গাজা উপত্যকার সংঘর্ষে ইসরাইলি সেনাকে আটক করার দাবি করল হামাস

জাবালিয়ায় একটি টানেলের মুখে ভয়াবহ সংঘর্ষ

গাজা উপত্যকার উত্তরে শনিবার এক সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন ইসরাইলি সেনাকে হতাহত করার পাশাপাশি অন্তত একজন দখলদার সেনাকে আটক করার খবর দিয়েছে ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস। গত বছরের অক্টোবর মাসে গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসন শুরু হওয়ার পর এই প্রথম কোনো দখলদার সেনাকে আটক করার খবর দিল হামাস।

হামাসের সামরিক বাহিনী ইজ্জাদ্দিন আল-কাসসাম ব্রিগেডের মুখপাত্র আবু উবায়দা আজ (রোববার) ভোররাতে এই বাহিনীর অফিসিয়াল টেলিগ্রাম চ্যানেলে প্রচারিত এক অডিও বার্তায় এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, শনিবার উত্তর গাজার জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে হামাস যোদ্ধারা একটি ‘জটিল অভিযান’ চালান। তারা ইহুদিবাদী সেনাদেরকে ফাঁদে ফেলে একটি টানেলের মধ্যে নিয়ে যান। সেখানে তাদের ওপর অতর্কিত আক্রমণ চালানো হয় যাতে বেশ কয়েকজন দখলদার সেনা হতাহত হয়।

আবু উবায়দা বলেন, আল-কাসসাম যোদ্ধারা অত্যন্ত কাছে থেকে ইসরাইলি সেনাদের ওপর হামলা চালান। এ সময় দখলদার সেনাদের সাহায্যে  ইসরাইলের আরেকটি সেনাদল এগিয়ে এলে বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে তাদেরকেও ঘায়েল করা হয়।

হামাসের এই সামরিক মুখপাত্র জানান, ভয়াবহ ওই সংঘর্ষের পর হামাস যোদ্ধারা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে টানেলটির মুখ বন্ধ করে দেন এবং অন্তত একজন ইসরাইলি সেনাকে নিজেদের সঙ্গে নিয়ে যান।

হামাসের পক্ষ থেকে ইসরাইলি সেনা আটক করার খবর প্রচার হলে গাজাবাসী ফিলিস্তিনিদের পাশাপাশি পশ্চিম তীরের ফিলিস্তিনিরাও উল্লাস প্রকাশ করেন। ইয়েমেনের হুথি আনসারুল্লাহ আন্দোলন এক বিবৃতিতে এ ঘটনায় হামাসকে অভিনন্দন জানিয়েছে। অবশ্য ইহুদিবাদী ইসরাইল তাদের কোনো সেনার আটক হওয়ার খবর অস্বীকার করেছে।#

পার্সটুডে




মাটি খুঁড়লেই স্বর্ণ পাওয়ার খবরে ছুটছেন মানুষ, ১৪৪ ধারা জারি

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল কাতিহার আরবিবি ইট ভাটায় স্বর্ণের খোঁজে স্থানীয়রাসহ আশেপাশের লোকজন দলে দলে আসছেন। স্বর্ণ পাবার আশায় স্থানীয়রা লোকজন ঝগড়া, কলহ দ্বন্দে লিপ্ত হচ্ছেন। তাতে যেকোনো সময় পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কা রয়েছে।

তাই আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ঘটনাস্থল ও ভাটার আশেপাশের এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করেছেন উপজেলা প্রশাসন।

শনিবার রাত সাড়ে ১০টায় রাণীশংকৈল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রকিবুল হাসান এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই আদেশ জারি করেন। এ সময় ভাটায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে এবং আশেপাশের এলাকায় জনসাধারণের অবগতির জন্য মাইকিং করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, সোনা পেলে নিজেদের ভাগ্য বদল হবে এই আশায় বেশ কিছুদিন ধরেই সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত আরবিবি ইট ভাটায় মাটি খুঁড়ে স্বর্ণের সন্ধান করছিলেন হাজার হাজার মানুষ।




প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘রিমাল : পায়রা-মোংলায় ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘রিমাল’ উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত এবং চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

রোববার (২৬ মে) উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় “রিমাল” উত্তর দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হয়ে একই এলাকায় প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে।

সকাল ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৪০০ কি.মি. দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৬০ কি.মি. দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ৩৩০ কি.মি. দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ২৯৫ কি.মি. দক্ষিণে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে আজ সন্ধ্যা বা মধ্যরাতের দিকে মোংলার নিকট দিয়ে সাগর আইল্যান্ড (পশ্চিমবঙ্গ) – খেপুপাড়া উপকূল অতিক্রম করতে পারে।

ঘূর্ণিঝড় ‘রিমাল’ এর প্রভাবে বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের অগ্রভাগের প্রভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি শুরু হয়েছে। প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৬৪ কি.মি. এর মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৯০ কি.মি. যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১২০ কি.মি. পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।

এ অবস্থায় পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ১০ (দশ) নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।

এছাড়া কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, ফেনী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।

সেই সঙ্গে খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, ফেনী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলার নদী বন্দরসমূহকে ৪( নম্বর নৌ-মহাবিপদ সংকেতদেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

প্রবল ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রবর্তী অংশ ও বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্যের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, ফেনী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ০৮-১২ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ু তাড়িত জলোচ্ছাসে প্লাবিত হতে পারে।