দুর্গাপুরে সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির মানববন্ধন

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

ঢাকায় সেসিপ প্রকল্পের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দ্বারা সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের লাঞ্ছনার প্রতিবাদে এক মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে দুর্গাপুরে অবস্থিত দুইটি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ। মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নেত্রকোনার দুর্গাপুর প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

ঘন্টাব্যাপি মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ঢাকায় শিক্ষা ভবনের সামনে ৩৫তম থেকে ৪১তম বিসিএসে নন-ক্যাডারে সরকারি বিদ্যালয়ে নিয়োগ পাওয়া ২০/২৫ জন সহকারী শিক্ষকদের ওপর হামলা চালান সেসিপ প্রকল্পের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দোষীদের আইনের আওতায় এনে চাকরি বিধি অনুযায়ী দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়। এছাড়া সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বকেয়া টাইম স্কেল, সিলেকশন গ্রেড ও পদোন্নতি বঞ্চিতদের পদোন্নতি, আলাদা মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর, দ্রুত উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার পদে পদায়ন করার জন্য জোর দাবি জানানো হয়।

এ সময় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সিনিয়র শিক্ষক অপর্না রানী সরকার, সালাউদ্দিন কাদের, সহকারি শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম রিপন, বিল্লাল হোসেন প্রমুখ।




কম শুল্কে ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি শুরু, বাজারে কমছে দাম

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার হিলি স্থলবন্দর দিয়ে কম শুল্কে ভারতীয় পেঁয়াজ দেশে ঢুকছে। মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় ৪টি ট্রাকের মাধ্যমে ১২৩ মেট্রিক টন পেঁয়াজ দেশে প্রবেশের মধ্য দিয়ে আমদানি শুরু হয়। এতে কমতে শুরু করেছে বাজারে পেঁয়াজের দাম।

বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দিনাজপুরের বাহাদুরবাজারে দেশি পেঁয়াজ প্রতি কেজি ১২০ থেকে ১৩০ টাকা ও আমদানি করা পেঁয়াজ ৯০ থেকে ৯৫ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা যায়। গতকালও এই পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছিল ১১০ টাকা দরে। বাজারের একজন পেঁয়াজ ব্যবসায়ী বলেন, আগামী কয়েক দিনে দাম আরও কমবে বলে আশা করা হচ্ছে।

হিলি স্থল বন্দরের ব্যবসায়ীরা জানান, ভারতে পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়ায় চলতি মাসের ১৩ সেপ্টেম্বর পণ্যটি রপ্তানিতে ৪০ শতাংশ শুল্ক থেকে ২০ শতাংশ এবং রপ্তানি মূল্য টন প্রতি ৫৫০ মার্কিন ডলার থেকে ১৪৫ ডলার কমিয়ে ৪০৫ ডলার নির্ধারণ করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে দেশটির বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। কিন্তু ভারতের কাস্টমস সার্ভারে সেটি সংযুক্ত না হওয়ায় পেঁয়াজ আমদানি গত দুই দিন ধরে বন্ধ ছিল। সেই জটিলতা কাটিয়ে আমদানি শুরু হয়েছে।

জানা যায়, গত বছর ৮ ডিসেম্বর থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত অভ্যন্তরীণ সংকটের অজুহাতে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেয় ভারত সরকার। এরপর মার্চ মাসে অনির্দিষ্টকালের জন্য দ্বিতীয় দফায় নিষেধাজ্ঞা দেয়। এতে দেশে পেঁয়াজের সংকট দেখা দেওয়ায় দফায় দফায় দাম বাড়তে থাকে। এরপর প্রায় ৫ মাস পর গত ৪ মে ন্যূনতম ৫৫০ মার্কিন ডলার রপ্তানি মূল্য এবং ৪০ শতাংশ হারে শুল্ক নির্ধারণ করে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেয়।

হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারক শহিদুল ইসলাম শহিদ জানান, সম্প্রতি ভারত অভ্যন্তরে পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়ায় রপ্তানিতে ৪০ শতাংশ শুল্কায়ন থেকে ২০ শতাংশ এবং টন প্রতি ন্যূনতম ৫৫০ ডলারের থেকে কমিয়ে ৪০৫ ডলার নির্ধারণ করেছে। সে মোতাবেক ভারতের রপ্তানিকারকের সঙ্গে কথাও হয়েছে। কিন্তু সার্ভারে আগের ৪০ শতাংশ শুল্ক এবং ৫৫০ ডলার সংযুক্ত থাকায় আমদানি করা সম্ভব হয়নি। মঙ্গলবার বিকালে সেই জটিলতা কাটিয়ে বন্দর দিয়ে আমদানি শুরু হয়েছে। নতুন নিয়ম সার্ভারে সংযুক্ত হওয়ায় টন প্রতি ১০-১৫ টাকা আমদানি খরচে কমেছে।