পহেলগাঁও মামলা খারিজ করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট

ডিএনবি নিউজ আন্ত: ডেস্ক
বাহিনীর মনোবলে আঘাত করবেন না-বাদীকে আদালত

ভারতের কাশ্মিরের পহেলগাঁও কাণ্ডে বিচারবিভাগীয় তদন্তের আবেদন খারিজ করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। বাদীর উদ্দেশে শীর্ষ আদালতের মন্তব্য, “প্রত্যেক ভারতীয় হাতে হাত ধরে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করছে। এই সময়ে বাহিনীর মনোবলে আঘাত করবেন না।”

মামলার বাদীকে সতর্ক করে শীর্ষ আদালতের দুই বিচারপতির বেঞ্চ জানিয়েছে, এই পরিস্থিতিতে যেন সশস্ত্র বাহিনীর মনোবল ভাঙা না-হয়। বিচারপতি সূর্যকান্ত এবং বিচারপতি এনকে সিংহের বেঞ্চ জানিয়েছে, “এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত, যখন প্রত্যেক ভারতীয় হাতে হাত ধরে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করছে। বাহিনীর মনোবলে আঘাত করবেন না। বিষয়টির সংবেদনশীলতাকে দেখুন।”

মামলার বাদীর আবেদনে বলা হয়েছিল, অবসরপ্রাপ্ত কোনও বিচারপতির নেতৃত্বে গঠিত বিচারবিভাগীয় কমিশনের মাধ্যমে যাতে পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার তদন্ত করা হয়। এই আর্জি নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে সুপ্রিম কোর্ট।

আবেদনকারীর আইনজীবীর উদ্দেশে দুই বিচারপতির বেঞ্চের মন্তব্য, দয়া করে দায়িত্বশীল হোন। আপনি কি এই সময়ে বাহিনীর মনোবল ভেঙে দিতে চাইছেন? সুপ্রিম কোর্ট বা হাই কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিরা কবে থেকে তদন্তে বিশেষজ্ঞ হয়ে উঠেছেন? আমরা কবে থেকে এই ক্ষমতা পেয়েছি? আমরা শুধুমাত্র বিরোধের নিষ্পত্তি করি।” সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতিদের প্রশ্নের মুখে পড়ে শেষ পর্যন্ত মামলাকারীর আইনজীবী জানান, তিনি তদন্তের আর্জি জানিয়ে ওই মামলা প্রত্যাহার করে নেবেন।

গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের উপর জঙ্গি হামলার ঘটনায় ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনায় সীমান্তপারের যোগ রয়েছে বলে অভিযোগ ভারতের। যদিও সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে পাকিস্তান। পহেলগাঁও কাণ্ডের পরে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বেশ কিছু কূটনৈতিক পদক্ষেপ করেছে ভারত। পাল্টা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে পাকিস্তানও। এরই মধ্যে কাশ্মীরে নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর পাক সেনার বিরুদ্ধে সংঘর্ষবিরতি লঙ্ঘনেরও অভিযোগ উঠেছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনাও বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে পহেলগাঁও কাণ্ডের তদন্ত করছে এনআইএ।#

সূত্র: পার্সটুডে




যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ৯২ শতাংশ মুসলিম শিক্ষার্থী নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন

ডিএনবি নিউজ আন্ত: ডেস্ক-

যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে বেড়েছে ইসলাম বিরোধী বিদ্বেষ। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের গঠিত টাস্কফোর্স এক প্রতিবেদনে জানায়, ৯২ শতাংশ মুসলিম শিক্ষার্থীই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। অনেকে আছেন ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁসের ভয়ে। টাস্কফোর্স তাদের প্রতিবেদনে আরো জানায়, বিশ্ববিদ্যালয়টিতে ইহুদিবিদ্বেষও বেড়েছে।

‘নিউইয়র্ক টাইমস’-এর এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে।

গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে বিশ্বের বিভিন্ন দেশেই বিক্ষোভ হচ্ছে। অনেক দেশে রাস্তায় নামেন শিক্ষার্থীরাও। যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়েও ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ হয়েছে।

গাজায় চলমান ইসরাইলি হামলাকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে বেড়েছে ইসলাম ও ইহুদিবিদ্বেষ। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের গঠিত দু’টি টাস্কফোর্সের অনুসন্ধানে উঠে এসেছে এমন চিত্র।

গাজা যুদ্ধকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয়টির ক্যাম্পাস যখন বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে, তখনই ওই টাস্কফোর্স দু’টি গঠন করা হয়। হার্ভার্ড ক্যাম্পাসে ইসলাম ও ইহুদিবিদ্বেষের চিত্র তুলে ধরে মঙ্গলবার আলাদা দুটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে উভয় সম্প্রদায়ের ছাত্র-শিক্ষকরা কী ধরনের বৈষম্য ও বৈরিতার মুখোমুখি হচ্ছেন, তা উঠে এসেছে প্রতিবেদনটিতে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯২ শতাংশ মুসলিম শিক্ষার্থীই আশঙ্কা করছেন, গাজা ইস্যুতে নিজেদের রাজনৈতিক মত প্রকাশ করলে অ্যাকাডেমিক এবং পেশার ক্ষেত্রে শাস্তি পেতে হতে পারে। এমনকি অনেকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নিজেদের ওপর হামলার আশঙ্কাও করছেন।

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, ফিলিস্তিনপন্থি আন্দোলনে সরাসরি সম্পৃক্ত শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি অন্য মুসলিম শিক্ষার্থীরাও হেনস্তার শিকার হচ্ছেন। হিজাব পরেন এমন শিক্ষার্থীদেরও মৌখিক হেনস্তার শিকার হতে হয়। অনেককে ডাকা হয় ‘সন্ত্রাসী’ বলে।

প্রতিবেদনে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে ‘ডক্সিং’ বা ব্যক্তিগত তথ্য অনলাইনে ফাঁস করে দেওয়ার বিষয়টি। শুধু শারীরিক নিরাপত্তা ও মানসিক স্বাস্থ্যের জন্যই নয়, বরং শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ কর্মজীবনের জন্যও এটিকে হুমকি হিসেবে আখ্যা দেয়া হয়েছে।

গাজাযুদ্ধ শুরুর পর থেকে ইহুদি ও মুসলিম শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত তথ্য সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ঘটনা বেশ বেড়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনে।