ত্রাণের কার্টন বিক্রি করেই আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন পেল ২ লাখ টাকা

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

আলেমদের মাধ্যমে পরিচালিত স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন আস-সুন্নাহর ত্রাণ তহবিলে বিশাল অঙ্ক যুক্ত হওয়ার কথা জানিয়েছেন শায়খ আহমাদুল্লাহ। এই বিশাল অঙ্ক বন্যা কবলিত অঞ্চলে ত্রাণ প্যাকিজিংয়ের পর বেঁচে যাওয়া কার্টন বিক্রি করে জমা হয়েছে। যার পরিমাণ ২ লাখ ৩৪ হাজার ৪২০ টাকা। কার্টন বিক্রি করে পাওয়া এই বিশাল অঙ্ক আস-সুন্নাহর ত্রাণ তহবিলে জমা করা হয়েছে।

শায়খ আহমাদুল্লাহ জানিয়েছেন, বন্যা কবলিত অঞ্চলে ত্রাণ প্যাকিজিংয়ের পর বেঁচে যাওয়া কার্টন বিক্রি করে ৩৪ হাজার ৪২০ টাকা পেয়েছে আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন।

তার ফেসবুক পোস্টে কার্টন বিক্রির ছবি আপলোড করে বলা হয়েছে, এগুলো ক্রয়কৃত ত্রাণসামগ্রীর বিভিন্ন কার্টন। ত্রাণ প্যাকেজিংয়ের পর বেঁচে যাওয়া এই কর্টনগুলো আমরা ২ লাখ ৩৪ হাজার ৪২০ টাকায় বিক্রি করে ত্রাণ তহবিলে জমা করেছি।

স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন হিসেবে বেশ সুনাম কুড়িয়েছে শায়খ আহমাদুল্লাহ পরিচালিত আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন। এবারের বন্যা কবলিত মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে আস্থাও অর্জন করেছে সংগঠনটি। দেশ-বিদেশ থেকে অনেকেই অনুদান পাঠিয়েছেন এখানে।

মানুষের অনুদানের টাকা আমানতের সঙ্গে বন্যা কবলিতদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করছে আস সুন্নাহ ফাউন্ডেশন। নিজের একাধিক ফেসবুক পোস্টে আয়-ব্যয়ের হিসাব দিয়েছেন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শায়খ আহমাদুল্লাহ।

এর আগে তিনি জানিয়েছিলেন, এবারের বন্যায় মাত্র ১২ দিনে ১৫ লক্ষাধিক মানুষ মোবাইল ব্যাংকিং এবং ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অনুদান দিয়েছেন। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় একক অনুদানের পরিমাণ ২০ লাখ ৫৬ হাজার টাকা।

বন্যা দুর্গতদের জন্য ত্রাণ ও পুনর্বাসনের প্রথম ধাপে খাদ্যসামগ্রীসহ বিভিন্ন ত্রাণসামগ্রী বিতরণ সম্পন্ন করেছে আস-সুন্নাহ। দ্বিতীয় ধাপে ২ লাখ ২০ হাজার পরিবারের মধ্যে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণের শুরু করেছে সংগঠনটি। ইতোমধ্যে প্রায় ১ লাখ পরিবারের মাঝে ২৫ কেজি করে চাল বিতরণ করেছে।




বিগত ১৫ বছরে ভারতের সাথে কৃত চুক্তি জনসম্মুখে প্রকাশ করুন: চরমোনাই পীর সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই বলেছেন, বিগত ১৫ বছরে শেখ হাসিনা ভারতের সাথে যত গোপন চুক্তি করেছে, তা জনসম্মুখে প্রকাশ করে চুক্তিগুলো বাতিল করতে হবে। ফ্যাসিবাদি হাসিনার সরকার কেবল নিজেদের আখের গোছাতে দেশকে ভারতের করতলে নিয়ে গিয়েছিলো। এখন ভারতের রাহু মুক্তি হয়েছে আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ। ভারতের সাথে সাক্ষরিত সকল গোপন চুক্তি জনসম্মুখে প্রকাশ করে চুক্তিগুলোর ভালমন্দ বিশ্লেষণ করে চুক্তিগুলো বাতিল করুন। ভারতের স্বার্থে কোন চুক্তি হতে পারে না। শেখ হাসিনা এ জন্যই তো বলেছিলো, “আমি ভারতকে যা দিয়েছি-ভারত আজীবন মনে রাখবে” এসব চুক্তির কারণে ভারত আমাদেরকে বন্ধু প্রতীম দেশ মানতেই নারাজ। আমাদের সাথে ভারতের আচরণ ছিলে নেহায়েত খারাপ।

আজ মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে মুফতী সৈয়দ রেজাউল করীম বলেন, সম্প্রতি ভারতীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং কতৃক শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তাদের বাংলাদেশ পরিস্থিতির উপর নজর রাখা এবং  যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকার নির্দেশনা প্রদানের মাধ্যমে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রচ্ছন্নভাবে যুদ্ধের হুমকি দিয়েছে। তিনি বলেন, আমরা কারো সাথে শত্রুতা চাই না, সবার সাথে বন্ধুত্ব চাই। কিন্তু ভারত যদি আগ বাড়িয়ে আমাদের উপর আক্রমণ করতে চায় তাহলে এদেশের ১৮ কোটি মানুষ জীবনের বিনিময়ে হলেও দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় জীবন বাজি রেখে লড়াই করতে রাজি।

পীর সাহেব চরমোনাই আরো বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশের সার্বভৈামত্ব নিয়ে এবং অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলাবার অধিকার কোন রাষ্ট্রের নেই। এই যুদ্ধপ্রস্তুতি কার বিরুদ্ধে রাজনাথ সিংকে তার পরিষ্কার ব্যাখ্যা দিতে হবে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও নাগরিকদের জান-মাল রক্ষায় এদেশের জনগণ সর্বদা প্রস্তুত রয়েছে।

তিনি বলেন, ভারত এখনও সীমান্ত হত্যা বন্ধ করেনি। প্রয়োজনের সময় পানির ন্যায্য হিস্যা থেকে বঞ্চিত করে আর বর্ষাকালে বাঁধ ছেড়ে দিয়ে বাংলাদেশের মানুষকে পানিতে ডুবিয়ে মারে। বন্ধুরুপী শত্রুর বিরুদ্ধে দেশপ্রেমিক জনতাকে সোচ্চার থাকতে হবে। তিনি বলেন, ভারত বাংলাদেশকে হুমকি দিলে বাংলাদেশ সরকারকেও সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে।