আল-আকসা মসজিদটি ভেঙে থার্ড টেম্পল নির্মাণের প্রচারণায় ইসরায়েল

ডিএনবি নিউজ আর্ন্তজাতিক ডেস্ক:

ফিলিস্তিনের মুসলিমদের পবিত্রতম স্থানগুলোর একটি আল-আকসা মসজিদকে কেন্দ্র করে ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীদের সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ড গভীর উদ্বেগ ও উত্তেজনার সৃষ্টি করেছে। মসজিদটি ধ্বংস করে সেখানে ‘থার্ড টেম্পল’ নির্মাণের আহ্বান এবং পরিকল্পনার অভিযোগে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ফিলিস্তিনি সরকার।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার বরাতে জানা গেছে, সম্প্রতি হিব্রু ভাষায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এমন কিছু পোস্ট ছড়িয়ে পড়েছে যেখানে আল-আকসা মসজিদে হামলার উসকানি এবং সেই জায়গায় নতুন ইহুদি উপাসনালয় নির্মাণের আহ্বান জানানো হয়েছে। বিষয়টিকে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ অত্যন্ত উদ্বেগজনক বলে উল্লেখ করেছে এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।

শনিবার (১৯ এপ্রিল) ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্র ও প্রবাসী মন্ত্রণালয় জানায়, এই ধরনের আহ্বান শুধু ধর্মীয় অবমাননা নয়, বরং এটি সরাসরি মুসলিম বিশ্বের অনুভূতিতে আঘাত এবং পবিত্র স্থানের স্থিতিশীলতা নষ্টের চেষ্টা। তারা সতর্ক করে দিয়ে বলেন, এই প্রচেষ্টা জেরুজালেমে ইসরায়েলি আগ্রাসনের অংশ এবং ধর্মীয় সহিংসতা উসকে দেওয়ার কৌশল।

সম্প্রতি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) মাধ্যমে তৈরি একটি ভিডিও আরও উদ্বেগ বাড়িয়েছে। ভিডিওটিতে দেখানো হয়েছে, আল-আকসা মসজিদ ধ্বংস করে সেখানে তৃতীয় ইহুদি মন্দির গড়ে তোলার দৃশ্য। আগামী বছর জেরুজালেমে শিরোনামের এই ভিডিও সামাজিকমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে এবং মুসলিম বিশ্বে তীব্র প্রতিক্রিয়ার জন্ম দেয়।

ফিলিস্তিনিদের মতে, আল-আকসা শুধু একটি ধর্মীয় স্থান নয়, এটি তাদের জাতীয় পরিচয়ের প্রতীক। ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের জন্য এটি তৃতীয় সর্বোচ্চ মর্যাদাসম্পন্ন পবিত্র স্থান। যদিও প্রাঙ্গণের প্রশাসনিক দায়িত্ব জর্ডানের হাতে, ইসরায়েলি বাহিনী নিয়ন্ত্রণ করছে প্রবেশ ও নিরাপত্তাব্যবস্থা।

অন্যদিকে, ইহুদি ধর্মাবলম্বীদের একটি অংশ বিশ্বাস করে, এই স্থানেই প্রাচীনকালে প্রথম ও দ্বিতীয় টেম্পল স্থাপিত ছিল, যা রোমান সাম্রাজ্য খ্রিস্টপূর্ব ৭০ সালে ধ্বংস করে। সেই ঐতিহাসিক পটভূমিকে সামনে রেখেই তারা এখানে তৃতীয় মন্দির নির্মাণের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে।

ডানপন্থি ইসরায়েলি রাজনীতিবিদরা এই দাবি আরও জোরদার করছেন। জাতীয় নিরাপত্তাবিষয়ক মন্ত্রী ইতামার বেন-গভির ২০২৪ সালের আগস্টে আল-আকসা প্রাঙ্গণে টেম্পল মাউন্ট স্থাপনের ঘোষণা দিয়ে বিতর্কে জড়ান। জানা গেছে, তিনি ২০২২ সালে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে অন্তত ছয়বার আল-আকসা সফর করেছেন। প্রতিবারই এই সফর ঘিরে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে।

ফিলিস্তিনি সরকার এই ঘটনাগুলোকে একটি পরিকল্পিত উসকানি হিসেবে দেখছে এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও জাতিসংঘের সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে, যেন এ ধরনের উসকানিমূলক কর্মকাণ্ডকে আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

বর্তমানে আল-আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণ কার্যত ডানপন্থি ইসরায়েলি রাজনীতিবিদ ও বসতি স্থাপনকারীদের টার্গেটে পরিণত হয়েছে। ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনীর সহায়তায় তারা প্রায় প্রতি সপ্তাহেই জোরপূর্বক মসজিদ চত্বরে প্রবেশ করছে এবং সেখানে ধর্মীয় আচার পালন করছে, যা বর্তমানে চুক্তিভিত্তিক নিষিদ্ধ।

আন্তর্জাতিক মহলের মধ্যে অনেকেই এই পরিস্থিতিকে হেবরনের ইব্রাহিমি মসজিদের ঘটনার সঙ্গে তুলনা করছেন, যেখানে মুসলিম ও ইহুদি অংশে জায়গা ভাগ করে দেওয়া হয়েছিল। অনেকে আশঙ্কা করছেন, আল-আকসার ক্ষেত্রেও হয়তো ইসরায়েল এমনই কিছু পরিকল্পনা করছে।

এই পরিস্থিতিতে আল-আকসা মসজিদের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন মুসলিম বিশ্ব ও ফিলিস্তিনি জনগণ আন্তর্জাতিক সংহতি ও প্রতিরোধের আহ্বান জানাচ্ছে। তারা বলছে, এই পবিত্র স্থানকে রক্ষা করা কেবল একটি ধর্মীয় দায়িত্ব নয়, বরং এটি একটি বৈশ্বিক ন্যায়বিচারের প্রশ্ন।




খান ইউনুসের দক্ষিণে ইসরাইলি সৈন্য নিহত; গাজা যুদ্ধের প্রতিবাদকারী ইসরাইলি ডাক্তারদের তলব

ডিএনবি নিউজ আন্ত: ডেস্ক:

হামাসের সামরিক শাখা ইজ্জাদ্দিন আল-কাসসাম ব্রিগেড ঘোষণা করেছে যে এই ব্রিগেডের যোদ্ধারা দক্ষিণ গাজা উপত্যকার খান ইউনুসের দক্ষিণে ইসরাইলি বাহিনীর একটি দলকে হতাহত করেছে।

পার্সটুডে জানিয়েছে, হামাস আন্দোলনের সামরিক শাখা কাসসাম ব্রিগেড এক বিবৃতিতে ঘোষণা করেছে: গত বুধবার, এই ব্রিগেডের যোদ্ধারা খান ইউনুস শহরের দক্ষিণে ইসরাইলি সেনাবাহিনীর তিনটি D9 সাঁজোয়া বুলডোজারকে অত্যন্ত শক্তিশালী বোমা দিয়ে ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে।

বিবৃতি অনুসারে, একই এলাকায় একটি পৃথক অভিযানে, কাসসাম ব্রিগেডের যোদ্ধারা একটি শত্রু সামরিক ইউনিটকে একটি ফাঁদে আটকে থাকা সুড়ঙ্গ খোলার জন্য প্রলুব্ধ করতে সফল হয়েছিল। বেশ কয়েকজন ইসরাইলি সৈন্য সুড়ঙ্গে প্রবেশ করার সাথে সাথে একের পর এক বোমা বিস্ফোরিত হয়, যার ফলে তাদের বেশ কয়েকজন নিহত এবং আরো অনেকে আহত হয়।

গত বৃহস্পতিবারও, কায়জান আল-নাজ্জার এলাকায় আরও তিনটি ইসরাইলি সেনাবাহিনীর বুলডোজারকে ট্যাঙ্ক-বিধ্বংসী অস্ত্র দিয়ে লক্ষ্যবস্তু করা হয়, যার মধ্যে রয়েছে একটি “ইয়াসিন ১০৫” ক্ষেপণাস্ত্র, একটি “শাওয়াজ” বোমা এবং একটি ব্যারেল বোমা।

অন্য খবরে, ইসরাইলি গণমাধ্যম জানিয়েছে যে ইসরাইলের সেনাবাহিনী যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার বিরোধিতা করে একটি আবেদনে স্বাক্ষরকারী সামরিক বাহিনীর বেশ কয়েকজন রিজার্ভ ডাক্তারকে সামরিক কমান্ডারদের সাথে বৈঠকের জন্য ডেকে পাঠায়।

ইসরাইলে প্রকাশিত দৈনিক “হারেৎজ”, ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর একজন রিজার্ভ ডাক্তারের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছে যে সামরিক কমান্ডাররা এই বৈঠকে স্বাক্ষরকারীদেরকে তাদের স্বাক্ষর প্রত্যাহার করতে বলেছিলেন এবং তাদের যুদ্ধ না করার এ পদক্ষেপকে “অবৈধ” বলে বর্ণনা করেছেন।

বিমান বাহিনীর একজন রিজার্ভ ডাক্তার হারেৎজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন: “আমি চাকরিচ্যুত হওয়ার ভয় পাই না।” যা ঘটছে তা হলো কিছু রাজনীতিবিদ সেনাবাহিনীকে আমাদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক অবস্থান নিতে বাধ্য করার চেষ্টা করছেন।

গত মঙ্গলবার আরেকটি দৈনিক “ইসরায়েল হায়োম” লিখেছে যে ৩,০০০ ইসরাইলি শিক্ষা কর্মী গাজা উপত্যকা থেকে ইসরাইলি বন্দীদের ফিরিয়ে দেওয়ার এবং এই অঞ্চলে যুদ্ধ বন্ধ করার দাবিতে একটি আবেদনে স্বাক্ষর করেছেন।

এ ছাড়া, ইসরাইলের ২০০ বন্দী পরিবার এবং মুক্তিপ্রাপ্ত যুদ্ধবন্দীরা যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানিয়ে বার্তা প্রকাশ করেছে।

এর আগে, ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে দুটি আবেদন প্রকাশিত হয়েছিল, যেগুলোতে এখন পর্যন্ত ২০০ জনেরও বেশি লোক স্বাক্ষর করেছেন।

একটি আবেদনপত্র তৈরি এবং তাতে স্বাক্ষর করেছেন সাইবার ইউনিটের যোদ্ধারা এবং অন্যটি করেছেন ইসরাইলি সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা “আমান”-এর বিশেষ অপারেশন ইউনিটের অভিজ্ঞ সদস্যরা।

অন্যদিকে, ইসরাইলি আর্মি রেডিও জানিয়েছে যে সরকারের নৌবাহিনীর ৪৫০ জন বর্তমান এবং প্রাক্তন কর্মকর্তা অবিলম্বে যুদ্ধ অবসান এবং গাজা উপত্যকা থেকে ইসরাইলি বন্দীদের ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টার আহ্বান জানিয়ে একটি আবেদনে স্বাক্ষর করেছেন।

এই পদক্ষেপ এমন এক পরিস্থিতিতে নেওয়া হয়েছে যেখানে যুদ্ধ দীর্ঘায়িত হওয়া এবং এর লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থতা বিশেষ করে গাজা উপত্যকা থেকে ইসরাইলি বন্দীদের মুক্ত করতে ব্যর্থ হওয়ায় ইসরাইলের ভেতরে অসন্তোষ বিরাজ করছে।সূত্র: পার্সটুডে




গাজায় ৪১২ ইসরায়েলি সেনা নিহত

ডিএনবি নিউজ আন্তঃ ডেস্ক:

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় হামাসের সঙ্গে যুদ্ধে অন্তত ৪১২ জন ইসরায়েলি সেনা নিহত হয়েছেন। দখলদার সেনাবাহিনী শনিবার (১৯ এপ্রিল) ঘোষণা করেছে, উত্তর গাজায় যুদ্ধের সময় একজন ইসরায়েলি সৈন্য নিহত এবং পাঁচজন গুরুতর আহত হয়েছে। এর ফলে ২০২৩ সালে যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ইসরায়েলি সৈন্য নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪১২ জনে দাঁড়িয়েছে।

ইসরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) শনিবার নিহত সৈনিকের নাম গালেব স্লিমান আল-নাসাসরা। তিনি সেনাবাহিনীর ওয়ারেন্ট অফিসার ছিলেন। গত ১৮ মার্চ গাজায় ইসরায়েল পুনরায় আক্রমণ শুরু করার পর উপত্যকায় এই প্রথম কোনো ইসরায়েলি সেনা নিহত হলেন।

নতুন করে ইসরায়েলি হামলা শুরু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় এক হাজার ৮০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এমন অবস্থায় গাজায় আক্রমণ আরও জোরদারের নির্দেশ দিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।

এদিকে গাজা উপত্যকায় বোমাবর্ষণ অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল বাহিনী। এসব হামলায় শনিবার গাজাজুড়ে আরও ৫৪ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এসব হামলায় আহত হয়েছেন বহুসংখ্যক মানুষ।

আল জাজিরা বলছে, শনিবারও দিনজুড়ে গাজায় ইসরায়েলি বাহিনী বোমাবর্ষণ অব্যাহত রেখেছে। এর ফলে কমপক্ষে ৫৪ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। অন্যদিকে হামাস আরেকটি অস্থায়ী যুদ্ধবিরতির জন্য ইসরায়েলি প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় এবং বন্দিদের মুক্তির বিনিময়ে সংঘাতের অবসানের জন্য চুক্তির দাবি জানানোর পর ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু গাজায় যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।




বিদ্যুৎপৃষ্ঠে যুবকের মৃত্যু

ডিএনিবি নিউজ ডেস্ক:

পুকুরে মাছ ধরতে গিয়ে বিদ্যুৎপৃষ্ঠ হয়ে মো. নাসির উদ্দিন (৩০) নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (১৯ এপ্রিল) দুপুরে এ মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। নাসির উদ্দিন পার্শ্ববর্তী লেঙ্গুরা ইউনিয়নের শিবপুর গ্রামের কৃষক আতাব উদ্দিনের ছেলে। স্থানীয় ও নিহতের স্বজনরা জানান, শনিবার দুপুর ১২ ঘটিকার সময় বাড়ির পাশেই এক পুকুরে মাছ ধরতে নামে নাসির উদ্দিন।

ওই সময় বিদ্যুৎতের মোটর দিয়ে পুকুরের কিছু পানি সেচের জন্য লাইন দিলে বিদ্যুৎতের তার ছিড়ে পানিতে পড়ে যায়। ওইসময় বিদ্যুতায়িত হয়ে গুরুতর অসুস্থ্য হয়ে পরে নাসির। পরবর্তিতে বিদ্যুৎতের লাইন বন্ধ করে স্বজনরা তাকে পুকুর থেকে উদ্ধার করে দ্রুত দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে, কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাক্তার ফারহানা সুলতানা বলেন, নাসির উদ্দিনকে হাসপাতালে আনার কমপক্ষে ১৫ মিনিট পুর্বেই সে মুত্যুবরণ করেছে। আমরা তাকে মৃত অবস্থায় পেয়েছি।




বরিশালে মুফতি ফয়জুল করীমকে সিটি মেয়র ঘোষণা করুন: চরমোনাই পীর

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম, পীর সাহেব চরমোনাই শনিবার (১৯ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে বলেছেন, ২০২৩ এর জুনে অনুষ্ঠিত বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচন পতিত ফ্যাসিজমের একটি নিকৃষ্ট মহড়া ছিল। জনরায়কে পদদলিত করতে এবং ভোট জালিয়াতির নগ্ন ও চুড়ান্ত দৃষ্টান্ত স্থাপিত হয়েছিল সেই নির্বাচনে। বরিশাল সিটি নির্বাচন একটি স্থানীয় সরকার নির্বাচন হলেও সেই নির্বাচনের ফলাফল জালিয়াতির সাথে পতিত ফ্যাসিবাদের শীর্ষমহলও জড়িত ছিল। তার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছিলে তৎকালীন প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কথায়। একজন প্রার্থীকে রক্তাক্ত করার প্রশ্নে সে বলেছিল, ‘তিনি কি ইন্তেকাল করেছেন?’ কতটা নির্মম ও জঘন্য রসিকতা ছিল।  আওয়ামী লীগ সরকারের একটা বীভৎস উদাহরণ রচিত হয়েছিল সেদিন। এখন সময় এসেছে এর প্রতিকার করার।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির বলেন, সেই নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীমের প্রতি যেভাবে জনতার আগ্রহ ও উৎসাহ দেখা গেছে এবং নির্বাচনের দিন সকল বুথ থেকে হাতপাখার এজেন্টদের মারধোর করে বের করে একতরফা ভোট জালিয়াতি করার পরেও অল্পসময়ে হাতপাখায় যে পরিমাণ ভোট পড়েছে তাতে এটা স্পষ্ট যে, সেই নির্বাচনে মুফতি সৈয়দ ফয়জুল করীম-ই প্রকৃত বিজয়ী। এই প্রকৃত বিজয়ীকে তার প্রাপ্য দিতে ব্যর্থ হলে জুলাই আন্দোলনের চেতনা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। রাষ্ট্রের মালিক নাগরিকের রায়ের প্রতি অসন্মান করা হবে। তাই হাতপাখার প্রার্থী মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীমকে বরিশাল সিটি নির্বাচনে বিজয়ী ঘোষণা করতে হবে।

পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এবং মুফতি সৈয়দ ফয়জুল করীম যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন, তাতে ইনসাফের দাবি ছিল তাঁকে তার প্রাপ্য অধিকার রাষ্ট্র স্বউদ্যোগে বুঝিয়ে দেওয়া। কিন্তু দুঃখজনক বিষয় হলো তা করা হয় নাই। তাই জনতার রায় বাস্তবায়ন করার জন্য পতিত ফ্যাসিবাদের নির্মমতার শিকার ব্যক্তিকেই আদালতে মামলা করতে হলো। আমরা আশা করি, কালবিলম্ব না করে দ্রুততার সাথে আইনি প্রক্রিয়া শেষ করে বরিশাল সিটি করপোরেশনে জনতার রায়ের প্রতি সন্মান রেখে মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীমকে মেয়র হিসেবে ঘোষণা করতে হবে।

তিনি সতর্ক করে বলেন, জনতার রায়ের প্রতি সন্মান দেখানো এবং জনরায়কে বাস্তবায়ন করার জন্য আমাদের সংগ্রাম অবিরত ছিল, আগামীতেও অবিরাম থাকবে; ইনশাআল্লাহ।




দুর্গাপুরে অসহায় পরিবারের পাশে দাঁড়ালো যুবদল নেতা মেহেদী হাসান সাহস

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার চন্ডিগড় ইউনিয়নের মউ গ্রামের অসহায় সুলেমা খাতুনের পাশে দাঁড়ালো উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মেহেদী হাসান সাহস।   শুক্রবার বিকেলে সুলেমা খাতুনের বাড়িতে গিয়ে পরিবারটিকে খাদ্যসামগ্রী ও আর্থিক সহায়তা তুলে দেন  মেহেদী হাসান সাহস৷

এ সময় জনপ্রতিনিধি, দলীয় নেতৃবৃন্দ সহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। খাদ্য সহায়তার মাঝে ছিলো চাল, ডাল, মুরগী, মাছ,  তেল, আলু,  পেয়াজ,  বিস্কুট সহ আরো অনেক কিছু।

উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মেহেদী হাসান সাহস বলেন, আমার নেতা ব্যারিস্টার কায়সার কামাল দলীয় নেতাকর্মীদের  নির্দেশ দিয়েছে সমাজের অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে । এরই ধারাবাহিকতায় আমি যখন জানতে পারলাম সুলেমা খাতুন সাত সন্তান এবং অসুস্থ শাশুড়িকে নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে।  এজন্য আজ আমি নিজে  সুলেমা খাতুনের বাড়িতে  এসে  খাদ্যসামগ্রী ও আর্থিক সহায়তা দিলাম । এছাড়াও সুলেমা খাতুনের যেকেনো সমস্যায় আমি আমার সাধ্যমতো উনার পাশে থাকবো। আমার এ মানবিক কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।




ভারতে বিতর্কিত ওয়াক্‌ফ আইন বাতিলের দাবিকে কেন্দ্র করে মুর্শিদাবাদে থমথমে পরিস্থিতি

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

ভারতে বিতর্কিত ওয়াক্‌ফ আইন বাতিলের দাবিকে কেন্দ্র করে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মুর্শিদাবাদের দুটি প্রশাসনিক ব্লকের (সুতি ও সামসেরগঞ্জ) কয়েকটি এলাকায় কেন্দ্রীয় আধা সামরিক বাহিনী টহল দিচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে গতকাল শনিবার রাত থেকে এই টহল শুরু হয়।

সামসেরগঞ্জের ধুলিয়ানের এক শিক্ষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে টেলিফোনে প্রথম আলোকে বলেন, পরিস্থিতি বেশ

গতকাল রাত থেকে আজ রোববার সকাল পর্যন্ত মুর্শিদাবাদে অন্তত ১৩৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে জঙ্গিপুরে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৩০ জনকে।

বিতর্কিত ওয়াক্‌ফ আইন বাতিলের দাবিকে কেন্দ্র করে মুসলমানপ্রধান মুর্শিদাবাদ জেলায় গত শুক্রবার বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। পরিস্থিতি প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় শুক্রবার দুপুরের দিকে।

পরিস্থিতি রাজ্য সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে পশ্চিমবঙ্গের প্রধান বিরোধী দল বিজেপির নেতা শুভেন্দু অধিকারী কলকাতা হাইকোর্টে যান। তিনি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের আরজি জানান। তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কলকাতা হাইকোর্ট সুতি ও সামসেরগঞ্জের কয়েকটি এলাকায় কেন্দ্রীয় আধা সামরিক বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দেন।

ইতিমধ্যে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ১৬ এপ্রিল তিনি রাজ্যের ইমাম, মুয়াজ্জিন, বুদ্ধিজীবী, আলেম-উলামাদের সঙ্গে কলকাতার নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে একটি সভা করবেন। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন কলকাতার মেয়র এবং রাজ্যের পৌর ও নগর উন্নয়ন দপ্তরের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।

সম্প্রতি ভারতে মুসলমানদের দান করা শত শত কোটি ডলার মূল্যের ওয়াকফ সম্পত্তির ব্যবস্থাপনা ও বহু বছরের পুরনো পরিচালনা পদ্ধতি সংশোধনে আনা একটি বিল লোকসভায় পাস হয়েছে।

দেশটির বিরোধী দল এবং প্রায় সব মুসলিম সংগঠনই বলছে, এই বিলটি আনাই হয়েছে ভারতের সর্ববৃহৎ সংখ্যালঘু সম্প্রদায় অর্থাৎ মুসলমানদের সাংবিধানিক অধিকার খর্ব করতে।#

সূত্র: পার্সটুডে




সিলেটে মসজিদের ইমামকে ‘রাজকীয় সংবর্ধনা’য় বিদায়

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

৩৫ বছরের বেশি সময় ধরে ইমামতি করে বিদায়ের সময় রাজকীয় সংবর্ধনা পেয়েছেন একজন ইমাম। সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার বাঘা ইউনিয়নের তুরুকভাগ কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ইমামকে এভাবে বিদায় জানান এলাকাবাসী।

শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) আয়োজিত অনুষ্ঠানে মসজিদটির ইমাম ও খতিব মাওলানা আব্দুল মান্নান চৌধুরী অবসর গ্রহণ করায় তাকে গ্রামবাসীর পক্ষ থেকে গার্ড অব অনারসদৃশ ‘রাজকীয় সংবর্ধনা’ দেওয়া হয়। এতে অংশ নেন শত শত মানুষ। এলাকাবাসীর এমন ভালোবাসায় আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন ইমাম সাহেব।

মাওলানা আব্দুল মান্নান চৌধুরী গোলাপগঞ্জ উপজেলার রণকেলী দক্ষিণ ভাগ এলাকার বাসিন্দা। ৩৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে ইমামের দায়িত্ব পালন করছিলেন তিনি। এর মধ্যে তুরুকভাগ জামে মসজিদে টানা ছয় বছর ইমাম ও খতিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

তার অবসর উপলক্ষে তুরুকভাগ তরুণ প্রজন্ম ও গ্রামবাসীর উদ্যোগে এই ব্যতিক্রমী বিদায় সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে গ্রামবাসীর পক্ষ থেকে তাকে ক্রেস্ট,স্মরণিকা, হাদিয়া ও নানা উপহার সামগ্রী প্রদান করা হয়।

ইমাম সাহেব বলেন, আমি এই ভালোবাসায় সত্যিই বিমোহিত। এতো সম্মান পেয়ে নিজেকে ধন্য মনে করছি। আল্লাহ যেন আপনাদের সবাইকে উত্তম প্রতিদান দেন।

বিদায় সংবর্ধনা শেষে মসজিদ থেকে শুরু হয় এক ব্যতিক্রমধর্মী শোভাযাত্রা। যুবসমাজের আয়োজনে রাজকীয় সাজে ইমামকে সুসজ্জিত অবস্থায় তার নিজ বাড়ি রণকেলীতে পৌঁছে দেওয়া হয়।

স্থানীয়রা জানান, মাওলানা মান্নান চৌধুরী শুধু একজন ইমাম নন, ছিলেন ধর্মীয়, নৈতিক ও সামাজিক শিক্ষার অনুপ্রেরণা। তার প্রস্থানে গ্রামবাসীর চোখে ছিল অশ্রু, মনে ছিল কৃতজ্ঞতা।




কলকাতায় ইমাম-মুয়াজ্জিনদের উদ্দেশে মমতার বার্তা

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

বিতর্কিত ওয়াকফ বিলকে কেন্দ্র করে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদে বিক্ষোভের মধ্যে সাম্প্রদায়িক সহিংসতার পরিপ্রেক্ষিতে পশ্চিমবঙ্গের ইমাম-মুয়াজ্জিনদের শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। তিনি এই ঘটনায় জড়িতদের বিচারের আশ্বাসও দিয়েছেন।

বুধবার (১৬ এপ্রিল) কলকাতায় পশ্চিমবঙ্গের ইমাম-মুয়াজ্জিনদের এক সভায় ভাষণ দিতে গিয়ে তাদের উদ্দেশ্য করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আপনারা শান্ত থাকুন। বিজেপির প্ররোচনায় পা দেবেন না। ইমামদের একটা ভূমিকা পালন করতে হবে। আমি কিন্তু খুঁজে বার করব সীমান্ত এলাকায় বিএসএফ কাকে কাকে হাত করেছে এবং কিছু বাচ্চা ছেলেকে পাঁচ-ছয় হাজার টাকার বিনিময়ে ইঁট ছুঁড়িয়েছে।

এ সময় বাংলাদেশের কথা একাধিকবার টেনে এনেছেন ওই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী। তিনি কেন্দ্রীয় সরকার ও প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে বলেন, আপনি বাংলাদেশের পরিস্থিতি জানেন না? আপনি ইউনূসের সঙ্গে গোপন মিটিং করুন, চুক্তি করুন। দেশের ভালো হলে খুশি হবো। কিন্তু আপনাদের প্ল্যানিংটা কী? কোনো এজেন্সির মাধ্যমে ওখান থেকে লোক নিয়ে এসে দাঙ্গা করা?

মুখ্যমন্ত্রীর অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে ভাষণের যে লাইভ দেখানো হয়েছে, সেখানেই এই প্রসঙ্গগুলো আছে।
সংবাদ সংস্থা এএনআইয়ের এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডেলের একটি পোস্টের প্রসঙ্গে মমতা ব্যানার্জী বলেন, কাল আমি এএনআই-এর একটি টুইট দেখেছি, হোম মিনিস্ট্রির সোর্স কোট করে বলেছে যে- ইসমে বাংলাদেশ কা হাথ হ্যায়।
মমতা ব্যানার্জীর বক্তব্যের শেষ অংশটি হিন্দিতে, যার অর্থ হলো- ‘এতে বাংলাদেশের হাত আছে’।

এর পরেই তিনি বলেন, যদি এই সহিংসতায় বাংলাদেশের হাত থাকে, তাহলে তার দায় তো কেন্দ্র সরকারের। সীমান্ত সামলানোর দায়িত্ব বিএসএফের। রাজ্যের হাত নেই এতে।

মুর্শিদাবাদের সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় বাংলাদেশের সংশ্লিষ্টতা এবং বিএসএফের দায় নিয়ে এই একই কথা ভাষণের শেষ দিকে আরও একবার বলেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী।

উল্লেখ্য, ভারতের পার্লামেন্টে পাস হওয়া ওয়াকফ আইনের সংশোধনি নিয়ে প্রথম দফায় গত মঙ্গল ও বুধবার এবং দ্বিতীয় দফায় শুক্র ও শনিবার বাংলাদেশে সীমান্তবর্তী সুতি ও সামশেরগঞ্জ এলাকায় ব্যাপক সহিংসতা ছড়িয়েছিল। ওই সহিংসতার জেরে শনিবার তিনজনের মৃ্ত্যু হয়েছিল – যাদের দুজন হিন্দু ও একজন মুসলমান বলে রাজ্য পুলিশ জানায়।




দুর্গাপুরে অগ্নিকান্ডে বসত ঘর পুড়ে ছাই

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

নেত্রকোনার দুর্গাপুরে অগ্নিকান্ডে একটি বসত ঘরের আসবাবপত্র সহ সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। মঙ্গলবার রাতে উপজেলার বিরিশিরি ইউনিয়নের ভূলিগাঁও গ্রামের হায়দার আলীর ছেলে সোহাগ হাসান বাপ্পির বাড়িতে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার রাতে সোহাগ হাসান ঘরের ভিতর মোমবাতি জ্বালিয়ে পাশের বাসায় খাবার খাওয়ার জন্য গিয়েছিলেন। কিছুক্ষণ পর দেখতে পান তাঁর ঘরে আগুন দাউ দাউ করে জ্বলছে। মুহুর্তের মধ্যে আগুন ঘরের চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। আগুন দেখে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলেও আগুন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ায় নেভানো সম্ভব হয়নি। অগ্নিকান্ডের খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা ঘটনাস্থলে যায় এবং আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এ অগ্নিকান্ডে হতাহতের কেনে ঘটনা ঘটেনি।

সোহাগ হাসান বাপ্পি বলেন, ঘরের ভিতর মোমবাতি জ্বালিয়ে রাতের খাবার খাওয়ার জন্য পাশের বাড়িতে গিয়েছিলাম। হঠাৎ করে একজন বলতে থাকে আমার ঘরে আগুন লেগেছে। সাথে সাথে ডাকচিৎকার দিলে সবাই এগিয়ে এসে আগুন নিভানোর জন্য প্রাণপণে চেষ্টা করেও শেষ রক্ষা করতে পারেনি। ঘরের ভিতরে থাকা আসবাবপত্র সহ কেনো কিছুই রক্ষা করা সম্ভব হয়নি। আমার সবকিছুই পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। প্রায় ৩ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানান বাপ্পি।

দুর্গাপুর ফায়ার স্টেশন লিডার মঞ্জুল ফরাজী জানান, আমরা খবর পাওয়ার পরপরই ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি ঘরের ভিতর আগুন জ্বলছে। সে অবস্থায় আমরা কাজ শুরু করি। গাড়িতে থাকা পানি শেষ হলে পুনরায় অন্য জায়গায় থেকে পানি এনে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনি। মোমবাতির আগুন থেকে এই অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত হতে পারে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।