দীঘিনালায় ইসলামী আন্দোলনের গণ সমাবেশ অনুষ্ঠিত

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর ৯দফা প্রস্তাবনা বাস্তবায়নের গণ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রবিবার (১৫সেপ্টেম্বর)রবিবার বিকাল ৩ টায় উপজেলার বোয়ালখালী কল্প রঞ্জন মাঠে এ গণ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা শাখার সভাপতি আব্দুল খালেক এর সভাপতিত্বে সেক্রেটারী আনোয়াী হোসেন ও যুব নেতা দেলোয়ার হোসাইন এর যৌথ সঞ্চালনায় গণ সমাবেশ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ জেলা শাখার সভাপতি হাফেজ মাওলানা দেলোয়ার হোসাইন।

বিশেষ অতিথি ছিলেন সেক্রেটারি মাওলানা কাউছার আজিজ, জয়েন্ট সেক্রেটারি মাওলানা রাশেদুল ইসলাম মোহাম্মদপুরী ও ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ জেলা শাখার সভাপতি হাফেজ মাওলানা বশির উদ্দিন।

সমাবেশে বক্তাগণ বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে যারাই রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা এসেছে সবাই দুর্নীতি, দুঃশাসন,অন্যায় ও অবিচারের সাথে জড়িত ছিল। যারা মানুষের উপর জুলুম, অত্যাচার, নির্যাতন ও নিপীড়ন করেছে এদেরকে আর সাধারণ  মানুষ ক্ষমতায় দেখতে চায় না।তাই আগামীর কল্যাণকর  বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে পীর সাহেব চরমোনাইর কোন বিকল্প নেই।সাম্য ও মানবিকমর্যাদা নিশ্চিত কারণে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের পতাকা তলে  সমবেত হওয়ার আহ্বান জানান বক্তারা।



শহীদদের রক্তের বিনিময়ে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড থেকে ইসরাইল মুছে যাবে: হামাস

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস বলেছে, সংগঠনটির সাবেক পলিটব্যুরো প্রধান ইসমাইল হানিয়ার শাহাদাত ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতিরোধকে আরো বেশি শক্তিশালী ও  ইহুদিবাদী ইসরাইলকে আরো বেশি ধ্বংসের কাছাকাছি নিয়ে যাবে।

হামাসের নয়া পলিটব্যুরো প্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ার মুসলিম বিশ্বের বিভিন্ন নেতার কাছে পাঠানো এক বার্তায় এ মন্তব্য করেন। ইসমাইল হানিয়ার শাহাদাতের পর এসব নেতা সিনওয়ারকে বার্তা পাঠিয়ে শোক ও সমবেদনা জানিয়েছিলেন।

ইসমাইল হানিয়া ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে এসে গত ৩১ জুলাই তেহরানে ইহুদিবাদী ইসরাইলের গুপ্তহত্যার শিকার হন।

সিনওয়ার তার বার্তায় আরো বলেন, এই তাজা রক্ত ​​ও শহীদদের বরকতময় কাফেলা নাৎসি ইহুদিবাদী ইসরাইলের মোকাবিলায় আমাদের দৃঢ়তা ও শক্তি বৃদ্ধি করবে এবং পরিণতিতে এই দখলদার শক্তি ফিলিস্তিনি ভূমি থেকে বিতাড়িত হবে ও মুছে যাবে।

হামাসের পলিটব্যুরো প্রধান বলেন, সেই বিজয়ের মাধ্যমে আমরা জেরুজালেম আল-কুদসকে রাজধানী করে একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হবো। তিনি বলেন, ইসমাইল হানিয়ার শাহাদাত প্রমাণ করেছে যে, আমাদের নেতা ও যোদ্ধাদের রক্ত সাধারণ ফিলিস্তিনি জনগণের রক্তের চেয়ে মোটেও দামী নয়। #

পার্সটুডে




এক খুনিকে পরিবর্তন করে আরেক ডাকাতকে ক্ষমতায় বসাতে চাই না: মুফতি ফয়জুল করীম

ডিএনিবি নিউজ ডেস্ক:

জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের উপদেষ্টা ও শায়েখে চরমোনাই মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেছেন, এক লুটেরা, দুর্নীতিবাজ ও খুনি-ডাকাতকে পরিবর্তন করে আরেক ডাকাতকে ক্ষমতায় বসাতে চাই না। আমরা ঐক্য চাই কিন্তু এই ঐক্যের মাধ্যমে কোনো বাতেল প্রতিষ্ঠিত হোক সেটা চাই না।

বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বরিশালের অশ্বিনী কুমার হলে দ্বিবার্ষিক ওলামা সম্মেলনের প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

শায়েখে চরমোনাই আরও বলেন, ‘ওলামা একরাম ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে সবচেয়ে বেশি অংশ নিয়েছে। কিন্তু নেতৃত্ব দেয়া হয়েছে মোহাম্মদ আলী জিন্নাহকে। কেন জিন্নাহকে নিয়ে এসেছে, কারণ তৎকালীন সময় ব্রিটিশ ও ভারতের সঙ্গে টক্কর দিয়ে নেতৃত্ব দেয়ার ক্ষমতা জিন্নাহর মধ্যে ছিলো। যদিও তাকে পছন্দ করতো না অনেকে।’

তিনি আরও বলেন, ‘সবাই সতর্ক থাকুন কেউ আবেগি হবেন না। তাই ওলামাদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে এক ও অভিন্ন হতে হবে। অন্তত বরিশাল থেকে আমরা যাতে এক হয়ে আওয়াজ তুলতে পারি সেই ব্যবস্থা সবাই গ্রহণ করুন। রাষ্ট্রকে পরিচালনা করার চিন্তা করুন। মেধাবী শিক্ষার্থীদের রাষ্ট্র ও ইংরেজিতে দক্ষ করুন। রাষ্ট্র পরিচালনার যোগ্য করে তুলুন।’

জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ বরিশাল জেলার সভাপতি হাফেজ মাওলানা আব্দুল হালিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত  দ্বিবার্ষিক ওলামা সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন পরিষদের উপদেষ্টা হাফেজ মাওলানা ওবায়দুর রহমান মাহবুব, কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মুফতি রেজাউল করিম আবরারসহ কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।

জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের উপদেষ্টা ও শায়েখে চরমোনাই মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেছেন, এক লুটেরা, দুর্নীতিবাজ ও খুনি-ডাকাতকে পরিবর্তন করে আরেক ডাকাতকে ক্ষমতায় বসাতে চাই না। আমরা ঐক্য চাই কিন্তু এই ঐক্যের মাধ্যমে কোনো বাতেল প্রতিষ্ঠিত হোক সেটা চাই না।

বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বরিশালের অশ্বিনী কুমার হলে দ্বিবার্ষিক ওলামা সম্মেলনের প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

শায়েখে চরমোনাই আরও বলেন, ‘ওলামা একরাম ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে সবচেয়ে বেশি অংশ নিয়েছে। কিন্তু নেতৃত্ব দেয়া হয়েছে মোহাম্মদ আলী জিন্নাহকে। কেন জিন্নাহকে নিয়ে এসেছে, কারণ তৎকালীন সময় ব্রিটিশ ও ভারতের সঙ্গে টক্কর দিয়ে নেতৃত্ব দেয়ার ক্ষমতা জিন্নাহর মধ্যে ছিলো। যদিও তাকে পছন্দ করতো না অনেকে।’

তিনি আরও বলেন, ‘সবাই সতর্ক থাকুন কেউ আবেগি হবেন না। তাই ওলামাদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে এক ও অভিন্ন হতে হবে। অন্তত বরিশাল থেকে আমরা যাতে এক হয়ে আওয়াজ তুলতে পারি সেই ব্যবস্থা সবাই গ্রহণ করুন। রাষ্ট্রকে পরিচালনা করার চিন্তা করুন। মেধাবী শিক্ষার্থীদের রাষ্ট্র ও ইংরেজিতে দক্ষ করুন। রাষ্ট্র পরিচালনার যোগ্য করে তুলুন।’

জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ বরিশাল জেলার সভাপতি হাফেজ মাওলানা আব্দুল হালিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত  দ্বিবার্ষিক ওলামা সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন পরিষদের উপদেষ্টা হাফেজ মাওলানা ওবায়দুর রহমান মাহবুব, কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মুফতি রেজাউল করিম আবরারসহ কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।




আজ সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের এক মাস পূর্ণ হয়েছে গত ৮ সেপ্টেম্বর। দায়িত্ব নেওয়ার এক মাসের মাথায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিতে আসছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস।

আজ বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় তার এই ভাষণ রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার মাধ্যমে একযোগে প্রচার করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার উপ প্রেস সচিব অপূর্ব জাহাঙ্গীর।

শিক্ষার্থীদের টানা আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে দেশত্যাগ করেন শেখ হাসিনা।

এরপর ৬ আগস্ট বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধান ও ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের বৈঠকে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান করে দেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। গত ৯ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেন ড. ইউনূস।




নানা অনিয়ম, দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতে জড়িত ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক শফিকুর রহমান সরকার

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক শফিকুর রহমান সরকার নেত্রকোনা জেলায় যোগদানের পর থেকেই নানা অনিয়ম, দুর্নীতি ও বিভিন্ন কর্মসুচীর টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। মাদরাসার শিক্ষক নিয়োগ, উঠান বৈঠক ও বিভিন্ন প্রনোদনার টাকা সহ বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলেও জানিয়েছেন বিভিন্ন মাদরাসায় কর্মরত শিক্ষকগণ। দুর্নীতির আতুর ঘরে পরিণত জেলা ইসলামিক ফাউন্ডেশন অফিসটি যেন দেখার কেউ নাই।

সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নেত্রকোনা জেলার উপ-পরিচালক শফিকুর রহমান সরকার ২০১৬ সালে নেত্রকোনায় যোগাদানের পর থেকেই অফিসটি দূর্নীতি ও টাকা আত্বসাৎ এর প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে শিক্ষকদের কাছে। তিনি ঢাকার একটি মাদরাসায় পড়াশোনা করা কালীন ছাত্রলীগের সভাপতি ও ক্যাডার ছিলেন। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তৎকালীন ডিজি শামীম মোঃ আফজাল সাহেবের সময় নামমাত্র নিয়োগ পরীক্ষা এবং যোগ্য প্রার্থীকে বাদ দিয়ে, আওয়ামীলীগের দলীয় প্রভাব খাটিয়ে তিনি নেত্রকোনা জেলার সহকারী পরিচালক হিসেবে যোগদান করেন।

যোগদানের পরপরই দলীয় প্রভাবে লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময়ে প্রতি বছর শিক্ষক নিয়োগ ও কেন্দ্র প্রদান করে থাকেন। মোহনগঞ্জ উপজেলায় কোরআন শিক্ষা কেন্দ্র, প্রাক-প্রাথমিক কেন্দ্র ও মডেল মসজিদের ইমাম, মুয়াজ্জিন ও খাদেম নিয়োগে আত্মীয়করণ সহ হাতিয়ে নেন লক্ষ লক্ষ টাকা। নাম প্রকাশে অনি”ছুক একজন কেন্দ্র শিক্ষক বলেন, নেত্রকোনা জেলার উপ-পরিচালক শফিকুর রহমান সরকার স্যার এতো ঘুষ খান আমার জানা ছিল না। ইসলামিক ফাউন্ডেশনে এমন দুর্নীতি, এখন বলতে গেলে নিজেই লজ্জা পাই।

জেলার দশটি উপজেলায় মোট উনিশটি দারুল আরকাম মাদরাসায় ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে প্রতিটি মাদরাসায় ৮০,০০০/- আশি হাজার টাকা করে মোট ১৫,২০০০০/- (পনের লক্ষ বিশ হাজার) টাকা বরাদ্দ ছিল। নামমাত্র কিছু টাকা প্রদান করে বাকী সম্পূর্ণ টাকা ডি.ডি ও প্রধান শিক্ষকগণ মিলে আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
উপজেলা পর্যায়ে ক্রয় কমিটি থাকা সত্বেও কমিটির সভাপতিকে বাদ দিয়ে মাদরাসার প্রধান শিক্ষক এবং ডি.ডি শফিকুর রহমান সরকারের যোগসাজসে ওই টাকা আত্মসাত করেন। এছাড়া প্রমোশন এবং বিশেষ প্রনোদনা পাইয়ে দেয়ার কথা বলে বিভিন্ন শিক্ষকদের কাছ থেকে ঘরের এসি, মাছ, বিভিন্ন উপকরন সহ নগদ টাকা উৎকোচ হিসেবে গ্রহন করতেন। উনার ক্ষমতার দাপটে কোন শিক্ষক মূখ খুলে কথা বলার সাহস পেতেন না।

মোহনগঞ্জ, দুর্গাপুর ও কেন্দুয়া উপজেলার বিভিন্ন কেন্দ্রের বেশ কয়েকজন শিক্ষক বলেন, ইউনিসেফ এর উঠান বৈঠক, মডেল মসজিদের অতিরিক্ত বরাদ্দের টাকা, উপজেলা পর্যায়ে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ কর্মসুচীর টাকা, শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার দক্ষতাবৃদ্ধি বিষয়ক প্রশিক্ষণের টাকা প্রায় সব সময়ই আত্মসাৎ করে থাকেন এই ডি.ডি শফিকুর রহমান সরকার। এ ব্যপারে কেন্দ্রের কোন শিক্ষক বা জেলা অফিসের কেউ কোনো কথা বললে তাকে বদলীর ভয়ভীতি দেখিয়েই ক্ষান্ত হতেন না প্রয়োজনে আওয়ালীগের নেতাদের দিয়ে ভয়-ভীতি প্রদর্শন করাতেন। ইতোপূর্বে এইসব ক‚কর্মের কারণে অন্যত্র বদলী আদেশ হলেও আওয়ামীগের নেতাদের মাধ্যমে তা বাতিল করে বহাল তবিয়তে থেকে যান এবং বলেন আমাকে এখানে থেকে কেউ বদলী করতে পারবে না।

নেত্রকোনা জেলায় উপ-পরিচালক পদে চাকুরি করা কালীন এতো অল্প সময়ের মধ্যে ময়মনসিংহের অভিজাত এলাকায় কোটি টাকার বাড়ী ক্রয়, নেত্রকোনার বিভিন্ন এলাকায় জায়গা কিনে বাসা নির্মান করেছেন। এই টাকার উৎস কোথায় নেত্রকোনাবাসী তা জানতে চায়। দেশ আজ নতুন করে দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গড়ার স্বপ্ন দেখছে। এতো দুর্নীতি করেও বীরদর্পে হাটছেন শফিকুর রহমান সরকার। তার এসব কু-কর্মের ব্যাপারে সঠিক তদন্তপূর্বক বিচারের মাধ্যমে কঠিন শাস্তি ও অপসারণের জোরদাবি জানাচ্ছে জেলার আপামর জনগণ এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র সমাজ।




ত্রাণের কার্টন বিক্রি করেই আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন পেল ২ লাখ টাকা

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

আলেমদের মাধ্যমে পরিচালিত স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন আস-সুন্নাহর ত্রাণ তহবিলে বিশাল অঙ্ক যুক্ত হওয়ার কথা জানিয়েছেন শায়খ আহমাদুল্লাহ। এই বিশাল অঙ্ক বন্যা কবলিত অঞ্চলে ত্রাণ প্যাকিজিংয়ের পর বেঁচে যাওয়া কার্টন বিক্রি করে জমা হয়েছে। যার পরিমাণ ২ লাখ ৩৪ হাজার ৪২০ টাকা। কার্টন বিক্রি করে পাওয়া এই বিশাল অঙ্ক আস-সুন্নাহর ত্রাণ তহবিলে জমা করা হয়েছে।

শায়খ আহমাদুল্লাহ জানিয়েছেন, বন্যা কবলিত অঞ্চলে ত্রাণ প্যাকিজিংয়ের পর বেঁচে যাওয়া কার্টন বিক্রি করে ৩৪ হাজার ৪২০ টাকা পেয়েছে আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন।

তার ফেসবুক পোস্টে কার্টন বিক্রির ছবি আপলোড করে বলা হয়েছে, এগুলো ক্রয়কৃত ত্রাণসামগ্রীর বিভিন্ন কার্টন। ত্রাণ প্যাকেজিংয়ের পর বেঁচে যাওয়া এই কর্টনগুলো আমরা ২ লাখ ৩৪ হাজার ৪২০ টাকায় বিক্রি করে ত্রাণ তহবিলে জমা করেছি।

স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন হিসেবে বেশ সুনাম কুড়িয়েছে শায়খ আহমাদুল্লাহ পরিচালিত আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন। এবারের বন্যা কবলিত মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে আস্থাও অর্জন করেছে সংগঠনটি। দেশ-বিদেশ থেকে অনেকেই অনুদান পাঠিয়েছেন এখানে।

মানুষের অনুদানের টাকা আমানতের সঙ্গে বন্যা কবলিতদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করছে আস সুন্নাহ ফাউন্ডেশন। নিজের একাধিক ফেসবুক পোস্টে আয়-ব্যয়ের হিসাব দিয়েছেন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শায়খ আহমাদুল্লাহ।

এর আগে তিনি জানিয়েছিলেন, এবারের বন্যায় মাত্র ১২ দিনে ১৫ লক্ষাধিক মানুষ মোবাইল ব্যাংকিং এবং ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অনুদান দিয়েছেন। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় একক অনুদানের পরিমাণ ২০ লাখ ৫৬ হাজার টাকা।

বন্যা দুর্গতদের জন্য ত্রাণ ও পুনর্বাসনের প্রথম ধাপে খাদ্যসামগ্রীসহ বিভিন্ন ত্রাণসামগ্রী বিতরণ সম্পন্ন করেছে আস-সুন্নাহ। দ্বিতীয় ধাপে ২ লাখ ২০ হাজার পরিবারের মধ্যে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণের শুরু করেছে সংগঠনটি। ইতোমধ্যে প্রায় ১ লাখ পরিবারের মাঝে ২৫ কেজি করে চাল বিতরণ করেছে।




বিগত ১৫ বছরে ভারতের সাথে কৃত চুক্তি জনসম্মুখে প্রকাশ করুন: চরমোনাই পীর সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই বলেছেন, বিগত ১৫ বছরে শেখ হাসিনা ভারতের সাথে যত গোপন চুক্তি করেছে, তা জনসম্মুখে প্রকাশ করে চুক্তিগুলো বাতিল করতে হবে। ফ্যাসিবাদি হাসিনার সরকার কেবল নিজেদের আখের গোছাতে দেশকে ভারতের করতলে নিয়ে গিয়েছিলো। এখন ভারতের রাহু মুক্তি হয়েছে আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ। ভারতের সাথে সাক্ষরিত সকল গোপন চুক্তি জনসম্মুখে প্রকাশ করে চুক্তিগুলোর ভালমন্দ বিশ্লেষণ করে চুক্তিগুলো বাতিল করুন। ভারতের স্বার্থে কোন চুক্তি হতে পারে না। শেখ হাসিনা এ জন্যই তো বলেছিলো, “আমি ভারতকে যা দিয়েছি-ভারত আজীবন মনে রাখবে” এসব চুক্তির কারণে ভারত আমাদেরকে বন্ধু প্রতীম দেশ মানতেই নারাজ। আমাদের সাথে ভারতের আচরণ ছিলে নেহায়েত খারাপ।

আজ মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে মুফতী সৈয়দ রেজাউল করীম বলেন, সম্প্রতি ভারতীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং কতৃক শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তাদের বাংলাদেশ পরিস্থিতির উপর নজর রাখা এবং  যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকার নির্দেশনা প্রদানের মাধ্যমে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রচ্ছন্নভাবে যুদ্ধের হুমকি দিয়েছে। তিনি বলেন, আমরা কারো সাথে শত্রুতা চাই না, সবার সাথে বন্ধুত্ব চাই। কিন্তু ভারত যদি আগ বাড়িয়ে আমাদের উপর আক্রমণ করতে চায় তাহলে এদেশের ১৮ কোটি মানুষ জীবনের বিনিময়ে হলেও দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় জীবন বাজি রেখে লড়াই করতে রাজি।

পীর সাহেব চরমোনাই আরো বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশের সার্বভৈামত্ব নিয়ে এবং অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলাবার অধিকার কোন রাষ্ট্রের নেই। এই যুদ্ধপ্রস্তুতি কার বিরুদ্ধে রাজনাথ সিংকে তার পরিষ্কার ব্যাখ্যা দিতে হবে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও নাগরিকদের জান-মাল রক্ষায় এদেশের জনগণ সর্বদা প্রস্তুত রয়েছে।

তিনি বলেন, ভারত এখনও সীমান্ত হত্যা বন্ধ করেনি। প্রয়োজনের সময় পানির ন্যায্য হিস্যা থেকে বঞ্চিত করে আর বর্ষাকালে বাঁধ ছেড়ে দিয়ে বাংলাদেশের মানুষকে পানিতে ডুবিয়ে মারে। বন্ধুরুপী শত্রুর বিরুদ্ধে দেশপ্রেমিক জনতাকে সোচ্চার থাকতে হবে। তিনি বলেন, ভারত বাংলাদেশকে হুমকি দিলে বাংলাদেশ সরকারকেও সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে।




রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সেনাপ্রধানের সাক্ষাৎ

নিউজ ডেস্ক..

রাষ্ট্রপতি ও সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। আজ সোমবার বঙ্গভবনে সেনা প্রধান রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। বঙ্গভবন প্রেস উইং থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বঙ্গভবন থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান সেনাবাহিনীর সার্বিক কার্যক্রম সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন। এ ছাড়া তিনি দেশব্যাপী আইন-শৃঙ্খলা ও শান্তিপূর্ণ পরিস্থিতি বজায় রাখতে সেনাবাহিনীর কার্যক্রমও তুলে ধরেন।

দেশের সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি রক্ষা ও জনগণের জানমালের নিরাপত্তা প্রদানে সেনাবাহিনীর ভূমিকার প্রশংসা করেন রাষ্ট্রপতি। এ ছাড়া রাষ্ট্রপতি দেশের উত্তর ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে সাম্প্রতিক বন্যায় বানভাসি মানুষের কাছে ত্রাণ পৌঁছানো এবং দুর্গত এলাকায় উদ্ধারকার্যে সেনাবাহিনীর কর্মকাণ্ডের প্রশংসা করেন।

 

 

 




ইসলামী আন্দোলন ও বিএনপি’র দুই কর্মীকে পেটালেন যুবলীগ কর্মীরা

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

বরিশালের মুলাদিতে আত্মগোপন থেকে এলাকায় ফিরেই বিএনপি ও ইসলামী আন্দোলনের দুই কর্মীকে পিটিয়েছেন যুবলীগের কর্মীরা। উপজেলার কাজিরচর ইউনিয়নের দক্ষিণ কাজিরচর গ্রামের তিন যুবলীগ কর্মী ওই এলাকার দুজনকে পিটিয়ে আহত করেন।

রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে দক্ষিণ কাজিরচর রেইন্ট্রিতলায় এ ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন, দক্ষিণ কাজিরচর গ্রামের ফয়জদ্দিন হাওলাদারের ছেলে ইসলামী আন্দোলনের কর্মী কবির হোসেন হাওলাদার (৫৪) এবং কালু ব্যাপারীর ছেলে বিএনপি কর্মী ইউনুছ ব্যাপারী (৬৫)।

তাঁদের অভিযোগ, একই গ্রামের জব্বার ব্যাপারীর ছেলে সাইফুল ব্যাপারী (৩৫), মালেক ব্যাপারীর ছেলে ইউনুছ ব্যাপারী (৩০) এবং রহিম ব্যাপারীর ছেলে রফিক ব্যাপারী (৪০) হামলা করেছেন। তাঁরা কাজিরচর ইউনিয়ন যুবলীগের কর্মী। গত ৫ আগস্টের পর থেকে তাঁরা আত্মগোপনে ছিলেন বলে জানান আহত ইউনুছ ব্যাপারী।

গত ৪ আগস্ট চায়ের দোকানে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে কথা বলার জের ধরে এ হামলা করা হয়েছে বলে অভিযোগ আহতদের। এ ঘটনায় আজ বিকেলে কবির হোসেন হাওলাদার বাদী হয়ে ৫ জনের বিরুদ্ধে মুলাদি থানায় অভিযোগ করেছেন। মুলাদি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাকারিয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

কবির হোসেন হাওলাদার জানান, গত ৪ আগস্ট সন্ধ্যায় রেইন্ট্রিতলায় একটি চায়ের দোকানে বসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের গুলি করার বিষয়ে প্রতিবাদ করেন। তখন যুবলীগ কর্মী সাইফুল, ইউনুছ ও রফিকের সঙ্গে কথা-কাটাকাটি হয়। ৫ আগস্ট সরকার পতন হলে ওই যুবলীগ কর্মীরা এলাকা থেকে পালান। এক মাসের বেশি সময় আত্মগোপনে থাকার পরে স্থানীয় এক বিএনপি নেতার ছত্রচ্ছায়ায় ৭ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় এলাকায় ফেরেন তাঁরা।

আজ কাজে যাওয়ার সময় কবিরের পথরোধ করে মারধর শুরু করেন যুবলীগকর্মীরা। ওই সময় ইউনুছ ব্যাপারী তাঁকে রক্ষা করতে গেলে তাঁকেও পিটিয়ে আহত করা হয়। পরে আহতদের চিৎকারে পার্শ্ববর্তী লোকজন এসে উদ্ধার করে মুলাদি হাসপাতালে ভর্তি করেন।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে যুবলীগ কর্মী সাইফুল ব্যাপারী বলেন, প্রায় এক মাস পর এলাকায় ফেরার পরে কবির হাওলাদার কটূক্তি করায় তাঁর সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। হামলা কিংবা আহত করা হয়নি।

মুলাদি থানার ওসি মো. জাকারিয়া বলেন, অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থল ও হাসপাতালে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।




পদত্যাগের পর নির্বাচন কমিশনারদের বিক্ষুব্ধ জনতার ধাওয়া, জুতা নিক্ষেপ

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

পদত্যাগের পর নির্বাচন কমিশন ভবন ছাড়ার সময় কমিশনারদের ধাওয়া দিয়েছেন বিক্ষুব্ধ জনতা। এছাড়াও দুই নির্বাচন কমিশনারের গাড়িতে জুতা নিক্ষেপ করার ঘটনাও ঘটেছে।

বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের সামনে এ ঘটনা ঘটে। দুপুর ১২টায় শেষবারের মতো গণমাধ্যমের সামনে এসে পদত্যাগের ঘোষণা দেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।

বেলা ১২টায় লিখিত বক্তব্য শুরু করেন কাজী হাবিবুল আউয়াল। এসময় দুজন কমিশনার সঙ্গে থাকলেও বাকি দুজন নিজেদের রুমেই অবস্থান করেন।

শেষ কর্মদিবসের সংবাদ সম্মেলনকে সাংবাদিকদের সঙ্গে ‘সৌজন্য বিনিময়’ হিসেবে অভিহিত করে আউয়াল কমিশন। যদিও লিখিত বক্তব্য শেষে গণমাধ্যমের সামনেই পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর করেন তিনি।

বক্তব্য শেষে কোনো প্রশ্নের সুযোগ না দিয়ে চলে যান কাজী হাবিবুল আউয়াল।

একযোগে এমন পদত্যাগ কমিশনের ইতিহাসে নজিরবিহীন। পদত্যাগের পরপরই কমিশন ভবন ত্যাগ করেন তারা।

তবে আগেই থেকেই বাইরে অবস্থান করা বিক্ষুব্ধ জনতা সদ্য বিদায়ী আউয়াল কমিশনের বিরুদ্ধে স্লোগান দেন। এ সময় অনেকে ধাওয়া দেন বিদায়ী কমিশনারদের।

নির্বাচন কমিশনার বেগম রাশিদা সুলতানা ও মো. আনিছুর রহমানের গাড়িতে জুতা নিক্ষেপ করেন বিক্ষুব্ধ জনতা।