দুর্গাপুরে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপন

দুর্গাপুর(নেত্রকোনা)প্রতিনিধি:

নেত্রকোনার দুর্গাপুরে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে প্রত্যুষে ৩১বার তোপধ্বনির মাধ্যমে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান স্বাধীনতা দিবস পালিত হয়েছে। বুধবার দিনব্যাপি নানা আয়োজনে এ দিবস পালিত হয়।

এ উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসন, উপজেলা বিএনপি ও তার অঙ্গ সংগঠন, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিল, দুর্গাপুর পৌরসভা, সিপিবি, দুর্গাপুর প্রেসক্লাব সহ সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পন শেষে সুসঙ্গ সরকারি কলেজ মাঠে পবিত্র ধর্মগ্রন্থ থেকে পাঠ ও জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে দিবসের সুচনা করা হয়। পরবর্তিতে ইউএনও মো. নাভিদ রেজওয়ানুল কবিরের সভাপতিত্বে সকল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ফুলেল শুভেচ্ছায় বরণ করে নেন উপজেলা প্রশাসন। এরপর দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার।

পরবর্তিতে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহনে কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়। এসময় বীর মুক্তিযোদ্ধাগন, সকল দপ্তর প্রধান, উপজেলা বিএনপি ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীগন, স্থানীয় প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার প্রতিনিধি সহ স্থানীয় গন্যমান ব্যক্তিগন উপস্থিত ছিলেন।

আলোচনা শেষে কুচকাওয়াজে অংশনেয়া বিজয়ী প্রতিষ্ঠানদের মাঝে পুরস্কার বিতরণের পর উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা, বিভিন্ন মন্দির মসজিদে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া ও বিকেলে প্রীতি ফুটবল টুর্নামেন্টের মাধ্যমে দিবসের সমাপ্তি ঘটে।




দুর্গাপুরে নিজ মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা দায়ের

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক : 

নেত্রকোনার দুর্গাপুরে বাবার বিরুদ্ধে ১৫ বছর বয়সী নাবালিকা মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাতে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। অভিযুক্ত বাবা (৫৫) উপজেলার দুর্গাপুর সদর ইউনিয়নের বাসিন্দা। এদিকে ধর্ষণের বিষয়টি জানাজানির পর থেকেই অভিযুক্ত বাবা গা ডাকা দিয়েছে বলে জানা গেছে।

মামলায় ভুক্তভোগীর মা উল্লেখ করেন, তাঁর ১৫ বছর বয়সী মেয়েকে তার স্বামী (মেয়ের বাবা) দীর্ঘদিন ধরে যৌন হয়রানি করে আসছিল। গত পাঁচ মাস আগে মেয়ের গলায় ছুড়ি ঠেকিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ঐ দিনের পরে একই রকম ভয়ভীতি প্রদর্শন করে নিজ মেয়েকে একাধিকবার ধর্ষণ করে। ধর্ষনের কথা কারো কাছে বললে পরিবারের সবাইকে খুনের হুমকি দিতো অভিযুক্ত পিতা। প্রাণ ভয়ে বিষয়টি কাউকে বলেনি ধর্ষণের স্বীকার হওয়া মেয়ে। তবে ঘটনার প্রায় এক মাস যেতেই মেয়ের শরীরের পরিবর্তন লক্ষ করা যায়। গর্ভবতী মেয়েদের মতো বারবার বমিসহ অন্যান্য সমস্যা দেখা দিলে বাবা দুর্গাপুর ফারিহা ডায়াগনোষ্টিক সেন্টারে নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করায়। পরে মেয়ের গর্ভে সন্তান থাকার বিষয়টি জানতে পেরে কৌশলে মেয়েকে নিয়ে ময়মনসিংহের একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে সকলের অজান্তে গর্ভপাত ঘটান মেয়েকে।

স্বজনরা জানান, মেয়ে গর্ভপাতের পর একটু সুস্থ্য হওয়ার পর আবারও ভুক্তভোগী মেয়ের সাথে শারীরিক সম্পর্ক করার চেষ্টা চালায় তার বাবা। পরবর্তিতে ওই মেয়ে বিষয়টি তার বড় বোনকে জানালে সে পরিবারের অন্যদের বলে দিলে ধর্ষণের বিষয়টি এরপরই জানাজানি হয়ে যায়।

ভুক্তভোগী মেয়ের মা বলেন, আমার স্বামী আমার সাথে রাতে ঘুমাতো কিন্তু রাতে আমার ঘুম ভাঙলে আমি তাকে বিছানায় পেতাম না। এখন কয়েকদিন হইছে এ ঘটনা আমার বড় মেয়ের কাছ থেকে শুনছি। আমি এইসব নিয়ে কথা বলতেও পারি না আমাকেসহ ভুক্তভুগি মেয়েকে চোরের মতো মারধর করে। এই ঘটনার সাথে আমার সতিনও জড়িত আছে। আমি এর বিচার চাই।

এ ব্যাপারে দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হাসান জানান, বিষয়টি সত্যিই হৃদয় বিদারক। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে, অভিযুক্ত বাবাকে গ্রেপ্তার করতে আমাদের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।




জাতীয় স্মৃতিসৌধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন প্রধান উপদেষ্টার

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

আজ ২৬ মার্চ (বুধবার) বাংলাদেশের ৫৫তম মহান স্বাধীনতা দিবস ও গৌরবময় জাতীয় দিবস। দিবসটি উপলক্ষে ভোরে মুহাম্মদ ইউনূস জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।

এদিকে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে জাতীয় স্মৃতিসৌধে গিয়ে সর্বস্তরের মানুষ বীর শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন। শহীদের প্রতি শ্রদ্ধার ফুলে ভরে উঠছে স্মৃতির মিনার—সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধ।

দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রীয়ভাবে বিভিন্ন কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সাংস্কৃতিক সংগঠন নানা আয়োজনে গৌরবের এ  দিনটি পালন করছে।

রাষ্ট্রপতি তাঁর বাণীতে বলেন, ‘স্বাধীনতার কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জনে গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করার পাশাপাশি পরমতসহিষ্ণুতা, মানবাধিকার ও আইনের শাসন সুসংহত করতে হবে। রাষ্ট্র ও সমাজের সব ক্ষেত্রে সাম্য, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে তরুণ প্রজন্ম আমাদের স্বাধীনতার অপূর্ণ স্বপ্নগুলো পূরণে আবারও বুকের তাজা রক্ত দিয়ে গেছে। নতুন প্রজন্মের জন্য একটি নিরাপদ, সুখী, সুন্দর ও উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলা আমাদের পবিত্র কর্তব্য।’

প্রধান উপদেষ্টা তাঁর বাণীতে দেশে ও প্রবাসে বসবাসরত সব বাংলাদেশিকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, দেশকে আরও উন্নত ও শক্তিশালী করতে এবং স্বাধীনতার পূর্ণ সুফল জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে অন্তর্বর্তী সরকার বদ্ধপরিকর। তিনি আরও বলেন, ‘রাষ্ট্রের সব ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সংস্কারের মাধ্যমে সুশাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা, জনমুখী ও টেকসই উন্নয়ন এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।’

দিবসটি উপলক্ষে একটি স্মারক ডাকটিকিট অবমুক্ত করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার চূড়ান্ত লড়াইটা শুরু হয়েছিল ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ। একাত্তরের ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বাঙালি জাতির ওপর হামলে পড়েছিল পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। কিন্তু বাঙালি জাতি সর্বশক্তি দিয়ে পাল্টা প্রতিরোধ গড়ে তোলে। স্বাধীনতার চূড়ান্ত লড়াইয়ের সূচনা করে। ৯ মাসের ধারাবাহিক রক্তক্ষয়ী লড়াই, অকাতরে আত্মদান ও বীরত্বের স্বাক্ষর রেখে ১৬ ডিসেম্বর চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয়। জন্ম নেয় একটি পতাকা, একটি দেশ— স্বাধীন বাংলাদেশ।