চলমান ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম বন্ধে শক্ত অবস্থান নেওয়ার সিদ্ধান্ত

চলমান অরাজকতা, অগ্নিসংযোগ ও ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম বন্ধের মাধ্যমে দেশের স্থিতিশীলতা রক্ষায় সশস্ত্র বাহিনীসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর শক্ত অবস্থান গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাহিনীগ প্রধানগণ।

বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

আইএসপিআর জানায়, বৃহস্পতিবার সেনা সদরে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের সাথে নৌ ও বিমান বাহিনী প্রধানের উপস্থিতিতে নবনিযুক্ত পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি), র‍্যাবের মহাপরিচালক এবং ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার সাক্ষাৎ করেন। এ সময় আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সেনাবাহিনীর সহায়তায় দেশের সকল থানার কার্যক্রম শুরু করার বিষয়ে আলোচনা হয়। এ ব্যাপারে সকলের সহযোগিতা কামনা করা হয়েছে




অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে আলেম প্রতিনিধি : এগিয়ে ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে আলেম প্রতিনিধি থাকার আলোচনায় এগিয়ে আছেন ড. মাওলানা আ ফ ম খালিদ হোসেন।

একাধিক সূত্র এ সম্ভাবনার কথাটি জানা গেছে। সূত্রটি জানায়, আলেম সমাজের প্রতিনিধি হিসাবে ড. মাওলানা আ ফ ম খালিদ হোসেনের নাম ইতোমধ্যে তালিকাবদ্ধ হয়েছে।

নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান করে দেশের অন্তর্বর্তী সরকার আজ বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) সন্ধ্যায় শপথ নেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

এছাড়া আরও যারা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা হিসাবে শপথ নেবেন বলে আশা করা হচ্ছে তারা হলেন, সালেহ উদ্দিন আহমেদ, ড. আসিফ নজরুল, আদিলুর রহমান খান, ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ, হাসান আরিফ, তৌহিদ হোসেন, সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান, মো. নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া, জেনারেল মাহফুজ, গৌতম দেওয়ান (ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী), ব্যারিস্টার সারা হোসেন, ধীরাজ মালাকার (মুক্তিযোদ্ধা+সংখ্যালঘু), ড. মাওলানা আ ফ ম খালিদ হোসেন (আলেম সমাজের প্রতিনিধি)।

উল্লেখ্য, ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন-এর পুরো নাম হচ্ছে আবুল ফয়েজ মুহাম্মদ খালিদ হোসেন। ১৯৫৯ সালের ২ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম জেলার অন্তর্গত সাতকানিয়া উপজেলার মাদার্শা ইউনিয়নের মক্কার বাড়িতে জন্ম নেওয়া ড. খালিদ একজন বাংলাদেশি সুন্নী দেওবন্দি ইসলামি স্কলার। মাসিক আত তাওহীদের সম্পাদক, বালাগুশ শরকের সহকারী সম্পাদক এবং আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রামের কুরআনিক সায়েন্সেস এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অতিথি শিক্ষক। তিনি ওমরগণি এমইএস কলেজের ইসলামের ইতিহাস বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান। এছাড়া, এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের খণ্ডকালীন অধ্যাপক। বিশ্ব মুসলীম লীগের মুখপাত্র দ্যা ওয়ার্ল্ড মুসলিম লীগ জার্নাল সহ বিভিন্ন সাময়িকীতে তার দুই শতাধিক গবেষণাধর্মী প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। তিনি ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ কর্তৃক প্রকাশিত ইসলামী বিশ্বকোষ দ্বিতীয় সংস্করণের ৩ থেকে ৯ খণ্ড ও সীরাত বিশ্বকোষ সম্পাদনা করেছেন। তার প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা ২০ টি। এছাড়াও তিনি ৪টি জাতীয় পত্রিকার নিয়মিত লেখক।




সারাদেশে ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নেতাকর্মীরা

গত সোমবার সরকার পতনের পর থেকেই ঢাকা শহরের ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে কোনো পুলিশকে দেখা যায়নি। তিন দিন ধরে শহরে ট্রাফিক পুলিশ না থাকায় এক প্রকার বিশৃঙ্খল অবস্থায় যান চলাচল করছে। এতে করে মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) সকাল থেকে রাজধানীতে যানজটে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠছিল।

এ ছাড়াও মঙ্গলবার সকাল থেকেই পুলিশের কর্মবিরতি চলায় এটি আরো তীব্র আকার ধারণ করে।

এ অবস্থায় সকাল থেকে সন্ধ্যার পর পর্যন্ত শহরে যানবাহন চলাচল শৃঙ্খলা ফিরাতে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করছেন চরমোনাই পীরের নেতৃত্বাধীন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নেতাকর্মীরা।

রাজধানীতে ট্রাফিকের অনুপস্থিতিতে সড়কে গাড়ি চলাচলের ক্ষেত্রে সৃঙ্খলা বজায় রাখতে চরমোনাই পীরের নির্দেশে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সহস্রাধিক সেচ্ছাসেবী ও তাদের একাধিক অঙ্গ সংগঠন আজ ৭ আগষ্ট, বুধবার, রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্ট এ ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করছেন।

এছাড়া দেশের বিভিন্ন জেলা, উপজেলা, মহানগর ও পৌরসভা এলাকায় পুলিশের থানা, ক্যাম্প, গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা, মন্দির, গির্জা ও প্যাগডায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সেচ্ছাসেবী হিসেবে গতকাল থেকে কাজ শুরু করেছে তারা।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ দেশবাসীকে বর্তমান সংকটময় মুহূর্তে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখার অনুরোধ জানিয়েছেন।

একই সঙ্গে তাদের দলের নেতাকর্মীরা দিন -রাত ২৪ ঘণ্টা সংখ্যালঘু ও হিন্দু সম্প্রদায়ের উপাসনালয় পাহারা দিচ্ছেন।