দুর্গাপুরে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন ও বিক্ষোভ

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) ভবনের সামনে পাহাড়ি জনগোষ্ঠী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনার প্রতিবাদে নেত্রকোনার দুর্গাপুরে মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন দুর্গাপুর উপজেলা ছাত্র সংসদ। রবিবার (১৯ জানুয়ারি) বিকালে দুর্গাপুর প্রেসক্লাব মোড়ে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে আদিবাসী শিক্ষার্থীরা, আদিবাসীদের সাংবিধানিক স্বীকৃতি চাই, সেটেলার হামলা করে প্রশাসন চুপ কেন? বিচ্ছিন্নতাবাদী বলার আগে রাষ্ট্রের কাঠামোতে সম্পৃক্ত করুন, আদিবাসীদের ওপর সাম্প্রদায়িক সহিংসতা বন্ধ করুন, বৈষম্যহীন বাংলাদেশে আদিবাসীদের সাথে বৈষম্য কেন? আমাদের কেন উপজাতি বলা হবে, এ ধরনের বিভিন্ন লিখা সম্বলিত প্লেকার্ড হাতে নিয়ে আদিবাসী শিক্ষার্থীরা মানববন্ধনে অংশ নেন।

মানববন্ধনে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন দুর্গাপুর উপজেলা সংসদ এর সভাপতি নুরে আলম খান এর সভাপতিত্বে, সাধারণ সম্পাদক জহির রায়হান এর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, আদিবসী নেতা অন্তর হাজং, অবনী কান্ত হাজং, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন জেলা কমিটির সদস্য নুরে আলম, উপজেলা কমিটির সহ:সভাপতি কবিরুল ইসলাম, সিপিবি উপজেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক রুপন কুমার সরকার, সভাপতি আলকাছ উদ্দীন মীর প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, গত ১৫ই জানুয়ারি ঢাকায় এনসিটিবি ভবনের সামনে, আদিবাসীদের ওপর হামলার তীব্র নিন্দা জানাই। আমরা এমন একটা রাষ্ট্রে বসবাস করি যেখানে ধর্মের নামে আধিপত্য বিস্তার করা হয়, জাতির নামে আধিপত্য বিস্তার করা হয়। ‘স্টুডেন্টস ফর সভেরেনটি’ নামক সন্ত্রাসী সংগঠনকে নিষিদ্ধ করা হউক। যারা এ ধরণের সন্ত্রাসী কার্যক্রম করে তারা কখনো দেশপ্রেমিক হতে পারে না। ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী নয়, পাঠ্যপুস্তকে আদিবাসী শব্দটি রাখতে হবে। আমরা এ সমাবেশ থেকে সরকারের কাছে জোর দাবি জানাই, এই হামলার সাথে জড়িত সকলকে শাস্তির আওতায় আনা হউক। মানববন্ধন শেষে এক বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।




দুর্গাপুর উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অগ্নিনির্বাপণের সব যন্ত্র মেয়াদোত্তীর্ণ

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার ৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের আগুন নেভানোর (অগ্নিনির্বাপণ) সব যন্ত্র মেয়াদোত্তীর্ণ। হাসপাতালের কয়েকটি স্থানে দেয়ালে লাগানো যন্ত্রগুলোর কোনোটিরই এখন মেয়াদ নেই। শনিবার(১৮জানুয়ারি)সকালে সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে,হাসপাতালের বহির্বিভাগ,জরুরি বিভাগসহ প্রতিটি ওয়ার্ডের দেয়ালসহ বিভিন্ন স্থানে অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র সাজিয়ে রাখা হয়েছে। মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ায় আগুন লাগলে এগুলোতে কোনো কাজে আসবে না। ওই যন্ত্রগুলোর গায়ে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী,শয্যা ওয়ার্ডের অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্রের বিতরণের সময় দেওয়া আছে ২০২০ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর। এগুলোর মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গেছে ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর। সে হিসাবে অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্রগুলোর মেয়াদ তিন বছর আগে শেষ হলেও এখনো পরিবর্তন করা হয়নি। কোনোটার প্রস্তুত/উত্তীর্ণের তারিখও লিখা নেই,নাম মাত্র সাজিয়ে রাখা হয়েছে। অন্যদিকে বহি:র্বিভাগ,জরুরি বিভাগসহ হাসপাতালের বিভিন্ন স্থানের অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্রের বিতরণের সময় দেওয়া আছে ২০২৩ সালের ৮ জুন। এগুলোর মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গেছে ২০২৪ সালের ৭ জুন। ৫০শয্যার এ হাসপাতালে দুর্গাপুর উপজেলাসহ আশপাশের আরো দুইটি উপজেলার ৫০০ থেকে ৭০০ রোগী চিকিৎসা নেন প্রতিদিন। সেখানে রয়েছেন চিকিৎসকসহ স্টাফরা। এ ছাড়াও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসা রোগী ও স্বজনরাও রয়েছেন ঝুঁকিতে। এমন একটি জনগুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের অগ্নিদুর্ঘটনায় ভরসা অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্রগুলো। অনেকে বলছেন, এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে মেয়াদোত্তীর্ণ সিলিন্ডার রেখে দুর্ঘটনা রোধে কর্তৃপক্ষ কী করে ভরসা রাখছে, জানা নেই। তবে এমন উদাসীনতায় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। শহিদ মিয়া নামের একজন বলেন, এমন পরিস্থিতিতে হঠাৎ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটলে সঙ্গে সঙ্গে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ আগুন নেভাতে পারবে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। দ্রুত এগুলো পরিবর্তন প্রয়োজন। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা মেডিকেল অফিসার ডাঃ মো. তানজিরুল ইসলাম রায়হান বলেন, আমাদের ১০ টির মতো আগুন নেভানোর যন্ত্র আছে কিন্তু কোনোটারই মেয়াদ নেই। আমরা মৌখিকভাবে ফায়ার সার্ভিসকে জানিয়েছি। দুর্গাপুর উপজেলা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার(ভারপ্রাপ্ত)মনজুর ফরাজি প্রতিবেদককে বলেন, আমি নতুন এসেছি বিষয়টি জানা নেই। স্যার ছুটিতে আছেন ওনি আসলে বিষয়টি বলতে পারবেন। তবে এটির রাসায়নিকের মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ায় প্রয়োজনে কোনো কাজেই আসবে না। নেত্রকোনা জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ অনুপম ভট্টাচার্য্য প্রতিবেদককে জানান,যিনি এখন দায়িত্বে আছেন উনার সাথে কথা বলবো। তাছাড়াও হাসপাতালটিতে নতুন স্বাস্থ্য কর্মকর্তা যোগদান করবেন। ইতিমধ্যে চিঠি লিখা হয়েছে। আশা করছি দ্রুতই যোগদান করবেন এবং যন্ত্র গুলো কার্যকরি করে আনতে গুরুত্ব দেওয়া হবে।




সরকারের সময়সীমা অনুযায়ী ভোটের প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন জানিয়েছেন, নির্বাচন কমিশন কোনও রাজনৈতিক দলের পক্ষ নিচ্ছে না এবং সংবিধানের আওতাতেই কাজ করছে। সরকারের নির্ধারিত সময়সীমা অনুযায়ী ইসি নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছে।

রবিবার ( ১৯ জানুয়ারি ) সকালে রাজধানীর আগারগাঁও নির্বাচন কমিশন ভবনে ভোটার তালিকা হালনাগাদে প্রয়োজনীয় ল্যাপটপ, স্ক্যানারসহ অন্যান্য সরঞ্জাম হস্তান্তর করে জাতিসংঘের উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি)। ওই অনুষ্ঠানে সিইসি এ কথা বলেন।

এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন কোনোভাবেই রাজনীতিতে জড়াতে চায় না। দেশের জনগণ আমাদের কাছ থেকে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আশা করে। আমরা সেই প্রত্যাশা পূরণে অঙ্গীকারবদ্ধ। মানুষের যে সন্দেহ রয়েছে, তা দূর করতে ভোটার তালিকা হালনাগাদ প্রক্রিয়াকে স্বচ্ছতার সঙ্গে সম্পন্ন করা হবে।’

সিইসি বলেন, ‘ভোটার তালিকা কার্যক্রমে সহযোগিতার জন্য আমরা ইউএনডিপির কাছে অনুরোধ জানিয়েছিলাম। তারা খুব দ্রুত সময়ে সহায়তা করেছে। আমরা পুরো নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় তাদের সহযোগিতা চাই। আমাদের মতো তারাও একটি সুষ্ঠু নির্বাচন দেখতে আগ্রহী।’

ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি স্টেফেন লিলার জানান, রাজনৈতিক দলসহ বিভিন্ন অংশীজনের সঙ্গে বৈঠকের মাধ্যমে কীভাবে সহযোগিতা করা যায়, তা নির্ধারণ করা হবে।

অনুষ্ঠানে ভোটার তালিকা হালনাগাদের জন্য নির্বাচন কমিশনের হাতে ১৭৫টি ল্যাপটপ, ২০০টি স্ক্যানার এবং বাড়ি বাড়ি তথ্য সংগ্রহে ব্যবহারের জন্য ৪ হাজার ৩০০টি ব্যাগ তুলে দেওয়া হয়।