ইয়েমেন পিছু হটবে না: ওয়াশিংটনের ভুল স্বীকার করে নিউজউইকের প্রতিবেদন

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

একটি মার্কিন সংবাদপত্র এক নিবন্ধে ইয়েমেনে মার্কিন আগ্রাসনের ব্যর্থতা স্বীকার করেছে।

পার্সটুডের মতে,আমেরিকার সংবাদপত্রটি একটি প্রতিবেদনে স্বীকার করেছে যে,প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে ইয়েমেনে মার্কিন বিমান আক্রমণ শুরু হওয়ার এক মাস পেরিয়ে গেলেও ইয়েমেনি সেনাবাহিনী ওয়াশিংটনের আক্রমণ বন্ধ করার প্রচেষ্টাকে অমান্য করে চলেছে এবং ইসরাইল এবং লোহিত সাগরে জাহাজগুলোতে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ অব্যাহত রেখেছে।”

মার্কিন সামরিক বাহিনী এক মাস আগে ১৫ মার্চ ইয়েমেনের বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক আক্রমণ শুরু করে। ইনস্টিটিউট ফর দ্য স্টাডি অফ ওয়ার কর্তৃক সংগৃহীত ইউএস সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম) থেকে প্রাপ্ত তথ্য উদ্ধৃত করে নিউজউইক লিখেছে যে মার্কিন বিমানবাহী রণতরী ইউএসএস হ্যারি এস. ট্রুম্যান এবং সেইসঙ্গে বিমানবাহী রণতরী ইউএসএস কার্ল ভিনসন যেটি ১০ এপ্রিল হ্যারি এস. ট্রুম্যানের সঙ্গে যোগ দিয়েছিল সেখান থেকে ইয়েমেনের বিভিন্ন অবকাঠামোগুলোতে প্রতিদিন কয়েক ডজন বিমান হামলা চালিয়ে আসছে।

প্রতিবেদনে স্বীকার করা হয়েছে যে, এসব হামলায় ইয়েমেনে উল্লেখযোগ্য ক্ষয়ক্ষতি হওয়া সত্ত্বেও আনসারুল্লাহ বাহিনীর মধ্যে  পিছু হটার খুব কম লক্ষণ দেখা যাচ্ছে।” নিউজউইক আরও লিখেছে,  ‘গত রোববারসহ  সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ইয়েমেনিরা তেল আবিব এবং ইসরাইলের অধিকৃত অঞ্চলে অসংখ্য সফল ক্ষেপণাস্ত্র অভিযান পরিচালনা করেছে’। #

সূত্র: পার্সটুডে




কিশোরগঞ্জে অটোরিকশার ধাক্কায় মসজিদের ইমাম ও এক কলেজছাত্রী নিহত

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

কিশোরগঞ্জে অটোরিকশার ধাক্কায় মসজিদের ইমাম ও এক কলেজছাত্রী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও দুজন। মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) দুপুরে কিশোরগঞ্জ শহরের বটতলা এলাকায় এবং সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শহরের চরশোলাকিয়া বনানী মোড় এলাকায় দুর্ঘটনা দুটি ঘটে।

নিহতরা হলেন মাওলানা মো. আলী আকবর (৫৫) ও শিক্ষার্থী ঊর্মী শিখা (২০)। মো. আলী আকবর জেলা প্রশাসক ডাকবাংলো মসজিদের ইমাম এবং ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের মক্তবের শিক্ষক। তার বাড়ি পার্শ্ববর্তী ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইলের সিংরইল গ্রামে। আর ঊর্মী শিখা শহরের চরশোলাকিয়া এলাকার মো. মহরম আলীর মেয়ে। তিনি গুরুদয়াল সরকারি কলেজের অনার্স প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, দুপুর ১টার দিকে শহরের বটতলা এলাকায় কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের সামনে রাস্তা পারাপার হওয়ার আলী আকবরকে একটি অটোরিকশা ধাক্কা দিলে তিনি পড়ে যান। তাকে উদ্ধার করে কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেল চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

এর আগে শিক্ষার্থী ঊর্মী শিখা প্রতিদিন বনানী মোড় এলাকার এক বাসায় দর্জির কাজ শিখতে যান। প্রতিদিনের মতো সকাল সাড়ে ১০টার দিকে হাঁটতে হাঁটতে যাচ্ছিলেন তিনি। তখন উল্টোদিক থেকে দ্রুতবেগে আসা একটি অটোরিকশা ঊর্মীকে চাপা দিলে গুরুতর আহত হন তিনি। তাকে উদ্ধার করে শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।




ভারতের উত্তরাখণ্ডে বন্ধ করে দেয়া হল আরও ৭ মাদ্রাসা

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

ভারতের উত্তরাখণ্ড মাদ্রাসা বোর্ড বা রাজ্য শিক্ষা বিভাগের নিবন্ধন ছাড়াই পরিচালিত হচ্ছিল অভিযোগে রোববার (১৩ এপ্রিল) হলদোয়ানির কর্মকর্তারা কমপক্ষে সাতটি মাদ্রাসা সিল করে দিয়েছেন।

স্থানীয় কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস।

যদিও দ্য সিয়াসাত ডেইলি ও মুসলিম মিরর বলছে, সাম্প্রতিক দিনগুলোতে উত্তরাখণ্ডজুড়ে কমপক্ষে ১৭০টি মাদ্রাসা সিল করে দেয়া হয়েছে। একই তথ্য জানিয়েছে ইন্ডিয়ান আমেরিকান মুসলিম কাউন্সিলও।

প্রতিবেদন মতে, জেলা প্রশাসন, পৌর কর্তৃপক্ষ এবং স্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে গঠিত একটি যৌথ দল মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ বনভুলপুরা এলাকায় ‘বিশেষ পরিদর্শন অভিযান’ পরিচালনা করে।

এসময় প্রতিষ্ঠানগুলোর যথাযথ নিবন্ধন এবং অন্যান্য নিয়ন্ত্রক প্রয়োজনীয়তা মেনে চলার বিষয়টি খতিয়ে দেখা হয়। দাবি করা হচ্ছে, পরিদর্শনকালে বেশ কয়েকটি মাদ্রাসা অনিবন্ধিত পাওয়া যায়, যার ফলে তাদের মধ্যে সাতটি সিলগালা করা হয়েছে।

হলদোয়ানির সিটি ম্যাজিস্ট্রেট এ পি বাজপেয়ী বলেছেন, আমরা হলদোয়ানির মাদরাসাগুলো পরিদর্শনের জন্য একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করছি। বেশ কিছু মাদ্রাসা রাজ্য সরকারের নিয়ম লঙ্ঘন করে, যথাযথ নিবন্ধন ছাড়াই পরিচালিত হচ্ছে বলে জানা গেছে। কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করে, আমরা এখন পর্যন্ত সাতটি মাদ্রাসা সিল করে দিয়েছি।

কর্মকর্তাদের মতে, জেলা প্রশাসন গত মাসে বনভুলপুরা এলাকার মাদ্রাসাগুলোর একটি প্রাথমিক জরিপ পরিচালনা করেছিল। জরিপে অবস্থান, ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীর সংখ্যা এবং উপলব্ধ সুযোগ-সুবিধার মতো বিশদ বিবরণ নথিভুক্ত করা হয়।

গত ২৬ মার্চ উত্তরাখণ্ড সরকার জানায়, তারা রাজ্যজুড়ে সিল করে দেয়া ‘অবৈধ’ মাদ্রাসাগুলোর তহবিল তদন্ত করবে এবং এই বিষয়ে একটি প্রতিবেদন সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয়ে জমা দেয়া হবে। কর্মকর্তারা বলছেন, রাজ্যে প্রায় ৪৫০টি নিবন্ধিত মাদরাসা রয়েছে, যারা সরকারকে তাদের নথি, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট এবং আয়-ব্যয়ের সম্পূর্ণ বিবরণ দিয়েছে। কিন্তু ৫০০টিরও বেশি মাদরাসা কোনো স্বীকৃতি ছাড়াই পরিচালিত হচ্ছে বলে দাবি করা হয়েছে।




মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী আব্দুল্লাহ আল বাদাবী ইন্তেকাল করেছেন

ডিএনবি নিউজ আন্তঃ ডেস্ক:

মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী আব্দুল্লাহ আল বাদাবী ইন্তেকাল করেছেন। তিনি ৮৫ বছর বয়সে দেশের ন্যাশনাল হার্ট ইনস্টিটিউটে মৃত্যুবরণ করেন। তার মৃত্যু সংবাদটি তার জামাতার মাধ্যমে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশিত হয়েছে। জামাতা আল্লাহর কাছে তার আত্মার শান্তি কামনা করেছেন এবং তাকে সৎকর্মশীলদের মধ্যে স্থান দেওয়ার জন্য প্রার্থনা করেছেন।

আব্দুল্লাহ আল বাদাবী ১৯৯৩ সালে পেনাংয়ে জন্মগ্রহণ করেন এবং তিনি ২০০৩ সাল থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত মালয়েশিয়ার পঞ্চম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ডা. মাহাথির মোহাম্মদের পদত্যাগের পর এই পদে আসীন হন। তার নেতৃত্বে মালয়েশিয়া বিভিন্ন ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন সাধন করে।

তার মৃত্যুতে দেশটির রাজনৈতিক অঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। আব্দুল্লাহ আল বাদাবীর অবদান ও নেতৃত্বের জন্য তাকে স্মরণ করা হবে।




যুদ্ধ বন্ধের নিশ্চয়তা পেলে বন্দী মুক্তি দিতে রাজি দেবে হামাস

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

ইসরায়েল গাজায় যুদ্ধ বন্ধ করার নিশ্চয়তা দিলে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস সমস্ত বন্দীকে মুক্তি দিতে প্রস্তুত। হামাসের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা এ কথা বলেছেন।

আল জাজিরা জানিয়েছে, ১৮ মাস ধরে ইসরায়েলি বোমাবর্ষণে বিধ্বস্ত গাজায় যুদ্ধবিরতিতে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করা মিশর এবং কাতারের সঙ্গে কায়রোতে আলোচনা চলছে হামাসের।

সংগঠনের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা তাহের আল-নুনু বলেন, ‘একটি গুরুতর বন্দি বিনিময় চুক্তি, যুদ্ধের অবসান, গাজা উপত্যকা থেকে ইসরায়েলি বাহিনী প্রত্যাহার এবং মানবিক সাহায্যের প্রবেশের বিনিময়ে আমরা সমস্ত ইসরায়েলি বন্দীকে মুক্তি দিতে প্রস্তুত।’

তবে ইসরায়েল যুদ্ধবিরতির অগ্রগতিতে বাধা বাধা দিচ্ছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। বলেন, বিষয়টি বন্দীদের সংখ্যা নয়। বরং সমস্যাটি হলো দখলদাররা তাদের প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করছে, যুদ্ধবিরতি চুক্তি বাস্তবায়নে বাধা দিচ্ছে এবং যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে। তাই হামাস দখলদার ইসরায়েলকে চুক্তি বহাল রাখতে বাধ্য করার জন্য গ্যারান্টির প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছে।

সোমবার ইসরায়েলি সংবাদ ওয়েবসাইট ইয়নেট জানিয়েছে, হামাসের কাছে একটি নতুন প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। প্রস্তাবের অধীনে, হামাস ১০ জন জীবিত বন্দীকে মুক্তি দেবে এবং মার্কিন গ্যারান্টির বিনিময়ে ইসরায়েল যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় পর্যায়ের জন্য আলোচনায় প্রবেশ করবে।

১৯ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া যুদ্ধবিরতির প্রথম পর্যায়ে একাধিক ধাপে বন্দী বিনিময় হয়েছিল। কিন্তু দুই মাস পর ইসরায়েল একাধিকবার যুদ্ধবিরতি ভঙ্গ করে নতুন আক্রমণ শুরু করে।

ইসরায়েলি বিরোধী রাজনীতিবিদ, প্রাক্তন সেনা কর্মকর্তা এবং বন্দীদের পরিবার নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে নিজস্ব রাজনৈতিক স্বার্থে যুদ্ধ চালানোর অভিযোগ তুলেছেন।




দুর্গাপুরে নানা আয়োজনে বাংলা নববর্ষ পালিত

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

নেত্রকোনার দুর্গাপুরে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে, বিএনপি, সিপিবি, পুলিশ প্রশাসন, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি, শিল্পকলা একাডেমি, পথ পাঠাগার, সময় সাংস্কৃতিক গোষ্ঠী সহ বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠন এর অংশগ্রহনে পালিত হয়েছে বাংলা নববর্ষ 1432। সোমবার দিনব্যাপি নানা কর্মসুচীর মধ্য দিয়ে এ দিবস পালিত যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়েছে।

এ উপলক্ষে উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে জাতীয় সংগীত ও বৈশাখের গান পরিবেশনের মধ্য দিয়ে দিবসের সুচনা ঘটে। পরবর্তিতে এক বর্ণাঢ্য ‘‘বর্ষবরণ শোভাযাত্রা’’ আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, বিভিন্ন প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনা সভায় একাডেমিক সুপারভাইজার মুহাম্মদ নাসির উদ্দিন এর সঞ্চালনায়, উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাভিদ রেজওয়ানুল কবীরের সভাপতিত্বে উপজেলায় কর্মরত বিভিন্ন দপ্তরের প্রধানগণ, বিএনপি ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীগণ, বিভিন্ন্ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানগণ, দুর্গাপুর প্রেসক্লাব ও সাংবাদিক সমিতির সাংবাদিকগণ সহ অন্যান্য সকল দপ্তরের কর্মকর্তা কর্মচারীগন উপস্থিত ছিলেন। আলোচনা শেষে উপজেলা শিল্পকলা একাডেমি এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করে।

এছাড়া সুসঙ্গ সরকারি মহাবিদ্যালয়, দুর্গাপুর মহিলা ডিগ্রি কলেজ, ডন বসকো কলেজ, সুসঙ্গ আদর্শ বিদ্যানিকেতন, এডভান্স মডেল স্কুল, সিপিবি, পথ পাঠাগার, বিরিশিরি বর্ষবরণ উদযাপন কমিটি, দুর্গাপুর ঘুড়ি প্রতিযোগিতা কমিটি, সময় সাংস্কৃতিক গোষ্ঠী সহ অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে পৃথক পৃথক আলোচনা, চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা, ঘুড়ি উড়ানো সহ লোকজ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করে।




‘আমাদের নববর্ষ, আমাদের সংস্কৃতি’ প্রতিপাদ্যে রাজধানীতে জাতীয় সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা

বাংলা নববর্ষ ১৪৩২-কে বরণ করে নিতে ‘জাতীয় সাংস্কৃতিক কেন্দ্র’রাজধানীতে ‘বাঙলা নবযাত্রা ১৪৩২’ নামে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা করেছে। সোমবার (১৪ এপ্রিল) সকালে এই শোভাযাত্রা বের হয়। এটি মুক্তাঙ্গন থেকে শিল্পকলার দিকে যায়।

সংগঠনটির পক্ষ থেকে দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য উৎসব অনুষ্ঠিত হচ্ছে রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমি সংলগ্ন জাতীয় মৎস্য ভবন সড়কে। ‘আমাদের নববর্ষ, আমাদের সংস্কৃতি’ প্রতিপাদ্যে আয়োজিত এই উৎসবে রয়েছে রঙিন সাংস্কৃতিক পরিবেশনা, শোভাযাত্রা, মেজবান এবং কবিতা-সংগীত-কথার এক মিলনমেলা।

দুপুর ১২টায় আয়োজন করা হবে ‘বাঙলা মেজবান’ — যেখানে ভাত-গরু-মিষ্টান্নসহ ঐতিহ্যবাহী খাবারের আয়োজন থাকবে দর্শনার্থীদের জন্য (শুভেচ্ছা মূল্যে)। বিকেল ৩টা থেকে শুরু হবে ‘বাংলা সাংস্কৃতিক উৎসব’, যেখানে সংগীত, কবিতা ও কথন পরিবেশন করবেন দেশজুড়ে খ্যাতিমান শিল্পী, সাহিত্যিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বরা। এছাড়াও বিভিন্ন জাতীয় ও আঞ্চলিক সাংস্কৃতিক দলের পরিবেশনায় উৎসবটি আরও প্রাণবন্ত করে তোলা হবে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন কবি মুহিব খান। আরও উপস্থিত থাকবেন দেশের শতাধিক জনপ্রিয় শিল্পী, সাহিত্যিক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিবর্গ এবং বরেণ্য আলেম চিন্তাবিদ, সাংবাদিক ও বুদ্ধিজীবিগণ। আয়োজকরা জানিয়েছেন, এই উৎসব মূলত বিজাতীয় সংস্কৃতির মোকাবিলায় দেশীয় সংস্কৃতি ছড়িয়ে লক্ষ্যে আয়োজন করা হচ্ছে। জাতীয় সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের আয়োজনে এই উৎসব জাতীয় সংস্কৃতির গৌরব ও ঐতিহ্যকে নতুন প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দিতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন সংশ্লিষ্টরা।




ভারতে বিতর্কিত ওয়াক্‌ফ আইন বাতিলের দাবিকে কেন্দ্র করে মুর্শিদাবাদে থমথমে পরিস্থিতি

ডিএনবি নিউজ  আন্ত: ডেস্ক:

ভারতে বিতর্কিত ওয়াক্‌ফ আইন বাতিলের দাবিকে কেন্দ্র করে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মুর্শিদাবাদের দুটি প্রশাসনিক ব্লকের (সুতি ও সামসেরগঞ্জ) কয়েকটি এলাকায় কেন্দ্রীয় আধা সামরিক বাহিনী টহল দিচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে গতকাল শনিবার রাত থেকে এই টহল শুরু হয়।

সামসেরগঞ্জের ধুলিয়ানের এক শিক্ষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে টেলিফোনে প্রথম আলোকে বলেন, পরিস্থিতি বেশ

গতকাল রাত থেকে আজ রোববার সকাল পর্যন্ত মুর্শিদাবাদে অন্তত ১৩৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে জঙ্গিপুরে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৩০ জনকে।

বিতর্কিত ওয়াক্‌ফ আইন বাতিলের দাবিকে কেন্দ্র করে মুসলমানপ্রধান মুর্শিদাবাদ জেলায় গত শুক্রবার বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। পরিস্থিতি প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় শুক্রবার দুপুরের দিকে।

পরিস্থিতি রাজ্য সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে পশ্চিমবঙ্গের প্রধান বিরোধী দল বিজেপির নেতা শুভেন্দু অধিকারী কলকাতা হাইকোর্টে যান। তিনি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের আরজি জানান। তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কলকাতা হাইকোর্ট সুতি ও সামসেরগঞ্জের কয়েকটি এলাকায় কেন্দ্রীয় আধা সামরিক বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দেন।

ইতিমধ্যে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ১৬ এপ্রিল তিনি রাজ্যের ইমাম, মুয়াজ্জিন, বুদ্ধিজীবী, আলেম-উলামাদের সঙ্গে কলকাতার নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে একটি সভা করবেন। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন কলকাতার মেয়র এবং রাজ্যের পৌর ও নগর উন্নয়ন দপ্তরের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।

সম্প্রতি ভারতে মুসলমানদের দান করা শত শত কোটি ডলার মূল্যের ওয়াকফ সম্পত্তির ব্যবস্থাপনা ও বহু বছরের পুরনো পরিচালনা পদ্ধতি সংশোধনে আনা একটি বিল লোকসভায় পাস হয়েছে।

দেশটির বিরোধী দল এবং প্রায় সব মুসলিম সংগঠনই বলছে, এই বিলটি আনাই হয়েছে ভারতের সর্ববৃহৎ সংখ্যালঘু সম্প্রদায় অর্থাৎ মুসলমানদের সাংবিধানিক অধিকার খর্ব করতে।#

সূত্র: পার্সটুডে




ভারতে সংখ্যালঘু নির্যাতন বন্ধে বাংলাদেশ সরকারকে ভূমিকা নেওয়ার আহ্বান ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

ভারতে ওয়াক্‌ফ বিলের ‘বিতর্কিত সংশোধন’ বাতিল ও সংখ্যালঘু নির্যাতন বন্ধে বাংলাদেশ সরকারকে ভূমিকা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। আজ রোববার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে দলটি এ আহ্বান জানায়।

বিবৃতিতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা ইউনুস আহমেদ বলেন, আধুনিক ভারত রাষ্ট্র গঠন হওয়া এমনকি ভারতে হিন্দুত্ববাদের বিকাশের আগেই ওয়াক্‌ফর প্রচলন ছিল। ভারতসহ এই অঞ্চলের শিক্ষা ও নাগরিক সমাজ গড়ে উঠেছে ওয়াক্‌ফ সম্পত্তি ব্যবহার করে। সভ্যতা বিকাশের সেই ঐতিহাসিক পদ্ধতিকে বিজেপি সরকার অন্যায্য ও সাম্প্রদায়িক প্রতিহিংসার বশীভূত হয়ে বিকৃত করে ভারতজুড়ে মুসলিম নিধনের নতুন উপলক্ষ তৈরি করেছে।

ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব বলেন, ‘ভারতের প্রতিবেশী দেশ হিসেবে আমাদেরও কিছু করণীয় আছে। ভারত ১৯৭১ সালে আমাদের নির্যাতিত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। আজকে যখন ভারতে মানুষ নির্যাতনের শিকার হচ্ছে, তখন তাদের পাশে দাঁড়ানো আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। তাই সরকারকে বলব, সংখ্যালঘু নির্যাতন বন্ধে ভারতকে কঠোর বার্তা দিন। নিরীহ মানুষকে রক্ষায় প্রয়োজনে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোতে ভারতে মুসলিম নির্যাতনের চিত্র তুলে ধরে তার প্রতিকারে ব্যবস্থা নিতে আহ্বান করুন।’




পরোক্ষ আলোচনার ওপর গুরুত্বারোপ আমেরিকার বিরুদ্ধে ইরানের প্রথম গোল: আরব বিশ্লেষক

ডিএনবি নিউজ আন্তর্জাতিক ডেস্ক :

আরব বিশ্বের একজন সিনিয়র বিশ্লেষক ওমানে ওয়াশিংটনের সঙ্গে চলমান পরোক্ষ আলোচনার জন্য তেহরানের অনড় অবস্থানকে আমেরিকার বিরুদ্ধে ইরানের প্রথম গোল বলে মনে করছেন।

আরব বিশ্বের সিনিয়র বিশ্লেষক আব্দুল বারি আতওয়ান শনিবার রাই আল-ইয়াওম ওয়েবসাইটে লেখা এক নিবন্ধে ওই মন্তব্য করেন। ওমানে ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরান এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে পরোক্ষ আলোচনা সম্পর্কে বিস্তারিত নিবন্ধে তিনি আরও লিখেছেন: ওমানের রাজধানী মাস্কাটে শনিবার শুরু হওয়া ‘ইচ্ছার যুদ্ধ’ খেলায় ইরান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে একটি বড় গোল করতে সফল হয়েছে।

পার্সটুডে আরও জানায় আতওয়ান আরও বলেছেন: আলোচনার ‘পরোক্ষ’ প্রকৃতির ওপর জোর দিয়েই ওই সাফল্য অর্জিত হয়েছে। পরোক্ষ আলোচনার বিষয়টি আমেরিকার ইচ্ছার বিরুদ্ধে গেছে, তারা ‘সরাসরি’ আলোচনা করতে চেয়েছিল। ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সাথে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এ বিষয়টি তুলে ধরেছিলেন। এটা এমন একটি বিবৃতি ছিল যা নেতানিয়াহুকে অবাক করেছে এমনকি হতবাকও করেছে।

আরব এই বিশ্লেষক বলেছেন: ট্রাম্পের উপদেষ্টা স্টিভ উইটকফের নেতৃত্বে আমেরিকার প্রতিনিধিদল দুর্বল এবং ভঙ্গুর এক অবস্থানে থেকে এই আলোচনায় অংশগ্রহণ করছে। বিশেষ করে বিশ্বের ২০০ টিরও বেশি দেশ ও প্রতিষ্ঠানের ওপর শুল্ক আরোপে মার্কিন নীতির ব্যর্থতার পর-যার ফলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে এবং এমনকি বিশেষ করে ইউরোপ এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় (দক্ষিণ কোরিয়া এবং জাপান) তাদের মিত্ররাও নতুন শত্রুতে পরিণত হয়েছে।

আতওয়ান আরও বলেন: ইরানিরা অভিজ্ঞ কূটনীতিক আব্বাস আরাকচির নেতৃত্বে ওই আলোচনায় অংশ নিয়েছেন। আরাকচি, যিনি ২০১৫ সালেও ৫+১ গ্রুপের সাথে পরমাণু চুক্তির আলোচনায় অভিজ্ঞতা এবং আলোচনার কৌশলে দক্ষতার সাথে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। ট্রাম্পের হুমকি ও ভীতি প্রদর্শনের নীতির কাছে নতি স্বীকার করেন নি তারা। উল্টো বরং তাদের সমস্ত শর্ত আমেরিকার ওপর চাপিয়ে দিতে সফল হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে পারমাণবিক ইস্যুতে আলোচনা সীমাবদ্ধ রাখা এবং ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা, ড্রোন, কিংবা গাজা, লেবানন, ইয়েমেন ও ইরাকের প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলোর সাথে সম্পর্কের মতো বিষয়গুলো উত্থাপন না করা ইত্যাদি। শেষ পর্যন্ত আমেরিকা ইরানের শর্তগুলো মেনে নিয়েই আলোচনার টেবিলে বসতে বাধ্য হয়েছে।

আরব বিশ্বের এই অভিজ্ঞ বিশ্লেষক সর্বাত্মক সামরিক হামলার হুমকি থেকে ট্রাম্পের সরে আসার কারণ হিসেবে আমেরিকার সাথে লড়াইয়ে ইসলামী বিপ্লবের সর্বোচ্চ নেতার নেতৃত্বে ইরানের দৃঢ় অবস্থানকেই দায়ী করেছেন। তিনি বলেছেন: ইরানিরা ট্রাম্পকে বিশ্বাস করে না। কারণ তিনি ২০১৮ সালে একতরফাভাবে পারমাণবিক চুক্তি থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন। ইরানিরা খুব ভালো করেই জানে যে ট্রাম্প ইসরা‌ইল সরকারের হাতের পুতুলে পরিণত হয়েছে।

আতওয়ান আরও বলেন: ট্রাম্পের রাষ্ট্রপতিত্বের প্রথম মাসগুলোতে আমেরিকা বিশ্ব মঞ্চে হাসির পাত্রে পরিণত হয়েছিল। বলা বাহুল্য যে ইরান এবং তার মিত্ররা এখন ওই পরিস্থিতির সুযোগ নিতে পেরে খুশি এবং আনন্দিত। প্রবাদে যেমনটি বলা হয়েছে: শেষ হাসি হাসে যে, সে সবচেয়ে ভালো হাসে…। ভবিষ্যৎই বলে দেবে এই যুদ্ধে আসল বিজয়ী কে।# পার্সটুডে