সিনওয়ারের শাহাদাতে প্রতিরোধ ফ্রন্ট থামবে না; হামাস বেঁচে আছে, থাকবে: ইরানের সর্বোচ্চ নেতা

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

ফিলিস্তিনের ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর প্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ারের শাহাদাতে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ সাইয়্যেদ আলী খামেনেয়ীর বার্তা:

বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম

প্রিয় মুসলিম জাতিগুলো!

এই অঞ্চলের প্রিয় সাহসী যুবকেরা!

বীর মুজাহিদ কমান্ডার ইয়াহিয়া সিনওয়ার তাঁর শহীদ বন্ধুদের কাছে চলে গেছেন। তিনি ছিলেন প্রতিরোধ ও সংগ্রামের এক উজ্জ্বল প্রতিচ্ছবি।

ইয়াহিয়া সিনওয়ার জালিম ও আগ্রাসী শত্রুর বিরুদ্ধে ইস্পাত কঠিন দৃঢ়তা নিয়ে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন। তিনি সুপরিকল্পনা ও সাহসিকতার সাথে শত্রুকে চপেটাঘাত করেছেন এবং শত্রুর ওপর ৭ অক্টোবরের (আল-আকসা তুফান অভিযান) অপূরণীয় আঘাতের মাধ্যমে এই অঞ্চলে ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন। এরপর তিনি সম্মান ও মর্যাদার সাথে শহীদদের মিছিলে যোগ দিতে ঊর্ধ্বগমন করলেন।

দখলদার ও জালিম শত্রুর বিরুদ্ধে সারা জীবন লড়াই করেছেন ইয়াহিয়া সিনওয়ার। তাঁর মতো ব্যক্তির জন্য শাহাদাত ভিন্ন অন্য কোনো প্রতিদান উপযুক্ত নয়।

ইয়াহিয়া সিনওয়ারকে হারানো প্রতিরোধ ফ্রন্টের জন্য অবশ্যই বেদনাদায়ক, তবে শেখ আহমাদ ইয়াসিন, ফাতি শাকাকি, রানতিসি এবং ইসমাইল হানিয়ার মতো বিশিষ্ট ব্যক্তিদের শাহাদাতের কারণে প্রতিরোধ ফ্রন্টের অগ্রযাত্রা থেমে যায় নি; আল্লাহর ইচ্ছায়, সিনওয়ারের শাহাদাতেও তা এক মুহুর্তের জন্য থামবে না। হামাস বেঁচে আছে, বেঁচে থাকবে। আল্লাহর সাহায্য ও নির্দেশনায় আমরা বরাবরের মতো ফিলিস্তিনের মুজাহিদ ও একনিষ্ঠ সংগ্রামীদের পাশে থাকব।

আমি আমাদের ভাই ইয়াহিয়া সিনওয়ারের শাহাদাতে তাঁর পরিবার, তাঁর সহযোদ্ধাবৃন্দ ও জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহর প্রতি অনুরক্তদের প্রতি অভিনন্দন এবং তাঁর অনুপস্থিতির জন্য শোক জানাচ্ছি।

আল্লাহর নেক বান্দাদের উপর শান্তি বর্ষিত হোক।

সাইয়্যেদ আলী খামেনেয়ী

ফার্সি ২৮ মেহের ১৪০৩ (১৯ অক্টোবর ২০২৪)




নেতানিয়াহুর বাসভবনের কাছে আঘাত হেনেছে হিজবুল্লাহর ড্রোন

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

লেবানন থেকে উৎক্ষেপণ করা হিজবুল্লাহর একটি ড্রোন ইসরায়েলের কেন্দ্রীয় শহর সিজারিয়াতে আঘাত হেনেছে। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর বাসভবন এই শহরেই রয়েছে।

ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানিয়েছে।-খবর আল জাজিরার।

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী (আইডিএফ) এক বিবৃতিতে বলেছে, লেবানন থেকে ইসরায়েলের কেন্দ্রীয় শহর লক্ষ্য করে তিনটি ড্রোন ছোড়া হয়েছিল। এর মধ্যে দুটি ড্রোন ধ্বংস করা হয়েছে। তবে একটি ড্রোন সিজারিয়ার একটি ভবনে আঘাত হেনেছে।

এ ঘটনায় হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি বলে জানিয়েছে আইডিএফ। বিশদ কোনো বিবরণও তারা প্রকাশ করেনি।

আইডিএফ বলছে, তারা ঘটনাটি তদন্ত করছে।

ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমগুলো তেল আবিবের দক্ষিণে অবস্থিত সিজারিয়ায় যুদ্ধবিমান ও হেলিকপ্টার মোতায়েন করার খবর জানিয়েছে।