মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী আব্দুল্লাহ আল বাদাবী ইন্তেকাল করেছেন

ডিএনবি নিউজ আন্তঃ ডেস্ক:

মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী আব্দুল্লাহ আল বাদাবী ইন্তেকাল করেছেন। তিনি ৮৫ বছর বয়সে দেশের ন্যাশনাল হার্ট ইনস্টিটিউটে মৃত্যুবরণ করেন। তার মৃত্যু সংবাদটি তার জামাতার মাধ্যমে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশিত হয়েছে। জামাতা আল্লাহর কাছে তার আত্মার শান্তি কামনা করেছেন এবং তাকে সৎকর্মশীলদের মধ্যে স্থান দেওয়ার জন্য প্রার্থনা করেছেন।

আব্দুল্লাহ আল বাদাবী ১৯৯৩ সালে পেনাংয়ে জন্মগ্রহণ করেন এবং তিনি ২০০৩ সাল থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত মালয়েশিয়ার পঞ্চম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ডা. মাহাথির মোহাম্মদের পদত্যাগের পর এই পদে আসীন হন। তার নেতৃত্বে মালয়েশিয়া বিভিন্ন ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন সাধন করে।

তার মৃত্যুতে দেশটির রাজনৈতিক অঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। আব্দুল্লাহ আল বাদাবীর অবদান ও নেতৃত্বের জন্য তাকে স্মরণ করা হবে।




যুদ্ধ বন্ধের নিশ্চয়তা পেলে বন্দী মুক্তি দিতে রাজি দেবে হামাস

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

ইসরায়েল গাজায় যুদ্ধ বন্ধ করার নিশ্চয়তা দিলে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস সমস্ত বন্দীকে মুক্তি দিতে প্রস্তুত। হামাসের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা এ কথা বলেছেন।

আল জাজিরা জানিয়েছে, ১৮ মাস ধরে ইসরায়েলি বোমাবর্ষণে বিধ্বস্ত গাজায় যুদ্ধবিরতিতে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করা মিশর এবং কাতারের সঙ্গে কায়রোতে আলোচনা চলছে হামাসের।

সংগঠনের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা তাহের আল-নুনু বলেন, ‘একটি গুরুতর বন্দি বিনিময় চুক্তি, যুদ্ধের অবসান, গাজা উপত্যকা থেকে ইসরায়েলি বাহিনী প্রত্যাহার এবং মানবিক সাহায্যের প্রবেশের বিনিময়ে আমরা সমস্ত ইসরায়েলি বন্দীকে মুক্তি দিতে প্রস্তুত।’

তবে ইসরায়েল যুদ্ধবিরতির অগ্রগতিতে বাধা বাধা দিচ্ছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। বলেন, বিষয়টি বন্দীদের সংখ্যা নয়। বরং সমস্যাটি হলো দখলদাররা তাদের প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করছে, যুদ্ধবিরতি চুক্তি বাস্তবায়নে বাধা দিচ্ছে এবং যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে। তাই হামাস দখলদার ইসরায়েলকে চুক্তি বহাল রাখতে বাধ্য করার জন্য গ্যারান্টির প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছে।

সোমবার ইসরায়েলি সংবাদ ওয়েবসাইট ইয়নেট জানিয়েছে, হামাসের কাছে একটি নতুন প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। প্রস্তাবের অধীনে, হামাস ১০ জন জীবিত বন্দীকে মুক্তি দেবে এবং মার্কিন গ্যারান্টির বিনিময়ে ইসরায়েল যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় পর্যায়ের জন্য আলোচনায় প্রবেশ করবে।

১৯ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া যুদ্ধবিরতির প্রথম পর্যায়ে একাধিক ধাপে বন্দী বিনিময় হয়েছিল। কিন্তু দুই মাস পর ইসরায়েল একাধিকবার যুদ্ধবিরতি ভঙ্গ করে নতুন আক্রমণ শুরু করে।

ইসরায়েলি বিরোধী রাজনীতিবিদ, প্রাক্তন সেনা কর্মকর্তা এবং বন্দীদের পরিবার নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে নিজস্ব রাজনৈতিক স্বার্থে যুদ্ধ চালানোর অভিযোগ তুলেছেন।




দুর্গাপুরে নানা আয়োজনে বাংলা নববর্ষ পালিত

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

নেত্রকোনার দুর্গাপুরে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে, বিএনপি, সিপিবি, পুলিশ প্রশাসন, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি, শিল্পকলা একাডেমি, পথ পাঠাগার, সময় সাংস্কৃতিক গোষ্ঠী সহ বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠন এর অংশগ্রহনে পালিত হয়েছে বাংলা নববর্ষ 1432। সোমবার দিনব্যাপি নানা কর্মসুচীর মধ্য দিয়ে এ দিবস পালিত যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়েছে।

এ উপলক্ষে উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে জাতীয় সংগীত ও বৈশাখের গান পরিবেশনের মধ্য দিয়ে দিবসের সুচনা ঘটে। পরবর্তিতে এক বর্ণাঢ্য ‘‘বর্ষবরণ শোভাযাত্রা’’ আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, বিভিন্ন প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনা সভায় একাডেমিক সুপারভাইজার মুহাম্মদ নাসির উদ্দিন এর সঞ্চালনায়, উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাভিদ রেজওয়ানুল কবীরের সভাপতিত্বে উপজেলায় কর্মরত বিভিন্ন দপ্তরের প্রধানগণ, বিএনপি ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীগণ, বিভিন্ন্ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানগণ, দুর্গাপুর প্রেসক্লাব ও সাংবাদিক সমিতির সাংবাদিকগণ সহ অন্যান্য সকল দপ্তরের কর্মকর্তা কর্মচারীগন উপস্থিত ছিলেন। আলোচনা শেষে উপজেলা শিল্পকলা একাডেমি এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করে।

এছাড়া সুসঙ্গ সরকারি মহাবিদ্যালয়, দুর্গাপুর মহিলা ডিগ্রি কলেজ, ডন বসকো কলেজ, সুসঙ্গ আদর্শ বিদ্যানিকেতন, এডভান্স মডেল স্কুল, সিপিবি, পথ পাঠাগার, বিরিশিরি বর্ষবরণ উদযাপন কমিটি, দুর্গাপুর ঘুড়ি প্রতিযোগিতা কমিটি, সময় সাংস্কৃতিক গোষ্ঠী সহ অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে পৃথক পৃথক আলোচনা, চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা, ঘুড়ি উড়ানো সহ লোকজ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করে।




‘আমাদের নববর্ষ, আমাদের সংস্কৃতি’ প্রতিপাদ্যে রাজধানীতে জাতীয় সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা

বাংলা নববর্ষ ১৪৩২-কে বরণ করে নিতে ‘জাতীয় সাংস্কৃতিক কেন্দ্র’রাজধানীতে ‘বাঙলা নবযাত্রা ১৪৩২’ নামে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা করেছে। সোমবার (১৪ এপ্রিল) সকালে এই শোভাযাত্রা বের হয়। এটি মুক্তাঙ্গন থেকে শিল্পকলার দিকে যায়।

সংগঠনটির পক্ষ থেকে দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য উৎসব অনুষ্ঠিত হচ্ছে রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমি সংলগ্ন জাতীয় মৎস্য ভবন সড়কে। ‘আমাদের নববর্ষ, আমাদের সংস্কৃতি’ প্রতিপাদ্যে আয়োজিত এই উৎসবে রয়েছে রঙিন সাংস্কৃতিক পরিবেশনা, শোভাযাত্রা, মেজবান এবং কবিতা-সংগীত-কথার এক মিলনমেলা।

দুপুর ১২টায় আয়োজন করা হবে ‘বাঙলা মেজবান’ — যেখানে ভাত-গরু-মিষ্টান্নসহ ঐতিহ্যবাহী খাবারের আয়োজন থাকবে দর্শনার্থীদের জন্য (শুভেচ্ছা মূল্যে)। বিকেল ৩টা থেকে শুরু হবে ‘বাংলা সাংস্কৃতিক উৎসব’, যেখানে সংগীত, কবিতা ও কথন পরিবেশন করবেন দেশজুড়ে খ্যাতিমান শিল্পী, সাহিত্যিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বরা। এছাড়াও বিভিন্ন জাতীয় ও আঞ্চলিক সাংস্কৃতিক দলের পরিবেশনায় উৎসবটি আরও প্রাণবন্ত করে তোলা হবে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন কবি মুহিব খান। আরও উপস্থিত থাকবেন দেশের শতাধিক জনপ্রিয় শিল্পী, সাহিত্যিক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিবর্গ এবং বরেণ্য আলেম চিন্তাবিদ, সাংবাদিক ও বুদ্ধিজীবিগণ। আয়োজকরা জানিয়েছেন, এই উৎসব মূলত বিজাতীয় সংস্কৃতির মোকাবিলায় দেশীয় সংস্কৃতি ছড়িয়ে লক্ষ্যে আয়োজন করা হচ্ছে। জাতীয় সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের আয়োজনে এই উৎসব জাতীয় সংস্কৃতির গৌরব ও ঐতিহ্যকে নতুন প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দিতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন সংশ্লিষ্টরা।




ভারতে বিতর্কিত ওয়াক্‌ফ আইন বাতিলের দাবিকে কেন্দ্র করে মুর্শিদাবাদে থমথমে পরিস্থিতি

ডিএনবি নিউজ  আন্ত: ডেস্ক:

ভারতে বিতর্কিত ওয়াক্‌ফ আইন বাতিলের দাবিকে কেন্দ্র করে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মুর্শিদাবাদের দুটি প্রশাসনিক ব্লকের (সুতি ও সামসেরগঞ্জ) কয়েকটি এলাকায় কেন্দ্রীয় আধা সামরিক বাহিনী টহল দিচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে গতকাল শনিবার রাত থেকে এই টহল শুরু হয়।

সামসেরগঞ্জের ধুলিয়ানের এক শিক্ষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে টেলিফোনে প্রথম আলোকে বলেন, পরিস্থিতি বেশ

গতকাল রাত থেকে আজ রোববার সকাল পর্যন্ত মুর্শিদাবাদে অন্তত ১৩৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে জঙ্গিপুরে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৩০ জনকে।

বিতর্কিত ওয়াক্‌ফ আইন বাতিলের দাবিকে কেন্দ্র করে মুসলমানপ্রধান মুর্শিদাবাদ জেলায় গত শুক্রবার বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। পরিস্থিতি প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় শুক্রবার দুপুরের দিকে।

পরিস্থিতি রাজ্য সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে পশ্চিমবঙ্গের প্রধান বিরোধী দল বিজেপির নেতা শুভেন্দু অধিকারী কলকাতা হাইকোর্টে যান। তিনি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের আরজি জানান। তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কলকাতা হাইকোর্ট সুতি ও সামসেরগঞ্জের কয়েকটি এলাকায় কেন্দ্রীয় আধা সামরিক বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দেন।

ইতিমধ্যে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ১৬ এপ্রিল তিনি রাজ্যের ইমাম, মুয়াজ্জিন, বুদ্ধিজীবী, আলেম-উলামাদের সঙ্গে কলকাতার নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে একটি সভা করবেন। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন কলকাতার মেয়র এবং রাজ্যের পৌর ও নগর উন্নয়ন দপ্তরের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।

সম্প্রতি ভারতে মুসলমানদের দান করা শত শত কোটি ডলার মূল্যের ওয়াকফ সম্পত্তির ব্যবস্থাপনা ও বহু বছরের পুরনো পরিচালনা পদ্ধতি সংশোধনে আনা একটি বিল লোকসভায় পাস হয়েছে।

দেশটির বিরোধী দল এবং প্রায় সব মুসলিম সংগঠনই বলছে, এই বিলটি আনাই হয়েছে ভারতের সর্ববৃহৎ সংখ্যালঘু সম্প্রদায় অর্থাৎ মুসলমানদের সাংবিধানিক অধিকার খর্ব করতে।#

সূত্র: পার্সটুডে




ভারতে সংখ্যালঘু নির্যাতন বন্ধে বাংলাদেশ সরকারকে ভূমিকা নেওয়ার আহ্বান ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

ভারতে ওয়াক্‌ফ বিলের ‘বিতর্কিত সংশোধন’ বাতিল ও সংখ্যালঘু নির্যাতন বন্ধে বাংলাদেশ সরকারকে ভূমিকা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। আজ রোববার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে দলটি এ আহ্বান জানায়।

বিবৃতিতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা ইউনুস আহমেদ বলেন, আধুনিক ভারত রাষ্ট্র গঠন হওয়া এমনকি ভারতে হিন্দুত্ববাদের বিকাশের আগেই ওয়াক্‌ফর প্রচলন ছিল। ভারতসহ এই অঞ্চলের শিক্ষা ও নাগরিক সমাজ গড়ে উঠেছে ওয়াক্‌ফ সম্পত্তি ব্যবহার করে। সভ্যতা বিকাশের সেই ঐতিহাসিক পদ্ধতিকে বিজেপি সরকার অন্যায্য ও সাম্প্রদায়িক প্রতিহিংসার বশীভূত হয়ে বিকৃত করে ভারতজুড়ে মুসলিম নিধনের নতুন উপলক্ষ তৈরি করেছে।

ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব বলেন, ‘ভারতের প্রতিবেশী দেশ হিসেবে আমাদেরও কিছু করণীয় আছে। ভারত ১৯৭১ সালে আমাদের নির্যাতিত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। আজকে যখন ভারতে মানুষ নির্যাতনের শিকার হচ্ছে, তখন তাদের পাশে দাঁড়ানো আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। তাই সরকারকে বলব, সংখ্যালঘু নির্যাতন বন্ধে ভারতকে কঠোর বার্তা দিন। নিরীহ মানুষকে রক্ষায় প্রয়োজনে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোতে ভারতে মুসলিম নির্যাতনের চিত্র তুলে ধরে তার প্রতিকারে ব্যবস্থা নিতে আহ্বান করুন।’