গত দুই সপ্তাহে গাজায় ৯ লাখের বেশি ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

গাজা ছিটমহলের বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে ইসরায়েলি বোমাবর্ষণ অব্যাহত রয়েছে। গত দুই সপ্তাহে ৯ লাখের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। এটা গাজার মোট জনসংখ্যার প্রায় ৪০ শতাংশ।

সোমবার জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টিফেন দুজারিক এই তথ্য জানান। তিনি বলেন, ইসরায়েলি বোমাবর্ষণের সঙ্গে স্থল হামলা ও তীব্র লড়াই চলছে। বিশেষ করে পূর্ব রাফাহ ও জাবালিয়ায় তীব্র যুদ্ধ চলছে।

স্টিফেন দুজারিক বলেন, বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের মধ্যে ৮ লাখ ১২ হাজার রাফাহ এবং এক লাখের বেশি গাজার উত্তরাঞ্চলের। এখন পর্যন্ত গাজা উপত্যকার ৭৫ শতাংশেরও বেশি এলাকা (প্রায় ২৮৫ বর্গকিলোমিটার) খালি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

জাতিসংঘের এই কর্মকর্তা বলেন, বড় আকারের বাস্তুচ্যুতির ফলে আশ্রয়কেন্দ্রের তীব্র ঘাটতি দেখা দিয়েছে। কোনও তাঁবু নেই এবং বিতরণের জন্য খুব কম আশ্রয় সামগ্রী উপলব্ধ থাকার কারণে ভয়াবহ জীবনযাত্রার পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে। বাস্তুচ্যুত ব্যক্তিরা খান ইউনিসের খোলা জায়গা, ক্ষতিগ্রস্ত ভবন এবং কৃষি জমিতে আশ্রয় নিচ্ছে। সূত্র : সিএনএন




প্রেসিডেন্ট রায়িসির শাহাদাত—ইরানকে আনুষ্ঠানিক সমবেদনা জানালো আমেরিকা

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের প্রেসিডেন্ট সাইয়্যেদ ইব্রাহিম রায়িসি এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আবদুল্লাহিয়ান সহ কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় শাহাদাত বরণের ঘটনায় আনুষ্ঠানিক সমবেদনা জানিয়েছে আমেরিকা।

গতকাল (সোমবার) মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার এক বিবৃতিতে এই সমবেদনা জানান। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “ইরানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় আজারবাইজান প্রদেশে প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রায়িসি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আবদুল্লাহিয়ান এবং প্রতিনিধি দলের অন্য সদস্যদের হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিহত হওয়ার ঘটনায় আমেরিকা আনুষ্ঠানিকভাবে সমবেদনা প্রকাশ করছে।”

একইভাবে সমবেদনা প্রকাশ করেছে মার্কিন নেতৃত্বাধীন ন্যাটো সামরিক জোট। জোটের নারী মুখপাত্র ফারাহ দাখলাল্লাহ এক্স পেইজে দেয়া এক পোস্টে বলেন, “প্রেসিডেন্ট রায়িসি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির আবদুল্লাহিয়ান এবং অন্যদের মৃত্যুতে ন্যাটো জোট সমবেদনা জানাচ্ছে।”

খ্রিস্টানদের ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিসও ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ীর কাছে পাঠানো এক শোকবার্তায় গভীর সমবেদনা জানান। এ বার্তায় তিনি “নিহতদের রুহের মাগফেরাতের জন্য সর্বশক্তিমানের করুণা প্রার্থনা করেন এবং যারা এই ক্ষতিতে শোকার্ত হয়ে পড়েছেন বিশেষ করে তাদের পরিবারের জন্য প্রার্থনা করেন। পোপ ফ্রান্সিস বলেন, “আমি এই কঠিন সময়ে ইরানি জাতির কাছে আধ্যাত্মিক ঘনিষ্ঠতার আশ্বাস পাঠাচ্ছি।”#

পার্সটুডে