ডিএমপির ৩২ থানার ওসিকে ঢাকার বাইরে বদলি

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

ঢাকা মহানগর পুলিশের ৩২ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পুলিশ পরিদর্শককে (নিরস্ত্র) পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটে বদলি করা হয়েছে।

রোববার (১৮ আগস্ট) পুলিশ সদরদপ্তরের অতিরিক্ত আইজিপি (অ্যাডমিনিস্ট্রেশন) কামরুল আহসান স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ বদলি করা হয়।

এয়ারপোর্ট থানার ওসি মোহাম্মদ ইয়াসির আরাফাত খানকে বান্দরবান ইন-সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারে, দক্ষিণখান থানার ওসি মো. আশিকুর রহমানকে পিরোজপুর ইন-সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারে, উত্তরা পূর্ব থানার ওসি মো. শাহ আলমকে কুষ্টিয়া ইন-সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারে, শাহীনুর রহমানকে লালমনিরহাট ইন-সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারে, বনানী থানার ওসি কাজী শাহান হককে রংপুর পিটিসিতে, বাড্ডা থানার ওসি মোহাম্মদ আবু ছাঁলাম মিয়াকে খাগড়াছড়ি ৬ এপিবিএনে, নিউ মার্কেট থানার ওসি মো. আমিনুল ইসলামকে শিল্পাঞ্চল পুলিশে, হাজারীবাগ থানার ওসি নূর মোহাম্মদকে ঠাকুরগাঁও ইন-সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারে, কলাবাগান থানার ওসি মো. মফিজুল আলমকে খাগড়াছড়ি এপিবিএন এবং বিশেষায়িত ট্রেনিং সেন্টারে, রমনা থানার ওসি উৎপল বড়ুয়াকে কুষ্টিয়া ইন-সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারে এবং ধানমন্ডি থানার ওসি মোহাম্মদ এমরানুল ইসলামকে নোয়াখালী পিটিসিতে।

লালবাগ থানার ওসি খন্দকার মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিনকে মহালছড়ি ইন-সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারে, চকবাজার থানার ওসি কাজী শাহীদুজ্জামানকে দিনাজপুর ইন-সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারে, মুহাম্মাদ মাসুদ আলমকে সাতক্ষীরা ইন-সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারে, কোতোয়ালি থানার ওসি মুহা. মাহফুজুর রহমান মিয়াকে নোয়াখালী পিটিসিতে, আদাবর থানার ওসি শাকের মোহাম্মদ যুবায়েরকে জামালপুর ইন-সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারে, এস এম আবু ফরহাদকে কক্সবাজার ইন-সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারে, শাহজাহানপুর থানার ওসি সুজিত কুমার সাহাকে নীলফামারী ইন-সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারে, খিলগাঁও থানার ওসি মো. সালাহউদ্দীন মিয়াকে ১৮ এপিবিএনে, সবুজবাগ থানার ওসি প্রলয় কুমার সাহাকে খুলনা পিটিসিতে এবং গেন্ডারিয়া থানার ওসি মো. মোস্তাফিজুর রহমানকে ঢাকা ও ময়মনসিংহ অঞ্চল ব্যতীত ট্যুরিস্ট পুলিশে বদলি করা হয়েছে।

এছাড়া শ্যামপুর থানার ওসি মো. আতিকুর রহমানকে গাইবান্ধা ইন-সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারে, ওয়ারী থানার ওসি জানে আলম মুনশীকে ১৪ এপিবিএনে, যাত্রাবাড়ী থানার ওসি মো. আবুল হাসানকে ১৬ এপিবিএনে, রূপনগর থানার ওসি মোহাম্মদ আব্দুল মজিদকে বরিশাল ইন-সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারে, ভাসানটেক থানার ওসি মো. নাসির উদ্দিনকে মহালছড়ি এপিবিএন ইন-সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারে, মুগদা থানার ওসি তারিকুজ্জামানকে সারদা বিপিএতে, মোহাম্মদ গোলাম মউলাকে নোয়াখালী ইন-সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারে, মুহাম্মদ কামরুল ইসলামকে ১০ এপিবিএনে, হাতিরঝিল থানার ওসি শাহ মো. আওলাদ হোসেনকে হবিগঞ্জ ইন-সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারে, মো. আহাদ আলীকে এপিবিএনে এবং মোহাম্মদপুর থানার ওসি দীপক চন্দ্র সাহাকে লালমনিরহাট ইন-সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারে বদলি করা হয়েছে।

এর আগে গত ১৩ আগস্ট ঢাকা মহানগর (ডিএমপি) পুলিশের ১৮ থানার ওসিকে পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটে বদলি করা হয়।




গাজায় আরো দুই ইসরাইলি রিজার্ভ সেনা নিহত

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় প্রতিরোধ যোদ্ধাদের হামলায় ইহুদিবাদী ইসরাইলের আরো দুই সেনা নিহত হয়েছে। ইসরাইলের সামরিক বাহিনী বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

ইসরাইলি বাহিনীর তথ্য অনুযায়ী, গতকাল (শনিবার) মধ্য গাজার একটি রাস্তার পাশে পেতে রাখা বোমার বিস্ফোরণে এই দুই রিজার্ভ সেনা নিহত হয়। নিহতদের একজন হচ্ছে লজিস্টিক অফিসার ইয়োতাম ইজ্জাক পেলেত এবং অন্যজন ট্রাক চালক মোরদেশাই ইয়োসেফ বেন শোয়াম।

ইসরাইলি বাহিনী বলেছে, পেলেত গাজা শহরের দক্ষিণে জেইতুন এলাকার আশপাশে সৈন্যদের সরঞ্জাম সরবরাহ করার জন্য একটি বহুরের নেতৃত্ব দিচ্ছিল। আর বেন শোয়াম ছিল সরবরাহ বহরের অন্যতম ট্রাক চালক। মধ্য গাজার নেটজারিম করিডোরে অভিযানের সময় বোমা বিস্ফোরণে তারা নিহত হয়।

ইসরাইলি গণমাধ্যমের তথ্য অনুসারে, ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ যোদ্ধারা ইসরাইলি বহর লক্ষ্য করে গুলি চালায় এবং পরে তারা নিরাপদে চলে যেতে সক্ষম হয়।  ইসরাইল সরকার বলছে, গত অক্টোবর মাসের মাঝামাঝি গাজায় স্থল অভিযান শুরু হওয়ার পর থেকে সর্বশেষ এই দুই সেনার মৃত্যুতে তাদের সামরিক প্রাণহানির সংখ্যা ৩৩৪-এ পৌঁছেছে।#

সূত্র : পার্সটুডে




আবু সাঈদ হত্যা: পুলিশের সাবেক আইজিসহ ১৭ জনের নামে মামলা

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যার ঘটনায় বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, রংপুর রেঞ্জের সাবেক উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) আবদুল বাতেন, রংপুর মহানগর পুলিশের সাবেক কমিশনার মো. মনিরুজ্জামানসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

আজ (রোববার) রংপুরের অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলার আবেদন করেন আবু সাঈদের বড় ভাই রমজান আলী। মামলাটি গ্রহণ করার জন্য তাজহাট থানাকে নির্দেশ দেন এই আদালতের বিচারক রাজু আহমেদ। মামলার বাদীর আইনজীবী রায়হান কবীর ও রোকনুজ্জামান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন- রংপুর মহানগর পুলিশের উপকমিশনার আল মারুফ হোসেন, সহকারী কমিশনার মো. আরিফুজ্জামান, আল ইমরান হোসেন, তাজহাট থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রবিউল ইসলাম, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ বিভূতি ভূষণ রায়, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আমির আলী ও কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়।

আসামিদের মধ্যে আবদুল বাতেন ও মনিরুজ্জামানকে বাধ্যতামূলক অবসর দেওয়া হয়েছে। রবিউল ইসলাম, আমির আলী ও সুজনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

মামলায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মশিউর রহমান ও লোকপ্রশাসন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আসাদুজ্জামান মণ্ডল, প্রক্টর অফিসের কর্মকর্তা রাফিউল হাসান, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি পোমেল বড়ুয়া, সাধারণ সম্পাদক শামীম মাহফুজ, সাংগঠনিক সম্পাদক ধনঞ্জয় কুমার রায়, দপ্তর সম্পাদক বাবুল হোসেনকে আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়া অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে ৩০ থেকে ৩৫ জনকে।

মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, কোটা সংস্কারের দাবিতে রংপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ছিলেন আবু সাঈদ। গত ১৬ জুলাই আবু সাঈদ নিরস্ত্র ও একা ছিলেন। তিনি দৃশ্যত পুলিশের জন্য কোনো হুমকি ছিলেন না। তা সত্ত্বেও তাঁকে শটগান দিয়ে গুলি করা হয়। আবু সাঈদ পড়ে গিয়ে একাধিকার দাঁড়ানোর চেষ্টা করলে আসামিরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে তাঁকে একাধিকার গুলি করেন।

এজাহারে বলা হয়েছে, ঘটনার দিন বেলা দুইটার দিকে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতর থেকে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি পোমেল বড়ুয়ার নেতৃত্বে ছাত্রছাত্রীদের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু হয়। আবু সাঈদ পিছু না হটে দুই হাত প্রসারিত করে বুক পেতে দিয়ে এগিয়ে যান। পুলিশের সামনে এ সময় প্রক্টর অফিসের কর্মকর্তা রাফিউল হাসান হেলমেট পরে এসে আবু সাঈদকে লক্ষ্য করে ‘গুলি করুন, গুলি করুন’ বলে নির্দেশ দেন। অপর দুই আসামি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষক মশিউর রহমান ও আসাদুজ্জামান মণ্ডল পুলিশকে গুলি করতে প্ররোচিত করেন।

আবু সাঈদ বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন। নিরস্ত্র আবু সাঈদকে পুলিশের গুলি করার ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে সারা দেশে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে সোচ্চার হয় মানুষ। কোটা সংস্কার আন্দোলন একপর্যায়ে সরকার পতনের এক দফায় রূপ নেয়। ছাত্র-জনতার গণ-আন্দোলনের মুখে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটে। প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা।#

পার্সটুডে




৫ মে হেফাজতের সমাবেশে গুলি: ৩৪ জনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন

রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে ২০১৩ সালের ৫ মে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে নির্বিচারে গুলির ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৩৪ জনের বিরুদ্ধে ঢাকার এক আদালতে মামলার আবেদন করা হয়েছে।

আজ রোববার বাংলাদেশ পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ বাবুল সরদার চাখারী ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকি আল ফারাবীর আদালতে এ আবেদন করেন।

শুনানির পর ম্যাজিস্ট্রেট অভিযোগকারীর বক্তব্য রেকর্ড করেছেন এবং এ বিষয়ে আজই পরবর্তী আদেশ দেবেন। এ নিয়ে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ১১টি মামলা হয়েছে, যার মধ্যে ৮টি হত্যা, একটি অপহরণ এবং দুটি মানবতাবিরোধী অপরাধ ও গণহত্যার অভিযোগ রয়েছে।

গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা।




সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার খবর ‘অতিরঞ্জিত’: মোদিকে ড. ইউনূস

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার ঘটনা অতিরঞ্জিত করে কোনো কোনো প্রতিবেদনে প্রচার করা হচ্ছে বলে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

শুক্রবার এক ফোনালাপে তিনি মোদির কাছে ভারতীয় সাংবাদিকদের বাংলাদেশে আসার আমন্ত্রণ জানান। যাতে তারা সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ইস্যুতে সরেজমিনে রিপোর্ট করতে পারেন।

বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বার্তায় এসব তথ্য জানানো হয়।

এতে উল্লেখ করা হয়, মোদি সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার প্রসঙ্গ তুললে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, তার সরকার সংখ্যালঘুসহ দেশের প্রত্যেকটি নাগরিকের সুরক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

টেলিফোন করার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ধন্যবাদ জানান প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। যদিও এর আগে ভারতের প্রধানমন্ত্রী এক টুইট বার্তায় লিখেছিলেন, মুহাম্মদ ইউনূসের কাছ থেকে ফোন পেয়েছিলেন তিনি।

বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে আরও জানানো হয়েছে, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেয়ায় মুহাম্মদ ইউনূসকে অভিনন্দন জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

১৫ অগাস্ট ভারতের স্বাধীনতা দিবস পালিত হয়। স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে দেশটির প্রধানমন্ত্রী ও নাগরিকদের অভিনন্দন জানান অধ্যাপক ইউনূস।

দুই দেশের মানুষের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে তাদের কল্যাণে ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার আকাঙ্ক্ষা ব্যক্ত করেন মোদি।

ড. ইউনূসের দীর্ঘ অভিজ্ঞতা ও নেতৃত্ব বাংলাদেশের মানুষের জন্য ভালো ফল বয়ে আনবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

আলাপকালে মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, বাংলাদেশের পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে এবং জীবনযাত্রাও স্বাভাবিক হয়ে আসছে।

রাষ্ট্রের সকল অংশকে সচল ও কার্যকর করা এবং প্রত্যেক নাগরিকের মানবাধিকার নিশ্চিত করার ব্যাপারে সরকারের অঙ্গীকারের কথাও তুলে ধরেন তিনি।




‘জুলাই গণহত্যা’র বিচার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে: আসিফ নজরুল

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গণহত্যা ও গুলিবর্ষণের ঘটনার বিচার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। এ ছাড়া সাবেক সরকারপ্রধানসহ ‘জুলাই হত্যাকাণ্ডে’ যাদের নাম আসবে, তাদের সবার বিচার হবে বলে স্পষ্ট জানিয়েছেন তিনি।

আজ (বুধবার) সকালে সচিবালয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে  আসিফ নজরুল বলেন, ‘গণহত্যা ও গুলি বর্ষণের ঘটনায় বিচারের জন্য ইতোমধ্যে কিছু মামলা হয়েছে। আমরা নিজেরা, রাজপথে থাকা বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন, মানবাধিকার সংগঠন, জনগণের বিভিন্ন গোষ্ঠী দাবি করেছেন যে, এটাকে মানবতাবিরোধী অপরাধ হিসেবে বিচার করার সুযোগ আছে কি না। আমরা সেটা খতিয়ে দেখেছি।’

তিনি বলেন, ‘১৯৭৩ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন আছে, সেটা পরে ২০০৯ ও ২০১৩ সালে সংশোধনী হয়েছে। সেই আইনে আমরা ‘জুলাই গণহত্যা’; আগস্টের প্রথম পাঁচদিনের গণহত্যাও বোঝাচ্ছি। এর জন্য দায়ী ব্যক্তিদের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারের জন্য ইতোমধ্যে ছোটখাটো গবেষণা করেছি। আমরা দেখেছি, এই আইনের অধীনে হত্যাকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তি ও যারা আদেশ দিয়েছেন এবং যারা বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করেছেন, তাদের সবাইকে বিচারের আওতায় আনা সম্ভব।’

তিনি আরও বলেন, ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের একটি ইনভেস্টিগেশন টিম আছে, প্রসিকিউশন টিম আছে। এগুলোকে আমরা রিঅর্গানাইজড করার চেষ্টা করছি, আদালতটা একটু পরে করব। ইনভেস্টিগেশন আমরা জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে করার চেষ্টা করছি। জাতিসংঘ থেকে বারবার আমাদের সহযোগিতার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। বিচারের সত্যিকারের স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করার জন্য জাতিসংঘের সর্বাত্মক তত্ত্বাবধানে আমাদের ইনভেস্টিগেশন টিম কাজ করবে। সেটার লক্ষ্যে সব উদ্যোগ গ্রহণ করব।’

তিনি জানান, ‘ঢাকায় জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধির সঙ্গে মিটিং করার সিদ্ধান্ত হয়েছে, তারিখ চূড়ান্ত হয়নি। সহযোগিতা চাইবো। এ ছাড়া, আমাদের আরও উচ্চ পর্যায় থেকে জাতিসংঘের বিভিন্ন সংশ্লিষ্ট সংস্থা আছে, উনাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হবে। আশা করছি, দ্রুত এটা শুরু করতে পারব।’

গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি বিচার করব।’

আসিফ নজরুল বলেন, ‘আমরা সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে পরামর্শ করে বিচার বিভাগীয় সব কর্মকর্তা ও তাদের পরিবারের সদস্যদের দেশে-বিদেশে স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির হিসাব বিবরণী আগামী ১০ কর্মদিবসের মধ্য জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছি।’

গণআন্দোলনে অংশ নেওয়ার ঘটনায় দায়ের মামলা প্রত্যাহার করা হবে জানিয়ে আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের পাসপোর্ট ইতোমধ্যে ফেরত দেওয়া হয়েছে। রোজিনা ইসলাম ও মাহমুদুর রহমান মান্নার বিরুদ্ধে দায়ের মামলা আগামীকালই প্রত্যাহারের ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইনশাআল্লাহ, আগামীকালের মধ্যে প্রত্যাহার হয়ে যাবে। এই দুটি আলোচিত মিথ্যা মামলা ছিল জন্য উল্লেখ করলাম, আরও অনেক মামলাই প্রত্যাহার করা হবে।’

গত ১ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত ছাত্র-জনতার আন্দোলনে অংশ নেওয়া যাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে, ঢাকার মামলাগুলো বৃহস্পতিবারের মধ্যে এবং সারা দেশে ৩১ আগস্টের মধ্যে প্রত্যাহার করা হবে বলেও এ সময় জানান তিনি।

আয়নাঘরে যারা গুমের শিকার হয়েছেন, তাদের আইসিটিতে আসার সুযোগ রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে রাষ্ট্র ও যে কোনো ব্যক্তি মামলা করতে পারে। মানবতাবিরোধী যে অপরাধের যে সংজ্ঞা আছে, সেখানে গুম নামে অপরাধও অন্তর্ভুক্ত। ক্ষতিগ্রস্তরা মামলা করতে পারেন অথবা পরবর্তীতে রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে আমরা উদ্যোগ নিতে পারি। এটা আমরা গুরুত্ব দিয়ে ভাবিনি। আমরা জুলাই হত্যাকাণ্ডের ওপর জোর দিচ্ছি। তবে আমরা খাটো করে দেখছি না, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার সহযোগিতা চাইলে আমরা অবশ্যই সর্বাত্মক সহযোগিতা করব।’

গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিয়ন্ত্রণের আইন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘যতগুলো নিবর্তনমূলক আইন আছে, সেটার লিস্ট করা হয়েছে। সেগুলোর মধ্যে সবচেয়ে খারাপ সেকশনগুলো, যেগুলোর মাধ্যমে সাংবাদিকদের হয়রানি করা হয়েছে। অবশ্য সেটা আমরা বাতিল বা সংশোধন, যেটা প্রয়োজন সেটা করব।’

সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের বিচার হবে বলেও এ সময় আশ্বাস দেন তিনি।#

পার্সটুডে




প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব হলেন সাংবাদিক শফিকুল আলম

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রেস সচিব হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন বার্তা সংস্থা এএফপির বাংলাদেশ ব্যুরো চিফ শফিকুল আলম।

মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের চুক্তি ও বৈদশিক নিয়োগ শাখা থেকে জারিকৃত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।

শফিকুল আলমকে সরকারের সচিব পদমর্যাদায় চুক্তিভিত্তিক এই নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এই পদে তার মূল বেতন হবে ৭৮ হাজার টাকা। এছাড়া সচিবদের মতো অন্যান্য সুবিধাও পাবেন তিনি। প্রেস সচিব হিসেবে শফিকুল আলমের মেয়াদকাল হবে প্রধান উপদেষ্টার মেয়াদকাল অথবা তার সন্তুষ্টি সাপেক্ষে (যেটি আগে ঘটে) হবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়।

এতে আরও বলা হয়, এই নিয়োগের অন্যান্য শর্ত চুক্তিপত্র দ্বারা নির্ধারিত হবে। জনস্বার্থে এই আদেশ জারি করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, সাংবাদিক শফিকুল আলম দুই দশক ধরে আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা এএফপিতে কাজ করছেন।




পুলিশের পোশাক ও লোগো পরিবর্তনে কমিটি গঠন

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

বাংলাদেশ পুলিশের লোগো ও ইউনিফর্ম পরিবর্তনের বিষয়ে দশ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পুলিশ সদর দফতরের জনসংযোগ বিভাগের জ্যেষ্ঠ তথ্য কর্মকর্তা কামরুল আহসান।

তিনি বলেন, ‘ইউনিফর্ম ও লোগো পরিবর্তনে উদ্যোগের অংশ হিসেবে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। তাদের সাত কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।’ পুলিশ সদর দফতরের অতিরিক্ত ডিআইজি (লজিস্টিকস) মোহাম্মদ আতাউল কিবরিয়াকে সভাপতি করে গঠিত কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- অতিরিক্ত ডিআইজি (ডেভেলপমেন্ট রেভিনিউ) ড. শোয়েব রিয়াজ আলম, অতিরিক্ত ডিআইজি (ওঅ্যান্ডএম) ফারুক আহমেদ, অতিরিক্ত ডিআইজি (এপিবিএন) মোহাম্মদ শিহাব কায়সার, পুলিশ সুপার (এপিবিএন) আবদুল্লাহ আল মামুন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (লজিস্টিক) মো. নুরুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নৌ পুলিশ) জুয়েল রানা, পুলিশ পরিদর্শক (সিআইডি) মো. জাহিদুল ইসলাম, উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. সান্টুর রহমান ও কনস্টেবল বরকত উল্লাহ।

উল্লেখ্য, প্রবল গণবিক্ষোভের মধ্যে শেখ হাসিনার পদত্যাগের দিন থেকেই ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে হামলা-আক্রমণ ও হত্যার শিকার হন পুলিশ সদস্যরা। এরপর থেকে নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে ভয় ও আতঙ্কে কাজে ফেরেননি তারা। পরে কেউ কেউ থানায় ফিরলেও তারা সাদা পোশাকে ছিল।




ইউক্রেনের কয়েকটি ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত; কিয়েভকে বেলারুশের হুঁশিয়ারি

ডিএনবি নিউজ আন্তঃ ডেস্ক:

ইউক্রেন যুদ্ধ সংক্রান্ত কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ খবর হচ্ছে, রাশিয়ার হাতে ইউক্রেনের বেশ কয়েকটি ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত, ইউক্রেনের বেশ কিছু এলাকায় সাইরেন বেজে ওঠা, কিয়েভে বড় ধরনের কয়েকটি বিস্ফোরণ এবং মিনস্কে ইউক্রেনের দূতাবাস বন্ধ করে দেয়া হবে বলে কিয়েভের প্রতি বেলারুশের হুঁশিয়ারি।

রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, দেশটি ইউক্রেনের বেশ কিছু ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র গুলি করে ভূপাতিত করেছে। ওই বিবৃতির বরাত দিয়ে পার্সটুডে ফার্সি জানাচ্ছে, রাশিয়ার আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা শনিবার রাতে সীমান্তবর্তী বিভিন্ন এলাকায় ইউক্রেনের ৩২টি ড্রোন ও চারটি ট্যাকটিক্যাল ‘তুচকা-ইউ’ ক্ষেপণাস্ত্র গুলি করে ভূপাতিত করেছে।

এদিকে রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলের সেনা কমান্ডার অ্যালেক্সি স্মিরনোভ জানিয়েছেন, ওই অঞ্চলের একটি আবাসিক ভবনে ইউক্রেনের একটি ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ১৩ ব্যক্তি আহত হয়েছেন যাদের মধ্যে দু’জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

অন্যদিকে ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপির বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা সাদা আল-বালাদ জানিয়েছে, কিয়েভে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হতে যাচ্ছে বলে ইউক্রেনের বিমান বাহিনী হুঁশিয়ারি দেয়ার কিছুক্ষণ পর দেশটির রাজধানীতে কয়েকটি শক্তিশালী বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে।

এ সম্পর্কে ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর সামরিক কমান্ড তার টেলিগ্রাম চ্যানেলে ঘোষণা করেছে, দেশটির আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রাখা হয়েছে।

এছাড়া, ইউক্রেনের বিমান বাহিনী ঘোষণা করেছে, রাশিয়ার সামরিক ড্রোনগুলো ইউক্রেনের পাঁচটি স্থানে হামলা চালিয়েছে।

উল্লেখ করা যায়, ইউক্রেনের সেনাবাহিনী রাশিয়ার পশ্চিমাঞ্চলীয় কুরস্ক অঞ্চলে এক নজিরবিহীন হামলা চালানোর পর রাশিয়া পাল্টা হামলা শুরু করছে। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন কুরস্কে ইউক্রেনের হামলাকে ‘বড় ধরনের উস্কানিমূলক হামলা’ বলে অভিহিত করেছেন।

আরেকটি খবর হচ্ছে, বেলারুশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতি প্রকাশ করে হুঁশিয়ার দিয়ে বলেছে, কিয়েভ যদি মিনস্কের বিরুদ্ধে বেপরোয়া নীতি চালিয়ে যায় তাহলে বেলারুশ মিনস্কে ইউক্রেনের দূতাবাস বন্ধ করে দেয়ার বিষয়টি বিবেচনা করবে।

ইউক্রেনের কয়েকটি ড্রোন বেলারুশের আকাশসীমা লঙ্ঘন করার পর ওই হুঁশিয়ারি দিল মিনস্ক। বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কো রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে পরিচিত।

বেলারুশের আকাশসীমায় ইউক্রেনের অন্তত ১২টি ড্রোনকে গুলি করে ভূপাতিত করা হয়েছে বলে আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কো খবর দেয়ার পর ইউক্রেনের চার্জ দ্যা অ্যাফেয়ার্সকে বেলারুশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করা হয়।

বেলারুশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, ইউক্রেনের পক্ষ থেকে এমন পদক্ষেপ নেয়া অব্যাহত থাকলে তা আঞ্চলিক উত্তেজনা কেবল বাড়িয়েই তুলবে।

এদিকে ইউক্রেন রাশিয়ার মাটিতে হামলা চালানোর পর বেলারুশ তার ইউক্রেন সীমান্তে নিরাপত্তা ব্যবস্থা শক্তিশালী করেছে। #

পার্সটুডে




সকল ধর্মের মানুষের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের লক্ষ্যে হেফাজতের মতবিনিময় সভা

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

হেফাজতে ইসলামের নায়েবে আমির ও বাংলাদেশ কওমি মাদরাসা শিক্ষক পরিষদের সভাপতি দেওনার পীর অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান চৌধুরী হেফাজতে ইসলাম কাপাসিয়া উপজেলা শাখার উদ্যোগে স্থানীয় বিভিন্ন মন্দির ও পূজামণ্ডপ পরিদর্শন করেছেন।

সম্প্রতি কাপাসিয়া উপজেলা হেফাজতে ইসলামের ব্যানারে বিভিন্ন মন্দির ও পূজামণ্ডপে সমকালীন প্রেক্ষাপটে শান্তি-শৃঙ্খলা ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখার লক্ষ্যে ‘মতবিনিময় সভা’ করেন।

আলোচনায় দেওনার পীর সাহেব সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষের সার্বিক নিরাপত্তা ও শান্তিপূর্ণ সহবস্থানের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। পাশাপাশি দরিদ্র, অনগ্রসর হিন্দুদের সন্তানের শিক্ষার ওপর বিশেষ জোর দেন। এ ক্ষেত্রে সংখ্যালঘু দরিদ্র শিক্ষার্থীদের সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন তিনি। মতবিনিময় শেষে তিন ইউনিয়নে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বিধবা, অসুস্থ, অসহায় ও প্রতিবন্ধীদের মধ্যে নগদ আর্থিক সাহায্য করেন।

পীর সাহেব দেওনা ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে যারা নিহত হয়েছেন সকলের রুহের মাগফেরাত কামনায় এবং  অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যেন বাংলাদেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করতে পারেন সেজন্য মহান রব্বুল আলামিনের দরবারে বিশেষ দোয়া করেন।

নিহতদের পরিবারদের ক্ষতিপূরণ ও আহতদের জন্য সুচিকিৎসার জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানান।

কাপাসিয়া সদর ইউনিয়ন কালীমন্দির পরিদর্শন শেষে অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান চৌধুরী বলেন, আমরা হিন্দু-মুসলমান শতাব্দীর পর শতাব্দী শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান করে আসছি, পরস্পরের সুখে-দুঃখে আমরা একে অন্যের পাশে থাকি সব সময়। জাতির ক্রান্তিলগ্নে কতিপয় রাজনৈতিক সুযোগ সন্ধানী স্বার্থান্বেষী মহল এই সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বিনষ্ট করতে চায়। এ বিষয়ে সকল ধর্মাবলম্বীদের সজাগ থাকতে হবে। পতিত সরকারের কুচক্রী মহল বিভিন্ন মন্দির এবং সংখ্যালঘুদের উপাসনালয় ও বাড়িঘরে হামলা-অগ্নিসংযোগ করে তা ভিডিও করে দেশে-বিদেশে প্রচার করে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন হচ্ছে বলে প্রপাগান্ডার মাধ্যমে দেশ ও সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করছে। এর মাধ্যমে তারা প্রমাণ করতে চায় যে, এ দেশে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন হচ্ছে।

পীর সাহেব দেশ বিরোধী এ ধরনের ষড়যন্ত্রে প্রভাবিত না হয়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখার সাথে এহেন ঘৃণ্য চক্রান্ত প্রতিহত করার আহ্বান জানান। তিনি আরও আশ্বস্ত করেন, তাদের নৈতিক প্রয়োজনে কাপাসিয়ার উলামায়ে কেরাম পাশে থাকবেন।

অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান চৌধুরীর নেতৃত্বে কাপাসিয়া উপজেলা হেফাজতে ইসলামের নেতৃবৃন্দ ও ওলামায়ে কেরাম কাপাসিয়া সদর কালীমন্দির, তরগাঁও বাঘিয়া শ্রী শ্রী লক্ষ্মী মন্দির, চিনাডুলী জালোপাড়া, তরগাঁও ঋষিপাড়া, চর খামের, চাঁদপুর তমাতলা মন্দির পরিদর্শন ও হিন্দুদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।

হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ এমন উদ্যোগের ফলে অভিভূত। তারা আশ্বস্ত হয়ে বলেন, এমন উদ্যোগ সারাদেশে নেওয়া হলে কোথাও সংখ্যালঘুরা নিজেদের অনিরাপদ মনে করবে না। তারা এমন মহতী উদ্যোগের জন্য অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান চৌধুরীসহ হেফাজত নেতৃবৃন্দের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন কাপাসিয়া কওমী পরিষদের সভাপতি মুফতি আজমল খান কাসেমী, কাপাসিয়া ইমাম পরিষদের সভাপতি মাওলানা জালাল উদ্দীন, উপজেলা তানযিমুল মাদারিসিল কওমিয়ার মহাসচিব মাওলানা মাহমুদুল হাসান, মুফতি জাকির হুসাইন, সাবেক সদর ইউপি চেয়ারম্যান আজগর হোসেন খান, সাংবাদিক কামাল ফকির ও সাইফুল ইসলাম শাহিন, হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে বক্তব্য দেন কাপাসিয়া কালীমন্দিরের সহসভাপতি চিত্তরঞ্জন সাহা, পঙ্কজ ঘোষ, মাস্টার চন্দন চক্রবর্তী, বাবু অজিত ঘোষ, রিপন চক্রবর্তী, অন্যান্য মন্দিরের পুরোহিতবৃন্দ প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মাওলানা ক্বারী মুহাম্মদ আনোয়ার হুসাইন, মাওলানা মজিবুর রহমান, মাওলানা নাজমুল হুসাইন, মাওলানা লুতফুর রহমান, মাওলানা সুহাইল, মাওলানা আহসান উল্লাহ, মাওলানা আতাউল্লাহ, মাওলানা আতাউল্লাহ খামেরী, মাওলানা ইলিয়াস, মাওলানা আব্দুল্লাহ আল মামুন, মাওলানা আব্দুস সালাম, মাওলানা আক্তারুজ্জামান, মাওলানা জোবায়ের, হাফেজ হেদায়াতুল্লাহ, মাওলানা আরিফুল ইসলাম, মাওলানা আব্দুল গাফফার, মুফতি আব্দুল জলিল, হাফেজ উসমান গনি, মাওলানা হাবিবুর রহমান, মাওলানা মজিবুর রহমান, মাওলানা শাকের প্রমুখ।