জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে ইজতেমা ময়দান

ফজরের নামাজের পর আম বয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে মুসলিমদের অন্যতম বড় জমায়েত বিশ্ব ইজতেমা। দেশের লাখ লাখ মুসলমানদের পাশাপাশি কয়েক হাজার বিদেশি মুসলিমও এসেছেন ইজতেমায় অংশ নিতে।

ইজতেমাকে কেন্দ্র করে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ও গুজব প্রতিরোধে পুলিশের পাশাপাশি গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করছে।

শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) সকাল ১০ থেকে ইজতেমা মাঠের বিভিন্ন ব্লক ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিটি তাবুতে বিভিন্ন জেলা থেকে আগত মুসল্লীরা ইবাদত-বন্দেগি করছেন। অনেকেই ইজতেমার সহযাত্রীদের জন্য খাবার রান্না করছেন। সবাই আগে রান্না শেষ করে জুমার নামাজ আদায়ের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

পল্টন থেকে ইজতেমার মাঠে এসেছেন আহমেদ রাফি। তিনি বলেন, আমরা প্রায় ৩০০ জন এসেছি। এবারের পরিবেশ আগের চেয়ে ভালো। আমাদের সবারই চাওয়া দেশে শান্তি বিরাজ করুক। আমরা যেনো ইসলামের পথে সঠিকভাবে চলতে পারি।

১৫০ জন সাথী নিয়ে পুরান ঢাকার লালবাগ থেকে আগত জামিল বলেন, আমি ইজতেমায় আগেও এসেছি। এবারের পরিবেশ ও নিরাপত্তা অনেক ভালো। বর্তমানে তাবলীগ জামায়াত ঘিরে যে সমস্যা চলছে আল্লাহর পক্ষ থেকে এর সমাধান চাই।

ভারত, সৌদি আরব ও পাকিস্তানসহ বিশ্বের ৭০ টি দেশ থেকে দুই হাজারের বেশি মুসল্লি ইজতেমায় অংশ নিয়েছেন বলে জানা গেছে। আয়োজকদের পক্ষ থেকে বিদেশি মেহমানদের জন্য বিশেষ নিরাপত্তার আয়োজন করা হয়েছে। নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যে তাদের জন্য আলাদা তাবুর ব্যবস্থা রয়েছে। কেউ চাইলেই তাদের সংস্পর্শে আসতে পারবে না।

পাকিস্তানের পেশোয়ার থেকে এসেছেন জিয়াউর রহমান ফারুকী। তিনি বলেন, আমি এপর্যন্ত ৫ বার এই বিশ্ব ইজতেমায় এসেছি। বাংলাদেশের মানুষ অনেক অতিথিপরায়ন। আল্লাহর পথে দাওয়াতি কাজে মেহনত করতে এসেছি। বাংলাদেশিদের আল্লাহ উত্তম প্রতিদান দেবেন। কারণ তারা আমাদের মতো বিদেশি মেহমানদের জন্য ভালো ব্যবস্থা করেছেন। মেহমানদারিতে বাংলাদেশের মানুষ অনেক এগিয়ে।

বাংলাদেশি নাগরিক হয়েও বিদেশি কামরায় অবস্থান করেন দীন ইসলাম। তার সাথে কথা বলে জানা গেছে, তিনি কুয়েত প্রবাসী। সেখান থেকে ২০ জনের একটি জামায়াত নিয়ে এসেছেন ইজতেমায় অংশগ্রহন করতে।

তিনি বলেন, আমাদের মত যেসব বাংলাদেশী বিদেশে আছেন তারা কাকরাইল মসজিদের মাধ্যমে ম্যাসেজ পেয়ে যান। আমরা সময় মতো চলে আসি। আমরা আরব তাবুতে অবস্থান করছি। এখানে অনেক সুন্দর আয়োজন। প্রতিটি টেন্ড ও খিমায় আমল হচ্ছে। কোনো কোনো খিমায় তালিম হচ্ছে। সবাই আমলের মধ্যে সময় পার করছেন।

ইজতেমা মাঠে হামলার বিষয়টি নিয়ে বিদেশি মুসল্লিদের ভাবনার বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা খুব আন্তরিকতার সঙ্গে ইজতেমায় অংশ গ্রহণ করি। একটা গ্রুপ আছে ইজতেমার এই সুন্দর আয়োজনকে নষ্ট করার জন্য কাজ করছে। তারা ভয় দেখিয়ে বিদেশি মেহমানদের না-আসার চক্র করে যাচ্ছে। দাওয়াত ও তাবলীগের এই কাজটি তো হকের কাজ। কিন্তু এই কাজকে প্রশ্নবিদ্ধ করতেই তারা নিরীহ ও ঘুমন্ত মুসল্লীদের ওপর হামলা চালিয়ে হত্যা করেছে। এটা ন্যক্কারজনক ঘটনা।

জানা গেছে, ইজতেমার মাঠের নিরাপত্তায় প্রায় সাড়ে ৬ হাজারের বেশি পুলিশ এবং প্রায় ১০ হাজার স্বেচ্ছাসেবী কাজ করছেন। পাশাপাশি সাদা পোশাকে গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরাও কাজ করছেন।

ইজতেমা মাঠের নিরাপত্তার বিষয়ে গাজীপুর মহানগর পুলিশ (জিএমপি) কমিশনার ড.নাজমুল করিম খান বলেন, ইজতেমার মাঠে খুবই শান্তিপূর্ণ অবস্থা বিরাজ করছে। ইজতেমা ঘিরে কোনো যানজট নেই। দূরপাল্লার গাড়ি চলছে। মানুষ চলাচল করছে। নিরাপত্তা নিয়ে আমি সন্তুষ্ট। ইজতেমার মাঠে আসা হকারদের আমরা বুঝিয়ে সরিয়ে দিচ্ছি।




৫৮তম বিশ্ব ইজতেমা শুরু হচ্ছে আগামীকাল থেকে

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

৫৮তম বিশ্ব ইজতেমা, বিশ্বের সর্ববৃহৎ দ্বিতীয় মুসলিম জমায়েত শুরু হতে যাচ্ছে আগামীকাল শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি)। সুষ্ঠুভাবে ইজতেমা সম্পন্ন করার লক্ষ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার ও গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক শরফ উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী। শুক্রবার ইজতেমার প্রথম পর্ব শুরু হয়ে শেষ হবে ২ ফেব্রুয়ারি।

গতকাল (২৯জানুয়ারী) বুধবার টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে প্রস্তুতি বিষয়ে সাংবাদিকদের এ কথা জানান শরফ উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী।

ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব ৩ ফেব্রুয়ারী শুরু হয়ে ৫ ফেব্রুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে। এরপর আট দিন বিরতি দিয়ে ১৪ ফেব্রুয়ারি তৃতীয় ধাপের বিশ্ব ইজতেমার আয়োজন করবেন সাদপন্থিরা। ১৬ ফেব্রুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে ২০২৫ সালের বিশ্ব ইজতেমা। পরে ১৮ ফেব্রুয়ারি বাদ মাগরিব প্রশাসনের নিকট ময়দান বুঝিয়ে দিবেন সাদ অনুসারীরা।

ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার ও গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক শরফ উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী জানান, ইতোমধ্যে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে ইজতেমায় আগত মুসল্লিদের পানি, টয়লেট সুবিধা, পয়ঃনিষ্কাশন ও ইলেকট্রিসিটি সরবরাহের জন্য কাজ চলমান রয়েছে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করে ইজতেমার জন্য ময়দান প্রস্তুত করা হবে।

এছাড়া, ৫৮তম বিশ্ব ইজতেমা উপলক্ষ্যে ময়দানের চারিদিকে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে সিসি ক্যামেরায় নজরদারির ব্যাবস্তা করা হয়েছে। পাশাপাশি সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নকর্মীরা ইজতেমা ময়দানের সামনের রাস্তা পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার কাজ শেষ করেছেন। শেষ মুহূর্তের কিছু কাজ আজ বৃহস্পতিবারের মধ্যেই শেষ হয়ে যাবে বলে জানান ইজতেমা কর্তৃপক্ষ।




গাজা যুদ্ধবিরতির আওতায় ৩ ইসরাইলি বন্দির বিনিময়ে মুক্তি পাচ্ছেন ১১০ ফিলিস্তিনি

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

ইহুদিবাদী ইসরাইল এবং ফিলিস্তিনি ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তির আওতায় বন্দি বিনিময়ের তৃতীয় ধাপ হিসেবে তিনজন ইসরাইলি বন্দির বিনিময়ে ৩০ জন নাবালকসহ ১১০ জন ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দিতে প্রস্তুত ইসরাইল।

গতকাল বুধবার এক বিবৃতিতে ফিলিস্তিনি প্রিজনার্স ক্লাব এ্যাডভোকেসি গ্রুপ জানিয়েছে, আজ বৃহস্পতিবার ১১০ জন ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেয়া হবে। এতে আরো বলা হয়েছে, বন্দিরা দুপুরের দিকে রামাল্লার রাদানা এলাকায় পৌছাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

বন্দিদের তালিকা প্রকাশ করে গ্রুপটি জানিয়েছে যে ইসরাইলি কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়া ৩০ জন নাবালক,৩২ জন যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত এবং ৪৮ জন বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ভোগ করছেন। ক্লাবের মতে, মুক্তিপ্রাপ্ত বন্দিদের মধ্যে ২০ জনকে নির্বাসনে পাঠানো হবে। এছাড়া বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে বন্দি বিনিময়ের তৃতীয় ধাপে পাঁচ থাই নাগরিকসহ তিন ইসরাইলি বন্দিকে মুক্তি দেয়া হবে। শেষ দুটি বিনিময়ে হামাস ২৯০ জন বন্দির বিনিময়ে সাতজন ইসরাইলি বন্দীকে মুক্তি দিয়েছে।

এদিকে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় জানিয়েছে যে শনিবার চতুর্থ ধাপে তিনজন ইসরাইলিকে মুক্তি দেয়ার কথা রয়েছে। তিনজন ইসরাইলি বন্দির বিনিময়ে ৯০ জন ফিলিস্তিনির মুক্তির মাধ্যমে গত ১৯ জানুয়ারী গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তির বাস্তবায়ন শুরু হয়েছিল।

এদিকে, ইসরাইল চুক্তির আওতায় মুক্তি পেতে যাওয়া ৭০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি বন্দির একটি তালিকা প্রকাশ করেছে। এদের মধ্যে ২৩০ জনের বেশি বন্দি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ভোগ করেছেন এবং মুক্তির পর তাদেরকে স্থায়ীভাবে নির্বাসনে পাঠানো হবে।




ইবতেদায়ী মাদরাসা জাতীয়করণের আশ্বাস, অবস্থান কর্মসূচি প্রত্যাহার

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

দেশের সব স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসা পর্যায়ক্রমে জাতীয়করণের নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। মঙ্গলবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব (কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগ) মাসুদুল হক এক ব্রিফিংয়ে এ ঘোষণা দিয়েছেন।

শিক্ষকদের অন্যান্য দাবি চলতি বছর থেকে বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া শুরুর ঘোষণাও দেন যুগ্ম সচিব। তিনি জানান, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মতো স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসায় প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণি খোলা অনুমোদনের পাশাপাশি শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে।

এরপর অবস্থান কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নিয়েছে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসার শিক্ষকরা। অবশ্য চলতি বছরের জুনের মধ্যে এসব দাবি পূরণের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত না হলে জুলাইয়ের ১ তারিখ থেকে কঠোর কর্মসূচি পালনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আন্দোলনকারী শিক্ষকরা।

এর আগে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসা জাতীয়করণে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেয় আন্দোলনরত শিক্ষকরা। নির্ধারিত সময়ে দাবি না মানলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘেরাওয়ের হুঁশিয়ারিও দেয় তারা।

গতকাল সোমবার রাজধানীর শাহবাগের জাতীয় জাদুঘর সংলগ্ন এলাকায় শিক্ষকদের অবস্থান কর্মসূচি থেকে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসার শিক্ষকদের পক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক রুহুল আমিন এই আল্টিমেটামের সিদ্ধান্ত জানান।

ইবতেদায়ী শিক্ষকদের ৬ দাবি-

১। স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসা নিবন্ধন স্থগিতাদেশ ২০০৮ প্রত্যাহার করা।

২। রেজিস্ট্রেশনপ্রাপ্ত কোডবিহীন মাদরাসাগুলো বোর্ড কর্তৃক কোড নম্বরে অন্তর্ভুক্তকরণ।

৩। স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসার আলাদা নীতিমালা।

৪। পাঠদানের অনুমতি, স্বীকৃতি, বেতন-ভাতা, নীতিমালা-২০২৫ অনুমোদন।

৫। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মতো অফিস সহায়ক নিয়োগের ব্যবস্থা নেওয়া।

৬। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মতো স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসায় প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণি খোলা অনুমোদনের ব্যবস্থা নেওয়া।




স্বর্ণপদক পাচ্ছেন কবি মুসা আল হাফিজ

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

দেশের প্রাচীনতম সাহিত্য প্রতিষ্ঠান কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদ প্রবর্তিত ‘কেমুসাস দেওয়ান আহবাব স্বর্ণ পদক-২০২৫’-এর জন্য বিশিষ্ট গবেষক, অনুবাদক, কবি মুসা আল হাফিজকে মনোনীত করা হয়েছে। ‘কেমুসাস দেওয়ান আহবাব স্বর্ণ পদক ব্যবস্থাপনা কমিটি’র সভাপতি হারুনুজ্জামান চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় মনোনীত ব্যক্তির নাম ঘোষণা করা হয়। ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যসচিব সেলিম আউয়ালের সঞ্চালনায় সাহিত্য সংসদ কার্যালয়ে শনিবার রাতে অনুষ্ঠিত সভায় অন্যান্যের মধ্যে আলোচনায় অংশ নেন শাবিপ্রবি’র সাবেক ডিন প্রফেসর ড. কামাল আহমদ চৌধুরী, সিলেট প্রেসক্লাবের সভাপতি ইকরামুল কবির, সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এমাদ উল্লাহ শহীদুল ইসলাম শাহিন, কেমুসাস-এর সাবেক সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান মাহমুদ রাজা চৌধুরী, পদকের দাতা সদস্য যুক্তরাজ্যের সলিসিটর দেওয়ান মাহদি।

প্রখ্যাত লেখক, রাজনীতিবিদ, সমাজসংস্কারক, দেওয়ান আহবাব চৌধুরী বিদ্যাবিনোদ (এমএলএ)’র স্মৃতিরক্ষা তথা অগ্রসর সমাজ বিনির্মাণে তার অবদানকে তুলে ধরা ও নতুন প্রজন্মকে তার চেতনায় উজ্জীবিত করার লক্ষ্যে কেমুসাস এ পুরস্কার প্রবর্তন করেছে। আগামী ৩০ জানুয়ারি ২০২৫ সন্ধ্যায় কেমুসাস’র ৮৮ বর্ষের বার্ষিক সাধারণ সভায় কবি মুসা আল হাফিজকে স্বর্ণপদকটি তুলে দেয়া হবে।

মুসা আল হাফিজ কবি, গবেষক, অনুবাদক, কথাশিল্পী, ইতিহাসবিদ, কলামিস্ট, সুবক্তা। তিনি ১৯৮৪ সালের ৫ অক্টোবর সিলেটের বিশ^নাথ উপজেলার আমতৈল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৯৫ সালে ১১ বছর বয়সে কুরআন মজিদের হিফজ সম্পন্ন করেন। ২০০৭ সালে কৃতিত্বের সাথে তাকমিল ফিল হাদিস এবং ২০০৮ সালে তাফসীরে বিশেষায়িত ডিগ্রি অর্জন করেন। এ বছরই জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ তরুণ আলেম হিসেবে পুরস্কৃত হন। কর্মজীবনে তিনি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে হাদীস – তাফসীর ও ভাষা-সাহিত্যে শিক্ষকতা করেন। ২০১৯ সালে ঢাকার যাত্রাবাড়িতে প্রতিষ্ঠা করেন ইসলামি দাওয়াহ ও গবেষণা কেন্দ্র মাহাদুল ফিকরি ওয়াদদিরাসাতিল ইসলামিয়া। বর্তমানে ইসলামিক হিস্ট্রি অ্যান্ড কালচার অলিম্পিয়াড বাংলাদেশের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন।

নানা বিষয়ে তার প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা ষাটের অধিক। তার উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ ঈভের হ্রদের মাছ (কবিতা), ঐন্দ্রজালিক আত্মজীবনী (আত্মকথন), প্রাচ্যবিদের দাঁতের দাগ, (গবেষণা), ইসলামোফোবিয়ার উজানে ( প্রবন্ধ) মহাসত্যের বাঁশী জালালুদ্দীন রুমী (জীবনী), অনিবার্য ইবনে খালদুন ( প্রবন্ধ) , দৃশ্যকাব্যে ফররুখ আহমদ (সাহিত্য সমালোচনা), বাংলা সাহিত্যে অন্ধকার যুগ: মিথ বনাম বাস্তবতা (সাহিত্য সমালোচনা), ছড়াবৃন্দ ( ছড়া) জাতিগত বিজয়ের অদৃশ্য কারিগরি (আলোচনাগ্রন্থ), আত্মগত দার্শনিক (উপন্যাস)।




ট্রাম্পের ক্ষমতা গ্রহণের পর সবচেয়ে বড় চুক্তিটি হলো বাংলাদেশের সঙ্গে

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

যুক্তরাষ্ট্রের তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান আর্জেন্ট এলএনজির সঙ্গে নন-বাইন্ডিং চুক্তি হয়েছে বাংলাদেশের। চুক্তি অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানটি প্রতি বছর বাংলাদেশে ৫ মিলিয়ন মেট্রিক টন তরল গ্যাস সরবরাহ করবে।

শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) আর্জেন্ট এলএনজি এ তথ্য জানায় বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ডোনাল্ড ট্রাম্প সোমবার ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে এটি প্রথম বড় মার্কিন এলএনজি সরবরাহ চুক্তি। তাদের মতে, এটি নতুন প্রশাসনের জ্বালানি-বান্ধব নীতির প্রতি শিল্পের আস্থা প্রতিফলিত করে। বাংলাদেশের সঙ্গে আর্জেন্ট এলএনজির চুক্তি প্রমাণ করছে ট্রাম্প প্রশাসনের ওপর এই খাত সংশ্লিষ্টদের আস্থা রয়েছে।

আর্জেন্ট এলএনজি লুজিয়ানাতে ২৫ মিলিয়ন মেট্রিক টন পার এনুম (এমটিপিএ) অবকাঠামো তৈরি করছে। যা তাদের সরবরাহ ব্যবস্থাকে অনেক শক্তিশালী করবে।

যেসব দেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি নেই, সেসব দেশে গ্যাস পাঠানোর ক্ষেত্রে মার্কিন জ্বালানি বিভাগ লাইসেন্স প্রদান স্থগিত করে রেখেছিল। তবে গত সোমবার ক্ষমতা গ্রহণের পর নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে এটি রহিত করেন ট্রাম্প। কারণ তিনি বিশ্বব্যাপী যুক্তরাষ্ট্রের গ্যাস সরবরাহ বাড়াতে চান। বর্তমানে বিশ্বের তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের সবচেয়ে বড় সরবরাহকারী দেশ যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু তারা ২০২৮ সালের মধ্যে সরবরাহের পরিমাণ দ্বিগুণ করতে চায়।

লুজিয়ানার পোর্ট ফোরচনে আর্জেন্ট এলএনজির অবকাঠামো তৈরি সম্পন্ন হলে তারা বাংলাদেশের পেট্রোবাংলার কাছে গ্যাসের কার্গো বিক্রি করা শুরু করতে পারবে।

বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী রয়টার্সকে বলেছেন, এই চুক্তি শুধুমাত্র আমাদের বর্ধমান শিল্পের গ্যাসের সরবরাহ নিশ্চিত করবে না, সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কৌশলগত সম্পর্ক শক্তিশালী করবে।

বাংলাদেশ দীর্ঘদিন ধরেই জ্বালানি চাহিদার দীর্ঘমেয়াদি সমাধান খুঁজছে। এক্ষেত্রে তরলীকৃত গ্যাসের দিকে ঝুঁকছে সরকার। তবে ২০২২ সালে ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার পর বিশ্বব্যাপী যখন গ্যাসের দাম বেড়ে যায় তখন কম দামি কয়লার দিকে আবারও ঝোঁকা শুরু করে ঢাকা।




পুলিশ, র‌্যাব ও আনসারের পোশাক পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে পুলিশ বাহিনীর সংস্কারসহ তাদের পোশাক পরিবর্তনের দাবি উঠে। শেষ পর্যন্ত র‌্যাব, পুলিশ ও আনসার বাহিনীর পোশাক পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়েছে।

সোমবার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

জানা গেছে, সভায় ১৮টি পোশাক পরিহিত পুলিশ, আনসার ও র‍্যাবের প্রতিনিধিদল বৈঠকে প্রবেশ করে। সেখান থেকে পোশাক নির্বাচন করা হয়।

এর আগে গত ১১ আগস্ট পুলিশের পোশাক ও লোগো পরিবর্তন করা হবে বলে জানিয়েছিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের সাবেক স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন।

সেই সময় তিনি বলেন, ‘পুলিশের পোশাক-লোগো সব পরিবর্তন করা হবে। অনেকের মন ভেঙে গেছে, এই ইউনিফর্ম পরে পুলিশ আর কাজ করতে চাইছে না। খুব দ্রুতই তা পরিবর্তন করা হবে। এসব বিষয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে আলোচনার পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘পুলিশ কমিশন হওয়া উচিত। সেই কমিশনের অধীনে পুলিশ পরিচালিত হবে। তারা কোনো রাজনৈতিক দলের অধীনে থাকবে না। পুলিশকে যেন রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার না করা হয়, সেটা নিশ্চিত করতে হবে।’
প্রসঙ্গত, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ৭ দিন পর্যন্ত পুলিশকে প্রকাশ্যে দেখা যায়নি। এরপর এই বাহিনীটিকে সচল করতে সংস্কারের উদ্যোগ নেয় অন্তর্বর্তী সরকার। তারই অন্যতম পোশাক পরিবর্তনের উদ্যোগ। সরকার পতনের পরদিন থেকে পুলিশ সদস্যরা বিভিন্ন দাবিতে কর্মবিরতি পালনের ঘোষণা দেন। তখন ইউনিফর্ম পরে দায়িত্ব পালনে অস্বস্তির কথাও জানিয়েছিলেন পুলিশ সদস্যরা।




দুর্গাপুরে ইউএনওর হস্তক্ষেপে বন্ধ হলো বাল্যবিবাহ

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

দুর্গাপুর (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি : নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলায় ১৭ বছর এক মাস বয়সী কিশোরীকে বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে পরিবার। খবর পেয়ে ওই বাল্যবিবাহ বন্ধ করেছে উপজেলা প্রশাসন। সোমবার (২০ জানুয়ারি) দুপুরে উপজেলার চন্ডিগড় ইউনিয়নের ফেঁচিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. নাভিদ রেজওয়ানুল কবীর।

জানা গেছে, বিয়ের সব আয়োজনই ছিল সেখানে। কনের বাড়িতে বরযাত্রীও চলে এসেছিল। অপেক্ষা শুধু কাজি আসার। তবে এরই মধ্যে বাল্য বিবাহের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. নাভিদ রেজওয়ানুল কবীর। পরে তিনি বাল্য বিবাহের সত্যতা পেয়ে বিয়ে বন্ধ করে দেন এবং ওই কিশোরীর প্রাপ্ত বয়স না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে না দেওয়ার নিষেধাজ্ঞা দেন পরিবারকে।

এ নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. নাভিদ রেজওয়ানুল কবীর জানান, ন্যাশনাল হেল্পলাইন থেকে বাল্যবিবাহের বিষয়টির তথ্য পেয়ে তাৎক্ষনিক ওই এলাকায় গিয়ে বিয়ে বন্ধ করে দেই। প্রাপ্ত বয়স না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে না দেওয়ার বিষয়ে আইনি নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। এরপরও যদি বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে তাহলে জেল বা যেকোনো আইনের আওতায় এনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তিনি আরও বলেন, বাল্যবিবাহ রোধে আমরা কঠোর অবস্থানে আছি। কোথাও বাল্য বিবাহের ঘটনা ঘটলে প্রশাসনকে জানানোর আহ্বান করেন তিনি।




দুর্গাপুরে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন ও বিক্ষোভ

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) ভবনের সামনে পাহাড়ি জনগোষ্ঠী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনার প্রতিবাদে নেত্রকোনার দুর্গাপুরে মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন দুর্গাপুর উপজেলা ছাত্র সংসদ। রবিবার (১৯ জানুয়ারি) বিকালে দুর্গাপুর প্রেসক্লাব মোড়ে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে আদিবাসী শিক্ষার্থীরা, আদিবাসীদের সাংবিধানিক স্বীকৃতি চাই, সেটেলার হামলা করে প্রশাসন চুপ কেন? বিচ্ছিন্নতাবাদী বলার আগে রাষ্ট্রের কাঠামোতে সম্পৃক্ত করুন, আদিবাসীদের ওপর সাম্প্রদায়িক সহিংসতা বন্ধ করুন, বৈষম্যহীন বাংলাদেশে আদিবাসীদের সাথে বৈষম্য কেন? আমাদের কেন উপজাতি বলা হবে, এ ধরনের বিভিন্ন লিখা সম্বলিত প্লেকার্ড হাতে নিয়ে আদিবাসী শিক্ষার্থীরা মানববন্ধনে অংশ নেন।

মানববন্ধনে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন দুর্গাপুর উপজেলা সংসদ এর সভাপতি নুরে আলম খান এর সভাপতিত্বে, সাধারণ সম্পাদক জহির রায়হান এর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, আদিবসী নেতা অন্তর হাজং, অবনী কান্ত হাজং, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন জেলা কমিটির সদস্য নুরে আলম, উপজেলা কমিটির সহ:সভাপতি কবিরুল ইসলাম, সিপিবি উপজেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক রুপন কুমার সরকার, সভাপতি আলকাছ উদ্দীন মীর প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, গত ১৫ই জানুয়ারি ঢাকায় এনসিটিবি ভবনের সামনে, আদিবাসীদের ওপর হামলার তীব্র নিন্দা জানাই। আমরা এমন একটা রাষ্ট্রে বসবাস করি যেখানে ধর্মের নামে আধিপত্য বিস্তার করা হয়, জাতির নামে আধিপত্য বিস্তার করা হয়। ‘স্টুডেন্টস ফর সভেরেনটি’ নামক সন্ত্রাসী সংগঠনকে নিষিদ্ধ করা হউক। যারা এ ধরণের সন্ত্রাসী কার্যক্রম করে তারা কখনো দেশপ্রেমিক হতে পারে না। ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী নয়, পাঠ্যপুস্তকে আদিবাসী শব্দটি রাখতে হবে। আমরা এ সমাবেশ থেকে সরকারের কাছে জোর দাবি জানাই, এই হামলার সাথে জড়িত সকলকে শাস্তির আওতায় আনা হউক। মানববন্ধন শেষে এক বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।




দুর্গাপুর উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অগ্নিনির্বাপণের সব যন্ত্র মেয়াদোত্তীর্ণ

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার ৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের আগুন নেভানোর (অগ্নিনির্বাপণ) সব যন্ত্র মেয়াদোত্তীর্ণ। হাসপাতালের কয়েকটি স্থানে দেয়ালে লাগানো যন্ত্রগুলোর কোনোটিরই এখন মেয়াদ নেই। শনিবার(১৮জানুয়ারি)সকালে সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে,হাসপাতালের বহির্বিভাগ,জরুরি বিভাগসহ প্রতিটি ওয়ার্ডের দেয়ালসহ বিভিন্ন স্থানে অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র সাজিয়ে রাখা হয়েছে। মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ায় আগুন লাগলে এগুলোতে কোনো কাজে আসবে না। ওই যন্ত্রগুলোর গায়ে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী,শয্যা ওয়ার্ডের অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্রের বিতরণের সময় দেওয়া আছে ২০২০ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর। এগুলোর মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গেছে ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর। সে হিসাবে অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্রগুলোর মেয়াদ তিন বছর আগে শেষ হলেও এখনো পরিবর্তন করা হয়নি। কোনোটার প্রস্তুত/উত্তীর্ণের তারিখও লিখা নেই,নাম মাত্র সাজিয়ে রাখা হয়েছে। অন্যদিকে বহি:র্বিভাগ,জরুরি বিভাগসহ হাসপাতালের বিভিন্ন স্থানের অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্রের বিতরণের সময় দেওয়া আছে ২০২৩ সালের ৮ জুন। এগুলোর মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গেছে ২০২৪ সালের ৭ জুন। ৫০শয্যার এ হাসপাতালে দুর্গাপুর উপজেলাসহ আশপাশের আরো দুইটি উপজেলার ৫০০ থেকে ৭০০ রোগী চিকিৎসা নেন প্রতিদিন। সেখানে রয়েছেন চিকিৎসকসহ স্টাফরা। এ ছাড়াও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসা রোগী ও স্বজনরাও রয়েছেন ঝুঁকিতে। এমন একটি জনগুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের অগ্নিদুর্ঘটনায় ভরসা অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্রগুলো। অনেকে বলছেন, এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে মেয়াদোত্তীর্ণ সিলিন্ডার রেখে দুর্ঘটনা রোধে কর্তৃপক্ষ কী করে ভরসা রাখছে, জানা নেই। তবে এমন উদাসীনতায় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। শহিদ মিয়া নামের একজন বলেন, এমন পরিস্থিতিতে হঠাৎ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটলে সঙ্গে সঙ্গে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ আগুন নেভাতে পারবে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। দ্রুত এগুলো পরিবর্তন প্রয়োজন। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা মেডিকেল অফিসার ডাঃ মো. তানজিরুল ইসলাম রায়হান বলেন, আমাদের ১০ টির মতো আগুন নেভানোর যন্ত্র আছে কিন্তু কোনোটারই মেয়াদ নেই। আমরা মৌখিকভাবে ফায়ার সার্ভিসকে জানিয়েছি। দুর্গাপুর উপজেলা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার(ভারপ্রাপ্ত)মনজুর ফরাজি প্রতিবেদককে বলেন, আমি নতুন এসেছি বিষয়টি জানা নেই। স্যার ছুটিতে আছেন ওনি আসলে বিষয়টি বলতে পারবেন। তবে এটির রাসায়নিকের মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ায় প্রয়োজনে কোনো কাজেই আসবে না। নেত্রকোনা জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ অনুপম ভট্টাচার্য্য প্রতিবেদককে জানান,যিনি এখন দায়িত্বে আছেন উনার সাথে কথা বলবো। তাছাড়াও হাসপাতালটিতে নতুন স্বাস্থ্য কর্মকর্তা যোগদান করবেন। ইতিমধ্যে চিঠি লিখা হয়েছে। আশা করছি দ্রুতই যোগদান করবেন এবং যন্ত্র গুলো কার্যকরি করে আনতে গুরুত্ব দেওয়া হবে।