দুর্গাপুরে অতিরিক্ত আদায়কৃত ভাড়া, যাত্রীদের ফেরত দিলেন ইউএনও

দুর্গাপুর (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি :

ঈদুল ফিতরের ছুটি কাটানো শেষে কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছে কর্মজীবী মানুষ। তবে তাদের কাছ থেকে সরকার নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করায় নেত্রকোনার দুর্গাপুরের বেশ কয়েকটি বাস পরিবহনে অভিযান পরিচালনা করেছে উপজেলা প্রশাসন। ‘‘যেখানেই অনিয়ম-সেখানেই অভিযান’’ এ লক্ষ সামনে রেখে, শুক্রবার (৪ এপ্রিল) রাত সাড়ে নয়টার দিকে পৌর শহরের দক্ষিণপাড়া মোড় ও বিরিশিরি এলাকার বাস কাউন্টার গুলোতে এ অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. নাভিদ রেজওয়ানুল কবীর। এ সময় যাত্রীদের কাছ থেকে নেওয়া অতিরিক্ত ভাড়ার টাকা সকলকে ফেরত দেওয়া হয়।

অভিযান সূত্রে জানা গেছে, দুর্গাপুর থেকে ঢাকায় চলাচলকারী পরিবহন গুলো টিকিটের গায়ে মুল্য না লিখে ফাঁকা রেখে যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে। অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ পেয়ে শুক্রবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও)। অভিযানে মা মনি এন্টারপ্রাইজ, সাথী পরিবহন, সেন্ট মার্টিন পরিবহন সহ বিভিন্ন পরিবহনে যাত্রীদের কাছ থেকে নেওয়া অতিরিক্ত ভাড়ার টাকা যাত্রীদের ফেরত দিতে বাধ্য করা হয়। অতিরিক্ত ভাড়া আদায় এবং যাত্রীদের যাতে কোন প্রকার হয়রানি না করা হয় সেজন্য কাউন্টারগুলোকে প্রাথমিক সতর্ক করা হয়েছে। এ সময় সেনাবাহিনী ও দুর্গাপুর থানা পুলিশের সদস্যরা সহযোগিতায় ছিলেন।

ভাড়া ফেরত পাওয়া যাত্রী আব্বাস উদ্দিন বলেন, ঈদের আগে ও পরে সমসময়ই জিম্মি করে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় শুরু করে। আমি ঢাকায় যাচ্ছিলাম বাস ভাড়া ৬৫০ করে দুইটি টিকিট ১৩০০ টাকায় নিয়েছি। এখন ইউএনও স্যারের মাধ্যমে অতিরিক্ত নেওয়া টাকা ফেরত পেয়েছি। এমন অভিযান সব সময় চললে যাত্রীদের জন্য ভালো হতো। দুর্গাপুর থেকে ঢাকা যাওয়ার নির্ধারিত ভাড়া ৪৫০/- টাকা।

ইউএনও মো. নাভিদ রেজওয়ানুল কবীর সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘যেখানেই অনিয়ম-সেখানেই অভিযান’’ এ লক্ষ সামনে রেখে, ঈদ পরবর্তী সময়ে কর্মস্থলে ফেরা মানুষের চাপ বেড়েছে স্টেশন গুলোতে। সাধারণ মানুষের কাছ থেকে যেন ভাড়া বেশি না নেওয়া হয় সে জন্য মনিটরিং শুরু করছি। সেই সাথে যাত্রীদের সাথে কথা বলছি, যাদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া নিয়েছে তাদের টাকাটা ফেরত দেওয়া ব্যবস্থা নিচ্ছি এবং সেইসাথে সতর্ক করা হচ্ছে এরপরও যদি অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করে তাহলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।




শরীয়তপুরে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, শতাধিক হাতবোমা বিস্ফোরণ

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার বিলাসপুর ইউনিয়নের ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে কমপক্ষে শতাধিক হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। শনিবার সকালে জাজিরা উপজেলার বিলাসপুর ইউনিয়নের দূর্বাডাঙ্গা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। তবে এখন পর্যন্ত হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, কুদ্দুস বেপারীর সমর্থক ও জলিল মাদবরের সমর্থকদের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ দীর্ঘদিনের। এই নিয়ে বেশ কয়েবার সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে আসছে। এই বিরোধের জের ধরে আজ শনিবার সকালে দুই পক্ষের মধ্যে পুরনায় সংঘর্ষ হয়।

এদিকে, দুপক্ষের সংঘর্ষ এবং হাতবোমা বিস্ফোরণের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। ঘটনাটি নিয়ে জাজিরা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দুলাল আখন্দ বলেন, কুদ্দুসের সমর্থক ও জলিল সমর্থকদের মধ্যে দীর্ঘদিন যাবৎ বিরোধ চলতেছে। এর জের ধরে বিলাসপুর এলাকায় ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। তবে এখনো হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।