রোহিঙ্গা ইস্যুতে একযোগে কাজ করবে বাংলাদেশ-জাপান

রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করবে জাপান। পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন টোকিওতে জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইওয়ায়া তাকেশির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেছেন। বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা হয়।

শুক্রবার (৩০ মে) জাপানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এ বৈঠক হয়।

বৈঠকের বিষয়ে জাপানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন ও জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইওয়ায়া তাকেশি দুই দেশের মধ্যে ‘কৌশলগত অংশীদারিত্ব’ পুনর্ব্যক্ত করেন। তারা অর্থনীতি, উন্নয়ন সহযোগিতা, নিরাপত্তা, জনগণের সঙ্গে যোগাযোগ এবং সাংস্কৃতিক বিনিময়ের মতো বিস্তৃত ক্ষেত্রে সহযোগিতা বৃদ্ধিতে একমত হন।

তারা উভয়েই মতামত ব্যক্ত করেন যে, উভয় দেশ মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে বাস্তুচ্যুত ব্যক্তিদের সমস্যাসহ আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বিষয়গুলোতে একসঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কার্যক্রম চালিয়ে যাবে।

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের চার দিনের জাপান সফরে সফরসঙ্গী হিসেবে অন্যান্যদের মধ্যে রয়েছেন তৌহিদ হোসেন। সফর শেষে প্রধান উপদেষ্টা এখন ঢাকার পথে রওয়ানা দিয়েছেন।




ইসলামের দৃষ্টিতে সাজসজ্জা ও পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা

পবিত্র ইসলাম ধর্ম সৌন্দর্য ও সাজসজ্জার ওপর বিশেষ গুরুত্ব প্রদান করেছে। এই ধর্ম তার অনুসারীদের নির্দেশ দেয় যে, তারা যেন সর্বদা নিজেদের জীবন থেকে কদর্যতা ও কুৎসিততার চিহ্নগুলো দূর করে এবং অন্যদের সাথে দেখা করার সময় সুসজ্জিত ও সুন্দরভাবে নিজেদেরকে উপস্থাপন করে।

এই নিবন্ধে আমরা ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গিতে সাজসজ্জা ও পরিচ্ছন্নতার গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করব।

সাজসজ্জার সংজ্ঞা

‘সাজসজ্জা’ অর্থ সুসজ্জিত হওয়া। আভিধানিকভাবে এর অর্থ ‘সাজানো বা অলংকৃত করা’। তবে এর আরও কিছু অর্থ রয়েছে, যেমন সুশৃঙ্খল ও পরিপাটি হওয়া, সামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়া এবং প্রস্তুত থাকা।

কুরআনের দৃষ্টিতে সাজসজ্জা

পবিত্র কুরআনের দৃষ্টিতে সৌন্দর্য উপলব্ধির সক্ষমতা আল্লাহর পক্ষ থেকে মানুষের আত্মায় প্রদত্ত একটি স্বভাবজাত গুণ। সৃষ্টিজগতে সুন্দর বস্তুর উপস্থিতি এই স্বভাবজাত চাহিদারই প্রতিক্রিয়া এবং এটি মহান স্রষ্টার অমূল্য নিদর্শন। আল্লাহ তায়ালা কুরআনে বলেন: “নিশ্চয়ই আমরা নিকটবর্তী আকাশকে নক্ষত্ররাজির সৌন্দর্য দ্বারা সজ্জিত করেছি।” (সূরা সাফফাত: ৬)

এই আয়াত অনুসারে, আল্লাহ নক্ষত্রগুলোকে আকাশের সৌন্দর্য হিসেবে সৃষ্টি করেছেন এবং এটিকে তাঁর নিয়ামত হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

ইমামদের (আ.) দৃষ্টিকোণ থেকে সাজসজ্জার গুরুত্ব

আমাদের পবিত্র ইমামরা সাজসজ্জা ও পরিচ্ছন্নতার গুরুত্বের ওপর জোর দিয়েছেন এবং নিজেরাই এই নীতি মেনে চলেছেন। মহানবী মুহাম্মাদ (সা.) বলেন: “আল্লাহ পবিত্র, পবিত্রতাকে ভালোবাসেন; পরিচ্ছন্ন, পরিচ্ছন্নতাকে ভালোবাসেন।”

হজরত আলী (আ.) যিনি অত্যন্ত বিনয়ী ও সরল জীবনযাপন করতেন, তবুও সাজসজ্জা ও পরিচ্ছন্নতায় অবহেলা করতেন না। তিনি বলেন:
“তোমাদের প্রত্যেকে যেন তার মুসলিম ভাইয়ের জন্য সাজে, ঠিক যেমন সে অপরিচিত ব্যক্তির জন্য সাজে যে তাকে সর্বোত্তম অবস্থায় দেখতে চায়।”

সাজসজ্জার ধরন

সাজসজ্জা দুই ধরনের হয়:

১. আত্মিক সাজসজ্জা ২. বাহ্যিক সাজসজ্জা

আত্মিক সাজসজ্জাকে তিনটি ভাগে ভাগ করা যায়:

১. চিন্তাভাবনার সাজসজ্জা– এর মধ্যে জ্ঞান, প্রজ্ঞা ও শিষ্টাচার অন্তর্ভুক্ত।

২. বাক্যের সাজসজ্জা

৩. আচরণের সাজসজ্জা

বাহ্যিক সাজসজ্জা

বাহ্যিক সৌন্দর্য্য ও সাজসজ্জা ব্যক্তিগত এবং সামাজিক জীবনের সুস্থতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে এবং এটি মানুষের প্রাকৃতিক চাহিদা ও প্রকৃতির সাথে যুক্ত। মহানবী (সা.) বলেন: ‘পরিচ্ছন্নতা ঈমানের অংশ’।#