স্বাধীন ফিলিস্তিনের পক্ষে পদযাত্রা-সমাবেশ করবে ছাত্রলীগ

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে বিশ্বব্যাপী চলমান ছাত্র আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানানো এবং গাজায় নিরীহ মানুষকে হত্যা বন্ধ করে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।

শনিবার বিকেলে ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন এবং সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানের স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

কর্মসূচির অংশ হিসেবে আগামী সোমবার ফিলিস্তিনের পতাকা উত্তোলন, পদযাত্রা ও ছাত্র সমাবেশ করবে ছাত্রলীগ। এ দিন বেলা ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিন থেকে সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্য পর্যন্ত এই পদযাত্রা চলবে। এরপর সেখানেই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ছাত্রলীগের সকল সাংগঠনিক ইউনিটের প্রতি নির্দেশনা প্রদান করে বলা হয়, দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একইসেঙ্গ একইসময়ে এই কর্মসূচি পালিত হবে। ন্যায্যতা-ন্যায়-মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে স্বাধীনরাষ্ট্র ফিলিস্তিনের স্বীকৃতি এবং নিরীহ ফিলিস্তিনিদের উপর পরিচালিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী শিক্ষার্থী সমাজ, শিক্ষক ও সচেতন নাগরিকরা যে আন্দোলনের সূচনা করেছে তার প্রতি সংহতি প্রকাশ করছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ ফিলিস্তিনিদের জন্য স্বাধীনরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য বিশ্ব দরবারে সদা-সর্বদা ক্রিয়াশীল একটি রাষ্ট্র। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পররাষ্ট্র নীতির অন্যতম দিক ছিলো ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা অর্জন। একইভাবে তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্ব মানচিত্রে যে বলিষ্ঠতার সঙ্গে ফিলিস্তিনিদের অধিকার আদায়ের দাবী উত্থাপন করেছেন তা অতুলনীয় ও অভাবনীয়।

এ ছাড়া এই পদাঙ্ক অনুসরণ করে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ১৯৪ নং রেজুলেশন এবং নিরাপত্তা পরিষদের ২৪২ ও ৩৩৮ নং রেজুলেশনে বর্ণিত দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের মাধ্যমে ফিলিস্তিন ভূখণ্ডে শান্তির প্রতি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের অকুণ্ঠ সমর্থনের বিষয়টিও উল্লেখ করা হয় এই বিজ্ঞাপ্তিতে।




গাজা আগ্রাসন পুরোপুরি বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত কোনো চুক্তি হবে না: হামাস

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

গাজা উপত্যকার ওপর ইসরাইলি গণহত্যামূলক যুদ্ধ পুরোপুরি বন্ধ না করা পর্যন্ত ইহুদিবাদী পণবন্দিদের মুক্তি দেয়ার ব্যাপারে হামাস কোনো চুক্তিতে যাবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে।

স্থায়ীভাবে যুদ্ধ বন্ধের প্রতিশ্রুতি ছাড়াই হামাস মিশরের রাজধানী কায়রোয় পণবন্দি মুক্তির ব্যাপারে একটি চুক্তিতে সম্মত হতে যাচ্ছে বলে যখন ইসরাইলি গণমাধ্যগুলোতে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়েছিল তখন এ হুঁশিয়ারি দিল হামাস।

হামাসের সিনিয়র নেতা হিসাম বাদরান কাতারের নিউজ চ্যানেল আল-জাযিরাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এ সতর্কবাণী উচ্চারণ করেছেন।  তিনি বলেন, ফিলিস্তিনি জনগণের দুঃখ-দুর্দশার অবসানের জন্য হামাস একটি চুক্তিতে পৌঁছাতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ তবে সে চুক্তি যেকোনো মূল্যে হবে না।

হিসাম বাদরান বলেন, ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু ও তার উগ্র মন্ত্রিসভা কাল্পনিক কিছু অভিযোগ তুলে যুদ্ধবিরতির আলোচনা ভণ্ডুল করার ষড়যন্ত্র করছে। নেতানিয়াহু নিজের ব্যক্তিগত রাজনৈতিক ভবিষ্যতের স্বার্থে পণবন্দিদের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলছেন।

মিশরের একাধিক সূত্র শনিবার জানিয়েছিল, গাজায় যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠা ও ইসরাইলি পণবন্দি মুক্তির আলোচনায় বেশ খানিকটা অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে। সূত্র জানায়, এবারের কায়রো বৈঠক থেকে ভিন্নরকম ফল বেরিয়ে আসতে পারে।

এর আগে মিশরের মধ্যস্থতায় কায়রোয় একাধিকবার বৈঠক হলেও ইসরাইল ও হামাস কোনো চুক্তিতে পৌঁছাতে ব্যর্থ হয়। হামাস বলেছে, স্থায়ীভাবে যুদ্ধ বন্ধ করে গাজা থেকে সকল দখলদার সেনাকে স্থায়ীভাবে প্রত্যাহার, গাজায় অবাধ ত্রাণতৎপরতা জোরদার এবং উত্তর গাজার বাস্তুচ্যুত মানুষদেরকে তাদের ঘরবাড়িতে ফিরে যেতে না দেয়া পর্যন্ত ইসরাইলের সঙ্গে কোনো চুক্তি হবে না।#

পার্সটুডে




রেকর্ড সংখ্যক হাজিদের বরণে প্রস্তুতি নিচ্ছে সৌদি আরব

ডিএনবি নিউজ ডেস্কঃ

এ বছর জুনের মাঝামাঝি সময়ে পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। ফলে মে মাসের শেষ সময় থেকেই পবিত্র নগরী মক্কায় ভিড় জমানো শুরু করবেন হজ যাত্রীরা।

আর এ বছর মক্কায় রেকর্ড সংখ্যক ২০ লাখ হাজির সমাগম হতে পারে— এমন ধারণা নিয়ে প্রস্তুতি শুরু করেছে সৌদি আরব।

সুন্দর ও আরামদায়কভাবে যেন হাজিরা হজ সম্পন্ন করতে পারেন সে বিষয়টি মাথায় রেখে সৌদির সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো যৌথভাবে কাজ করছে।

হজ সংশ্লিষ্ট এজেন্সিগুলো ধারণা করছে, এবারের রমজান মাসে রেকর্ড সংখ্যক ৩ কোটি মানুষ ওমরাহ পালন করার পর— হজেও মুসল্লিদের ঢল নামবে।

সদ্যই বিদায় নেওয়া পবিত্র রমজান মাসে মদিনার মসজিদে নববীতে ৩ কোটি ৩০ লাখ মানুষ নামাজ আদায় করেছিলেন। রমজানে প্রিন্স মোহাম্মদ বিন আব্দুলআজিজ বিমানবন্দর দিয়ে ৯০ লাখ মানুষ মদিনায় আসেন। হজের আগে ও পরে অনেক মানুষ মদিনায় যান।

এদিকে গত বছর হজ পালন করেছিলেন ১৮ লাখের বেশি মানুষ। করোনা মহামারির কারণে এর আগের তিন বছর নির্দিষ্ট সংখ্যক মানুষকে হজ করার সুযোগ দেওয়া হয়। কিন্তু গত বছর সব বিধিনিষেধ তুলে দেওয়া হয়। এতে করে মক্কায় ১৮ লাখের বেশি মানুষ হজ করতে আসেন। যদিও সৌদির কর্মকর্তারা ২৫ লাখ মুসল্লির সমাগম হবে এমন ধারণা করেছিলেন।

তাদের প্রত্যাশা এবার গতবারের তুলনায় আরও বেশি মানুষ হজ করতে আসবেন। আর তাই হজের প্রস্তুতি অনেক আগে থেকেই নেওয়া শুরু হয়েছে।

সূত্র: গালফ নিউজ




যুক্তরাষ্ট্রে বহিস্কার হওয়ার শিক্ষার্থীদের যে সুবিধা দেয়ার ঘোষণা দিল ইয়েমেনি যোদ্ধারা

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

ইরান সমর্থিত ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা গাজায় ইসরায়েলি হামলার বিরোধীতা করে ফিলিস্তিনিদের পক্ষ নিয়ে বাণিজ্যিক জাহাজে হামলা অব্যাহত রেখেছে। এখন নতুন করে ইয়েমেনের এই গোষ্ঠীটি আবারও আলোচনা এসেছে। খবর রয়টার্সের

ফিলিস্তিনিদের পক্ষে অবস্থান নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ করছেন শিক্ষার্থীরা। তাদের এ বিক্ষোভে দমাতে গ্রেপ্তারের পাশাপাশি অনেক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের বহিস্কারের কথা জানিয়েছে। আর বহিস্কার হওয়া শিক্ষার্থীদের আশ্রয় দিতে চায় হুতি বিদ্রোহীরা।

হুতিদের দ্বারা পরিচালিত সানা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের যেসব বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের বহিস্কার করছে আমরা তাদের বরণ করে নিতে চাই। আমরা যে কোনো মূল্যে ফিলিস্তিনিদের পক্ষে যুদ্ধ চালিয়ে যাব।

ফিলিস্তিনিদের পক্ষে দাঁড়ানোয় যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষার্থীদের প্রশংসা করেছে সানা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বহিস্কার হওয়া শিক্ষার্থীরা চাইলে সানা বিশ্ববিদ্যালয় তাদের শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারে।

এদিকে বিক্ষোভকারীরা মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রতি গাজায় ইসরায়েলি হামলা বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানানোর পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের যেসব প্রতিষ্ঠান ইসরায়েল সরকারকে সমর্থন করে তাদেরকে সম্পর্ক ছিন্নের জোর দাবি জানিয়েছে।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ দমাতে পুলিশকে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছে।




হাওরে ধান কাটা উৎসবে মাতোয়ারা কৃষক

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

আগেভাগে ধান কাটার ধুম পড়েছে কিশোরগঞ্জের হাওরাঞ্চলে। কড়ারোদ অগ্রাহ্য করে মাঠে ছুটছেন কৃষক। হাতে কাস্তে, মুখে হাসি। ভোর থেকে সন্ধ্যা অবধি ঘেমে-নেয়ে ধান কাটছেন তারা। নতুন ধানের নেশায় মাতোয়ারা সবাই। আবহাওয়া ভালো থাকায় একরে শতমন ধান হয়েছে।

সূর্যের তাপ যেন আগুনের হলকা। কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকলে গায়ে ফোসকা পড়ে অবস্থা। এই আগুনে সূর্যের নিচে মাঠভরা বোরোধান। ৮০ ভাগ পাকলেই ধান কাটার তাগিদ ছিল কৃষি বিভাগের, এই কড়ারোদ উপেক্ষা করে সেই কাজটিও করে দেখিয়েছে হাওরের কৃষক। গরমে কষ্ট হলেও আর কিছু দিন এমন রোদও চায় তারা, যেন শতভাগ ধান গোলায় উঠাতে পারে।

ইমান আলী (৬১) বাড়ির সামনে খড় শুকাচ্ছিলেন। রোদেপুড়ে গায়ের রং যেন তামাটে বর্ণের। গামছা বাঁধা মাথায় ঝরঝর করে ঘাম ঝরছিল গা থেকে। দীর্ঘক্ষণ কাজ করে হাঁপিয়ে উঠেছেন তিনি। জেলার করিমগঞ্জ উপজেলার গুণধর ইউনিয়নের খয়রত গ্রামের এই কৃষকের চাষবাস বাড়ির সামনের বড় হাওরে। এবছর কেমন ধান হলো? প্রশ্ন শুনেই কুঁচকানো মুখের রেখায় রেখায় ফুটে উঠে প্রশান্তির হাসি। ‘এইবার ইচ্ছামতো ধান অইছে বাপ। চিন্তাও করি নাই এমুন ধান অইব। অক্করে ১০০ মণ।’

করিমগঞ্জ-নিকলীর আবদুল হামিদ সড়কের দুপাশে দিগন্তজোড়া হাওর। মাইলের পর মাইল কেবল ফসলি জমি। এ সড়কটি এখন হয়ে উঠেছে ধান শুকানো ও মাড়াইয়ের স্থান।

বাড়ির বউ-ঝি থেকে শুরু করে স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরাও দিনরাত এক করে কাজ করছেন। এমনকি বয়স্ক ব্যক্তিরাও ঘরে বসে নেই। মজলিসপুরের ধানের খলায় দেখা গেল, ছেলেদের সঙ্গে ধান মারাইয়ের কাজ করছেন জাহেরা বেগম (৭৫)। ঝাড়ু নিয়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ধানগুলো ঠিকঠাক করছেন। হাঁপ ছেড়ে সোজা হয়ে বললেন, ঘরে বইয়া থাকতে ভাল্লাগেনা, পুতাইনরা কষ্ট করতাছে আমি বইয়া থাহি ক্যামনে। রইদে কষ্ট অইলেও যতখানি ফারি করতাছি।

কয়রাকান্দা হাওরে ২০জনের ধানকাটা শ্রমিকের একটি দল ধান কাটছিল। তাদের একজন সোহরাব উদ্দিন (৩৫)। তিনি জানালেন, ১৬ কাঠা জমির ধান কাটলে তারা পাবে ২০ মণ ধান। মৌসুম শেষে এবার প্রত্যেকে ২৫ থেকে ৩০ মণ ধান বাড়ি নিয়ে যেতে পারবেন। তিনিও জানালেন, এ বছর আবহাওয়া ভাল থাকায় বাম্পার ফলন হয়েছে। পাশে দাঁড়িয়েছিলেন তরুণ কৃষক আলমগীর (৩০)। তিনি জানালেন, একমাত্র বঙ্গবন্ধু জাতের ধান ছাড়া ব্রি-ধান ৮৯,৯২,৯৮ এবং হাইব্রিডসহ সব ধানের ফলন খুব ভালো হয়েছে। রসিকতা করে হাসতে হাসতে তিনি বললেন, ‘এবার ধানের ফলনে আমরা কৃষকরা সেঞ্চুরি করেছি। একরে শত মণ ধান হয়েছে। এটি আমাদের জন্য বিরাট অর্জন বা সাফল্য বলা যায়।’

কৃষকরা জানান, ২০১৭ সালের ভয়াবহ বন্যায় হাওরের বোরো ধান তলিয়ে গিয়েছিল। সেই তিক্ত অভিজ্ঞতার কারণে আগভাগে ধান কাটা হচ্ছে। যত দ্রুত সম্ভব ধান কেটে ঘরে তুলতে চান তারা। এ কারণে হাওরে অন্যবারের চেয়ে ব্যস্ততা বেশি।

ধান কাটার পাশাপাশি ধানের কেনাবেচাও শুরু হয়ে গেছে। বাল্কহেড ও ইঞ্জিনচালিত নৌকায় প্রতিদিন শত শত মণ ধান আসছে করিমগঞ্জের চামড়াঘাটের আড়তগুলোতে। সেখানে কথা হয় ইটনার ছিলনি গ্রামের আব্দুল হকের সঙ্গে। তিনি বলেন, ধারকর্জ করে এবার চার একর জমিতে বোরো চাষ করেছেন। ভালো ধান হয়েছে। তবে প্রতিদিন দাম একটু করে কমছে। ঋণের টাকা পরিশোধ ও শ্রমিক খরচ মেটাতে শুরুতে কিছু ধান বেচতে হয় আমাদের। কিন্তু আড়ত মালিকরা এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে দাম কম দিচ্ছেন। মোটা ধান বেচতে হচ্ছে ৮৫০টাকা মণ দরে। অথচ এক মণ ধান চাষে খরচ হয়েছে এক হাজার টাকারও বেশি। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, কৃষকরা যদি ন্যায্যমূল্য না পায়, তাহলে কৃষিকাজে আগ্রহ আর থাকবে না। কত দিন আর বঞ্চিত হবে তারা।

তবে সেখানকার আড়তদার জামাল আহমেদ বলেন, চামরাঘাট আড়তে প্রতিদিন কয়েক কোটি টাকার ধান কেনাবেচা হচ্ছে। গতবারের চেয়ে এবার ধানের দাম বেশি পাচ্ছে কৃষক। মোটা ৮৫০ ও চিকন ধান ৯৫০টাকা মণ দরে কেনা হচ্ছে।

জেলা কৃষি বিভাগ বলছে, কিশোরগঞ্জে এ মৌসুমে ১ লাখ ৬৭হাজার ১০০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে। এরমধ্যে কেবল হাওরেই আবাদ হয়েছে ১ লাখ ৩ হাজার ৬২০ হেক্টর।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. আব্দুস সাত্তার বললেন, এবার বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। একরে শত মণ ফলনের খবর পাওয়া যাচ্ছে। এগুলো দ্রুত কাটা হচ্ছে। দিনরাত পরিশ্রম করে কৃষকরা ধান ঘরে তুলছে। কম্বাইন্ড হারভেস্টারও নামানো হয়েছে। আবহাওয়া এখনো কৃষকের পাশে আছে বলেই তারা রোদে কষ্ট হলেও আনন্দের সঙ্গে ধান কাটতে পারছে। প্রায় ৮০ ভাগ ধান কাটা শেষ, আবহাওয়া আর কয়েকটা দিন ভাল থাকলে শতভাগ ধান কাটা শেষ হবে বলে মনে করেন এ কর্মকর্তা।




খাগড়াছ‌ড়িতে বজ্রপা‌তে মাদরাসার ছাত্র নিহত

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

খাগড়াছ‌ড়ির মা‌টিরাঙ্গা ফজলুল ক‌রিম নূরানী মাদ্রাসার ৩য় শ্রেণীর ছাত্র আরফাত হো‌সেন (১০) না‌মে এক শিশু খেলা করার সময় বজ্রপা‌তে মৃত্যু হ‌য়ে‌ছে।

বৃহস্প‌তিবার (২‌ মে) সকা‌লে উপ‌জেলার বর্ণাল ইউ‌পির ৯নং ওয়ার্ড ইব্রাহীমপুর এলাকা  এ ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, আরাফাত স্থানীয় ইউসুপ মিয়ার ছে‌লে ও ফজলুল ক‌রিম নূরানী মাদ্রাসার ৩য় শ্রেণীর ছাত্র।

স্থানীয় ইউ‌পি সদস্য মো. আবু বক্কর বিষয়‌টি নি‌শ্চিত ক‌রে জানান, সকা‌লে বাতা‌সের মধ্যে বা‌ড়ির আঙ্গিনায় ৩/৪জন শিশুসহ খেলা করার সময় বজ্রপা‌তে আরাফা‌তের মৃত্যু হয়।




গোলান মালভূমিতে ইসরাইলের গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্যবস্তুর ওপর ইরাকি যোদ্ধাদের হামলা

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

ইহুদিবাদী ইসরাইল অধিকৃত গোলান মালভূমির গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে ইরাকি যোদ্ধারা। অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার নিরপরাধ ফিলিস্তিনি নাগরিকদের ওপর ইসরাইলের আগ্রাসন, গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের প্রতিবাদে ইরাকি যোদ্ধারা এই হামলা চালিয়েছে।

গতকাল (বুধবার) টেলিগ্রাম চ্যানেলে দেয়া এক বিবৃতিতে এই হামলার কথা ঘোষণা করেছে ইরাকের সন্ত্রাসবিরোধী সংগঠনগুলোর জোট পপুলার মবিলাইজেশন ইউনিট বা পিএমইউ। ইরাকি যোদ্ধারা ড্রোন দিয়ে ইসরাইলি অবস্থানে এই হামলা চালায়। গাজায় ইসরাইলের আগ্রাসন বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত এ ধরনের হামলা অব্যাহত থাকবে বলে তারা ঘোষণা করেছে।
এর আগে গত ২০ এপ্রিল ইরাকি যোদ্ধারা অধিকৃত গোলান মালভূমির গুরুত্বপূর্ণ ইসরাইলি অবস্থানে হামলা চালিয়েছিল।
ইরাকি প্রতিরোধ যোদ্ধারা মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে অবস্থিত মার্কিন ঘাঁটিগুলোতেও হামলা চালিয়ে আসছে।
গত ৭ অক্টোবর ইহুদিবাদী ইসরাইল গাজা উপত্যকার ওপর যে বর্বর আগ্রাসন শুরু করেছে তার প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন দিচ্ছে আমেরিকা। এর প্রতিবাদ জানিয়ে ইরাকের ইসলামী প্রতিরোধকামী যোদ্ধারা মার্কিন অবস্থানে হামলা চালাচ্ছে।#

পার্সটুডে




হজযাত্রীদের এ বছর ‘নুসুক কার্ড’ প্রদর্শন করতে হবে

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

বৈধ ও অবৈধ হজযাত্রীদের চিহ্নিত করতে এবার অভিনব উদ্যোগ নিয়েছে সৌদি আরব। দেশটির হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বৈধ হজযাত্রীদের চিহ্নিত করতে এবারের হজ মৌসুমে প্রত্যেককে আলাদা করে ‍‘নুসুক’ নামে বিশেষ কার্ড দেওয়া হবে। মূলত, অবৈধভাবে হজপালন নিরুৎসাহিত করতেই দেশটির এই উদ্যোগ।

গালফ নিউজের খবরে বলা হয়েছে, বিদেশি হজযাত্রীদের প্রথম দলটি সৌদি আরবে পৌঁছাবে দুই সপ্তাহেরও কম সময়ের মধ্যে। ঠিক তার আগেই অবৈধ বিদেশি হজযাত্রীদের রুখতে নতুন উদ্যোগ নিল দেশটি। চলতি সপ্তাহে ইন্দোনেশিয়ায় ‘নুসুক কার্ড’ প্রকল্প উদ্বোধন করেন সৌদি আরবের হজবিষয়ক মন্ত্রী তৌফিক আল-রাবিয়াহ।

বিভিন্ন দেশে হজযাত্রীদের জন্য ভিসা ইস্যু করার পর এই কার্ডটি সংশ্লিষ্ট হজ অফিস বিদেশি হজযাত্রীদের কাছে হস্তান্তর করবেন। আর সৌদির স্থানীয় হজযাত্রীরা হজ পারমিট ইস্যু হওয়ার পর দেশটির সংশ্লিষ্ট সরকারি কার্যালয় থেকে এই কার্ড সংগ্রহ করতে পারবেন।

হজ মন্ত্রণালয় ‘নুসুক কার্ড’কে একটি সরকারি মুদ্রিত কার্ড হিসাবে বর্ণনা করেছে, যা বৈধ হজযাত্রীদেরকে অন্যান্যদের থেকে আলাদা করবে। সৌদি অ্যাপ ‘নুসুক’ ও ‘তাওয়াক্কলানা’র মাধ্যমে কার্ডটির ডিজিটাল ভার্সন ব্যবহার করা যাবে।

হজ মন্ত্রণালয় আরও বলেছে, হজযাত্রীদের অবশ্যই নুসুক প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে হজ পারমিট নিতে হবে। কারণ সৌদি আরবের সর্বোচ্চ ইসলামী কর্তৃপক্ষ সিনিয়র স্কলার কাউন্সিলের মতে, সরকারি অনুমতি ছাড়া হজ করা পাপ বলে বিবেচিত হয়।

বিদেশি হজযাত্রীদের জন্য এ বছর নতুন কৌশলের আওতায় হজ প্রস্তুতি শুরু করেছে সৌদি আরব।




জামিন পেলেন ড. ইউনূস

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক-কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলের ২৫ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে করা মামলায় জামিন পেয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বাকি ১৩ আসামি।

বৃহস্পতিবার (২ মে) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক সৈয়দ আরাফাত হোসেনের আদালত এ জামিন মঞ্জুর করেন। এদিন অর্থ আত্মসাতের আলোচিত এ মামলার অভিযোগ গঠনে শুনানির দিন ধার্য রয়েছে। এর আগে সকালে ড. ইউনূস পূর্বশর্তে জামিন আবেদন করেন। এরপর এ মামলায় হাজিরা দিতে বেলা ১১টা ২০ মিনিটে আদালতে পৌঁছান তিনি।

প্রসঙ্গত, গত বছরের ৩০ মে গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক-কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলের ২৫ কোটি ২২ লাখ ৬ হাজার ৭৮০ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। সংস্থার উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান বাদী হয়ে মামলাটি করেন।

এরপর চলতি বছরের ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে নতুন একজন আসামির নাম যুক্ত করে ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার।

আসামিদের বিরুদ্ধে ৪০৯/৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/১০৯ ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। গত ২ এপ্রিল ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক আস সামছ জগলুল হোসেনের আদালত এ চার্জশিট গ্রহণ করে মামলার বিচারের জন্য ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এ বদলির আদেশ দেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, আসামিরা ২৫ কোটি ২২ লাখ ৬ হাজার ৭৮০ টাকা জালিয়াতির মাধ্যমে আত্মসাৎ করেছেন। সদস্যদের উপস্থিতিতে ২০২২ সালের ৯ মে অনুষ্ঠিত ১০৮তম বোর্ডের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ঢাকা ব্যাংকের গুলশান শাখায় হিসাব খোলা হয়। গ্রামীণ টেলিকমের কর্মচারীদের পাওনা লভ্যাংশ বিতরণের জন্য গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন এবং গ্রামীণ টেলিকমের সঙ্গে সেটেলমেন্ট অ্যাগ্রিমেন্ট চুক্তি হয় ওই বছরের ২৭ এপ্রিল।

গ্রামীণ টেলিকমের বোর্ড সভার হিসাব খোলার সিদ্ধান্ত ৯ মে হলেও হিসাব খোলা হয় একদিন আগে ৮ মে। সেটেলমেন্ট অ্যাগ্রিমেন্টেও ৮ মে ব্যাংক হিসাব দেখানো আছে, যা বাস্তবে অসম্ভব। এরকম ভুয়া সেটেলমেন্ট অ্যাগ্রিমেন্টের শর্ত অনুযায়ী ও ১০৮তম বোর্ডের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ২০২২ সালের ১০ মে গ্রামীণ টেলিকমের ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের মিরপুর শাখা থেকে ঢাকা ব্যাংকের গুলশান শাখায় ৪৩৭ কোটি ১ লাখ ১২ হাজার ৬২১ টাকা স্থানান্তর করা হয়।

পরবর্তী সময়ে ২২ জুন অনুষ্ঠিত গ্রামীণ টেলিকমের ১০৯তম বোর্ড সভায় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অ্যাডভোকেট ফি হিসেবে অতিরিক্ত ১ কোটি ৬৩ লাখ ৯১ হাজার ৩৮৯ টাকা প্রদানের বিষয়টি অনুমোদন দেওয়া হয়। অন্যদিকে ঢাকা ব্যাংকের গুলশান শাখার হিসাব থেকে গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন নামীয় ডাচ-বাংলা ব্যাংকের লোকাল অফিসের হিসাব থেকে তিন দফায় মোট ২৬ কোটি ২২ লাখ ৬ হাজার ৭৮০ টাকা স্থানান্তর করা হয়।

কিন্তু কর্মচারীদের লভ্যাংশ বিতরণের আগেই তাদের প্রাপ্য অর্থ তাদের না জানিয়ে অসৎ উদ্দেশ্যে ২০২২ সালের মে ও জুন মাসের বিভিন্ন সময়ে সিবিএ নেতা মো. কামরুজ্জামান, মাইনুল ইসলাম ও ফিরোজ মাহমুদ হাসানের ডাচ-বাংলা ব্যাংকের মিরপুর শাখার হিসাবে ৩ কোটি টাকা করে মোট ৯ কোটি টাকা স্থানান্তর করা হয়।

একইভাবে অ্যাডভোকেট মো. ইউসুফ আলীর কমার্শিয়াল ব্যাংক অব সিলনের ধানমন্ডি শাখার হিসাবে ৪ কোটি টাকা ও দ্য সিটি ব্যাংকের গুলশান শাখার হিসাবে ৫ কোটি টাকা এবং অ্যাডভোকেট জাফরুল হাসান শরীফ ও অ্যাডভোকেট মো. ইউসুফ আলীর স্ট্যান্ডার্ড টাচার্ড ব্যাংকের গুলশান নর্থ শাখায় যৌথ হিসাবে ৬ কোটি স্থানান্তর করা হয়, যা তাদের প্রাপ্য ছিল না।

দুদকের রেকর্ডপত্র অনুযায়ী, অ্যাডভোকেট ফি হিসেবে প্রকৃতপক্ষে হস্তান্তরিত হয়েছে মাত্র ১ কোটি টাকা। বাকি ২৫ কোটি ২২ লাখ ৬ হাজার ৭৮০ টাকা গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, বোর্ড সদস্যদের সহায়তায় গ্রামীণ টেলিকমের সিবিএ নেতা এবং অ্যাডভোকেটসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা অসৎ উদ্দেশ্যে সেটেলমেন্ট অ্যাগ্রিমেন্টের শর্ত লঙ্ঘন করে জালিয়াতির আশ্রয়ে গ্রামীণ টেলিকম থেকে ওই অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। যা দণ্ডবিধি ও মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

এদিকে শ্রমিক-কর্মচারীদের অর্থ আত্মসাতের মামলায় আসামিরা হলেন, গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূস, ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নাজমুল ইসলাম, পরিচালক ও সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক পারভীন মাহমুদ, নাজনীন সুলতানা, মো. শাহজাহান, নূরজাহান বেগম, এস. এম হাজ্জাতুল ইসলাম লতিফী, অ্যাডভোকেট মো. ইউসুফ আলী, অ্যাডভোকেট জাফরুল হাসান শরীফ, গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মো. কামরুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ মাহমুদ হাসান, প্রতিনিধি মো. মাইনুল ইসলাম ও দপ্তর সম্পাদক কামরুল ইসলাম।




দুর্গাপুরে নানা আয়োজনে মহান মে দিবস পালিত

ডিএনবি নিউজ ডেস্কঃ ‘‘শ্রমিক-মালিক গড়বো দেশ – স্মার্ট হবে বাংলাদেশ’’ এই প্রতিপাদ্যে নেত্রকোনার দুর্গাপুরে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান মে দিবস পালিত হয়েছে। বুধবার দুপুরে উপজেলা প্রশাসন, উপজেলা শ্রমিক লীগ, মটরযান শ্রমিক ইউনিয়ন, নির্মান শ্রমিক ইউনিয়ন, সিএনজি শ্রমিক সংগঠনের উদ্দ্যোগে এ দিবস পালিত হয়।

এ উপলক্ষে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উওোলন শেষে উপজেলা প্রশাসন সহ অন্যান্য শ্রমিক সংগঠনের নেতাকর্মীদের অংশগ্রহনে বর্নাঢ্য শোভাযাত্রা পৌর শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরবর্তিতে জেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ফরিদ উদ্দিন এর সঞ্চালনায় মোঃ আসাদুজ্জামান আসাদ এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে (ভার্চুয়াল) বক্তব্য রাখেন, স্থানীয় এমপি মোশতাক আহমেদ রুহী। অন্যদের মধ্যে আলোচনা করেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক শফিকুল ইসলাম শফিক, সাবেক মেয়র শ.ম জয়নাল আবেদীন সহ আওয়ামীলীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীগন।

অপর দিকে উপজেলা পরিষদের সোমেশ^রী মিলনায়তনে ইউএনও এম রকিবুল হাসান এর সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সহকারি কমিশনার (ভুমি) মো. মোস্তাফিজুর রহমান, দুর্গাপুর সার্কেল এর সহকারি পুলিশ সুপার মো. আক্কাস আলী, উপজেলা কৃষি অফিসার নীপা বিশ^াস, বীর মুক্তিযোদ্ধা সোহরাব হোসেন তালুকদার, মো. সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ। এছাড়া উপজেলা মটরযান শ্রমিক ইউনিয়নের আয়োজনে নিহত শ্রমিকদের জন্য দোয়া, আলোচনা সভা ও গণভোজের আয়োজন করা হয়।