ওজন স্কেল জটিলতা দুর্গাপুরের ধান ব্যবসায়িরা বিপাকে

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

নেত্রকোনার দুর্গাপুর থেকে ধান পরিবহনের বাঁধা সৃষ্টি করছে বিরিশিরি-শ্যামগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের জারিয়া আনসার ক্যাম্প সংলগ্নে স্থাপিত ওজন স্কেল। এতে বিপাকে পড়েছেন ধান ব্যবসায়ীরা। শনিবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ কথা গুলো জানান দুর্গাপুর ধান ব্যবসায়ি সমিতির সদস্যরা।

ব্যবসায়ি সমিতির সভাপতি আব্দুল ওয়াহাব মড়ল জানান, সরকার নির্ধারিত স্কেল পরিমাপ ২২ টন (ট্রাকসহ) ধরা হয়। কিন্ত দুর্গাপুর থেকে কোন মহাজনই ২২টন নিচ্ছেন না। কারন মিলের চাতালে কমপক্ষে ২৬টন ধান না হলে চালু করা যায় না। অন্যদিকে ট্রাকভাড়া সহ অন্যান্য খরচও তুলনামুলক কম পড়বে বলে জানান তারা। নেত্রকোনা জেলার অন্য সকল উপজেলা থেকে ট্রাকসহ ২৬ টন ধান নিচ্ছে মহাজনরা।
কিন্ত দুর্গাপুরের ব্যবসায়িরা ট্রাকসহ ২২টন বেশি নিতে না পারায় ক্রয়কৃত ধান নিয়ে বিপাকে পড়েছে ব্যবসায়িরা।

ট্রাকসহ ২৬টন ধান নেয়ার জন্য দুর্গাপুর ধান ব্যবসায়ি সমিতির ব্যবসায়িরা, ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসক নেত্রকোনা, সড়ক ও জনপদ বিভাগ, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দুর্গাপুর ক্যাম্প ইনচার্জ বরাবর অনুলিপি দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে ট্রাকসহ ২২টন এর স্থলে ২৬টন ধান নেয়ার জন্য প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষন করেন। এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দান ব্যবসায়ি সমিতির সাধারণ সম্পাদক প্রভাত চন্দ্র সাহা, ব্যবসায়ি সুবল চন্দ্র দে, ভানু সাহা, উজ্জল পাল, জামাল উদ্দিন, অতিম চক্রবর্ত্তী, চন্দন ব্রম্ম প্রমুখ।




কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদে চার ঘণ্টায় পাওয়া গেল ৬ কোটি টাকা, চলছে গণনা

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্স থেকে এবার পাওয়া গেছে ২৯ বস্তা টাকা। চার ঘণ্টা গণনা শেষে এখন পর্যন্ত ৬ কোটি টাকা পাওয়া গেছে।

শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত গণনা শেষে এ টাকা পাওয়া গেছে। রূপালী ব্যাংক কিশোরগঞ্জ শাখার সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) রফিকুল ইসলাম বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন।

পাগলা মসজিদ কমিটির সভাপতি, কিশোরগঞ্জের জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরী, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. রুবেল মাহমুদসহ সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও পুলিশের উপস্থিতিতে দানের সিন্দুকগুলো খোলা হয়। পাগলা মসজিদের ১০টি দানবাক্স ও একটি ট্যাঙ্ক থেকে এবার রেকর্ড ২৯ বস্তা টাকা পাওয়া গেছে। পরে মসজিদ কমপ্লেক্সের দ্বিতীয় তলায় টাকাগুলো গণনার কাজ শুরু হয়।

টাকা গণনার কাজে কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রুবেল মাহমুদ, রূপালী ব্যাংকের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) রফিকুল ইসলাম, মাদরাসার ১৩৩ জন ছাত্র, ঐতিহ্যবাহী জামিয়া এমদাদিয়া মাদরাসার ১৫০ জন ছাত্রসহ ব্যাংকের ৮০ জন কর্মকর্তা অংশ নেন। এ ছাড়া মসজিদ কমিটির ১০ জন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ২০ জন সদস্য অংশ নিয়েছেন।

জানা গেছে, সিন্দুক খুললে প্রতিবারই কোটি কোটি টাকা পাওয়া যায় এবং প্রতিবারই দানের অর্থ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর আগে সর্বশেষ ১৭ আগস্ট পাগলা মসজিদের ৯টি দানবাক্স খোলা হয়েছিল। তখন ৭ কোটি ২২ লাখ ১৩ হাজার ৪৬ টাকা পাওয়া যায়।

এর আগে একই বছরের ২০ এপ্রিল পাগলা মসজিদের ৯টি দানবাক্স খোলা হয়েছিল। তখন রেকর্ড ৭ কোটি ৭৮ লাখ ৬৭ হাজার ৫৩৭ টাকা পাওয়া যায়, যা অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছিল। এ ছাড়া দানবাক্সে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালংকার পাওয়া যায়।

মসজিদের দান থেকে পাওয়া এসব অর্থ সংশ্লিষ্ট মসজিদসহ জেলার বিভিন্ন মসজিদ, মাদরাসা ও এতিমখানার পাশাপাশি বিভিন্ন সমাজকল্যাণমূলক কাজে ব্যয় হয়।

কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও মসজিদ কমিটির সভাপতি ফৌজিয়া খান বলেন, মসজিদের খোলা জায়গায় রোদ-বৃষ্টিতে নামাজ পড়তে অসুবিধা হয়। এ ছাড়া পাশে কিছু জায়গা আছে সেগুলো ক্রয় করে এখানে আন্তর্জাতিক মানের দৃষ্টিনন্দন ইসলামিক কমপ্লেক্স ও মসজিদ নির্মাণের প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে।