বিদ্যুৎপৃষ্ঠে যুবকের মৃত্যু

ডিএনিবি নিউজ ডেস্ক:

পুকুরে মাছ ধরতে গিয়ে বিদ্যুৎপৃষ্ঠ হয়ে মো. নাসির উদ্দিন (৩০) নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (১৯ এপ্রিল) দুপুরে এ মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। নাসির উদ্দিন পার্শ্ববর্তী লেঙ্গুরা ইউনিয়নের শিবপুর গ্রামের কৃষক আতাব উদ্দিনের ছেলে। স্থানীয় ও নিহতের স্বজনরা জানান, শনিবার দুপুর ১২ ঘটিকার সময় বাড়ির পাশেই এক পুকুরে মাছ ধরতে নামে নাসির উদ্দিন।

ওই সময় বিদ্যুৎতের মোটর দিয়ে পুকুরের কিছু পানি সেচের জন্য লাইন দিলে বিদ্যুৎতের তার ছিড়ে পানিতে পড়ে যায়। ওইসময় বিদ্যুতায়িত হয়ে গুরুতর অসুস্থ্য হয়ে পরে নাসির। পরবর্তিতে বিদ্যুৎতের লাইন বন্ধ করে স্বজনরা তাকে পুকুর থেকে উদ্ধার করে দ্রুত দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে, কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাক্তার ফারহানা সুলতানা বলেন, নাসির উদ্দিনকে হাসপাতালে আনার কমপক্ষে ১৫ মিনিট পুর্বেই সে মুত্যুবরণ করেছে। আমরা তাকে মৃত অবস্থায় পেয়েছি।




বরিশালে মুফতি ফয়জুল করীমকে সিটি মেয়র ঘোষণা করুন: চরমোনাই পীর

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম, পীর সাহেব চরমোনাই শনিবার (১৯ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে বলেছেন, ২০২৩ এর জুনে অনুষ্ঠিত বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচন পতিত ফ্যাসিজমের একটি নিকৃষ্ট মহড়া ছিল। জনরায়কে পদদলিত করতে এবং ভোট জালিয়াতির নগ্ন ও চুড়ান্ত দৃষ্টান্ত স্থাপিত হয়েছিল সেই নির্বাচনে। বরিশাল সিটি নির্বাচন একটি স্থানীয় সরকার নির্বাচন হলেও সেই নির্বাচনের ফলাফল জালিয়াতির সাথে পতিত ফ্যাসিবাদের শীর্ষমহলও জড়িত ছিল। তার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছিলে তৎকালীন প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কথায়। একজন প্রার্থীকে রক্তাক্ত করার প্রশ্নে সে বলেছিল, ‘তিনি কি ইন্তেকাল করেছেন?’ কতটা নির্মম ও জঘন্য রসিকতা ছিল।  আওয়ামী লীগ সরকারের একটা বীভৎস উদাহরণ রচিত হয়েছিল সেদিন। এখন সময় এসেছে এর প্রতিকার করার।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির বলেন, সেই নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীমের প্রতি যেভাবে জনতার আগ্রহ ও উৎসাহ দেখা গেছে এবং নির্বাচনের দিন সকল বুথ থেকে হাতপাখার এজেন্টদের মারধোর করে বের করে একতরফা ভোট জালিয়াতি করার পরেও অল্পসময়ে হাতপাখায় যে পরিমাণ ভোট পড়েছে তাতে এটা স্পষ্ট যে, সেই নির্বাচনে মুফতি সৈয়দ ফয়জুল করীম-ই প্রকৃত বিজয়ী। এই প্রকৃত বিজয়ীকে তার প্রাপ্য দিতে ব্যর্থ হলে জুলাই আন্দোলনের চেতনা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। রাষ্ট্রের মালিক নাগরিকের রায়ের প্রতি অসন্মান করা হবে। তাই হাতপাখার প্রার্থী মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীমকে বরিশাল সিটি নির্বাচনে বিজয়ী ঘোষণা করতে হবে।

পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এবং মুফতি সৈয়দ ফয়জুল করীম যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন, তাতে ইনসাফের দাবি ছিল তাঁকে তার প্রাপ্য অধিকার রাষ্ট্র স্বউদ্যোগে বুঝিয়ে দেওয়া। কিন্তু দুঃখজনক বিষয় হলো তা করা হয় নাই। তাই জনতার রায় বাস্তবায়ন করার জন্য পতিত ফ্যাসিবাদের নির্মমতার শিকার ব্যক্তিকেই আদালতে মামলা করতে হলো। আমরা আশা করি, কালবিলম্ব না করে দ্রুততার সাথে আইনি প্রক্রিয়া শেষ করে বরিশাল সিটি করপোরেশনে জনতার রায়ের প্রতি সন্মান রেখে মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীমকে মেয়র হিসেবে ঘোষণা করতে হবে।

তিনি সতর্ক করে বলেন, জনতার রায়ের প্রতি সন্মান দেখানো এবং জনরায়কে বাস্তবায়ন করার জন্য আমাদের সংগ্রাম অবিরত ছিল, আগামীতেও অবিরাম থাকবে; ইনশাআল্লাহ।




দুর্গাপুরে অসহায় পরিবারের পাশে দাঁড়ালো যুবদল নেতা মেহেদী হাসান সাহস

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার চন্ডিগড় ইউনিয়নের মউ গ্রামের অসহায় সুলেমা খাতুনের পাশে দাঁড়ালো উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মেহেদী হাসান সাহস।   শুক্রবার বিকেলে সুলেমা খাতুনের বাড়িতে গিয়ে পরিবারটিকে খাদ্যসামগ্রী ও আর্থিক সহায়তা তুলে দেন  মেহেদী হাসান সাহস৷

এ সময় জনপ্রতিনিধি, দলীয় নেতৃবৃন্দ সহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। খাদ্য সহায়তার মাঝে ছিলো চাল, ডাল, মুরগী, মাছ,  তেল, আলু,  পেয়াজ,  বিস্কুট সহ আরো অনেক কিছু।

উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মেহেদী হাসান সাহস বলেন, আমার নেতা ব্যারিস্টার কায়সার কামাল দলীয় নেতাকর্মীদের  নির্দেশ দিয়েছে সমাজের অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে । এরই ধারাবাহিকতায় আমি যখন জানতে পারলাম সুলেমা খাতুন সাত সন্তান এবং অসুস্থ শাশুড়িকে নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে।  এজন্য আজ আমি নিজে  সুলেমা খাতুনের বাড়িতে  এসে  খাদ্যসামগ্রী ও আর্থিক সহায়তা দিলাম । এছাড়াও সুলেমা খাতুনের যেকেনো সমস্যায় আমি আমার সাধ্যমতো উনার পাশে থাকবো। আমার এ মানবিক কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।




ভারতে বিতর্কিত ওয়াক্‌ফ আইন বাতিলের দাবিকে কেন্দ্র করে মুর্শিদাবাদে থমথমে পরিস্থিতি

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

ভারতে বিতর্কিত ওয়াক্‌ফ আইন বাতিলের দাবিকে কেন্দ্র করে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মুর্শিদাবাদের দুটি প্রশাসনিক ব্লকের (সুতি ও সামসেরগঞ্জ) কয়েকটি এলাকায় কেন্দ্রীয় আধা সামরিক বাহিনী টহল দিচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে গতকাল শনিবার রাত থেকে এই টহল শুরু হয়।

সামসেরগঞ্জের ধুলিয়ানের এক শিক্ষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে টেলিফোনে প্রথম আলোকে বলেন, পরিস্থিতি বেশ

গতকাল রাত থেকে আজ রোববার সকাল পর্যন্ত মুর্শিদাবাদে অন্তত ১৩৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে জঙ্গিপুরে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৩০ জনকে।

বিতর্কিত ওয়াক্‌ফ আইন বাতিলের দাবিকে কেন্দ্র করে মুসলমানপ্রধান মুর্শিদাবাদ জেলায় গত শুক্রবার বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। পরিস্থিতি প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় শুক্রবার দুপুরের দিকে।

পরিস্থিতি রাজ্য সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে পশ্চিমবঙ্গের প্রধান বিরোধী দল বিজেপির নেতা শুভেন্দু অধিকারী কলকাতা হাইকোর্টে যান। তিনি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের আরজি জানান। তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কলকাতা হাইকোর্ট সুতি ও সামসেরগঞ্জের কয়েকটি এলাকায় কেন্দ্রীয় আধা সামরিক বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দেন।

ইতিমধ্যে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ১৬ এপ্রিল তিনি রাজ্যের ইমাম, মুয়াজ্জিন, বুদ্ধিজীবী, আলেম-উলামাদের সঙ্গে কলকাতার নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে একটি সভা করবেন। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন কলকাতার মেয়র এবং রাজ্যের পৌর ও নগর উন্নয়ন দপ্তরের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।

সম্প্রতি ভারতে মুসলমানদের দান করা শত শত কোটি ডলার মূল্যের ওয়াকফ সম্পত্তির ব্যবস্থাপনা ও বহু বছরের পুরনো পরিচালনা পদ্ধতি সংশোধনে আনা একটি বিল লোকসভায় পাস হয়েছে।

দেশটির বিরোধী দল এবং প্রায় সব মুসলিম সংগঠনই বলছে, এই বিলটি আনাই হয়েছে ভারতের সর্ববৃহৎ সংখ্যালঘু সম্প্রদায় অর্থাৎ মুসলমানদের সাংবিধানিক অধিকার খর্ব করতে।#

সূত্র: পার্সটুডে




সিলেটে মসজিদের ইমামকে ‘রাজকীয় সংবর্ধনা’য় বিদায়

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

৩৫ বছরের বেশি সময় ধরে ইমামতি করে বিদায়ের সময় রাজকীয় সংবর্ধনা পেয়েছেন একজন ইমাম। সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার বাঘা ইউনিয়নের তুরুকভাগ কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ইমামকে এভাবে বিদায় জানান এলাকাবাসী।

শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) আয়োজিত অনুষ্ঠানে মসজিদটির ইমাম ও খতিব মাওলানা আব্দুল মান্নান চৌধুরী অবসর গ্রহণ করায় তাকে গ্রামবাসীর পক্ষ থেকে গার্ড অব অনারসদৃশ ‘রাজকীয় সংবর্ধনা’ দেওয়া হয়। এতে অংশ নেন শত শত মানুষ। এলাকাবাসীর এমন ভালোবাসায় আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন ইমাম সাহেব।

মাওলানা আব্দুল মান্নান চৌধুরী গোলাপগঞ্জ উপজেলার রণকেলী দক্ষিণ ভাগ এলাকার বাসিন্দা। ৩৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে ইমামের দায়িত্ব পালন করছিলেন তিনি। এর মধ্যে তুরুকভাগ জামে মসজিদে টানা ছয় বছর ইমাম ও খতিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

তার অবসর উপলক্ষে তুরুকভাগ তরুণ প্রজন্ম ও গ্রামবাসীর উদ্যোগে এই ব্যতিক্রমী বিদায় সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে গ্রামবাসীর পক্ষ থেকে তাকে ক্রেস্ট,স্মরণিকা, হাদিয়া ও নানা উপহার সামগ্রী প্রদান করা হয়।

ইমাম সাহেব বলেন, আমি এই ভালোবাসায় সত্যিই বিমোহিত। এতো সম্মান পেয়ে নিজেকে ধন্য মনে করছি। আল্লাহ যেন আপনাদের সবাইকে উত্তম প্রতিদান দেন।

বিদায় সংবর্ধনা শেষে মসজিদ থেকে শুরু হয় এক ব্যতিক্রমধর্মী শোভাযাত্রা। যুবসমাজের আয়োজনে রাজকীয় সাজে ইমামকে সুসজ্জিত অবস্থায় তার নিজ বাড়ি রণকেলীতে পৌঁছে দেওয়া হয়।

স্থানীয়রা জানান, মাওলানা মান্নান চৌধুরী শুধু একজন ইমাম নন, ছিলেন ধর্মীয়, নৈতিক ও সামাজিক শিক্ষার অনুপ্রেরণা। তার প্রস্থানে গ্রামবাসীর চোখে ছিল অশ্রু, মনে ছিল কৃতজ্ঞতা।