গ্রিনল্যান্ড দখলের হুমকি ট্রাম্পের: হুঁশিয়ারি দিল জার্মানি ও ফ্রান্স

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ডেনমার্কের স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল গ্রিনল্যান্ড দখল করতে সামরিক শক্তি প্রয়োগের যে হুমকি দিয়েছেন তার বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি দিয়েছে ন্যাটো জোটের সদস্য জার্মানি ও ফ্রান্স।

ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি ইঙ্গিত দিয়ে বলেছেন, ডেনমার্কের স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল গ্রিনল্যান্ড দখল করতে সামরিক শক্তি ব্যবহার করতে পারেন। ফ্লোরিডার মার-এ-লাগোতে এক সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প বলেন, “গ্রিনল্যান্ড বা পানামা খাল দখলের জন্য সামরিক বা অর্থনৈতিক শক্তি প্রয়োগ থেকে আমি বিরত থাকব, এমন নিশ্চয়তা দিতে পারছি না। আমাদের অর্থনৈতিক নিরাপত্তার জন্য এগুলো প্রয়োজন।” এর আগে ২০১৯ সালে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার প্রথম মেয়াদে গ্রিনল্যান্ড কেনার আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন ট্রাম্প।

তবে ডেনমার্ক পরিষ্কারভাবে জানিয়েছে, গ্রিনল্যান্ড বিক্রির জন্য নয় এবং দ্বীপটি তার বাসিন্দাদের সম্পত্তি।

জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎ
এদিকে, গ্রিনল্যান্ড নিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস বলেছেন, “সীমানার অখণ্ডতার নীতি প্রতিটি দেশের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। তা খুব ছোট বা খুব শক্তিশালী দেশ যাই হোক না কেন।”

তিনি আরও বলেন, “ন্যাটো আমাদের প্রতিরক্ষার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার এবং আটলান্টিক মহাসাগর উপকূলীয় দেশগুলোর সম্পর্কের কেন্দ্রবিন্দু।”

অন্যদিকে, ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাঁ-নোয়েল ব্যারো বলেছেন, “এতে কোনো সন্দেহ নেই যে, কখনোই বিশ্বের অন্য দেশগুলোর সার্বভৌম সীমান্তে আক্রমণ করতে দেবে না ইউরোপীয় ইউনিয়ন।”

বুধবার ফ্রান্স ইন্টার রেডিওকে দেওয়া সক্ষাৎকারে তিনি বলেন: “আপনি যদি আমাকে প্রশ্ন করেন আমেরিকা, গ্রিনল্যান্ড আক্রমণ করবে কি না। আমার উত্তর হবে- না। আমরা কি এমন এক যুগে প্রবেশ করেছি যেখানে আবারও শক্তিশালীদের টিকে থাকার নিয়ম দেখা দিচ্ছে? তাহলে এর উত্তর হবে- হ্যাঁ। তাহলে কি আমাদের নিজেদেরকে ভয় ও উদ্বেগে কাবু হতে দেওয়া উচিত, অবশ্যই না। আমাদের জেগে উঠতে হবে এবং নিজেদের শক্তি গড়ে তুলতে হবে।”

গ্রিনল্যান্ডের জনসংখ্যা মাত্র ৫৭ হাজার। দ্বীপটি ব্যাপক স্বায়ত্তশাসন ভোগ করলেও অর্থনীতির ক্ষেত্রে কোপেনহেগেনের ভর্তুকির ওপর নির্ভরশীল এবং এটি এখনো ডেনমার্কের রাজ্যের অংশ। গ্রিনল্যান্ডে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ বিরল খনিজের মজুদ রয়েছে, যা ব্যাটারি এবং উচ্চপ্রযুক্তি পণ্যের নির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ।
# পার্সটুডে




জুলাই অভ্যুত্থানে আহত ১০০ জনকে কর্মসংস্থানের প্রস্তাব স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

বাংলাদেশে জুলাই অভ্যুত্থানে আহত ১০০ জনকে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করার প্রস্তাব দেওয়ার কথা জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

আজ (মঙ্গলবার) রাজধানীর মালিবাগে পুলিশের বিশেষ শাখা (এসবি) ও অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) প্রধান কার্যালয় পরিদর্শন শেষে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এই তথ্য সাংবাদিকদের জানান।

জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘আহতদের স্বচ্ছলতায় ফেরাতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যারা আহত হয়েছেন, সবাইকে তো সব জায়গায় দেওয়া সম্ভব না। আমাদের প্রস্তাবে যাকে যেখানে সম্ভব, সেখানে তাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করার কথা বলা হয়েছে।’

অর্থপাচার

অর্থ পাচারকে বিগত সরকারের সময়ের সবচেয়ে বড় সংকট হিসেবে আখ্যায়িত করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার সবচেয়ে বেশি মানি লন্ডারিং করেছে।

মানি লন্ডারিংয়ের বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ নেবেন, সাংবাদিকের এমন প্রশ্নে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘বিগত সরকারের সবচেয়ে বড় ইস্যু ছিল মানি লন্ডারিং। এটা নিয়ে যত দ্রুত সম্ভব কাজ করার কথা আমি বলেছি।’

অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্বের পাঁচ মাস হয়েছে। এখন পর্যন্ত কী ধরনের উন্নতি করেছেন, জানতে চাইলে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘আপনারা মিলিয়ে দেখেন, আগের চেয়ে উন্নতি হয়েছে কি না। পুলিশ তাদের কাজ শুরু করেছে। পুলিশ এখন একটু সময় নিয়ে কাজ করছে। রাস্তাঘাট চিনতে সময় লাগছে তাদের। গাড়ি নিয়েও সমস্যা হচ্ছে। আমরা এটাকে গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি।’

গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারে পতনের পর অনেকে পালিয়ে গেছেন। এ বিষয়ে কী ব্যবস্থা নিয়েছেন, এমন প্রশ্নে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘৫ থেকে ৬ আগস্ট কোনো সরকার ছিল না। তখন অনেকে পালিয়ে গেছেন। সীমান্ত পাড়ি দিয়ে প্রতিবেশী দেশে চলে গেছেন অনেকে। তখন তো আমরা ছিলাম না। তবে আমরা সরকারে আসার পর কেউ পালিয়ে গেছে কি না, সেটা বলেন। এরপরও যদি কেউ গিয়ে থাকেন, আমরা বিষয়টি দেখব।’#

পার্সটুডে




শিক্ষা সিলেবাসে ইসলামপন্থিদের নিয়ে বৈষম্যমূলক ইতিহাস বাতিলের দাবি

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

সাধারণ শিক্ষায় সবক্ষেত্রে ধর্মীয় শিক্ষা বাধ্যতামূলক করা ও কওমি শিক্ষার্থীদের অগ্রাধিকার দেওয়াসহ ৪ দফা দাবি জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী কওমি ছাত্র আন্দোলন। মঙ্গলবার ( ৭ জানুয়ারি ) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধন থেকে এ দাবি জানানো হয়।

বৈষম্যবিরোধী কওমি ছাত্র আন্দোলনের অন্যান্য দাবিগুলো হচ্ছে— জাতীয় শিক্ষা সিলেবাসে ইসলামপন্থিদের নিয়ে বৈষম্যমূলক ইতিহাস বাতিল করে সঠিক ইতিহাস ও অবদান অন্তর্ভুক্ত করতে হবে; যারা কৌশলে ইসলামপন্থিদের ইতিহাস ও অবদান এড়িয়ে গেছে তাদের জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে; কওমি সনদের যথাযথ মূল্যায়ন এবং রাষ্ট্রের সকল ক্ষেত্রে কওমি শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে এবং বাংলাদেশের প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়সহ বহি:বিশ্বে কওমি শিক্ষার্থীদের শিক্ষা অর্জনে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

মানববন্ধনে আন্দোলনের সমন্বয়ক তোফায়েল আহমেদ বলেন, সম্প্রতি প্রকাশিত পাঠ্যপুস্তকে জুলাই বিপ্লবে অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন শ্রেণির অবদানের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

কিন্তু ৭০-এর অধিক শাহাদাত বরণকারী মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের সাহসিকতার কথা তুলে ধরা হয়নি। আমরা মনে করি এটি এক ধরনের বৈষম্য ও ইতিহাস গোপনের অপচেষ্টা। যা কওমি শিক্ষার্থীরা কখনোই মেনে নেবে না।

তিনি আরও বলেন, এমন পদক্ষেপের আমরা তীব্র নিন্দা জানাই। সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলদের প্রতি আমাদের আহ্বান থাকবে, আপনারা সঠিক ইতিহাস জাতির সামনে তুলে ধরবেন।

মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন— বৈষম্যবিরোধী কওমি ছাত্র আন্দোলনের সহকারী সমন্বয়ক মাকসুদুর রহমান, মোস্তফা হোসাইন, জসিম উদ্দীন প্রমুখ।




কিশোরগঞ্জে মাহফিল চলাকালে দুর্বৃত্তের গুলি, আহত ২

কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের চরশোলাকিয়া এলাকায় বার্ষিক ওয়াজ মাহফিল চলাকালে দুর্বৃত্তের ইয়ার গানের গুলিতে দুইজন আহত হয়েছেন। আহতরা হলেন, ওই মাদ্রাসার পরিচালক মুফতি আল আমিন সাদী (৩৮) এবং আগত বক্তার সফরসঙ্গী মো. জুলহাস মিয়া (১৯)।

রবিবার (৫ জানুয়ারি) দিবাগত রাত ১২টার দিকে জেলা শহরের চরশোলাকিয়া এলাকায় মাদরাসাতুল উলুমিল ইসলামিয়া দারুল জান্নাত কওমি মহিলা মাদরাসার উদ্যোগে কুমুদিনী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে বার্ষিক ওয়াজ মাহফিলে এই ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মাহফিলের মঞ্চে উঠার সময় অজ্ঞাত দুর্বৃত্ত ইয়ার গান থেকে গুলি ছোড়ে। এ সময় মাদরাসার পরিচালক মুফতি আল আমিন সাদী (৩৮) এবং আগত বক্তার সফরসঙ্গী মো. জুলহাস মিয়া (১৯) গুলিবিদ্ধ হয়। পরবর্তীতে স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে কিশোরগঞ্জ শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। গুরুতর আহত না হওয়ায় চিকিৎসক তাদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ছেড়ে দেন। এ ঘটনার পর মাহফিলটি বাতিল হয়ে যায়।

কিশোরগঞ্জ মডেল থানার ওসি আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ঘটনাটি তদন্ত করছে। ঘটনাস্থল থেকে এয়ার গানের গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারে অভিযান চলমান রয়েছে।

হাআমা/




মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ নুরুল হক

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন অধ্যাপক মিয়া মোহাম্মদ নুরুল হক। তিনি সরকারি মাদ্রাসা-ই আলীয়া ঢাকার হেড মাওলানা।

আজ সোমবার (৬ জানুয়ারি) সিনিয়র সহকারী সচিব এ কে এম লুৎফর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগে ন্যাস্তকৃত বি সি এস (সাধারণ শিক্ষা) ক্যাডারের কর্মকর্তাকে বর্ণিত পদ ও কর্মস্থলে প্রেষণে বদলী/পদায়ন করা হলো।




গাইবান্ধায় সড়ক দুর্ঘটনায় মসজিদের ইমামের মৃত্যু

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় জাহিদ হাসান (৩০) নামে এক মসজিদের ইমাম নিহত হয়েছেন।

শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) বেলা ১১ টার দিকে গোবিন্দগঞ্জ পৌর শহরের পশ্চিম চৌমাথা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত জাহিদ হাসান বগুড়া জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার দাড়িদহ কালুগাড়ী গ্রামের ছোলায়মান আলীর ছেলে।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, হাফেজ জাহিদ হাসান সকালে শ্বশুরবাড়ি থেকে মোটরসাইকেলে বগুড়ায় নিজের কর্মস্থলে যাচ্ছিলেন। গোবিন্দগঞ্জ পৌর এলাকার পশ্চিম চৌমাথা এলাকায় পৌঁছালে তিনি মোটরসাইকেলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি বিদ্যুতের খুঁটির সঙ্গে ধাক্কা খান। এতে তার মাথা ও মুখ থেঁতলে যায় এবং ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।

দুর্ঘটনার খবর পেয়ে স্থানীয় মসজিদের ইমাম ও আলেমরা ঘটনাস্থলে ছুটে যান। তারা শোকাহত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান এবং মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।

এ বিষয়ে গোবিন্দগঞ্জ হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ মোজাফফর হোসেন বলেন, “নিহত জাহিদ হাসান বগুড়ার একটি মসজিদে ইমামতি করতেন। তার মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হবে।”

এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।




ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা শুরু আজ

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে আজ বুধবার শুরু হচ্ছে মাসব্যাপী ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর যৌথ উদ্যোগে সকাল সাড়ে ১০টায় এ মেলার উদ্বোধন করবেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

এ সময় আরো উপস্থিত থাকবেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন এবং রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ভাইস চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেন।

এ বছর ভারত, পাকিস্তান, তুরস্ক, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, সিঙ্গাপুর হংকংসহ সাতটি দেশের অংশগ্রহণে ৩৬২টি স্টল এবং প্যাভিলিয়ন অংশ নিচ্ছে।

কুড়িল, ভুলতা, গাজীপুর এবং নারায়ণগঞ্জ থেকে দর্শনার্থীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে মেলা চলাকালে ৩০০টি বিআরটিসি বাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে। মেলা প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চলবে। মেলায় প্রবেশমূল্য প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ৫০ টাকা এবং শিশুদের জন্য ২৫ টাকা।

২০২২ সালে শেরেবাংলানগর থেকে স্থানান্তরিত হওয়ার পর এটি পূর্বাচল নতুন ভেন্যুতে তৃতীয় সংস্করণ।




গাজার স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে ইসরাইল: জাতিসংঘ

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

ইহুদিবাদী ইসরাইল অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থাকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক দপ্তর।

ইহুদিবাদী বাহিনী উত্তর গাজার সবগুলো হাসপাতালকে প্রায় ধ্বংস করে দিয়েছে। গাজার সবচেয়ে বড় শিফা হাসাপাতালসহ বহু হাসপাতাল সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে। যেগুলোর ভবন এখনও দাঁড়িয়ে আছে সেগুলোরও স্বাস্থ্যসেবা দেয়ার মতো অবস্থা নেই। দখলদার ইহুদিবাদীরা উত্তর গাজাকে সম্পূর্ণ জনমানবশূন্য করে ফেলার আপ্রাণ চেষ্টা করছে।

জাতিসংঘের মানবাধিকার দপ্তর গতকাল (মঙ্গলবার) প্রকাশিত ২৮ পৃষ্ঠার এক প্রতিবেদনে আরো বলেছে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে ইসরাইলি সেনারা গাজার ২৭টি হাসপাতাল ও ১২টি ক্লিনিকে অন্তত ১৩৬ বার হামলা চালিয়েছে। আন্তর্জাতিক আইনে এসব হামলার প্রতিটি যুদ্ধাপরাধ হিসেবে গণ্য।

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, এসব হামলায় চিকিৎসক, নার্স, মেডিক্যাল স্টাফ, রোগী ও আশ্রয়প্রার্থীরা ব্যাপক মাত্রায় হতাহত হয়েছেন এবং এসব বেসামরিক অবকাঠামোর ভয়াবহ ক্ষতি হয়েছে।

জাতিসংঘের মানবাধিকার দপ্তর আরো বলেছে, ইসরাইলের এসব হামলায় গাজা উপত্যকার চিকিৎসা সেবা ব্যবস্থা ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছে। এর ফলে স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণের সুবিধা থেকে সেখানকার ২৩ লাখ ফিলিস্তিনি নাগরিক বঞ্চিত হচ্ছেন। উত্তর গাজার কোনো হাসপাতালের আর চিকিৎসা সেবা দেয়ার অবস্থা নেই। এ অবস্থার অবসান ঘটানোর জন্য প্রতিবেদনে আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়েছে। #

# পার্সটুডে