নির্বাচন বিলম্বিত হলে অস্থিরতা বাড়বে: আমির খসরু

‘অন্তর্বর্তী সরকার যে আস্থা হারাচ্ছে সেটি দুর্ভাগ্যজনক’

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বা বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, নির্বাচন যত বিলম্বিত হচ্ছে, দেশকে তত বেশি অস্থিরতার দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। জাতি এখন এক গভীর শঙ্কার মধ্যে রয়েছে। বাংলাদেশ এখন এক অনিশ্চিত অবস্থার মধ্যে আছে। দেশ কোথায় যাচ্ছে, কেউ জানে না। সবাই মিলে স্বৈরাচারকে বিদায় করেছে। এরপর গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় দেশ পরিচালনার যে প্রত্যাশা ছিল, তা হয়নি।

আজ(রোববার) রাজধানীর বনানীতে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন তিনি। এ সময় তিনি চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের দাবি জানান।

আমির খসরু বলেন, সরকার এমনভাবে কাজ করছে যেন তারা একটি নির্বাচিত সরকার। অথচ এটি একটি অন্তর্বর্তী সরকার। তাদের দায়িত্ব ছিল একটি সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজন করে ক্ষমতা নির্বাচিত সরকারের কাছে হস্তান্তর করা।

এসময় সরকারের কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েও প্রশ্ন তোলেন বিএনপির এই নেতা। বলেন, ‘করিডোর, বন্দর, বিনিয়োগ সম্মেলন এসব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। প্রশ্ন হলো, এই সরকারের এসব সিদ্ধান্ত নেওয়ার বৈধতা কোথায়?’

এ সময় ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র সংক্রান্ত আদালতের আদেশ বাস্তবায়ন না হওয়ার বিষয়েও অসন্তোষ জানান তিনি।

আমির খসরু বলেন, যখন আদালতের আদেশ মানা হচ্ছে না, তখন আইনের শাসনের প্রশ্ন চলে আসে। রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো কার স্বার্থে কাজ করছে, সেটাও এখন প্রশ্নবিদ্ধ। সরকার বলে সংস্কার হবে, ঐক্যমত্যে হবে। কিন্তু সেই ঐক্যমত্য কোথায় তৈরি হচ্ছে? কাদের সঙ্গে এই মতৈক্য?’

দলের জন্য নতুন সদস্য সংগ্রহের ব্যাপারে আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরি বলেন, নতুন সদস্য সংগ্রহ করব, তবে তার সামাজিক গ্রহণযোগ্যতা আছে কিনা, এই মানদণ্ড অনুযায়ী আমরা নতুন সদস্য নেব। বাংলাদেশে আমরা একটা স্থিতিশীল সহাবস্থানের রাজনীতি করতে চাই। সাংঘর্ষিক কোনো রাজনীতি আমরা চাই না। যারা বিভিন্নভাবে এটিকে ভিন্ন দিকে নিয়ে যেতে চাইছেন, আমরা তার বিরোধিতা করবই।

তিনি বলেন, আগামীতে যতগুলো নির্বাচন হবে, তা যেন সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় হয়। এটি যেন একটা রুটিনে পরিণত হয়। সরকার যে আস্থা হারাচ্ছে, এটি দেশের জন্য দুর্ভাগ্য। দুই মাস আগে বলা হয়েছে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিষয়টি, যা লিখিত দিয়েছি। অর্থাৎ আইনি প্রক্রিয়ায়। কিন্তু সরকার নাটক কেনো করলো, মানুষের মনে প্রশ্ন জাগে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।#

সূত্র:  পার্সটুডে




দুর্গাপুরে আশানন্দ শীল এর বিরুদ্ধে টয়লেটে আটকে রেখে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীকে শ্লীলতাহানি চেষ্টা

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

টয়লেটে আটকে রেখে পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রীর শ্লীলতাহানি চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে এক প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার চন্ডিগড় ইউনিয়নের আলমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষকের নাম আশানন্দ শীল। এ ঘটনার পরেই তিনি স্কুল ত্যাগ করেন এবং বন্ধ করে রেখেছেন তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার (১৫ মে) স্কুল চলাকালীন সময়ে প্রধান শিক্ষক আশানন্দ শীল ওই স্কুলের পঞ্চম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে টেনে টয়লেট নিয়ে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দেন। পরবর্তিতে ওই ছাত্রীর গায়ে হাত দিলে মেয়েটি চিৎকার শুরু করে পরে অন্য শিক্ষার্থীরা এগিয়ে এসে দরজায় ধাক্কা দিলে শিক্ষক দরজা খুলে বেরিয়ে যান। এসময় ছাত্রীর হাতে ৫০০ টাকা দিতে চান ওই শিক্ষক। পরে ভুক্তভোগী ছাত্রী টাকাটা ডিল মেরে ফেলে দৌড় দিলে তড়িঘড়ি করে স্কুল ত্যাগ করেন ওই শিক্ষক।

এ ঘটনার বিচার চান ভুক্তভোগী পরিবার। অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক ওই বিদ্যালয়ে থাকলে তাদের সন্তানকে ওই বিদ্যালয়ে পাঠাবে না বলছেন তারা। এলাকাবাসী বলছেন এমন ঘটনা কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না। ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবী জানান এলাকাবাসী।

আবুল কাশেম নামের স্থানীয় একজন বলেন, ওই শিক্ষক আগে যে স্কুলে ছিলো, সেখানেও খারাপ কাজ করার জন্য সেখান থেকে তাকে সরানো হয়েছে। সে শিক্ষক নামের কলঙ্ক। আমরা তার অপসারণ চাই।

আবুল বাশার নামের আরেকজন বলেন, এই রকম খারাপ শিক্ষক আমরা স্কুলে চাইনা। সরকারের কাছে অনুরোধ জানাই, ওই শিক্ষককে সারা বাংলাদেশের কোন স্কুলেই যেন পোস্টিং না দেয়া হয়। এমন একজন ব্যক্তির জন্য শিক্ষক নামের শব্দটি যেন আর কলঙ্কিত না হয়

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. বজলুল কাদের বলেন, আমরা ওই স্কুলে গিয়ে এই অভিযোগের সত্যতা পেয়েছি। সেইসাথে ওই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের কাছে জোর সুপারিশ করেছি।

এ বিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. ফজলুর রহমান বলেন, বিষয়টি শুনেছি ইতিমধ্যে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে জানানো হয়েছে। বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখা হচ্ছে, তদন্ত সাপেক্ষে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।




ইসরাইলি সেনাবাহিনীকে উন্নত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) সেবা দেয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছে মার্কিন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান মাইক্রোসফট

ডিএনবি নিউজ আন্ত: ডেস্ক-

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় চলমান আগ্রাসনে ইসরাইলি সেনাবাহিনীকে উন্নত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) এবং ক্লাউড কম্পিউটিং সেবা দেয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছে মার্কিন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান মাইক্রোসফট। পণবন্দীদের উদ্ধার ও গোয়েন্দা তথ্য বিশ্লেষণে এই সহায়তা দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

তবে মাইক্রোসফট দাবি করেছে, তাদের অ্যাজিওর ক্লাউড প্ল্যাটফর্ম বা এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে গাজায় সরাসরি হামলা বা সাধারণ নাগরিকদের ক্ষতি করার কোনো প্রমাণ তারা পায়নি।

শনিবার (১৭ মে) মার্কিন বার্তাসংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

মাইক্রোসফটের করপোরেট ওয়েবসাইটে একটি স্বাক্ষরবিহীন ব্লগ পোস্টে এ তথ্য জানানো হয়। এটিই সম্ভবত প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে প্রথমবারের মতো প্রকাশ্যে স্বীকারোক্তি যে গাজা যুদ্ধে তারা ইসরাইলি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেছে।

এ স্বীকারোক্তির প্রায় তিন মাস আগে অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের এক অনুসন্ধান প্রতিবেদনে উঠে আসে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর ইসরাইলি সেনাবাহিনী বেসরকারি এআই প্রযুক্তির ব্যবহার ২০০ গুণ বাড়িয়েছে এবং এতে মাইক্রোসফটের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, গোয়েন্দা নজরদারির মাধ্যমে সংগৃহীত তথ্য অনুবাদ, বিশ্লেষণ ও যাচাই করার কাজে অ্যাজিওর ব্যবহার করা হত। এসব তথ্য পরবর্তীতে ইসরাইলের নিজস্ব এআই-চালিত টার্গেটিং সিস্টেমের সাথে মিলিয়ে দেখা হত।

এ অংশীদারিত্ব ইসরাইল, ইউক্রেন ও যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিস্তৃত ব্যবহারের জন্য সামরিক বাহিনীর কাছে তাদের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা পণ্য বিক্রি করার জন্য প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর ক্রমবর্ধমান প্রবণতাকে প্রতিফলিত করে। মানবাধিকার সংস্থাগুলোর আশঙ্কা, এ ধরনের এআই প্রযুক্তি ভুল সিদ্ধান্ত গ্রহণের ঝুঁকি তৈরি করে এবং এতে নিরীহ মানুষের মৃত্যু ঘটছে।

মাইক্রোসফট জানিয়েছে, কর্মীদের উদ্বেগ ও সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন সামনে আসায় তারা একটি অভ্যন্তরীণ পর্যালোচনা শুরু করেছে এবং একটি বাইরের সংস্থাকে অতিরিক্ত তথ্য অনুসন্ধানের জন্য নিয়োগ দিয়েছে। তবে তারা ওই সংস্থার নাম বা তাদের প্রতিবেদন প্রকাশ করেনি।

মাইক্রোসফটের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তারা ইসরাইলি সেনাবাহিনীকে সফ্টওয়্যার, পেশাদার পরিষেবা, অ্যাজিওর ক্লাউড স্টোরেজ ও এআই পরিষেবা প্রদান করেছে, যার মধ্যে রয়েছে ভাষা অনুবাদ। তারা ইসরাইলি সরকারের সাথে কাজ করেছে যাতে তারা তাদের জাতীয় সাইবারস্পেসকে বহিরাগত হুমকির বিরুদ্ধে রক্ষা করতে পারে। বিশেষ করে, হামাসের হাতে আটক আড়াই শতাধিক ব্যক্তিকে উদ্ধারের চেষ্টায় ‘বাণিজ্যিক চুক্তির সীমার বাইরে’ কিছু প্রযুক্তি ও ‘জরুরি সহায়তা’ দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে মাইক্রোসফট।

তবে প্রতিষ্ঠানটি এখন পর্যন্ত স্পষ্ট করেনি, তাদের প্রযুক্তি ইসরাইলি সেনাবাহিনী কিভাবে ব্যবহার করেছে এবং মাইক্রোসফট কিংবা তাদের নিযুক্ত বাইরের তদন্তকারী সংস্থা আদৌ ইসরাইলি বাহিনীর সাথে যোগাযোগ করেছে কিনা।




গ্রেফতারের ভয়ে ভ্যাটিকান সফর বাতিল করলেন নেতানিয়াহু

ডিএনবি নিউজ আন্ত: ডেস্ক

গ্রেফতার হওয়ার ভয়ে ভ্যাটিকানে নতুন পোপের অভিষেক অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত বাতিল করেছেন ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। আগামীকাল (রোববার) ভ্যাটিকানে পোপ লিও চতুর্দশ-এর অভিষেক তার অংশ নেওয়ার কথা ছিল।

পার্সটুডে’র প্রতিবেদনে বলা হয়েছেআন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালত (আইসিসি)-এর জারি করা গ্রেফতারি পরোয়ানার কারণে তিনি এই সফর বাতিল করেছেন।

গত কয়েকদিনে নেতানিয়াহুর দপ্তর ইতালি ও ভ্যাটিকানের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলযাতে তারা নিশ্চিত হতে পারে যেতার বিরুদ্ধে জারি হওয়া আন্তর্জাতিক গ্রেফতারি পরোয়ানা কার্যকর করা হবে না। তবে যেসব উত্তর তারা পেয়েছেনতাতে পরোয়ানা কার্যকর না হওয়ার কোনো নিশ্চয়তা পাওয়া যায়নিযে কারণে শেষ পর্যন্ত সফর বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

গাজা উপত্যকায় যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে ২০২৪ সালের ২১ নভেম্বর আইসিসি নেতানিয়াহু এবং তৎকালীন ইসরাইলি যুদ্ধমন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট-এর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে।

আইসিসির আদেশে বলা হয়ক্ষুধাকে ব্যবহার করে যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের জন্য এই দুইজনকে দায়ী করার যৌক্তিক ভিত্তি রয়েছে।

আদালত আরও বলেছেদুইজনের প্রত্যেকের অন্যদের সাথে মিলে যৌথভাবে সহ-অপরাধী হিসেবে নিম্নলিখিত অপরাধের জন্য ফৌজদারি দায়বদ্ধতা রয়েছে: যুদ্ধের পদ্ধতি হিসাবে ক্ষুধার ব্যবহার এবং হত্যানিপীড়ন এবং অন্যান্য অমানবিক কাজের মাধ্যমে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটন।”#

সূত্র: পার্সটুডে




মাগুরার আলোচিত শিশু আছিয়া ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় প্রধান আসামি হিটু শেখের মৃত্যুদ্ণ্ড

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

আলোচিত শিশু আছিয়া ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় প্রধান আসামি হিটু শেখকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া বাকি তিন আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

শনিবার সকাল সাড়ে ৯টায় জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম জাহিদ হাসান এই রায় ঘোষণা করেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত হিটু শেখ শিশু আছিয়ার বোনের শ্বশুর। আর খালাসপ্রাপ্তরা হলেন- শিশুটির বোনের জামাতা সজীব শেখ, সজীবের ভাই রাতুল শেখ ও তাদের মা জাহেদা বেগম।

ঘটনার মাত্র দুই মাস ১১ দিনের মাথায় এই মামলার রায় হলো। গত ১৩ এপ্রিল আলোচিত এই মামলায় অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। ২৩ এপ্রিল অভিযোগ গঠনের মধ্যে দিয়ে শুরু হয় বিচার কার্যক্রম। সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয় ২৭ এপ্রিল। এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে সাক্ষ্য দেন ২৯ জন। ছুটির দিন বাদে টানা শুনানি করে ১২ কার্যদিবসে শেষ হয় বিচার।

গত ৬ মার্চ মাগুরা শহরের নিজনান্দুয়ালী গ্রামে বোনের শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয় আট বছরের শিশু আছিয়া। গুরুতর আহতাবস্থায় প্রথমে তাকে মাগুরা ও ফরিদপুরের হাসপাতাল নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং পরে ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ১৩ মার্চ চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় সে।




হিউম্যান রাইটস ওয়াচ: তেল আবিব জীবন ধ্বংস করতে চাইছে; সানচেজ: ইসরাইল একটি গণহত্যাকারী রাষ্ট্র

ডিএনবি নিউজ আন্ত: ডেস্ক-

ইউরো-ভূমধ্যসাগরীয় মানবাধিকার সংস্থা জানিয়েছে যে গাজার হাসপাতালগুলোতে হামলা চালানোর মাধ্যমে ইসরাইলি সরকারের লক্ষ্য হল এই অঞ্চলের মানুষের জীবন ধ্বংস করা।

গাজার বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে ইহুদিবাদী ইসরাইলি সরকারের অপরাধ এক বিপদজ্জনক পর্যায়ে পৌঁছেছে যেখানে হাসপাতাল ও চিকিৎসা কেন্দ্রগুলোতে সরাসরি আক্রমণ চালানো হচ্ছে। এই অপরাধের সর্বশেষ ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে খান ইউনিসের পূর্বে ইউরোপীয় হাসপাতাল কম্পাউন্ডে ইসরাইল ব্যাপক বোমাবর্ষণ করে যার ফলে ২০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত এবং আরও কয়েক ডজন আহত ও নিখোঁজ হন। পার্সটুডে অনুসারে ইউরো-ভূমধ্যসাগরীয় হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বুধবার এক বিবৃতিতে ঘোষণা করেছে যে ইসরাইল গাজা উপত্যকার হাসপাতালগুলোকে লক্ষ্য করে হামলা চালানোর কারণে জীবন ধ্বংস হচ্ছে এবং এই এলাকার বাসিন্দাদের শেষ আশ্রয়স্থলও ধ্বংস হচ্ছে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে যে, নাসের মেডিকেল কমপ্লেক্সে হামলার পরপরই ইউরোপীয় হাসপাতালে বোমা হামলা এবং এটি বন্ধ করে দেয়ার অর্থ হচ্ছে একটি নীরব মৃত্যুর পথ তৈরি করা এবং এর মাধ্যমে মূলত গাজা উপত্যকাকে সম্পূর্ণ ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেওয়ার লক্ষ্যে অশুভ পরিকল্পনা চলছে । বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে যে দখলদার শাসকগোষ্ঠীর সেনাবাহিনী উদ্ধার কর্মীদের লক্ষ্য করে রাস্তায় হামলা চালানোর কারণে ক্ষতিগ্রস্তদের উদ্ধারের যেকোনো প্রচেষ্টা চরমভাবে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। ইউরো-ভূমধ্যসাগরীয় মানবাধিকার সংস্থা (ইউরো-মেডিটেরেনিয়ান হিউম্যান রাইটস ওয়াচ) গাজা উপত্যকায় গণহত্যা বন্ধে সকল দেশকে তাদের আইনি দায়িত্ব পালন এবং তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।

কানাডা: গাজার ক্ষুধাকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে ইসরায়েল

এই প্রসঙ্গে, কানাডার নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অনিতা আনন্দ বুধবার বলেছেন যে ইসরাইলি সরকার গাজার ক্ষুধাকে “রাজনৈতিক হাতিয়ার” হিসেবে ব্যবহার করছে এবং যুদ্ধবিরতি অর্জনের জন্য আরও বেশি প্রচেষ্টা চালানোর আহ্বান জানিয়েছেন।

স্পেন: ইসরাইল একটি গণহত্যাকারী রাষ্ট্র

স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজও বুধবার বলেছেন যে ইহুদিবাদী শাসনব্যবস্থা একটি গণহত্যাকারী শাসনব্যবস্থা এবং আমাদের এই ধরনের শাসনব্যবস্থার সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্ক না রাখার অধিকার রয়েছে। সানচেজের বক্তব্যের পর, শাসকগোষ্ঠীর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অধিকৃত অঞ্চলে নিযুক্ত স্প্যানিশ রাষ্ট্রদূত আনা সালোমনকে তলব করেছে।

আমস্টারডামের মেয়র: ইউরোপকে ফিলিস্তিনিদের সমর্থন করতে হবে

আমস্টারডামের মেয়র ফেমকে হালসেমা গাজায় ফিলিস্তিনিদের ধ্বংস, অনাহার এবং নৃশংস হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান নেওয়ার জন্য ডাচ সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে জোর দিয়ে বলেছেন: “ইউরোপকে অবশ্যই ফিলিস্তিনিদের সমর্থন করতে হবে।” মানবাধিকার সংকট মোকাবেলায় দ্বৈত নীতির বিরুদ্ধে সতর্ক করে হালসেমা বলেন,  “গাজার জনগণের ভাগ্য ডাচ রাজধানীর অনেক বাসিন্দাকে গভীরভাবে প্রভাবিত করে।” তিনি আরো বলেন,  “গাজায় গণহত্যামূলক সহিংসতা নিয়ে কথা বলা অযৌক্তিক নয় এবং এখন রাজনৈতিক মতপার্থক্য দূরে সরিয়ে জীবন বাঁচানোর দিকে মনোনিবেশ করার সময়।”

ইতালি: গাজায় ইসরায়েলকে আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে

অন্যদিকে, ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি বুধবার বলেছেন যে ইসরাইলি সরকারকে আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে এবং একই সাথে গাজার মানবিক পরিস্থিতিকে ‘দুঃখজনক এবং অযৌক্তিক’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন তিনি।

জার্মানি: গাজায় দুর্ভিক্ষ রোধে জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে

নতুন জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মের্টজ বুধবার গাজার ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ প্রতিরোধে জরুরি পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন, জোর দিয়ে বলেছেন যে ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিকদের মানবিক সহায়তা প্রদান করা সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের জন্য একটি মানবিক কর্তব্য।

পার্সটুডে




‘অপারেশন সিঁদুর’ শেষ হয়নি, স্থগিত রাখা হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি

ডিএনবি নিউজ আন্ত: ডেস্ক

‘অপারেশন সিঁদুর’ শেষ হয়নি, এটি কেবল স্থগিত রাখা হয়েছে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সোমবার (১২ মে) জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে এই হুঁশিয়ারি দেন তিনি।

মঙ্গলবার (১৩ মে) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়েছে।

ভারতশাসিত জম্মু ও কাশ্মীরের পেহেলগামে বন্দুক হামলার পর পাকিস্তানে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নিয়ে জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন মোদি।

মোদি বলেন, ‘পাকিস্তানের জানা উচিত, হামলা এখনও শেষ হয়নি। সন্ত্রাসবাদী স্থাপনার বিরুদ্ধে পাকিস্তানের পদক্ষেপ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পরেই এগুলো কেবল স্থগিত করা হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আগামী দিনগুলোতে আমরা পাকিস্তানের প্রতিটি পদক্ষেপ এই মানদণ্ডে পরিমাপ করব যে পাকিস্তান ভবিষ্যতে কী ধরনের মনোভাব গ্রহণ করবে। যদি পাকিস্তান পিছু হটে বা বিভ্রান্ত করে, আমি আবারও বলছি, আমরা কেবল আমাদের প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ স্থগিত করেছি।’

২২ মিনিটের ভাষণে নরেন্দ্র  মোদি ভারতের ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলা যে পাকিস্তানের কল্পনার বাইরে ছিল তার একটি সারসংক্ষেপ তুলে ধরেন।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘ভারত তার নির্ভুল হামলার মাধ্যমে কেবল পাকিস্তানের সন্ত্রাসী অবকাঠামোই ভেঙে দেয়নি, বরং তাদের মনোবলও ভেঙে দিয়েছে।’

ইসলামাবাদ এবং রাওয়ালপিন্ডিকে (সেনা সদর দফতর) আরেকটি সতর্কবার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘অপারেশন সিঁদুর কেবল একটি অভিযান নয়, বরং সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ভারতের নীতিতে একটি মতবাদগত পরিবর্তন।’

মোদি আরও বলেন, ‘অপারেশন সিঁদুর নতুন স্বাভাবিক (নিউ নরমাল) ঘটনা। যেখানেই সন্ত্রাসী ঘাঁটি রয়েছে সেখানেই ভারত আক্রমণ করবে এবং আমাদের দেশে আক্রমণ করা হলে তার জবাব জোরালোভাবে দেবে।’

পাকিস্তানের ‘পারমাণবিক ব্ল্যাকমেইল’-এর বিরুদ্ধে তিনি বলেন, এটি ভারতকে দমাতে পারবে না। ভারত কোনো পারমাণবিক ব্ল্যাকমেইল সহ্য করবে না। ভারত পারমাণবিক ব্ল্যাকমেইলের আড়ালে গড়ে ওঠা সন্ত্রাসী আস্তানাগুলোতে সুনির্দিষ্ট এবং চূড়ান্তভাবে আঘাত করবে।

তিনি পাকিস্তানকে সতর্ক করে বলেন যে ‘ভারত সন্ত্রাসবাদের পৃষ্ঠপোষক সরকার এবং সন্ত্রাসী হামলার মূল পরিকল্পনাকারীদের মধ্যে পার্থক্য করবে না।’

পাকিস্তানে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ পরিচালনার পর চারদিনের পালটাপালটি সংঘর্ষ হয় ইসলামাবাদ ও নয়াদিল্লির মধ্যে।  এরপর যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় শনিবার যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর দু’দিন পর সোমবার (১২ মে) জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন মোদি।




আ.লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে খেলাফত মজলিস

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

আওয়ামী লীগের সকল রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার অন্তর্বর্তী সরকারের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে খেলাফত মজলিস। গতরাতে দলটির উপদেষ্টা পরিষদের বিশেষ বৈঠকে এই সিদ্ধান্তকে “গণআন্দোলনের বিজয়” হিসেবে আখ্যায়িত করেন দলটির নেতৃবৃন্দ।

রবিবার (১১ মে) গণমাধ্যমে পাঠানো এক যৌথ বিবৃতিতে খেলাফত মজলিসের আমীর মাওলানা আবদুল বাছিত আজাদ ও মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের বলেন, “জুলাই-আগস্ট গণহত্যা সহ বিগত সাড়ে ১৫ বছরে সংঘটিত নানা মানবতাবিরোধী অপরাধের সাথে আওয়ামী লীগের জড়িত থাকার বিষয়টি আজ আর কারো অজানা নয়। ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করতে দলটি ভারতের সহযোগিতায় দেশের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিল, যার ফল ভুগতে হয়েছে সাধারণ জনগণকে।”

বিবৃতিতে বলা হয়, ৫ আগস্ট ২০২৪ সালের অভ্যুত্থান-পরবর্তী সময় থেকেই দলটি আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ ও নিবন্ধন বাতিলের দাবিতে আন্দোলন করে আসছিল। “ছাত্র-জনতার ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের ফলেই অন্তর্বর্তী সরকার আওয়ামী লীগের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিতে বাধ্য হয়েছে,” বলা হয় বিবৃতিতে।

খেলাফত মজলিস সরকারকে অনতিবিলম্বে দল হিসেবে আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বাতিল, অপরাধে জড়িত নেতাকর্মীদের বিচার এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছে।




যুদ্ধবিরতি কার্যকরের ঘোষণা দিয়েছে দুই দেশ ভারত-পাকিস্তান

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

অবশেষে দুই প্রতিবেশী ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধ পরিস্থিতির সাময়িক ইতি ঘটল। যুদ্ধবিরতি কার্যকরের ঘোষণা দিয়েছে দুই দেশই। এর আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দুই দেশ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে বলে জানান।

বিবিসির খবরে বলা হয়, ভারত ঘোষণা করেছে যে, স্থানীয় সময় আজ শনিবার (১০ মে) বিকেল পাঁচটা থেকে স্থল, বিমান ও নৌবাহিনী পাকিস্তানের দিকে সব ধরনের গুলি চালানো বন্ধ রাখছে।

ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি বলেছেন, পাকিস্তানের ডিরেক্টর জেনারেল মিলিটারি অপারেশন্স ভারতীয় সময় তিনটা ৩৫ মিনিটে ভারতের ডিরেক্টর জেনারেল মিলিটারি অপারেশন্সকে ফোন করেছিলেন। তাদের দুজনের মধ্যে স্থির হয়েছে আজ ভারতীয় সময় বিকেল পাঁচটা থেকে দুই পক্ষই সব ধরনের গুলি-গোলা চালানো এবং স্থল, আকাশ ও জলপথে সামরিক কর্মকাণ্ড বন্ধ করবে।
দুই দেশের পক্ষ থেকে দুই দিকেই এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

দুই ডিজিএমও আবার ১২ তারিখ সোমবার দুপুর ১২টার সময়ে কথা বলবেন বলে বিক্রম মিশ্রি।

এদিকে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও উপ-প্রধানমন্ত্রী ইসাক দার একটি টুইট বার্তায় বলেছেন, পাকিস্তান ও ভারত অবিলম্বে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে।

তিনি লিখেছেন, এই অঞ্চলে শান্তি এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য পাকিস্তান সবসময়েই চেষ্টা করে যাচ্ছে এবং কখনোই নিজের সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতার প্রশ্নে আপস করেনি।

এর কিছুক্ষণ আগেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক্স প্ল্যাটফর্মে দেয়া একটি বার্তায় জানান যে, ভারত ও পাকিস্তান- দুই দেশ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে।

পাকিস্তানের বেসরকারি টিভি চ্যানেল জিও নিউজকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে ইসাক দার বলেন, যুদ্ধ কোনো কিছুর জন্যই সমাধান নয়। আজ বিকাল সাড়ে চারটা থেকে (পাকিস্তানের সময়) যু্দ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে।




ভারতের এস-৪০০ ধ্বংসের দাবি পাকিস্তানের; দ্য হিন্দু বলছে দাবিটি অসত্য

ডিএনবি নিউজ আন্ত: ডেস্ক

ভারতের অত্যাধুনিক আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এস-৪০০ ধ্বংসের দাবি করেছে পাকিস্তান। ইসলামাবাদের দাবি, ভারতের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি সামরিক স্থাপনায় তাদের পাল্টা হামলায় যেসব ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তার বিবরণে ভারতের এস-৪০০ ধ্বংসের কথা বলা হচ্ছে। পাকিস্তানের তিন বিমানঘাঁটিতে ভারতীয় হামলার পাল্টা জবাবে এ হামলা চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসলামাবাদ সরকার।

পাকিস্তান এই পাল্টা হামলার নাম দিয়েছে ‘অপারেশন বুনইয়ান–উন–মারসুস’। আরবি শব্দ বুনইয়ান–উন–মারসুস –এর অর্থ হলো ‘সুদৃঢ়, সুসংগঠিত ও অভেদ‍্য প্রাচীর’।

ভারত অত্যাধুনিক আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এস-৪০০ রাশিয়ার কাছ থেকে কিনেছে।

পাকিস্তানের দাবি, অপারেশন বুনইয়ানুম মারসুসের অংশ হিসেবে তারা ভারতের পাঞ্জাবের জলন্ধর জেলার আদমপুরে অবস্থিত এস-৪০০ বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে সফলভাবে লক্ষ্যবস্তু করে ধ্বংস করেছে।

পাকিস্তানের নিরাপত্তা সূত্রের মতে, দেশটির বিমান বাহিনী তাদের প্রতিশোধমূলক হামলায় হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তি ব্যবহার করেছে, যার মধ্যে একটি জেএফ-১৭ থান্ডার বিমান গুরুতর আঘাত হেনেছে বলে জানা গেছে। এস-৪০০ সিস্টেমটি অত্যাধুনিক। এটির মূল্য প্রায় ১.৫ বিলিয়ন ডলার। যা ভারতের সবচেয়ে মূল্যবান কৌশলগত সম্পদের মধ্যে একটি।

অবশ্য ভারতের একজন সেনা কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে দেশটির দৈনিক দ্য হিন্দু লিখেছে, পাকিস্তানের এই দাবি মিথ্যা।

গত মঙ্গলবার রাতে পাকিস্তানে ভারত ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর পর থেকেই পাকিস্তান নানা সাফল্যের দাবি করছে। তারা সে রাতে পাকিস্তানের ৫টি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার দাবি করেছে। পরে ড্রোন ধ্বংস করার দাবি করেছে। যদিও এসব খবরকে সত্যতা স্বীকার করেনি ভারত। তবে কয়েকটি সূত্র ফ্রান্সের কাছে থেকে কেনা রাফাল বিমান ভূপাতিত করার খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছে।#

সূত্র: পার্সটুডে