গাজা নিয়ে আমেরিকার যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব কেন পাশ হল?

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যেটি এর আগে ইহুদিবাদী শাসক গোষ্ঠীর সমর্থনে অনেক যুদ্ধ বিরতির প্রস্তাবে ভেটো ক্ষমতা ব্যবহার করে গাজায় ইসরাইলি সেনাদের বর্বরোচিত হামলা জিইয়ে রেখেছিল সম্প্রতি গাজায় যুদ্ধবিরতির জন্য জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে একটি নতুন প্রস্তাব পেশ করেছে। নিরাপত্তা পরিষদে ১৪টি হ্যা ভোটে এটি অনুমোদন লাভ করে এবং রাশিয়া এতে ভোট দানে বিরত ছিল।

যুদ্ধ বিধ্বস্ত গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতির বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের মাধ্যমে উত্থাপিত প্রস্তাব সোমবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে কোনো বিরোধিতা বা ভেটো ছাড়াই অনুমোদিত হয়। ৭ দফা প্রস্তাবে তিনটি পর্যায়সহ ব্যাপক যুদ্ধবিরতি চুক্তি অর্জনের লক্ষ্যে মিশর, কাতার ও যুক্তরাষ্ট্রের অব্যাহত কূটনৈতিক প্রচেষ্টার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। এই প্রস্তাবে জোর দেওয়া হয়েছে যে যদি প্রথম পর্যায়ের আলোচনায় ৬ সপ্তাহের বেশি সময় লাগে তবে যতক্ষণ পর্যন্ত আলোচনা চলছে ততক্ষণ যুদ্ধবিরতি অব্যাহত থাকবে এবং সমস্ত চুক্তি না হওয়া পর্যন্ত আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, মিশর এবং কাতারের প্রস্তুতি অব্যাহত থাকবে। এরপর দ্বিতীয় পর্ব শুরু হতে পারে বলে জানায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। অনুমোদিত প্রস্তাবের বিষয়ে চুক্তির পরে এই প্রস্তাবের শর্তাবলী মেনে চলার ব্যাপারে জোর দেয়া হয়েছে এবং সমস্ত সদস্য রাষ্ট্র এবং জাতিসংঘকে এর বাস্তবায়নে সমর্থন করতে বলা হয়েছে।

আমেরিকা যেটি ইহুদিবাদী শাসনের সমর্থনে অনেক প্রস্তাবে ভেটো দিয়েছিল এই সংকটময় মুহূর্তে এই শাসক গোষ্ঠীর প্রধান সমর্থক হিসাবে পরিচিত দেশটি বিভিন্ন কারণে যুদ্ধ বিরতির প্রস্তাব আনতে বাধ্য হয়েছিল।

প্রথম কারণ হল ইহুদিবাদী শাসন আগের চেয়ে অনেক বেশি ভাঙনের সম্মুখীন হচ্ছে। বেনি গ্যান্টজ এবং গাডি আইজেনকোট যুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেন। হ্যালি ট্রুপার গ্যান্টজের ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিদের একজন হিসাবে আনুষ্ঠানিকভাবে নেতানিয়াহুর জোট মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন। তাই অধিকৃত অঞ্চলে রাজনৈতিক ও সামরিক ভাঙন এখন সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। গাজায় যুদ্ধবিরতির জন্য একটি প্রস্তাব পাস করা  হলে অধিকৃত অঞ্চলে এই ভাঙন ঢেকে রাখার একটি সুযোগ হতে পারে।

এরপর কারণ ছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন প্রাক্কালে অভ্যন্তরীণ জনমতকে প্ররোচিত করা। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ফিলিস্তিনের সমর্থনে এবং ইহুদিবাদী শাসক গোষ্ঠীর প্রতি মার্কিন নীতির নিন্দায় ব্যাপক পরিসরে বিক্ষোভ হয়েছে  যার মধ্যে ছাত্র বিক্ষোভ এবং আমেরিকান বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের সহযোগীতা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। বাইডেনের মন্ত্রিসভা বিক্ষোভকারীদের চাপে পড়েছিল। যদিও আমেরিকায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের খুব বেশি সময় বাকি নেই বাইডেন প্রশাসন গাজায় যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবকে নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থ ও লক্ষ্য হাসিলের জন্য ব্যবহার করার চেষ্টা করছে।

আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ হলো সম্প্রতি জাতিসংঘের মহাসচিব ইহুদিবাদী শাসকগোষ্ঠীর নাম শিশুদের অধিকার লঙ্ঘনের কালো তালিকায় রেখেছেন। ইহুদিবাদী শাসক যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনে গাজার শিশুদের বিরুদ্ধে জঘন্য অপরাধ করেছে। গাজায় যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব অনুমোদন করে আমেরিকা এর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক চাপ ও সমালোচনা কমানোর চেষ্টা করছে।

আরেকটি কারণ হল গাজা যুদ্ধে প্রতিরোধকামী যোদ্ধারা যেকোনো যুদ্ধ বিরতিতে তাদের শর্তে অটল থাকা। তাদের অটল মনোবল এবং কার্যকর প্রতিরোধ শক্তি ইহুদিবাদী শাসকগোষ্ঠীর জন্য পরিস্থিতিকে কঠিন করে তুলেছিল এবং এই শাসক গোষ্ঠীর অব্যাহত অস্তিত্বের জন্য যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করতে বাধ্য করেছিল। যাইহোক ইহুদিবাদী ইসরাইলের ইতিহাসের দিকে তাকালে এটা বলা যায় যে  এটি ভবিষ্যতে আন্তর্জাতিক নিয়ম নীতি মেনে চলবে না।

পরিশেষে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, গত ৮ মাসে ইহুদিবাদী শাসকগোষ্ঠীর আচরণ থেকে বোঝা যায় যে এই সরকার জাতিসংঘ এবং নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবের প্রতি ভ্রুক্ষেপ নেই। ইহুদিবাদী ইসরাইল সম্পর্কে জাতিসংঘের কোনো প্রস্তাব বাস্তবায়নের কোনো গ্যারান্টি নেই। কারণ এখন পর্যন্ত ইসরাইল জাতিসংঘে পাশ হওয়ার কোনো প্রস্তাবের উপর কাজ করেনি এবং বেশিরভাগ প্রস্তাব একটি প্রদর্শনী এবং প্রচারণামূলক শো ছাড়া আর কিছুই নয়।#

পার্সটুডে




গোলান মালভূমিতে হিজবুল্লাহর ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, বেশ কয়েকজন ইসরাইলি সেনা হতাহত

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

লেবাননের ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন হিজবুল্লাহ অধিকৃত গোলান মালভূমিতে ঝাঁকে ঝাঁকে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। এই হামলায় কয়েকজন ইহুদিবাদী সেনা নিহত কিংবা আহত হয়েছে।

ইসরাইলি গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে লেবাননের আল-মায়াদিন টেলিভিশন চ্যানেল জানিয়েছে, গোলান মালভূমির আপার গ্যালিলিতে কয়েক ডজন বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। এরমধ্যে কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র রামিম ক্লিফ, আল মানারা এবং আরো কয়েকটি অবৈধ ইহুদি বসতিতে আঘাত হানে।

গতকালের এই হামলার মধ্য দিয়ে আরো স্পষ্ট হলো যে, ইহুদিবাদী ইসরাইলের উত্তরাঞ্চলে অস্থিরতা বাড়ছে। গাজা উপত্যকায় ইসরাইল আগ্রাসন শুরু করার পর থেকে হিজবুল্লাহ যোদ্ধারা উত্তর ইসরাইলের বিভিন্ন ইহুদিবাদী অবস্থানে হামলা চালাতে শুরু করে। গাজার প্রতি সংহতি জানিয়ে তারা এই হামলা চালাচ্ছে।

গতকালের হামলা সম্পর্কে ইসরাইলের বিভিন্ন সূত্র জানিয়েছে যে, উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে উত্তর ইসরাইলের কাৎজ্‌রিন এলাকায় আঘাত আনা হয়েছে।

উত্তর ইসরাইলের যেসব ইহুদি বসতি এখনো খালি করা হয়নি সেসব জায়গায় সাইরেন বাজানো হয়। ইসরাইলের কোনো কোনো গণমাধ্যম জানিয়েছে, লেবানন থেকে গোলান মালভূমি লক্ষ্য করে অন্তত ৪০টি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছে।#

পার্সটুডে




কোরবানির পশুর চামড়ার ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করুন: ইসলামী ঐক্যজোটে

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

কোরবানির পশুর চামড়ার ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন ইসলামী ঐক্যজোট।

আজ মঙ্গলবার গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে দলের মহাসচিব মুফতি ফয়জুল্লাহ বলেন, কোরবানির পশুর চামড়ার বিক্রয়লব্ধ অর্থের মালিক এতিম-গরিব ও মিসকিনসহ সমাজের প্রান্তিক দরিদ্রজনগোষ্ঠী। প্রতি বছর চামড়ার দরপতনে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হন তারা। এতে বিঘ্নিত হয় দারিদ্র্যবিমোচন প্রক্রিয়া।

তিনি আরো বলেন, কোরবানির পশুর চামড়ার দর নিয়ে বিগত বছরগুলোর মতো আড়তদার ও ট্যানারি মালিকদের সিন্ডিকেট এবং তাদের এজেন্ট মৌসুমি ব্যবসায়ীরা সক্রিয় হয়ে উঠছে। একশ্রেণির ব্যবসায়ী চামড়ার দাম কমিয়ে গরিব ও এতিমদের হক নষ্ট করছে এবং দেশের চামড়াশিল্পকে ধ্বংসের ষড়যন্ত্র করছে।

মুফতি ফয়জুল্লাহ বলেন, কোরবানির মৌসুমে কাঁচা চামড়া সংগ্রহকারীদের দর কষাকষি করার তেমন সুযোগ থাকে না। তারা যেটুকু মূল্য পান, বাধ্য হয়ে বিক্রি করে দেন।

এই জিম্মি দশা থেকে কওমি মাদরাসা, এতিমখানা, লিল্লাহ বোর্ডিং ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানকে মুক্ত করতে সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে। এ বছর যদি ঈদুল আজহার আগে চামড়ার ন্যায্যমূল্য প্রাপ্তি নিশ্চিত করা না যায়, তবে দেশের মাদরাসাগুলো এবং ক্ষুদ্র চামড়া ব্যবসায়ীরা চামড়া সংগ্রহে আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে। ফলে দেশের বিপুল পরিমাণ সম্পদ নষ্ট হবে এবং বৈদেশিক মুদ্রাপ্রাপ্তির অন্যতম এ শিল্প ধ্বংস হবে।




দুর্গাপুরে ভূমি সেবা সপ্তাহের উদ্বোধন

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

‘‘স্মার্ট ভূমি সেবা- স্মার্ট নাগরিক’’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে নেত্রকোনার দুর্গাপুরে ভূমি সেবা সপ্তাহের উদ্বোধন করা হয়েছে। শনিবার (৮ জুন) সকালে নানা আয়োজনে এ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করা হয়।

ভুমি সেবা আরো সহজতর করার লক্ষে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তেন উপজেলা ভূমি অফিস কর্তৃক আয়োজিত আলোচনা সভায়, উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার মুহাম্মদ নাসির উদ্দিন এর সঞ্চালনায়, ইউএনও এম রাকিবুল হাসান এর সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে আলোচনা করেন, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. জহুরুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা সোহরাব হোসেন তালুকদার, আব্দুল জব্বার, প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক জামাল তালুকদার, পৌর কাউন্সিলর ইব্রাহীম খলিল টিপু প্রমুখ। এছাড়া উপজেলার বিভিন্ন বিভিন্ন দপ্তরের প্রধান, গণমাধ্যমকর্মী, ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা, সেবাগ্রহীতা ও নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।




দুর্গাপুরে যায়যায়দিনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

১৯ বছরে পদাপর্ণ করেছে দেশের জনপ্রিয় ও বহুল প্রচারিত বাংলা সংবাদপত্র দৈনিক যায়যায়দিন। এ উপলক্ষে শনিবার দুপুরে এক র‌্যালি শেষে দুর্গাপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে কেক কাটার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কেক কাটেন ইউএনও এম রাকিবুল হাসান।

পরবর্তিতে উপজেলা যায়যায় দিনের প্রতিনিধি ও দুর্গাপুর প্রেসক্লাব সভাপতি নির্মলেন্দু সরকার বাবুল এর সভাপতিত্বে, প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক জামাল তালুকদারের সঞ্চালনায় আলোচনা করেন, যায়যায়দিন ফেন্ডস ফোরাম এর আহবায়ক কাউন্সিলর এস এম কামরুল হাসান জনি, সাংবাদিক ধনেশ পত্রনবীশ, সিনিয়র সাংবাদিক এসএম রফিকুল ইসলাম রফিক, এডভোকেট মানেশ সাহা, বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম, আব্দুল জব্বার, আব্দুল ওয়াহেদ, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. জহুরুল ইসলাম প্রমুখ। এ সময় অন্যদের মধ্যে প্রেসক্লাবের সাংবাদিক, সুধীজন ও স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিগন উপস্থিত ছিলেন।




হজযাত্রীদের ভোগান্তি সৃষ্টিকারী এজেন্সির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে: ধর্মমন্ত্রী

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান বলেছেন, এ বছর যেসব এজেন্সি হজযাত্রীদের বিব্রতকর পরিস্থিতিতে বা ভোগান্তিতে ফেলেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শনিবার (৮ জুন) সকাল ৯টার দিকে সৌদি আরবে হজ ব্যবস্থাপনা পরিদর্শনে যাওয়ার আগে রাজধানীর বিমানবন্দরের আশকোনা হজ ক্যাম্পে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলে তিনি।

মন্ত্রী বলেন, বিগত দিনে কয়েকটি ট্রাভেল এজেন্সির অব্যবস্থাপনার জন্য তাদের নিবন্ধন বাতিল হয়েছে। এবার হজ ব্যবস্থাপনায় আমরা কিন্তু কোনো ভোগান্তি পাইনি। যখন ভোগান্তির কথা বলা হচ্ছে, তখন বাংলাদেশের ৮৫ শতাংশ ভিসা সম্পন্ন হয়ে গেছে। এদিকে ভারত, পাকিস্তান ইন্দোনেশিয়া, তাদের ভিসা সম্পন্ন হওয়ার হার ছিল ৪৯ শতাংশ, ৫১ শতাংশ ও ৫৯ শতাংশ। কিন্তু বাংলাদেশের হার ছিল ৬০ শতাংশ। অন্যান্য দেশের ভিসা বন্ধ হলেও বাংলাদেশের হজযাত্রীদের ভিসা এক সেকেন্ডের জন্য বন্ধ হয়নি।

এবার হজ ব্যবস্থাপনায় যেসব এজেন্সি ও ব্যাংক হজ যাত্রীদের বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলার চেষ্টা করেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও যোগ করেন তিনি।

তিনি বলেন, যেসব ব্যাংক হজযাত্রীদের ভোগান্তি সৃষ্টি করেছে সেসব ব্যাংক ও এজেন্সির তালিকা করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। যার অপরাধ যতটুকু তার শাস্তিও ততটুকু হবে।

ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল হক খান বলেন, এখন পর্যন্ত ৭০ হাজার হজযাত্রী মক্কায় পৌঁছে গেছেন। বাকি ১৫ হাজার হজযাত্রী ১২ জুনের মধ্যে পৌঁছে যাবেন।
এ সময় সবার কাছে দোয়া চান ধর্মমন্ত্রী।

পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১৫ জুন। হজযাত্রীদের সৌদি আরবে যাত্রার প্রথম ফ্লাইট ৯ মে ও শেষ ফ্লাইট ১০ জুন।
হজযাত্রীদের প্রথম ফিরতি ফ্লাইট ২০ জুন আর শেষ ফিরতি ফ্লাইট ২২ জুলাই।




দুর্গাপুরে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ

 

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

‘‘মানুষ মানুষের জন্য – জীবন জীবনের জন্য’’ এই প্রতিপাদ্যে নেত্রকোনার দুর্গাপুরে কারিতাস এসডিডিবি প্রকল্পের আয়োজনে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ ও নগদ অর্থ বিতরণ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়।

শিক্ষা উপকরণ বিতরণ পুর্ব আলোচনা সভায় দুর্গাপুর মহিলা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ ফারুক আহমেদ তালুকদার এর সভাপতিত্বে ও প্রকল্পের এ্যানিমেটর সারেন তজুর সঞ্চালনায় বক্তব্যে রাখেন, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মাসুল তালুকদার, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. বজলুর রহমান আনছারী, প্রভাষক ড. আব্দুর রাশিদ, প্রভাষক তোবারক হোসেন খোকন, প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক জামাল তালুকদার, সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক রাজেশ গৌড়, বাংলাহোপ প্রতিনিধি মেজর বিশ^াস, ডিসি কমিটির প্রতিনিধি প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, অত্র উপজেলায় প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠী বিভিন্ন সমস্যায় ভোগছেন। এ সমস্যা নিরসনে সরকারি তথা নিজ নিজ অবস্থান থেকে কিভাবে সহযোগিতা করা যায় সে লক্ষে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সরকারি বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার জন্য সকলকে এগিয়ে আসার আহবান জানিয়ে ১৮জন প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষাবৃত্তি ও শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করা হয়।




ভারতে লোকসভা নির্বাচনে রেকর্ড ভোটে জিতে ইতিহাস গড়া কে এই মুসলিম প্রার্থী?

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

ভারতের লোকসভা নির্বাচনের ফল গত মঙ্গলবার ঘোষণা করা হয়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দল ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) এককভাবে সবচেয়ে বেশি ভোট পেয়েছে। যদিও বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট তিন শ আসন ছুঁতে পারেনি। দারুণ সাফল্য দেখিয়েছে কংগ্রেসের উদ্যোগে গড়া ‘ইন্ডিয়া’ জোট।

ভোটের লড়াইয়ে ব্যক্তিগত চমক দেখিয়েছেন অনেক প্রার্থী। তাদের মধ্যে একজন রাকিবুল হুসেইন। তিনি ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন আসামের ধুবুরি আসন থেকে। কংগ্রেসের এই প্রার্থী এবার জিতেছেন ১০ লাখ ১২ হাজার ভোটের ব্যবধানে।

বিস্ময়কর ব্যাপার হল রাকিবুল যাকে হারিয়েছেন তিনিও একজন একজন মুসলিম তবে কোনও সাদামাটা প্রার্থী নন, অল ইন্ডিয়া ইউনাইটেড ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (এআইইউডিএফ) এর প্রধান বদরুদ্দিন আজমল। তার দলকে আসামের তৃতীয় বৃহত্তম দল হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
আসামের ১৪টি আসনের মধ্যে মাত্র তিনটি জিতেছে কংগ্রেস। এর মধ্যে একটি রাকিবুলের ধুবুরি।

রাকিবুল যে ধুবরিতে এত বড় ব্যবধানে জিতলেন সেটা তার নিজের এলাকা নয়। সেখান থেকে প্রায় তিনশো কিলোমিটার দূরে সামাগুড়ি থেকে তিনি বারবার বিধায়ক হয়েছেন। ২০০৯ সাল থেকেই জিতে আসছেন রাকিবুল। ২০১১ সালে প্রফুল্ল মহন্তাকে হারিয়ে দিয়েছিলেন, যিনি সেবার আসামের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে ছিলেন। ২০১৬ সালে যখন বিজেপির জোয়ার চলছিল তখনও সামাগুরিতে বিজেপি প্রার্থীকে হারিয়েছিলেন তিনি।

রাকিবুল জয়ী হওয়ার কিছুক্ষণ পরে, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং বিজেপি নেতা হিমন্ত বিশ্ব শর্মা তাকে‌ ‘হিরো অব দ্যা ডে’ (দিনের নায়ক) বলে অভিহিত করেন এবং বলেন, তার আলোচনা সামনে আসা উচিত।

অথচ এই হিমন্ত বিশ্ব শর্মার সঙ্গে রকিবুলের সম্পর্ক খুবই উত্তেজনাকর! এমনকি নির্বাচনের আগে হিমন্তের বিরুদ্ধেই সবচেয়ে বেশি আক্রমণাত্মক বক্তব্য দিয়েছেন রাকিবুল।

৪ জুনের ফলাফল শুধু ধুবরিতে নির্বাচনী ইতিহাসই রচনা করেনি, রাকিবুলের মেধার প্রমাণ যেমন হয়েছে তেমনি যারা তার প্রার্থিতা নিয়ে সন্দেহ করেছিলেন তাদেরও চুপ করিয়ে দিয়েছে।

ভূমিধস বিজয়ের পর স্ত্রী এবং ছেলেকে নিয়ে নির্বাচনী কার্যালয় থেকে শংসাপত্র গ্রহণ করতে যান রাকিবুল। যে কাগজটি হয়তো শোভা পাবে তার ড্রয়িং রুম কিংবা রিডিং রুমের দেয়ালে। যাতে রাকিবুলের নামের পাশে ভোটের সংখ্যাটি ১৪ লাখ ৭১ হাজার ৮৮৫। যখন তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আজমলের নামে পাশে ৪ লাখ ৫৯ হাজার ৪০৯ ভোট। বিজয়ের ব্যবধান বিস্ময়কর, ১০ লাখ ১২ হাজার ৪৭৬ ভোট।

জানা যায়, রাকিবুল হুসেইনের জন্ম ৭ আগস্ট ১৯৬৪। আলীগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর করেছেন। তিনি সামাগুড়ি থেকে বিধায়ক এবং ২০২১ সাল থেকে আসাম বিধানসভায় বিরোধী দলের উপনেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এবার ধুবরি থেকে ইতিহাস গড়া জয় পেয়ে লোকসভায় যাবার অপেক্ষায় আছেন।

তার বাবা নুরুল হোসেনও বিধায়ক ছিলেন। রাকিবুল ২০০১ সাল থেকে আসাম বিধানসভার সামাগুড়ি নির্বাচনী এলাকার প্রতিনিধিত্ব করছেন। ২০০২ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত তরুণ গগৈ সরকারে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রিত্বও করেছেন। আসামের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার কংগ্রেস সরকারেও মন্ত্রীত্ব করেছেন। হেমন্তর মতো তুখোড় নেতাও একবার নির্বাচনে হেরেছেন কিন্তু রাকিবুল কখনও হারেননি।

সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া




অষ্টম শ্রেণির ছাত্রকে বলাৎকার, পালালো গণিত শিক্ষক প্রণয় সরকার

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

টাঙ্গাইলে সৃষ্টি একাডেমিক স্কুল ক্যাম্পাস-২ এর অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগ উঠেছে শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনার পর থেকে পালিয়েছেন গণিত বিষয়ের শিক্ষক প্রণয় সরকার।

সোমবার (৩ জুন) বিষয়টি প্রকাশ হওয়ার পরই ওই ছাত্রের অভিভাবকরা স্কুলে গিয়ে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিচার দাবি করেন। পরে স্কুল কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা না নেয়ায় ছাড়পত্র নিয়ে চলে যান তারা।

অভিযুক্ত শিক্ষক প্রণয় সরকার জেলার ঘাটাইল উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়নের মমিনপুর গ্রামের আনন্দ মোহন সরকারের ছেলে।

ভুক্তভোগীর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, জেলার বাসাইল উপজেলার এক প্রবাসীর ছেলেকে সৃষ্টি একাডেমিক স্কুলের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের আবাসিকে অষ্টম শ্রেণিতে ভর্তি করা হয়। সম্প্রতি ওই আবাসিকের শিক্ষক প্রণয় সরকার রাতে শিক্ষার্থীকে তার রুমে নিয়ে বলাৎকার করেন। পরে ভবনে থাকা শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের সহায়তায় তাকে উদ্ধার করা হয়। পরে ঘটনাটি যাতে প্রকাশ না পায় এবং প্রকাশ পেলে ওই শিক্ষার্থীকে স্কুল থেকে বের করে দেয়া হবে বলে ভয় দেখানো হয়। এ ঘটনার পর অভিযুক্ত শিক্ষক প্রণয় সরকার তার মায়ের অসুস্থতা দেখিয়ে স্কুল থেকে ছুটি নিয়ে আর আসেননি।

রোববার (২ জুন) বিষয়টি পরিবারকে জানায় ওই শিক্ষার্থী। সোমবার সকালে শিক্ষার্থীর অভিভাবকরা স্কুলে গিয়ে ঘটনার বিচার দাবি করেন। তবে এ বিষয়ে তাৎক্ষণিক কোনো পদক্ষেপ না নেয়ায় ভর্তি বাতিল করে ছাড়পত্র নেন অভিভাবকরা।

ভুক্তভোগীর চাচা অভিযোগ করে বলেন, ‘শিক্ষকই যখন শিক্ষার্থীর সঙ্গে খারাপ কাজ করে তাহলে নিরাপদ কোথায়? এর বিচার চাইলে কর্তৃপক্ষ তালবাহানা করে। মীমাংসার প্রস্তাব দেয়াসহ টাকা দিতে চেয়েছে। ওই শিক্ষকও পালিয়েছে। ছেলেটার সঙ্গে খুবই অন্যায় হয়েছে। সে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। কারোর সঙ্গে তেমন কথা বলছে না। তার মনে ভয় কাজ করছে। আমরা আইনের আশ্রয় নেবো।’

সৃষ্টি একাডেমিক স্কুল ক্যাম্পাস-২ এর আবাসিকের প্রধান শিক্ষক মোস্তাফিজুর রহমান হ্যাপি বলেন, বিষয়টি জানতে পেরেছি। কিন্তু ওই শিক্ষক ক্যাম্পাসে নেই। তার মায়ের অসুখ দেখিয়ে ছুটি নিয়ে আর স্কুলে আসেননি। ঘটনাটি অনাকাঙ্ক্ষিত।




জাবালিয়া থেকে ইসরাইলি সেনা প্রত্যাহার: ১২০ ফিলিস্তিনির লাশ উদ্ধার

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার উত্তরাঞ্চলীয় শহর জাবালিয়া থেকে ইহুদিবাদী ইসরাইলি সেনারা সরে যাওয়ার পর ধ্বংসস্তুপের নীচ থেকে আরো ৫০ ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে দখলদার সেনাদের প্রত্যাহার করার পর জাবালিয়া থেকে উদ্ধার হওয়া ফিলিস্তিনিদের লাশের সংখ্যা ১২০ ছাড়িয়ে গেল।

ফিলিস্তিনের সরকারি বার্তা সংস্থা ওয়াফা জানিয়েছে, রোববার গাজার সিভিল ডিফেন্স বিভাগের অনুসন্ধানী দলগুলো ৫০টি মরদেহ উদ্ধার করে। ইসরাইলি সেনাদের নির্বিচার বোমাবর্ষণ ও গোলা নিক্ষেপে বিধ্বস্ত ভবনগুলোর নীচে চাপা পড়ে নিহত হন এসব হতভাগ্য ফিলিস্তিনি যাদের বেশিরভাগ নারী ও শিশু।

এর আগে শনিবার জাবালিয়া থেকে ২০ শিশুসহ অন্তত ৭০ জনের নিষ্প্রাণ দেহ উদ্ধার করা হয়। এখনও ধ্বংসস্তুপ সরিয়ে আরো মরদেহ পাওয়া যাবে বলে ধারনা করছেন উদ্ধারকারী দলগুলোর সদস্যরা।

গত শুক্রবার জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে ২০ দিনব্যাপী গণহত্যা ও তাণ্ডবের অবসান ঘোষণা করে ইসরাইলি বাহিনী। ওই ২০ দিনে জাবালিয়ায় অন্তত ২০০টি বিমান হামলা চালায় দখলদার সেনারা। ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ২০ দিনে জাবালিয়ার ৭০ শতাংশ ভবন ধ্বংস করার মাধ্যমে অন্তত এক লাখ ফিলিস্তিনিকে পথে বসিয়ে দেয় ইহুদিবাদীরা।

দখলদার সেনারা চলে যাওয়ার পর পালিয়ে যাওয়া গাজাবাসী তাদের ঘরবাড়িতে ফিরতে শুরু করেছেন যদিও ধ্বংসযজ্ঞের মাত্রা এত বেশি যে, বেশিরভাগ মানুষই তাদের ঘরবাড়ি চিনতে পারছেন না।#

পার্সটুডে