রংপুরে বাসা থেকে আইনজীবীর মরদেহ উদ্ধার

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

রংপুরে বাসা থেকে মোস্তাকিম ইসলাম (৩২) নামে এক আইনজীবীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (৮ নভেম্বর) রাত আড়াইটার দিকে মুলাটোল এলাকার ব্যাংক কলোনির নিজ বাসা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

Google news
মোস্তাকিম বদরগঞ্জ উপজেলার ট্যাক্সের হাট এলাকার খাদেমুল ইসলামের ছেলে। তিনি ৮ বছর ধরে রংপুর জজ কোর্টে আইনজীবী হিসেবে কাজ করেছেন।

রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) আব্দুর রশিদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

প্রতিবেশী হারুন অর রশিদ জানান, মোস্তাকিম ইসলামের গ্রামের বাড়ি বদরগঞ্জের ট্যাক্সের হাট এলাকায়। সেখানে বাবা ও এক ভাই থাকেন। গত ৪ দিন আগে মোস্তাকিমের স্ত্রী রিমু আক্তার বাবার বাড়ি বেড়াতে যান।

মোস্তাকিমের ছোট ভাই সোহান জানান, শুক্রবার তার বড় ভাইকে ভাত খাওয়ার জন্য ডাকাডাকি করেও কোনো সাড়া না পেয়ে রুমের দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে নিচে পড়ে থাকতে দেখেন। এসময় বিছানার ওপর সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়না প্যাঁচানো ছিল। পরে পুলিশে খবর দেওয়া হয়।

রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতোয়ালি জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার আব্দুর রশীদ বলেন, খবর পেয়ে শুক্রবার রাত আড়াইটার দিকে মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। তার লাশ ঝুলন্ত নয়, পড়ে থাকা অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।




জানুয়ারি থেকে স্মার্ট কার্ডেই মিলবে টিসিবির পণ্য

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

২০২৫ সালের ১লা জানুয়ারি থেকে স্মার্ট কার্ডের মাধ্যমে পণ্য বিক্রি করবে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)।

শনিবার (৯ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে আঞ্চলিক কার্যালয়ে রমজান উপলক্ষে আগাম প্রস্তুতিবিষয়ক এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানানো হয়।
টিসিবির মুখপাত্র হুমায়ুন কবীর বলেন, রমজান উপলক্ষে সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। যেসব পণ্য আমদানি করা হয়, সেসবেরও প্রস্তুতি নেওয়া শেষ। রমজানে পণ্যের কোনো সংকট হবে না।

তিনি বলেন, তেল, ডাল, চিনির পাশাপাশি খেজুর ও ছোলা ঢাকা ও অন্য সিটি করপোরেশন এলাকায় দেওয়া হবে। ছোলা ও খেজুরের জন্য এরইমধ্যে চুক্তি হয়ে গেছে। জানুয়ারির ভেতর পণ্য টিসিবির গুদামে চলে আসবে।

হুমায়ুন কবীর বলেন, পণ্য স্থানীয় পর্যায়ে পৌঁছাতে বিঘ্ন হচ্ছে না। তবে মনিটরিংটা ঠিকমতো হচ্ছে না। ভোক্তার কাছে সঠিকভাবে যেতে যে সহযোগিতা দরকার, সেটাতে কমতি রয়েছে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে সভার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, একটি পরিবার থেকে যেন এক ব্যক্তির বেশি না পায়। এজন্য স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ড করা হচ্ছে। ডিলারদের বিরুদ্ধে অভিযোগের ভিত্তিতে জেলা প্রশাসনকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এখন ডিলার নিয়োগ বন্ধ রয়েছে। ভবিষ্যতে ডিলারের প্রয়োজন হলে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হবে।




সংবিধান সংস্কার মতামতে ডাক পেলেন আলেমও

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

সংবিধান সংস্কার বিষয়ে সব শ্রেণিপেশার মতামত নিতে বৈঠকের আয়োজন করেছে কমিশন। এরকম গুরুত্বপূর্ণ কোনো বৈঠকে এই প্রথম ডাক পড়েছে আলেমদের। এ বৈঠকে অংশ নিতে ডাক পেয়েছেন কবি, দার্শনিক ও আলেম মুসা আল হাফিজ। ১২ নভেম্বর (মঙ্গলবার) দুপুর ১২টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ-পশ্চিম ব্লকের দ্বিতীয় লেভেলের কেবিনেট কক্ষে এ বৈঠক হবে।

সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান অধ্যাপক আলী রীয়াজ স্বাক্ষরিত ৬ নভেম্বরের ওই আমন্ত্রণপত্রটি মুসা আল হাফিজ তার ফেসবুকে শেয়ার করেছেন।

মুসা আল হাফিজকে পাঠানো ওই আমন্ত্রণপত্রে বলা হয়, কমিশন সুপারিশ তৈরির লক্ষ্যে অংশীজনদের মতামত গ্রহণের প্রক্রিয়া হিসেবে সংবিধান সংস্কার বিষয়ে সমাজের সব স্তরের মানুষের মতামত সংগ্রহ করবে। এই উদ্দেশ্যে কমিশন সংবিধান সংস্কার বিষয়ে অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

একটি সূত্রে জানা গেছে, মুসা আল হাফিজসহ ওই বৈঠকে তিনজন আলেম অংশগ্রহণে আমন্ত্রণ পেয়েছেন। তাৎক্ষণিক অপর দুই আলেমের পরিচয় জানা যায়নি।

এর আগে ৩ নভেম্বর জাতীয় সংসদের একটি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে সংবিধান সংস্কার কমিশন। ওই সম্মেলনে জানানো হয়- সংবিধান সংস্কারের সুপারিশ তৈরির জন্য অংশীজনদের মতামত ও প্রস্তাব নেবে সংবিধান সংস্কার কমিশন। আগামী সপ্তাহ থেকে রাজনৈতিক দল বাদে অন্য অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করবে তারা। তবে যেসব ব্যক্তি, সংগঠন, সংস্থা, প্রতিষ্ঠান বা রাজনৈতিক দল জুলাই-আগস্টের অভ্যুত্থানের সময় সক্রিয়ভাবে হত্যাকাণ্ডে যুক্ত থেকেছে, প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে হত্যাকাণ্ড ও নিপীড়নকে সমর্থন করেছে, ফ্যাসিবাদী কার্যক্রমকে বৈধতা দিতে সাহায্য করেছে, তাদের সংস্কার প্রস্তাবের সুপারিশ তৈরিতে যুক্ত না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এ কমিশন।

এ সময় সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান অধ্যাপক আলী রীয়াজ সাংবিধানিক সংস্কারের সাতটি উদ্দেশ্যের কথা তুলে ধরেন। এতে সংবিধান সংস্কার কমিশনের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।




ইসরাইলের নয়া যুদ্ধমন্ত্রী ইসরাইল কাটজ কেমন লোক? কী তার পরিচয়?

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

ইহুদিবাদী ইসরাইলের যুদ্ধবাজ প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সম্প্রতি ইয়োভ গ্যালান্টকে যুদ্ধমন্ত্রীর পদ থেকে সরিয়ে দিয়ে ইসরাইল কাটজকে তার স্থলাভিষিক্ত করেছেন।

১৯৫৫ সালের ২১ সেপ্টেম্বর জন্মগ্রহণকারী এই ইহুদিবাদী নেতা আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ে অনার্স এবং কৃষিবিজ্ঞানে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন। পার্সটুডে জানাচ্ছে, উগ্র এই ইসরাইলি নেতা এর আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী, পরিবহণমন্ত্রী, কৃষিমন্ত্রী এবং গোয়েন্দামন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।

ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি বিশেষ করে প্রতিরোধ সংগঠনগুলোর প্রতি প্রচণ্ড বিদ্বেষী মনোভাব পোষণ করার কারণে ইসরাইলি রাজনীতিবিদদের মধ্যে উগ্রবাদী নেতা হিসেবে কাটজের পরিচিতি রয়েছে।

ফিলিস্তিনিদের পাশাপাশি ইরান, এমনকি জাতিসংঘের বিরুদ্ধেও চরম বিদ্বেষী কথাবার্তা বলার রেকর্ড তার রয়েছে। জর্দান নদীর পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনিদের ঘরবাড়ি ধ্বংস করে অবৈধ ইহুদি বসতি নির্মাণের ঘোর সমর্থক ইসরাইল কাটজ। তিনি বহুদিন যাবত ফিলিস্তিন সংকট সমাধানের ঘোর বিরোধিতা করে এসেছেন।

ইহুদিবাদী ইসরাইলের নয়া যুদ্ধমন্ত্রীর দায়িত্ব পাওয়ার পর প্রথম প্রতিক্রিয়ায় ইসরাইল কাটজ দাবি করেছেন, ফিলিস্তিনের হামাস ও লেবাননের হিজবুল্লাহকে ধ্বংস করা এবং গাজা থেকে ইসরাইলি পণবন্দিদের জীবিত উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হবে তার প্রধান কাজ।

# পার্সটুডে