দুর্গাপুরে বনবিভাগের গাছ করাত কলে, জানেন না বন কর্মকর্তা দেওয়ান আলী

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার কুল্লাগড়া ইউনিয়নের মাধবপুর এলাকা থেকে বন বিভাগের শাল-গজারি গাছ কেটে বিক্রি করছে ব্যবসায়ীরা। অভিযোগ রয়েছে, বিট কর্মকর্তা ও বন বিভাগের কিছু অসাধু কর্মকর্তার যোগ সাজশে চলছে গাছ কর্তন। তবে বিষয়টি জানেন না বলে দাবি করেছেন দুর্গাপুর বন কর্মকর্তা দেওয়ান আলী।

স্থানীয়রা জানান, দুর্গাপুর উপজেলার কুল্লাগাড় ইউনিয়নের বিজয়পুর, মাইজপাড়া ও মাধবপুর এলাকায় রয়েছে বনবিভাগের বিশাল সেগুন ও গজারী বাগান। প্রতিবছর বর্ষা ও শীতকালীন সময়ে বিভিন্ন অজুহাতে কাটা হয় বাগানের গাছ। তবে অধিকাংশই বন বিভাগের কর্মকর্তাদের যোগসাজশে হয়ে থাকে। এ বছরও বন বিভাগের কিছু কর্মকর্তার যোগসাজশে কাটা গাছগুলো ক্রয় করেছেন ডাকুমারা এলাকার কাঠ ব্যবসায়ি শাহআলম ও দুলাল মিয়া। এ নিয়ে বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) দুপুরে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, মাইজপাড়া এলাকার বাগান থেকে বেশ কিছু শাল-গজারি গাছ কেটে ডাকুমারা এলাকায় এক করাত কলের পিছনে এনে রাখেন শ্রমিকরা। এছাড়া মাধবপুর গ্রামের আব্দুল করিমের বাড়ীর সামনে এনে রাখা হয়েছে বেশ কিছু সদ্য কাটা গজারী গাছ।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক গাছকাটা শ্রমিক জানান, আজ নিয়ে তিন দিন ধরে পাঁচজনে মিলে প্রায় ৫০টি গাছ কেটেছেন। বিভিন্ন বাগান থেকে বাকি আরও ৫০টি‘র মতো গাছ কাটবেন। রাতের আঁধারে গাছ গুলো কেটে এলাকার বিভিন্ন বাড়ীতে রাখা পর্যন্ত তাদের দায়িত্ব। আরেক গ্রæপ রয়েছে ওই বাড়ী গুলো থেকে নদীর পাড়ে এনে দেয়। পরে গাড়ীতে করে দেশের বিভিন্ন এলাকায় নিয়ে যায়।

কাকড়াকান্দা গ্রামের সমাজকর্মী আমিনুল ইসলাম বলেন, রাতের অন্ধকারে প্রায় সময়ই সরকারি সেগুন- গজারী গাছ গুলো কাটা হয়। গাছগুলো কেটে করাত কলে সাইজ কাঠ বানিয়ে দেশের বিভিন্ন এলাকায় নিয়ে যায়। এই গাছ কাটার সাথে বন-বিভাগের অসাধু কর্মকর্তারা জড়িত আছেন। বন-বিভাগের লোকদের জিজ্ঞেস করলে তারা ওয়াকসনের গাছ কাটা হচ্ছে বলে জানান।

ডাকুমারা এলাকার করাত কলের মালিক ফরিদ আলী বলেন, বৃহস্পতিবার সকালে করাত কলে আসার সময় ডাকুমারা এলাকার কাঠ ব্যবসায়ী শাহআলম ও দুলাল বেশ কিছু গজারী গাছ ঠেলাগাড়ীতে করে নিয়ে যাওয়ার সময় আমি বাঁধা দেই এবং পরবর্তিতে বন-কর্মকর্তা, স্থানীয় সাংবাদিক এবং এলাকাবাসীকে অবগত করি।

সরকারি গাছ কাটা নিয়ে কাঠ ব্যবসায়ী সাহালমের কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি সরকারি গাছ ক্রয়ের কথা অস্বীকার করেন পরে, সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে এ নিয়ে পরে কথা বলবেন বলে জানান।

দুর্গাপুর বন কর্মকর্তা দেওয়ান আলী বলেন, বিষয়টি আগে জানতাম না। ঝড়ে পড়ে গিয়েছিলো এমন কিছু গাছ কেটে দুর্গাপুর রেঞ্জ অফিসে আনার কথা ছিলো। গাছ কাটার বিষয়টি জানার পর গাছ কাটতে বিট অফিসার আব্দুর রহিমকে নিষেধ করে দিয়েছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখে পরবর্তি ব্যবস্থা নেবো।




দুর্গাপুর মুজাহিদ কমিটি ও ফজলুল উলুম কারীমিয়া মাদ্রাসার যৌথ উদ্যোগে ওয়াজ মাহফিল ও হালকায়ে জিকির অনুষ্ঠিত

ডিএনবি নিউজ ডেস্কঃ

বাংলাদেশ মুজাহিদ কমিটি দুর্গাপুর উপজেলা শাখা ও ফজলুল উলুম কারীমিয়া মাদ্রাসার যৌথ উদ্যোগে ওয়াজ মাহফিল ও হালকায়ে জিকির অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গতকাল বুধবার (৩০ অক্টোবর) বাদ এশা ফজলুল উলুম কারীমিয়া মাদ্রাসা খরস এর মাঠে ওয়াজ মাহফিল ও হালকায়ে জিকির অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ মুজাহিদ কমিটি, দুর্গাপুর উপজেলা শাখার সভাপতি আলহাজ্ব ডাঃ মাওলানা আলী আকবর সাহেবের সভাপতিত্বে ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, দুর্গাপুর উপজেলার সভাপতি মাওলানাআজিজুল হক এর সহ-সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন শায়েখে চরমোনাই নায়েবে আমিরুল মুজাহিদীন শাইখুল হাদিস হযরত মাওলানা মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করিম।

এসময় উপস্থিত ছিলেন মাওলানা মামুনুর রশিদ রব্বানী, সিনিয়র সহ সভাপতি-জাতীয় উলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ, গাজীপুর জেলা, মাওলানা মুফতি নুরুল ইসলাম হাকিমী, সভাপতি – ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নেত্রকোণা জেলা, মাওলানা মুফতি ওয়ালিউল্লাহ, সহ সভাপতি-জাতীয় উলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ নেত্রকোনা জেলা, মাওলানা সাইফুল ইসলাম মুহতামীম-হিফজুল উলুম মাদ্রাসা, বারহাট্টা সহ ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন বাংলাদেশ, ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ ও ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ এর জেলা ও উপজেলার নেতৃবৃন্দ।

এসময় আশপাশের উপজেলা থেকে ধর্মপ্রাণ মুসুল্লি ও চরমোনাই পীরের ভক্ত-মুরিদানের উপস্থিতে মাঠ কানায় কানায় ভরে যায়।
বক্তব্য শেষে চরমোনাইর পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম দেশ ও জাতির কল্যাণে বিশেষ মুনাজাত পরিচালনা করেন।




গাইবান্ধায় এইচপিভি টিকা নিয়ে ১৬ ছাত্রী অসুস্থ

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে কিশোরীদের হিউম্যান পেপিলোমা ভাইরাস (এইচপিভি) টিকা দেওয়ার পর একটি বিদ্যালয়ের ১৬ জন ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়ে। অক্টোবর বুধবার দুপুরে তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। অসুস্থ হয়ে পড়া সবাই উপজেলার হরিরামপুর ইউনিয়নের বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ডা. নুরুল হক প্রি-ক্যাডেট স্কুলের ছাত্রী।

তবে চিকিৎসক বলেন, টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় নয়, তারা ভয়ে অসুস্থ হয়েছে।

দুপুরে ওই বিদ্যালয়ে এইচপিভি টিকা দেওয়া হচ্ছিল। হাসপাতালের দায়িত্বরত চিকিৎসক ছাত্রীদের টিকা দেন। দুপুর দেড়টার দিকে কয়েকজন ছাত্রী টিকা নেওয়ার পর শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন ধরনের অসুস্থতা বোধ করে। একে একে ১৬ জন ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়লে তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

অসুস্থ ছাত্রীরা জানায়, টিকা নেওয়ার পরই তাদের পেট ব্যথা, শ্বাসকষ্টসহ নানা উপসর্গ দেখা দেয়।

এ ব্যাপারে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. জায়েদ জামান জিতি বলেন, ছাত্রীরা ভয় ও আতঙ্কে অসুস্থ হয়েছে। বড় কোনো সমস্যা নেই। টিকা নেওয়ার কারণে তাদের কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়নি।