ভারতে ওয়াকফ আইন পাস : পান্না জেলায় বুলডোজারে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে একটি মাদ্রাসা। 

ডিএনবি নিউজ আন্তর্জাতিক ডেস্ক :

ভারতে সম্প্রতি পাস হয়েছে ওয়াকফ আইন। এ নিয়ে দেশটির নানা প্রান্তে তীব্র বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ চলছে। পাশাপাশি দেশের শীর্ষ আদালতেও আইনটি বাতিলের দাবিতে একাধিক পিটিশন জমা পড়েছে।

তবে তীব্র বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সত্ত্বেও এরই মধ্যে ওই আইনের অধীনে পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। প্রথম পদক্ষেপ হিসেবেই বিজেপি শাসিত মধ্যপ্রদেশের পান্না জেলায় বুলডোজারে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে একটি মাদ্রাসা।

প্রশাসনের দাবি, অবৈধভাবে জায়গা দখল করে তৈরি করা হয়েছিল ওই মাদ্রাসা। নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটি ওই প্রতিষ্ঠানটি ভেঙে ফেলেছে।

প্রশাসনিক কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, অবৈধভাবে নির্মাণের অভিযোগে ওই মাদ্রাসার বিরুদ্ধে প্রথম অভিযোগ দায়ের করেছিলেন এক মুসলিম ব্যক্তি। সেই অভিযোগের পর মধ্যপ্রদেশের বিজেপি সভাপতি বিষ্ণু দত্ত শর্মা প্রশাসনের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন। এরপর মাদ্রাসা কমিটির কাছে নোটিশ পাঠায় প্রশাসন। সেই নোটিশের ভিত্তিতে মাদ্রাসা কমিটিই ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বুলডোজার নিয়ে আসে বলে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়।

প্রতিবেদনে আরও দাবি করা হয়, কর্মকর্তারা জানিয়েছেন- স্থানীয় প্রশাসন এটি ভেঙে ফেলার জন্য পদক্ষেপ নেওয়ার আগেই সদ্য পাস হওয়া ওয়াকফ আইনের প্রেক্ষিতে মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটি নিজে থেকেই ব্যবস্থা নিয়েছে। পান্নার বিডি কলোনিতে গত ৩০ বছর ধরে অবৈধভাবে চলছিল মাদ্রাসাটি। বছরের পর বছর ধরে একাধিক নোটিশ জারি করা সত্ত্বেও কাজের কাজ কিছু হয়নি। তবে, ওয়াকফ সংশোধনী আইন প্রণয়ন এবং কঠোর প্রয়োগের সতর্কতা জারির পর মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সদস্যরা স্বেচ্ছায় কাঠামোটি ভেঙে ফেলার জন্য বুলডোজার ব্যবহার করে।

মধ্যপ্রদেশের বিজেপি সভাপতি বিষ্ণু দত্ত শর্মা স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “ওয়াকফ সংশোধনী আইনের মাধ্যমে এই ধরনের অপব্যবহার রোখা যাবে। এই ধরনের সম্পত্তিগুলোকে সরাসরি কাজে লাগানো হবে। বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের আড়ালে সংগৃহীত তহবিল এখন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সদস্যদের উন্নয়নের জন্য ব্যবহার করা হবে।

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া




নতুন করে আবারো পাসপোর্টে যুক্ত হলো ‘এক্সসেপ্ট ইসরায়েল’

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

বাংলাদেশের পাসপোর্টে দীর্ঘদিন ধরে ‘এক্সসেপ্ট ইসরায়েল’ বা ইসরায়েল ব্যতীত কথাটি উল্লেখ ছিল। তবে আওয়ামী লীগ সরকার গোপনে এই বিষয়টি পাসপোর্ট থেকে বাদ দিয়েছিল। অন্তর্বর্তীকালীন সেই কথাটি আবার পাসপোর্টে যুক্ত করল।

রোববার (১৩ এপ্রিল) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা বিভাগ থেকে প্রকাশিত প্রজ্ঞাপনে বিষয়টি জানানো হয়েছে।

এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের উপসচিব নীলিমা আফরোজ বলেন, পাসপোর্টে নতুন করে ‘এক্সসেপ্ট ইসরায়েল’ বিষয়টি বহাল করা হয়েছে। এ নিয়ে একটি প্রজ্ঞাপনও জারি করা হয়েছে।

আগে বাংলাদেশের পাসপোর্টে লেখা থাকত, ‘এই পাসপোর্ট বিশ্বের সব দেশের জন্য বৈধ, ইসরায়েল ব্যতীত’। তবে, শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার ২০২০ সালে দেশে নতুন ই-পাসপোর্ট চালু করলে সেই পাসপোর্টগুলো থেকে এই লেখা বাদ দেয়। এমনকি এ বিষয়ে কোনো ঘোষণাও দেওয়া হয়নি।

এর আগে, শনিবার (১২ এপ্রিল) ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি প্রকাশের কর্মসূচি ‘মার্চ ফর গাজা’র ঘোষণাপত্রে বাংলাদেশের পাসপোর্টে ‘এক্সসেপ্ট ইসরায়েল’ (ইসরায়েল ব্যতীত) লেখাটি আবারও উল্লেখ করার দাবি জানানো হয়েছিল।




‘মার্চ ফর গাজা’র ঘোষণাপত্র ও অঙ্গীকারনামায় যা রয়েছে

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর অব্যাহত বর্বর গণহত্যার বিরুদ্ধে প্রতিবাদে আয়োজিত এই কর্মসূচিতে ঘোষণাপত্র ও অঙ্গীকারনামা পাঠ করা হয়েছে।

শনিবার (১২ এপ্রিল) বিকেলে রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গণজমায়েতে ঘোষণাপত্র ও অঙ্গীকারনামা পাঠ করেন দৈনিক আমার দেশের সম্পাদক মাহমুদুর রহমান।

প্যালেস্টাইন সলিডারিটি মুভমেন্ট বাংলাদেশ আয়োজিত এই কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিব মুফতি মুহাম্মদ আবদুল মালেক। তাঁর মোনাজাতের মাধ্যমে অল্প সময়ে সম্পন্ন হয় গণজমায়েত।

মাহমুদুর রহমানের পাঠ করা ঘোষণাপত্র ও অঙ্গীকারনামাটি নিচে হুবহু তুলে ধরা হলো-

বিসমিল্লাহির রাহমানীর রাহীম। আল্লাহর নামে শুরু করছি, যিনি পরাক্রমশালী, যিনি ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠাকারী, যিনি মজলুমের পাশে থাকেন, আর জালেমের পরিণতি নির্ধারণ করেন।

আজ আমরা, বাংলাদেশের জনতা-যারা জুলুমের ইতিহাস জানি, প্রতিবাদের চেতনা ধারণ করি-সমবেত হয়েছি গাজার মৃত্যুভয়হীন জনগণের পাশে দাঁড়াতে। আজকের এই সমাবেশ কেবল প্রতিবাদ নয়, এটি ইতিহাসের সামনে দেওয়া আমাদের জবাব, একটি অঙ্গীকার, একটি শপথ।

এই পদযাত্রা ও গণজমায়েত থেকে আজ আমরা চারটি স্তরে আমাদের দাবিসমূহ উপস্থাপন করব-

আমাদের প্রথম দাবিগুলো জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি।

যেহেতু-জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় সকল জাতির অধিকার রক্ষার, দখলদারিত্ব ও গণহত্যা রোধের সংকল্প প্রকাশ করে;

এবং আমরা দেখেছি, গাযায় প্রতিদিন যে রক্তপাত, যে ধ্বংস চলছে, তা কোনো একক সরকারের ব্যর্থতা নয়-বরং এটি একটি আন্তর্জাতিক ব্যর্থতার ফল; এবং এই ব্যর্থতা শুধু নীরবতার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়-বরং পশ্চিমা শক্তিবলয়ের অনেক রাষ্ট্র সরাসরি দখলদার ইজরায়েলকে অস্ত্র, অর্থ ও কূটনৈতিক সহায়তা দিয়ে এই গণহত্যাকে দীর্ঘস্থায়ী করেছে; এবং এই বিশ্বব্যবস্থা দখলদার ইজরায়েলকে প্রশ্নবিদ্ধ না করে বরং রক্ষা করার প্রতিযোগিতায় নেমেছে; সেহেতু আমরা জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি জোরালো দাবি জানাচ্ছি।

এবং-গাযা আমাদের জন্য এক আয়না যেখানে আমরা দেখতে পাই, কীভাবে বিশ্বাসী হওয়া মানে কেবল বেঁচে থাকা নয়, সংগ্রামে দৃঢ় থাকা; সেহেতু আমরা এই মাটির মানুষ, এই মুসলিম ভূখণ্ডের নাগরিক, এই কওমের সন্তান এবং সর্বোপরি মুসলিম উম্মাহর সদস্য-একটি অঙ্গীকার করছি:

১। আমরা সকলে স্বতঃস্ফূর্তভাবে বয়কট করবো-প্রত্যেক সেই পণ্য, কোম্পানি ও শক্তিকে যারা ইজরায়েলের দখলদারিত্বকে টিকিয়ে রাখে;

২। আমরা আমাদের সমাজ এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে প্রস্তুত করবো-যারা ইসলাম ও মুসলিম উম্মাহর সকল প্রতীক ও নিদর্শনকে সংরক্ষণ ও পুনরুদ্ধার করবে, ইনশাআল্লাহ;

৩। আমরা আমাদের সন্তানদের এমনভাবে গড়ে তুলবো-যারা নিজেদের আদর্শ ও ভূখণ্ড রক্ষায় জান ও মালের সর্বোচ্চ ত্যাগে প্রস্তুত থাকবে;

৪। আমরা বিভাজিত হবো না-কারণ আমরা জানি, বিভক্ত জনগণকে দখল করতে দেরি হয় না।

আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকবো, যাতে এই বাংলাদেশ কখনো কোনো হিন্দুত্ববাদী প্রকল্পের পরবর্তী গাজায় পরিণত না হয়।

আমরা শুরু করবো নিজেদের ঘর থেকে-ভাষা, ইতিহাস, শিক্ষা, সংস্কৃতি, অর্থনীতি, সমাজ-সবখানে এই অঙ্গীকারের ছাপ রেখে।

আমরা মনে রাখবো:

গাযার শহীদরা কেবল আমাদের দো’আ চান না-তাঁরা আমাদের প্রস্তুতি চান।

শেষকথা: 

শান্তি বর্ষিত হোক গাযার সম্মানিত অধিবাসীদের উপর-তাঁদের উপর, যাঁরা নজিরবিহীন সবর করেছেন, যাঁরা অবিচল ঈমানের প্রমাণ দিয়েছেন। যাঁরা ধ্বংসস্তূপের মাঝেও প্রতিরোধের আগুন জ্বেলেছেন।

বিশ্বের নীরবতা ও উদাসীনতার যন্ত্রণা হাসিমুখে বুকের মাঝে ধারণ করেছেন। শান্তি বর্ষিত হোক তাদের উপর, যাঁরা নাম রেখে গেছেন ইজ্জতের খতিয়ানে-

শান্তি বর্ষিত হোক হিন্দ রজব, রীম এবং ফাদি আবু সালেহ সহ সকল শহীদেরর উপর, যাঁদের রক্ত দ্বারা গাজার পবিত্রভূমি আরো পবিত্র হয়েছে, যাঁদের চোখে ছিল প্রতিরোধের অগ্নিশিখা।

শান্তি বর্ষিত হোক বাইতুল মাকদিসের গর্বিত অধিবাসীদের উপর, যাঁদের হৃদয়ে এখনো ধ্বনিত হয় ‘আল-কুদস লানা’, আল কুদস আমাদের!

গাজার জনগণকে অভিনন্দন-

আপনারা ঈমান, সবর আর কুরবানীর মহাকাব্য রচনা করেছেন। দুনিয়াকে দেখিয়েছেন-ঈমান আর তাওয়াক্কুলের শক্তি আমরা, বাংলাদেশের মানুষ-শাহ জালাল আর শরীয়াতুল্লাহর ভূমি থেকে দাঁড়িয়ে, আপনাদের সালাম জানাই, আপনাদের শহীদদের প্রতি ভালোবাসা ও শুভেচ্ছা জানাই, আর আমাদের কণ্ঠে উচ্চারিত হয় এই দো’আ-হে আল্লাহ, গাজার এই সাহসী জনপদকে তুমি সেই পাথর বানিয়ে দাও, যার উপর গিয়ে ভেঙে পড়বে জায়োনিস্টদের সব ষড়যন্ত্র।

বাংলাদেশের সর্বস্তরের জনগণের পক্ষে, প্যালেস্টাইন সলিডারিটি মুভমেন্ট, বাংলাদেশ।




আমেরিকার সঙ্গে পরোক্ষ আলোচনায় অংশ নিতে ওমান গেছেন ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ডিএবি নিউজ আন্তঃ ডেস্ক:

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পরোক্ষ আলোচনায় অংশ নিতে ওমানে গেছেন ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাইয়্যেদ আব্বাস আরাকচির নেতৃত্বাধীন একটি প্রতিনিধিদল।

এই সফর প্রসঙ্গে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইসমাইল বাকায়ি তার এক্স পেজে দেওয়া বার্তার প্রথমেই পবিত্র কুরআনের সূরা আল-ইমরানের ১৫৯ নম্বর আয়াতের একাংশ উল্লেখ করেছেন। যেখানে বলা হয়েছে, আপনি কোন সংকল্প করলে আল্লাহর উপর নির্ভর করবেন।

এরপর বাকায়ি আরও লিখেছেন, “আমাদের সবচেয়ে অভিজ্ঞ সহকর্মীদের নিয়ে মাননীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে মাস্কাট যাচ্ছি। ইরানের সম্মান-দৃঢ়তা এবং জাতীয় স্বার্থ রক্ষার জন্য আমরা সব ধরণের সক্ষমতা কাজে লাগাতে আমরা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।

আজই আমেরিকার একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন প্রতিনিধিদল ওমানের রাজধানী মাস্কাটে পৌঁছাবে বলে কথা রয়েছে। সেখানে ওমানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মাধ্যমে দুই দেশের প্রতিনিধিদলের মধ্যে পরোক্ষ আলোচনা শুরু হবে।

ইরান আমেরিকার সঙ্গে সরাসরি আলোচনা করবে না বলে এর আগেই স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে।#

সূত্র: পার্সটুডে




 ‘মার্চ ফর গাজা’ ফিলিস্তিনের পতাকায় ছেয়ে গেছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানসহ পুরো ঢাকা

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

ফিলিস্তিনে দখলদার ইসরায়েলিদের আগ্রাসন ও নির্মম গণহত্যার প্রতিবাদে রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জড়ো হয়েছেন হাজার হাজার মানুষ। শিশু থেকে বৃদ্ধ সবাই যোগ দিচ্ছেন এ মুক্তির মিছিলে। প্যালেস্টাইনবাসীদের প্রতি সমর্থন জানিয়ে হাজার হাজার ফিলিস্তিনের পতাকায় ছেয়ে গেছে পুরো সোহরাওয়ার্দী উদ্যান।

শনিবার (১২ এপ্রিল) রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও এর আশেপাশে এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, রাজধানীর চারপাশ থেকে দলে দলে মিছিল নিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রবেশ করছে মুসলমানরা। হাতে ফিলিস্তিনের পতাকা আর কপালে কালিমার পতাকা নিয়ে ফিলিস্তিন বাসীদের পক্ষে স্লোগান দিচ্ছেন তারা।

এদিকে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় চলমান ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে বিশ্বজুড়ে যখন বিক্ষোভ- প্রতিবাদের ঢেউ উঠছে, তখন বাংলাদেশেও ‘প্যালেস্টাইন সলিডারিটি মুভমেন্ট বাংলাদেশ’ এর ব্যানারে আয়োজিত হচ্ছে  ‘মার্চ ফর গাজা’। এটি একটি ব্যতিক্রমধর্মী গণসমাবেশ।

এই কর্মসূচির লক্ষ্য গাজার নিরস্ত্র জনগণের প্রতি সংহতি প্রকাশ, বিশ্বজনমত গঠন, এবং মানবিক মূল্যবোধের পক্ষে সোচ্চার হওয়া।

আজ বিকেল ৩টা থেকে মাগরিবের পূর্ব পর্যন্ত রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।

আয়োজকরা জানিয়েছেন, এতে বিভিন্ন ধর্মীয়, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া অঙ্গনের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা একাত্মতা প্রকাশ করেছেন। সারা দেশ থেকে হাজার হাজার মানুষ এই কর্মসূচিতে অংশ নিতে ঢাকায় এসেছেন। ধারণা করা হচ্ছে, কয়েক লাখ লোকের সমাগম হতে পারে আজকের এই আয়োজনে।

এই আয়োজনে বিশিষ্টজনদের মধ্যে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিব মুফতি আব্দুল মালেক, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ, বিশিষ্ট দাঈ শায়খ আহমাদুল্লাহ, প্রখ্যাত বক্তা মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারী, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মাওলানা সৈয়দ ফয়জুল করীম, খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদির, এনসিপির নেতা হাসনাত আব্দুল্লাহ, ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব অধ্যক্ষ ইউনূস আহমদ, গাজী আতাউর রহমান, জামায়াত নেতা রফিকুল ইসলাম, নুরুল ইসলাম বুলবুল, শিবির সভাপতি জাহিদুর রহমান, সাদিক কায়্যিম, কবি মুহিব খান, মাওলানা সাখাওয়াত হোসাইন রাজী, মাওলানা রেজাউল কারীম আবরার, মাওলানা আব্দুল্লাহ বিন আব্দুর রাজ্জাক, ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন নাসিরসহ অনেক বিশিষ্টজন উপস্থিত থাকবেন।




চীন ছাড়া বিভিন্ন দেশের জন্য আরোপিত শুল্ক তিন মাসের জন্য স্থগিত করেছেন ট্রাম্প

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিভিন্ন দেশের ওপর যে পাল্টা শুল্ক আরোপ করেছিলেন, তা তিন মাসের জন্য স্থগিত করছেন। তবে চীনের উপর আরোপিত শুল্ক বহাল রাখা হয়েছে। চীনের পণ্যে শুল্ক বাড়িয়ে ১২৫ শতাংশ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

বুধবার নিজের মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে এক পোস্টে এ ঘোষণা দেন ট্রাম্প। তিনি লিখেছেন, ‘চীন বিশ্বের বাজারগুলোর প্রতি শ্রদ্ধার যে ঘাটতি দেখিয়েছে, তার ভিত্তিতে আমি যুক্তরাষ্ট্রে চীনের পণ্যে শুল্ক বাড়িয়ে ১২৫ শতাংশ ধার্য করছি। এটা তাৎক্ষণিক কার্যকর হবে।’

ট্রাম্প লিখেছেন, ‘৭৫টির বেশি দেশ যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। এসব প্রতিনিধির মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য বিভাগ, অর্থ বিভাগ ও ইউএসটিআর (যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধি) রয়েছে। দেশগুলো বাণিজ্য, বাণিজ্য বাধা, শুল্ক, মুদ্রার মানে কারসাজি ও অশুল্ক বাধাসংক্রান্ত বিষয় নিয়ে সমঝোতায় পৌঁছাতে আলোচনার অনুরোধ জানিয়েছে।’

এ পরিপ্রেক্ষিতে চীন বাদে অন্য সব দেশের ওপর আরোপিত পাল্টা শুল্ক তিন মাসের জন্য স্থগিতের ঘোষণা দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট লিখেছেন, ‘আমি ৯০ দিনের জন্য পাল্টা শুল্ক স্থগিত অনুমোদন করেছি। একই সঙ্গে এ সময়ের জন্য পাল্টা শুল্ক ১০ শতাংশে নামিয়ে এনেছি। এটাও তাৎক্ষণিক কার্যকর হবে।’

ট্রাম্পের ঘোষণার পর হোয়াইট হাউসের বাইরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট। তিনি বলেন, যেসব দেশ পাল্টা শুল্ক আরোপ করেনি, সেসব দেশ পুরস্কৃত হবে। ১০ শতাংশ পাল্টা শুল্কের আওতায় থাকবে মেক্সিকো ও কানাডাও।

যুক্তরাষ্ট্রের অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমি এটাকে বাণিজ্যযুদ্ধ বলব না। অবশ্য চীন এটা উসকে দিয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘এই স্থগিতাদেশ আলোচনার জন্য আমাদের সময় দেবে। আরও দেশ যোগাযোগ করবে বলে আশা করছি।’

ট্রাম্পকে ধন্যবাদ প্রধান উপদেষ্টার

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রে পণ্য রপ্তানিতে পাল্টা শুল্ক ৯০ দিনের জন্য স্থগিত করায় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। বুধবার রাত ১২টার দিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে প্রধান উপদেষ্টার ভেরিফায়েড অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক পোস্টে এ তথ্য জানানো হয়।

মার্কিন প্রেসিডেন্টের অফিশিয়াল এক্স অ্যাকাউন্ট মেনশন করে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘৯০ দিনের শুল্ক স্থগিত করতে আমরা যে অনুরোধ করেছিলাম, তাতে ইতিবাচক সাড়া দেওয়ায় প্রেসিডেন্ট আপনাকে ধন্যবাদ। আপনার বাণিজ্য এজেন্ডার সমর্থনে আপনার প্রশাসনের সঙ্গে কাজ করা অব্যাহত রাখব আমরা।’

যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশি পণ্যে ৩৭ শতাংশ পাল্টা শুল্ক আরোপ তিন মাসের জন্য স্থগিত করার অনুরোধ করে গত সোমবার ট্রাম্পকে একটি চিঠি দিয়েছিলেন প্রধান উপদেষ্টা। চিঠিতে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের পণ্য বাংলাদেশের বাজারে প্রবেশে শুল্ক-সুবিধা দেওয়ার কথাও বলেন। এ ছাড়া গ্যাস টারবাইন, সেমিকন্ডাক্টর, চিকিৎসাসামগ্রীর মতো বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান রপ্তানি পণ্যের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক কমানোর কথা জানান তিনি।

চীনের ওপর শুল্ক বেড়ে ১২৫%

অন্যান্য দেশের ওপর পাল্টা শুল্ক কমিয়ে ১০ শতাংশ করা হলেও চীনের পণ্যের ওপর আরও ২১ শতাংশ বাড়িয়ে ১২৫ শতাংশ করার ঘোষণা দিয়েছেন ট্রাম্প। এর আগে মঙ্গলবার দিবাগত রাতেই জানা যায়, চীনের পাল্টা শুল্কে খেপে ডোনাল্ড ট্রাম্প দেশটির পণ্যে অতিরিক্ত শুল্ক বাড়িয়ে ১০৪ শতাংশে উন্নীত করেছিলেন।

ট্রাম্পের সর্বশেষ শুল্ক আরোপের জবাবে চীন মার্কিন পণ্যে ৮৪ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে, যা আগে ছিল ৩৪ শতাংশ। বৃহস্পতিবার থেকে চীনের ধার্য করা এ শুল্ক কার্যকর হবে বলে জানানো হয়। যুক্তরাষ্ট্রের ১০৪ শতাংশ শুল্ককে নিপীড়নমূলক আখ্যা দিয়ে তারা এ শুল্ক আরোপ করে।

চীনের এ সিদ্ধান্তে আরও চটেছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। বুধবার অন্যান্য দেশের পণ্যের ওপর পাল্টা শুল্ক ৯০ দিনের জন্য স্থগিত এবং এ সময়ে ন্যূনতম ১০ শতাংশ শুল্ক ঘোষণা করা হলেও চীনকে এ সুযোগ দেওয়া হয়নি।

হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র ক্যারোলাইন লেভিট এদিন সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘ট্রাম্প চীনের ওপর শুল্ক বাড়িয়েছেন। কারণ, আপনি যখন যুক্তরাষ্ট্রকে আঘাত করবেন, তখন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প পাল্টা আরও কঠিন আঘাত করতে যাবেন।’

পাল্টাপাল্টি শুল্কে অস্থির বিশ্ব

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ২ এপ্রিল বিভিন্ন দেশের পণ্যে পাল্টা শুল্ক আরোপ করেন। সেই শুল্কের একাংশ সেদিন থেকেই কার্যকর হয়ে গেছে। বাকি অংশ বুধবার কার্যকর হওয়ার কথা ছিল। বিশ্লেষকেরা বলছেন, এর মধ্য দিয়ে বাণিজ্যযুদ্ধ পুরোদমে শুরু হয়ে যায়।

ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের জবাবে যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যের ওপর পাল্টা শুল্ক আরোপের পক্ষে ভোট দেয় ইউরোপীয় ইউনিয়নও। অবশ্য ট্রাম্পের নতুন ঘোষণার ফলে এ সিদ্ধান্তে কোনো পরিবর্তন আসে কি না, তা এখন দেখার বিষয়।

রয়টার্সের খবরে বলা হয়, চীনের পণ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ১০৪ শতাংশ শুল্কের প্রতিক্রিয়ায় বুধবার এশিয়ার শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হতে হতেই বড় ধরনের পতন হয়। এরপর ইউরোপের শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হওয়ার পরপরই সূচকের পতন হয়। যুক্তরাজ্যের লন্ডনভিত্তিক আঞ্চলিক সূচক প্যান-ইউরোপীয় স্টকস ৬০০ কমেছে ৩ দশমিক ৪ শতাংশ। আঞ্চলিক এই সূচকের অন্তর্ভুক্ত সব খাতের শেয়ারের দামেই নেতিবাচক প্রবণতা চলছে।#

সূত্র: পার্সটুডে




মার্চ ফর গাজা কর্মসূচিতে দলমত নির্বিশেষে অংশ নেওয়ার আহবান : খতিব মুফতি আবদুল মালেক

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের চলমান বর্বর গণহত্যার প্রতিবাদে রাজধানীতে ‘মার্চ ফর গাজা’ নামে যে কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে তাতে দলমত নির্বিশেষে সবাইকে ঈমানের তাগিদে অংশ নেওয়া আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিব মুফতি মুহাম্মদ আবদুল মালেক। আগামী শনিবার (১২ এপ্রিল) মুফতি মুহাম্মদ আবদুল মালেক’র সভাপতিত্বে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অভিমুখে এই কর্মসূচি পালিত হবে।

আজ (১০এপ্রিল বৃহষ্পতিবার) সোস্যাল মিডিয়া (ফেইসবুক)-এ একটি অডিও বার্তায় তিনি সবাইকে এই কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানান।

জাতীয় মসজিদের খতিব বলেন, জায়নবাদী ইসরায়েল ফিলিস্তিনের নিরপরাধ মানুষের ওপর বিশেষ করে নারী শিশুর ওপর যে নির্বিচার হত্যাযজ্ঞ চালাচ্ছে একে গণহত্যা বললেও কম বলা হবে। বলার অপেক্ষা রাখে না, এর দ্বারা তারা গোটা মানবতার শত্রুতে পরিণত হয়েছে। এমন অমানবিক পরিস্থিতিতে বিশ্ব বিবেককে জাগ্রত করার লক্ষ্যে এবং বর্বরোচিত গণহত্যা ও জাতিগত নিধন বন্ধের দাবিতে আগামী শনিবার ১২ এপ্রিল প্যালেস্টাইন সলিডারিটি মুভমেন্ট বাংলাদেশের পক্ষ থেকে মার্চ ফর গাজার ডাক দেওয়া হয়েছে। দল-মত নির্বিশেষে সবাই শান্তিপূর্ণভাবে এই কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার চেষ্টা করি। আল্লাহ তায়ালা এই প্রচেষ্টা সফল করুন এবং কবুল করুন।
‘প্যালেস্টাইন সলিডারিটি মুভমেন্ট, বাংলাদেশ’ শীর্ষক শিরোনামে আয়োজিত এই কর্মসূচিতে দেশের শীর্ষ আলেম, দাঈ, স্কলার, ওয়ায়েজ এবং বিভিন্ন অঙ্গনের সেলিব্রেটিরা অংশ নেবেন।

ইতোমধ্যে এই আয়োজন সফল করতে ভিডিও বার্তা দিয়েছেন দৈনিক আমার দেশের সম্পাদক মাহমুদুর রহমান, বিশিষ্ট দাঈ শায়েখ আহমাদুল্লাহ, খ্যাতিমান স্কলার মিজানুর রহমান আজহারী, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মুহাম্মাদ মামুনুল হক, বিশিষ্ট ওয়ায়েজ ড. আবুল কালাম আজাদ বাশার, ড. আসাদুল্লাহ আল গালিব, ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মুহাম্মদ শামছুল আলম, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সমন্বয়ক হাসানাত আব্দুল্লাহ, সেলেব্রেটিদের মধ্যে আরজে কিবরিয়া, আইমান সাদিক, তামিম মৃধা, জাতীয় দলের ক্রিকেটার মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম, নাহিদ রানা প্রমুখ।

আরও ভিডিও বার্তা দিয়েছেন বিশিষ্ট স্কলার মাওলানা ওবায়দুল্লাহ হামজা, ড. মুখতার আহমদ, ইসলামি আলোচক মাওলানা ফখরুদ্দিন আহমদ, মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ আইয়ুবী, বাংলাদেশ ইসলামী আন্দোলনের গাজী আতাউর রহমান, এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু, হেফাজতে ইসলামের আজিজুল হক ইসলামাবাদী, গণপরিষদ আন্দোলনের সভাপতি নুরুল হক নুর ও সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান, নজরুল ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক লতিফুর রহমান শিবলী, ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি,

রাজনৈতিক বিশ্লেষক ড. ফয়জুল হক, ইসলামিক স্কলার ড. হারুন আজিজী নদভী, শায়খ ওসমান গনি সালেহী, মাওলানা সাখাওয়াত হোসাইন রাজী, মুফতি আরিফ বিন হাবিব, ড. মুফতি ইউসুফ সুলতান, মুফতি শামসুদ্দোহা আশরাফী, মুফতী রেজাউল কারীম আবরার, শায়খ আব্দুল হাই সাইফুল্লাহ, মাওলানা সাইফুল ইসলাম, মাওলানা গাজী মুহাম্মদ সানাউল্লাহ, মাওলানা মোস্তাফিজুর রহমান, মাওলানা ইয়াহইয়া তাকী, আস-সুন্নাহ ট্রাস্টের উসামা খোন্দকার, মাস্তুল ফাউন্ডেশনের কাজী রিয়াজ রহমান, জুলাই আন্দোলনের সমন্বয়ক সাদিক কায়িম প্রমুখ।




দোয়ারাবাজারে প্রতারনা করে লাখ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ কথিত বিএনপি নেতা ফুলমিয়ার বিরুদ্ধে

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :
প্রভাব প্রতিপত্তি দেখিয়ে লাখ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে দোয়ারাবাজার উপজেলার ফুলমিয়া নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে । এ নিয়ে একাধিক সালিশ করেও কোনা প্রতিকার পাচ্ছে না ভুক্তভোগীরা।

এ ছাড়া স্থানীয় ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন এলাকার মানুষের মোটা অংকের টাকা আত্মসাতের বিষয়ে ইতিমধ্যে একাধিকবার গ্রাম্য সালিশে পঞ্চায়েত নামা করেও তার কাছ থেকে টাকা উদ্ধার করা যায়নি। ফুলমিয়া উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের এরুয়াখাই গ্রামের মৃত ছায়েদ মিয়ার পুত্র।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ফুলমিয়া গ্রামের সাধারণ মানুষের কাছ থেকে প্রতারণা করে লাখ লাখ টাকা আত্মসাত করে আসছে। তার এসব প্রতারণায় অতিষ্ঠ সাধারণ মানুষসহ এলাকার আলেম ওলামারাও।
একাধিক ভুক্তভোগীরা বলেছেন, ফুলমিয়া এক সময় দিন মজুর হিসেবে কাজ করতো। গত ৫ আগস্টের পর রাতারাতি যুবদল নেতা বনে যাওয়ার দাবি করে সে। শুরু হয় তার দৌড়ঝাঁপ।  স্থানীয় বিএনপি নেতাদের পোস্টার ব্যানার দিয়ে উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের চকবাজারে অস্থায়ী অফিসও গড়ে তুলে। এক সময় নিজেকে ইউনিয়ন যুবদলের সেক্রেটারি দাবিসহ কখনও ঠিকাদার ও কখনও ব্যবসায়ী পরিচয় দিয়ে এলাকার বিভ্ন্নি ব্যবসায়ী ও ইটভাটা থেকে লাখ লাখ টাকার ইট ও নির্মাণ সামগ্রী বাকীতে ক্রয় করে এবং পরবর্তীতে ওইসব টাকা পরিশোধ করতে অস্বীকৃতি জানায়।
ফুলমিয়ার এমন অভিনব প্রতারণার শিকার হয়েছেন উপজেলার একই ইউনিয়নের এরুয়াখাই গ্রামের মাওলানা মোস্তফা কামাল। সরকার পতনের পরপরই ২০২৪ সালের ৭ই আগস্ট মাওলানা মোস্তফা কামালের কাছ থেকে ৯০ হাজার ইট ক্রয় করেন যুবদল নেতা দাবি করা ফুলমিয়া। বাকীতে নেওয়া ৮ লাখ ৬৪ হাজার টাকার ইটের ম্যল্য থেকে এক টাকাও পরিশোধ করেনি। টাকা চাইতে গেলেই নানা প্রতারণার আশ্রয় নেয় এবং নানাভাবে প্রভাব প্রতিপত্তি দেখায়।
এ নিয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও এলাকার গণ্যমাণ্য ব্যক্তিদের নিয়ে বেশ কয়েকবার সালিশ বৈঠকে বসলে টাকা পরিশোধে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয় সে। পরবর্তীতে পাওনাদাররা টাকা চাইতে গেলে অস্বীকৃতি জানায়। এ ঘটনায় গত ০৭ জানুয়ারি এলাকার ২৮জন মুরুব্বি ও গণ্যমান্য ব্যাক্তি একটি একটি পঞ্চায়েতনামাও প্রদান করে তার বিরুদ্ধে।
শুধু তাই নয় একই ইউনিয়নের নোয়াগাও গ্রামের নুর বানু নামের সত্তরোর্ধ্ব এক বৃদ্ধার ১ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে ফুলমিয়ার বিরুদ্ধে। এছাড়া পার্শ্ববর্তী গ্রামের ইটভাটার মালিক মাহবুবুর রহমানের ৭ লাখ টাকা এবং এরুয়াখাই গ্রামের মফিজ মিয়ার ১ লাখ টাকাসহ উপজেলার অসংখ্য মানুষের কাছ থেকে ১০/২০ হাজার করে লাখ লাখ টাকা প্রতারণার মাধ্যমে লুপাট করারও অভিযোগ রয়েছে। জনমনে প্রশ্ন উঠছে, ফুলমিয়ার খুটির জোড় কোথায়।
উপজেলার বেঠাখাই সোনাপুর গ্রামে স্থাপিত ‘এফবিএম ব্রিকস ফিল্ডে’র ম্যানেজার শীতল কান্তি রায় জানান, ফুলমিয়ার কাছে ইটের ৭ লাখ ১৪ হাজার ৩ শ’ টাকা পাওনা আমাদের। সে দলের নাম ভাঙিয়ে এবং রাজনৈতিক প্রভাব দেখিয়ে দীর্ঘদিন ধরে পাওনা টাকা দিচ্ছে না। এরকম আরও অনেক মানুষের লাখ লাখ টাকা সে আত্মসাৎ করে আসছে।
স্থানীয় বিএনপি ও যুবদল নেতাদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা জানান, ফুল মিয়া বিএনপি বা যুবদলের কোন পদধারী নেতা নয়। তার সাথে বিএনপির আদৌ কোন সম্পর্ক নেই। বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নাম ভাঙিয়ে এসব প্রতারণা করছে।
জানতে চাইলে ফুল মিয়া লেনদেনের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, মাওলানা মোস্তফা কামাল আমার কাছে ৮ লাখ ৬৪ হাজার টাকা পাওনা ছিল, আমি তা দিয়ে দিয়েছি। এখন আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।



গাজাবাসীদের স্থানান্তরের প্রস্তাব প্রত্যাখান করলেন জাতিসংঘের মহাসচিব

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর গাজার জনগণকে অন্য দেশে স্থানান্তরের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন। তিনি ট্রাম্প ও নেতানিয়াহুর এই পরিকল্পনাকে ‘আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন’ বলে অভিহিত করেছেন।

ট্রাম্প ও নেতানিয়াহুর ব্যাপক বিতর্কিত এই পরিকল্পনা সম্পর্কে মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) তুরস্কের সরকারি সংবাদ সংস্থা আনাদোলুর প্রশ্নের জবাবে গুতেরেস বলেন, “ফিলিস্তিনিদের অবশ্যই একটি ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রে বসবাস করতে হবে, একটি ইসরায়েলি রাষ্ট্রের পাশাপাশি। এটাই একমাত্র সমাধান, যা মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি আনতে পারে।”

তিনি আরো বলেন, “ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক স্থানান্তর করা ‘আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থী’।”




জাতীয় নাগরিক পার্টির সঙ্গে হেফাজতে ইসলামের বৈঠক

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

তরুণদের নেতৃত্বে নবগঠিত জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সঙ্গে বৈঠক করেছেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের নেতারা।

বুধবার (৯ এপ্রিল) সকাল ১০টায় এই বৈঠক শুরু হয়ে চলে দীর্ঘ সময়।
হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক মাওলানা কেফায়েতুল্লাহ আজহারী আওয়ার ইসলামকে বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তবে বৈঠকে কী বিষয়ে আলোচনা হয়েছে সে সম্পর্কে তিনি কিছু জানাতে পারেননি।

বৈঠকে হেফাজতে ইসলামের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন সংগঠনের মহাসচিব আল্লামা সাজিদুর রহমান।
বৈঠকে হেফাজত নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, ড. আহমদ আব্দুল কাদের, মাওলানা জুনায়েদ আল হাবীব, মাওলানা মামুনুল হক, মাওলানা মহিউদ্দিন রব্বানী, মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী প্রমুখ।

অপর দিকে এনসিপির নেতাদের আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, সদস্য সচিব আখতার হোসেন, কেন্দ্রীয় নেতা হাসনাত আব্দুল্লাহ, সারজিস আলম, আশরাফ মাহদী ছাড়াও কয়েকজন নেতা উপস্থিত ছিলেন।

হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ আগামী ৩ মে রাজধানীতে মহাসমাবেশ করবে। এর প্রস্তুতিতে পুরোদমে সময় কাটাচ্ছেন হেফাজত নেতারা। ধারণা করা হচ্ছে, সেই মহাসমাবেশ ইস্যুতেই এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২০১৩ সালে শাপলা চত্বর হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবি জোরালো করতে চায় হেফাজত। সে লক্ষ্যে এ ব্যাপারে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সমর্থন আদায় করছে সংগঠনটি।