ইন্দোনেশিয়ায় বন্যায় ২৮ জনের মৃত্যু

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

প্রবল বৃষ্টির কারণে ইন্দোনেশিয়ার পশ্চিম সুমাত্রা প্রদেশে বন্যা ও ভূমিধস হয়েছে। এ ঘটনায় অন্তত ২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং চারজন এখনও নিখোঁজ রয়েছে। রোববার দেশটির কর্তৃপক্ষ এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রাদেশিক উদ্ধারকারী দলের প্রধান আব্দুল মালিক রয়টার্সকে বলেন, ‘এখানে ২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং আমরা এখনো নিখোঁজ আরো চারজনকে খুঁজছি।’

জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা বিএনপিবি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, শনিবার রাত থেকে বন্যা তানাহ দাতার অঞ্চলে কাদা নিয়ে এসেছে। বন্যার প্রভাব পাঁচটি উপজেলায় পড়েছে। ৮৪টি আবাসন ইউনিট এবং ১৬টি সেতু দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।




বাংলাদেশি পর্বতারোহীরা হিমালয়ে ফিলিস্তিনের পতাকা উড়িয়েছে

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

বাংলাদেশি পর্বতারোহীদের একটি দল হিমালয়ে ফিলিস্তিনের পতাকা উড়িয়েছে। ট্যুর গ্রুপ বিডি নামে ওই দলের সদস্যরা নেপালের থুরং-লা গিরিপথে ওঠার পর ফ্রি প্যালেস্টাইন স্লোগান দেন।

সুউচ্চ থুরং-লা গিরিপথের উচ্চতা পাঁচ হাজার ৪১৬ মিটার। সেখানে পৌঁছাতে ১০ দিনের কঠিন পাহাড়ি পথ পাড়ি দিতে হয়।গিরিপথে প্রথম প্রথম ফিলিস্তিনি পতাকা ওড়ান মো. সোলাইমান ও তামিম মুনতাসির। পরে তাদের সঙ্গে যোগ দেন দলনেতা রাহি রাফসান।  মুনতাসির বলেন, তারা ফিলিস্তিনের পতাকা সঙ্গে নিয়ে যান। তারা গিরিপথটির সর্বোচ্চ উচ্চতায় পৌঁছে ‘অন্নপূর্ণা’ সার্কিট ট্র্যাকের শেষ দিনে পতাকাটি ওড়ানোর পরিকল্পনা করেন।

তিনি বলেন, সৌভাগ্যবশত আমরা ইসরায়েলের বড় একটি পর্বতারোহী দলের সামনেই পতাকাটি ওড়াতে পেরেছিলাম। এতে আমাদের পতাকা ওড়ানো এবং স্লোগান আরও অর্থবহ হয়ে ওঠে।

সোলাইমান উল্লেখ করেন, পতাকা ওড়ানোর সঙ্গে স্লোগান দেওয়া হচ্ছে দেখে ইসরায়েলি দলটিকে খুব রাগান্বিত এবং হতাশ মনে হচ্ছিল। তিনি বলেন, এমনকি ইসরায়েলি পর্বতারোহী দলের একজন রেগে আমাদের দিকে আসেন। তবে তাদের দলের আরেকজন তাকে থামিয়ে দেন।

গাজায় ইসরায়েলের চলমান হামলার মধ্যে ইসরায়েলি ভ্রমণকারী ও পর্যটকরা ক্রমবর্ধমানভাবে বাজে পরিস্থিতি এবং কখনো কখনো বিরোধের সম্মুখীন হচ্ছে।

স্টিভেন সোচোচেটের নামে ইসরায়েলের এক পর্বতারোহী নেপালের কিছু স্থানে বাজে পরিস্থিতির মুখোমুখি হওয়ার কথা স্বীকার করেছেন। থুরং-লা ওঠার পথে তাকে ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ নিয়ে আরেক ইসরায়েলি সঙ্গীর সঙ্গে তর্ক করতে দেখা যাচ্ছিল।

সোচোচেট দৃঢ়ভাবে বলছিলেন যে এটিকে আর যুদ্ধ বলা যাবে না, কারণ ইসরায়েল মূলত পুরো বিশ্বের সামনে ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর গণহত্যা চালাচ্ছে। তার দলের অন্য সঙ্গী বলছিলেন, ইসরায়েলের আত্মরক্ষা এবং হামাসের হামলার প্রতিশোধ নেওয়ার অধিকার আছে।

ট্যুর গ্রুপ বিডির দলনেতা রাফসান ইসরায়েলি সোচোচেটের সঙ্গেই পর্বতারোহণে ছিলেন। তিনি ইসরায়েলি এ পর্বতারোহীর অবস্থান দেখে বিস্মিত হন।

রাফসান বলেন, আমি বিশ্বাস করতে পারিনি যে, ইসরায়েলি এক নাগরিক এমনটি বলছেন। তখন আমি বুঝতে পারি, যেকোনো বিবেকবান ব্যক্তি গাজায় ইসরায়েলের চালানো গণহত্যার নিন্দা জানাবেন। অবশ্যই ইসরায়েলে বিবেকবান মানুষ রয়েছে।

তিনি বলেন, আমি জানি না, আমি জানি না, সংহতি প্রকাশ কিংবা ইসরায়েলি জনগণকে লজ্জা দেওয়া এ গণহত্যা বন্ধ করবে কি না। কিন্তু এটি অন্তত আমরা করতে পারি।

সূত্র: আনাদোলুর




দুর্গাপুরে বেকারির বিষ খাচ্ছে মানুষ! আইনের তোয়াক্কাই করছে না মালিক পক্ষ

দুর্গাপুর (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি-

স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী কিংবা কোমলমতি শিশুদের সুস্বাদু খাবার হিসেবে প্রধান পছন্দ বেকারির খাদ্য পণ্য। ক্ষুধা মেটাতে বয়স্ক মানুষদেরও খাবারের তালিকায় থাকে বেকারিতে তৈরি হওয়া মুখরোচক বিভিন্ন পণ্য। তবে এসব কতটা স্বাস্থ্যকর তা নিয়ে মাথা ব্যথা নেই কারোরই। তবে সাধারণ মানুষের অভিযোগের শেষ নেই। সরেজমিনে গেলে ভৈরব বেকারি নামের একটি প্রতিষ্ঠানে অস্বাস্থ্যকর খাদ্যপণ্য তৈরির চিত্র দেখা যায়।
নেত্রকোনার দুর্গাপুর পৌরশহরসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ৭টি বেকারি কারখানা রয়েছে। কনফেকশনারির দোকানও রয়েছে অসংখ্য। দীর্ঘ দিন ধরে এসব বেকারি অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি করা বিভিন্ন পণ্য বাজারজাত করে আসছে। কোনো প্রকার ভেজালবিরোধী অভিযান না থাকায় ব্যবসা পরিচালনা করতে মালিকদের কোনও অসুবিধায় পড়তে হচ্ছে না বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়,বিভিন্ন স্থানের বাজারগুলোতে নামে-বেনামে গড়ে ওঠা বেকারি কারখানা গুলোতে আইন না মেনে তৈরি করা হচ্ছে বিভিন্ন খাদ্য পণ্য। এই গুলো বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস এন্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) অনুমোদন ছাড়াই পরিচালনা হচ্ছে। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে নি¤œমানের ভেজাল পণ্য তৈরি করে এরা দেদারসে বাজারজাত করছে তাদের বিভিন্ন পণ্য। বেশিরভাগ খাদ্যের প্যাকেটে মেয়াদোত্তীর্ণ তারিখ স্টিকার নেই। এতে হুমকির মুখে পড়ছে জনস্বাস্থ্য।
অভিযোগ রয়েছে,শহরসহ গ্রামের বিভিন্ন দোকানে পাওয়া যায় কেক,বিস্কুট,পাউরুটি,বাটারবন,মিষ্টিসহ হরেকরকমের পণ্য। এসবের বেশিরভাগ প্যাকেটে মেয়াদোত্তীর্ণ তারিখ না থাকায় দোকানগুলোতে বেশিদিন রেখে বিক্রি হচ্ছে তা। আর এসব খেয়ে অনেক মানুষ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। এ যেন বেকারির বিষ খাচ্ছে মানুষ।
গতকাল দুর্গাপুর পৌর শহরের ঠাকুরবাড়িকান্দা এলাকার ভৈরব বেকারীতে গেলে এই বেহাল চিত্র উঠে এসেছে। ভেতরে নোংরা পরিবেশের দুর্গন্ধের ছড়াছড়ি। স্যাঁতস্যাঁতে নোংরা পরিবেশে ভেজাল ও নিম্ন মানের উপকরণ এবং বিষাক্ত কেমিক্যাল ব্যবহার করে বেকারিতে অবাধে তৈরি করা হচ্ছে খাদ্যসামগ্রী। বেকারি পণ্য উৎপাদনের কাজের লোকজন কোন ধরনের স্বাস্থ্যবিধি মেনে কাজ করছে না। কারিগরদের গাঁয়ের ঘাম ঝরে পরছে খাদ্যতে,নেই কারো হাতে গø্যাভস, মেঝে সহ খাদ্য পণ্যের সাথে পড়ে রয়েছে বিড়ি সিগারেটের খোলস। বিভিন্ন খাদ্যে তৈরির সরঞ্জামে কীটপতঙ্গ থাকতে দেখা গেছে। তবুও এভাবেই পরিবেশে উৎপাদিত হচ্ছে বেকারি পণ্য। তাছাড়া কারখানায় পাওয়া গেছে মানব দেহের চরম ক্ষতিকর বিষাক্ত ক্যামিকেল,ক্ষতি কারক রং,পচা ডিমসহ নানান ক্ষতিকর পন্যের পাশাপাশি উৎপাদন ও মেয়াদ বিহীন পণ্য।
হান্নান মিয়া নামের এক ব্যক্তি বলেন,‘বেকারির তৈরি এসব খাবার মেয়াদ শেষ হওয়ার তারিখ দেখার বাও নাই। আর ক্রেতারা তো আর এসব জিজ্ঞেস করে না। পরে বাড়িতে নেওয়ার পর মাঝেমধ্যে খাবার থেকে দুর্গন্ধ বের হয়।’
জানতে চাইলে ভৈরব বেকারি মালিক স্বপন মিয়া বলেন, আজকের পর থেকে আমরা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রেখে খাবার বানাবো। ‘আমাদের বিএসটিআই এর কাগজপত্র নাই। নিউজ করার দরকার নাই।’
উপজেলা স্যানেটারি ইন্সপেক্টর মো. আলী আকবর জানান  বেকারি মালিকদের একাধিকবার বলা হয়েছে,কিছুদিন আগেও পরিদর্শন করে রিপোর্ট পাঠিয়েছি এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নভাবে ভেজাল মুক্ত খাদ্যদ্রব্য প্রস্তত করতে বলেছি। কিন্তু তারা কিছুই মানছেন না।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মো. তানজিরুল ইসলাম রায়হান বলেন,ভেজাল কেমিক্যাল ও নি¤œমানের উপকরণ দিয়ে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি করা খাবার খেলে যে কেউ আমাশয়,ডায়রিয়াসহ জটিল রোগে আক্রান্ত হতে পারেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এম রকিবুল হাসান জানান,এসিল্যান্ড এর মাধ্যমে অভিযান পরিচালনা করা হবে।
জেলা নিরাপদ খাদ্য অফিসার মো. হাবিবুর রহমান বলেন,মনিটরিং করতে গিয়ে দেখেছি খুবই বাজে অবস্থা। ভেজাল পণ্য তৈরি না করা নির্দেশনা দিয়ে এসেছি এরপরও তারা নির্দেশনা না মানলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আল নোমান শান্ত




ইসরাইলি হামলায় আহত এক পণবন্দির মৃত্যুর খবর দিয়েছে হামাস

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস জানিয়েছে, তাদের হাতে আটক একজন ইহুদিবাদী পণবন্দি ইসরাইলি বিমান হামলায় আহত হয়ে পরে মারা গেছে। হামাসের সামরিক বাহিনী ইজ্জাদ্দিন আল-কাসসাম ব্রিগেড শনিবার এক ঘোষণায় এ তথ্য জানিয়েছে।

ব্রিগেডের মুখপাত্র আবু ওবায়দা বলেছেন, ৫১ বছর বয়সি পণবন্দি নাদাভ পপেলওয়েল প্রায় এক মাস আগে গাজায় ইসরাইলি বোমাবর্ষণে আহত হয়েছিল।

তিনি আরো বলেন, দখলদার সেনারা গাজার হাসপাতালগুলোতে ভয়াবহ হামলা চালিয়ে সেগুলো অকেজো করে দেয়ার কারণে আহত নাদাভকে ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে রেখে চিকিৎসা দেয়া সম্ভব হয়নি; যার কারণে তার মৃত্যু হয়েছে।

হামাস গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরাইলের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে আল-আকসা তুফান অভিযান চালায় এবং প্রায় ২৫০ ইহুদিবাদীকে বন্দি করে গাজায় নিয়ে আসে।

এরপর নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে ইসরাইলের সঙ্গে এক যুদ্ধবিরতি চুক্তির ভিত্তিতে ১০৫ পণবন্দিকে মুক্তি দেয় হামাস।  গত সপ্তাহে হামাস আরেকটি চুক্তিতে সম্মত হয় যার ভিত্তিতে গাজা যুদ্ধ বন্ধের বিনিময়ে অবশিষ্ট পণবন্দিদের মুক্তি দেয়ার কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু ইহুদিবাদী ইসরাইল প্রস্তাবিত ওই চুক্তি প্রত্যাখ্যান করে।

নাদাভের মৃত্যুর খবর প্রচারিত হওয়ার পর হামাসের আটক পণবন্দিদের পরিবারবর্গের সদস্যরা এক জরুরি সংবাদ সম্মেলন করে অবিলম্বে হামাসের সঙ্গে চুক্তি করার জন্য ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।  তারা বলেছেন, “আমাদের নষ্ট করার মতো একটি মুহূর্তও হাতে নেই! তাদের মুক্ত করে আনার জন্য অবিলম্বে আপনাকে চুক্তি করতে হবে।” এছাড়া, শনিবার রাতে তেল আবিব ও অধিকৃত আল-কুদস জেরুজালেম শহরে পণবন্দিদের শত শত আত্মীয় বিক্ষোভ করেছেন। #

পার্সটুডে