগ্নি নির্বাপন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পশ্চিম জেরুজালেমের আগুনের কারণে জেরুজালেম ও বেন গুরিয়ন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের মধ্যে ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

ইসরায়েলের জরুরি পরিষেবা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শত শত বেসামরিক নাগরিক আগুনের ঝুঁকিতে রয়েছে।

তারা আরও জানায়, তারা ২২ জন আহত ব্যক্তিকে চিকিৎসা দিচ্ছে, যাদের মধ্যে ১২ জনকে ধোঁয়ায় শ্বাসকষ্টের কারণে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে বলেও জানানো হয়।

ইসরায়েলি পুলিশ “এক্স” প্ল্যাটফর্মে এক পোস্টে জানিয়েছে, “জেরুজালেম পাহাড় ও ১ নম্বর মহাসড়ক এলাকায় আগুন ছড়িয়ে পড়ার কারণে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। জনগণকে অনুরোধ করা হচ্ছে যেন তারা ওই এলাকায় যাতায়াত না করে।”

দাউদাউ আগুন
লাত্রুন ও বেইত শেমেশ এলাকার মধ্যবর্তী সড়ক বরাবর বন-জঙ্গল পুড়ে যাওয়ার সময় দাউদাউ আগুন দেখা গেছে। এতে বহু চালক তাদের গাড়ি রাস্তায় ফেলে আগুন থেকে পালিয়ে যান।
ঘন ধোঁয়ায় এলাকা ঢেকে গেছে, যা দৃষ্টিশক্তিকে মারাত্মকভাবে সীমিত করছে এবং অনেকেই সেখানে আটকে পড়ে শ্বাসকষ্টে ভুগছেন।

ইসরায়েলি গণমাধ্যম জানিয়েছে, জেরুজালেমের পশ্চিমে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত বসতি এলাকা খালি করে ফেলা হয়েছে। তারা দমকল কর্মীদের আগুন নেভানোর লড়াইয়ের ছবি সম্প্রচার করেছে।

প্রথমে ধারণা করা হয়েছিল, তীব্র গরম ও প্রবল বাতাসের কারণেই আগুন লেগেছে।

তবে পরে ইসরায়েলের সরকারি বেতার সংস্থা জানায়, জেরুজালেমের পাহাড়ে আগুন লাগানোর সন্দেহে ৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

ইসরায়েলের চ্যানেল ১৪ জানিয়েছে, এই আগুন স্বাভাবিকভাবে লাগেনি, বরং কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে লাগিয়েছে।

ইসরায়েলের জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রী ইতামার বেন গাফির বলেন, “এই আগুনের পেছনে ফিলিস্তিনিরা রয়েছে” এবং তিনি তাদের মৃত্যুদণ্ডের দাবি জানান।

প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু জানান, আগুন নিয়ন্ত্রণে সহায়তার জন্য ইতালি ও ক্রোয়েশিয়া থেকে অগ্নি নির্বাপক বিমান আসবে।

উৎসব বাতিল

এই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ইসরায়েলের প্রতিষ্ঠার ৭৭তম বার্ষিকীর উৎসব শুরুর সাথে সাথে ঘটে, যা ১৯৪৮ সালে দখলকৃত আরব ভূমিতে গঠিত হয়েছিল।

জরুরি সেবা ও উদ্ধার সংস্থা ঘোষণা করেছে, তারা “ইসরায়েলি স্বাধীনতা দিবস” নামে পরিচিত দিবসে — যা আসলে ফিলিস্তিনিদের ‘নাকবা’ (বিপর্যয়)-এর স্মরণদিবস — নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অংশ নিতে পারবে না।

আগুনের ভয়াবহতার কারণে কর্তৃপক্ষ এ উপলক্ষে আয়োজিত অনেক উৎসব ও অনুষ্ঠান বাতিলের ঘোষণা দিয়েছে।