খাগড়াছ‌ড়িতে বজ্রপা‌তে মাদরাসার ছাত্র নিহত

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

খাগড়াছ‌ড়ির মা‌টিরাঙ্গা ফজলুল ক‌রিম নূরানী মাদ্রাসার ৩য় শ্রেণীর ছাত্র আরফাত হো‌সেন (১০) না‌মে এক শিশু খেলা করার সময় বজ্রপা‌তে মৃত্যু হ‌য়ে‌ছে।

বৃহস্প‌তিবার (২‌ মে) সকা‌লে উপ‌জেলার বর্ণাল ইউ‌পির ৯নং ওয়ার্ড ইব্রাহীমপুর এলাকা  এ ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, আরাফাত স্থানীয় ইউসুপ মিয়ার ছে‌লে ও ফজলুল ক‌রিম নূরানী মাদ্রাসার ৩য় শ্রেণীর ছাত্র।

স্থানীয় ইউ‌পি সদস্য মো. আবু বক্কর বিষয়‌টি নি‌শ্চিত ক‌রে জানান, সকা‌লে বাতা‌সের মধ্যে বা‌ড়ির আঙ্গিনায় ৩/৪জন শিশুসহ খেলা করার সময় বজ্রপা‌তে আরাফা‌তের মৃত্যু হয়।




গোলান মালভূমিতে ইসরাইলের গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্যবস্তুর ওপর ইরাকি যোদ্ধাদের হামলা

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক:

ইহুদিবাদী ইসরাইল অধিকৃত গোলান মালভূমির গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে ইরাকি যোদ্ধারা। অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার নিরপরাধ ফিলিস্তিনি নাগরিকদের ওপর ইসরাইলের আগ্রাসন, গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের প্রতিবাদে ইরাকি যোদ্ধারা এই হামলা চালিয়েছে।

গতকাল (বুধবার) টেলিগ্রাম চ্যানেলে দেয়া এক বিবৃতিতে এই হামলার কথা ঘোষণা করেছে ইরাকের সন্ত্রাসবিরোধী সংগঠনগুলোর জোট পপুলার মবিলাইজেশন ইউনিট বা পিএমইউ। ইরাকি যোদ্ধারা ড্রোন দিয়ে ইসরাইলি অবস্থানে এই হামলা চালায়। গাজায় ইসরাইলের আগ্রাসন বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত এ ধরনের হামলা অব্যাহত থাকবে বলে তারা ঘোষণা করেছে।
এর আগে গত ২০ এপ্রিল ইরাকি যোদ্ধারা অধিকৃত গোলান মালভূমির গুরুত্বপূর্ণ ইসরাইলি অবস্থানে হামলা চালিয়েছিল।
ইরাকি প্রতিরোধ যোদ্ধারা মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে অবস্থিত মার্কিন ঘাঁটিগুলোতেও হামলা চালিয়ে আসছে।
গত ৭ অক্টোবর ইহুদিবাদী ইসরাইল গাজা উপত্যকার ওপর যে বর্বর আগ্রাসন শুরু করেছে তার প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন দিচ্ছে আমেরিকা। এর প্রতিবাদ জানিয়ে ইরাকের ইসলামী প্রতিরোধকামী যোদ্ধারা মার্কিন অবস্থানে হামলা চালাচ্ছে।#

পার্সটুডে




হজযাত্রীদের এ বছর ‘নুসুক কার্ড’ প্রদর্শন করতে হবে

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

বৈধ ও অবৈধ হজযাত্রীদের চিহ্নিত করতে এবার অভিনব উদ্যোগ নিয়েছে সৌদি আরব। দেশটির হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বৈধ হজযাত্রীদের চিহ্নিত করতে এবারের হজ মৌসুমে প্রত্যেককে আলাদা করে ‍‘নুসুক’ নামে বিশেষ কার্ড দেওয়া হবে। মূলত, অবৈধভাবে হজপালন নিরুৎসাহিত করতেই দেশটির এই উদ্যোগ।

গালফ নিউজের খবরে বলা হয়েছে, বিদেশি হজযাত্রীদের প্রথম দলটি সৌদি আরবে পৌঁছাবে দুই সপ্তাহেরও কম সময়ের মধ্যে। ঠিক তার আগেই অবৈধ বিদেশি হজযাত্রীদের রুখতে নতুন উদ্যোগ নিল দেশটি। চলতি সপ্তাহে ইন্দোনেশিয়ায় ‘নুসুক কার্ড’ প্রকল্প উদ্বোধন করেন সৌদি আরবের হজবিষয়ক মন্ত্রী তৌফিক আল-রাবিয়াহ।

বিভিন্ন দেশে হজযাত্রীদের জন্য ভিসা ইস্যু করার পর এই কার্ডটি সংশ্লিষ্ট হজ অফিস বিদেশি হজযাত্রীদের কাছে হস্তান্তর করবেন। আর সৌদির স্থানীয় হজযাত্রীরা হজ পারমিট ইস্যু হওয়ার পর দেশটির সংশ্লিষ্ট সরকারি কার্যালয় থেকে এই কার্ড সংগ্রহ করতে পারবেন।

হজ মন্ত্রণালয় ‘নুসুক কার্ড’কে একটি সরকারি মুদ্রিত কার্ড হিসাবে বর্ণনা করেছে, যা বৈধ হজযাত্রীদেরকে অন্যান্যদের থেকে আলাদা করবে। সৌদি অ্যাপ ‘নুসুক’ ও ‘তাওয়াক্কলানা’র মাধ্যমে কার্ডটির ডিজিটাল ভার্সন ব্যবহার করা যাবে।

হজ মন্ত্রণালয় আরও বলেছে, হজযাত্রীদের অবশ্যই নুসুক প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে হজ পারমিট নিতে হবে। কারণ সৌদি আরবের সর্বোচ্চ ইসলামী কর্তৃপক্ষ সিনিয়র স্কলার কাউন্সিলের মতে, সরকারি অনুমতি ছাড়া হজ করা পাপ বলে বিবেচিত হয়।

বিদেশি হজযাত্রীদের জন্য এ বছর নতুন কৌশলের আওতায় হজ প্রস্তুতি শুরু করেছে সৌদি আরব।




জামিন পেলেন ড. ইউনূস

ডিএনবি নিউজ ডেস্ক :

গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক-কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলের ২৫ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে করা মামলায় জামিন পেয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বাকি ১৩ আসামি।

বৃহস্পতিবার (২ মে) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক সৈয়দ আরাফাত হোসেনের আদালত এ জামিন মঞ্জুর করেন। এদিন অর্থ আত্মসাতের আলোচিত এ মামলার অভিযোগ গঠনে শুনানির দিন ধার্য রয়েছে। এর আগে সকালে ড. ইউনূস পূর্বশর্তে জামিন আবেদন করেন। এরপর এ মামলায় হাজিরা দিতে বেলা ১১টা ২০ মিনিটে আদালতে পৌঁছান তিনি।

প্রসঙ্গত, গত বছরের ৩০ মে গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক-কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলের ২৫ কোটি ২২ লাখ ৬ হাজার ৭৮০ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। সংস্থার উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান বাদী হয়ে মামলাটি করেন।

এরপর চলতি বছরের ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে নতুন একজন আসামির নাম যুক্ত করে ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার।

আসামিদের বিরুদ্ধে ৪০৯/৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/১০৯ ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। গত ২ এপ্রিল ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক আস সামছ জগলুল হোসেনের আদালত এ চার্জশিট গ্রহণ করে মামলার বিচারের জন্য ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এ বদলির আদেশ দেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, আসামিরা ২৫ কোটি ২২ লাখ ৬ হাজার ৭৮০ টাকা জালিয়াতির মাধ্যমে আত্মসাৎ করেছেন। সদস্যদের উপস্থিতিতে ২০২২ সালের ৯ মে অনুষ্ঠিত ১০৮তম বোর্ডের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ঢাকা ব্যাংকের গুলশান শাখায় হিসাব খোলা হয়। গ্রামীণ টেলিকমের কর্মচারীদের পাওনা লভ্যাংশ বিতরণের জন্য গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন এবং গ্রামীণ টেলিকমের সঙ্গে সেটেলমেন্ট অ্যাগ্রিমেন্ট চুক্তি হয় ওই বছরের ২৭ এপ্রিল।

গ্রামীণ টেলিকমের বোর্ড সভার হিসাব খোলার সিদ্ধান্ত ৯ মে হলেও হিসাব খোলা হয় একদিন আগে ৮ মে। সেটেলমেন্ট অ্যাগ্রিমেন্টেও ৮ মে ব্যাংক হিসাব দেখানো আছে, যা বাস্তবে অসম্ভব। এরকম ভুয়া সেটেলমেন্ট অ্যাগ্রিমেন্টের শর্ত অনুযায়ী ও ১০৮তম বোর্ডের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ২০২২ সালের ১০ মে গ্রামীণ টেলিকমের ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের মিরপুর শাখা থেকে ঢাকা ব্যাংকের গুলশান শাখায় ৪৩৭ কোটি ১ লাখ ১২ হাজার ৬২১ টাকা স্থানান্তর করা হয়।

পরবর্তী সময়ে ২২ জুন অনুষ্ঠিত গ্রামীণ টেলিকমের ১০৯তম বোর্ড সভায় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অ্যাডভোকেট ফি হিসেবে অতিরিক্ত ১ কোটি ৬৩ লাখ ৯১ হাজার ৩৮৯ টাকা প্রদানের বিষয়টি অনুমোদন দেওয়া হয়। অন্যদিকে ঢাকা ব্যাংকের গুলশান শাখার হিসাব থেকে গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন নামীয় ডাচ-বাংলা ব্যাংকের লোকাল অফিসের হিসাব থেকে তিন দফায় মোট ২৬ কোটি ২২ লাখ ৬ হাজার ৭৮০ টাকা স্থানান্তর করা হয়।

কিন্তু কর্মচারীদের লভ্যাংশ বিতরণের আগেই তাদের প্রাপ্য অর্থ তাদের না জানিয়ে অসৎ উদ্দেশ্যে ২০২২ সালের মে ও জুন মাসের বিভিন্ন সময়ে সিবিএ নেতা মো. কামরুজ্জামান, মাইনুল ইসলাম ও ফিরোজ মাহমুদ হাসানের ডাচ-বাংলা ব্যাংকের মিরপুর শাখার হিসাবে ৩ কোটি টাকা করে মোট ৯ কোটি টাকা স্থানান্তর করা হয়।

একইভাবে অ্যাডভোকেট মো. ইউসুফ আলীর কমার্শিয়াল ব্যাংক অব সিলনের ধানমন্ডি শাখার হিসাবে ৪ কোটি টাকা ও দ্য সিটি ব্যাংকের গুলশান শাখার হিসাবে ৫ কোটি টাকা এবং অ্যাডভোকেট জাফরুল হাসান শরীফ ও অ্যাডভোকেট মো. ইউসুফ আলীর স্ট্যান্ডার্ড টাচার্ড ব্যাংকের গুলশান নর্থ শাখায় যৌথ হিসাবে ৬ কোটি স্থানান্তর করা হয়, যা তাদের প্রাপ্য ছিল না।

দুদকের রেকর্ডপত্র অনুযায়ী, অ্যাডভোকেট ফি হিসেবে প্রকৃতপক্ষে হস্তান্তরিত হয়েছে মাত্র ১ কোটি টাকা। বাকি ২৫ কোটি ২২ লাখ ৬ হাজার ৭৮০ টাকা গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, বোর্ড সদস্যদের সহায়তায় গ্রামীণ টেলিকমের সিবিএ নেতা এবং অ্যাডভোকেটসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা অসৎ উদ্দেশ্যে সেটেলমেন্ট অ্যাগ্রিমেন্টের শর্ত লঙ্ঘন করে জালিয়াতির আশ্রয়ে গ্রামীণ টেলিকম থেকে ওই অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। যা দণ্ডবিধি ও মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

এদিকে শ্রমিক-কর্মচারীদের অর্থ আত্মসাতের মামলায় আসামিরা হলেন, গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূস, ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নাজমুল ইসলাম, পরিচালক ও সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক পারভীন মাহমুদ, নাজনীন সুলতানা, মো. শাহজাহান, নূরজাহান বেগম, এস. এম হাজ্জাতুল ইসলাম লতিফী, অ্যাডভোকেট মো. ইউসুফ আলী, অ্যাডভোকেট জাফরুল হাসান শরীফ, গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মো. কামরুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ মাহমুদ হাসান, প্রতিনিধি মো. মাইনুল ইসলাম ও দপ্তর সম্পাদক কামরুল ইসলাম।